Tag: bangla news

bangla news

  • Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) আতস কাচের তলায় ছিলেন নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) তাপস সাহা (Tapas Saha)। দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়ি ও কার্যালয়ে টানা তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। তার জেরেই বুধবার তাপসকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে। কেবল সিবিআই নয়, তাপসের দিকে নজর রয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিরও। সিবিআইয়ের এফআইআরের সূত্র ধরেই তাপসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে ইডিও। যদিও সিবিআই তল্লাশির পর এই তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূল নেতা তাপস সাহার (Tapas Saha) দাবি…

    তিনি এও দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেরই একাংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কোনও টাকা নেননি বলেও দাবি করেছিলেন তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর পর দলীয় কর্মীরা যাতে তাঁর পাশ থেকে সরে না যান সেজন্য তদন্তকারীরা চলে যাওয়ার পরেই বাড়িতে দলীয় কর্মীদের মহাভোজ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস। দলের নেতা-কর্মীদের ডেকে খাইয়েছিলেন মাংসভাত। এহেন তৃণমূল নেতাকেই এবার দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাপসেরও (Tapas Saha)। তাঁর বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সেই সময় তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে তেহট্টের বিধায়কের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও। বেঙ্গালুরুতে ফ্ল্যাট রয়েছে তাপসের ছেলের। সেই ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাপসের বাড়িতে তল্লাশির পর তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তাপসের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে তিনজনেই রয়েছেন গরাদ-বন্দি। এবার তাপসকে (Tapas Saha) ডাকল সিবিআই। তাহলে কি তাঁরও পরিণতি হবে দলীয় তিন বিধায়কের মতোই? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, তদন্তে লন্ডনে যাচ্ছে এনআইএ

    NIA: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, তদন্তে লন্ডনে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে যাবে এনআইএ (NIA)। গত মাসে লন্ডনে (London) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে তাণ্ডব চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা (Pro Khalistan)। সেই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার ব্রিটেন যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, লন্ডনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের সেই বিবৃতি করা হবে রেকর্ডও। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে। তার পরেই রাজার দেশে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তদন্তে এনআইএ (NIA)…

    সম্প্রতি খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু তথা ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র নেতা অমৃতপাল সিংহ। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর প্রায় ৩৬ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই নেতাকে। অমৃতপালের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু হতেই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থীরা। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুরও চালানো হয়। খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে টাঙানো জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। দ্রুত সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ছবি। তার পরেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় ভারত (NIA)। ঘটনার পরে পরেই ব্রিটেনের কাছে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    খালিস্তানপন্থীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন অ্যালেক্স। ঘটনাটিকে মর্যাদাহানিকর ও সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয় বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর ঘটনায় ইউএপিএ আইনের ধারা সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তার পরেই এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই তদন্ত করতেই লন্ডনে যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    লন্ডনের ওই ঘটনার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে বেনজির হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাকে লঘু করে দেখছে না ভারত। শুধুমাত্র পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে কাজ হবে না। অপরাধীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তিও দিতে হবে। দূতাবাসের (NIA) নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্রিটিশ প্রশাসনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মন্দিরে পুজো দিয়েই মিলল ফল! ২১ বছর পর নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন স্বামী

    Murshidabad: মন্দিরে পুজো দিয়েই মিলল ফল! ২১ বছর পর নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে পেলেন স্বামী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আট বা দশ বছর নয়। ২১ বছর ধরে প্রতীক্ষা। স্ত্রী ফিরে আসার আশায় ছেলেকে সঙ্গে করে মন্দিরে পুজো দিতেন স্বামী। এক সময় স্ত্রীর বেঁচে থাকার আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে, মন্দিরে পুজো দেওয়া বন্ধ রাখেননি তিনি। ঠাকুরের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কোনও কিছু চাইলে খালি হাতে ফিরতে হয় না তা এখন বুঝতে পারছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধারাপাড়া বিধান কলোনির বাসিন্দা গোবিন্দ রায়। কয়েকদিন আগে অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। আর ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে একজন তাঁর স্ত্রীর খোঁজ দেন। ২১ বছর ধরে যারজন্য অপেক্ষা করে দিন কাটাচ্ছিলেন, অনায়াসে তাঁর খোঁজ মিলতেই হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো অবস্থা তাঁর। ফোনের সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে উত্তরপ্রদেশ পাড়ি দেন তিনি। সোমবারই ২১ বছর পর তিনি ফিরে পান স্ত্রীকে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্ত্রী যখন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তখন গোবিন্দবাবুর ছেলের বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। স্বামী, সন্তানকে ফেলে রেখে তিনি বাড়ি থেকে কোনও কাজে বেরিয়ে গিয়ে আর ফেরেননি। প্রায় ২১ বছর আগে অশন্তি রায় নামে ওই বধূ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ মেলেনি। অবশেষে হ্যাম রেডিও-র হাত ধরে ২১ বছর পর নিজের বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পেলেন ওই বধূ। পরিবার ও হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ওই বধূ দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর মন্দিরে ছিলেন। পরে, কোনওভাবে তিনি বেনারসে চলে যান। সেখানকার পুলিশ তাঁকে একটি ট্রাকের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতার করা হয় খালাসিকে। আর গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। ওই বধূ তখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁকে বেনারসের সরকারি মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি এতদিন ছিলেন।

