Tag: bakibur rahaman

bakibur rahaman

  • Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের শাসনে লাগাম ছাড়া দুর্নীতিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যে অনেক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গে তদন্ত থেকে বাঁচতে, অসুস্থতার ভান করে অনেকেই হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার তদন্ত থেকে বাঁচতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও কি শুরু হয়েছে? বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) নদিয়ার চালকলের পিছনে মিলল পোড়া নথি। নথির পোড়া অংশে দেখা যাচ্ছে সরকারি সিলমোহর। ফলে দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে চরম চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা (Bakibur Rahaman)

    সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল নেতা বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) হরিণঘাটার সাত শিমুলিয়ার চালকলের পিছনে সরকারি সিলমোহর দেওয়া বেশ কিছু পোড়া নথি দেখতে পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার সময় আশে পাশের গ্রামের মানুষ, এই নথির পোড়া অবশেষ দেখতে পান। এই নথি কি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এরপর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নদিয়ায় রেশন দুর্নীতি

    ২০২১-২২ সালে নদিয়ায় রেশনের সামগ্রী, খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছিল বলে, শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়, এই নিয়ে রীতিমতো তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এরপর রেশন দুর্নীতির তদন্তভার নেয় ইডি। এরপর থেকে ইডি, জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। তদন্তে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) আরও চালকলের সন্ধান মিলেছে নদিয়ায়।

    বাদুড়িয়াতে উদ্ধার আরও সম্পত্তি

    অপর দিকে বাদুড়িয়াতে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) ২১০ কাঠা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। বসিরহাট এলাকার পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে পাড়ায় এই সম্পত্তি রয়েছে। বাকিবুর, এলাকার মানুষের জমি জোর করে, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দবাবুর অভিযোগ, ‘রাস্তার পাশে তাঁর ২ শতক জমি ছিল। যা কার্যত মস্তানদের দিয়ে দখল করে নিয়েছে বাকিবুর। ‘এলাকার আরেক বাসিন্দা রীতাদেবী বলেন, ‘এলাকায় দু’কাঠা জমি ছিল, সেখানে নিজেরা ঘর করে থাকছিলাম, কিন্তু বাকিবুরের গুন্ডারা এসে চাপ দিয়ে জবরদখল করে নেয়।’

    সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান মিলিছে বলে জানিয়েছে ইডি। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির কথাও জানা গিয়েছে। পার্কস্ট্রীট, রাজারহাট, বারাসত, রঘুনাথপুরে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে।

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশির (Ration Scam) পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রায় শুনে আদালত কক্ষেই মূর্ছা যান মন্ত্রী। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরই মাঝে ইডি বাজেয়াপ্ত (Ration Scam) করল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের বিপুল সম্পত্তির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করা সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই দুটি লকারই সল্টলেকে রয়েছে, যার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং অপরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের।

    বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় মুখোমুখি জেরা সম্ভব হচ্ছে না

    এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিকল্পনা ছিল, মন্ত্রী এবং বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার। তবে শরীর খারাপ নিয়ে মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। আবার সোমবারই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাকিবুরের। ইডি সূত্রের খবর, যে সমস্ত তথ্য অস্বীকার করেছেন বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের কাছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সেটা তাঁরা অস্বীকার করতে পারতেন না। তবে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। গতকালই নথি (Ration Scam) হাতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় মন্ত্রী কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে। আবার আজকেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।

    টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ?

    জানা গিয়েছে, একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। যেগুলি বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের সদস্যরাই চালাতেন। এভাবে মোট ৯৫ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তাঁরা। জ্যোতিপ্রিয়র একাধিক বাড়ির অ্যাকাউন্টও ব্লক করেছে ইডি। আয়কর রিটার্ন নথি বলছে, শুধুমাত্র টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করেছেন মন্ত্রীকন্যা। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর একটি অ্যাকাউন্ট। বালুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে আইডিবিআই-এর ব্যাঙ্কে (Ration Scam)। সেখানে রয়েছে ৪.৩ কোটি টাকা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Case: তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি

    Ration Case: তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির পুরোটাই দুর্নীতির টাকায় হয়েছে বলে দাবি ইডির। পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-রাজারহাট এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। একাধিক জায়গায় আরও ৮ থেকে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক হোটেল, পানশালা এবং চালকল। বেশ কিছু সংস্থায় তিনি শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গেছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এই বাকিবুর এক তৃণমূল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে। এখন প্রশ্ন হল, এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে তিনি? সবটাই কি উপার্জিত আয়, নাকি রেশন দুর্নীতির (Ration Case) টাকায়? তদন্তে আরও স্পষ্ট হবে।

