Tag: Ayurveda

Ayurveda

  • Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে থাকা ফড়িয়াপুকুর স্ট্রিটের ২৯ নম্বর বাড়িটায় হঠাৎই শুরু হল মেরামতির কাজ। করা হল চুনকাম। ভ্যানে করে আসতে লাগল টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ। ব্যাপার কী? গুঞ্জন উঠল সেখানে নাকি মেডিক্যাল কলেজ খুলবেন কোনো এক বদ্যিমশাই। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে গেল সেই কলেজ। আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে শুরু হল বিনামূল্যে চিকিৎসাও। দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে স্বয়ং সেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাই রোজ হাজির হতেন সেখানে। সালটা ১৯১৬, ফড়িয়াপুকুরে গড়ে উঠেছিল ‘অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতাল’। ভারত তো বটেই, গোটা এশিয়ার মধ্যেই সেটাই ছিল প্রথম আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার নেপথ্যে ছিলেন ডঃ যামিনীভূষণ রায় (Kaviraj Jamini Bhusan Roy)। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।

    জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ যামিনী

    সালটা ১৮৭৯। অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলায় ১লা জন্ম যামিনীভূষণের। বাবা পঞ্চানন রায় ছিলেন খুলনার নামকরা কবিরাজ। পূর্ববঙ্গে বড়ো হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে সংস্কৃত শিক্ষার জন্যই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলেন স্নাতকোত্তরেও। সংস্কৃতের পাঠ চুকিয়ে ১৯০২ সালে ভর্তি হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি বাবার কাছেও চলতে থাকল আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ। ১৯০৫ সালে গোল্ড মেডেল নিয়েই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন পাস করলেন যামিনীভূষণ। হয়ে উঠলেন ‘গাইনোকলজি এবং মিডওয়াইফারি’-র বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালে চাকরির সুযোগ থাকলেও, সে পথে গেলেন না। ঠিক করে ফেললেন বাবার মতোই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হবেন তিনি। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত।

    অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ

    প্রথাগত চিকিৎসা শাস্ত্রের থেকে সরে এসে আয়ুর্বেদ নিয়ে তাঁর গবেষণা অনেকের কাছে বোকামি হলেও, যামিনীভূষণের মতো করে ভাবলে নতুন দিশা দেখতে পাবেন সবাই। আসলে আজ যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতে, সেই অ্যালোপ্যাথি এসেছে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তারও বহু আগে থেকেই এদেশে প্রচলিত ছিল আয়ুর্বেদ। সেখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির শিকড়। আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্যলাভ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী রোগকে বাগে আনা বেশ কঠিন এই চিকিৎসায়। সেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দুরারোগ্য রোগকেও ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে বলেই বিশ্বাস ছিল তাঁর। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন যামিনীভূষণ। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।

    গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’

    যামিনী বুঝেছিলেন আয়ুর্বেদকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। তাই পড়াশোনার সঙ্গে বগল মাড়োয়াড়ি হাসপাতালে শুরু করলে চিকিৎসাও। সে সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল চল্লিশ টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। ডাক আসতে থাকল বরোদা, গোয়ালিয়র, কোচি রাজবাড়ি থেকে। আজকের দিনের হিসেবে দেখতে গেলে এককথায় তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে বিলাসবহুল জীবন তাঁকে টানেনি কোনোদিনই। বরং, সেই টাকাতেই দরিদ্রদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’। আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হত সেখানে। আর দরিদ্ররা সেই ওষুধ পেতেন বিনামূল্যেই। সেখানে রীতিমতো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করা হয়।

    মানুষের সেবায় নিয়োজিত

    ১৯২৬ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন যামিনীভূষণ। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই তিনি দান করে গিয়েছিলেন জনকল্যাণে। নিজের তৈরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গবেষণাগার ও সংগ্রহশালা তো বটেই, পাতিপুকুরে ১২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত বিশাল বাগানবাড়িও দান করে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ৭ বছর পর সেই বাগানবাড়িতেই ডঃ বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেন যক্ষ্মার হাসপাতাল। যা পাতিপুকুর টিবি হাসপাতাল বলেই পরিচিত। অদ্ভুত বিষয় হল, কিংবদন্তি এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্মদিন ১ জুলাই-ই। হ্যাঁ, এই একই দিনে জন্ম বিধানচন্দ্রেরও। এও যেন এক অদ্ভুত সমাপতন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আজও অস্বীকার করা যায় না তাঁর অবদান। শিশুদের রোগ নির্ণয় হোক কিংবা টক্সিকোলজি— তাঁর লেখা বইগুলি প্রমাণ্য হয়েই রয়ে গিয়েছ। ইএনটি’র চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দিশা দেখিয়েছিলেন যামিনীভূষণ।

