Tag: Ayodhya Ram Mandir

Ayodhya Ram Mandir

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

  • Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    Ayodhya Ram Mandir: আজ প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি, পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হল রামলালার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ramlala Pran Pratishtha) প্রথম বর্ষ পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পৌষ মাসের শুক্ল দ্বাদশীতে হয়েছিল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha)। যাকে কুর্ম দ্বাদশীও বলে। সেই তিথি পড়েছে আজ, শনিবার। এদিন দুধ, দই, ঘি, মধু সহকারে পঞ্চামৃত অভিষেক সম্পন্ন হয় রামলালার। এরপর গঙ্গাজলে রামের মূর্তিকে স্নান করানো হয়। জানা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৫ হাজার ভক্তকে রাম-কথা শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামলালার বর্ষপূর্তি (Ramlala Pran Pratishtha) উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সবাইকে শুভকামনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগ, তপস্যা ও লড়াইয়ের পর এই মন্দির আমাদের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার দিকটিই তুলে ধরে।’’‌

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ 

    সকাল থেকেই বৈদিক রীতি মেনে চলছে পুজো-পাঠ। ৬ লক্ষ বার শ্রীরামের মন্ত্রোচ্চারণ হবে এদিন। একইসঙ্গে পাঠ করা হবে রামরক্ষা স্তোত্র ও হনুমান চালিশা। শনিবার মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) একতলায় দুপুর ৩-৫টা পর্যন্ত চলবে রাগসেবা। এরপর ৬টা থেকে শুরু হবে ভজন-কীর্তন অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রামলালার (Ramlala) জন্য ৫৬ রকমের ভোগ তৈরি করা হয়েছে। রামলালার পুজো সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৫০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে অযোধ্যাকে (Ayodhya)

    প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আরও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir)। এদিনই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেছেন অযোধ্যায়। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। এত ভক্তের ভিড় সামাল দিতে পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। ৫০ কুইন্টাল ফুলদিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা রাম মন্দিরকে (Ramlala Pran Pratishtha)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, বছরের পয়লা দিনে ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir)। এবার সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি পালিত হবে ১১ জানুয়ারি, ঘোষণা ট্রাস্টের

    Ayodhya Ram Mandir: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষপূর্তি পালিত হবে ১১ জানুয়ারি, ঘোষণা ট্রাস্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় প্রভু রামলালার (Ayodhya Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Prana Pratishtha Anniversary) প্রথম বর্ষপূর্তি পালিত হবে ধুমধাম করেই। হিন্দু গণনা পদ্ধতিতে বা ক্যালেন্ডার মতে, কুর্ম দ্বাদশীর দিনেই পড়েছে ওই শুভ মুহূর্ত। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি রামলালার প্রথম প্রাণ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এখন এই বিরাট আয়োজন এবং উৎসবকে পালন করতে অযোধ্যা নগরী আবার সেজে উঠবে। এই ঘোষণার পরই দেশ জুড়ে রামভক্তদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    প্রভু রামলালার ৫১ ইঞ্চি মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল (Ayodhya Ram Mandir)

    রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট ঘোষণা করে বলেছে, “প্রভু রামলালার (Ayodhya Ram Mandir) ৫১ ইঞ্চি মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বার্ষিকী (Prana Pratishtha Anniversary) পালিত হবে আগামী বছরের ১১ জানিয়ারি। পৌষ শুক্ল দ্বাদশী (কুর্ম দ্বাদশী) হিসেবে পালন করা হবে। হিন্দু ঐতিহ্য, আচার এবং পরম্পরা মতে এই দিনটি পালিত হবে।” উল্লেখ্য এদিন অযোধ্যার মণি রাম দাস সেনানিবাসে ট্রাস্টের একটি বিশেষ বৈঠক থেকে এই ঘোষণা করা হয়।