    ইডির বক্তব্য (Ration Case)

    ইডি সূত্রে জানা গেছে, বাকিবুরের ৯০ টির বেশি সম্পত্তি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে। মোট ছয়টি সংস্থায় তাঁর শেয়ারের পরিমাণ হল ৫০ কোটি টাকারও বেশি। মামলার তদন্তে নেমে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি। তাঁর ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির সন্ধান মিলল, যার বেশিরভাগটাই উত্তর ২৪ পরগনা এবং বহরমপুরে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, পানশালা, হোটেল, চালকল। আরও জানা গেছে, নিজের শ্যালক, স্ত্রীর নামের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন (Ration Case) করেছেন বাকিবুর। অবশ্য শ্যালক এবং স্ত্রী এই কথা ইডির তদন্তের জেরায় জানিয়েছেন।

    রেশনের সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করতেন

    বাকিবুরের এই হঠাৎ সম্পত্তির উত্থানের কারণের পিছনে রেশন দুর্নীতির (Ration Case) কথা উঠে এসেছে। রেশনের খাদ্যসামগ্রীকে খোলা বাজারে বিক্রি করে, অবৈধ আয় করতেন তিনি। তাঁর কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০ টির বেশি সরকারি সিলমোহর দেওয়া নথি উদ্ধার হয়েছে তদন্তে। তাঁকে ৫৩ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসবাদ করে ইডির আধিকারিকরা এই তথ্য উদ্ধার করেন। এরপর তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে বাকিবুর মিল থেকে খাদ্যসামগ্রী অবৈধ ভাবে বিক্রি করতেন। আর তার সেই বিক্রির হিসাব লেখা রয়েছে খাতায়। কোথায় কত সামগ্রী যেত, কোন ডিসট্রিবিউটর বা ডিলারের কাছে মাল পাঠাতেন, তার হিসাবও আদলাতে জমা করেছে ইডি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির দাবি, এই ঘটনায় ধৃত বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল নগদ ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, সে সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি বলেই চার্জশিটে দাবি ইডির।

    বিপুল পরিমাণ নগদ

    চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, জেরায় বাকিবুর দাবি করেন চাল-আটা বেচেই তাঁর মিলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। যদিও ইডির দাবি, রেশন কেলেঙ্কারির টাকাই ঘুরপথে জমা পড়েছে বাকিবুরের মিলের অ্যাকাউন্টে। চার্জশিটের ৪৪ নম্বর পাতায় ইডি জানিয়েছে, বাকিবুরের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ নগদ জমা পড়েছে বলে জানতে পারেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী

    চার্জশিটে (Bakibur Rahaman) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে জমা পড়েছে ৪১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের সংস্থার চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জয়শঙ্কর গুপ্ত জানিয়েছেন এই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানাননি বাকিবুর। জানিয়েছিলেন, চাল-আটা বিক্রির টাকা জমা পড়েছে নগদে। যেহেতু নগদে টাকা জমা পড়েছে, তাই টাকার উৎস খতিয়ে দেখার কোনও সুযোগ তাঁর কাছে ছিল না।

    আরও পড়ুুন: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের

    ইডির অনুমান, এই ২২৮ কোটি টাকার পুরোটাই রেশন কেলেঙ্কারির। রেশনের চাল খোলা বাজারে সস্তায় বিক্রি করে নগদে দাম নিয়েছেন বাকিবুর। পরে সেই চালকে তাঁর মিলের চাল বলে খাতায়-কলমে দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দুর্নীতি। রেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বাকিবুরের একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে কয়েকটি সংস্থা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বাকিবুর ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যরা। ইডির অনুমান, এভাবেই বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে নগদে লেনদেন করে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন বাকিবুর (Bakibur Rahaman) ও মন্ত্রিমশাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন জন। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় মোট গ্রেফতারে সংখ্যা দাঁড়াল সাত। তবে যাঁকে কেন্দ্র করে ইডির রেশন দুর্নীতি তদন্তের তল্লাশি অভিযান হয়েছিল সেই তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।

