Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    ISIS: ভারতে বড়সড় হামলা করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে পাক জঙ্গিরা? দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্তে কড়া প্রহরার জেরে ফোকর গলে ভারতে ঢুকে জঙ্গি (ISIS) হামলা করতে গেলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তাই এবার ‘প্ল্যান বি’ রূপায়ণ করতে চলেছে লস্কর-ই-তৈবা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে একদল জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দলটি বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ। তারা বাংলাদেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় করছে।

    বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ (ISIS)

    এর আগে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের মডিউল ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। এক আধিকারিক জানান, এই জঙ্গি সংগঠনগুলি বাংলাদেশের উদ্দেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে। বড় ধরনের কিছু একটি যে ঘটতে চলেছে, এটিই তারই ইঙ্গিত। আর এক আধিকারিক বলেন, সীমান্ত এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারণ ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা হতে পারে।

    আইএসআইয়ের সমর্থনে চলছে কার্যকলাপ

    ভারতীয় সংস্থাগুলি জেনেছে, বাংলাদেশে আইএসআইয়ের সমর্থনে বহু কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকির মুখে ছিল, এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাকিস্তান, যার বাংলাদেশে একটি ‘বন্ধু’ সরকার রয়েছে, বড় ধরনের কিছু পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি যাতায়াত-সহ যে সব বার্তা মিলেছে, তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারতকে লক্ষ্য করে আইএসআই একটি বড় ধরনের অভিযানের ছক কষছে।

    এই অভিযানে যৌথভাবে কাজ

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এই অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবা একসঙ্গে কাজ করবে (ISIS)। ভবিষ্যতে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তটি আইএসআইয়ের নির্দেশের পর গৃহীত হয়। এর পর পাকিস্তানে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে। আলোচনা করে কীভাবে একটি একক কমান্ড কাঠামোর আওতায় তারা এগোবে। বাংলাদেশে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে অপারেটিভদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে (Bangladesh)।

    বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে পাক জঙ্গি দল

    জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার বেশ কয়েকটি দল বাংলাদেশে বহুবার গিয়েছে। আলাপ-আলোচনা করেছে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও। সম্প্রতি হাফিজ সাঈদের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বাংলাদেশে ছিল স্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের উৎসাহিত করতে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, চলতি মাসের কোনও এক সময় লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সাঈদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সে তার নিজের গোষ্ঠীর সদস্য-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও দেখা করবে। এও জানা গিয়েছে, ভারতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাঈদ ঢাকা সফর শেষ করলেই এই গোষ্ঠীগুলি তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে। এদিকে, আইএসআই ইতিমধ্যেই নিজেদের চিহ্ন মুছে ফেলার কাজ শুরু করেছে। এ থেকেই স্পষ্ট, হামলার চেষ্টা খুব শীঘ্রই হতে পারে (ISIS)।

    বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গে সুপ্ত নেটওয়ার্কগুলির সক্রিয় হওয়া স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অনেক মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলি বিশেষভাবে প্রভাবিতকরণ এবং উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল (Bangladesh)। এই মাদ্রাসাগুলির সবক’টিই আইএসআই-চালিত, যেখানে প্রচারকরা লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। তাদের মধ্যে কিছু ভারতের ভেতরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই গড়ে উঠেছিল। এখন যেহেতু পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে, তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই মাদ্রাসাগুলি।

    আধিকারিকের বক্তব্য

    এক আধিকারিক বলেন, “এটি পাকিস্তানের একটি পাঠ্যবই-ধাঁচের অপারেশন। বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা চলার সময় যদি এসব মাদ্রাসা খোলা থাকে, তাহলে এর সূত্রের খেই খুব সহজেই আইএসআইয়ের দিকে পৌঁছে যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব মাদ্রাসার সদস্যদের কঠোরভাবে প্রশ্ন করা হলে জানা যাবে কে ওই যুবকদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করেছিল এবং কোন সংগঠনের সঙ্গে তাদের যুক্ত করেছিল (ISIS)।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ক্লাসিক আইএসআই অপারেশন। এবার আইএসআই বাংলাদেশের মধ্যে একটি বলির পাঁঠা খুঁজে পেয়েছে। কোনও হামলা হলে তার সূত্র বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির দিকেও নির্দেশ করবে। এটি পাকিস্তানের ঘাড় থেকে দোষ নামিয়ে ফেলে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটি কৌশল (Bangladesh)। ফলে পাকিস্তান দায় অস্বীকার করার সুযোগ পেয়ে যাবে, আর দোষ পড়বে বাংলাদেশের ওপর।

  • Bangladesh Election: বাংলাদেশে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত, “অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন”, ইউনূসকে আক্রমণ হাসিনার দলের

    Bangladesh Election: বাংলাদেশে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত, “অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন”, ইউনূসকে আক্রমণ হাসিনার দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের (Bangladesh Election) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তাই ইউনূসের ইচ্ছানুসারেই ঘোষণা হল নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তবে এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসিরুদ্দিন ঘোষণা করেছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। একই ভাবে নিষিদ্ধ করা আওয়ামি লিগ অংশ নিতে পারেব না বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দল এক বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রত্যাখান করার কথা ঘোষণা করেছে।

    জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট (Bangladesh Election)

    বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশন এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেছেন, “আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে হবে গণভোট। এক দফাতেই আয়োজন হবে নির্বাচনের। এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, ১২ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হবে ভোট। সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়নের তারিখও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন দাখিল পর্ব চলবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন গৃহীত হলে, কোনও প্রার্থীর প্রত্যহার হলে সেই তালিকা দেওয়া হবে ২০ জানুয়ারি। এরপর ২১ তারিখ দেওয়া হবে প্রতীক দেওয়ার কাজ। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভোট প্রচারের কাজ। তবে এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের দিনেই ঘোষণা হবে গণভোট। এটাও একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। একদিকে নির্বাচনের (Bangladesh) জন্য থাকবে সাদা ব্যালট ওপর দিকে গণভোটের জন্য থাকবে গোলাপি ব্যালট।

    ‘‘খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গ্যাংয়ের অবৈধ নির্বাচন’’

    ইউনূস সরকারের আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামি লিগ একটি লিখিত বিবৃতি আকারে জানিয়েছে, “বাংলাদেশ (Bangladesh) আওয়ামি লিগ গভীর ভাবে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গ্যাংয়ের অবৈধ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল পর্যবেক্ষণ করেছে। এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে, বর্তমান দখলদার বাহিনী শতভাগ পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের অধীনে সুষ্ঠ-স্বাভাবিক পরিবেশ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জনগণের মতমতের প্রতিফলন অসম্ভব। হাসিনার দলের অবশ্য দাবি, নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবেই লড়াই আর জনপ্রিয়তাই দলের মাপকাঠি। আওয়ামি লিগ দল নির্বাচনমুখী দল, জনগণের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো শক্তি কোনও দলেরই নেই। আওয়ামি লিগের শক্তি, সাহস এবং সামর্থ রক্ষায় বিশেষভাবে সক্ষম। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত ১৩টি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি তাঁর মধ্যে ৯টিতে ব্যাপক ভাবে জয়ী হয়েছে।

    রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি চাই

    অন্তর্বর্তী সরকারে গভীর চক্রান্তে বাংলাদেশের (Bangladesh) নির্বাচন এখন একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহমর্মতা রয়েছে এমন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে ষড়যন্ত্র করে বাইরে রাখা হয়েছে। সমগ্র দেশ এবং জাতিকে একটা সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই হাসিনার দলের দাবি, বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের উপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা-সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি চাই। বর্তমান বর্ণচোরা দখলদার সরকার বাদ দিয়ে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

    ইউনূসের প্রতিক্রিয়া

    অপর দিকে নির্বাচন এবং গণভোট ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করবে। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে।”

  • Hindu Freedom Fighters: ইউনূসের বাংলাদেশে নৃশংস খুন সস্ত্রীক হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা, প্রৌঢ় দম্পতির গলাকাটা দেহ উদ্ধার

    Hindu Freedom Fighters: ইউনূসের বাংলাদেশে নৃশংস খুন সস্ত্রীক হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা, প্রৌঢ় দম্পতির গলাকাটা দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশকে (Bangladesh) ছিনিয়ে নিতে যাঁরা লড়েছিলেন, তিনিও ছিলেন তাঁদের একজন (Hindu Freedom Fighters)। ১৯৭১ সালের সেই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা তিনিও। এহেন এক দেশপ্রেমিক এবং তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল বাংলাদেশের রংপুরে। নিহতরা হলেন বছর পঁচাত্তরের যোগেশচন্দ্র রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা। এই মুক্তিযোদ্ধার দুই ছেলেই বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। রবিবার বেশ বেলা পর্যন্তও রায় বাড়ির দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পড়শিদের। তাঁরা একাধিকবার দরজায় কড়া নেড়েও সাড়া পাননি। পরে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় জোড়া মৃতদেহ।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার (Hindu Freedom Fighters)

    বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলেও, তা ছিল হাতে গোণা। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন হাসিনা। দেশের ক্ষমতার রাশ যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের হাতে। কার্যত, তার পর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই যজ্ঞেরই বলি হলেন ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রী। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেই টার্গেট করা হয় হিন্দুদের। বিভিন্ন পদে থাকা হিন্দুদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। অগাস্টের সেই আন্দোলনের আবহে (Hindu Freedom Fighters) পিটিয়ে হত্যা করা হয় ডজনখানেক পুলিশ কর্মীকে। সূত্রের খবর, গত বছরের সেই তাণ্ডবের এক বছর পরেও বাংলাদেশ চলছে পুলিশ ছাড়াই। বস্তুত, ঠুঁটো করে রাখা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। তার জেরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হিন্দু হত্যার লেখচিত্র। সংখ্যালঘু অধিকার সংগঠনগুলির দাবি, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যদিও ইউনূসের দাবি, হিন্দুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত।

    দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া

    মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ (Bangladesh)। এই দলের নির্বাসিত নেতা মহম্মদ আলি আরাফত বলেন, এই ঘটনা মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকটি স্পষ্ট করে। যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামিকে মদত দিয়ে মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে এই ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ড আরও ঘন ঘন ঘটছে (Hindu Freedom Fighters)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা শুধু অপমান ও হামলারই শিকার হচ্ছেন না, বরং ইউনূসের শাসন কালে তাঁদের হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এই শাসন আবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামির দ্বারা সমর্থিত।”

    গলাকাটা দেহ উদ্ধার

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রংপুর জেলার কুর্শার উত্তর রহিমপুর এলাকায় থাকতেন ওই দম্পতি। রবিবার সকালে অনেক ডেকেও সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হন প্রতিবেশীরা। তাঁদেরই কয়েকজন মই বেয়ে উঠে ঢোকেন বাড়ির ভেতরে। তাঁরা দেখেন, সুবর্ণার গলা কাটা দেহ পড়ে রয়েছে রান্নাঘরে, আর ডাইনিং রুমে পড়ে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশের গলাকাটা দেহ। তবে রায় দম্পতিকে কে বা কারা খুন করল তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই বাংলাদেশের কোনও সংবাদ মাধ্যমে। যদিও আওয়ামি লিগের মতে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ইউনূস সরকার ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামি (Bangladesh)।

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন যোগেশ। অবসর নেন ২০১৭ সালে। রংপুরের ওই বাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। তাঁদের দুই ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় এবং রাজেশ খন্না চন্দ্র রায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত। একজনের পোস্টিং জয়পুরহাটে, অন্যজন থাকেন ঢাকায়। যে এলাকায় ওই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে, সেখানে সোমবার সকালে গিয়েছিলেন তারাগঞ্জ থানার কয়েকজন আধিকারিক। গিয়েছে ফরেনসিক দল। শুরু হয়েছে তদন্তও। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের। পুলিশ জানিয়েছে, এই হিন্দু পরিবারকে কেন্দ্র করে আগের কোনও বিরোধের তথ্য তাদের কাছে নেই (Hindu Freedom Fighters)।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর খুনের জেরে বেজায় খেপে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অপরাধীরা দ্রুত ধরা না পড়লে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের হুমকিও দিয়েছেন স্থানীয়রা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর প্রায় ২ হাজারটি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। সেখানে ৯ জন হিন্দুর মৃত্যু এবং উপাসনালয়ের ওপর ৬৯টি হামলার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (Bangladesh)। এর দু’মাস আগেই অক্টোবর মাসে ইসলামপন্থীরা বাংলাদেশজুড়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। ইসকনকে উগ্রপন্থী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবিও জানায় (Hindu Freedom Fighters)।

  • Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh: এক কেজির দাম ২০০ টাকা! পেঁয়াজ পেতে সেই ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের (India) পায়েই পড়তে হল বাংলাদেশকে (Bangladesh)! সে দেশে হুহু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সেই কারণেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের কাছে হাত পেতেছে। বাংলাদেশের একাধিক আমদানিকারী সংস্থা সরকারের কাছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছেন ইউনূস। ৫০ জন আমদানিকারীকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টন করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এভাবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ।

    পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল (Bangladesh)

    বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে চোখে জল আসার জোগাড় সে দেশের বাসিন্দাদের। কোথাও কোথাও পেঁয়াজের দাম হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। কিলো প্রতি ২০০ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সেই দামে রাশ টানতেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সামনে অবশ্য ভারত ছাড়াও আরও পাঁচটি বিকল্প ছিল। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শুল্ক কমিশন বছরখানেক আগে পেঁয়াজ আমদানির ওপর ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে (Bangladesh)। তখনই পাঁচ বিকল্প দেশের কথা বলা হয়েছিল।

    ভারতের বিকল্প

    এই পাঁচটি দেশ হল পাকিস্তান, তুরস্ক, মায়ানমার, মিশর এবং চিন। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করে মায়ানমার, চিন এবং তুরস্ক থেকেও। বাংলাদেশেও পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। যদিও সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগের চেয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশ খানিকটা বেড়েছে (India)। সূত্রের খবর, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট প্রাথমিকভাবে সামাল দেওয়া গেলেই, ভারত থেকে ফের আমদানি বন্ধ করে দেবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য যে, ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশে রফতানি করা হয়, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশই যায় বাংলাদেশে। গত ৩০ অগাস্ট শেষ বার ভারত থেকে পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে গিয়েছিল। তার পর রবিবার ফের ৩০ টন পেঁয়াজের একটা গাড়ি সীমান্ত পেরিয়েছে (Bangladesh)। পেঁয়াজ আমদানির ছাড়পত্র মেলার পর বাংলাদেশের খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। যদিও ৫০ জনকে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় খুশি নন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, আমদানির পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো উচিত ছিল।

    পেঁয়াজ কিনতে ইউনূস প্রশাসনের কাছে আবেদন

    পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইউনূসের কৃষি মন্ত্রকের কাছে অগাস্ট মাস থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে সাড়ে তিন হাজার। তার মধ্যে থেকেই বাছাই করে ৫০ জনকে আপাতত অনুমতি দেওয়া হয়েছে (India)। তুমুল বিক্ষোভের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। বস্তুত, তার পরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে (Bangladesh)। ইউনূস জমানায় বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তারা ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আলু-পেঁয়াজ-চাল-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেওয়া হবে।

    ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়েই বিপত্তি!

    ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে ইউনূস সরকার। তার পরেই শোনা যায় পাকিস্তান, তুরস্ক এবং মিশরের মতো ইসলামিক দেশ এবং চিন ও মায়ানমারের মতো ‘বন্ধু’ দেশ থেকে আমদানি করা হবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ আগেও পেঁয়াজ কিনত মায়ানমার থেকে, তবে তা নিতান্তই কম। পাকিস্তান-সহ তিন ইসলামিক দেশ থেকেও এখন পেঁয়াজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি করছে বাংলাদেশ (India)। তবে এজন্য ইউনূসের দেশকে গুণতে হচ্ছে চড়া মাশুল। ভারত থেকে আমদানি করলে যা খরচ হত, এখন ব্যয় হচ্ছে তার দ্বিগুণ-তিনগুণ। সেই কারণেই ফের ভারতের পায়ে এসেই পড়তে হচ্ছে ইউনূসের দেশকে।

    পেঁয়াজের দর

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের দাম ঘোরাফেরা করছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেখানে বাংলাদেশে চোখে জল আনা অতি প্রয়োজনীয় এই সবজির দর ব্যবসায়ীরা হাঁকাচ্ছেন কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। বাংলাদেশ ভারত থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে। পরিবহণ খরচ এবং বন্দরের শুল্ক মিলিয়ে খরচ হবে কেজি প্রতি আরও ৬ টাকা করে। এখন এই ১৮ টাকায় পেঁয়াজ কিনে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কত টাকায় বিক্রি করেন, সেটাই দেখার। তবে ভারত (India) থেকে গেলে যে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম তুলনায় সস্তা হবে, তা বলাই বাহুল্য (Bangladesh)।

  • Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladeshi Hindu Rights Activist) ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এই অন্ধকার দিনটি একইসঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার অবসানেরও সংকেত দেয়। কারণ উগ্র ইসলামপন্থীরা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হিন্দুদের হত্যা করে (Islamist Atrocities)। নির্বিচারে চালায় লুটপাট-ধর্ষণ। ভাঙচুর করার পাশাপাশি অপবিত্র করা হয় তাঁদের মন্দির এবং বিগ্রহ।

    হিন্দু অধিকার কর্মীর বক্তব্য (Bangladeshi Hindu Rights Activist)

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত “সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের অষ্টাদশ অধিবেশনে” বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু অধিকার কর্মী দীপন মিত্র ইসলামপন্থীদের হাতে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ও নৃশংসতার ঘটনাগুলির কথা তুলে ধরেন। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার ব্যুরোর সভাপতি দীপন  বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছেই।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ইসলামপন্থীদের অপরাধগুলির পরিসংখ্যান দিয়ে দীপন বলেন, “গত এক বছরে ১৮৩ জনেরও বেশি হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। ২১৯ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হাজার হাজার হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে। করা হয়েছে অগ্নিসংযোগও। হিন্দু ও বৌদ্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭৮ জন কিশোরীকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।”

    ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

    তিনি বলেন, “ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দুদের ওপর হামলা, হিন্দু মঠ ও মন্দির দখল – এসব এখন বাংলাদেশে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও তোলাবাজি ব্যাপক হারে বাড়ছে। একদিনও যায় না যখন হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা হয় না, বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় না (Islamist Atrocities)।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্টেই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল বাংলাদেশে মুসলিম দাঙ্গাবাজরা হামলা চালিয়েছিল একাধিক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে। সেই সময় ইসলামো-বামপন্থী গণমাধ্যম যেমন আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস ইত্যাদি এই হিংসাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। ওই গণমাধ্যমগুলির দাবি, যে এই সব ঘটনা আওয়ামি লিগকে সমর্থনের জন্য করা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ। বাস্তবে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে দাঙ্গাবাজরা আওয়ামি লিগের হিন্দু নেতাদের লক্ষ্য করেছিল, তবুও হামলা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিশোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।

    হিন্দুদের দোকান ভাঙচুর

    নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কালাপাড়া, শরিয়তপুর, ফরিদপুরের মন্দির এবং যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় হিন্দুদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছিল (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল হাসিনা দেশান্তিরিত হওয়ার পরপরই। মহম্মদ ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই ইসলামপন্থীরা অকল্পনীয়ভাবে হিন্দুদের ওপর ঘৃণা, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপন হিন্দু আধিকারিক ও শিক্ষকদের চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য চালানো একটি পরিকল্পিত প্রচারের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার (Islamist Atrocities), কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রেস সেক্রেটারি রঞ্জন সেন, কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর অর্পণা রানি পাল—এদের বরখাস্ত করা হয়েছে।”

