Tag: Aurangzeb

Aurangzeb

  • Aurangzeb: ‘ভারতের আইকন নন ঔরঙ্গজেব, এমন প্রচারকে প্রতিহত করা দরকার’, বলল আরএসএস

    Aurangzeb: ‘ভারতের আইকন নন ঔরঙ্গজেব, এমন প্রচারকে প্রতিহত করা দরকার’, বলল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি অপসারণের দাবিতে উত্তাল হয়েছে মহারাষ্ট্র। নাগপুরে ছড়িয়েছে হিংসা। এবার বেঙ্গালুরুতে আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় উঠে এল ঔরঙ্গজেব প্রসঙ্গ। আরএসএস (RSS) জানাল, ঔরঙ্গজেব কখনই একজন যোগ্য আইকন নন এবং যাঁরা এ ধরনের বিকৃত তথ্য দিচ্ছেন তাঁদের রোখা উচিত। রবিবারই বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৭ সালে আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু মানসিকভাবে এখনও অনেক কিছুতে ঔপনিবেশিকতার ছাপ রয়ে গেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদেরকে বৌদ্ধিকভাবে স্বাধীন হতে হবে।’’

    প্রসঙ্গ ঔরঙ্গজেব (Aurangzeb)

    আরএসএসের (RSS) দত্তাত্রেয় হোসাবলের মতে, ‘‘যদি কোনও ব্যক্তি এমন একজন আক্রমণকারীর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে চায়, যিনি আমাদের জাতীয় নীতি এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছিলেন, তাহলে তাঁকে আমরা আক্রমণকারী হিসেবেই দেখব। তিনি সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।’’ আরএসএস-এর নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে আরও বলেন, ‘‘ভারতে যাঁরা আক্রমণ করেছিলেন সেই সমস্ত মানসিকতার লোকেরাই ঔরঙ্গজেবকে (Aurangzeb) গৌরবান্বিত করে। কিন্তু কখনও তাঁকে একজন আইকন বলে মানা যায় না।’’

    ঔরঙ্গজেবের ভাইয়ের উদাহরণ দিলেন আরএসএস নেতা (RSS)

    রবিবার বেঙ্গালুরুতে আরএসএস-র প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের দত্তাত্রেয় হোসাবলে আরও বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে (Aurangzeb) নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁরা তাঁর ভাই দারা শিকোহকে কখনও সামনে আনার চেষ্টা করেনি। কিন্তু তিনিই ছিলেন যিনি এই ভারতের নীতি-নৈতিকতাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন।’’ এ প্রসঙ্গে দত্তাত্রেয় হোসাবলে উদাহরণ দেন ভগিনী নিবেদিতার। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের নীতি-নৈতিকতাকে কারা আঁকড়ে ধরবে, সেটা বিদেশি বা স্থানীয় হওয়ার বিষয় নয়! ভগিনী নিবেদিতা তিনি একজন খ্রিস্টান ছিলেন। তিনি এ দেশের নীতি-নৈতিকতাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পুত্ররা শহিদ হয়েছিলেন। কারণ তাঁরা নিপীড়নের কাছে মাথা নত করতে চাননি। আমরা তাঁদের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রেরণা পায়।’’ দত্তাত্রেয় আরও বলেন, ‘‘আমরা বলি যে আমরা সকলেই হিন্দু। এই দেশে জন্মগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই হিন্দু। কারণ তাঁদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু ছিলেন।’’

  • Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি অপসারণ আন্দোলনে উত্তাল নাগপুর। এই আবহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde)। মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান  বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান। যাঁরা এটা করছেন তাঁদেরকে কখনও ক্ষমা করা হবে না। ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন শুধুমাত্র ধ্বংসলীলা চালাতে এবং তাঁকে গৌরবান্বিত করা উচিত নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমাদের বিরোধীদের আমরা দেখছি, তাঁরা এমন ভাবে আচরণ করছেন যেন ঔরঙ্গজেব তাঁদের আত্মীয় হতেন। যাঁরা ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের লজ্জিত হওয়া দরকার।’’

    ঔরঙ্গজেবের সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী (Eknath Shinde) ব্রিটিশ শাসনেরও উদাহরণ দেন নিজের বক্তব্যে। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশরা এই দেশে আক্রমণ করেছিল। এই দেশকে শাসন করেছিল। ব্রিটিশরা ২০০ বছরে ভারত শাসন করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরে এই দেশ থেকে ব্রিটিশদের চিহ্ন মোছার কাজ শুরু হয়। কারণ তা ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতীক। একইভাবে এই দেশের ওপরে যিনি অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন সেই রকমই একজন হলেন ঔরঙ্গজেব। যাঁর সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে গত সোমবার উত্তাল হয় নাগপুর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নামাতে হয় সরকারকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সেই আন্দোলনে পরে ফের একবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ নিয়ে। আগেই এই দুই সংগঠন ঘোষণা করেছিল, ঔরঙ্গজেবের সমাধি হল আসলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং নৃশংসতার প্রতীক। যে কোন মূল্যে এই সমাধি সরাতে হবে।

