Tag: balochistan

balochistan

  • Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আবার জঙ্গি হামলা। একটি ট্রেন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে, ট্রেন চালককে জখম করে যাত্রী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পণবন্দি করেছে জঙ্গিরা। যাত্রীবোঝাই ট্রেন অপহরণ করে প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করেছে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ (বালুচ লিবারেশন আর্মি)। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। নামানো হয়েছে সেনা। বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার এই খবর আসা মাত্রই প্রাদেশিক সরকার জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে এলাকায়।

    পণবন্দি ১০০ যাত্রী

    বিএলএ-র তরফেও দাবি করা হয়েছে, ১০০ জন যাত্রী তাদের হাতে পণবন্দি! বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, ‘‘পেহরো কুনরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি যাত্রিবাহী ট্রেনটি অপহরণ করা হয়।’’ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছু়ড়তে সশস্ত্র বালুচ বিদ্রোহীরা ট্রেনের দখল নেয় বলে তাঁর অভিযোগ। শাহিদ জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর টানেলের ভিতরে অপহৃত ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার। মনে করা হচ্ছে, অপহৃত ট্রেন দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামতে পারে পাক সেনা। পাক রেল দফতরের আধিকারিক মহম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, ন’টি কোচবিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিদের পণবন্দি হয়েছেন।

    পাক সেনা অভিযান নয়

    পাক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। মাশকাফ, ধাদর, বোলান এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রেললাইনে। সংগঠন বিবৃতিতে আরও বলে, এই বিস্ফোরণে রেললাইনে ফাটল ধরায় জাফফর এক্সপ্রেস থামতে বাধ্য হয়। ট্রেন মাঝপথে থেমে গেলে জঙ্গিদল ট্রেনের দখল নেয়। সংগঠনের দাবি, সব যাত্রী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দি করা হয়েছে। জঙ্গিদের আরও দাবি, এই হামলায় ৬ পাক সেনা নিহত হয়েছেন। কয়েকশো যাত্রী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। পাকিস্তান কোনও ধরনের সেনা অভিযান চালালে সব যাত্রীদের খতম করার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।

  • Pakistan: সেনার সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, হত অন্তত ১৮ পাক সেনা

    Pakistan: সেনার সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, হত অন্তত ১৮ পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর অন্তত ১৮ জন সদস্য (Rebels Killed)। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন বিদ্রোহীরও। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ঘটনা। বর্তমানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বালুচিস্তান সফর করছেন। সেই সময়ই সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই হয়েছে। যার মাশুল দিতে হল পাক সেনার অন্তত ১৮ জন সদস্যকে।

    হামলার দায় স্বীকার (Pakistan)

    পাক সেনার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA)। সংগঠনের মুখপাত্র আজাদ বালোচের দাবি, কালাটে (এই জায়গায়ই সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলি বিনিময় হয়) হামলা তাঁদের অন্যতম সাফল্য। আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। আজাদ জানান, সেনা চৌকিগুলিতে হামলা চালানো হবে। তাঁর দাবি, কালাটে পাক সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে তাঁদের ১০০ সদস্য। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁদের সাফ কথা, বালুচিস্তানে জারি রাখা হবে সেনা অভিযান (Pakistan)।

    বিদ্রোহী দমন অভিযান

    গত এক মাস ধরে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে বিদ্রোহী দমন অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। শনিবার আফগানিস্তানের সীমান্তলাগোয়া জেলা বালুচিস্তানের কালাটে মূল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল বিদ্রোহীরা। খবর পেয়ে অভিযানে যায় পাক সেনা। শুরু হয় দুপক্ষে গুলির লড়াই। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াই জারি থাকে শনিবারও। রাতে এক বিবৃতিতে পাক সেনা জানিয়েছে, রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ২৩ জঙ্গি। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন সেনাকর্মীরও।

    গত অগাস্টেই আট থেকে দশ ঘণ্টা বালুচিস্তান প্রদেশটাই পাকিস্তান থেকে যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বালুচিস্তানে সেনা-পুলিশ-প্রশাসনকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বালুচিস্তান কোনওদিনই পাকিস্তানের অংশ ছিল না। বালুচিস্তানের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভারতের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে যাওয়াটা তাঁরা কোনওদিনই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই পাকিস্তানের কবল মুক্ত হতে চাইছেন তাঁরা। অশান্তির সূত্রপাত সেখানেই। স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া (Rebels Killed) বালুচিস্তানের বাসিন্দারা (Pakistan)।

  • Pakistan: বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    Pakistan: বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর মানবাধিকার শাখা প্যাঙ্ক, জারিফ বালুচকে অপহরণ এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক মানবাধিকার হরণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায় বিচারও চেয়েছে এই সংগঠন। বিশ্বের সামনে আরও একবার পাকিস্তানের কুকর্ম ফাঁস।

    বিচার না করে খুন করা হয়েছে (Pakistan)

    বালুচিস্তানের (Pakistan) একটি সংবাদ মাধ্যম বালুচিস্তান পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, “আমরা জারিফের অপহরণ এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানাই। তাঁকে পাশবিক অত্যাচার করে কোনও রকম বিচার না করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি। জারিফের মৃতদেহের সঙ্গে অত্যন্ত খারপ আচরণ করা হয়েছে। মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য তুর্বতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই কাজ সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার বিরোধী।”

    জীবিত অবস্থায় তার জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছিল!

    বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বা বিওয়াইসি (Balochistan) জানিয়েছে, “জারিফ বালুচকে ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছিল। জীবিত অবস্থায় তাঁর জিব কেটে ফেলা হয়েছিল। এই বর্বর নৃশংস কাজটি বালুচদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ এবং দমন করতেই করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এই এলাকার মানুষের গত কয়েক দশকের আন্দোলনের ওপর পাকিস্তান নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে।” সেইসঙ্গে প্যাঙ্ক, পাক সরকারের কাছে দাবি করেছে, রাজ্যে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনও রকমের প্রতিবাদ করার সুযোগ মানুষকে দিতে হবে। মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে।

    উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের পর থেকেই গিলগিট (Pakistan) এবং বালুচিস্তান (Balochistan) আগ্রাসী পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ-আন্দোলন করে আসছে। তাঁদের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, কর্মসংস্থান এবং ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অক্ষত রাখতে উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। প্রতিদিন পাক সেনার আক্রমণে প্রচুর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। পাক সরকারের এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে একাধিক বার পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে। তবুও নির্লজ্জ দেশের আচরণে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন না ওয়াকিবহাল মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: “প্রতিদিন গুম হয়ে যাচ্ছে সাধারণ বালোচ নাগরিকরা” দাবি মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীনের

    Pakistan: “প্রতিদিন গুম হয়ে যাচ্ছে সাধারণ বালোচ নাগরিকরা” দাবি মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীনের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ, স্বাধীনতার দাবি জানানো। অন্যায়, নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করা। এই কারণেই প্রতিদিন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন শয়ে সয়ে মানুষ। পাক পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) গোয়েন্দারা ধরে নিয়ে গুম করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীদের (Baloch Activist)। তাঁরা বেঁচে রয়েছেন, না মরে গিয়েছেন তা-ও জানতে পারছে না পরিবারের লোকজনেরা। সংবাদ সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন মানবাধিকার কর্মী নিখোঁজ ডক্টর দ্বীন মুহাম্মাদ বালোচের মেয়ে সামি দ্বীন বালোচ।

    চিনের হাতে লুট হচ্ছে সম্পদ

    পাকিস্তানের (Pakistan) বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান (Baloch Activist) প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া ওই রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে ঢুকেছে পাকিস্তানে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দরে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের।

    নিখোঁজ কয়েক হাজার মানুষ

    শুক্রবার করাচি প্রেসক্লাবে মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীন বালোচ জানান, ১৫ বছর আগে পাকিস্তান (Pakistan) পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে তাঁর বাবা ডঃ দ্বীন মুহম্মদ বালোচকে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে যায়। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। ছোট বোন মেহলাব দ্বীন বালোচকে সঙ্গে নিয়ে সামি জানান ২৮ জুন ২০০৯ সালের সেই রাতের কথা এখনও ভোলেননি তাঁরা। তাঁদের বাবা বেঁচে রয়েছেন কিনা তা-ও জানেন না তাঁরা। পেশায় ডাক্তার তাঁর বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন, তা-ও তাঁর উদ্ধারে নিষ্ক্রিয় সরকার। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার তাঁরা।

    আরও পড়ুন: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস

    ১৯৪৭ সালের ১১ অগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। ১২ অগস্ট কালাতের শাসক মির সুলেমান দাউদ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল মাত্র সাত মাস। ১৯৪৮-এর ২৭ মার্চ পর্যন্ত। বালুচিস্তানের (Baloch Activist) মানুষের কাছে সেই দিনটা আজও যন্ত্রণার ‘পরাধীনতা দিবস’! সাত দশক আগে ওই দিনেই পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা দখল করেছিল বালুচিস্তান। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তৎকালীন শাসককে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে। বালুচিস্তানের পরবর্তী ইতিহাস ফের নতুন স্বাধীনতার যুদ্ধের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর কয়েক হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে পরপর বিস্ফোরণ! নিহত ২৮, আহত ৪০

    Pakistan: নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে পরপর বিস্ফোরণ! নিহত ২৮, আহত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিনই রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। বালুচিস্তানে পরপর বিস্ফোরণে ২৮ জন নিহত, ৪০ জন আহত হয়েছে। রবিবার থেকে এই প্রদেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০টির মতো হামলা হয়েছে। সিবি শহরে হামলাকারীরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি-সমর্থিত এক প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে। তাতেও চারজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।

    কোথায় বিস্ফোরণ ঘটেছে (Pakistan)?