    হিন্দুদের চাকরি থেকে বরখাস্ত

    তিনি জানান, গত বছর অন্তত ১৭৬ জন হিন্দু শিক্ষক বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। দীপন বলেন, “শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও হিন্দুদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক পুলিশ কর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, যার মধ্যে কৃষ্ণপদ রায়ও রয়েছেন। ২০২৪ সালে রাজশাহি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে চূড়ান্ত নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা ২৫২ জন সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) মধ্যে ২৫২ জনকেই ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ২৫২ জনের মধ্যে ৯৯ জন হিন্দু, দু’জন বৌদ্ধ এবং একজন খ্রিস্টানও ছিলেন।” হিন্দু অধিকারকর্মী আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মহম্মদ ইউনূসের অধীনে, আইজিপি বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছে যেন বাংলাদেশ পুলিশে কোনও হিন্দুকে নিয়োগ করা না হয় (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।

  • CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমানদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কোনও মতে এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক হিন্দু। এমনই ১২ জন হিন্দু শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) -এর অধীনে তাঁদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিয়েছে সরকার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হাতে পেয়ে তাঁরা যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন। যার জেরে অবসান ঘটল বহু দশকের অনিশ্চয়তার। সেই সঙ্গে সূচনা হল এক নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকলেও, নিরন্তর অত্যাচারের কারণে ভারতকেই তাঁরা তাঁদের মাতৃভূমি হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন। শেষমেশ সেই দেশেই চিরকালের জন্য ঠাঁই জুটল সহায়-সম্বলহীন এই ১২জন হিন্দু শরণার্থীর।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রা (CAA)

    এই হিন্দু পরিবারগুলির বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রাটি ছিল যথেষ্ট বেদনাদায়ক। তাঁদের অনেকেই পূর্ব বাংলা ছেড়ে আসেন কেবল পরণের পোশাকটি সম্বল করে। ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের কারণে তাঁদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছিলেন শুধু এই বিশ্বাস নিয়েই যে ভারত তাঁদের রক্ষা করবে। ভারতে বসবাস করলেও বস্তত তাঁরা ছিলেন রাষ্ট্রহীন। নাগরিকত্ব না থাকায় তাঁরা নিয়মিত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতেন না, পাসপোর্ট পেতেন না, কিংবা অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। কোনও নথির প্রয়োজন হলেই তাঁদের বলা হত ১৯৭১ সালের আগের কাগজপত্র দেখাতে। কার্যত এটি ছিল তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ নিরন্তর হিংসার মধ্যে তাঁরা এ দেশে চলে এসেছিলেন কোনওক্রমে।

    লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে

    শরণার্থী এই হিন্দুদের লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তাঁদের নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছে। তৃণমূল তো বটেই, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বহু নেতাও তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যার ফলে এই দেশের হাজার হাজার হিন্দু শরণার্থী দিন কাটিয়েছেন ভয়ে ভয়ে। এই ভয় পাছে কখনও ফের বাংলাদেশে ফিরতে হয়, সেই ভেবে, কখনও বা কাজ হারানোর ভয়ে, এবং যে দেশকে তারা নিজেদের ঘর মনে করত, সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় (CAA)।

    সিএএ

    শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য স্বস্থির হাওয়া বয়ে নিয়ে এসেছে সিএএ। মোদি সরকার এই সিএএ-এর বিধি জারি করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর পরিবর্তন হতে থাকে তাঁদের পরিস্থিতির। এই সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে মতুয়া এবং অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়দের জন্য যাঁরা দেশভাগের সময় ও পরবর্তী কালে ভারতে এসেছেন। অথচ, এই সিএএ-রই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলবল (Indian Citizenship)।মতুয়া সম্প্রদায়ই রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী। তাঁরা মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বহু দশক ধরে ঠাকুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় বহু পরিবার কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করতেন। তাঁরা সব সময় আশঙ্কায় থাকতেন যে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন, নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁরা বলছেন, এখন তাঁরা নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন।

    বিজেপির অবদান

    এই অগ্রগতির একটি বড় অংশই সম্ভব হয়েছে মাস দুয়েক ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিজেপির খোলা সহায়তা কেন্দ্র এবং ক্যাম্পগুলির জন্য। নদিয়া, কোচবিহার এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্যাম্পগুলি হাজার হাজার শরণার্থীকে সিএএর ফর্ম পূরণ, তথ্য যাচাই এবং কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে সাহায্য করেছে। যাঁরা একসময় মনে করতেন তাঁরা কখনওই বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না ভারতে, তাঁরাই এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন (CAA)।