    প্রত্যকে রামভক্তের কাছে দিনটি স্মরণীয়

    উল্লেখ্য গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রভু শ্রী রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর মন্দির ভক্ত এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই সময়ও শুভ মুহূর্ত চয়ন করা হয়েছিল ভারতীয় গণনা পদ্ধতি এবং হিন্দু শাস্ত্রের বিধি-বিধান অনুসারেই। ট্রাস্টের (Ayodhya Ram Mandir) সাধারণ সম্পাদক, চম্পত রাই বলেছেন, “ভারতীয় পঞ্জিকা এবং হিন্দু রীতির উপর নির্ভর করে সব দিক বিবেচনা করে সামঞ্জস্য রেখে এবং বিস্তৃত আলোচনা করে এই দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রথম বর্ষ (Prana Pratishtha Anniversary) পালন করা হবে। প্রাচীন ঐতিহ্যকে সম্মান এবং আমাদের সংস্কৃতির শিকড়ের সঙ্গে ভক্তদের সংযুক্ত করবে এই উদযাপন কর্মকাণ্ড। আমরা চাই প্রত্যকে রামভক্তের কাছে দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকুক।” উল্লেখ্য, বৈঠক সম্পন্ন হয় রামমন্দিরের মহন্ত নিত্য গোপাল দাসের সভাপতিত্বে। মন্দিরের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ভারত সরকারের বিশেষ সচিব প্রকাশ লোখান্ডেও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

    তীর্থযাত্রীদের স্থায়ী সুবিধা

    রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) দর্শন করতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসছেন। ভক্তদের দর্শনকে আরও নিরাপদ এবং সুন্দর করতে ৯ মিটার চওড়া এবং ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্য স্থায়ী আচ্ছাদন নির্মাণ করা হবে। সারা বছরের রোদ, তাপ, ঝড় এবং বৃষ্টির মতো দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করবে। এই নির্মাণটি উত্তর প্রদেশের স্টেট কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন এবং লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল অ্যান্ড টি) দ্বারা পরিচালিত হবে। সম্প্রতি, মন্দিরের দক্ষিণ কোণে একটি বড় অডিটোরিয়াম, গেস্ট হাউস ও ট্রাস্টেের নতুন দফতরের উদ্বোধন করেন প্রধান পুরোহিত মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস।

    আরও পড়ুনঃ রান্নার গ্যাস থেকে ক্রেডিট কার্ড, ১ ডিসেম্বর থেকে একাধিক নিয়মে বদল, আগে জেনে নিন

    স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র

    মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ৩০০০ বর্গ মিটার জুড়ে একটি অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্র আলট্রাসাউন্ড পরিষেবা সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত করা থাকবে। স্থানীয় জনতা এবং দেশ-বিদেশ থেকে আগত তীর্থ যাত্রীরা সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে সপ্ত মন্ডল মন্দির (Ayodhya Ram Mandir), মন্দির কমপ্লেক্সের একটি মূল উপাদান। এটি মার্চ ২০২৫ সালের মধ্যে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    পণ্ডিতদের প্রশিক্ষণ

    রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) পণ্ডিতদের জন্য একটি ছয়মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তাও সম্প্রতি শেষ হয়েছে। বৈদিক আচার, বিধি-বিধান মতে কিভাবে কাজ করা হবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পণ্ডিতদের। নিযুক্ত পণ্ডিতদের সকলকে রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ কারানো হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    Ayodhya Ram Mandir: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী, রাম বনবাসের পরে দীপাবলির সময়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। ২০১৫ থেকে সেই দীপাবলির আগের দিন অযোধ্যায় দীপোৎসব শুরু হয়েছে। চলতি বছর এই উৎসব ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সেখানে দীপোৎসবের আয়োজন চলছে। এই উৎসবে স্থানীয় কারিগরদের উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ নীতি মেনে অযোধ্যা মন্দিরে সব রকম চিনা পণ্য (Chinese Lights in Diwali) নিষিদ্ধ করেছে শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। জ্বলবে শুধু মাটির প্রদীপ।

    চিনা পণ্য নয়

    রামমন্দির উদ্বোধনের পর প্রথমবার সেখানে দীপাবলি উদযাপন হচ্ছে। আয়োজনে কোনওরকম খামতি রাখতে রাজি নয় মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, এবছর দীপাবলি উদযাপনে শ্রীরামের জন্মভূমি ক্ষেত্র অযোধ্যা, মন্দির চত্বরে একেবারে নিষিদ্ধ চাইনিজ লাইট-সহ (Chinese Lights in Diwali) যে কোনও চিনা সামগ্রীর ব্যবহার। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট দীপাবলির সময় চিনা সামগ্রীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, স্থানীয় কারিগরদের উৎসাহ দিতে এবং ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এগিয়ে যেতে চায় অযোধ্যা।

    রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) চিনা সাজসজ্জার সামগ্রী ব্যবহার না করা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, অযোধ্যার কমিশনার গৌরব দয়াল বলেন, “শুধুমাত্র স্থানীয় কারিগরদের তৈরি স্থানীয় সামগ্রী ব্যবহার করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। মানুষের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। তবে মন্দির চত্বরের বাইরে গোটা শহরে চিনা উপাদান ব্যবহার না করার কোনও নির্দেশ নেই। এটি তাঁদের উপর নির্ভর করবে। আমরা মানুষকে জোর করতে পারি না।”

    প্রধানমন্ত্রীর শুভ-কামনা

    ইতিমধ্যেই দীপাবলি উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভ কামনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই বছরের দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। কারণ, ৫০০ বছর পর এই প্রথম ভগবান রাম অযোধ্যায় নিজের মন্দিরে দীপাবলি পালন করবেন। আমরাও তাঁর বিশালাকার মন্দিরে এই প্রথম শ্রীরামের সঙ্গে উৎসব পালন করব। এই মহান ও বিশাল দীপাবলির সাক্ষী হতে পারার মতো মুষ্টিমেয় সৌভাগ্যবান আমরা।” দীপাবলিতে মূল মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) পাশাপাশি পুরো চত্বর-সহ মূল সড়ক সর্বত্র সেজে উঠবে মাটির প্রদীপে। দীপাবলি উপলক্ষে রামলালার মূর্তি এবং লক্ষ্মণের মূর্তিকে পরানো হবে নতুন ডিজাইনার পোশাক। পোশাক ডিজাইন করবেন বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, রাম মন্দিরের পুরোহিতদের পোশাকের রং গেরুয়া থেকে হলুদ 

    Ayodhya Ram Mandir: নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, রাম মন্দিরের পুরোহিতদের পোশাকের রং গেরুয়া থেকে হলুদ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) পুরোহিতদের জন্য একগুচ্ছ নতুন নিয়ম আনল মন্দির কর্তৃপক্ষ। এত দিন মন্দিরের পুরোহিতেরা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। এ বার তাঁদের পরতে হবে হলুদ রঙের পোশাক। তবে কেবল রঙেই নয়, বদল আসছে পোশাকের ধরনেও। বুধবার পোশাকবিধি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এখন থেকে রাম মন্দিরের পুরোহিতরা আর গর্ভগৃহে স্মার্টফোন নিয়ে যেতে পারবেন না।

    কেন নয়া পোশাক বিধি (Ayodhya Ram Mandir) 

    রাম মন্দির সূত্রে খবর, পুরোহিতদের মধ্যে যাতে অভিন্নতা বজায় থাকে এবং মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) চত্বরে উপস্থিত অন্যান্যদের থেকে তাদের আলাদাভাবে চেনা যায়, তার জন্যই এই নয়া সিদ্ধান্ত। রাম মন্দিরের সহকারী পুরোহিত, সন্তোষ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, প্রধান পুরোহিত, চার সহকারী পুরোহিত এবং ২০ জন শিক্ষানবিশ পুরোহিত-সহ রাম মন্দিরের সকল পুরোহিতদেরই এখন থেকে মাথার বাঁধতে হবে হলুদ রঙের সাফা, পরতে হবে হলুদ রঙের চৌবন্দি এবং ধুতি। এর আগে, মন্দিরের অধিকাংশ পুরোহিতই গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। সন্তোষ কুমার তিওয়ারি বলেন, “কয়েকজন পুরোহিত এর আগেও হলুদ পোশাক পরে আসতেন, তবে এটা বাধ্যতামূলক ছিল না।” তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম অনুসারে পুরোহিতদের এমন পোশাক পরা উচিত, যা, প্রথমে মাথা গলাতে হয় এবং তারপর হাত গলাতে হয়। এই রীতি মেনেই নতুন পোশাক বিধি জারি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ীরা, আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বিরাট-রোহিতদের

    মন্দিরের ভিতরে ফোন নিষিদ্ধ (Ayodhya Ram Mandir) 

    এতদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) কেবল মাত্র পুরোহিতরাই স্মার্ট ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু এবার তাঁরাও সেটা করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে ৫ ঘণ্টার শিফটে কাজ করবেন সেখানকার কর্মীরা। এমনই জানানো হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। মন্দির কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ফোন নিয়ে মন্দির চত্বরে ঢুকতে পারবেন না কোনও পুরোহিত। সম্প্রতি মন্দিরের ভিতরের কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ‘ফাঁস’ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই ফোন নিয়ে কড়াকড়ির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুরোহিতদের কাজ শুরু হবে ভোর সাড়ে ৩টেয়। শেষ হবে রাত ১১টায়। পুরোহিতদের এক একটি দলকে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা মন্দিরের কাজে নিযুক্ত থাকতে হবে, বলে জানিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: তাপপ্রবাহের জের, রামলালার পোশাক ও ডায়েটে আসল বিশেষ বদল

