Tag: Assembly Polls

Assembly Polls

  • INDI Block: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরতেই অশান্তি শুরু ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    INDI Block: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরতেই অশান্তি শুরু ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল (Bihar Assembly Polls Result) বেরনোর পর অশান্তি শুরু হয়েছিল ‘ইন্ডি’ জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই চওড়া হচ্ছে জোটের ফাটল। বিহারে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র। তারপরেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে দলীয় কোন্দল। ‘ইন্ডি’র একাধিক শরিক দল এবং আঞ্চলিক সহযোগীরা প্রকাশ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বের কৌশল, নেতৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। যার জেরে অচিরেই এই জোট ছেড়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

     ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল (INDI Alliance)

    ২৪৩টি আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিজেপি একাই ১০১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পেয়েছে ৮৯টি আসন। এনডিএর আর এক শরিক জেডি(ইউ)-ও ১০১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পেয়েছে ৮৫টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৩৫টি কেন্দ্রের রাশ। তার পরে পরেই কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল দেখা গিয়েছিল ভোটের আগেই। বিহারে আসন বিলি নিয়ে জোট থেকে সরে এসেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তাদের অভিযোগ, আলোচনায় তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে এবং আগের বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলিও মানা হয়নি। জেএমএম নেতাদের মতে, বিহারের ঘটনা একটি বড় সমস্যার প্রতিফলন, আঞ্চলিক মিত্রদের ছোট অংশীদার হিসেবে দেখা হচ্ছে, সমান অংশীদার হিসেবে নয়। এখন দলটি ভবিষ্যতে যৌথ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ পুনর্বিবেচনা করছে। কারণ এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিও অন্তর্ভুক্ত (Bihar Assembly Polls Result)।

    ‘ইন্ডি’ জোট পরাস্ত

    বিহারে ‘ইন্ডি’ জোট পরাস্ত হওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীও। তারা একে বিরোধী শিবিরের জন্য একটি সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছে। দলের শীর্ষ নেতারা শুধু নির্বাচনী কৌশল নয়, ‘ইন্ডি’ জোটের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন (INDI Alliance)।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যস্তরের কংগ্রেস ইউনিটগুলির একতরফা সিদ্ধান্ত,  যার মধ্যে বেশ কিছু আসনে একা লড়াই করা, যৌথ কৌশলকে দুর্বল করেছে। ইউবিটি নেতৃত্বের মতে, বড় দলগুলি যদি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা না করে, তাহলে ‘ইন্ডি’ জোট মসৃণভাবে চলতে পারবে না।

    সমাজবাদী পার্টির সাফ কথা

    এদিকে, সমাজবাদী পার্টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, জোটের জন্য এখনই বড় ধরনের সংশোধন জরুরি। এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব বিহারে প্রক্রিয়াগত অনিয়মের কথা তুলে ধরে জোটকে এই মর্মে সতর্ক করেছেন যে, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও ভবিষ্যতের লড়াইকে ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না। ‘ইন্ডি’ জোটের অনেক শরিকই এখন বিকেন্দ্রীকৃত নেতৃত্ব মডেলের সপক্ষে কথা বলতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে আঞ্চলিক দলগুলি, বিশেষ করে যাদের রাজ্যে শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে, তারা জাতীয় কৌশলে আরও বেশি গুরুত্ব পাবে। এই আলোচনায় এসপি একটি প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে (INDI Alliance)।

    আপ-থিওরি

    এরই পাশাপাশি আম আদমি পার্টির একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করছেন অনেকে। আম আদমি পার্টি ‘ইন্ডি’ জোটেই ছিল। তবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একে জোটের কাঠামোগত দুর্বলতা বলেই ধরে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপ নেতাদের মতে, রাজ্যস্তরের বিস্তার কোনওভাবেই একটি ঢিলেঢালা জাতীয় প্ল্যাটফর্মের স্বার্থে বিসর্জন দেওয়া যায় না। দলের স্বশাসনের ওপর জোর এখন এমন একটি রূপরেখা হয়ে উঠছে, যা ‘ইন্ডি’ জোট যদি সমন্বয় ও আসন-সমঝোতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগগুলির সমাধান না করে, তবে অন্যান্য আঞ্চলিক মিত্ররাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে (Bihar Assembly Polls Result)।