  • Ayurvedic Superfoods: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    Ayurvedic Superfoods: আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক আয়ুর্বেদ! পেশির জোর বাড়ায় প্রকৃতির যে যে উপাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রাশ ডায়েট ছেড়ে পুষ্টিকর খাবার (Superfoods) খেয়ে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন নিউট্রিশনিস্টরা। আদর্শ ডায়েটে প্রোটিন, ফল, শাক-সবজি, বাদাম রাখার কথা বলেন তাঁরা। আয়ুর্বেদ অনুসারে এমন অনেক সুপারফুড রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আয়ুর্বেদে বেশ কয়েকটি খাবারকে প্রতিদিনের তালিকায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এই খাবারগুলি পেশি শক্ত করে। 

    আয়ুর্বেদের গুরুত্ব

    আয়ুর্বেদাচার্যেরা প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শরীর সুস্থ রাখার নানা উপায় বাতলে দিয়েছেন। ভারতীয় সমাজে প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে আয়ুর্বেদের ব্যবহার। প্রাচীন ভারতের এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেশ কিছু খাবারকে অমৃত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান সময়ে, অধিকাংশ মানুষ জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন। উপরন্তু, অতিরিক্ত মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, কার্যকরী হতে পারে আয়ুর্বেদ। প্রাচীনকাল থেকে ভারতে, মানুষের স্বাস্থ্যের সেবায় নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে আয়ুর্বেদ। যা এই আধুনিক জীবনেও প্রাসঙ্গিক। 

    হলুদের উপকার

    হলুদ আয়ুর্বেদে ‘গোল্ডেন স্পাইস’ হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রদাহরোধী ক্ষমতা এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণ রয়েছে হলুদে। আয়ুর্বেদে প্রাচীন কাল থেকে তা গুরুত্ব পেয়ে এসেছে।  হলুদের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আয়ুর্বেদে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষতিকারী ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ধ্বংস করতে কাজ করে। হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়। কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে।

    অশ্বগন্ধার উপকার

    অশ্বগন্ধা আয়ুর্বেদের গুরুত্ব রয়েছে অপার৷ মানসিক চাপের উপসর্গ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে অশ্বগন্ধা। ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি ঘটায়, সাপের বিষনাশক হিসাবে, ত্বকের পক্ষে বেশ উপকারী এছাড়াও সুফল রয়েছে একগুচ্ছ ৷ অশ্বগন্ধার টেস্টোস্টেরন মাসল শক্ত করে। 

    ঘি-এর উপকার

    ঘিতে এ, ডি, ই, কে প্রভৃতি ভিটামিন থাকে যা স্নেহ পদর্থে দ্রবীভূত হয়। এই ভিটামিনগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি ঘি শরীরের বিভিন্ন খনিজ পদার্থ শোষণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। বিশুদ্ধ দেশি ঘি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, ফলে দূরে থাকে সাধারণ সর্দি কাশির সমস্যা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাঁটি ঘিয়ের অনেক উপকারিতা। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজম শক্তি ভাল হয়। সারা বছর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঘি দারুণ উপকারী। বয়স বাড়লে অনেকেই গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পান। সেই ব্যথা কমাতেও ঘিয়ের উপর ভরসা রাখতেই পারেন।  ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ওজন ঝরাতে কার্যকর, ফলে মাসল হয়ে ওঠে চনমনে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতবাসীর হিতে সময় নষ্ট না করে আপনি সিদ্ধান্ত নেন’’, মোদির প্রশংসায় পুতিন

    সজনে পাতার গুরুত্ব

    শরীর চাঙ্গা রাখতে সারা বছরই সজনে চাইলে খেতে পারেন। না, ফুল বা ডাঁটা নয়, বাজারে সজনে গুঁড়ো পাওয়া যায়। সেই গুঁড়ো দিয়ে চা বানিয়ে রোজ সকালে খেতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর সেই চা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। নানা ধরনের পুষ্টিগুণেও ভরপুর সজনে পাতা। এতে ভিটামিন এ, বি ১, বি২, বি৩ এবং সি রয়েছে। আছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামও।

    আমন্ডে রয়েছে হাজার গুণ

    আমন্ডে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বাদামে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসও থাকে, যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। শরীর সুস্থ রাখতে কাঠবাদাম একাধিক ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণ তন্তু, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে। কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা অকাল বার্ধক্য, প্রদাহ এবং ক্যানসারের মতো একাধিক রোগ থেকে রক্ষা করে।

