Tag: bangla news

bangla news

  • Buddha Purnima: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই হয় মা উলাইচণ্ডী পুজো! বীরনগরে এই পুজোর ইতিহাস জানেন?

    Buddha Purnima: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই হয় মা উলাইচণ্ডী পুজো! বীরনগরে এই পুজোর ইতিহাস জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডী মঙ্গলের বণিক খণ্ডের কাহিনী মনে আছে? সওদাগরের বাণিজ্যতরী ডুবে যাওয়া আর শেষপর্যন্ত দেবী চণ্ডীর পুজো করে চরম বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার গল্পটা? বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) সকালে নদিয়ার ‘উলা’-র মাটিতে এসে দাঁড়ালে সে কাহিনীতে একদম ডুবে যেতে পারেন আপনিও। লোকসংস্কৃতির এক প্রাচীন ধারাকে ছুঁতে তো পারবেনই, ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাস থাকলে পেয়ে যেতে পারেন দেবী চণ্ডীর আশীর্বাদও। 

    কীভাবে শুরু হল মা উলাই চণ্ডীপুজো?

    চণ্ডী মঙ্গলের এই কাহিনীর রেশ ধরেই জনশ্রুতি রয়েছে, উজানী নগর থেকে ত্রিবেণী যাওয়ার পথে এই উলা গ্রামে এসে বড় দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিলেন ধনপতি সওদাগরের পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর। তখন এ গাঁয়ের পাশ দিয়েই নাকি গঙ্গা বইত। কুলীন বণিক ধনপতি ছিলেন শিবের উপাসক। কোন মতেই দেবী চণ্ডীর পুজো করতে চাইতেন না। এদিকে দেবী তার হাত দিয়ে পুজো পেতে নানা ছলনার আশ্রয় নিয়েছিলেন। উলা গাঁ অবশ্য জড়িয়ে আছে ধনপতিপুত্র শ্রীমন্তর গল্প ঘিরে। বড় রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েও শ্রীমন্তের বাণিজ্য তরী শেষপর্যন্ত রক্ষা পেয়েছিল দেবী চণ্ডীর পুজো করেই। কী করে তিনি এ দেবীর ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন সে গল্প শোনা যায় কান পাতলেই। গাছ তলায় বসে তিনি এক খন্ড শিলাকে দেবী চণ্ডী রূপে পুজো করেছিলেন।

    পুজোকে কেন্দ্র করে বসে মেলা

    অনেক পরে নদিয়া রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই শিলা খন্ডে নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা হয়। আর এখন চন্ডী মাতা পুজো কমিটির হাতে এই প্রাচীন পুজোর ভার। প্রাচীন বট অশ্বত্থের সারির মাঝেই বর্তমানে বাঁধানো অবস্থায় আছে দেবীর বেদি তল। বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন  কাক ভোর থেকে পুজো শুরু হয়। আর পুজো ঘিরে বেশ বড় এলাকা জুড়ে মেলা। তবে একবেলার মেলা। বলি প্রথা কবে থেকে যুক্ত হল তা অবশ্য সঠিক ভাবে জানা যায় না। সে প্রথা আজও টিকে। একবেলাতেও মেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় মনোকষ্টও ছিল স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের। তাই চন্ডী পুজোর শেষে কোথাও বিন্ধ্যবাসিনি , কোথাও মহিষমর্দিনি ইত্যাদি দেবীর চারদিনের পুজো শুরু হয়। সেখানেও বসে যায় মেলা। এই মৃন্ময়ী দুর্গা পুজোগুলোও শতাধিক বছরের পুরনো।

    কীভাবে যাবেন?

    গল্প কাহিনী থেকে মেলার কথা সবই তো শোনা হল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন ‘উলো’ জায়গাটা নদিয়ার ঠিক কোথায়? কিভাবেই বা যাবো? ‘উলা’ বা ‘উলো’ গ্রাম নামটা অনেক পুরোনো। পুরানো উলা গ্রামই এখন বীরনগর। নদিয়ার এই পুর শহরের নামটা বললে চিনতে অসুবিধে হয় না। শিয়ালদহ কৃষ্ণনগর ট্রেন লাইনে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরের মাঝের একটি স্টেশন বীরনগর। বীরনগর স্টেশন থেকে উলাই চণ্ডীতলা এক কিমি তো বটেই। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন সকালে স্টেশন সংলগ্ন বাস রাস্তা থেকে সোজা পথে চন্ডীতলায় যেতে হলে প্রায় আধ ঘন্টা হেঁটে জনস্রোত ঠেলে ঠেলে সেখানে পৌঁছাতে পারা যাবে। ঘুর পথে অবশ্য টোটো পাওয়া যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অষ্টম পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) তথ্য এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিপি-কে ৮ মে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজভবনে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন তাঁরা। রাজ্যপাল ১৪ মে এবং ১৫ মে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকা শীতলকুচি, আলিপুরদুয়ার, অসমের রিলিফ ক্যাম্প এবং নন্দীগ্রাম অঞ্চল পরিদর্শন করেন। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে নির্বাচনে একটাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নব নির্বাচিত শাসকদলের তরফে কোনও রক্তক্ষয়ী আক্রমণ করা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার অপরাধেই নবনির্বাচিত শাসকদলের হিংসাত্মক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট চেয়ে ৮ জুন নবনিযুক্ত তৎকালীন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, মুখ্যসচিবও নিজে কোনও প্রকার তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন।