    Ayodhya Ram Mandir: তাপপ্রবাহের জের, রামলালার পোশাক ও ডায়েটে আসল বিশেষ বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষা প্রবেশ করলেও উত্তরপ্রদেশে তাপপ্রবাহ চলছে। তীব্র গরমে কষ্ট হচ্ছে রাম লালার (Ram Lala) । তাই প্রভুর জন্য বসল কুলারের পরিবর্তে এয়ার কন্ডিশন মেশিন। এই গরমে প্রভুকে সুস্থ রাখতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাম মন্দির (Ayodhya ram Mandir) কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রভুর দৈনন্দিন কার্যকলাপ এবং খাবারে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

    রাম লালাকে পরানো হচ্ছে সুতির পোশাক 

    প্রভু এই (Ayodhya ram Mandir)  মন্দিরে বিরাজ করছেন পাঁচ বছরের বালক রূপে। রাম লালার যাতে এই গরমে কষ্ট না হয় সেই কারণে সুতির পোশাক পরানো হচ্ছে। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের কারিগররা সুতি ও মলমলের পোশাক তৈরি করেছেন প্রভুর জন্য। চলতি বছর অন্ধ্রপ্রদেশের কলামকারি, পশ্চিমবঙ্গের জামদানি সুতি, ওড়িশার সম্বলপুরি পোশাক পড়েছেন প্রভু (Ram Lala) । তাঁকে গরমে ঠান্ডা রাখতে ফুলের অঙ্গরাগ করা হচ্ছে। প্রথমে এয়ার কুলার বসানো হলেও এবার গর্ভবৃহে বসানো হয় এয়ার কন্ডিশন। রাম লালাকে গরমে স্বস্তি দিতে তাঁর খাদ্যাভ্যাসও বদলানো হয়েছে রামলালাকে এখন ভোগে দেওয়া হচ্ছে দই, লসসি, ফলের রস। থাকছে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য তরমুজ, শসা, আম, লেবু ও নানা মরসুমী ফল। আরতির শিখার তাপে যাতে প্রভুর গরম না লাগে সেই কারণে শিখার প্রদীপের তেজ কম রাখা হচ্ছে।

    ভক্তদের জন্য ব্যবস্থা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ 

    প্রভুর তীব্র তাপপ্রবাহে কষ্ট হলেও রামলালাকে দর্শন করতে এখনও হাজার হাজার ভক্ত আসছেন প্রতিদিন।ভারতবর্ষের নানান প্রান্ত থেকে ছাতা মাথায় ছুটে আসছেন তাঁরা। মন্দির কর্তৃপক্ষের (Ayodhya ram Mandir)  তরফ থেকে ভক্তদের জন্যও রয়েছে বিশেষ আয়োজন। গরম থেকে বাঁচতে মন্দিরের নানান প্রান্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাঁদের বীরত্ব ও দাপটের সামনে হার মানে আফগান বাহিনীও, জানুন নাগা সাধুদের ইতিহাস

    প্রসঙ্গত ৮ জুন অব্দি ‘নৌতপা’ চলবে। প্রতিবছর গ্রীষ্মের জ্যেষ্ঠ মাসে নটি দিন তীব্র গরম থাকে। এবার সেই নৌতপা ২৫ মে শুরু হয়েছিল। শেষ ছয়দিন সবচেয়ে বেশি গরম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর জন্যই প্রভুর (Ram Lala) উপর বিশেষ ধ্যান রাখছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ayodhya Ram Mandir: উদ্বোধনের ৫ মাসের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত, রাম মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না মোবাইল নিয়ে

    Ayodhya Ram Mandir: উদ্বোধনের ৫ মাসের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত, রাম মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না মোবাইল নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই সেখানে ভক্তদের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে জারি করা হল নিয়মবিধিও। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ও অযোধ্যা প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাম মন্দিরে মোবাইল নিয়ে কোনওভাবেই প্রবেশ করা যাবে না। অর্থাৎ উদ্বোধনের ৫ মাসের মাথায় রাম মন্দির চত্বরে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হল মোবাইল ফোনের ব্যবহার।

    কী জানাল তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট?