    নাগপুর হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে বক্তব্য রাখেন শিণ্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, নাগপুরের হিংসা আসলে পূর্ব পরিকল্পিত। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১০০ থেকে ১৫০টি দুই চাকার গাড়ি নাগপুরে প্রতিদিন পার্কিং করা থাকে। কিন্তু সোমবার দেখা যায় যে সেখানে কোনও গাড়ি পার্কিং করা ছিল না। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে সোমবারে যে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে তা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। একইসঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য দু’চার এবং চার চাকার গাড়িগুলিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পাথর ছোড়াও হতে থাকে। শুধু তাই নয়, আশ্চর্যজনকভাবে হাসপাতালকেও টার্গেট বানানো হয়। এই হিংসার হাত থেকে বাদ দেওয়া হয়নি পাঁচ বছরের শিশুকেও। হাসপাতালে দেব-দেবীদের ছবিগুলিকেও জ্বালিয়ে দিয়েছে মৌলবাদীরা। দমকল বাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    টেনে আনেন লাদেনের উদাহরণও

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন ওসামা বিন লাদেনের কথাও। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা। শিণ্ডে (Eknath Shinde) জানিয়েছেন যে লাদেনকে মহিমান্বিত করতে কোথাও তাঁর কবরস্থান তৈরি করেনি আমেরিকা। এরকম সন্ত্রাসীর দেহ সমুদ্রেই ফেলে দেয় তারা।’’ নাগপুর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকেও (ইউবিটি) এক হাত নেন। বিধান পরিষদের সদস্য অনিল পরবের প্রশ্নের জবাবে শিণ্ডে (Eknath Shinde) বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে এত চর্চা চলছে কেন? কেন তাঁকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে! আমাদের দেশের ইতিহাসে উনি একজন নৃশংসতম ব্যক্তি।’’

    সম্ভাজিরাজকে হত্যা করেছিলেন ঔরঙ্গজেব

    একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde) আরও বলেন, ‘‘মুঘল সম্রাট মারাঠা ছত্রপতি রাজা সম্ভাজিরাজেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের সেই প্রস্তাব না মানার জন্য সম্ভাজিরাজেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে মুঘল সম্রাট।’’ এই প্রসঙ্গে একনাথ শিণ্ডে কড়া নিশানা করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকালকে। ঔরঙ্গজেবের শাসন এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের শাসনের তুলনা করেন একনাথ শিণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এখনও পর্যন্ত কি সেই রকমের কোনও অত্যাচার তাঁর বিরোধীদের ওপরে করেছেন? যেটা ঔরঙ্গজেব করতেন, তাঁর শত্রুদের সঙ্গে!’’ কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে বলেন, ‘‘এটা ছিল সেই কংগ্রেস, যারা বছরের পর বছর ধরে ঔরঙ্গজেবের সমাধিকে রক্ষা করে এসেছে।’’ বিরোধীদের ওপরে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে আরও বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনার সদস্য অনিল পরবের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমি ঠিক কী করেছি? আমি যা করেছি প্রকাশ্যে করেছি। আমি যেটা করেছি সেটা শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি। আমি যা করেছি সেটা ঔরঙ্গজেবের প্রতি যাঁরা সহানুভূতি জানায়, তাঁদের হাত থেকে শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি।’’

  • Yogi Adityanath: ‘ঔরঙ্গজেবের আত্মা ভর করেছে কংগ্রেসের ঘাড়ে’, সম্পত্তি কর ইস্যুতে তোপ যোগীর

    Yogi Adityanath: ‘ঔরঙ্গজেবের আত্মা ভর করেছে কংগ্রেসের ঘাড়ে’, সম্পত্তি কর ইস্যুতে তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মুঘল আমল টেনে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। শনিবারই মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও-তে বিজেপির হয়ে নির্বাচনী জনসভা করতে আসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেব হিন্দুদের ওপর যেমন জিজিয়া কর বসিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস একইভাবে হিন্দুদের সম্পত্তির ওপর কর বসাবে।’’

