Tag: Baba

  • Jamaluddin: ছাঙ্গুরবাবার ডেরায় মিলল ‘লাল ডায়েরি’, ঘনাচ্ছে রহস্য

    Jamaluddin: ছাঙ্গুরবাবার ডেরায় মিলল ‘লাল ডায়েরি’, ঘনাচ্ছে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাঙ্গুরবাবা (Chhangur Baba) ওরফে জামালউদ্দিনকে (Jamaluddin) ঘিরে ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। এর আগে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন ধর্মান্তরণ চক্রের মূলচক্রী হিসেবে সে বিদেশ থেকে অনুদান বাবদ পেয়েছিল ১০৬ কোটি টাকা। এবার তদন্তে উঠে এল একটি লাল ডায়েরি। উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াডের এক অভিযানে উদ্ধার হওয়া এই ডায়েরিতে লেখা রয়েছে, ২০২২ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় ছাঙ্গুরবাবার পক্ষ থেকে কোন কোন রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন কর্তা অর্থ সাহায্য নিয়েছিলেন। এই লাল ডায়েরিকে কেন্দ্র করে আলাদা আলাদাভাবে তদন্তে নেমেছে এটিএস, এটিএফ এবং ইডি। তদন্তকারীদের ধারণা, এই ডায়েরি থেকে ছাঙ্গুরবাবার ১০৬ কোটি টাকার বিদেশি অর্থায়নে গঠিত সম্রাজ্যের সঙ্গে রাজনীতির কারবারিদের যোগসূত্রের প্রমাণ মিলতে পারে।

    জামালউদ্দিন ভেক ধরেছিল ছাঙ্গুরবাবার (Jamaluddin)

    উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার রেহরা মাফি গ্রামের বাসিন্দা জামালউদ্দিন ভেক ধরেছিল ছাঙ্গুরবাবার। তবে এলাকায় সে পীরবাবা নামেই বেশি পরিচিত। প্রথম জীবনে সে সাইকেলে চড়ে আংটি ও তাবিজ বিক্রি করে বেড়াত। পরে ধর্মান্তরণের ফাঁদ পেতে এক দশকের মধ্যেই সে গড়ে তোলে বহু কোটি টাকার ব্যবসা। জানা গিয়েছে, ছাঙ্গুরবাবার আর্থিক উত্থানের পেছনে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ অনুদান। সরকারি হিসেবে, তার নামে ৪০টিরও বেশি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১০৬ কোটি টাকা। ছাঙ্গুরবাবার দুটি সম্পত্তির সন্ধানও মিলেছে। একটি বলরামপুরে, অন্যটি মহারাষ্ট্রের লোনাভালায়। এই দুই সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১৮ কোটি টাকারও বেশি। লোনাভালার সম্পত্তিটি ২০২৩ সালের অগাস্টে কেনা হয় এবং এটি তার ও তার এক সহযোগীর নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। ইডির তদন্তকারীদের মতে, মহম্মদ আহমেদ খান নামে এক ব্যক্তি লোনাভালার জমি বিক্রি করেছিল ছাঙ্গুরবাবাকে। ওই একই নামের এক ব্যক্তি ছাঙ্গুরবাবার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোয় তদন্তকারীদের সন্দেহ গাঢ় হয়েছে।

    নজরে ‘লাল ডায়েরি’

    তদন্তকারীদের নজর এখন ছাঙ্গুরবাবার লাল ডায়েরির দিকে। তার ওই ডায়েরিতে প্রায় ছ’জন রাজনীতিকের নাম রয়েছে, যাঁরা তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ নিয়েছেন (Jamaluddin)। ডায়েরির (Chhangur Baba) একটি জায়গায় লেখা হয়েছে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য উত্তরৌলা কেন্দ্রের এক প্রাক্তন প্রার্থীকে ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রার্থী নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। ডায়েরিতে লেখা, ছাঙ্গুরবাবা ২০২৭ সালের নির্বাচনে ওই একই আসনে এক প্রাক্তন আইপিএস অফিসারকে সমর্থন করার পরিকল্পনা করছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, বছরের পর বছর ধরে ছাঙ্গুরবাবা বালরামপুর ও পার্শ্ববর্তী বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ ঢেলেছে। সূত্রের খবর, সে শুধু প্রার্থীদের অর্থায়নই করেনি, তার অনুসারীদের সংগঠিত করে ভোট দেওয়ায়ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

    ছাঙ্গুরবাবার সঙ্গে নিহত গ্যাংস্টারের ছবি

    প্রসঙ্গত, ছাঙ্গুরবাবার সঙ্গে ২০২৩ সালে নিহত গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া আতিক আহমেদের কয়েক ছবি আগেই ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Jamaluddin)। গত ৫ জুলাই লখনউয়ের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় ছাঙ্গুরবাবাকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীতু ওরফে নাসরিনকে। ছাঙ্গুরবাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে বিধবা, দিনমজুর এবং তফসিলি জাতিভুক্ত আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের টার্গেট করে অর্থ, প্রলোভন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি মায় জোরজবরদস্তি করে বেআইনিভাবে ধর্মান্তর ঘটানোর ষড়যন্ত্র করেছিল (Chhangur Baba)। ছাঙ্গুরবাবাকে গ্রেফতার করার পরেই প্রথমে বলরামপুরে এসটিএফ একটি মামলা দায়ের করে। পরে ৯ জুলাই প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে ইডি নিজস্ব তদন্ত শুরু করে। এই অর্থ শেল কোম্পানি বা তৃতীয় পক্ষের সংস্থার মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এই শেল কোম্পানিগুলির কয়েকটির বিরুদ্ধে বৈদেশিক অনুদান আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চলছে তদন্ত।