    প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভক্তদের সুবিধা ও মন্দিরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Ayodhya Ram Mandir) সদস্য অনিল মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রত্যেকজনকেই এমন নিয়ম মেনে চলতে হবে। জানা গিয়েছে, মন্দির চত্বরে যে ক্লোক রুম রয়েছে সেখানেই মূল্যবান জিনিসপত্রের সঙ্গে মোবাইল ফোন জমা রেখে ঢুকতে হবে ভক্তদের। রামলালা দর্শনের পরে তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নিজেদের মোবাইল ফোন নিয়ে নিতে পারবেন।

    মন্দির সম্পূর্ণ হলে একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেন ২৫ হাজার ভক্ত

    অন্যদিকে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) বাকি অংশের নির্মাণ কাজ এখনও চলছে। মন্দির চত্বর জুড়ে প্রায় ১৪ ফুটের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। আগেই জানানো হয়েছিল, রাম মন্দির চত্বরে আরও ছোট ছয়টি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এগুলিতে শিব থেকে হনুমানজি প্রতিষ্ঠিত হবেন। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণভাবে রাম মন্দির নির্মাণ হয়ে গেলে একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেন প্রায় ২৫ হাজার ভক্ত। রাম মন্দির তিন তলা বিশিষ্ট হতে চলেছে একথা আগেই জানিয়েছিলেন রাম মন্দিরের তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ ও ৪৪টি দরজা থাকবে। এর পাশাপাশি থাকবে পাঁচটি মন্ডপ। এগুলি হল, নৃত্য মন্ডপ, সভা মন্ডপ, রঙ্গ মন্ডপ, প্রার্থনা মন্ডপ ও কীর্তন মন্ডপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দেশবাসীর মঙ্গলে পুজো, করলেন সন্ধ্যারতি, অযোধ্যায় রামলালা দর্শনে মোদি

    PM Modi: দেশবাসীর মঙ্গলে পুজো, করলেন সন্ধ্যারতি, অযোধ্যায় রামলালা দর্শনে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। প্রচার তথা দেশ গঠনের কাজে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তারই মধ্যে রবিবার ফের মন্দির নগরী অযোধ্যায় পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর এই প্রথম রাম মন্দিরে গিয়ে ভগবান রামের নিষ্ঠাভরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রামলালার (Ayodhya Ram Mandir) বিগ্রহকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১৪০ কোটি দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করলেন তিনি। 

    রামলালার কাছে প্রার্থনা

    গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাত ধরেই শুভ উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের। বর্ণাঢ্য এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের পর রবিবার আবার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) যান প্রধানমন্ত্রী। প্রদীপের শিখায়, পদ্ম ফুলে ভক্তিভরে এদিন মোদি পুজো দিলেন সবার মঙ্গল কামনা করে। মন্দিরে পুজো দিয়ে গর্ভগৃহে সন্ধ্যারতি করেন তিনি। তার পর সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন। ঘুরে দেখেন মন্দির চত্বরও। এদিন তাঁকে স্বাগত জানাতে আলোয়-আলোয়, ফুলে-ফুলে সেজে উঠেছিল অযোধ্যা।

    প্রধানমন্ত্রীর রোড শো

    ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করার পর রবিবার সন্ধ্যায় অযোধ্যায় যান মোদি (PM Modi)। প্রথমেই যান রামমন্দিরে। পুজো দেওয়ার পর অযোধ্যার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে দু’কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রোড-শো করেন তিনি। মোদির রোড-শো শুরু হয় অযোধ্যায় সুগ্রীব ফোর্ট এলাকায়। শেষ হয় লতা চকে। মোদির সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। প্রধানমন্ত্রীকে চোখের সামনে এক ঝলক দেখার জন্য এদিন মন্দির নগরী অযোধ্যায় রাস্তার দু’পাশে উপচে পড়েছিল অগুণতি মানুষের ভিড়। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় অযোধ্যা লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক বিজ্ঞান ও ধর্মের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আশ্চর্য রীতির সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া। রামলালার কপালে সূর্য রশ্মি এঁকে দিল তিলক। রামলালার ললাটের সূর্য তিলকের ছবি দেখল গোটা দুনিয়া। খবর মিলেছে, প্রতি রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দুপুরেই সূর্যরশির এমন তিলক আঁকা হবে রামলালার কপালে। তবে প্রতি বছর যেহেতু রাম নবমী আলাদা আলাদা দিনে পড়ে তাই সে ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান জানতে চলবে গণনা। সেই অনুযায়ী বসানো হবে আয়নাকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য রশ্মিকে রামলালার কপালে প্রতিফলিত করার যে পদ্ধতি, তা খুব সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, এই দিনই ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রথম রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন। উদ্বোধনের পর থেকে আজকের এই বিশেষ দিনে অযোধ্যায় নজর ছিল গোটা বিশ্ববাসীর। আর সেদিনই এমন সূর্য তিলক অনুষ্ঠান দেখা গেল।

    দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়

    রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়। পাঁচ মিনিট ধরে চলে এই অনুষ্ঠান। আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছেন। তারই মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় (Ram Navami 2024)। এজন্য মন্দিরের ওপরের তলায় স্থাপন করা হয়েছে যন্ত্রটি। প্রথমে সূর্য রশ্মি আয়নায় পড়ে, পরবর্তীতে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রতিফলিত হয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে রামলালার কপালে এসে পড়ে। রামলালার কপালে যে সূর্যরশ্মির তিলক আঁকা হয় তার দৈর্ঘ্য ৭৫ মিলিমিটার।

    একশোর ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়

    এমনিতেই রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে সারা অযোধ্যায় আজকে জনজোয়ার। তারপরে সূর্য তিলকের মাহাত্ম্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকেও প্রচুর ভক্ত ভিড় করেন। একশোর  ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়। সেখানে অনেক ভক্ত জড়ো হয়ে এই অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। প্রসঙ্গত ভগবান রামচন্দ্র সূর্যবংশের জন্ম নেন বলে বিশ্বাস রয়েছে হিন্দুদের। শঙ্খের আওয়াজ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, আরতির মাধ্যমে সূর্য তিলকের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    Ram Navami 2024: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫০০ বছরের অপেক্ষার পর ঘরে ফিরেছেন রামলালা। পাঁচ বছরের বালক রূপে অযোধ্যায় নতুন মন্দিরে অধিষ্ঠিত তিনি। তাঁর জন্মেৎসব রাম নবমীতে তাই জন জোয়ার অযোধ্যায়। ভোর সাড়ে তিনটে থেকে খোলা মন্দিরের দরজা। মন্দির চত্বর জুড়ে চলছে ভগবান রামের মন্ত্র ও স্তুতির জপ। রাম নবমীর পূণ্যতিথি উপলক্ষ্যে রামলালার মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফুল-মালা ও আলোয়। গোটা মন্দিরে ধ্বনিত হচ্ছে বৈদিক মন্ত্র। 

    রাম নবমী উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি

    রাম নবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, রাম নবমীর দিন মঙ্গল আরতির পর ভোর সাড়ে তিনটে থেকে মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছে। রামলালার শুদ্ধিকরণ, অলঙ্করণ ও দর্শন চলছে। রাত ১১টা পর্যন্ত দেখা যাবে রামলালাকে। অর্থাৎ ১৯ ঘণ্টা মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে রামলালার দর্শনের জন্য। রামলালাকে  খাবারের নিবেদনের সময় মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য পর্দা বন্ধ থাকবে। এরপরে, ভক্তরা আবার রামলালার দর্শন করতে পারবেন। এদিন রামলালার দর্শনের জন্য একটাই পথ করা হয়েছে, সবাইকে এই একই পথ দিয়ে যেতে হবে। সব ধরনের বিশেষ পাস, দর্শন-আরতি ইত্যাদির জন্য বুকিংয়ের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে। রাম-রাজ্যে আজ সবাই সমান।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। সমস্ত রকম ভারী যানবাহন, অযোধ্যা শহরে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট টিভি ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভক্তদের সুবিধার্থে জায়গায় জায়গায় বিশুদ্ধ পানীয় জল ও অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

    রামলালার পুজো

    এদিন পুজোর শুভক্ষণ শুরু হবে বেলা ১২টা ১৬ মিনিটে। সেই সময় সূর্য রশ্মির ছটায় আলোকিত রামলালার বিগ্রহের মুখমন্ডল এক ঐতিহাসিক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। মন্দিরের গর্ভগৃহে সকাল বেলায় দুধ-ঘি সহযোগে এখনই চলছে দিব্য অভিষেক পর্ব। রামলালাকে স্নান করানো হয়েছে। এরপর রামলালাকে নিবেদন করা হবে ৫৬ ভোগ। তারপর তা’ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: “মঙ্গল ভবন অমঙ্গল হারি”-অধর্মকে দূরে সরিয়ে ধর্মের স্থাপনাই হল রাম নবমী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share