Tag: Banerjee

  • Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। সোমবার ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Tollywood Actor)। শেষ সময়ে অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট জয়কে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৭ অগাস্ট তাঁকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। এদিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘণ্টাচারেক হাসপাতালেই থাকবে অভিনেতার মরদেহ।

    বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান (Joy Banerjee)

    ১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় জয়ের। ছোট থেকেই বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান ছিল তাঁর। অভিনেতা হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয় ‘অপরূপা’ ছবি দিয়ে। এই ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। দ্রুত ইন্ডাস্ট্রির নজরে পড়ে যান সুপুরুষ জয়। পরিচালক নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পান জয়। অঞ্জন চৌধুরীর ‘হীরক জয়ন্তী’ ছবি বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয় তাঁকে। জয় ও চুমকি চৌধুরীর জুটিও হিট করে। সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীর একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জয়কে। ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘মিলন তিথি’, ‘জীবন মরণ’, ‘নাগমতি’-সহ বহু ছবির নায়ক ছিলেন সুপুরুষ জয়।

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন

    অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন জয়। যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে বীরভূম ও উলুবেড়িয়া লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন জয়। বীরভূমে তিনি হেরে যান তৃণমূলের তারকা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের কাছে। হেরে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও। বিজেপির হয়ে একাধিকবার ভোটের ময়দানে নামলেও, প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন জয়। শেষমেশ ২০২১ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির হয়ে আর প্রতিনিধিত্ব করবেন না।

    জয়ের প্রথম স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর। সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ফের বিয়ে করেন জয় (Joy Banerjee)। এবার তাঁর ঘরণী হন অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুর সময় তিনিই ছিলেন পাশে। আর ছিলেন জয়ের মা। প্রয়াত অভিনেতার সহকারী ছোটু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জয়। সম্প্রতি (Tollywood Actor) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Joy Banerjee)। তাঁর জীবনাবসানের খবরে শিলমোহর দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাংস্কৃতিক সেলের কো-কনভেনর সুরজিৎ চৌধুরী।

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • PM Modis Achievements: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য,” তোপ ভূপেন্দ্রর

    PM Modis Achievements: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য,” তোপ ভূপেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জন্য, সরকারি টাকার হিসেব না দেওয়ার জন্য।” মঙ্গলবার কলকাতায় কথাগুলি (PM Modis Achievements) বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (Bhupendra Yadav)।

    টাকা লুটল কে? (PM Modis Achievements)

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে গোটা দেশেই সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করছে বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। বৈঠকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। এই বৈঠকেই ভূপেন্দ্র বলেন, “সিএজি রিপোর্ট বলছে, বাংলায় দু’লাখ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পে কাজ শেষের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। এই অর্থ কোথায় গেল? এই টাকা লুটল কে?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে এইমস দিয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছে। নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সংস্কার করা হয়েছে। ডেডিকেটেড করিডর দিয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে নগর গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প হচ্ছে ওই শহরগুলিকে দূষণমুক্ত, নিরাপদ ও সস্তা জ্বালানি দেওয়ার জন্য।”

    শুধুই তোষণের রাজনীতি

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ভূপেন্দ্র বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। কিন্তু সেই রোডম্যাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্রিয়, ইতিবাচক, গঠনমূলক মানসিকতার রাজ্য সরকার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “শুধু তোষণের রাজনীতি, শুধু মহিলাদের ওপর অত্যাচার আর বাংলা থেকে মেধার বহির্গমন, এ সবই হল সরকারের অপশাসনের নমুনা। এগুলো বদলানো জরুরি।” ভূপেন্দ্র বলেন, “দুর্নীতির নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে এবং ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, দুলাখ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, তার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না (PM Modis Achievements)।”

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে প্রণাম করতে ইচ্ছে করে। আধুনিক ভারতের বিভিন্ন কার্যকলাপের পীঠস্থান হল বাংলা। এক সময় বলা হত, পশ্চিমবঙ্গ যেটা ভাবে গোটা দেশ পরে ভাবে। আর এখন ছ’মাস ছাড়াই শুনতে হয় মহিলার অত্যাচার। মুর্শিদাবাদের ঘটনা তো রয়েছেই।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bhupendra Yadav) শাসনকে মানুষ মনে রাখবে সন্দেশখালির ঘটনার জন্য (PM Modis Achievements)।”

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু।” রবিবার ঠিক এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে জেলা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন বহু হিন্দু।

    মমতা ভণ্ড হিন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। দিঘায় নয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলেও অভিহিত করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরাই হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী। তাঁর জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলি এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।” এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে দায়ীও করেন শুভেন্দু। একে তিনি ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকে সজীব রাখতে নিরন্তর কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা হুমকির মুখে। আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায়ী। এখানে সবাই চায় এনআইএ এখানে এসে মামলার দায়িত্ব নিক।” হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের এহেন মন্তব্যকে শুভেন্দু বলেন, “অখিলেশ যাদবের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে প্রেরিত।”

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে খুন করা হয় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর (Mamata Banerjee) করা হয়। প্রাণভয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এখনও ভিটেয় ফেরেননি মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়া সব হিন্দু (Suvendu Adhikari)।

LinkedIn
Share