    কংগ্রেসের লড়াই

    বস্তুত, বিহারে কংগ্রেসের লড়াই ছিল ভাবমূর্তির। তাই ওই নির্বাচনে কংগ্রেস গোহারা হারতেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠেছে জোটের ভেতরেই। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করছেন যে একটি বড় হিন্দিভাষী রাজ্যে দুর্বল পারফরম্যান্স আসন-বিন্যাস নিয়ে আগাম সমঝোতায় তাদের দরকষাকষির শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে। অনেক শরিক দল আবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জোট টিকিয়ে রাখতে হলে কংগ্রেসকে সংগঠনিক পদ্ধতি, নির্বাচন পরিচালনা ও প্রার্থী নির্বাচনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যদের মতে, স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ছাড়া জাতীয় জোট কোনওভাবেই সফল হতে পারে না (INDI Alliance)।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘ইন্ডি’ জোট এখন একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি। এই পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত যোগাযোগ, আস্থাবর্ধক উদ্যোগ এবং আসন-বিলি নিয়ে সুস্পষ্ট একটা নীতির ভীষণ প্রয়োজন। দীর্ঘ মেয়াদে জোটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আঞ্চলিক দলগুলির শক্তিকে প্রতিফলিত করে নিজেদের কাঠামো পুনর্গঠন করতে তারা প্রস্তুত কি না (Bihar Assembly Polls Result)।

  • PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন। এখন সব দলের কর্তব্য হল তাদের কর্মীদের সক্রিয় করে ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার কাজে লাগানো”। শুক্রবার বিহারে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএর বিপুল জয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এসআইআর চালু হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে অ-বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের শাসক দল। গেল গেল রব তুলে আমজনতাকে খেপিয়েও দিয়েছিল কোনও কোনও রাজ্যের শাসক দল। বিহারে নির্বাচন হয়েছিল দু’দফায়।

    এমওয়াই সূত্র (PM Modi)

    উচ্চ ভোটদানের হারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণ একটি নয়া সূত্র দিয়েছেন – এমওয়াই (MY), মহিলা এবং যুবা।” এই ফর্মুলা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারের কিছু দল তোষণের জন্য এমওয়াই ফর্মুলা তৈরি করেছিল। কিন্তু আজকের এই জয় একটি নতুন, ইতিবাচক এমওয়াই ফর্মুলা দিয়েছে, আর সেটি হল মহিলা এবং যুবা। আজ বিহার দেশের সেই সব রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে যুবকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, এবং এর মধ্যে রয়েছে সকল ধর্ম ও সকল জাতির যুবসমাজ। তাদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের আশা এবং তাদের স্বপ্ন জঙ্গলরাজের লোকদের পুরানো সাম্প্রদায়িক এমওয়াই ফর্মুলাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

    মহাগঠবন্ধন পর্যুদস্ত

    আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনকে পর্যুদস্ত করে বিজেপি ৯০টি আসনে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ প্রায় ৮৪টি আসন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জনগণ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বিহার নির্বাচনে জঙ্গলরাজ এবং কাটা সরকার সম্পর্কে কথা বলতাম, তখন আরজেডি কোনও আপত্তি তুলত না। তবে এতে কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়েছিল। আজ আমি আবারও বলতে চাই যে কাটা সরকার আর কখনও বিহারে ফিরে আসবে না। বিহারের মানুষ বিকশিত বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আগে নকশাল-প্রভাবিত এলাকায় ভোটগ্রহণ বিকেল (BJP) ৩টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এখন মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছেন। রেকর্ড পরিমাণে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখায় আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”

  • Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচন শেষে এমন প্রত্যয় ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। এবার একই দাবি করলেন শাহ।

    শাহের দাবি (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬০টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।” শাহ জানান, রাজ্যে অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমাঞ্চলগুলিতে, যেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনুপ্রবেশকারী, তাদের বেআইনি ব্যবসা এবং বেআইনি দখলের কারণে পুরো সীমাঞ্চল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এখানকার আইনশৃঙ্খলার ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। বন্ধ করে দেব তাদের বেআইনি ব্যবসা। একে একে প্রতিটি বেআইনি দখলও সরিয়ে দেব।”

    পঞ্চ পাণ্ডবের জয়!

    তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ আমাদের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে মনে হয় বিহারের মানুষ এনডিএর সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা ১৬০ আসনের অনেক বেশিই পাব। এনডিএ ন্যূনতম ১৬০ আসন পাবে। আমি এটিকে পঞ্চ পাণ্ডবের লড়াই বলি। কারণ এনডিএর পাঁচ সহযোগী দল হল, জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। সবাই একজোট, কোনও বিবাদ নেই। বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আমরা নরেন্দ্র মোদিজি এবং নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে যৌথ প্রচার চালাচ্ছি (Amit Shah)।”

    প্রথম দফায় ৬৪.৬৬ শতাংশের রেকর্ড ভোটদানের হার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানান, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এরও এখানে ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “এসআইআরও ভোটের শতাংশ বাড়ার একটি কারণ। কারণ যে সব ভোট অপচয় হত, যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে (NDA) দু’দফায়। মঙ্গলবার হবে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই পর্যায়ে ভোট হবে ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে শুক্রবার (Amit Shah)।

  • SIR: দিল্লিতে সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জ্ঞানেশ কুমার, আলোচ্য বিষয় কি এসআইআর?

    SIR: দিল্লিতে সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জ্ঞানেশ কুমার, আলোচ্য বিষয় কি এসআইআর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা)-এর (SIR) পরেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছিল বিহারে। বাংলায়ও কি তা-ই হতে চলেছে? এমন প্রশ্নই পাক খাচ্ছে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গে। কারণ সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে দু’দিনের বৈঠকে বসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। বুধ ও বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।

    এসআইআর (SIR)

    মাস সাতেক পরেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যে এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনও তৎপর, তা স্পষ্ট কমিশনেরই একাধিক পদক্ষেপে। গত সপ্তাহেই ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিংয়ের কাজ শেষ করতে জেলাগুলির আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। এ রাজ্যে এসআইআর শুরুর আগে এই ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিংকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। কারণ জেলায় জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার পার্থক্য কতটা, তা জানা যাবে ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিংয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে সুবিধা হবে এসআইআরের ক্ষেত্রে। জানা গিয়েছে, যে সব রাজ্যের দুয়ারে নির্বাচন, সেগুলিতে আগেই এসআইআরের কাজ সেরে নিতে চাইছে কমিশন। সেই কারণেই এই বৈঠক বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দু’দিনের বৈঠকের পর বাংলায় এসআইআর শুরুর ঘোষণা হবে কিনা, তা নিয়েও বাড়ছে জল্পনা।

    বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা

    হঠাৎ করেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দু’দিনের জন্য নয়াদিল্লিতে আয়োজিত বৈঠকে ডেকে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, দিল্লিতে ওই বৈঠক হবে বুধ ও বৃহস্পতিবার। সিইওদের সঙ্গে এই বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের তাঁর দফতরের অন্য প্রবীণ আধিকারিকরাও। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। কারণ বিহারে এসআইআর (SIR) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিল। যদিও কমিশনের সাফ কথা, “ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতেই এসআইআর প্রয়োজন।” তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি বিহারের মতো এ রাজ্যেও হবে এসআইআর? এ প্রশ্নের উত্তরে কমিশন (ECI) জানিয়ে দিয়েছে, দেশজুড়েই হবে এসআইআর। তবে যেসব রাজ্যে ভোট আসন্ন, সেগুলিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শুরু হবে সমীক্ষার কাজ (SIR)।

  • Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় ১৮ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (Bihar Assembly Polls)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এই তালিকা প্রকাশ করেছে পদ্মশিবির (BJP)। এনডিএ জোটের শরিক হিসেবে বিজেপির প্রার্থী দেওয়ার কথা ১০১টি আসনে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪২টি। তার মধ্যে ১০১টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা পদ্ম শিবিবের। প্রথম দফায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি, সেখানে নাম ছিল ৭১ জনের। পরের দফায় ঘোষণা করা হয় ১২ প্রার্থীর নাম। তৃতীয় দফায় প্রকাশ করা হল ১৮ জনের নাম।

    বিজেপির প্রার্থী তালিকা (Bihar Assembly Polls)