    শাহজাহানের অনুগামীরা আক্রমণ করেছিল (North 24 Parganas)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (North 24 Parganas) সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি রেশন দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে যায়। উল্লেখ্য রাজ্যের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথমে বাকিবুর রহমান এবং এরপর তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর্থিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। আর এই নিয়ে তদন্তে করতে গেলে সরবেড়িয়ায় আক্রান্ত হতে হয় তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মার খেতে হয়। ভাঙা হয় গাড়ি এবং সংবাদ মাধ্যমকেও করা হয় মারধর। এলাকায় ৮০০ থেকে ১০০০ লোক যারা শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তারা হামলা চালায়। এরপর ঘটনায় প্রতিক্রিয়তা স্বরূপ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন ‘রাজ্যে জঙ্গল রাজত্ব’ চলেছে। একই ভাবে রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার, শাহজাহানকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। ঘটনায় নেজাট থানায় ইডি প্রথম একটি এফআইআর দায়ের করে। এরপর পুলিশ নিজে থেকে অপর আরেকটি মামলা করে এবং ইডির তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে অতিরিক্ত আরও একটি এফআইআর করা হয়। এই ঘটনায় মোট এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা করা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে দাবি

    সন্দেশখালি (North 24 Parganas) ঘটনার পর থেকে শাহজাহানের কোনও রকম সন্ধান না পাওয়া গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, আক্রমণের দিনে তৃণমূল নেতা নিজের বাড়িতে ছিলেন। ইডির তদন্ত থেকে বাঁচতে বিক্ষোভ-হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও আইনজীবীর মাধ্যেম এই তৃণমূল নেতা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান বলে আবেদন করেছেন তিনি। এই মামলায় তাঁর বক্তব্য কোর্ট যেন শোনে, একথাও আবেদনে উল্লেখ করেন। এই মামলায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, “শাহজাহান পুলিশের সংরক্ষণেই রয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১০০ কোটির কেলেঙ্কারি! রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডির

    Ration Scam: ১০০ কোটির কেলেঙ্কারি! রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় চার্জশিট পেশ করল ইডি। মঙ্গলবার ১২টা নাগাদ কলকাতার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick), মিল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ছাড়াও রয়েছে দশটি ভুয়ো সংস্থার নাম রয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, ১৬২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বেহাত হয়েছিল, আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।

    চার্জশিটে থাকা ১০টি সংস্থা কার নামে

    এদিন সকালে বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট পেশ করে ইডি। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি (Ration Scam) মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থায় ব্যাপক কারচুপির তথ্য নজরে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, রেশন দুর্নীতির টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগ করতে কেবল নিজের স্ত্রী-কন্যাই নন, শ্যালক এবং শাশুড়িকেও ব্যবহার করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় অবৈধ উপায়ে পাওয়া টাকাকে বৈধ করতে জ্যোতিপ্রিয় ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন বলেও দাবি করে ইডি। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়-‘ঘনিষ্ঠ’ মিল মালিক বাকিবুর রহমানও। চার্জশিটে থাকা ১০টি সংস্থার মধ্যে পাঁচটি বাকিবুর এবং বাকি পাঁচটি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে নথিভুক্ত বলে খবর।

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক! হঠাৎ কেন ঘুম ভাঙল প্রশাসনের?

    জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগসাজশ

    রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সোমবারই আদালতে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বিভিন্নজনের হাতে পৌঁছত, তাতে কারা কারা জড়িত, চার্জশিটে এসবেরই বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা। এদিন আদালতে ৩০০০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলার তদন্ত যত এগোয়, ততই স্পষ্ট হতে থাকে, রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুরের যোগসাজশের বিষয়টি। আচমকা বাকিবুর রহমানের ধনী হয়ে ওঠার নেপথ্যে খাদ্যমন্ত্রীর ‘আশীর্বাদ’ ছিল বলে ইডির দাবি। এদিন চার্জশিটেও সেই যোগসাজশের উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বাকিবুরের দুর্নীতি দিনকেদিন বেড়ে গিয়েছে। এমনকী দুর্নীতির টাকা উপার্জন করে বাকিবুর সেই টাকা ঘুরপথে মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন, এমন বিস্ফোরক তথ্যও উল্লেখ করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী-মেয়েকে ডাকবে ইডি! রেশন দুর্নীতির তদন্তে তলবের সম্ভাবনা যে কোনও দিন

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী-মেয়েকে ডাকবে ইডি! রেশন দুর্নীতির তদন্তে তলবের সম্ভাবনা যে কোনও দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে এবার তলব করা হতে পারে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শীঘ্রই তাঁদের ডাকা হবে  সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 

    দুর্নীতিতে যুক্ত মন্ত্রীর স্ত্রী-কন্যা!