    কী বলছেন নাগরিকত্ব পাওয়া ভারতীয়রা

    সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষ করে হিন্দুরা ভারতে এসেছিলেন। আমার অভিজ্ঞতায়, যখন আমরা ভারতে এসেছিলাম, তখন রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি আমাদের আটক করে বারাসত ও শিয়ালদহে নিয়ে গিয়েছিল। তখন (Indian Citizenship) আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পাসপোর্ট অফিসে যেতে গিয়েও নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পরীক্ষায় বসা বা ভর্তি হতেও বহু নথিপত্র জমা দিতে হয়েছে। এখন সরকারের প্রণীত আইনের আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়ার ফলে উদ্বাস্তু মানুষরা অনেক উপকৃত হয়েছে। উদ্বাস্তুদের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই (CAA)।”

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ২৩ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই সপ্তাহে কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    উত্তরাখণ্ডে নারীর ধর্মান্তর (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে বাংলাদেশের নাগরিক মামুন হাসানকে অবৈধভাবে অবস্থান, নথি জালিয়াতি এবং রীনা চৌহান নামে এক নারীর ধর্মান্তর ও পরবর্তী বিবাহের পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।   উত্তরপ্রদেশে জুনাইদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আর্যন রাজপুত নামে ভুয়ো পরিচয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করে এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রলোভন দেখায়, যৌন নির্যাতনও করে। এডাপাডাভুরে স্কুটারে থাকা চারজন যুবকের একটি দল সোমবার সন্ধ্যায় ২২ বছর বয়সী অখিলেশের ওপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন, পরে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে।

    ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েকে প্রলোভন

    ইউপির সীতাপুর জেলার খৈরাবাদ এলাকার পণ্ডিত পুরওয়ার বাসিন্দা নাজিম। সে পেশায় ট্রাক চালক। অভিযোগ, সে অজয় নামে ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম পরিচয় ব্যবহার করে নিজের প্রকৃত ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রলোভন দেখায়। পরে তাকে নিয়ে পালিয়েও যায়। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তর বিরোধী আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে (Roundup Week)। ২৫ নভেম্বর অযোধ্যায় রাম মন্দিরে ধ্বজারোহন উপলক্ষে (Hindus Under Attack) এক বিরাট অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দিরের চূড়ায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেন। প্রত্যাশিতভাবেই, পাকিস্তান, কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং ভারতের ‘ওয়োক’ মহলের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা ও সমালোচনা করা হয়েছে। কালাবুরগী শহরের রামনগর এলাকায় রিং রোডে ঘটে যাওয়া এক উদ্বেগজনক ঘটনায় রোহিত এবং অনিল নামে দুই ব্যক্তি একটি লরি থামিয়ে তাতে অবৈধভাবে গবাদি পশু বহনের সন্দেহে নথি পরীক্ষা করতে চান। অভিযোগ, তাঁরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁদের ওপর সহিংস হামলা চালানো হয়।

    বাংলাদেশের ছবিটাও বিশেষ বদলায়নি। এখানে প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো ‘সুন্দরী মিত্র বাড়ি দুর্গা মন্দির’, যা সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল ছিল, রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, এটি বেআইনি জমি দখল করতেই করা হয়েছে (Hindus Under Attack)।

  • Bangladesh: অসুস্থ খালেদার প্রতি সংবেদনশীল নন ইউনূস! তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত

    Bangladesh: অসুস্থ খালেদার প্রতি সংবেদনশীল নন ইউনূস! তারেকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা খালেদা জিয়া (Begum Khleda Zia) অসুস্থ, কিন্তু ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। অসুস্থ মায়ের প্রতি সংবেদনশীল নন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান। তিনি গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরস্থিতি ভীষণ ভাবে অস্থির। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিতারিত করার পর দেশের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে চান খলেদা পুত্র। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তারেক জানিয়েছেন, দ্রুত বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরবেন। কিন্তু দেশের আভ্যন্তরীণ জটিল সমীকরণের জন্য কতটা সম্ভব, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

    ইচ্ছে নিজের উপর নির্ভর করবে না (Bangladesh)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা এখন ভীষণ সঙ্কটজনক। আর তাই মাকে দেখার জন্য বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরার কথা জানিয়েছিলেন তারেক। কিন্তু তিনি এটাও জানান, “আমার ফেরার ইচ্ছে নিজের উপর নির্ভর করবে না। সকল শিশুর মতো আমি আমার সঙ্কটের সময় মাকে কাছে পেয়ে মায়ের স্পর্শ পেতে চাই। কিন্তু বাকি সকলের মতো নিজের সিদ্ধান্ত নিজের উপর নির্ভর করবে না। সিদ্ধান্ত এবং ইচ্ছে আলাদা বিষয়। অপর দিকের নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতিও নির্ভর করছে।” তারেক রহমানের একটি ফেসবুক পোস্টেও এই আক্ষেপের কথা শোনা গিয়েছে। যে দেশে হাসিনার আমলে প্রধান বিরোধী দল ছিল বিএনপি, আজ সেই দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নিরাপত্তার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গণতন্ত্র ঠিক কোন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে তা খুব অনুমেয়।

    নিরাপত্তার অভিযোগ!

    বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয়েছে, “দেশের সরকার নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে দেশে আসার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি করছে। তারেক রহমান দেশে ফিরলে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতির বিরাট পরিবর্তন হবে।” অপর দিকে প্রেস সচিব সফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেন, “তারেক রহমানের বিষয়ে সরকার কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।”

    খালেদা (Begum Khleda Zia) গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল খালেদাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে কেন ছেলে তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

  • Islamist Extremists: এবার লালন ফকিরের পবিত্র মাজার ভেঙে ফেলার হুমকি বাংলাদেশের মৌলবাদীদের

    Islamist Extremists: এবার লালন ফকিরের পবিত্র মাজার ভেঙে ফেলার হুমকি বাংলাদেশের মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূস জমানায় অব্যাহত মন্দির-উপাসনাস্থল ভাঙচুরের ঘটনা (Islamist Extremists)। অন্তর্বর্তী এই সরকারের আমলেই বাউল শিল্পীদের ব্যাপক হয়রান করা হয় বলে অভিযোগ (Lalon Fakir)। গ্রেফতারও করা হয় অনেককে। এ সবের পর এবার বাংলাদেশের কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দিয়েছে উনিশ শতকের সাধক-কবি ও আধ্যাত্মিক নেতা ফকির লালন শাহের পবিত্র মাজার ভেঙে ফেলার। লালন তাঁর সাম্যবাদী ও মানবতাবাদী দর্শনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।

    লালনের মাজার ভেঙে ফেলার হুমকি (Islamist Extremists)

    বাংলাদেশের সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত এক উগ্রপন্থী সদস্যকে লালনের মাজার ভেঙে ফেলার হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে। সেখানে তিনি মাজারটিকে ‘অ-ইসলামিক’ বলে দাবি করেছেন। ভিডিওতে ওই ব্যক্তি বলেন, “লালনের কবর হল শিরকের প্রতীক, এবং ইমান রক্ষার জন্য এটি ভেঙে ফেলা জরুরি।” ওই মৌলবীর অভিযোগ, মাজারটি এখন মদ ও গাঁজা খাওয়ার জায়গায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, যদি এটি বন্ধ করা না হয়, তবে তাঁরা গণআন্দোলন শুরু করবেন এবং কবরটি ভেঙে ফেলবেন।

    লালনের মাজার

    বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক হৃদয়ভূমি নামে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলার ছৌড়িয়া গ্রামে রয়েছে লালনের এই মাজার। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ লালন মেলা উপলক্ষে সমবেত হন এখানে। এখানে বাউল শিল্পীরা ঐক্য ও অতীন্দ্রিয়তার বার্তা বহনকারী তাঁর কালজয়ী বাউল গান পরিবেশন করেন (Islamist Extremists)। প্রসঙ্গত, এই হুমকিটি এসেছে বাউল শিল্পীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের প্রেক্ষাপটে, যাঁরা সুফি, বৈষ্ণব এবং আদিবাসী ঐতিহ্যের মিশ্রণে লালনের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন। ইউনেসকো কর্তৃক ‘মানবজাতির অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত বাউল গানের পরিবেশনা ২০২৪ সালের অগাস্টে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে পড়ছে, যেখানে উগ্রপন্থীরা এগুলিকে ‘ধর্মবিরোধী’ এবং প্রচলিত ইসলামী ধারণার জন্য ‘হুমকি’ আখ্যা দিচ্ছে (Lalon Fakir)।

    বাউল শিল্পীদের ওপর হামলা

    সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বাউল শিল্পীদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এর শুরু ১৯ নভেম্বর, যখন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিশিষ্ট বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরপরই ‘তাওহিদি জনতা’ ও ‘আলেম-উলামা’ ব্যানারে পরিচালিত সহিংস মুসলিম দলগুলি আদালত চত্বরে আবুলের ওপর হামলার চেষ্টা করে (Islamist Extremists)। আবুলের গ্রেফতারের প্রতিবাদে যখন অন্য বাউল শিল্পীরা পথে নামেন, তখন তাঁদেরও বিভিন্ন স্থানে মৌলবাদীরা আক্রমণ করে। বাউল শিল্পীদের জবাই করার প্রকাশ্য আহ্বানও জানানো হয়। ২৬ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলায়, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার জন্য কুখ্যাত ইসলামি সংগঠন তাওহিদি জনতার সদস্যরা বাউল শিল্পীদের এক সমাবেশে হামলা চালায়, পাথর ছোড়ে এবং ‘জবাই করার’ স্লোগান দেয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় শিল্পীরা হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে পাশের জলাশয়ে ঝাঁপ (Lalon Fakir) দিচ্ছেন, এবং বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে জখমও হন (Islamist Extremists)।

    “একটা দুইটা বাউল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর”

