Tag: bangla news

bangla news

  • India China Meet: রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সম্পর্কের বরফ গলবে কি?

    India China Meet: রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সম্পর্কের বরফ গলবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে পারে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ। পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল দুই দেশের সেনার। দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তারপর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি সাংফু। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি (India China Meet)। লাদাখের পাশাপাশি ডোকলাম ও অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ভারত-চিন বৈঠকের (India China Meet) লক্ষ্য…

    চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই মুখোমুখি হতে চলেছেন রাজনাথ এবং সাংফু। রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুরও। পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ এবং ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকার ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের একটি গ্রামের নামও বদলে দিয়েছে চিন। এসবের পরেও প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা করেছে ভারত। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। এমতাবস্থায় ফের হচ্ছে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। লক্ষ্য সেই সম্পর্কের বরফ গলানো।

    আরও পড়ুুন: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    সাংহাই কো-অপারেশন কর্পোরেশনের সদস্য দেশগুলি হল ভারত (India China Meet), চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। এ বছর বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। বৈঠকে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে যোগ দেবে বেলারুস ও ইরান। সূত্রের খবর, সাংহাই কো-অপারেশন বৈঠকে যোগ দিতে যে সব দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আসছেন, তাদের সকলের সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন রাজনাথ। বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংহাই কো-অপারেশনের অধীনস্থ দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মিলিত উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করবেন।

    জানা গিয়েছে, চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলবেন রাজনাথ (India China Meet)। অরুণাচল প্রদেশেও চিনা সেনার সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়েও কথা বলতে পারেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল তত প্রকাশ্যে চলে আসছে। ঘর গোছাতে যখন উত্তরবঙ্গে নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত, তখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যার জেরে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা গণ ইস্তফা দিলেন।

    কতজন গণইস্তফা দিয়েছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সেই সব নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই তৃণমূলের একদল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, অঞ্চল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির সভাপতি সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলের পদাধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন। এই পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভগবানপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    গণইস্তফা প্রসঙ্গে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই গণইস্তফা বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা, ব্লক, অঞ্চল ও বুথ স্তর থেকে নেতৃত্বে রদবদল এনেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সেই মতোই বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি মথুরা পঞ্চায়েত এলাকায় অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সেই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, ব্লক স্তরে দলীয় কোন্দল এবং দ্বিচারিতার জন্যই আমরা পদত্যাগ করেছি। তবে, আমি প্রধান হিসেবে একা নই, অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, দলকে ভালোবাসতে গিয়ে কর্মীরা অনেক আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তাই কিছু কর্মী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদ থেকে পদত্যাগ করা কোনও সমাধান নয়। বরং, সকলে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে উত্খাত করতে হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গণ ইস্তফার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পরাজয় নিশ্চিত, বুঝে গেছে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের নীচু তলার নেতা কর্মীরা। তাই এই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামারবাড়িতে ঘুরতে এসে এসটিএফের (STF) জালে ধরা পড়ল এক যুবক। তাকে জঙ্গি সন্দেহে হুগলি থেকে গ্রেফতার করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) (STF)। হুগলির দাদপুরে মামার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে সে ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সেখ নাসিম। তাঁর মামার বাড়ি দাদপুরের আমড়া গ্রামে। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে রবিবার বিকালে দাদপুরে গিয়েছিল নাসিম। সেখানেই সে ছিল।

    ধৃত যুবক কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত?

    পুলিশ জানিয়েছে, নাসিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত। বহু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মৌলানা পাশ করে, পড়াশোনা করছিল পাঁশকুড়ায়। মাঝে মধ্যে সে হুগলির দাদপুরে আমড়া গ্রামে মামারবাড়িতে আসত। মামারবাড়িতে এসে সে কয়েকদিন থাকত। এই এলাকায় সে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপ শুরু করেছিল কি না এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন।

    কী করে ধরা পড়ল সে?

    দাদপুরের আমড়া গ্রামে নাসিমের মামারবাড়িতে আচমকা পুলিশ হানা দেয়। বাড়িটিকে চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা বাড়িতে ঢোকেন। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা বলেন, দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে আমি বাইরের দরজা খুলে দেখি পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে নাসিম কোথায়? নাসিম তখন দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এসটিএফের টিম এরপরেই উপরে উঠে যায়। তাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়িতেই কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দাদপুর থানায় নিয়ে যায়। অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায় তাকে। তিনি আরও বলেন, দিদিমার শরীর খারাপ থাকায় সে এখানে এসেছিল। পুলিশ বলছে ভাগ্নে জঙ্গি সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মইনুদ্দিন নামে কাউকে সে চেনে কিনা জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্নে বলেছিল সে এমন কোনও কাজে যুক্ত নয়।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এসটিএফের এই অভিযানে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে আমড়া গ্রামে। নাসিমের মামারবাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নাসিম পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। শুনলাম সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ভাবতে পারছি না।’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    Panchayati Raj: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৪ এপ্রিল হল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার বিশেষ দিন। এই দিনটির মূল বিষয় হল পরিস্রুত এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা এবং স্বচ্ছ গ্রামীণ সমাজ গঠন করা। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল। এই দিনই সাংবিধানকে সংশোধন করে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান (Panchayati Raj Institutions (PRI)) স্থাপন করা হয়। এটি কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে স্থানীয়স্তরের বিশেষ মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।

    পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান কী?

