Tag: Asteroids

Asteroids

  • Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    Asteroids: পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখে? গ্রহাণু সম্পর্কে ফের সতর্ক বার্তা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক গ্রহাণু (Asteroid) ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে নাসা (NASA)। বর্তমানে প্রায়ই একাধিক গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছে। কিছুদিন আগেই দুটি ভিন্ন আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এগুলো পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েনি, পাশ কেটে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফের নাসা কিছু মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছে। নাসা থেকে কিছু গ্রহাণুর তালিকা বানানো হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনকি এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবী ধ্বংস পর্যন্ত হতে পারে।

    গ্রহাণু যে কোনও আকারের হোক না কেন তা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবে নাসা যেসব গ্রহাণুকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হল-

    আমোর গ্রহাণু (Amore Asteroids)

    মঙ্গল গ্রহের পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় আমোর। আর্কিটাইপ অবজেক্ট ১২২১ আমোরের নামানুসারে এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। এগুলি পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। বেশিরভাগ অ্যামোর মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ অতিক্রম করে ও এগুলোর আকারও বড় হয়ে থাকে। আমাদের সৌরজগতে ৭৪২৭ টি পরিচিত আমোর গ্রহাণু রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫৩ টি গোনা সম্ভব হয়েছে ও বিজ্ঞানীরা এগুলোর মধ্যে ৭৫ টির নাম দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    অ্যাপোলো গ্রহাণু (Apollo Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলোর ১৮৬২ অ্যাপোলোর নামানুসারে নাম দেওয়া হয়েছে। অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলিও পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহাণুগুলির একটি গ্রুপ। ১৯৩০-এর দশকে, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল রেইনমুথ (Karl Reinmuth) এগুলো আবিষ্কার করেছিলেন। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়া গ্রহাণুকে বলা হয় অ্যাপোলো। এই গ্রহাণুগুলোর আকৃতি পৃথিবীর চেয়েও বড় হয়। বৃহত্তম অ্যাপোলো গ্রহাণু হল ১৮৬৬ সিসিফাস (1866 Sisyphus ) যার ব্যাস ৮.৫ কিলোমিটার ব্যাস।

    অ্যাটেন গ্রহাণু (Aten Asteroids)

    এগুলি একটি শক্তিশালী গ্রহাণুর গ্রুপ। এগুলোর কক্ষপথ পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে। এগুলো আর্থ-ক্রসিং গ্রহাণু (Earth-crossing asteroids) নামেও পরিচিত। ২০৬২ অ্যাটেনের নামে এই জাতীয় গ্রহাণুর গ্রুপটির নামকরণ করা হয়েছে। এটি ১৯৭৬ সালের ৭ জানুয়ারী প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এলেনর হেলিন (Eleanor Helin) এটি পালোমার অবজারভেটরিতে আবিষ্কার করেন। এখনও পর্যন্ত ১৮৪১ টি অ্যাটেন আবিষ্কার করা হয়েছে যার তেরোটির নাম রয়েছে।

    অ্যাটিরা গ্রহাণু (Atira Asteroids)

    এই গ্রহাণুগুলির কক্ষপথগুলি সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অ্যাটেন, অ্যাপোলো এবং আমোর গ্রহাণুর তুলনায়, অ্যাটিরা গ্রহাণুগুলি এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গ্রুপ।

     

     

  • NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা অনেকেই হয়তো উল্কা (meteor), ধূমকেতু (comet) দেখেছেন আর গ্রহাণুর (asteroid) কথা শুনেছেন। অনেকে আবার এগুলোকে একই মনে করেন। এগুলো এক বস্তু নয়। তবে এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে সম্প্রতি এই নিয়ে নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রহাণু

    গ্রহাণুকে ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাস্টেরয়েড (asteroid)। এটি প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু। এগুলো সাধারণত সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের প্রাচীন টুকরো, বেশিরভাগই শিলা দ্বারা গঠিত। এরা সৌরজগতে অবস্থান করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকার মত দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে। আবার এই গ্রহাণুগুলোতে এমন ধাতু থাকতে পারে যা তাদের উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে  কার্বন রয়েছে যার ফলে এগুলোর রঙ কয়লার মত কালো। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রচুর সংখ্যক গ্রহাণু রয়েছে, যারা প্রায় ২ মিটার – ৫৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    ধূমকেতু

    ধূমকেতুর ইংরেজি শব্দ হল কমেট (comet)। এটি সাধারণত ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। প্রতিটি ধূমকেতুর কেন্দ্রে একটি বরফের নিউক্লিয়াস থাকে। যখন ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর বরফের শরীর গরম হয়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করে যা এর নিউক্লিয়াসের চারপাশে কোমা বা লেজ তৈরি করে। এছাড়াও সূর্য থেকে আসা সৌর ঝড়ের ফলে বিস্ফোরণ ঘটায় ধূমকেতুতে লেজের সৃষ্টি হয়। ধূমকেতুর  লেজ থাকে, তাই এরা উল্কার থেকে আলাদা হয়। এই লেজ হল আসলে পাতলা ও ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল। মানুষ বহুকাল থেকেই ধূমকেতু দেখে আসছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। নাসা থেকে বলা হয়েছে মহাকাশে ৩৫৩৫ টির মত ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে সৌরজগতের মধ্যে সম্ভবত কোটি কোটি ধূমকেতু রয়েছে।

    উল্কা

    উল্কা বা Meteoroids আসলে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর খণ্ডাবশেষ। উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন একে উল্কাপাতবলে, যাকে আমরা তারাখসা নামেও জানি। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে, উল্কাগুলি সাধারণত বড় হয়, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, তারা উত্তপ্ত হয়, আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছানো বেশিরভাগ উল্কা ছোট পাথরের আকারের ন্যায় হয়ে থাকে।

     

     

LinkedIn
Share