    মানবিক ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও 

    ২ জুলাই হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে হিংসার (Post Poll Violence) সঠিক তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ কমিটি গঠন করে। কমিশন ২০ দিনে ৩১১টি স্থান পরিদর্শন করে। মোট পঁচিশ হাজার মানুষের প্রায় ১৬৫০টি অভিযোগ জমা পড়ে। সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রায় ৯৯৪৯ জনের ৩১৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। মানবাধিকার কমিশন বলে, মহিলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৭টি। ২ মে-র পর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা উচ্চস্বরে ডিজে বাজিয়ে লাঠি, বাঁশ, কাঠ, রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সর্বত্র লুটপাট, ধর্ষণ, হত্যা ভাঙচুর চালায়। কমিশন বলে, যাদবপুর, মালদা, চাপড়া, কোচবিহারে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের উপরও হামলা করে। সবথেকে বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা হয় কোচবিহার, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ২৩টি জেলায় মোট ১৯৭৯টি হিংসার ঘটনা ঘটে। তথ্য দিয়ে কমিশন বলে, পুলিশ ৯৩০৪ জন অভিযুক্তের নামে এফআইআর দায়ের করেছিল। এর মধ্যে ১৩৫৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আবার অভিযুক্তদের ১০৮৬ জন জামিনে মুক্ত হয়েছিল। খুব স্পষ্ট করে কমিশন বলে, মোট অভিযুক্তদের ১৪ শতাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার মধ্যে ৮০ শতাংশ জামিনে মুক্ত হয়। কমিশন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। কমিশনের সদস্যা ডঃ শ্রীমতী রাজুলবেন দেশাই ৭ জেলা পরিদর্শন করে মোট ৪২৫ জন আক্রান্ত মহিলার চরম ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

    হাইকোর্টের আদেশে তদন্তে সিবিআই ও সিট

    পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন, শিশু সুরক্ষা, নারী সুরক্ষা, তফশিলি জাতি-উপজাতি কমিশন এবং আদালতের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট ১৯ অগাস্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বলেছিল, এই তদন্ত হবে দ্বিমুখী। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলার তদন্ত করবে সিবিআই, আর বাকি মামলার তদন্ত করবে সিট। ৩৩৮৮৭টি মামলার মধ্যে ১০০০ মামলায় রাজ্য পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। ধর্ষণ, খুন, লুট মামলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও খবরই নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনও রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মন্তব্য করেছিলেন “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা হয়। তার মানে এই নয় যে সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পুলিশ বন্ধ করে দেবে’’।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, “যে সময়কার অত্যাচারের (Post Poll Violence) কথা বলা হচ্ছে, তখনও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল প্রশাসন, আমার অধীনে ছিল না। গত তিনমাস ধরে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।” বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, হিংসার দায়ভার সম্পর্কে তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো এক চিঠির মধ্যেও রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, হিংসা ঠেকাতে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রাজ্য থেকে দ্রুত রিপোর্ট না পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, এতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা কতটা নিষ্ক্রিয় ছিল। আজ পশ্চিমবঙ্গের ভোট-পরবর্তী হিংসার দু-বছর পার হয়ে গেল। অনেক হিংসার ঘটনাই বিচারাধীন। অনেক বিরোধী রাজনৈতিক সমর্থক ঘরছাড়া। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, হিংসা, হানাহানি, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট কিন্তু এখনও রোজ খবরের শিরোনামে।  (শেষ)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: এবার মালদহ! অভিষেক চলে যেতেই প্রার্থী বাছাই ঘিরে তুুমুল বিশৃঙ্খলা, প্রকাশ্যে কোন্দল