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) প্রতিষ্ঠান হল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা। স্থানীয় মানুষের দ্বারাই সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থার তিনটি স্তর নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এটি গত ২৭ বছর ধরে গ্রামীণ স্তরে সরকারের পরিষেবা নিয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে চলেছে।

    পঞ্চায়েতি রাজের ইতিহাস

    পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) ব্যবস্থার একটি বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘পঞ্চ্‌’ শব্দের মানে হল ‘পাঁচ’ এবং ‘ইয়েত’ শব্দের অর্থ হল ‘বিধান’। ঋগ্বেদে বলা হয় স্থানীয় বা আঞ্চলিক সভা, সমিতি এবং বিধা। গণতান্ত্রিক পরিসরে এই শব্দের বিশেষ ব্যবহার ছিল। ভারতের মৌর্য যুগের রাজাদের সময় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩০০ বছর সময়পর্বে রাজ্যে ছিল স্বায়ত্তশাসন। সেই সঙ্গে এটি ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মৌর্য যুগের পরে গুপ্ত যুগেও শাসন ব্যবস্থা একই রকম ছিল। গ্রামীণস্তরে ছিল গ্রামপতি এবং জেলাস্তরে ছিল বিষয়পতি নামযুক্ত বিশেষ পদ। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে গ্রামীণ পঞ্চায়েতের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ১৮৭০ সাল থেকেই আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধিদের ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া হয়। পাশ হয় মেয়ো রেজলিউশন। নগর নিগম থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিশেষ নিয়ম চালু করে ব্রিটিশ সরকার। আধুনিক ভারতে পঞ্চায়েতি রাজ চালু হয় ১৯৫৯ সালে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর আমল থেকে। কিন্তু সেই সময় এর সাংবিধানিক মান্যতা ছিল না। ১৯৯৩ সালে ৭৩ সংবিধান সংশোধন আইনের মাধ্যমে সাংবিধানিক মান্যতা লাভ করে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। এই সংশোধনীতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এই পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানে তিনটি বিশেষ স্তরযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। যা হল গ্রাম, ব্লক এবং জেলা।

    কেন এই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার ৭৩ তম সংশোধন?

    এই সংশোধনের দুটি ধারা রয়েছে। সাংবিধানিক দুটি স্তর হল ধারা-৯ যা ‘দ্য পঞ্চায়েত’ এবং ধারা ৯-এ যা ‘দ্য মিউনিসিপ্যাল’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে গণতন্ত্রের বুনিয়াদি ধাঁচা হল গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি বা পৌরসভা। এই গ্রামসভা এবং ওয়ার্ড কমিটি স্থানীয় এলাকার সকল প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রাম, তার উপরে রয়েছে ব্লক, তালুক, মণ্ডল এবং তার উপরে জেলাস্তর ২০ লাখ আবাদী পর্যন্ত; (Article 243B)। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ত্রিস্তর ব্যবস্থার (Panchayati Raj) সকল আসনে ভোটে জয়ী হয়ে আসতে হয়। 

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস

    জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ (Panchayati Raj) দিবস হল তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা গ্রামীণ ক্ষেত্র পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি হল একটি এমন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সরকার গ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজের যোজনাগুলি বাস্তবায়িত করে থাকে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সমাজের প্রয়োজন বুঝে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে খুব সাহায্য করে এই ব্যবস্থা। তাই ২৪শে এপ্রিল দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মানুষের কাছাকাছি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ মাধ্যম হল এই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা। 

