Tag: Bangladesh Crisis

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংককে বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। সেই বৈঠকে পড়শি দেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ভারত (New Delhi) যে উদ্বিগ্ন, ইউনূসকে তা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে ফের একবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তাঁদের ওপর যে নির্মমতার অভিযোগ উঠে আসে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে।

    বাংলাদেশ পুলিশের দাবি (Bangladesh Crisis)

    গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের সিংহভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, গত ৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪টি। তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৪টি অভিযোগ যাচাই করে দেখেছে পুলিশ। যাচাই করা অভিযোগগুলির ৯৮ শতাংশই রাজনৈতিক কারণে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দেখিয়ে বা সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জিত বলে ঘটনাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল

    রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে কখনও রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বা সংবাদ মাধ্যমের অতিরঞ্জিত, এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই ধরনের নৃশংসতায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা করি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে আগেও বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছে ভারত। যদিও ইউনূস প্রশাসন বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভিন দেশের মন্তব্য (New Delhi) যে তাদের না-পসন্দ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রতি কথায় লড়াইয়ের সুর। তিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। লড়াই তাঁর রক্তে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফিরে ফের লড়বেন তিনি। আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন, বলে জানালেন শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Chief Advisor Md Yunus) ফের তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধান উপদেষ্টাকে সুদখোর (Usurer), জঙ্গি (terrorist), সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি (Convicted) বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে আওয়ামি লিগের নিহত কর্মী-সমর্থকদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিনা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram) গ্রুপগুলিতেও নিয়মিত নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা লালমণিরহাটের (Lalmonirhat) কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয় তাঁর।

    সবকিছুর বিচার একদিন হবে

    গত বছরের অগাস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামি লিগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”

    শান্তির দেশ থেকে জঙ্গিদের দেশ

    তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’ এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’

    পড়ুয়ার লাশ চেয়েছিল ওরা

    এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’ সম্প্রতি যেভাবে আওয়ামি লিগ নেতানেত্রী এবং সর্বোপরি হাসিনার দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে জেলবন্দির ‘ছক’ কষছে ইউনুস সরকার, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে দল। সোমবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মিথ্যা প্রচার ইউনূস সরকারের

    গত শুক্রবার ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রসঙ্গ উঠেছিল। হাসিনা ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam, press secretary to Chief Advisor Md Yunus) সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও প্রেস সচিবের ওই দাবি নসাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়াকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই জাতীয় কোনও কথা ব্যাংককের বৈঠকে হয়নি।

    কী ভাবছে ভারত

    সোমবার রাতে দলের অনুষ্ঠানে হাসিনার বক্তব্যেও স্পষ্ট প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। নয়াদিল্লি ইতিপূর্বে শুধু জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাসিনা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে ভারত সরকার দ্বিমত পোষণ করে না। সে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিতে ভারতও চিন্তিত। আর মহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ রাজনৈতিক। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাসিনা তাঁর কথা বলছেন।

  • PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করছেন বাংলাদেশিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    ফেসবুক পোস্টে অপব্যাখ্যা (PM Modi)

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৮৪ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ব্যাংককে শুক্রবার তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াটি নেতিবাচক ছিল না।’ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কে ইউনূসের প্রেস সচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, এই ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিরিয়াসনেস ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।

    ইউনূসের প্রেস সচিবের অপব্যাখ্যা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইউনূসের বৈঠকের সময় আলম বলেন, ‘ভারতীয় নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) নোবেলজয়ীর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর কাজের উচ্চ প্রশংসাও করেন।’ এক আধিকারিকের দাবি, যদিও ভারতের সঙ্গে হাসিনার সুসম্পর্ক রয়েছে, তবুও প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি ইউনূসকে বলেছিলেন যে ভারত তাঁর (ইউনূসের) প্রতি হাসিনার অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছে। গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ইউনূস ও তাঁর আগের সরকারের মধ্যের সম্পর্ক সংক্রান্ত মন্তব্যেরও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে “আমাদের সমাজ ও জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ, আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে কয়েকবার বলেছেন যে ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত (Bangladesh) করে আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সর্বোত্তম সম্পর্ক চান, তবে তা ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মোদি-ইউনূসের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে গদি আঁকড়ে থাকতে চান ইউনূসের সাঙ্গপাঙ্গরা (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন বক্তব্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার মামলাগুলি যথাযথ তদন্ত করবে (PM Modi)।

  • PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত’’, ইউনূসকে স্পষ্ট বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মুখোমুখি বৈঠক হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। তাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হল পার্শ্ববৈঠক।

    বৈঠকে রাজি হলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশের রাশ নেয় ইউনূস প্রশাসন। তারপর এই প্রথম হল মোদি-ইউনূস বৈঠক। বৃহস্পতিবার বিমস্টেক সম্মেলনের নৈশভোজে সাক্ষাৎ হয় দুই নেতার। সেই সময়ও দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার হয় মুখোমুখি বৈঠক। ব্যাংককের শিংরিলা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু দয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতের কাছে একাধিকবার আর্জি জানানো হয়েছিল। প্রথমে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী। শেষমেশ অনেক অনুরোধ করায় রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী নিয়ে হল আলোচনা?

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি মোদির সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাত্কার সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘মোদি বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত ভারতের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন। বিদেশ সচিব জানান, বৈঠকে ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন কোনও বক্তব্য এড়ানো উচিত। গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থনের কথাও ফের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সীমান্ত আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ নিয়েও আলোচনা করেন।’’

    এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী। দীর্ঘ সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। বাস্তবতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এদিনের বৈঠকে ইউনূস হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে মিস্রি সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি শুধু বলেন, এই মুহূর্তে এই বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না, এবং আগেই বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছ থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছে (PM Modi)।

  • India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারত-বিরোধী মন্তব্যে বিতর্ক উসকে দিলেন বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus )। চিন সফরে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইউনূস। তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।’’ ইউনূসের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শর্মা এই মন্তব্যকে “অপমানজনক এবং কঠোরভাবে নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।

    ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থির করার প্রয়াস

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মন্তব্য ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে করা হয়েছে এবং এটি “চিকেন’স নেক” করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ভঙ্গুরতা প্রদর্শন করছে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি পূর্বে কিছু শক্তির দ্বারা ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াসের পুনরাবৃত্তি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে এমন কিছু সংগঠন রয়েছে যারা এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরটি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতকে অস্থির করে তুলবে।’’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি বিশেষভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রের কাছে এই অঞ্চলে রেলপথ এবং সড়ক যোগাযোগে উন্নতি আনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পথ এবং চিকেন’স নেক করিডর বাইপাস করার জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হলেও, সঠিক সংকল্প এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে এই কাজ সম্ভব বলে দাবি করেন হিমন্ত।

    ভুল ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা

    এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত (India Bangladesh Relation) ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শ্রীমতি ভীনা সিক্রি মন্তব্য করেছেন, “ইউনূসের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। তাঁর এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।” তাঁর কথায়, “তিনি জানেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য আমাদের ফরমাল চুক্তি রয়েছে… এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা উচিত।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযোগের অধিকার দিতে আগ্রহী না হয়, তবে তারা নদী-সংলগ্ন রাষ্ট্র হিসেবে কোনও অধিকার দাবি করতে পারে না। তাই তাদের এটি স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে কোনও ভুল ধারণা পোষণ যেন না করে বাংলাদেশ।”

    বিকল্প পথ তৈরি করেই জবাব

    ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য তথা টিপ্রা মথা দলের সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য আদর্শ সময়, আমাদের উচিত আদিবাসী জনগণের সমর্থনে মহাসাগরের দিকে একটি রুট তৈরি করা, যারা একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত, যাতে আমরা আর কোনও কৃতঘ্ন শাসকের উপর নির্ভরশীল না থাকি।’’ দেববর্মা তার এক্স হ্যান্ডলে আরও লিখেছেন, ‘‘১৯৪৭ সালে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার হারানো, যদিও সেখানে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। ইউনূস হয়ত ভাবেন তিনি মহাসাগরের রক্ষক, তবে বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি এক অস্থায়ী নেতা।’’ টিপ্রা মথা নেতা আরও মনে করিয়ে দেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত চট্টগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তিনি লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরা শুধু কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত।’’