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নিজের ভাষায়, ‘‘ঔরঙ্গজেবের আত্মা কংগ্রেসের ঘাড়ে ভর করেছে। মোগল সম্রাট যেমন অমুসলিমদের উপর জিজিয়া কর বসিয়েছিলেন, কংগ্রেসে তেমনই উত্তরাধিকার কর বসাতে চাইছে।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারতে পাকিস্তানপন্থীদের কোনও স্থান নেই।’’ প্রসঙ্গত চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্যাম পিত্রোদা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বড় অঙ্কের সম্পত্তির ওপর কর বসানোর সওয়াল করেছিলেন। তখন থেকেই এ নিয়ে সরগরম হয় রাজনীতি। বিজেপি অভিযোগ করে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ঠিক এমনটাই হতে চলেছে। ‘‘হিন্দুদের সঞ্চিত সম্পত্তি, সোনাদানা এমনকি মহিলাদের মঙ্গলসূত্রের ওপরেও কর বসাবে কংগ্রেস সরকার’’,- ঠিক এই ভাষাতে সে সময় তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

    মোদির ভাষণেও ঔরঙ্গজেব প্রসঙ্গ

    এর পাশাপাশি সম্প্রতি রাহুল গান্ধী ভারতীয় রাজা-মহারাজাদের খারাপ বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সে নিয়েও তখন ঔরঙ্গজেবের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তিনি বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসের শাহজাদা রাজা-মহারাজাদের খারাপ বলেন, অথচ নিজাম, বাদশা, সুলতানেরা ভারতবাসীর উপরে যে অত্যাচার করেছেন তা নিয়ে শাহজাদার মুখে তালা, কথা বন্ধ। যে ঔরঙ্গজেব ভারতের মন্দির ধ্বংস করেছেন, অপবিত্র করেছেন, তাঁর কথা এক বারও শাহজাদার মনে পড়ে না। যারা ভারতে এসে লুট চালিয়েছে, গোহত্যা করেছে, ভারতের বিভাজনে বড় ভূমিকা নিয়েছে, তাদের মনে পড়ে না। অথচ তিনি শিবাজিকে অপমান করেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishna Janmabhoomi: মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি ভেঙে শাহি ইদগাহ গড়েছিলেন ঔরঙ্গজেব!

    Krishna Janmabhoomi: মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি ভেঙে শাহি ইদগাহ গড়েছিলেন ঔরঙ্গজেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণপনার ঘাট নেই তাঁর! তিনি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krishna Janmabhoomi) ধ্বংস করে তিনি গড়েছিলেন শাহি ইদগাহ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ, সংক্ষেপে আইএসআই। আইএসআইয়ের দাবি, এ ব্যাপারে তারা নির্ভর করেছে ২০২০ সালের ঐতিহাসিক তথ্যের ওপর।

    আরটিআই

    উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীর জনৈক অজয় প্রতাপ সিংহ এ বিষয়ে জানতে আবেদন করেছিলেন আরটিআইয়ে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে মুঘল সম্রাটের কীর্তি! মথুরায় যে কৃষ্ণ জন্মেছিলেন, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরেছিলেন অজয় প্রতাপ। এখন যেখানে কেশবদেবের মন্দির রয়েছে ১৬৭০ সালে সেখানেই গড়ে উঠেছিল শাহি ইদগাহ। ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে এএসআই যে সার্ভে করেছিল, সেই তথ্যই জানতে চেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এই বাসিন্দা। তখনই প্রকাশ্যে আসে মন্দির ধ্বংস করে ইদগাহ গড়ে তোলার কথা।

    সার্ভে রিপোর্ট

    আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে আইএসআই যে তথ্য (Krishna Janmabhoomi) অ্যাটাচ করেছে, তা ১৯২০ সালের সার্ভে রিপোর্ট। যে ৩৯টি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের আমলে, তার মধ্যে কৃষ্ণ জন্মভূমি রয়েছে ৩৭তম স্থানে। ১৯২৪ সালে ইউনাইটেড প্রভিন্সেস গেজেটের ১৯১১ নম্বর পৃষ্ঠায় ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল এ সংক্রান্ত সংবাদ। আবেদনকারী বলেন, তিনি এই তথ্য হাইকোর্টে জমা দেবেন। প্রসঙ্গত, আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি ন্যাসের প্রেসিডেন্টও। মথুরায় কেশবদেবের যে মন্দির রয়েছে, সেটি পাঁচ হাজার বছরের পুরানো। এখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের উত্তরাধিকারী ব্রজ এবং ব্রজনাভ মথুরায় তৈরি করেছিলেন কেশব মন্দির। সেই সময় রাজা ছিলেন পরীক্ষিত। তাঁর সাহায্যে গড়ে তোলা হয়েছিল মন্দির।

