Tag: bangla news

bangla news

  • Lay Off: কাজে লাগানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ফের ছাঁটাই করতে চলেছে আইবিএম?

    Lay Off: কাজে লাগানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ফের ছাঁটাই করতে চলেছে আইবিএম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজার দাপাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল (Artificial Intelligence) ইন্টেলিজেন্স। তার জেরে কর্মহীন হতে চলেছেন বহু কর্মী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে কর্মীর অভাব পূরণ করতে চাইছে বিভিন্ন সংস্থা। জানা গিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম (IBM) নতুন করে আর কর্মী নিয়োগ করছে না। বরং কর্মী ছাঁটাই (Lay Off) করতে চলেছে। নামী এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা কৃত্রিম মেধাকে কাজে লাগিয়ে কর্মীর অভাব পূরণ করতে চাইছেন। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে। যদিও এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার তরফে কোনও আধিকারিক।

    কর্মী ছাঁটাই (Lay Off)…

    ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁরা কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। অন্ততপক্ষে ৭ হাজার ৮০০ জনকে ছাঁটাই (Lay Off) করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হতে পারে। মন্দার জেরে বিভিন্ন কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। সম্প্রতি অ্যামাজনও বেশ কিছু কর্মী ছাঁটাই করেছে। সেই কর্মীদের অভাব পূরণ করতে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কথা ভাবছেন। জানা গিয়েছে, এই সব কোম্পানির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএমও। চলতি বছরের শুরুতেই সংস্থাটি জানিয়েছিল, খুব শীঘ্রই ৪ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করবে তারা।

    আরও পড়ুুন: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    আইবিএমের ওই কর্তা এও বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থার ৩০ শতাংশ কাজ করানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে। আইবিএমে কাজ করে ২৬ হাজার কর্মী। সেক্ষেত্রে ৭ হাজার ৮০০ জনকে সরিয়ে (Lay Off) সেই জায়গা দখল করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাঁর দাবি, পরিস্থিতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাক অফিস এবং এইচআরে কর্মী কমানো হবে।

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে এমন কিছু কাজ করিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে, যেখানে কর্মচারির কোনও প্রয়োজন হবে না। যেমন, কাস্টমার কেয়ার পরিষেবা হিসেবে একাধিক সংস্থা এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ওই সংস্থা কাজ করছে। কোড তৈরি করে দিচ্ছে। এসব কারণেই কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে বিভিন্ন সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সিবিআইয়ের (CBI) ওপর মামলার পাহাড়। তদন্তের চাপে কার্যত নাজেহাল হওয়ার জোগাড় সিবিআই আধিকারিকদের। এমতাবস্থায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, ৫ জন দক্ষ সিবিআই আধিকারিক কলকাতায় আসছেন।  

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)…

    এদিন শান্তনু পান্ডার একটি মামলায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি মামলা করে সিবিআই তদন্ত দাবি করছেন। রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো কথাই নেই। তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। কিছু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও থাকে। এই অবস্থায় সিবিআইকে নতুন তদন্ত দিতে আদালত (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। সিবিআইয়ে যে কর্মীর অভাব রয়েছে, তা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মামলার চাপ সামলাতে অনেক অফিসার আনা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই আরও ৫ জন দক্ষ অফিসার কলকাতায় আসছেন। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    গত কয়েক মাসে প্রায় ৫০টি মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিছু মামলায় সেই আর্জিতে সায়ও দিয়েছে আদালত। কয়েকটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে গত ২২ মাসে ২৩টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের প্রশ্ন, সবাই সিবিআই তদন্ত চাইছেন। কিন্তু আপনারা কি এত তদন্ত ভার নিতে সক্ষম? এত আধিকারিক কি আছে আপনাদের?