    কী করে হদিশ মিলল ওই বধূর?

    হ্যাম রেডিও পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, কলকাতার এক মহিলা কিছুদিন আগে বেনারস গিয়েছিলেন। ওই মেন্টাল হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের মধ্যে তিনি ফল বিতরণ করেন। সেই সময় ওই বধূর বাংলা কথা শুনে তাঁরসঙ্গে আলাপ জমান তিনি। কিন্তু, তিনি বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেননি। কলকাতার ওই মহিলা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা তাঁরসঙ্গে কথা বলি। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো কথায় টান রয়েছে তাঁর। সেই মতো মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকে যোগাযোগ করেই ওই বধূর আমরা হদিশ পাই। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমরা কথা বলি। ওই বধূর স্বামী গোবিন্দ রায় বেনারস যান। সোমবারই ওই বধূকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২১ বছর পর স্ত্রীকে ফিরে পেয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন তাঁরা। গোবিন্দ রায় বলেন, আমি প্রতিবছরই স্ত্রীর জন্য মন্দিরে পুজো দিতাম। আমরা বহু জায়গায় তাঁর খোঁজ করেছি। কিন্তু, তাঁর হদিশ পাইনি। আমরা তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এতদিন পর স্ত্রীকে ফিরে পাব তা ভাবতে পারিনি। আমার ছেলের বয়স এখন প্রায় ২৫ বছর। এতদিন পর মাকে দেখতে পেয়ে ও খুবই খুশি। ভগবানের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে কিছু চাইলে তিনি যে নিরাশ করেন না, ২১ বছর পর আমি তা সত্যিই অনুভব করলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mann Ki Baat: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শুনেছেন ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ!

    Mann Ki Baat: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শুনেছেন ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। এঁরা অন্তত একবার শুনেছেন মন কি বাত। ২৩ কোটি মানুষ নিয়মিত হয় শোনেন নয় দেখেন প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান। আইআইএম রোহতেকের করা একটি সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। সাংবাদিক বৈঠক করে আইআইএম রোহতকের তরফে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ মানুষ মন কি বাত অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানেন। যা এক বিশাল সংখ্যা, তা বলাই চলে। জানা গিয়েছে, ১০ হাজার তিনজন মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত…

    দেশবাসীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন বলে ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি মাসের শেষ রবিবার সম্প্রচারিত হয় এই অনুষ্ঠান। এই মাসের শেষে সম্প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠানের ১০০ তম পর্ব। সমীক্ষক সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চল থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি জোন থেকে রেসপন্স মিলেছে প্রায় ২,৫০০ জনের।

    সমীক্ষা থেকে এও জানা গিয়েছে, ৪১ কোটি মানুষ রয়েছেন, যাঁরা আংশিক সময়ের শ্রোতা থেকে পূর্ণ সময়ের শ্রোতা হয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। নানা প্রকল্প এবং সরকারি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন ওই অনুষ্ঠানে। তাই ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন ভারত সরকার সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, শ্রোতাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ দেশ গড়ার কাজে অংশ নেওয়ার কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। ৫৫ শতাংশ শ্রোতা দেশের দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    দেশের ৫৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন সরকারের ওপর তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাঁদের জীবন যাপনের মান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর (Mann Ki Baat) এই অনুষ্ঠানের সব চেয়ে বেশি শ্রোতার বয়স ১৯ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।

     

  • Bangladesh President: বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সাহাবুদ্দিন