    জানা গিয়েছে, বিজেপি নরকাটিয়াগঞ্জ আসনে প্রার্থী করেছে সঞ্জয় পাণ্ডেকে। চনপাতিয়ায় লড়বেন উমাকান্ত সিং। আর চিরাইয়া কেন্দ্রে লড়বেন লালবাবু প্রসাদ গুপ্তা। কোচাধামান আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বীণা দেবীকে।  রাঘোপুরে লড়বেন সতীশ কুমার যাদব। আর মুরারি পাশোয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পিরপিয়ান্তি কেন্দ্র থেকে। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা পাঁচবারের বিধায়ক ভাগীরথী দেবীকে এবার আর পশ্চিম চম্পারণ জেলার রামনগর আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে না। আখ শিল্পমন্ত্রী কৃষ্ণনন্দন পাশোয়ানকে আবারও হরসিদ্ধি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকগায়ক বিনয় বিহারীও ফের লৌরিয়া থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। মোহানিয়ার বিধায়ক সঙ্গীতা কুমারী এবং ভভুয়ার বিধায়ক ভারত বিন্দ, যিনি রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও ফের নিজদের আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে। এদিকে, উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাও তাদের বরাদ্দ আসনগুলির প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। দলীয় সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহার স্ত্রী স্নেহলতা রোহতাস বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন (BJP)।

    বেহাল দশা ইন্ডি জোটের

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls) হবে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ১১ তারিখে। এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে লড়াইয়ের ময়দানে, তখন ইন্ডি জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের ছন্নছাড়া দশা। ইন্ডি জোটে এখনও আসন বণ্টনই হয়নি, অথচ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেটি আবার দলের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে, যদিও ইন্ডিয়া ব্লকের ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা এখনও অমীমাংসিত।

    তল খুঁজছে কংগ্রেস

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ঔরঙ্গাবাদ থেকে আনন্দ শঙ্কর সিং, রাজাপাকার থেকে প্রতিমা দাস, বচ্ছাওয়াড়া থেকে শিব প্রকাশ গরিব দাস এবং নালন্দা থেকে কৌশলেন্দ্র কুমার (ছোটে মুখিয়া)-কে প্রার্থী করেছে। গোপালগঞ্জ থেকে হাত চিহ্নে লড়বেন ওম প্রকাশ গর্গ, অমরপুর থেকে জিতেন্দ্র সিং, বেগুসরাই থেকে অমিতা ভূষণ, সুলতানগঞ্জ থেকে লালন কুমার, কুটুম্বা থেকে রাজেশ কুমার, বরসালীগঞ্জ থেকে শশী শেখর, বারবিঘা থেকে ত্রিশূলধারী সিং এবং মুজাফফরপুর থেকে বিজেন্দ্র চৌধুরী (Bihar Assembly Polls)। গোবিন্দগঞ্জ থেকে লড়ছেন শশী ভূষণ রাই, বিক্রম থেকে অনিল কুমার এবং রোসেরা আসন থেকে বিকে রবি। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আরও কয়েকটি নাম ঘোষণা করা হবে (BJP)। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি মোট ৪৩টি আসনের জন্য প্রার্থীর অনুমোদন দিয়েছে। আজয় মাকেনের নেতৃত্বাধীন উপ-কমিটি বুধবার আরও আটজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে বলে খবর।

    ফিল্ডে এনডিএ

    ইন্ডি জোটের যখন বেহাল দশা, তখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ যথারীতি ফিল্ডে নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে ১০১টি আসনে লড়বে বিজেপি। বাকি আসনে লড়বে এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল। বুধবার রাতেই পদ্ম শিবির তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল দ্বিতীয় দফার তালিকা। সেই তালিকায় ছিল ১২ জন প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে রয়েছেন আলিনগর আসনে পদ্ম-প্রার্থী সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর এবং বক্সার থেকে প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্র। তিন দফায় তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি তার ভাগের ১০১টি আসনের সব কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে ফেলল (Bihar Assembly Polls)।

    তালিকা প্রকাশ করল জেডিইউ

    এনডিএ-র শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রথম দফার তালিকায় ৫৭ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। উমেশ কুশওহা ও বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদবের মতো প্রবীণ নেতারা ইতিমধ্যেই মহনার ও সুপৌল আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরাইরঞ্জন আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিজয় কুমার চৌধুরীর (BJP)। প্রসঙ্গত, এনডিএর আসন রফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিজেপি এবং জেডিইউ প্রত্যেকে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (আরভি) ২৯টি আসনে এবং এইচএএম এবং আরএলএম ৬টি করে আসনে লড়বে (Bihar Assembly Polls)।