    এদিন প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে বালুচিস্তানের (Pakistan) পিশিন জেলার খানোজাই এলাকায় নির্দল প্রার্থী আসফান্দিয়ার খান কাকারের কার্যালয়ের বাইরে। মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে জখম হন ৩০ জনের বেশি। এনএ-২৬৫ আসনে লড়াই করছেন নির্দল প্রার্থী আসফান্দিয়ার খান কাকর তাঁর দফতরের ঠিক সামনেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। এরপর কিছু সময় পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। দ্বিতীয় হামলা হয় কিলা সইফুল্লা জেলার জামিয়াত উলেমা-এ-ইসলাম ফজলের দফতরের সামনে। উভয় হামলার লক্ষ্য ছিল নির্বাচনী প্রার্থীদের দফতর। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যক্তি আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন।

    জরুরি অবস্থায় জারি

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার পর পিশিন এলাকায় জরুরি অবস্থায় জারি করা হয়েছে। তবে যখন হামলা হয়েছিল সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না কাকর। ঘটনায় পর বালুচিস্তানের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

    কাকরের বক্তব্য

    পিশিনের নির্দল প্রার্থীর নেতা আসফান্দিসয়ার খান কাকর বলেছেন, “আমার দফতরের (Pakistan) বাইরে দাঁড়ানো একটি মোটর সাইকেলের থেকে বিস্ফোরণ হয়। দলের মোট আট কর্মী ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় দফতরে পোলিং এজেন্টদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছিল।” অপর দিকে বালুচিস্তানের এক মন্ত্রী বলেছেন, মোটর সাইকেলের মধ্যে করে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তাঁর আশা, আগামিকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan  Blast: বালুচিস্তানে ধর্মীয় জমায়েতে মানববোমা বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৫২

    Pakistan  Blast: বালুচিস্তানে ধর্মীয় জমায়েতে মানববোমা বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৫২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের গোড়ায় জল দিয়ে যে বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছে পাকিস্তান, তার ফল ফলতে শুরু করেছে। শুক্রবার বালুচিস্তানের মাস্তং জেলার সদর শহরে ধর্মীয় জমায়েতে ঘটে মানববোমা বিস্ফোরণ (Pakistan  Blast)। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫২ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন এক ডিএসপি সহ বালুচিস্তান পুলিশের কয়েকজন কর্মীও। গুরুতর জখম হয়েছেন ১৫০-র কাছাকাছি। ঘটনার জেরে ত্রস্ত গোটা মাস্তং জেলা।

    এ মাসের শুরুতেও হয়েছিল বিস্ফোরণ

    এদিন যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি, বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মির পাশাপাশি সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান। পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো করতে সম্প্রতি বালুচদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান। এ মাসের প্রথম দিকে একবার বিস্ফোরণ (Pakistan  Blast) ঘটেছিল মাস্তংয়ে। সেবার মৃত্যু হয়েছিল ইসলামাবাদপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের ফজল নেতা হাফিজ হামিদুল্লা। তাঁর মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, তা আজও জানা যায়নি। ঘটনার পরে পরেই বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দেয় তেহরিক-ই-তালিবান।

    বিস্ফোরণের অভিঘাত

    এদিনের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে মাস্তংয়ের সহকারি কমিশনার (এসি) আত্তাহুল মুনিম জানান, আলফালাহ রোডে মদিনা মসজিদের সামনে ঈদ-ই-মিলাদুন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত জমায়েতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের দ্রুত শহিদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বেশ কিছু যানবাহন এবং আশপাশের কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হয়েছে। বালুচিস্তান এলাকাটি প্রাকৃতিকভাবে সম্পদশালী। ক্রমেই তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচদের।

    দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে লোকজন এসে থাবা বসাচ্ছে বালোচদের সম্পদে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরির পরে গত কয়েক বছরে বেড়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠের পরিমাণ। সেই কারণেই চড়ছে  বালোচদের ক্ষোভের পারদ।