    আরও পড়ুুন: আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, গ্রেফতার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী

    জানা গিয়েছে, মুঘল বংশের অত্যাচারী সম্রাট ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে ডিক্রি জারি করে ধ্বংস করেন মথুরায় কেশবদেবের মন্দির। সেই জায়গায় গড়ে তুলেছিলেন শাহি ইদগাহ। হিন্দু মন্দির ভেঙে ইদগাহ তৈরি হওয়ার পর সম্রাট স্বয়ং সেখানে গিয়ে নমাজ আদায় করেছিলেন বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের। মথুরায় বিতর্কিত জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। এর মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির দখলে রয়েছে ১০.৯ একর জমি। বাকিটা রয়েছে শাহি ইদগাদের দখলে। যদিও পুরো জমিটিরই দাবিদার হিন্দু পক্ষ (Krishna Janmabhoomi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Gyanvapi mosque: মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    Gyanvapi mosque: মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির ধ্বংস করেই মসজিদ গড়ে উঠেছিল! সাকি মুস্তাইদ খানের লেখা ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) শাসনের বিবরণ সম্বলিত একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, স্বয়ং মুঘল সম্রাটের নির্দেশেই ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের (kashi Vishwanath temple) একাংশ। বইটিতে দাবি করা হয়েছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য বিধর্মীদের স্কুল ও মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব নিজেই।

    জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিও সমীক্ষার রিপোর্ট চলতি সপ্তাহেই বারাণসী আদালতে জমা করেছেন আদালত-নিযুক্ত বিশেষ সহকারী কমিশনার। মসজিদের বাইরের দেওয়ালে অবস্থিত হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির পুজো করার অনুমতি চেয়ে দায়রা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচ স্থানীয় মহিলা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ভিডিও সমীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত।

    এই প্রেক্ষিতে, কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় যে, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরের (Kashi Viswanath Temple) একাংশ ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) গড়ে তোলা হয়েছে। ঠিক যেমন মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তেমনভাবেই ভিডিও সমীক্ষায় মসজিদের ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি উঠেছে। সোহন লাল আর্য নামে এক হিন্দু শিবলিঙ্গ মেলার দাবি জানাতেই ওজুখানার জলাশয়ে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, জলাশয়ে রয়েছে পুরানো একটি ফোয়ারা।

    বৃহস্পতিবার মসজিদ চত্বরে শেষনাগের ফনাওলা পাথরের ভাস্কর্যও মিলেছে বলে দাবি করেন আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রে। এই অজয় কুমার ছিলেন অ্যাডভোকেট কমিশনার। তথ্য প্রকাশ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    এমন আবহেই প্রকাশ্যে এল একটি ইতিহাস বই। ফরাসি ভাষায় লেখা “মসীর-ই-আলমগিরি” বইটির লেখক সাকি মুস্তাইদ খান। ব্রিটিশ আমলে বইটির অনুবাদ করেছিলেন ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার। এই বইতেই মন্দির ধ্বংসের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

    বইটি লেখা হয়েছিল দুটি অংশে। একটি অংশ ঔরঙ্গজেব জীবিত থাকাকালীন। আর বাকি অংশটি লেখা হয়েছিল সম্রাটের মৃত্যুর পর। বইয়ে দাবি করা হয়েছে, ১৬৬৯ সালের ৪ এপ্রিল সম্রাট বেনারসে (বর্তমানে বারাণসী) গিয়ে “অবিশ্বাসীদের” শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারেন। তার পরেই মন্দির ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বইটির একাংশ তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “বিশ্বাসের পালনকর্তা জানতে পারলেন যে, তেট্টা, মুলতান প্রদেশে এবং বিশেষ করে বেনারসে ব্রাহ্মণ অবিশ্বাসীরা তাদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে তাদের মিথ্যা বই পড়াতেন এবং হিন্দু-মুসলিম উভয়ের ভক্ত ও ছাত্ররা দূরদুরান্ত থেকে এখানে আসতেন। বিপথগামী পুরুষরা এই জঘন্য শিক্ষা অর্জনের জন্য আসতেন।”

    বইয়ে আরও লেখা হয়েছে, “ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য উন্মুখ সম্রাট সমস্ত প্রদেশের গভর্নরকে আদেশ দেন বিধর্মীদের স্কুল ও মন্দির ভেঙে ফেলার এবং একইসঙ্গে এই অবিশ্বাসীদের ধর্মের শিক্ষা ও বিশ্বাসকে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে নিঃশেষ করার জন্য।”  

    আরও পড়ুন : ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

     

LinkedIn
Share