    রেশন মামলায় বালু এখন ইডির হেফাজতে। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রীকে ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তদন্তে নেমে আগেই ইডি দাবি করেছে যে, ওই দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যারও। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর বালুর এক আপ্ত সহায়কও জানিয়েছিলেন যে, স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর করেছিলেন মন্ত্রী। বস্তুত, কী ভাবে মন্ত্রী-পত্নীর সম্পত্তি এক বছরে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬ কোটি হয়েছে, তা নিয়ে মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারকও। ইডির দাবি, স্ত্রী এবং মেয়েকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। এই ভাবে নামে-বেনামে তিনি জমি, বাড়ি এবং হোটেল কিনেছেন।

    কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে?

    রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই গুচ্ছ গুচ্ছ তথ্য ইডির অফিসারদের হাতে এসেছে। ইডি তদন্তে নেমে জানতে পারে, পিডিএস-এর অন্তর্গত ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড, আরএসকিওয়াই, অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীরা। এই দুর্নীতির লাভ পেতেন চালকলের মালিক এবং পিডিএস বণ্টনকারীরা। পাশাপাশি, কৃষকদের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে ধানচাষীদের জন্য বরাদ্দ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও আত্মস্যৎ করতেন। এই কাণ্ডে অন্যতম প্রধান এক সন্দেহভাজন জানিয়েছেন, এক কুইণ্টালে ২০০ টাকা করে আয় করতেন চালকলের মালিকেরা। যা আদতে কৃষকদের থেকে পাওয়ার কথা ছিল সরকারি সংস্থাগুলির।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেককে তলব ইডি-র, বৃহস্পতিবারই হাজিরার নির্দেশ

    ইডির দাবি, রাজ্য পুলিশের কাছে বেশ কিছু এফআইআর হয়েছিল, যেখানে অভিযোগ ছিল রেশনের আটা বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই মজুত করা হচ্ছিল এবং বিক্রি করা হচ্ছিল। আবার কলকাতা পুলিশের কাছেও বেশ কিছু এফআইআর হয়েছিল বলে দাবি ইডির। সেই এফআইআরগুলিতে অভিযোগ ছিল, ভুয়ো কৃষকদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শস্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য আত্মসাৎ করে নিচ্ছে চালকল মালিকরা। প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগগুলির ভিত্তিতেই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর ইডি তদন্ত শুরু করতেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বাকিবুরের বাড়িতেই অস্থায়ী ‘খাদ্যদফতর’! ‘আমি নির্দোষ, মমতা সব জানেন..’, বললেন জ্যোতিপ্রিয়

    Jyotipriya Mallick: বাকিবুরের বাড়িতেই অস্থায়ী ‘খাদ্যদফতর’! ‘আমি নির্দোষ, মমতা সব জানেন..’, বললেন জ্যোতিপ্রিয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :  তিনি নির্দোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব জানেন। দুদিনের মধ্যে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে এদিন দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আদালতের নির্দেশ মতো এদিন ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) নিয়ে যাওয়া হল আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে বার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তখনই মন দাবি করেন তিনি।

    হিসেব চেয়েছে ইডি

    রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে এজেন্টরা। সূত্রের খবর, এজেন্টদের মাধ্য়মেই রেশন দুর্নীতির টাকা লেনদেন হত। বাকিবুর রহমান যে টাকা পাঠাতেন সেই টাকা এজেন্টদের মাধ্য়মে লেনদেন হত বলে তদন্তে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের মালিকানাধীন গমকল ও চালকলে কত ধান-গম আসত তার হিসেব চেয়েছে ইডি। কোন কোন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে চাল ও আটা গিয়েছে, এফসিআইয়ের কাছে তারও হিসেব চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে দাবি, এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে, তাঁরা বাকিবুর রহমানের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির কথা জানতে পারেন। যার মধ্য়ে ছিল তাঁর একাধিক সংস্থাও। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ৬টি এমন সংস্থার কথা জানা যায়, যেখানে আটা বণ্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছিল।