  • Assembly Elections 2025: দু’দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন, ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর

    Assembly Elections 2025: দু’দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন, ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গেল বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2025) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নভেম্বরে দুদফায় হতে চলেছে বিহার (Bihar) বিধানসভার নির্বাচন। ৬ এবং ১১ নভেম্বর ভোট হবে বিহারের ২৪৩টি আসনে। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৪২ লাখ।

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট (Assembly Elections 2025)

    প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১২১টি আসনে, বাকি ১২২টি আসনে ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়। প্রথম দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১০ অক্টোবর থেকে। জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২০ অক্টোবর। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৩ অক্টোবর থেকে, চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই দফার ভোটে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ২৩ অক্টোবর। লড়াইয়ের ময়দানে প্রধান প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জনতা দল ইউনাইটেডের নেতৃত্বাধীন জোট এবং কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্বাধীন মহোজোটবন্ধনের মধ্যে লড়াই।

    বিশেষ সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ

    এদিকে, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসে বিহারে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৮৯ লাখ। মঙ্গলবার যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে ৭ কোটি ৪২ লাখের। বাদ পড়ল ৪৭ লক্ষ ভোটারের নাম। এর পাশাপাশি নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পাশাপাশি বিহারে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন কমিশনার (Assembly Elections 2025)।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বুথ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য পরিচয়পত্র, পোলিং স্টেশনের বাইরে মোবাইল ফোন জমা রাখার ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ ওয়েবকাস্টিং চালু করার ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে বিহার দেশের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে, যেখানে প্রতিটি পোলিং স্টেশনে এখন ১২০০-এর কম ভোটার থাকবেন। এর উদ্দেশ্য হল ভোটারদের সুবিধা বাড়ানো এবং লাইনের দৈর্ঘ্য কমানো।

    উল্লেখ্য, ভাগলপুর, পাটনা, পূর্ব চম্পারন, মধুবনী, গোপালগঞ্জ, সরনের মতো ছয় জেলায় গতবার এনডিএর সঙ্গে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটের জোরদার লড়াই (Bihar) হয়েছিল। ছয় জেলার ৫৯ আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৩৪টি। মহাজোট ২৫টি (Assembly Elections 2025)।

  • Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    Untraceable Voters: ১১ হাজার ভোটারের অস্তিত্বই নেই! বিহারে মিলল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) অভিযান চালাচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেখানেই মিলল অভিনব তথ্য (Untraceable Voters)। জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না। তাঁদের দেওয়া ঠিকানায় কোনও বাড়ি নেই, তাঁদের (Infiltration) সম্পর্কে কিছু জানেন না প্রতিবেশীরাও। ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, এই ১১ হাজার ভোটার সম্ভবত বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, যারা বিহারে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করেছে। যদিও বিহার নয়, তারা বসবাস করছিল আশপাশের রাজ্যগুলিতে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের এই বিস্ফোরক তথ্য রাজ্যের রাজনীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা জাল ভোট দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণ’ (Untraceable Voters)

    নির্বাচন কমিশনের মতে, এই অনিয়মগুলির পেছনে আগের পর্যালোচনার সময় অবহেলা বা দুর্নীতি দায়ী, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তিরা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া ঠিকানায় কোনও ঘরই ছিল না, এমনকি প্রতিবেশীরাও এই ব্যক্তিদের চেনেন না। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিহারের ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বুথ স্তরের আধিকারিকরা তিনবার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন। ৭.৯০ কোটির মধ্যে ৯৫.৯২% ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে রাজ্যের ৪১.৬৪ লক্ষ ভোটারকে তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃতদেরও!