    Abhishek Banerjee: এবার মালদহ! অভিষেক চলে যেতেই প্রার্থী বাছাই ঘিরে তুুমুল বিশৃঙ্খলা, প্রকাশ্যে কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের পর এবার মালদহের ইংরেজবাজার। এই জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনে ইংরেজবাজারের সুস্থানী এলাকায় ব্যালট পেপার দিয়ে প্রার্থী বাছাই-এর প্রক্রিয়া শুরু হতেই তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পরে, তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যাওয়ার পর পরই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। এই ঘটনার আগেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানার বিনোদপুর অঞ্চলের সাতটারি এলাকায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    এদিন অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা করার পর ইংরেজবাজার ব্লকের সব বুথে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। যদিও এই কর্মসূচি শুরু করে দিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) চলে যান। জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চলছিল ভোটদান পর্ব। অভিযোগ, ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের নওদা বাজার এলাকার ৪৬ নম্বর বুথের সভাপতি তাহির মহালদারের নাম বুথ কমিটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। জনসংযোগ যাত্রায় ভোট দান করতে গিয়ে অঞ্চল সভাপতি দেখেন লিস্টে বুথ সভাপতির নাম নেই। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা। ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। পরে, হাতাহাতি হয়। জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। গণ্ডগোলের জেরে এই বুথের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, নিয়ম মেনে সব কিছু হওয়ার দরকার। এলাকার মানুষ বুথের সভাপতিকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ভোট দেওয়ার সময় দেখা যায় বুথ সভাপতির নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। এরপরই আমরা ক্ষোভে ফেটে পড়ি।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ। তিনি বলেন, কারও নাম বাদ দেওয়া হয়নি। আর তালিকায় একাধিক নাম থাকতেই পারে। কোনও গণ্ডগোল হয়নি। আসলে যাদের সঙ্গে কোনও মানুষ নেই, তারা এই ধরনের অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে এসে যেভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে হয়, সেই ঘটনায় প্রদীপ্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। দলও যে বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দণ্ডিকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর পুলিশি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চলেছেন অভিযুক্ত এই নেত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন আদিবাসী মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর দণ্ডিকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে চলে তদন্ত। এবার আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন তিনি। দলীয় পদ খোয়ানোর পর এবার আইনি নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে এই আইনি নোটিস পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে দণ্ডিকাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আগেই তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী পদ খোয়ান তিনি। পুলিশি নোটিশ পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন পুলিশ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুলিশ ভাল ভাবে কাজ করছে। দলকে সাধুবাদ জানাবো। আগামী দিনও দলের ঊর্ধ্বে গেলে পরে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব

    এনিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ পাঠানো নয়, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইন লাগু করতে হবে। তৃণমূল (TMC) নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোন কাজ করে না, সেটা আবারও প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)। এই ঝড় যদি বাংলায় আঘাত হানে তাহলে কী করণীয়, তা নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে হল বৈঠক। মহকুমা শাসকের দফতরে হয় এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ। যদিও বৈঠকের পোশাকি নাম প্রি-মনসুন প্রিপারেশান মিটিং। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা। স্বাস্থ্য, পুলিশ, দমকল এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

    ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)…

    জরুরি ভিত্তিতে দুর্বল নদীবাঁধের সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় (Cyclone Mocha) (যদি হয়) সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টকে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় মানুষকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সেদিকটি দেখা হয়েছে। কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখানকার মানুষদের পরিষেবা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার মালদহের সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৭ তারিখে মোচা না মোটা কী যেন একটা আসছে। অনেকেই বলছে, পাথরের মতো কিছু একটা আসবে, আর সব নাকি দুমদাম করে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে। নানা লোক নানা রকম বলছে। আমাদেরও একটা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দল রয়েছে। আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক হতে পারি, তবে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    ২০২০ সালে আছড়ে পড়েছিল আমফান। সেটিই ছিল সব চেয়ে বিধ্বংসী। ২০২১ এবং তার পরের বছরও এই সময়ই আছড়ে পড়েছিল দুটি ঘূর্ণিঝড়। পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। তার মধ্যেই ধেয়ে আসছে মোচা (Cyclone Mocha)। সেটির অভিমুখও বাংলা হতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহাওবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে চিন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক জয়শঙ্করের

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে চিন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ায় চলছে দু দিন ব্যাপী সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এই বৈঠকের ফাঁকেই বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিনের বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO Summit)…

    জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বাখতিওর সাইদভেরও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয় এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। প্রসঙ্গত, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সভাপতির দায়িত্ব চলতি বছর ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির হয়ে সওয়াল করেছিল উজবেকিস্তান।

    জয়শঙ্করের (SCO Summit) সঙ্গে এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রী কুইন গ্যাংয়েরও। অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। দুই দেশই সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থার পক্ষে একমত হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে জি-২০ সদস্যভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয় দিল্লিতে। ওই সময় চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজনাথ। সেবারও সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর (SCO Summit) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশই পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে জয়শঙ্করের আলোচনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক হচ্ছে গোয়ায়। এই সাংহাই কো-অপারেশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্য আট দেশ। এই দেশগুলি হল, ভারত, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া। ডায়লগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে মিশর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান এবং সৌদি আরব, এই ৯টি দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: জ্বলছে মণিপুর! দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ, অশান্তির কারণ ঠিক কী?