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

    যদিও ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি ভারত (India Bangladesh Relation)। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার করা এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাতে পারে নয়াদিল্লি। উত্তরপূর্ব ভারতের ৬ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য চিনের নির্দেশেই ইউনূস এই বিবৃতি দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকার মনে করছে উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্য সমুদ্রে পৌঁছতে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল এই তথ্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং এই এলাকা মোটেই স্থলবেষ্ঠিত নয়। ভারতের একটি সুবিশাল উপকূল এলাকা রয়েছে। যেখান থেকে সারা দেশকে পরিষেবা দেওয়া হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত।

    নির্ভয় ভারত

    চিনে বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতকে টেনে আনার প্রসঙ্গে ইউনূসের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সঞ্জীব স্যান্যাল। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে চিন বিনিয়োগ করতেই পারে। কিন্তু এতে ভারতের স্থলবেষ্টিত সাত রাজ্যের কথা টেনে আনার কী তাৎপর্য? এটা সত্যিই বিরক্তিকর। এর যথাযথ ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে। চিনের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস? তাই কি জনসমক্ষেই সেই ঘোষণা করে দিলেন ইউনূস?’’ প্রথমে পাকিস্তান, আর এবারে চিন। ভারতের বিরুদ্ধে দল ভারী করছেন বাংলাদেশের শাসক ইউনূস। তাতে অবশ্য উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ভারতের। শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের সাত রাজ্যে যোগাযোগ রয়েছে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। বাংলাদেশের তিন দিকের সীমানার অধিকাংশই আবদ্ধ ভারত দিয়ে। আর সেই বাংলাদেশে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা ইউনূস বললেন, চিনের দিক থেকে ভারত মহাসাগরের নাগাল পাওয়ার জন্য একমাত্র উন্মুক্ত স্থান বাংলাদেশ। এ মন্তব্য হাস্যকর বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    অস্থির বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা

    উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় আসার সময়ও ভারতকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রত চায়, তাহলে তাদের ভোলা উচিত না, ওদেরও সেভেন সিস্টার্স আছে। এরপরে আবার ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের অধীনে সেভেন সিস্টার্সকে অন্তর্গত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইউনুসের সুর ‘বদল’ হয়। ইউনূস বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করব আমরা। আমাদের সমুদ্র বন্দরে ভারত পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারবে। তাতে তারাও আমাদের পণ্য আমদানি-রফতানি করবে। এই সুযোগ পেলে তারা আনন্দিত হবে। তাদের ব্যবসার সঙ্গে আমাদেরও ব্যবসা সমৃদ্ধ হবে।’ আসলে ইউনূস জানেন, চাল, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যে এখনও সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে। অপরদিকে সম্প্রতি আবার বিদ্যুতের জন্যে আদানির কাছে নতুন করে ‘আবদার’ করেছিল ঢাকা। ইউনূস আসলে জানেন যতই ভারত বিরোধিতা করুক না কেন, বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল। গত ৬ মাস ধরে সরকার চালালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল এখনও ফেরাতে পারেননি ইউনূস। দুর্ভোগ কমেনি সেই দেশের সাধারণ মানুষের। তাই সেই দুর্ভোগ চাপা দিতে ভারতকেই বারবার আশ্রয় করে বাংলাদেশ। কখনও সাহায্য চেয়ে আবার কখনও বিরোধিতা করে।

  • Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাত মাসে কথা রাখেননি ইউনূস! ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) উপহার দেবেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। তারপর কেটে গিয়েছে সাত মাস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। উল্টে তাঁর ঘনিষ্ঠদের গায়ে লেগেছে দুর্নীতির পাঁক।

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’য়ের নিবন্ধ (Bangladesh Crisis)

    ‘ইউরেশিয়া রিভিউ’তে আনজুমান-এ-ইসলাম প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস দুর্নীতি নির্মূল করাকে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মিশন হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার নির্মূল করে নতুন যুগের সূচনা করা এবং বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করা। নিবন্ধে বলা হয়েছে, বস্তুত, ইউনূসের প্রাথমিক ঘোষণা পূরণ হয়নি। উল্টে তাঁর সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    অবাধে চলছে নিয়ম লঙ্ঘন

    ওই নিবন্ধে এও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে ইউনূসের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারি কাজের জন্য নির্ধারিত একাধিক গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এটি নিয়ম বিরুদ্ধ। বাংলাদেশে একজন উপদেষ্টার জন্য শুধুমাত্র একটিই গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেই নিয়ম আকছার লঙ্ঘন করেই উপদেষ্টারা ব্যবহার করছেন একাধিক গাড়ি। করদাতাদের অর্থে প্রাপ্ত সম্পদের এই অপব্যবহারে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