    এসবের মধ্যে ১৪.২৯ লাখ ভোটারকে সম্ভবত মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯.৭৪ লাখ ব্যক্তি স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন এবং ৭.৫০ লক্ষ ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার ভোটারকে ‘আনট্রেসেবল’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে (Untraceable Voters)। এদিকে, এখনও পর্যন্ত প্রচারের ফলে সব মিলিয়ে মোট ৭.১৫ কোটি ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬.৯৬ কোটি ফর্ম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ জুলাই। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ অগাস্ট। এই ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত আপত্তি এবং দাবি গ্রহণ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ভুলক্রমে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ পড়া নামগুলি ৩০ অগাস্টের মধ্যে সংশোধন করা যাবে (Infiltration)।

    রাজনৈতিক বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনার জন্য ১ লাখ ব্লক স্তরের অফিসার, ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ স্তরের এজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, যেন কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রচার রাজনৈতিক বিতর্কও সৃষ্টি করেছে। বিরোধী জোট ইন্ডি ব্লকের তরফে একে “ভোট নিষেধাজ্ঞা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা একে এনডিএ-র একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি পর্যালোচনা করছে। নির্বাচন কমিশনকে আধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং ভোটার আইডি সহ যাবতীয় নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে (Untraceable Voters)।

    অনুপ্রবেশকারী আটক

    অন্যদিকে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযানের মাধ্যমে আর একটি চমকপ্রদ তথ্যও সামনে এসেছে। বুথ লেভেল অফিসাররা নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা বেশ কিছু বিদেশিকে আটক করেছেন। এদের কাছে মিলেছে ভারতীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও বসবাসের জন্য শংসাপত্র। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বিদেশিরা কীভাবে এসব সরকারি নথি জোগাড় করল তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত (Untraceable Voters)।

    বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে ১ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই অভিযানে যেসব ব্যক্তিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিহার রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি (Infiltration) বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তার আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করতে গিয়ে উঠে এল বিস্তর গরমিলের কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে দেশবাসীর নজর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কারণ এতদিন এই ভুয়ো ভোটাররাই ছিল অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। তাদের ভোট পেয়ে রাজ করেছে কারা, সেই রহস্যেরই পর্দা ফাঁস হবে এবার (Untraceable Voters)।

  • RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নিবিড় প্রচারের সুফল কুড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র হয়েছে পদ্মময়। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পাখির চোখ বিহার। চলতি বছর হওয়ার কথা বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls)। সেখানে বিজেপিকে সাহায্য করতে তাই কোমর বেঁধে নামছেন সংঘের নেতারা।

    দিল্লি জয়ে আরএসএসের ভূমিকা (Bihar Assembly Polls)

    উল্লেখ্য যে, আরএসএসকে জেতাতে দিল্লির প্রতিটি প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি সভা করেছে আরএসএস। বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছে ভোটারদের। বিহারের পাশাপাশি আরএসএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করতে মিশন ত্রিশূল হাতে নিয়েছে আরএসএস। এই মিশনে একটি কৌশল গঠিত হয়েছে তিনটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস (RSS)। শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, আরএসএস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলি হল, গোপান সমীক্ষার মাধ্যমে অসন্তুষ্ট ভোটার ও প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ঠিক করতে সব চেয়ে প্রভাবশালী ইস্যুগুলি নির্ধারণ করা এবং এই ইস্যুগুলির ভিত্তিতে বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা। আরএসএসের এই সমীক্ষা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য আরএসএসের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিহারজুড়ে শাখার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ আরও দৃঢ় করা যায়।

    বিহারে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টার কসুর করছে না আরএসএস। ভালো ফলের জন্য বিহারকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করা হয়েছে। মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে আরএসএসের সভা। সেখানে দুর্বল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করতে একটি ব্যাপক বুথ-স্তরের সমীক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। বিহার এমন একটি রাজ্য যেখানে বিজেপি কখনও এককভাবে সরকার গঠন করেনি। সেই কারণেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস। আরএসএস সক্রিয়ভাবে কৌশলও তৈরি করছে। সেই কৌশল কাজে লাগিয়েই বিহারে (Bihar Assembly Polls) এবার বাজিমাত করতে চাইছে আরএসএস (RSS)।

  • Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতাতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ধান্ধা’য় কোপ অমিত শাহের (Amit Shah)! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘উপজাতি মহিলাদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নিতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা।’

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    সোমবার ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলায় নির্বাচনী প্রচারসভায় (Jharkhand Assembly Polls) গিয়ে শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এমন একটি আইন প্রণয়ন করবে, যা উপজাতি মেয়েদের বিয়ে করে জমি হস্তান্তর করা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের রুখবে।” তিনি বলেন, “বিজেপি এভাবে অধিগৃহীত জমি পুনরুদ্ধার করবে। জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে মূল উপজাতি পরিবারের হাতে।”

    ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে!