    ২৩ নভেম্বর ধানমন্ডিতে গ্রেফতার হওয়া বাউল নেতা আবুলের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে যোগ দেওয়া লোকজনকে লাঠি ও ইট দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। হামলার হাত থেকে বাঁচতে চার বাউল শিল্পী রাস্তার পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। হামলাকারীরা তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। পরে জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। মানিকগঞ্জের রাস্তা তখন মুখরিত হচ্ছিল “একটা দুইটা বাউল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর” স্লোগানে। সেদিন ধর্মীয় মৌলবাদীরা বাউল শিল্পীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মিছিল করছিল। এ মাসের শুরুতেও একই ধরনের গ্রেফতারি অভিযান বাউল সমাজকে নাড়িয়ে দেয়। জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে আরও কয়েকজন শিল্পীকে আটক করা হয়। অভিযোগ, তাঁরা অশ্লীল হিসেবে চিহ্নিত নারীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন (Islamist Extremists)।

    হীরক রাজার তথ্য

    বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সর্দার হীরক রাজার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ দিক থেকে লালন স্মরণে অনুষ্ঠিত বহু অনুষ্ঠান-সহ ৩০০টিরও বেশি সঙ্গীত সমাবেশ হুমকির কারণে বাতিল করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার সুফি গায়ক জামাল অগাস্টে এক সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করে বলেন, “দশক ধরে আমরা ভয়হীনভাবে গান গেয়েছি। কিন্তু এখন ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে।” বাউল গায়করা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধি। কিন্তু ইউনূস সরকারের অধীনে তাঁরা এখন আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।

    এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন লালন শাহ নামের এক শিল্পী। আধুনিক কোনও শিক্ষা ছাড়াই তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন বাউল শিল্পী হিসেবে। শৈশবে এক মুসলিম ফকির তাঁকে আশ্রয় দেন। পরবর্তী কালে তিনি (Lalon Fakir) কুষ্টিয়ায় লালন আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন—যা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের বাঁধন অতিক্রমকারী এক আধ্যাত্মিক চর্চার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। সেই আখড়াই এখন হুমকির মুখে (Islamist Extremists)।

  • India on Sheikh Hasina: “আইন অনুযায়ী খতিয়ে দেখা হচ্ছে”, হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে প্রথমবার প্রতিক্রিয়া ভারতের

    India on Sheikh Hasina: “আইন অনুযায়ী খতিয়ে দেখা হচ্ছে”, হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে প্রথমবার প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (India on Sheikh Hasina) নিয়ে বাংলাদেশের করা অনুরোধ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার বিদেশ-মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার মধ্যে রয়েছে শান্তি,গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তি। বুধবার ভারত নিশ্চিত করেছে, যে ঢাকা থেকে পাঠানো শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক অনুরোধ তারা পেয়েছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে কূটনৈতিক বার্তা পাঠায় ভারতকে। সেই বার্তার পর এই প্রথম সরকারি ভাবে প্রতিক্রিয়া দিল নয়াদিল্লি।

    হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি

    ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (India on Sheikh Hasina) বাংলাদেশে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে লেখা হয়েছিল, ভারতীয় হাইকমিশনার যেন দিল্লির বিদেশমন্ত্রকে চিঠিটি যথাসম্ভব পৌঁছে দেন। রবিবার সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর এবার এই নিয়ে প্রথম মুখ খুলল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “হ্যাঁ আমাদের কাছে একটি অনুরোধ এসেছে। আর এই অনুরোধটি বিচারবিভাগীয় এবং আভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পুরোটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও অর্থাৎ ২০২৪-এর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে বার্তা দিয়েছিল। সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই ভারতে কূটনৈতিক বার্তা দেয় পড়শি বাংলাদেশ।

    হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড!

    সম্প্রতি, শেখ হাসিনা (India on Sheikh Hasina) ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশকর্তা আসাদুজ্জামান খানকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। অন্য়দিকে পুলিশকর্তা রাজসাক্ষী হওয়ায় তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল। তবে, হাসিনা ও আসাদ্দুজামান বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। হাসিনা রয়েছেন ভারতে। সেই কারণে হাসিনার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। বস্তুত, ঢাকায় গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকে এখানেই রয়েছেন তিনি। ৭৮ বছর বয়সি শেখ হাসিনাকে গত সপ্তাহে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দেয়। অভিযোগ—গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় তাঁর সরকারের কঠোর দমনপীড়ন “মানবতাবিরোধী অপরাধ”-এর পর্যায়ে পড়ে।

    চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার ভারতের

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভারত গঠনমূলকভাবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।” বাংলাদেশের তরফে দাবি করা হয়েছে, আগের অনুরোধে ভারত “কোনও জবাব দেয়নি”, তবে বর্তমানে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়ে শেখ হাসিনার (India on Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষিত হওয়ায় পরিস্থিতি “ভিন্ন”, এবং এবার নয়াদিল্লির কাছ থেকে উত্তর প্রত্যাশিত। গত সপ্তাহে বিচারিক ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায়। নয়াদিল্লি সেই বার্তার প্রাপ্তিস্বীকার করলেও তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা প্রকাশ করেনি।

LinkedIn
Share