    সেখানে আরও বলা হয়েছে, একটি উদ্বেগজনক বিষয় হল ইউনূসের অফিস তাঁর উপদেষ্টাদের এসব নিয়ম-বিরুদ্ধ কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি চাপাও পড়ে গিয়েছিল। মিথ্যার বেসাতির পর্দা ফাঁস করে ওই সংবাদপত্রটি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শাখার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেখারুজ্জামান এটিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh Crisis)। ইউনূস নানাভাবে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনমানসে একটি ধারণার বীজ রোপণ করতে। সেটি হল, আওয়ামি লিগই দেশের একমাত্র দুর্নীতির উৎস। ইউনূসের এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। উল্টে নোবেল জয়ীর পার্ষদদের কাণ্ডকারখানা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসী (Muhammad Yunus)।

    আখের গুছোনোর কাজ শুরু!

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে বসে ইউনূস আখের গুছোতে শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ। তিনি নিয়ম বিরুদ্ধভাবে তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিকে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই ইউনূসের মাইক্রোক্রেডিট সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য ট্যাক্স-ফ্রি করে দেওয়া হয়। আনজুমানের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউনূস ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লোকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিও অনৈতিকভাবে লাভ করেছে সরকারি বদান্যতা। এরকমই একটি অনুমোদনে হাইকোর্টের আগের রায়ের পরোয়া না করে ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ সংস্থার ৬৬৬ কোটি টাকা কর মকুব করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনূস ঘনিষ্ঠদের স্বার্থে কাজ করছে (Bangladesh Crisis)।

    এদিকে, শ্রমিক অধিকার কর্মী, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক এবং আইনজীবীরা ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি দ্রুত খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ইউনূসের নীরবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৫ আগস্টের (এদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা) আগে দায়ের হওয়া এসব মামলা কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই দ্রুত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ইউনূস প্রশাসনের সততা সম্পর্কে আরও জোরালো সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে আগেও

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Muhammad Yunus) পর্দা ফাঁস করেছিল দি এশিয়াপোস্ট নিউজ। এই সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, “এই প্রকাশনাগুলি (দুর্নীতি সংক্রান্ত খবর) আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে (Muhammad Yunus) জানা গিয়েছিল, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামপন্থীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকিও দিয়েছিলেন (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। তবে পালাবদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) সুখে নেই নাগরিকরা। এমনটাই বলছে রিপোর্ট। সেদেশে বেড়েই চলেছে দারিদ্রতা। লাফিয়ে বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম। একইসঙ্গে ইউনূস জমানায় বেড়েছে রাজনৈতিক হিংসা। সংখ্যালঘু নির্যাতন তো প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্রতা সব নিয়েই একটা চাপা ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হচ্ছে সেদেশের নাগরিকদের মনে। নাগরিকদের বড় অংশই মনে করছেন, সুখে নেই পালাবদলের বাংলাদেশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ (Yunus Government) যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সেদেশের এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ছাত্র সমাজ যে আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্নের সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, তা তো হয়নি উল্টে অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে। একাধিক রিপোর্টে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বাংলাদেশের এই নিদারুণ অবস্থার কথা।

    দারিদ্রতার অন্ধকারে বাংলাদেশ (Bangladesh), বাড়ছে ক্ষোভ নাগরিকদের মধ্যে

    রিপোর্ট বলছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রয়ে গিয়েছে অধরাই। সম্প্রতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা BIDS তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে, বাংলাদেশে আগের তুলনায় দারিদ্র্যের হার ও নিরাপত্তাহীনতার কথা। দারিদ্রতা ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। ইতিমধ্যে ওই দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে গোটা বাংলাদেশে দারিদ্রতার হার ছিল ১৮.০৭ শতাংশ। যা এই ইউনূস আমলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.১১ শতাংশে। বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, আগে শহরে দরিদ্রের হার আগে ছিল ১৪.৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটা এসে ঠেকেছে ২০.৪৩ শতাংশে। গ্রামের হালও একই বলে জানা যাচ্ছে।

