Tag: Atmanirbhar Bharat

Atmanirbhar Bharat

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুখোই ফাইটার (Su 30 Fighter Jet) জেট রফতানি করবে ভারত। ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (HAL) তৈরি করবে এই সুখোই যুদ্ধবিমান। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থা এবার থেকে সুখোই ৩০ ফাইটার জেট তৈরি করবে এবং বিদেশে রফতানি করবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতার এটি একটি অসাধারণ নিদর্শন। রাশিয়ার এই বিমান পৃথিবীর বহু দেশে বিমান বাহিনীতে ব্যবহার হচ্ছে। ভারতের নিজস্ব ভান্ডারেও ২৫০-র বেশি সুখোই-৩০ ফাইটার জেট রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফাইটার জেট তৈরি নয়, ফাইটার জেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও রফতানি করা হবে।  

    ফাইটার জেট রফতানি করবে ভারত (Su 30 Fighter Jet)

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হ্যালের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে ভারত প্রতিরক্ষা রফতানির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এর আগে ভারত শুধুমাত্র ছোটখাটো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করত। এবার থেকে ভারত বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় (Su 30 Fighter Jet) প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হবে। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতকে আরও মজবুত করবে।

    নাসিকে তৈরি হবে যুদ্ধ বিমান (HAL)

    সূত্রের খবর (HAL) নাসিকে এই ফাইটার জেট তৈরি করা হবে। এর জন্য রাশিয়ার তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। রাশিয়া এই বিমানের আসল নির্মাতা। রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করায় ভারত নিজ দেশেই বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যৌথ উদ্যোগে বিমানগুলি তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তারপরেই দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    ভারত এবং রাশিয়া উভয়পক্ষই যৌথ উদ্যোগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই (Su 30 Fighter Jet) রাশিয়ান বিমান তৈরি করবে। দুই দেশের বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় লড়াকু বিমান তৈরি করার পাশাপাশি তৃতীয় কোনও বন্ধু রাষ্ট্রকেও এই বিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Steel: উদ্যোগ কেন্দ্রের, দেশে উৎপাদিত ইস্পাতে সাঁটানো হচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল

    Indian Steel: উদ্যোগ কেন্দ্রের, দেশে উৎপাদিত ইস্পাতে সাঁটানো হচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্যোগী হয়েছিল স্টিল মন্ত্রক (Indian Steel)। ফলতে শুরু করেছে তার সুফল। ভারতে তৈরি স্টিলের প্রোডাক্টের ৮০ শতাংশেরই ওপর সাঁটানো হচ্ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল। গত বছরের নভেম্বরে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। তার জেরেই তামাম বিশ্বে বিকোচ্ছে মেড ইন ইন্ডিয়ার স্টিল প্রোডাক্ট।

    শুরু হয়েছে ব্র্যান্ডিং(Indian Steel)

    সরকারি এক আধিকারিকের দাবি, ‘স্টিল মন্ত্রক প্রথম এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়। তার পরেই শুরু হয় ব্র্যান্ডিং। সেই প্রচেষ্টার জেরেই প্রথম দফায় দেশে উৎপাদিত ১২৫ মিলিয়ন টন স্টিলের মধ্যে ৮০ মিলিয়ন স্টিলে ব্র্যান্ডিং হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, ভারতীয় স্টিল (Indian Steel) উৎপাদনকারীরা প্রোডাক্টের ক্যাটেগরির ওপর কমন লেবেল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। প্রতিটিতে মেড ইন ইন্ডিয়া লোগো লাগাতে যে সাইজ এবং জায়গা প্রয়োজন, তাও ঠিক করে ফেলেছেন।

    মেড ইন ইন্ডিয়া লেবেল

    সূত্রের খবর, দেশের সব আইএসপি নির্বাচিত কিছু স্টিল প্রোডাক্টের ওপর ব্র্যান্ডিং করতে শুরু করে দিয়েছে। তারা তাদের নয়া প্রোডাক্টে মেড ইন ইন্ডিয়া লেবেল সেঁটে দিচ্ছে। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর থেকে এটা শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে, আরআইএনএল, জেএসপিএল এবং টাটা স্টিল লিমিটেড তাদের একশো শতাংশ প্রোডাক্টেই মেড ইন ইন্ডিয়া লেবেলিং করছে। বাকিরা জুনের মধ্যেই এই কাজ শেষ করে ফেলবে।কী কারণে ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন? সরকারি সূত্রের দাবি, সমস্ত স্টিল প্রোডাক্টের ওপর মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড লেবেল সাঁটানো থাকলে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়বে।