    এদিন ওই মামলার শুনানিতে কাঁথি থানার আইসির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত (Calcutta High Court) । তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কাম্য নয় বলেই মনে করে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, ওই থানার সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে বক্তব্য জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kremlin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    Kremlin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) ওপর ড্রোন (Drone) হামলা! প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ওই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) দিকে। রুশ প্রশাসন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি সুস্থই রয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য রাশিয়ার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, রাশিয়ার ড্রোন হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

    ক্রেমলিনের (Kremlin) দাবি…

    বুধবার ক্রেমলিনের (Kremlin) তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানববিহীন দুটি ড্রোন রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে এসে ধাক্কা মারে। এর পরেই ড্রোন দুটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মস্কোর মেয়র বলেন, রাশিয়ার রাজধানীর ওপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোনকে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    রাশিয়ার ওপর এই ড্রোন হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্রেমলিনের ওপর আছড়ে পড়ছে দুটি ড্রোন। চোখ ধাঁধাঁনো আগুনের ঝলকানি মিলিয়ে যাওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে রাশিয়ার দাবি, পুতিনকে হত্যা করতেই জোড়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সঠিক সময়ে প্রত্যাঘাত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মস্কোর (Kremlin) অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মিখাইলো পোডোলাইক বলেন, ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ইউক্রেন ক্রেমলিনে হামলা চালায়নি। কারণ এতে মিলিটারি কোনও উদ্দেশ্য সাধন হবে না। তাঁর দাবি, এটা মস্কোর নাটক। তিনি বলেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রস্তুতির আগে এটা রাশিয়ার একটা অজুহাত মাত্র। তিনি বলেন, ইউক্রেন কেবলমাত্র প্রতিরোধ করছে। রাশিয়া (Kremlin) ভূখণ্ডে ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত হামলা চালায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘ধীরে ধীরে নীচে আসছেন’’! মমতা, অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘ধীরে ধীরে নীচে আসছেন’’! মমতা, অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘উত্তরে ও জঙ্গলমহলে বারে বারে যাচ্ছেন। কারণ তৃণমূল কোথায় আছে, দেখতে যাচ্ছেন। কই নদিয়া, মুর্শিদাবাদ যান না তো! জানেন এগুলো মারপিট করে জিতে নেব।’’ বুধবার তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে এই কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর আর দক্ষিণে তৃণমূল উপড়ে গিয়েছে। মানুষ ঠিক করেছেন, একটা আসনও দেবেন না। চেষ্টা করছেন। নিজের লোক লুঠপাট করে নিয়েছে। জনসংযোগ করে আর লাভ কী?’’ এবার ট্রেনে চড়ে মালদহে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে নীচে আসছেন। হেলিকপ্টার থেকে ট্রেনে নেমেছেন। এরপর বাসে করে যাবেন।’’

    অভিষেককে দিলীপের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ-বাণ …

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণ দিতে গিয়ে তাঁর গলা ভেঙে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। একেই কটাক্ষ করে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘আমি সারা উত্তরবঙ্গ ঘুরে এলাম। আমার গলাও ভাঙেনি। লুটপাটও হয়নি। উনি দু’দিন ঘুরলেন, গলা ভেঙে গেল। সুখী লোক। আরামে রাজনীতি করেন। এসিতে থাকেন। মাঝে মাঝে বেরিয়ে শো-বাজি করতে হয়। হঠাৎ রোদে বেরলে এরকম হয়। আমাদের দেখে অনুকরণ করছেন। মন্দিরে যাচ্ছেন। লোকের বাড়িতে খাচ্ছেন। লোকের বাড়ি গিয়ে সাজানো খাবার খাচ্ছেন। আমরা খেলে বলা হয় ফাইভ স্টার থেকে খাবার এসেছে। ওঁর খাবার কোন স্টোর থেকে এসেছে? মা চণ্ডীর সামনে যেমন প্রসাদ দেয়, সেরকম ওঁর সামনে খাবার সাজানো।’’ 

