Tag: bangla khabar Bharatiya Antariksh Station

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • Indian Space Station: ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন, সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Indian Space Station: ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন, সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণা কেবল পৃথিবীর মাটিতে বসেই হবে না। যেতে হবে মহাকাশে। সেখানে থেকে যাবতীয় গবেষণা করলে সুবিধা অনেক বেশি। এখন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশে। পৃথিবীর মাটি থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে। তবে সে তো ভারতের নিজস্ব নয়। ভারত (Indian Space Station) তার নিজের এমনই একটি স্টেশন তৈরি করতে চলেছে মহাকাশে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন। ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হবে বলে লোকসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। বিজেপি সাংসদ ভারতৃহরি মহতাবের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মহাকাশ স্টেশনের সামগ্রিক নকশা ইতিমধ্যেই একটি জাতীয় স্তরের পর্যালোচনা কমিটি যাচাই করে দেখেছে। ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ (Bharatiya Antariksh Station – BAS) পুরোদমে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    কেমন ভাবে কাজ করবে

    ধাপে ধাপে এগোবে কাজ। সেই কাজের প্রথম ধাপটি কবে মহাকাশে পাড়ি দেবে সেটা সংসদে আন্দাজ দিলেন মহাকাশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। মন্ত্রী জানান, ২০২৮ সালে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনের বেস মডিউল বা বিএএস-১ পাড়ি দেবে মহাকাশে। সেই শুরু। তারপর ধাপে ধাপে মোট ৫টি এমন মডিউল মহাকাশে যাবে ২০৩৫ সালের মধ্যে। এগুলিই ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনকে পূর্ণ রূপ দিতে সাহায্য করবে। যাবতীয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বক্তব্য মাথায় রেখেই এই পুরো আয়োজন করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে। ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন তৈরি হয়ে গেলে সেখানে মহাকাশচারীরা থেকে গবেষণার কাজ চালাতে পারবেন। ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত থাকতে পারবেন তাঁরা।

    বাজেট ও অর্থায়ন

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র জানান, ইসরো ইতিমধ্যেই পাঁচটি মডিউল নিয়ে গঠিত পুরো স্টেশনের কাঠামো নির্ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিএএস-এর প্রথম মডিউল (BAS-01)–এর উপর কাজ শুরু করেছে। এই প্রথম মডিউলের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিভিন্ন সাব-সিস্টেমের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। জিতেন্দ্র সিং জানান, এই প্রকল্পগুলোর ব্যয় গগনযান কর্মসূচির সংশোধিত আর্থিক কাঠামোর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুমোদিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গগনযান প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের ফলে এর মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২০,১৯৩ কোটি টাকা। সরকার আরও জানায়, বিএএস-০১ নকশায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে, যাতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রযুক্তির সঙ্গে ভবিষ্যতে এর আন্তঃক্রিয়া (interoperability) নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে চালু থাকা সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে যৌথ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং বিশেষ পরীক্ষাগার সুবিধা ব্যবহারের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    গগনযান ও মহাকাশ স্টেশনের সম্পর্ক

    লোকসভায় মন্ত্রী জানান, গগনযান হবে ভারতের প্রথম মানববাহী যান। এই যান নিম্ন কক্ষপথে (LEO) নিরাপদে নভোচারী পৌঁছে দেওয়া এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা প্রদর্শন করবে। সরকার জানায়, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন গগনযানের পরবর্তী ধাপ, যা ভারতের মহাকাশ অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। এটি ভবিষ্যতে মাইক্রোগ্রাভিটি–ভিত্তিক উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং ভারতের চন্দ্রাভিযানসহ বিভিন্ন মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে—যা ভারতের স্পেস ভিশন–২০৪৭–এর অংশ। এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন—এই তিন দেশই স্বাধীনভাবে নিজেদের মহাকাশ স্টেশন পরিচালনা করেছে। ভারতের পরিকল্পিত বিএএস (BAS) কার্যকর হলে মানব মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

LinkedIn
Share