Tag: Aurora Indian Ocean

Aurora Indian Ocean

  • Tavasya: ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট কমাতে সক্রিয় ভারত, নৌসেনার হাতে আসছে ‘ভীমের গদা’

    Tavasya: ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট কমাতে সক্রিয় ভারত, নৌসেনার হাতে আসছে ‘ভীমের গদা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরীয় (Indian Navy) এলাকায় চিনের দাদাগিরি বন্ধ করতে সদা সক্রিয় রয়েছে ভারত। সেই লক্ষ্যে ভারতের নৌবাহিনী গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি (GSL) ‘তবস্যা’ (Tavasya) নামক দ্বিতীয় স্টেলথ ফ্রিগেটটি উদ্বোধন করল। এটি প্রজেক্ট ১১৩৫.৬ (ইয়ার্ড ১২৫৯)-এর আওতায় নির্মিত। তবস্যা ভারতের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে আত্মনির্ভরতার এক বড় পদক্ষেপ। ভারতীয় নৌ-সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

    তবস্যা-র ক্ষমতা

    ৩,৮০০ টনেরও বেশি ডিপ্লেসমেন্টের একটি জটিল এবং অস্ত্র-বহুল ফ্রিগেট হল ‘তবস্যা’ (Tavasya)। এটি নানা ধরণের আক্রমণাত্মক ও রক্ষামূলক অপারেশন চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যা ভারতকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তার কৌশলগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে। এই স্টেলথ বৈশিষ্ট্যসহ উন্নত প্রযুক্তির, উচ্চ-সহনশীল ক্ষমতা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কমব্যাট সিস্টেমে সজ্জিত ‘তবস্যা’ ভারতের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ প্রতিরক্ষায় জোর

    ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে জোর দিয়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ বলেন, “তবস্যার উদ্বোধন শুধুমাত্র ভারতের নৌবাহিনীর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নয়, এটি ভারতের কৌশলগত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেবে।” প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায়, ভারত সম্প্রতি যুদ্ধ জাহাজ রফতানিও করছে। এক্ষেত্রে গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।

    তবস্যা-র গুরুত্ব

    প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডবের দ্বিতীয় ভীমসেনের গদার নামানুসারে জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘তবস্যা’ (Tavasya), যা ভারতীয় নৌবাহিনীর অদম্য মনোবল এবং ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রতীক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মধ্যে দুটি প্রজেক্ট ১১৩৫.৬ ফলো-অন ফ্রিগেট নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারিতে। প্রথম জাহাজ, ‘ট্রিপুট’, ২০২৪-এর ২৩ জুলাইতে উদ্বোধন করা হয়। ‘ত্রিপুট’ এবং ‘তবস্যা’ উভয়ই বহুমুখী অভিযানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারফেস, সাব-সারফেস এবং এয়ার কমব্যাট। জাহাজগুলি ১২৪.৮ মিটার লম্বা, ১৫.২ মিটার চওড়া এবং প্রায় ৩,৬০০ টন ওজনের। তারা সর্বোচ্চ ২৮ নট গতি অর্জন করতে সক্ষম। উভয় ফ্রিগেটেই বিপুল সংখ্যক দেশীয় সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং সেন্সর রয়েছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। উন্নত স্টিলথ বৈশিষ্ট্য, অস্ত্রশস্ত্র, সেন্সর এবং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সজ্জিত, এই জাহাজগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত।

  • Aurora: অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা! স্পেস স্টেশনের ক্যামেরায় বন্দি সেই দৃশ্য

    Aurora: অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা! স্পেস স্টেশনের ক্যামেরায় বন্দি সেই দৃশ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রতিনিয়ত কতই না মহাজাগতিক ঘটনা চলেছে, যার প্রভাব আমরা পৃথিবীর ওপরেও দেখতে পাই। সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই সৌর ঝড় (Solar Storm) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, আর তার ফলে সৃষ্টি হয় অরোরা বা মেরুপ্রভা (Aurora)। এই মেরুপ্রভার একটি চোখধাঁধানো ভিডিও ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার (ISS) থেকে সম্প্রতি শেয়ার করা হয়েছে, যা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    মহাকাশ স্টেশনটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে অরোরা গঠনের বিস্ময়কর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেছে। আইএসএস থেকে জানানো হয়েছে, আইএসএস ভারত মহাসাগরের উপরে ছিল এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে কোরাল সাগরের দিকে যাওয়ার সময় এই মেরুপ্রভার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (SWPC) অনুসারে, ৪ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে সৌর ঝড়। জি-২ ক্লাসের সৌর ঝড় পৃথিবীতে আঘাত করার ফলেই এই মেরুপ্রভার সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঝড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ সহ কিছু অঞ্চলে একটি অরোরা তৈরি করেছিল।

    কী এই অরোরা বা মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি?

    সৌরঝড়ের ফলে প্লাজমা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি পৃথিবীতে এসে পৌঁছলে এগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। সেই কারণেই অণু-পরমাণুর সংঘর্ষে উজ্জ্বল আলোকবৃত্ত তৈরি হয়। বেশিরভাগ আরোরাতেই সবুজ ও গোলাপী রঙ দেখা যায়। কখনও নজরে পড়ে নীল, লাল বা বেগুনী রঙও। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, অরোরা শুধুমাত্র রাতে দেখা যায় এবং সাধারণত শুধুমাত্র নিম্ন মেরু অঞ্চলে দেখা যায়। সাধারণত কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিনল্যান্ড, রাশিয়া, আন্টার্টিকায় এই রঙের খেলা দেখা যায়। উত্তর অক্ষাংশে এটি অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস বা সুমেরুজ্যোতি নামে পরিচিত। আর দক্ষিণে এর নাম অরোরা অস্ট্রালিস বা সাউদার্ন লাইটস বা কুমেরুজ্যোতি।  

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

LinkedIn
Share