    ত্রিফলার যাদু

    আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রোগ-ব্যধিকে ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের চূর্ণ একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি শরীরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দেয়। হরিতকিতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। পেশির জোর বাড়তে আর হাড় মজবুত করতে বহেরা বেশ উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে (Traditional Medicine) ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে। এই ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের মধ্যে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি রয়েছে যোগাও। আজ, বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডর্স আধানম ঘেব্রেইসাস। এদিন গুজরাটের গান্ধীনগরে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন গ্লোবাল সামিটে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তা। সেখানেই তিনি ভারতের ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    হু প্রধানের বক্তব্য

    বুধবারই ভারতে এসেছেন হু প্রধান। এদিনের সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুরারোগ্য ব্যাধি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং অন্য আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের (Traditional Medicine) খোঁজ চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। মানুষকে সুস্বাস্থ্য দিতে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের অবদান কম নয়।” এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন টেডর্স। তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) গুজরাটের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হাজার পরিবারের পাঁচ হাজার সদস্যের স্বাস্থ্যের দেখভাল করে। তাঁরা যেভাবে ওষুধ ব্যবহার করছেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি এও দেখেছি, প্রাথমিক পর্যায়ে কীভাবে তাঁরা ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন ব্যবহার করছেন। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ক্ষেত্রে একটা বড় ব্যাপার হল মানব স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের যোগ। জামনগরে খোলা হয়েছে গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টার। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এর উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”

    ‘ভারতের কাছে বড় সুযোগ’

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। তিনি বলেন, “এই বিশ্ব সম্মেলন (Traditional Medicine) ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। এখানে বার্তা বিনিময় হচ্ছে, আইডিয়া দেওয়া নেওয়া হচ্ছে, গাঁটছড়া বাঁধা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বও হচ্ছে। সর্বোপরি, এক সঙ্গে কাজের সুযোগের দুয়ার খুলে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের সাহায্যেই চিকিৎসা হচ্ছে বহু মানুষের। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এই যে বিশ্ব সম্মেলন হচ্ছে, এটাকে একটা প্লাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্লাটফর্মে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা, ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এভিডেন্স ভিত্তিক অ্যাকশনও করা যেতে পারে। যার দ্বারা বিশ্বব্যাপী উপকৃত হতে পারে লাখ লাখ মানুষ।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Traditional Medicine: প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত 

    Traditional Medicine: প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটে বিশ্বের স্বাস্থ্য (World Health Organization) এবং মঙ্গলের স্বার্থে এবার হাত মেলাতে উদ্যোগী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভারত। এবিষয়ে সোমবার একটি বৈঠক করেন হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় বর্মা (Sanjay Verma)। 

    বৈঠকে মূলত ভারতের প্রথাগত চিকিৎসাশাস্ত্রকে (Traditional Medicine) মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা হয় দুই আধিকারিকের মধ্যে। সঞ্জয় বর্মা হু-এর প্রধানের সামনে ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রথাগত চিকিৎসা যেমন, যোগ, আয়ুর্বেদ, সিদ্ধার গুরুত্ব তুলে ধরেন।  

    আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী

    এইসব চিরাচরিত  চিকিৎসাবিদ্যা ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। হাজার-হাজার বছর ধরে ভারত প্রথাগত চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করেছে। যেমন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বহু বছর ধরে চলে আসছে ভারতে।  

    সিদ্ধা ওষুধ মূলত ব্যবহার হয় কেরল এবং তামিলনাড়ুতে। লেহ-লাদাখ এবং সিকিম, অরুণাচলপ্রদেশ, দার্জিলিং, লাহুল, স্পিতির মতো হিমালয় বলয়ে সোয়া-রিগপা চিকিৎসাশাস্ত্রের অনুশীলন করা হয়।   

    আরও পড়ুন: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    পার্মানেন্ট মিশন অফ ইন্ডিয়া, জেনেভা একটি ট্যুইটে লিখেছে, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সঞ্জয় বর্মার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই আধিকারিক ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্পর্ক কী করে আরও দৃঢ় করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলেন। বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলের স্বার্থে ভারতীয় প্রথাগত চিকিৎসা এবং ডিজিটাল চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মূল ধারায় আনতে হাত মেলাতে পারে ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।” 

    [tw]


    [/tw] 

    সম্প্রতি গুজরাতের জামনগরে ‘হু গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রেডিশনাল মেডিসিন’ নির্মাণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়াও রাজস্থানের জয়পুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  

    হু-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার ৮০% মানুষ প্রথাগত ওষুধে ভরসা করেন। হু প্রধানের বক্তব্য, “প্রথাগত ওষুধের মূল মন্ত্র জ্ঞান, দক্ষতা এবং অনুশীলন। সময় এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথাগত চিকিৎসার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে তুলে ধরা এবং গোটা বিশ্বের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো।”  

     

     

LinkedIn
Share