    এই বছরের থিম 

    এই বছর এক সপ্তাহ ধরে দিনটি (Panchayati Raj) পালন করা হবে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্যকর পরিমণ্ডল, পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা, এবং পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ সবুজ পঞ্চায়েত সম্পর্কিত জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হবে সারা দেশ ব্যাপী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘আমিও ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আমিও ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনাদের মতো আমিও ‘মন কি বাতে’র শততম পর্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৩০ এপ্রিল রবিরার মন কি বাতের শততম পর্ব সম্প্রচারিত হবে। এদিন দাদরা নগর হাভেলি জেলায় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর মিলেট বর্ষ হিসেবে পালিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিলেটের জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে। তা সে রাগি কুকিস হোক কিংবা ইডলি। সেগুলি হটকেকের মতো বিকোচ্ছে। সেই কারণে বাড়ছে কৃষকের আয়ও।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন কি বাতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি একাধিকবার মিলেটের কথা বলেছি। আপনারা জানেন, আগামী রবিবার মন কি বাতের শততম পর্ব সম্প্রচারিত হবে। তিনি বলেন, কৃতী ভারতবাসীর কথা তুলে ধরতে এবং দেশের বিভিন্ন গৌরবোজ্জল অধ্যায় তুলে ধরতে মন কি বাত ক্রমেই একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্মে পরিণত হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মন কি বাত অনুষ্ঠান শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ অন্তত একবার শুনেছেন মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। ২৩ কোটি মানুষ নিয়মিত হয় শোনেন নয় দেখেন প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান। আইআইএম রোহতেকের করা একটি সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। ১০ হাজার তিনজন মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। সমীক্ষক সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চল থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি জোন থেকে রেসপন্স মিলেছে প্রায় ২,৫০০ জনের।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট

    সমীক্ষা থেকে এও জানা গিয়েছে, ৪১ কোটি মানুষ রয়েছেন, যাঁরা আংশিক সময়ের শ্রোতা থেকে পূর্ণ সময়ের শ্রোতা হয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। নানা প্রকল্প এবং সরকারি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন ওই অনুষ্ঠানে। তাই ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন ভারত সরকার সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, শ্রোতাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ দেশ গড়ার কাজে অংশ নেওয়ার কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। ৫৫ শতাংশ শ্রোতা দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের যৌথমঞ্চের। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, আন্দোলনকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় থানার একটি ঘরেও।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এদিন থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আন্দোলন নামে রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পালটা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Polls) আগে ঘর গুছোতে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার কোচবিহারে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন ‘গ্রাম বাংলা মতামত’ কর্মসূচির আওতায় গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। সেই কর্মসূচিকে ঘিরেই এদিন কোচবিহারে দেখা গেল চরম বিশৃঙ্খলা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি, হুড়োহুড়ি মায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটল। ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষমেশ অভিষেক ঘোষণা করলেন, কেন এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, বুধবার ওই জায়গায়ই ফের ভোট হবে প্রার্থী বাছাইয়ের।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় বিশৃঙ্খলা…

    এদিন সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারি এলাকায় জনসভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েতে কারা প্রার্থী হবেন, তা জানতে গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। প্রথমে তিনি সভা করেন সাহেবগঞ্জে। পরে যান গোঁসানিমারি হাইস্কুল মাঠের সভায়। বক্তৃতার শেষে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন। বক্তৃতা শেষ করে শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। তার পরেই শুরু হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ি করে যে যেখানে ছিলেন মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কয়েকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টাও করেন। কয়েকজন আবার তাঁদের বাধা দেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    ব্যালট বাক্স নিয়ে দু পক্ষে কার্যত চলতে থাকে দড়ি টানাটানি খেলা। কয়েকজনকে আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, মারামারি। ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলাও হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্স থেকে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার বের করে ফেলতেও দেখা যায়। হট্টগোল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ মঞ্চ থেকে ঠেলে নামিয়ে দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মঞ্চের নিচে পুলিশের সামনেই ফের একপ্রস্ত মারামারি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Abhishek Banerjee) রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই ঘটে গেল ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের মতো ঘটনা। প্রত্যাশিতভাবেই অশনি সংকেত দেখছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতির। বন্যা, দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রিপল নিজের বাড়িতে মজুত করে রেখে ভোটের আগে বিলি করছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হতেই মালদহের মানিকচকের বালুটোলা জিসারটোলা এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ কয়েকজনের থানায় অভিযোগও হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ত্রিপলের মধ্যে বিশ্ব বাংলা লোগো রয়েছে। সরকারি স্ট্যাম্প রয়েছে। এই ধরনের ত্রিপল সাধারণত ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের বিলি করা হয়। সেই ত্রিপল মজুত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)  গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি মহম্মদ নাসিরের বাড়িতে। মঙ্গলবার জিসারটোলা এলাকায় সরকারি ত্রিপল তৃণমূল (TMC) নেতা বিলি করছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসিদুর রহমানের বাড়ি থেকে সরকারি সিলমোহর লাগানো ত্রিপল বিলি করা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ত্রিপল চাইতে গেলে তাঁদের ত্রিপল দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় বচসা। পরে, এলাকাবাসীদের একাংশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ত্রিপল বিলি নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী ?

