Tag: Bangladesh Court

Bangladesh Court

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই রায় সরাসরি সম্প্রচারিতও হয়েছে। হাসিনার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। রাজসাক্ষী হওয়ায় শাস্তি ছোট করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আল মামুনের। কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এক, উসকানি দেওয়া, দুই হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। ঢাকা আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হাসিনা। সোমবার রায় ঘোষণার পরেই তিনি আদালতের এই রায়কে কারচুপিপূর্ণ, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা এবং গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটহীন, অনির্বাচিত সরকারের সৃষ্টি বলে অভিহিত করেন।

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি (Sheikh Hasina)

    রায় ঘোষণার পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সেজন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর দাবি, এই রায় দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তাও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইব্যুনাল সেই রায় দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে হাসিনা বলেন, “এই রায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফল মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিকভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে (Bangladesh)।”

    অভিযোগ অস্বীকার

    হাসিনা লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইব্যুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-অগাস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেজন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনওই কোনও আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আমাকে নিজের পছন্দ মতো আইনজীবীও বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতদুষ্ট।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হাতিয়ার করেছে দেশের বিচার বিভাগকে। এভাবে তারা একজোট হয়েছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে। বিশ্বের কোনও প্রকৃত পেশাদার আইনজীবী বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের এই রায় সমর্থন করবেন না।”

    ইউনূসের আমল

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরও বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী একটি শাসন ব্যবস্থায় পরিণ হয়েছে, যেখানে পদে পদে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতের দমনপীড়ন চলছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য এতদিন ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে দেরি করেছেন ইউনূস। নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন আওয়ামি লিগকে।” বিবৃতিতে হাসিনা লিখেছেন, “বৈধ ট্রাইব্যুনালে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না। তবে আমি জানি, অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ মানবে না। কারণ তারা জানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা গেলে তারা আমায় অব্যাহতি দেবে (Bangladesh)।”

    এই আদালত অবৈধ

    বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত এবং থানায় এখনও পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৮৬টি মামলা দায়ের হয়েছে (Sheikh Hasina)। ৩৯৭ দিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে ওই মামলায়। ট্রাইব্যুনালের রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবীর নানক বলেন, “এই আদালত অবৈধ। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে। আগামিকাল সারা বাংলাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শাটডাউন হবে। যতক্ষণ না অবৈধ ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে, আমাদের সংগ্রাম ততই তীব্র হবে। একদিন হাসিনা বীরের বেশে বাংলার জনগণের প্রিয় দল হিসেবে ফিরবেন। আমাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।”

    প্রতিক্রিয়া হাসিনা পুত্রের

    ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদও। তিনি থাকেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে। তিনি বলেন, “আমার মা ভারতে নিরাপদ আছেন। ভারত তাঁকে পুরো নিরাপত্তা দিচ্ছে।” ওয়াজেদ বলেন, “আমরা আওয়ামি লিগ ছাড়া নির্বাচন হতে দেব না। আমাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে, আরও বিস্তৃত হবে এবং আমরা যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সংস্থা কিছু না করলে, নির্বাচনের আগে হিংসা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অনিবার্য হয়ে উঠবে মুখোমুখি সংঘর্ষ।‘’ তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “দলীয় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আরও আন্দোলন হবে।” যদিও সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই (Bangladesh)।

  • Muhammad Yunus: ৬ মাস জেল! শ্রম আইনে দোষী সাব্যস্ত নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস

    Muhammad Yunus: ৬ মাস জেল! শ্রম আইনে দোষী সাব্যস্ত নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রম-আইন ভাঙার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী সমাজ কর্মী মহম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)। সোমবার ইউনুসকে দোষী সাব্যস্ত করে ঢাকার আদালত। সেই সঙ্গে ছ’মাসের জেলের সাজাও দেওয়া হল তাঁকে। আদালত তাঁকে হাজতবাসের সাজা দিলেও অবশ্য তাঁকে জেলে যেতে হয়নি। তিনি এবং তাঁর সংস্থার চার কর্মী অবিলম্বে জামিনও পেয়ে যান। 

    কেন দোষী ইউনুস

    বাংলাদেশর সমাজকর্মী তথা একমাত্র নোবেলজয়ী ইউনুসের (Muhammad Yunus) বয়স এখন ৮৩। তাঁর সংস্থা গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘন করে বেআইনি ভাবে কাজ চালানোর মামলা চলছিল। সোমবার সেই মামলায় ইউনুস-সহ তাঁর সংস্থার চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ঢাকা আদালত। সোমবার ঢাকা আদালতে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিনিধিও। রায় ঘোষণার পর তিনিও এই রায়ের সমালোচনা করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি স্পষ্ট বলেন, ‘‘এই নির্দেশ বিচারের নামে প্রহসন। ঢাকা আদালত আদতে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছা এবং সিদ্ধান্তে আইনি ছাপ দিল। শ্রম আইনের অপপ্রয়োগ করে হেনস্তা করা হল সেই নোবেলজয়ীকে, যিনি তাঁর দেশকে গর্বিত করেছেন।’’

    আরও পড়ুন: বছরের পয়লা দিনেই ফের হিংসা ছড়াল মণিপুরে, নিহত ৩, কারফিউ জারি ৫ জেলায়

    ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন ইউনুস (Muhammad Yunus)। তাঁকে ওই সম্মান দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে তাঁর তৈরি মাইক্রোফিন্যান্স ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য। ওই ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে ইউনুস বাংলাদেশের লক্ষাধিক দরিদ্র মানুষকে দারিদ্রসীমা থেকে টেনে তুলেছেন বলে মনে করেছিল নোবেল প্রদানকারী সংস্থা। যদিও বাংলাদেশ সরকার কখনওই তাঁর পাশে ছিল না। ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য আমরা কিছু করিনি।” আর মহম্মদ ইউনুসের আইনজীবী খোয়াজা তনভির বলেন, “এই মামলার কোনও মানে নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বিশ্বের দরবারে ইউনুসের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share