    Bangladesh President: বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সাহাবুদ্দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া রাষ্ট্রপতি পেল বাংলাদেশ (Bangladesh President)। সোমবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাঁর অধীনেই হবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চলতি বছরই ওই নির্বাচন হওয়ার কথা। এদিন বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথ নেন সাহাবুদ্দিন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামি লিগ। ১২ ফেব্রুয়ারি সাবাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন দল। অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায় নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। এদিন নিলেন শপথ। সাহাবুদ্দিন ছিলেন দেশের প্রাক্তন বিচারপতি। ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাও। তিনি রাজনীতিবিদও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠও তিনি।

    নয়া রাষ্ট্রপতিকে (Bangladesh President) অভিনন্দন…

    দেশের নয়া রাষ্ট্রপতিকে (Bangladesh President) অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামি লিগের নেতারা। তবে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির তরফে এখনও কেউ অভিনন্দন জানাননি সাহাবুদ্দিনকে। নির্দল সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আওয়ামি লিগ সরকারের ইস্তফাও দাবি করেছেন বিএনপি নেতৃত্ব। বাংলাদেশের বয়স ৫২ বছর। সাহাবুদ্দিন হলেন ২২তম রাষ্ট্রপতি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ জিল্লুরর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমে ৪১দিন দায়িত্ব সামলান আবদুল হামিদ। তার পরের দুটো টার্মেই তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি। আবদুল হামিদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পর পর দুটো টার্ম অলঙ্কৃত করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদ।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    সাহাবুদ্দিনের (Bangladesh President) জন্ম ১৯৪৯ সালে, পাবনায়। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন ছাত্রলিগের পাবনা জেলা সভাপতি। পরে হন পাবনা জেলা যুবলিগের সভাপতি। পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরে যোগ দেন বিচারবিভাগে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যা মামলার বিচার চলাকালীন আইন মন্ত্রণালয় তাঁকে সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করেন। বিচার বিভাগের  বিভিন্ন পদে ২৭ বছর চাকরি করার পরে অবসর নেন জেলা আদালতের বিচারপতি হিসেবে। আওয়ামি লিগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি। এবার হলেন দেশের রাষ্ট্রপতি।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gemini Circus: প্রয়াত ভারতীয় সার্কাসের জনক জেমিনি শঙ্করন

    Gemini Circus: প্রয়াত ভারতীয় সার্কাসের জনক জেমিনি শঙ্করন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন জেমিনি শঙ্করন। রবিবার রাতে প্রয়াত হন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে গত কয়েকদিন ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভারতীয় (Indian) সার্কাসের জনক হিসেবে পরিচিত শঙ্করন। রবিরার রাতে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সার্কাস (Gemini Circus) জনকের প্রয়াণের খবরটি প্রথম জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন, ভারতীয় সার্কাসকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন শঙ্করন। বিজয়ন বলেন, ভারতীয় সার্কাসের আধুনিকীকরণে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সার্কাস কোম্পানিও। তাঁকে ভারতের প্রাচীনতম সার্কাস শিল্পী মনে করা হয়। একজন সার্কাস পারফর্মার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি।

    সার্কাস (Gemini Circus) জনকের কৃতিত্ব…

    ১৯২৪ সালের ১৩ জুন কেরলের থ্যালাসেরির কোলাসেরিতে জন্মগ্রহণ করেন শঙ্করন। ছোট থেকেই সার্কাসের প্রতি এক অদম্য টান অনুভব করতেন তিনি। ১৯৩৮ সালে সার্কাস দলে যোগ দেন। এজন্য প্রখ্যাত সার্কাস শিল্পী কেলেরি কুনহিকান্নানের কাছে তিন বছরের প্রশিক্ষণও নেন শঙ্করন। পরে যোগ দেন সামরিক বাহিনীতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেখান থেকে অবসর নেন শঙ্করন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে শঙ্করন হয়ে পড়েন পুরোদস্তুর সার্কাস (Gemini Circus) শিল্পী। দেশের বিভিন্ন সার্কাস কোম্পানিতে চাকরি করেছেন তিনি। ১৯৫১ সালে তিনি কিনে নেন বিজয়া সার্কাস। নাম বদলে রাখেন জেমিনি সার্কাস। পরে জাম্বো নামে আরও একটি সার্কাস কোম্পানি তৈরি করেন শঙ্করন। সার্কাসের প্রতি তাঁর অবদানের কথা স্মরণে রেখে তাঁকে আজীবন কৃতিত্ব পুরস্কারে ভূষিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ফের বৈঠকে মমতা-নীতীশ, দোসর তেজস্বী