    আরও পড়ুন: “খাদ্য দফতরের আধিকারিকের প্রতারণায় বন্ধ হয়েছে চালকল”, বিস্ফোরক মালিক

    বাকিবুরের বাড়িতেই ছোট ‘খাদ্য দফতর’ 

    রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিল মালিক বাকিবুর রহমানের বাড়িতেই ছোটখাট একটি ‘খাদ্য দফতর’ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। অভিযুক্তের বাড়ি এবং সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত যে বিপুল পরিমাণ সরকারি স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার পরে একথা মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। উদ্ধার হওয়া স্ট্যাম্পগুলিকে খুটিয়ে পরীক্ষা করে ইডি মনে করছে, খাদ্য দফতরের মাথায় বসে থাকা কর্তা-ব্যক্তিরাই শুধু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, বাকিবুরের ঘনিষ্ঠ জেলাস্তরের সরকারি আধিকারিকেরাও এতে জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি সূত্রে দাবি, বারাসতের খাদ্যদফতরের প্রায় সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বাকিবুরের যোগ ছিল। তা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই। অভিযোগ, পরে নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও নিজের প্রভাব খাটাতেন তিনি। এমনকী, মন্ত্রীর কনভয়েও কখনও কখনও বাকিবুরের গাড়িকে যেতে দেখা যেত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ৬ সংস্থার শেয়ারে ৫০ কোটি বিনিয়োগ! বাকিবুরের ছবির পরিচালক খাদ্য দফতরের কর্মীই?

    Ration Scam: ৬ সংস্থার শেয়ারে ৫০ কোটি বিনিয়োগ! বাকিবুরের ছবির পরিচালক খাদ্য দফতরের কর্মীই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন-বণ্টন (Ration Scam) দুর্নীতির টাকা ছবি তৈরির কাজেও বিনিয়োগ করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান। বাকিবুর রহমানের তৈরি করা ওই ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বাকিবুর রহমান গ্রেফতার (Ration Scam) হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। সেই তথ্যের সূত্র ধরেই পুজোর পরে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। জানা গিয়েছে, বাকিবুর রহমান যে ছবিতে টাকা ঢেলেছিলেন, সেই ছবির গল্প লিখেছিলেন খাদ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, যাঁর নাম পার্থসারথী গায়েন। পরিচালনাও করেছিলেন খাদ্য দফতরের কর্মী সৌরভ মুখোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ম্যানগ্রোভ’ ছবি। টলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী দোলন রায়কেও সেখানে দেখা যায় (Ration Scam)। ইডি সূত্রে আরও খবর, ছবির প্রিমিয়ামে হাজির ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    বাকিবুরের ছবির পরিচালক কী বলছেন?

    এনিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র ভাবতে নারাজ খাদ্য দফতরের কর্মী সৌরভ মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘ছবি তৈরি করা আমার শখ ছিল। খাদ্য দফতরের তৎকালীন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পার্থসারথি গায়নের লেখা ‘ম্যানগ্রোভ’ পড়ে আমার খুব ভালো লেগে যায়। তাই এটা নিয়ে আমি আগ্রহী হই। আমার আগের ছবি যিনি প্রযোজনা করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথাও বলি। তবে তিনি রাজি হননি। এ বিষয়টি আমি অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর (Ration Scam) পার্থসারথিবাবুকে জানাই। তখন পার্থসারথিবাবু বলেন একজন ছবি প্রযোজনা করতে পারবেন বলেছেন। তাঁর চালকল রয়েছে। পরে জানতে পারি যে তিনি বাকিবুর রহমান।

    বাকিবুরের ১,৬৩২ কাঠা জমির হদিশ মিলেছে রাজ্যের ৯৫টি স্থানে

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকিবুরের এখনও পর্যন্ত ছটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। বাকিবুর রহমানের সেইসব সংস্থার উৎস (Ration Scam) এবং বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ছয়টি সংস্থা করতে বাকিবুর রহমান ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এক সাধারণ ব্যবসায়ীর রকেট গতিতে এই উত্থান নজর এড়ায়নি তাঁর পাড়া প্রতিবেশীদেরও। এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১,৬৩২ কাঠা জমির হদিশ মিলেছে। রাজ্যের ৯৫টি জায়গাতেই জমি কেনা হয়েছিল। ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাকিবুরের বেঙ্গালুরুতে রয়েছে হোটেল এবং ফ্ল্যাট। শুধু তাই নয় দুবাইতেও রয়েছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share