    স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইফতাজুল বলেন, বন্যার সময় ত্রিপল বিলি হয়। এখন তো বন্যা নেই, তাহলে ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে কেন? আসলে জিসারটোলা এলাকায় প্রার্থী হওয়ার জন্য সরকারি ত্রিপল বিলি করা চলছিল। আমরা একটি ত্রিপলের নমুনা সংগ্রহ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। রাকেশ আলি অন্য এক বাসিন্দা বলেন, তৃণমূলে (TMC) ভোট দেওয়ার কথা কেউ বললেই তার হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা গিয়ে প্রতিবাদ করি। এনিয়ে আমাদের সঙ্গে বচসা হয়। আমরা থানায় তৃণমূল (TMC) নেতাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসির, আসিদুর রহমান, আজাহার আলী সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি নাসির সেখ বলেন,বিরোধীরা কোনও ইস্যু পাচ্ছে না বলে এসব রটাচ্ছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ত্রিপল বিলি হচ্ছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা গৌর মণ্ডল বলেন, বন্যার সময় সাধারণ মানুষ ত্রিপল পাননি। আর সেই ত্রিপল এখন বিলি করে মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ওরা রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা তা ভাবতে পারছি না। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে হবে নবান্ন অভিযান, মহামিছিল

    DA: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে হবে নবান্ন অভিযান, মহামিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ-র (DA) দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Co-ordination Committee)। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করছে ওই কমিটি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। হয়েছিল অনশনও। কর্মবিরতি, ধর্মঘট দাবি-দাওয়া আদায়ের সব পন্থাই অবলম্বন করেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। তার পরেও সমাধান হয়নি সমস্যার। সেই কারণে চলছে কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন। এবার ডাক দেওয়া হয়েছে নবান্ন অভিযানের। মে মাসের ৪ তারিখ দুপুর আড়াইটে নাগাদ হবে নবান্ন অভিযান।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএর (DA) দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে ইতি টানতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। তাই বন্ধ হয়নি আন্দোলনও। সেই কারণে এবার নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত। যদিও সংগঠনের একাংশের আশঙ্কা, নবান্ন অভিযান করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্য সরকার। ৪ মে কেবল নবান্ন অভিযানই নয়, আরও একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। ২৮-২৯ এপ্রিল রাজ্যের সব জেলার সদর দফতরে দুদিন ব্যাপী ধর্নায় বসবেন কমিটির সদস্যরা। কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, আমরা যে কেবলমাত্র ডিএর দাবিতেই আন্দোলন করছি, তা নয়।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    আমাদের অন্যতম দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, নিয়োগের ক্ষেত্র স্বচ্ছতা, ঠিকা কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের মতো বিষয়গুলিও। তিনি বলেন, এই সব দাবি যতদিন না পূরণ হচ্ছে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজ্যের কোষাগারে প্রতি মাসে ৩৬ টাকা করে ফেরত দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যৌথমঞ্চের নেতারা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের পাওনা ৩৬ শতাংশ ডিএ (DA)। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ডিএ দিতে পারবে না তারা। তাই ট্রেজারিতে ৩৬ টাকা করে অনুদান দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। ৪ মে নবান্ন অভিযানের পর যৌথমঞ্চ মহামিছিল করবে ৬ মে।

    এদিকে, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শীর্ষ প্রশাসনিক ভবনে সরকারি স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে স্মারকলিপি দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্যের সব সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে অন্য সরকারি কর্মীদের মতো হেল্থ স্কিমের সুবিধা দেওয়ার দাবিতে নবান্ন ও বিকাশ ভবনে ডেপুটেশনও দিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে আবেদন করেছিল বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল। তৃণমূল (TMC) ঘুরে বিজেপিতে ফিরতে মরিয়া মুকুল দিল্লিতে পড়ে রয়েছেন হত্যে দিয়ে। যদিও বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা দেখা করেননি মুকুলের সঙ্গে। এমতাবস্থায় পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ভোলবদল…

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরে তাঁকে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে পদ্ম চিহ্ন নিয়ে ওই আসনে হইহই করে জিতে যান মুকুল (Mukul Roy)। এর পর ১১ জুন, ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। সপুত্র মুকুলের ঘর ওয়াপসির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবদলের পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ।

    এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের। স্পিকার তাঁর রায় ঘোষণা করলেও, আদলতে বিচারাধীন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন। এহেন আবহে গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান মুকুল। বীজপুর থানা এবং দমদমের এয়ারপোর্ট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। পরে জানা যায়, মুকুল গিয়েছেন দিল্লিতে। সেখানেই রয়েছেন। এর পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুকুল বলেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। কোনওদিন তৃণমূলে ছিলেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে থেকেই কাজ করতে চান। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মুকুলের (Mukul Roy) বিজেপিতে ফেরার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুকুল যখন দলত্যাগ করেছিলেন, তখন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। তাই তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তা নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দফতর জানিয়েছে, আবেদন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share