    দেশ-বিদেশে সার্কাস দেখাতে যেতেন শঙ্করন। ভারতীয় সার্কাস ফেডারেশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। সার্কাসের সূত্রেই তাঁর সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং, মাউন্টব্যাটেন, মহাকাশচারী ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হল দেশের সার্কাস শিল্পে। আত্মজীবনী লিখেছিলেন শঙ্করন (Gemini Circus)। ‘মারিয়ুন্না জীবিথা’ নামের ওই বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১২ সালে। ‘মালাক্কাম মারিয়ুন্না জীবিথাম’ নামে তাঁর জীবনী সম্বলিত একটি বইও রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য তথা দেশ। গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকায় একটি পুকুরের পাশে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর দেহ। মৃতার বয়স ১৭ বছর। নৃশংস এই ঘটনার খবর চাউর হতে আলোড়ন পড়ে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) দ্রুত পৌঁছন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। তার পরপরই আসেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কী বললেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান?

    সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মৃতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করেছি। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং সবকিছু দেখে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। আমরা দিল্লি থেকে ছুটে এসেছি। লিখিতভাবে জানানোর পরও প্রোটোকল অনুযায়ী আইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই ঘটনার যে তদন্তকারী অফিসার তাঁকেও পাওয়া যায়নি। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তা আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

    সিবিআই তদন্তের কেন দাবি জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, দিল্লিতে ফিরে গিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই রিপোর্ট জমা দেব। তবে আমরা ইতিমধ্যেই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অবিলম্বে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানার আইসি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার এসপিকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছি। এঁদের রেখে তদন্ত করলে সেই তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। এরপরেও যদি দেখা যায় যে তদন্তের নামে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তাহলে আমরা সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করব।

    রাজ্য সরকারের কাছে কী আবেদন জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সত্য বা প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা। একথা জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার আরও বলেন, এরপরেও যদি এই ঘটনাকে আড়াল করা হয় তাহলে তার খারাপ পরিণতি হবে। কেননা এধরনের ঘটনায় বারবার অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই অপরাধীরা সাহসী হয়ে উঠছে। ফলে একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এ ধরনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। নিজেদের পরিবারেও এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) কতজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) চারজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার একথা জানান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। তিনি বলেন, ঘটনার পরই আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছিলাম। প্রাথমিক সেই রিপোর্ট আসার পরই আমরা চারজনকে সাসপেন্ড করেছি। জানা গিয়েছে, ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর তার মৃতদেহটি অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি-র আইটি সেলের মুখপাত্র অমিত মালব্য টুইটও করেছিলেন। রাজ্য জুড়ে ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা হয়েছিল। এরপরই চারজনের সাসপেন্ডের ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী বিষক্রিয়ার জেরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেওয়ার যে অভিযোগ মৃতার পরিবার ও জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের তরফ থেকে করা হয়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের বক্তব্য, পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করলে আইন অনুযায়ী যে নিয়মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয় সেভাবে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Evacuation: সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে শুরু অপারেশন কাবেরী

    Evacuation: সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে শুরু অপারেশন কাবেরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই খারাপ হচ্ছে সুদানের (Sudan) পরিস্থিতি। গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে সরকারি হিসেবে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪১৩ জনের। যদিও বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটি এর চেয়ে ঢের বেশি। এই যে ৪১৩জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন একজন ভারতীয়ও (Indian)। জখম হয়েছেন সুদানের তিন হাজারেরও বেশি নাগরিক। এমতাবস্থায় সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরাতে (Evacuation) উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে ফ্রান্স সুদান থেকে ৩৮৮ জনকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়ও। কেবল ভারতীয় নন, বিশ্বের ২৮টি দেশের ৩৮৮ জনকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ইউরোপের ওই দেশটি।