    ইডির অভিযান

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই ইডি একযোগে দেশের ১৪টি জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে ১২টি উত্তরৌলায় এবং ২টি মুম্বইয়ে। একই সময়ে স্থানীয় প্রশাসন ছাঙ্গুরবাবার পৈতৃক গ্রামের প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মধুপুর গ্রামে অবৈধভাবে নির্মিত একটি কমপ্লেক্সের কিছু অংশও ভেঙে ফেলে। সরকারি নথিপত্রে প্রকাশ, এই জমিটি সরকারি মালিকানাধীন। ভবনটি বহুদিন ধরেই সন্দেহের তালিকায় ছিল (Jamaluddin)। সেখানে ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। প্রহরায় রাখা হয়েছিল দুটি কুকুরও। অভিযোগ, এই বাড়ি থেকেই ধর্মান্তরণের কারবার চালাচ্ছিল ছাঙ্গুরবাবা। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় কিংবা শিখ মহিলাদের ধর্মান্তর করতে পারলে মিলত মোটা অঙ্কের ইনাম। মহিলারা লোয়ার কাস্টের হলে পুরস্কার বাবদ মিলত ৮-১০ লাখ টাকা। এজন্য ছাঙ্গুরবাবা কয়েকজন এজেন্টও ছেড়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ (Chhangur Baba)।

  • Viral IIT Baba: “যোগী প্রধানমন্ত্রী হবেন, রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদি”, ভবিষ্যদ্বাণী আইআইটি বাবার

    Viral IIT Baba: “যোগী প্রধানমন্ত্রী হবেন, রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদি”, ভবিষ্যদ্বাণী আইআইটি বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যোগী প্রধানমন্ত্রী হবেন। নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি হতে পারেন। এটাই হওয়া উচিত। টাইমলাইন বদলেও যায়।” কথাগুলি বললেন মহাকুম্ভ দর্শনে আসা আইআইটি বাবা (Viral IIT Baba)।

    আইআইটি বাবা (Viral IIT Baba)

    এবার মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh 2025) সবার নজর কেড়েছেন আইআইটি বাবা। তাঁর আসল নাম অভয় সিং। আইআইটি থেকে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজও করেছিলেন কিছু দিন। পরে সব ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়ে যান। জীবনের অর্থ বুঝতেই বেরিয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর কাহিনি ভাইরাল হয়ে যায়। দ্রুত বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। জুনা আখড়া থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, আইআইটি বাবা মাদকাসক্ত। যদিও তাঁর দাবি, পাছে তিনি গোপন কথা ফাঁস করে দেন, তাই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে আখড়া থেকে।

    কী বললেন আইআইটি বাবা

    এহেন আইআইটি বাবা (Viral IIT Baba) সম্প্রতি মুখ খোলেন সংবাদ মাধ্যমে। দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “আগামিদিনে যোগীই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও, অন্তরালে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই মোদির। তিনি আগামিদিনে রাষ্ট্রপতির পদ অলঙ্কৃত করবেন। তাঁর এহেন ভবিষ্যদ্বাণীর জেরে নতুন করে সাড়া পড়ে গিয়েছে।”

    মাথায় বড় জটা, ছেঁড়া মলিন পোশাকে আইআইটি বাবাকে দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। টিভিতে তাঁকে দেখতে পেয়ে তাঁর বাবাও ফিরে আসতে কাতর অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি যে আর ফিরতে চান না, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন আইআইটি বাবা।

    প্রসঙ্গত, জুনা আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয় আইআইটি বাবাকে। তাঁকে আখড়া থেকে বের করার কারণ প্রসঙ্গে জুনা আখড়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মহন্ত গিরি বলেছিলেন, অভয় সিংয়ের কাজগুলি পবিত্র গুরু-শিষ্য ঐতিহ্য ও সন্ন্যাসের মূল নীতিগুলি লঙ্ঘন করে। নিজের গুরুকে অসম্মান করা সনাতন ধর্ম ও আখড়ার দ্বারা সমুন্নত মূল্যবোধের প্রতি গভীর অবজ্ঞা (Viral IIT Baba)।

    মহন্ত সোমেশ্বর পুরীকেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভয়। বলেন, “আমি আগেই তাকে বলেছিলাম আমাদের মধ্যে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক নেই। এখন যেহেতু আমি বিখ্যাত হয়েছি, সে নিজেকে আমার গুরু বানিয়েছে (Mahakumbh 2025)।”

LinkedIn
Share