    আরও পড়ুুন: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ১৯৪৭ সালের ১১ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। পরে নাম হয় বালুচিস্তান। তার পরের বছর ২৭ মার্চ পাকিস্তানি সেনা দখল নেয় বালুচিস্তানের। তার পর থেকে স্বাধীনতার দ্বিতীয় লড়াই লড়ছেন বালোচরা। ‘বালুচিস্তানের গান্ধী’ বলে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালোচ বছর কয়েক আগে দিল্লি এসে বলেছিলেন, “আমরা চাই (Pakistan  Blast) একাত্তরে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবেই বালুচিস্তানের পাশে দাঁড়াক।” বালুচিস্তানের ওপর পাক নিপীড়িন বন্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে সরব হন, সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balochistan: চিন-পাকিস্তানের ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের

    Balochistan: চিন-পাকিস্তানের ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) বিভিন্ন কোম্পানির ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগিয়ে দিল বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন ফ্রন্ট। টাওয়ারগুলি ছিল বালুচিস্তান প্রদেশের কেচা জেলার তহশিল দস্ত এলাকায়। বুধবার এমনই দাবি করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট পাকিস্তানি মোবাইল কোম্পানি ইউফোন এবং চিনা কোম্পানি জংয়ের মোবাইল টাওয়ারে হামলাও চালিয়েছে। এই টাওয়ারগুলি রয়েছে কেচা জেলার দস্ত ক্যাম্বেল, জান মহম্মদ বাজার, প্রিন্ট বাজার এবং জরিনবাগ এলাকায়। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের দাবি, ওই টাওয়ারগুলির সমস্ত মেশিনারি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চিন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডরে থাকা ইউফোনের একটি টাওয়ার এবং সাংগাই বাজার এলাকায় জং কোম্পানির একটি মোবাইল টাওয়ারও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের।

    বালুচিস্তান (Balochistan)…

    বালুচিস্তানের (Balochistan) বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইছে চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা ও সৈন্যদের স্বার্থেই এটা করতে চাইছে দুই প্রতিবেশী দেশ। বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্যও ওই টাওয়ারগুলি ব্যবহার করা হয়। চিন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডর রক্ষা করা ও মোবাইল টাওয়ারগুলি বসানোর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বালুচিস্তান ও বালুচদের উন্নতি প্রকল্পেই এই টাওয়ারগুলি বসানো হয়েছিল। প্রশাসন এও প্রচার করেছিল, এলাকায় লুঠতরাজ রুখতে এবং বালুচবাসীর সম্পদ রক্ষার স্বার্থেই বসানো হয়েছিল টাওয়ার।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গেল ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ২০২১ সালের জুন মাসেও বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট দাবি করেছিল, এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসাতে যাওয়ায় মার্গেটস চোখবি ওয়াধা কোম্পানি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তাদের যোদ্ধারা। ধরে নিয়ে গিয়েছিল ওই মোবাইল কোম্পানির ৬ জন সদস্যকেও। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র আজাদ বালুচ জানিয়েছিলেন তাঁরা যাঁদের ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন গুল শাহ খান, আবদুল আদি এবং কোয়েট্টার বাসিন্দা মেহরাজ, জোব কুইলা সইফুল্লা, কোয়েট্টারই মহম্মদ ইউসুফ, গুজরাটের আমানত আলি এবং কুইলা সফিউল্লার রহমতউল্লা। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এও জানিয়েছিল দখলিকৃত বালুচিস্তানে (Balochistan) চিন এবং পাকিস্তানের কোনও কোম্পানি যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা না করে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, তারই প্রতিশোধ নিতে এদিন জ্বালিয়ে দেওয়া হল ৬টি মোবাইল টাওয়ার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে ঘটল ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। রবিবার ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জনের। এদিন ভোরবেলা একটি বাস কোয়েটা থেকে করাচিতে যাচ্ছিল। সেই বাসে ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে সিন্ধ প্রদেশের বালোচিস্তানের কাছে একটি পিলারে ধাক্কা দেয় বাসটি। ধাক্কা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। তারপরই বাসে আগুন লেগে যায়। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে, দেহাংশ দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি কার দেহ। সকালে দুর্ঘটনার পর তিন জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে একজন মহিলা এবং একজন শিশুও আছে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

    সূত্রের খবর, ভোর ৪ টে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হামজা অঞ্জুম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে অনুমান, লাসবেলার কাছে বাসটি দ্রুতগতিতে ইউ টার্ন নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারে ধাক্কা দিয়ে পাশের উপত্যকায় গড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় তাতে। এখনও পর্যন্ত ৪১ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো চেনার বাইরে। এক শিশু-সহ ৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাসের জানলা দিয়ে টেনে তাঁদের বের করা হয়। মৃতদেহগুলিকে করাচি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করবেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে অনুমান করা হয়েছে, বাসের গতি অনেকটা বেশি ছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পাকিস্তানে এমন দ্রুত গতির জেরে পথ দুর্ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের ব্যাপার। বর্তমানে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ও আত্মীয়রা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share