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের মেয়েদের বিয়ে করে জমি দখল করছে। তারা আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করলে তাদের জমি স্থানান্তর রোধ করার জন্য আমরা একটি আইন প্রণয়ন করব।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের উচ্ছেদ করে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করতে আমরা একটি কমিটি গঠন করব।”

    জেএমএম-কে আক্রমণ শাহের (Jharkhand Assembly Polls)

    এদিনের সমাবেশে শাহ মুণ্ডপাত করেন রাজ্যের হেমন্ত সোরেন সরকারের। বলেন, “ওরা (হেমন্ত সোরেনের দল) ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেনকে অপমান করেছে। তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অনুপ্রবেশের সমস্যার কথা বলায় তাঁকে অপমান করেছে ওরা।” শাহের (Amit Shah) দাবি, “চম্পাই আদিবাসীদের অধিকার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    চম্পাইয়ের বহিষ্কারে আদিবাসীদের অপমান  

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “চম্পাই সোরেন এত বছর ধরে গুরুজি (শিবু সরেন) এবং হেমন্ত সোরেনের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। কিন্তু তাঁকে যেভাবে অপমান ও বহিষ্কার করা হয়েছে, তা কেবল তাঁর নয়, সমগ্র আদিবাসী সমাজের অপমান। চম্পাই সোরেন কেবল এই একটিই দাবি করেছিলেন যে এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তারা (জেএমএম) তা করতে রাজি নয়।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “রাজ্যের শাসক জোট — ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি করছে। করছে দুর্নীতিও।” তিনি বলেন, “যদি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Polls) বিজেপি সরকার গঠন করে, তবে জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোটের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জেলে পাঠানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • PM Modi: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা উপজাতির মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে গরিব করে রেখেছে। বিজেপি ঝাড়খণ্ডকে দারিদ্রমুক্ত করতে দায়বদ্ধ।” সোমবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী (Jharkand Assembly Polls) প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেস-জেএমএমকে নিশানা মোদির (PM Modi)

    প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে। ঝাড়খণ্ডের নিজস্ব সত্ত্বা রক্ষায় যে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি বিপদস্বরূপ, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আশির দশকে যখন বিহার ও দিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় ঝাড়খণ্ড বিহারের অংশ ছিল। তখন গয়া গোলি কাণ্ড ঘটেছিল – যেভাবে ব্রিটিশরা এখানে বর্বরতা করেছিল, কংগ্রেসও তেমনটাই করেছিল আদিবাসীদের রক্ত দিয়ে… আরজেডি নেতারা তখন বলতেন যে ঝাড়খণ্ড তাঁদের লাশের ওপর গড়ে উঠবে… আরজেডি ঝাড়খণ্ড গঠনের সমর্থকদের দমন করতে চেয়েছিল। আজ সেই আরজেডির কোলে কে বসে আছে? আজ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা আরজেডির কোলে বসে আছে।”

    ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, প্রত্যয়ী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ রাজ্যে বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে আগ্রহী। কোলহান আবারও জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির অত্যাচারী সরকারকে উচ্ছেদ করতে প্রস্তুত। সবাই বলছে যে কোলহান ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে… আমি নিশ্চিত, বিজেপি-এনডিএ আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে।” তিনি বলেন, “তারা (জেএমএম) কোলহানের গর্বিত সন্তান, চম্পাই সোরেনকে অসম্মান করেছে। যেভাবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অসম্মান করা হয়েছে, গোটা দেশ তা দেখেছে। এটা পুরো কোলহানের প্রতি অসম্মান।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    এদিনের সভায় কংগ্রেসকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমাদের বোন সীতা সোরেনের সঙ্গে তারা যা করেছে – আমরা সবাই তা দেখেছি। কংগ্রেসের এক নেতা সীতা সোরেন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন – আমরা সবাই তা দেখেছি। এটি সমস্ত আদিবাসী মা-বোনদের প্রতি অসম্মান। মহারাষ্ট্রেও একজন বোন যিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁর জন্য কেমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এটাই হল জেএমএম-এর আসল চেহারা।” বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে ঝাড়খণ্ডকে দারিদ্রমুক্ত করা হবে, এদিন সেই প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে, ১০ নভেম্বর ফের ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী (Jharkand Assembly Polls) প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপির তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ খবর জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share