মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পরে মণিপুরের (Manipur) রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে, যতদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ততদিন বীরেন সিংকেই কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।
পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, মণিপুরের (Manipur) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক করতে আজ, বুধবার দিল্লিতে একটি বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে সেই রাজ্যের দলের সব বিধায়কে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ওই বৈঠকে কুকিদের ১০ জন বিধায়কও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। বিদায়ী বিধানসভার স্পিকার টি সত্যব্রত, মন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র দফায় দফায় বৈঠক করেও নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি। তাই বুধবারের বৈঠক। দলীয় সূত্রে জানানো হয়, বীরেনের বদলে এমন কোনও মুখ বেছে নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা মেইতেই ও কুকি উভয়পক্ষেই রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি শাসন!
মণিপুরে (Manipur) রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। তবে, সেখানে তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন মণিপুরের কংগ্রেস সভাপতি কে মেঘচন্দ্রা। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সম্ভাব্য অশান্তির আশঙ্কায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে ইম্ফল জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মণিপুরে কুকি এবং মৈতৈ জনজাতির মধ্যে সংঘাত বজায় রয়েছে মণিপুরে। গত ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।