    আর পড়ুন: হরিয়ানা কংগ্রেসে ‘রাম’ধাক্কা, বিজেপিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ, নাতনি

    উৎসাহিত হবেন উৎপাদকরা। তাঁরাও তাঁদের প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিং করতে শুরু করবেন। যার সুফল কুড়োবে ভারতীয় অর্থনীতি। লম্বা দৌড়ে আদতে লাভবান হবে ইন্ডিয়ান স্টিল সেক্টর। তামাম বিশ্বে তার একটা নিজস্ব বাজার তৈরি হবে। জানিয়ে দেবে বিশ্ব বাজারে ভারতের অবস্থানটা ঠিক কোথায়।

    ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই এই স্লোগান দিয়েছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোডাক্টের গায়ে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল সাঁটানো থাকলে ভারত এবং বিশ্বে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া মিশন আত্মনির্ভর ভারতের পরিপূরক হয়ে উঠবে। সূত্রের দাবি, এই কনসেপ্টটি প্রথম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেটাকেই কার্যকর করছে স্টিল মন্ত্রক (Indian Steel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “নয়া সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল”, বললেন আবেগতাড়িত মোদি

    PM Modi: “নয়া সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল”, বললেন আবেগতাড়িত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়া সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল।” মঙ্গলবার নয়া সংসদ ভবন পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়ায় শুরু হয়েছে রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন। তার আগে সংসদের সেন্ট্রাল হলের বিশেষ অনুষ্ঠানে গৌরবোজ্জ্বল সংসদীয় ইতিহাসকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বললেন, “ভারতের নতুন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে মনে করাবে নতুন সংসদ ভবন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথাও।

    আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প

    তিনি বলেন, “ভারতকে পূরণ করতে হবে আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প। আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিতে আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। এক সময় আমাদের আত্মনির্ভর হওয়ার ধারণার সমালোচনা করা হয়েছে। এখন সবাই এর অনুকরণ করছে। ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে আমাদের ত্রুটিশূন্য হতে হবে। নয়া শিক্ষানীতিকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।” এদিনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইতিমধ্যেই ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থব্যবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। এবার দেশ পরিণত হবে তৃতীয় অর্থব্যবস্থায়।” তিনি বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়রা সারা পৃথিবীর ক্রীড়াক্ষেত্রে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছে। আমাদের এখন দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের যুবশক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

    ‘বিচার পেয়েছেন মুসলিম মা-বোনেরা’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ পৃথিবীতে স্কিলড ম্যানপাওয়ারের চাহিদা খুব বেশি। ভারত সারা পৃথিবীর এই চাহিদা পূরণ করবে। এজন্য স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর আমরা সব চেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি।” খানিক আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ ভবনেই বিচার পেয়েছেন মুসলিম মা-বোনেরা। এই ভবনেই ন্যায় পেয়েছেন রূপান্তরকামীরা। মনে রাখার মতো অনেক কিছুই হয়েছে এই ভবনে।”

    তিনি বলেন, “রাজনীতির কথা ভেবে আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আজ সময়ের দাবি এমন ভারত তৈরির যার জ্ঞান, শিক্ষা, আবিষ্কার সারা পৃথিবীতে গুরুত্ব পাবে। সামাজিক ন্যায় আমাদের প্রথম শর্ত। সব মানুষের জন্য সামাজিক ন্যায় জরুরি। রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও সামাজিক ন্যায় জরুরি।”

    আরও পড়ুুন: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

    তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারত নতুন চেতনায় জেগে উঠেছে। অমৃতকালের ২৫ বছরে ভারতকে এখন আরও বড় ক্যানভাসে কাজ করতে হবে। ছোটখাটো বিষয়ে জড়িয়ে পড়ার সময় আমাদের চলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বে আজ ভারতের স্বনির্ভর মডেল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, “গতকাল প্রধানমন্ত্রী নেহরুর ‘স্ট্রিট উইথ ডেস্টিনি’ বক্তৃতাকে স্মরণ করেছেন। এজন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • C V Ananda Bose: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    C V Ananda Bose: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারত’কে আটকানোর চেষ্টা করছে ‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নকে সফল করবে ‘আত্মনির্ভর বাংলা’। কোনওরকম হিংসা, অশান্তি সহ্য করা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই। এদিন উত্তপ্ত রিষড়ায় গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। 

    উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    রবিবার সন্ধ্যায় রিষড়ায় রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি ছড়ায়। ছোড়াছুড়ি হয় ইট-পাথর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে। এই সংঘর্ষে বিজেপির একাধিক কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শাসকদলের দাবি, দিলীপ ঘোষের উস্কানিতে ওইদিন গন্ডগোল শুরু হয়। রামনবমীর দিন শিবপুরের অশান্তি এবং তারপর রিষড়ায় গতরাতের গোলমালের পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। শিলিগুড়িতে জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। কলকাতায় পৌঁছেই রাজভবনে নয়, গাড়ি নিয়ে সোজা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছে গিয়েছে রিষড়ার গণ্ডগোল কবলিত এলাকায়। তিনি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন সেখানকার পরিস্থিতি। রেলগেট চত্বর এবং রিষড়া স্টেশনও পরিদর্শন করেন তিনি। 

    আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

    রিষড়া স্টেশন ঘুরে দেখে সোজা চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই রিষড়ার ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকেই দেখতে যান রাজ্যপাল। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে একজন ভর্তি আছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁর শরীরে আঘাত আছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। দোষীরা অবশ্যই সাজা পাবে।’ তারপরই তিনি আহতকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানান। 

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

    রাজ্যপাল বলেন, “ঘটনার প্রকৃত কার্যকারণ জানতেই আমি এখানে এসেছি। যা বলা হচ্ছে তা কতদূর সত্যি তা দেখতে এসেছি। এবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব, সিদ্ধান্ত নেব। তার পর সলিড অ্যাকশন হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবেন”। এর পরেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেড প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত রোখার চেষ্টা করছে। একই ভাবে আত্মনির্ভর বাংলাও অশুভ শক্তির বিনাশ করবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই। অপরাধীরা গরাদের ভিতরে যাবে।’’ বোসের মতে, ‘‘বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির অপরাধীকরণ চলছে। এ বার তার শেষ হওয়া প্রয়োজন।’’ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সব রকমের পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অশান্তি পীড়িত এলাকায় গিয়ে বোসের বার্তা, ‘‘নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচতে দিন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • Union Budget: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    Union Budget: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের ওপর জোর দিয়ে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৩-২০২৪ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ১২.৯৫ শতাংশ। গতবারের ৫.২৫ লক্ষ কোটি থেকে তা বেড়ে হচ্ছে ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা!যার বড় অংশই ব্যয় হবে দেশে যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের কাজে। 

    কোন খাতে কত বরাদ্দ

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, এবার এই বাড়তি বরাদ্দের ফলে ভারত আগামী দিনে তার সেনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র কিনতে পারবে, কিনতে পারবে নতুন ফাইটার জেট, সাবমেরিন, ট্যাংক ইত্যাদি। অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উৎপাদনে বেসরকারি সংস্থা এবং স্টার্ট আপ সংস্থাকে সহায়তার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সুইডেনের প্রতিরক্ষা সমীক্ষা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামরিক ব্যয়ে আমেরিকা এবং চিনের পরেই ভারতের অবস্থান। এ বারও ভারতের সেই অবস্থান বহাল থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    এবারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের মধ্যে শুধু বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতেই বরাদ্দ হয়েছে ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা।  রেভিনিউ এক্সপেন্ডিচার বাবদ বরাদ্দ হয়েছে ২.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা দফতরের পেনশন দেওয়ার খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছর আর্মড ফোর্সেস মডার্নাইজেশন বাজেটেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানে ১.৫২ লক্ষ কোটি থেকে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ভারত সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় দেশের মাটিতে তৈরি হওয়া অস্ত্রশস্ত্রও কেনা হবে।

    আধুনিক অস্ত্রের চাহিদা

    দেশের নিরাপত্তার খাতিরে নানান ধরনের আধুনিক অস্ত্র কিনতে চায় প্রতিরক্ষা বিভাগ। বায়ুসেনা চায় নতুন ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট। দেশে নির্মিত ফাইটার জেটও কিনতেআগ্রহী বায়ুসেনা। ফ্রান্স থেকে ফাইটার জেট কিনতে চায় নৌসেনা। লাদাখ সীমান্তে চিনের মোকাবিলা করার জন্য  সেনাবাহিনী চায় লাইট ট্যাংক,আর্টিলারি গান-এর মতো আধুনিক অস্ত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share