    Manipur Violence: জ্বলছে মণিপুর! দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ, অশান্তির কারণ ঠিক কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ। শর্তসাপেক্ষে এই নির্দেশ জারি করেছেন মণিপুরের রাজ্যপাল। সমস্ত জেলাশাসক, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নোটিশ ইস্যু করার জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল। ইম্ফল উপত্যকায় মৈতেই (Meitei) জনজাতির তরফে দাবি তোলা হয়েছে, তাদের তফশিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। যদিও মৈতেইদের এই দাবি মানতে পারছেন না স্থানীয় কুকি সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। তা থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। তার জেরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে হিংসা।

    মণিপুরে হিংসার (Manipur Violence) কারণ…

    মণিপুরে এথনিক গোষ্ঠী মৈতেই। আর কুকি হল অন্যতম একটি বৃহত্তম উপজাতি। বুধবারের হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা এবং অসম রাইফেল পার্সোনাল। হিংসায় (Manipur Violence) রাশ টানতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন জেলায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। মণিপুরে ১৬টি জেলা রয়েছে। ইম্ফল উপত্যকায় মৈতেইরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। এঁরা হিন্দু। উপত্যকার পাঁচটি জেলায়ই এঁদের আধিপত্য রয়েছে। যদিও পাহাড়ি জেলাগুলিতে নাগা এবং কুকি উপজাতিদের আধিপত্য।এই কুকি এবং নাগারা হলেন খ্রিস্টান। পাহাড়ের চার জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মৈতেই। যদিও গোটা রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় বাস তাদের। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৩৫টি উপজাতি সম্প্রদায়ের বাস। এদের সিংহভাগই নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের। রাজ্যের ১০ শতাংশ এলাকা বাদে বাকি অংশে বাস করেন এই ৩৫টি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    অল মণিপুর ট্রাইবাল ইউনিয়নের (Manipur Violence) সাধারণ সম্পাদক কেলভিন নেইশিয়াল বলেন, এই প্রতিবাদের নেপথ্যে প্রধান কারণ হল মৈতেইরা তফশিলি উপজাতির মর্যাদা চাইছে। তারা এগিয়ে থাকলেও কীভাবে তাদের এসটির মর্যাদা দেওয়া হবে? তিনি বলেন, ওরা যদি এসটির মর্যাদা পায়, তাহলে আমাদের সব জমি কেড়ে নেবে। কেলভিন বলেন, কুকিরা খুব গরিব। তাই তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। তাদের জন্য কোনও স্কুল নেই। ঝুম চাষের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে তারা। যদিও মৈতেইদের দাবি, এটা কোনও ইস্যুই নয়। আসল কারণটা হচ্ছে, রাজ্য সরকার যে রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে চাইছে, তাতেই ভয় পেয়েছে কুকিরা। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কী মিলল?

    CBI: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা অভিযান চালান। জয়দীপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে চলে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সকাল ন’টায় ওই নেতার বাড়িতে আসে সিবিআই (CBI)। বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। তবে, সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কোনও কথা বলতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূলের কাউন্সিলর?

    সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর জয়দীপ দাস বলেন, ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাড়িতে সিবিআই (CBI) এসেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সূত্র ধরেই তারা এদিন আমার বাড়িতে এসেছিল। আসলে তৃণমূল করি বলেই এসব হচ্ছে। আমি সমস্তরকমভাবে তাদের সহযোগিতা করেছি। আমার বাড়িতে এবং অফিসে ওরা তল্লাশি চালায়। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। আমার দুটি ফোন আর আমার স্ত্রীর একটি ফোন তারা খতিয়ে দেখেছে। আর বাড়ি থেকে দুটি কাগজ নিয়ে গিয়েছে। তাতে পাড়ার দুজনের বায়োডেটা ছিল। এর বেশি কিছু তারা নিয়ে যায়নি।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে নিউ বারাকপুরের দক্ষিণ মাসুন্দার জগদীশ বসু রোডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও সিবিআই (CBI) হানা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের এই হানা বলে এই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সুকান্তবাবু বাড়িতেই ছিলেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুপারিশ নথি সহ বিভিন্ন কাগজপত্র সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। সকাল থেকে তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সিবিআই তল্লাশি চালায়। তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পত্তির পরিমাণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য সুকান্ত আচার্যকে। এর আগেও দুর্নীতিকাণ্ডে নিজাম প্যালেসে ইডি হেফাজতে একাধিকবার জেরা করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন এই আপ্ত সহায়ককে। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা সুকান্তবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে কোনও কিছু বলতে চাননি। সুকান্তবাবুর পরিবারের এক সদস্য বলেন, সিবিআইকে (CBI) সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় অগ্রগতি, রেকর্ড করা হল গোপন জবানবন্দি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় অগ্রগতি, রেকর্ড করা হল গোপন জবানবন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে (CBI)। দিন কয়েক আগেই বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন, কোথায় ডেভেলপমেন্ট? শেষমেশ মিলল সেই ডেভেলপমেন্ট। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এই প্রথম কারও গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, নাইসার আধিকারিক পঙ্কজ বনশলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় অগ্রগতি…