    ইভাক্যুয়েশনের (Evacuation) কার্যক্রম…

    সোমবার ট্যুইট করে ফরাসি দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ফরাসি ইভাক্যুয়েশনের কার্যক্রম চলছে। গত রাতে দুটি সামরিক বিমান ক্রমান্বয়ে ভারতীয় নাগরিক সহ ২৮টি দেশের ৩৮৮ জনকে সরিয়ে এনেছে। এর ঠিক আগের দিন সৌদি আরব জানিয়েছিল, সুদানের ৬৬ জন নাগরিককে ভাই ও বন্ধুত্বপূর্ণ বিদেশি নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, সৌদি আরব তিন ভারতীয়কে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রেখেছিল (Evacuation) সুদানের রাজধানী খার্তুমে। এঁরা তিনজনেই সৌদির বিমান ক্রু। শুক্রবারই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা বর্তমানে সুদানে থাকা ৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক বায়ুসেনার দুটি বিমান ও আইএনএস সুমেধা মোতায়েন করেছে। নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলা হয়েছে সুদান সরকারের সঙ্গে। সুদানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও আমেরিকার সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে গত ১১ দিন ধরে সেনা ও আধাসেনার লড়াই চলছে সুদানে। মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েক হাজার।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    এদিকে, সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার (Evacuation) পথে। ট্যুইট করে এ কথা জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন কাবেরী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার অভিযান অপারেশন কাবেরি শুরু হওয়ার পথে। সুদান বন্দরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন প্রায় ৫০০ ভারতীয়। অনেকেই রয়েছেন বন্দরের পথে। আমাদের জাহাজ এবং এয়ারক্র্যাফ্ট তাঁদের ফেরানোর তোড়জোড় করছে। সুদানে আটকে পড়া আমাদের সব ভাইবোনেদের সাহায্যে আমরা দায়বদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধ করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা খারাপ হতেই মেশিন উধাও। বছর ঘুরলেও সেটি সারানো হয়নি। প্রশাসনের দরজায় ঘুরে জুতোর শুকতলা খুইয়েছেন বাসিন্দারা। নানাভাবে আবেদন-নিবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিকল্প পানীয় জলের সংস্থান বিশ বাঁও জলে। তাই জলকষ্টে (Drinking Water Crisis) নাকাল গ্রামবাসীরা। এমনই চিত্র বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের লবণধারা আদিবাসী গ্রামে। চরম বঞ্চনায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল। পানীয় জলের দাবিতে কলসি, বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ মহিলারা। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতে। 

    বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত, দাবি গ্রামবাসীদের

    জঙ্গলমহল অধ্যুষিত গ্রামটিতে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। সকলে দিনমজুর। গ্রামে পানীয় জলের কষ্ট (Drinking Water Crisis) দীর্ঘদিনের। জলসঙ্কট মেটাতে বছরখানেক আগে ঘটা করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। মাস কয়েক ভালই চলেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আচমকাই সাবমার্শিবলটি খারাপ হয়ে যায়। আর তাতেই আবার জলকষ্ট শুরু হয় গ্রামে। এককথায় পানীয় জলের হাহাকার দেখা দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে আশপাশের পুকুরের জল ব্যবহার করলেও, গরমের শুরুতে সেসব শুকিয়ে পড়েছে। ফলে চরম জলসঙ্কট নেমে আসে। পার্শ্ববর্তী এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিয়ম করে সারাদিনে দুবার পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গ্রামের বুধিন টুডু, মুনিষ হাঁসদা প্রমুখ মহিলারা জানান, “ভোটের সময় নেতারা আসে। ভোট মিটলেই আর দেখে না। আমাদের সমস্যা কেউ শোনে না। বহুবার পঞ্চায়েতে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের নতুন করে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। গরমে দূর থেকে জল আনতে হয়।” সোমবার গ্রামের মহিলাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। এদিন কলসি, হাঁড়ি, বালতি নিয়ে গ্রাম থেকে মিছিল বের করেন তাঁরা। তারপর স্থানীয় পঞ্চায়েতে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ মহিলারা জানান, “গরমে জলকষ্টে নাজেহাল। বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত।”

    ধিক্কার জানাই, বললেন বিজেপি নেতা

    প্রশ্ন, জলসঙ্কট মেটাতে রাজ্য সরকার জলস্বপ্ন ও কেন্দ্র জলজীবন প্রকল্পের ওপর জোর দিয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল পরিষেবা সময় সাপেক্ষ। তবে বছর ঘুরলেও, গ্রামে বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা হল না কেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিক স্থানীয় বোলপুর লোকসভার বিজেপি কর্মী সৌমেন পাত্র বলেন, “তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ঘটা করে পানীয় জলের সাবমার্শিবল বসিয়ে বাহবা কুড়িয়েছিল। আবার খারাপ হতে আস্ত মেশিনটা সারানোর নামে তুলে নিয়ে চলে এসেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৃণমূলের ভাইপো নবজাগরণ যাত্রায় নেমেছে। আর এদিকে রাজ্যের মানুষ কষ্টে (Drinking Water Crisis) ভুগছে। কেন্দ্রের দেওয়া জলজীবন প্রকল্পের রাশি রাশি টাকা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে সঠিক ব্যবহার করেনি। তাই এরকম একটা অকর্মণ্য রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তৃণমূল পরিচালিত দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সি জানান, “ওই এলাকায় সৌর বিদ্যুতের পাম্প বসানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share