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    সভায় পুলিশ প্রহরা নিয়েও অভিষেককে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ওঁর সভায় তো পুলিশই আছে। আর কে আছে? সাধারণ কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢোকার চেষ্টা করলে কী হচ্ছে, দেখতেই পাচ্ছেন। আসলে উত্তরবঙ্গে ওঁর পার্টিটা আছে কিনা, তা দেখতে গিয়েছেন।’’ দিলীপ আরও বলেন, ‘‘এই সরকার যতদিন আছে, পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করছে, তাতে এদের থেকে সুবিচার পাওয়ার আশা করা অন্যায়।’’ পুলিশি অত্যাচার ও রাজনীতিকরণের জন্যই থানায় আক্রমণের ঘটনা বলে মনে করেন তিনি। কাশীপুরে সিপিএম পার্টি অফিস দখল হয়েছে। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ওরা বহু পার্টি অফিস নিয়ে নিয়েছে। বহু পার্টি অফিসের দেওয়ালে আঁচড় কাটলে লাল বা গেরুয়া রং বেরিয়ে পড়বে।’’ তাঁর মতে, রাজ্যের পরিস্থিতি যেন আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতির মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাখিল করা রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিভিন্ন বৈঠক হত মানিক ভট্টাচার্যের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে। বাকি সদস্যদের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মতি জানাতে হত। কী কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে মানিকের মেয়াদ দুবার বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, পর্ষদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল মানিকের হাতে। তদন্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সবটাই এড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিছু চাকরিপ্রার্থীকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাই তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন।

    মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    সিবিআইয়ের দাবি, ওই ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বোর্ডের যে বৈঠকে এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমের ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের চেয়ে কম। কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হননি। রিপোর্টে সিবিআইয়ের আরও দাবি, উর্দু মাধ্যমের দুজন প্রার্থী যাঁরা বাংলা ভাষায় টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বাংলা মাধ্যম স্কুলে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, এই দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তাঁরা সব কাজ করেছেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নির্দেশে। সংসদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর সময় যে ফরওয়ার্ডিং লেটার পাঠাতে হয়, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে সই করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তালিকা না দেখেই সই করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, অন্য অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করলেও মানিক করছেন না। তাই বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে স্ত্রী ও পুত্র সহ জেলবন্দি রয়েছেন মানিক। দীর্ঘদিন জেলে থাকলেও মানিককে বিধায়ক পদ ছাড়তে বলেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। কুন্তল, শান্তনুর মতো তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলারও চেষ্টা করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মানিক (Manik Bhattacharya) সব ফাঁস করে দিতে পারেন বলেই কি তাঁকে সমঝে চলেছে তৃণমূল? উঠছে প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের প্রাথমিকে (2016 TET Examination) যে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, পর্ষদকে তার মেধাতালিকার বিশদ তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পর্ষদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ২০১৬ সালের শেষ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আদালতকে সে বিষয়ে জানাতেও হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীর জেলা, জাতি, শ্রেণি সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর জানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ…

    ২০১৪ সালে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল নিয়োগ। প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি এই টেস্ট না হয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? তাঁর পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অ্যাপটিটিউড টেস্ট না করে একটি নম্বর গড়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কোচবিহার, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং হাওড়ার যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদেরও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের রাহা খরচও দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে। তবে এখনও তাঁর হাতে রয়েছে প্রাথমিকের অন্যান্য মামলা। তারই একটিতে এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা চলাকালীন একটি বিষয়ের ওপর এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জেরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই মতো মঙ্গলবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুটি মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Moyna) নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করবে কমান্ড হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন রাজ্যের দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। পরিবার চাইলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন ময়নাতদন্তের সময়। তাঁর নির্দেশ, কমান্ড হাসপাতাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেবে পরিবার ও ময়না থানাকে।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখন তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় দেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ময়নাতদন্তের পর আবার ফেরত নিয়ে যেতে হবে। চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে এই ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে বলেও নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। আদালতের আরও নির্দেশ, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সহ বাকি উপযুক্ত ধারা এফআইআরে যুক্ত করতে হবে। মঙ্গলবার আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্য জানায়, মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের।

    দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে কোনও আপত্তি নেই রাজ্যের। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, এই মুহূর্তে আমার কাছে যে জিনিসগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি হল, কীভাবে ওই বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হলেন, আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল। পুলিশের কাজের পদ্ধতি ও সত্য খোঁজার পদ্ধতি, নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা, যাঁদের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ প্রসঙ্গে নিহত বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বলেন, কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি খুশি। রাজ্য পুলিশের কাজে আমি খুশি নই। পুলিশের পায়ে ধরে আমি বলেছি, স্বামীকে বাঁচান। আমার ছেলেও বলেছে বাবাকে বাঁচাতে। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। কোনও অভিযোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। এহেন আবহে তমলুক (Tamluk) ও কাঁথির আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি লিখলেন তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতে এক তৃণমূল সাংসদের এহেন অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে তমলুকের সাংসদ লিখেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তমলুকের নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে আমার লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ করে ময়না, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরি, হেঁড়িয়া, ভগবানপুর, পটাশপুরের মতো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে দেখছি। আমার পাশের কেন্দ্র কাঁথিতেও একই অবস্থা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আপনার কাছে আমার আর্জি সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনি যথাযথ পদক্ষেপ করুন।

    কেন চিঠি লিখলেন তমলুকের (Tamluk) সাংসদ?

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ময়নার (Tamluk) বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে সোমবার রাতভর ময়না থানা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এদিন মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ১২ ঘণ্টার ময়না বনধের ডাকও দেওয়া হয়।

    দলীয় কর্মীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করেছেন ডাকাত এসপি অমরনাথ। আর মমতার থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন জেহাদি খুন করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়েছে। পুলিশ খুনিদের হাত থেকে দেহ নিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে এ রকম ঘটনা আগে হয়েছে কি? শুভেন্দু বলেন, এই ঘটনায় আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আর মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে (Tamluk) দিব্যেন্দু এও লিখেছেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ও লাগোয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি যেন পদক্ষেপ করেন। প্রসঙ্গত, ময়নার ঘটনা নিয়ে এখনও রাজভবন কোনও বিবৃতি দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Insomnia: বাঙালির অনিদ্রা কি বাড়ছে? ঘুমের সময় কমে যাওয়া কতখানি বিপজ্জনক?

    Insomnia: বাঙালির অনিদ্রা কি বাড়ছে? ঘুমের সময় কমে যাওয়া কতখানি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতের সংজ্ঞা ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। রাত বারোটাও এখন আর গভীর নয়! আধুনিক ব্যস্ত জীবনের দৌড়ঝাঁপ এখন আর শুধু দিনে নয়, রাতেও চলছে সমান তালে! দিনের মতোই রাতে হচ্ছে অফিস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। আর এর জেরেই কমছে ঘুমের সময় (Insomnia)। যা বিপজ্জনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    অনিদ্রা কী? 

    অনিদ্রার ইংরেজি প্রতিশব্দ ইনসোমনিয়া (Insomnia)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটা আসলে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি। অর্থাৎ, রাতে না ঘুমিয়ে দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম।

    বাঙালির কি ঘুম কমছে? 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বাঙালির অনিদ্রা (Insomnia) বাড়ছে। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ইনসোমনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ৩৩ শতাংশ শহুরে বাসিন্দা ইনসোমনিয়াতে ভোগেন। এরমধ্যে অবশ্য কিশোর-কিশোরীরাও রয়েছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেও অনিদ্রা দেখা দিচ্ছে। 

    কতটা ঘুম পর্যাপ্ত? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম (Insomnia) জরুরি। তার বেশি হলেও সমস্যা নেই। বিশেষত শিশু ও কৈশোরে পা দেওয়া ছেলেমেয়েরা যাতে ন্যূনতম  ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। 