    ওএমআর শিট কারা নষ্ট করার নির্দেশ দিল, মূলত তা জানতেই রেকর্ড করানো হয়েছে গোপন জবানবন্দি। কোন সিন্ডিকেটে কারা, কারা কাদের কাছে নির্দেশ পাঠাত, তাও জানার চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার আদালতে ওই ব্যক্তির গোপন জবানবন্দি করানোর জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করলে নাইসার ওই আধিকারিকের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় আদালতে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) তদন্তের গতি নিয়ে দিন কয়েক আগে বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের পর শুধু আবেদন জমা পড়ছে। এই বিষয়ে যা প্রয়োজনীয়, তা করার কথাও জানান বিচারক। পরে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, আজ আমি কিছু বলব না, যা করার তা কলম দিয়ে করে দেব।

    আরও পড়ুুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, মিডলম্যান নীলাদ্রি ঘোষকে কবে গ্রেফতার করেছেন? এর পর তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে? ভর্ৎসনার সুরে বিচারক বলেন, নীলাদ্রি-কুন্তল-তাপস কাকে টাকা দিলেন, তিনি তো পিকচারেই নেই। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের জমা করা কেস ডায়েরি দেখে বিচারক বলেন, প্রসেস বলছেন শুধু, এভাবে কতদিন আটকে রাখব। তিনি বলেন, এটা তো সিভিল কেস হচ্ছে? নিশ্চিতভাবে তদন্তে কিছু পজিটিভ অগ্রগতি থাকতে হবে। মিসিং লিঙ্ক থাকলে কারও কিছু করার থাকবে না। চার্জশিট হয়ে অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাবে।

    সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে বিচারক বলেন, গতি বাড়ান। যাঁরা প্রতারিত (SSC Scam) তাঁদের গোপন জবানবন্দি নিতে বলা হয়েছিল। এতদিন সিবিআই চুপ করে বসে ছিল। আদালত একাধিক প্রশ্ন করলেও, সিবিআইয়ের কাছে সদুত্তর নেই। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের বলছি, তদন্ত দ্রুত শেষ করুন। তদন্ত যেহেতু প্রসেসের মধ্যে রয়েছে, তাই জামিন দিলাম না। প্রসঙ্গত, শনিবার, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে ১২ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। কনভয় থেকে নেমে দলীয় নেতাদের অপকর্মের কথা যুবরাজকে হজম করতে হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইংলিশবাজার থানার বিনোদপুর অঞ্চলের সাতটারি এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরের মধ্যেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ?

    বৃহস্পতিবার মোথাবাড়িতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। এদিন দুপুরে ইংলিশবাজার ব্লকের সাতটারি এলাকা দিয়ে তাঁর কনভয় মোথাবাড়ির জনসভার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় সাতটারি এলাকায় অভিষেকের কনভয় আটকে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে অভিষেক (Abhishek Banerjee) গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কী কারণে তাঁরা রাস্তায় নেমে এভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা তিনি জানতে চান। মূলত জেলা পরিষদের সদস্যা, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিষেকের কাছে বিক্ষোভকারীরা দরবার করেন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখানোর সময় অভিষেক (Abhishek Banerjee) এক গ্রামবাসীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে, অভিষেক চলে যাওয়ার পর ওই গ্রামবাসী জানান, ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি এর সঙ্গে জড়িত। জেলা পরিষদের সদস্যা প্রতিভা সিংহ এলাকায় এসে আমাদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। এলাকায় ৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এলাকাবাসী কাজ করেও কোনও টাকা পাননি। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রতিভা সিংহ সহ সব পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের এবার টিকিট দেওয়া যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব কিছু শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share