    কম ঘুম কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রা বা কম ঘুমানোর অভ্যাস (Insomnia) বিপদ বাড়াচ্ছে। শরীরে একাধিক রোগের কারণ এই অনিদ্রা। উচ্চ রক্তচাপ সেই তালিকায় অন্যতম। কম ঘুম শরীরে রক্ত সঞ্চালনে নানান সমস্যা তৈরি করে। তার জেরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। তার উপরে হাইপারটেনশনের ঝুঁকিও থাকে। হাইপারটেনশন ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করে নানান হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই হৃদরোগ এড়াতেও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। কম বয়সি বিশেষত স্কুলপড়ুয়াদের অনিদ্রার সমস্যা স্মরণশক্তি হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, রাতে ঘুমের সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতের ঘুমের সময় কমলে হরমোন নিঃসরণ কমতে থাকে। দীর্ঘ সময় পরে যা স্মৃতিশক্তি কমার কারণ হতে পারে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অনিদ্রার সমস্যা। হজমের সমস্যা, তার থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায় অনিদ্রা। অতিরিক্ত রাত জাগলে অনেক সময়ই রাতের খাবার হজম হয় না। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যা থাকলে, সে থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। ওবেসিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাতে না ঘুমোনোর জেরে দেহে মেদ বৃদ্ধি হতে পারে। তবে, শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম প্রয়োজন। কারণ, অনিদ্রার জেরে অবসাদ, অস্থিরতার মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    কীভাবে হবে পর্যাপ্ত ঘুম? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যতই ব্যস্ততা থাকুক, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাই প্রথমেই একটা স্বাস্থ্যকর রুটিন দরকার। স্কুলপড়ুয়া, যারা ভোরে স্কুলে যায়, তাদের রাতের ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় দরকার। অভিভাবকদের সে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর দিকে নজর জরুরি। অর্থাৎ, প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে গেলে সহজেই অনিদ্রার (Insomnia) সমস্যা কমানো যাবে। কারণ, শরীরের একটি নির্দিষ্ট ঘড়ি আছে। সে টের পাবে, কখন তার বিশ্রাম প্রয়োজন। দিনে যতটা সম্ভব ঘুমোনো যাবে না। তবেই রাতের ঘুম হবে। প্রত্যেক দিন শারীরিক কসরত করতে হবে। তবেই স্নায়ু ঠিক সময়ে ঠিকমতো কাজ করবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat TMC: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    Balurghat TMC: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডি-কাণ্ডের জেরে আগেই দলীয় পদ থেকে সরানো হয়েছিল প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে (Balurghat TMC)। এবার প্রশাসনিক পদ থেকেও সরানো হল তৃণমূল নেত্রীকে। দণ্ডি-কাণ্ডে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নোটিস দেওয়া হল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অভিযোগকারী তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলেছিলেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নোটিস দেওয়া হল। পুরসভার আইন মেনে এই পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। ২ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই এই নোটিস কার্যকর হচ্ছে।

    ঘটনাস্থলে অভিষেক

    মঙ্গলবার নিজে বালুরঘাটে গিয়ে সেই মহিলাদের সঙ্গে বসে চা খান অভিষেক। পরে তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন। তাঁদের কথা শোনেন। পরে বেরিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, দলগতভাবে ও প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মিত্র, অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ। এই সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নোটিস নেত্রীকে (Balurghat TMC)।

    অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া গেল না

    প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ভাইস চেয়ারপার্সন (Balurghat TMC) ছিলেন। তাঁকে সরানোর কথা জেলাশাসক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনই। এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর।

    পদক্ষেপ নাকি সস্তা জনপ্রিয়তা?

    প্রশ্ন উঠেছে, এতবড় একটা কাণ্ডে অভিযুক্তর (Balurghat TMC) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতখানি সময় লাগলো কেন? বিরোধীরা বিষয়টিকে আদৌ ভালো চোখে দেখছে না। তাদের বক্তব্য, মূল অভিযুক্তকে প্রশাসনিক পদ থেকে সরানোর জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল? এই ঘটনাই প্রমাণ করে, এ ধরনের কত অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকে। অনেকে আবার এই ঘটনাকে সস্তায় জনপ্রিয়তা কুড়নো বলেও মনে করছেন। তাদের বক্তব্য, ‘যুবরাজ’ যখন ছুটে এসেছেন, তখন কিছু তো একটা করতেই হয়। তাই ওই পদক্ষেপ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share