    গ্রামীণ বাংলাদেশে (Bangladesh) দারিদ্রতার চিত্র

    গত দু’বছরে গ্রামীণ বাংলাদেশে দারিদ্রতা বেড়েছে ৪ শতাংশ। আগে ছিল যা ছিল ২০ শতাংশ। এখন বর্তমানে হয়েছে ২৪ শতাংশ। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৩৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে পৌঁছে গিয়েছে ৪৬ শতাংশে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সমীক্ষা কিন্তু শুধু একা বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান করেনি। তাদের এই সমীক্ষায় সাহায্য করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও।

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দাম লাগামছাড়া

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দামও বেড়েই চলেছে। ইউনূস জমানায় গত কয়েক মাসেও বেড়েছে ওষুধের দাম। বিভিন্ন ওষুধের দাম ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষদের আয় স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষজন বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেরই আবার নিঃস্ব হওয়ার দশা হয়েছে। কিন্তু কী এর কারণ? ওষুধের দামের এই ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য জন্য উৎপাদক ও সবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলির অনৈতিক বিপণন চর্চা বা প্রোমোশনাল মার্কেটিং কর্মসূচিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের উপহার বা উৎকোচ দেয় কোম্পানিগুলো। এই উপহারের পুরোটাই আবার কেটে নেওয়া হয় ক্রেতারই পকেট থেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের কোনও বিকল্প নেই, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওষুধ অপরিহার্য। সেখানে যদি এমনটা হয়, তবে দরিদ্র মানুষজন কীভাবে বেঁচে থাকবেন!

    বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়, বলছে রিপোর্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের গুরুত্ব এতটাই যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধকে স্বাস্থ্য খাতের ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করেছে। তাই একথা বলাই যায় যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওষুধ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই আবহে আবার সামনে এসেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণকের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের একটি গবেষণা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের মধ্যে ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়। খুব সহজে বললে বলা যায়, যদি কোনও বাংলাদেশি নাগরিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করেন, তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র ওষুধ কিনতে।

    কী বলছেন ওষুধের দোকানের মালিক?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ওষুধের ওপর ঠিক কতটা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেদেশে গ্যাস্ট্রিক তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মালিবাগের ফেনী ফার্মেসির মালিক হলেন আব্দুল মালেক সুমন। তিনি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এরপরেই বিক্রির তালিকায় স্থান রয়েছে প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ। জানা যাচ্ছে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সারজেল, প্যানটোনিক্স এবং ম্যাক্সপ্রো। এছাড়াও প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপাও বেশ ভালোই বিক্রি হয় বাংলাদেশে। এবার এই সমস্ত ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়াতে চরম হতাশ সেদেশের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। অনেকেই বলছেন, এর থেকে হাসিনা জমানা অনেক ভালো ছিল।

    স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন

    প্রসঙ্গত, ঢাকার মধ্য বাড্ডা বাজারের এক ফার্মেসির ব্যবস্থাপক তাপস দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। এদেশের স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওষুধের দাম বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের মনে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। জানা গিয়েছে, ওষুধের মূল্য নির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই একেবারে অসহনীয় পর্যায়ে দাম বাড়ছে। ওষুধ কোম্পানিগুলির অনৈতিক কাজ নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মিজানুর রহমান কল্লোল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের দাম বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের মধ্যে চলা প্রোমোশনাল কার্যক্রমের নামে অনৈতিক বিপণন চর্চা। প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের দেওয়া উৎকোচ বা উপহার কোনও কোম্পানিই নিজেদের পকেট থেকে দিচ্ছে না। ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা তুলছে তারা। ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। তিনি জানিয়েছেন এটা বন্ধ হলেই দাম কমবে ওষুধের।

    বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিশ্লেষণ

    ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনকে এবার বিশ্লেষণ করা যাক। কস্ট অব গুডস অর্থাৎ ওষুধের উৎপাদন খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং অন্যান্য খরচ আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এরপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হল কোম্পানির মুনাফা। বাংলাদেশের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোনওও ওষুধের গায়ে যদি মূল্য ১০০ টাকা থাকে, সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাট পায় ১৫ শতাংশ। ফার্মেসির লাভ থাকে ১৫ শতাংশ। বাকি ৭০ টাকার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ। আর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ, বাকিটা কোম্পানির মুনাফা।

  • Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কোনও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, অপতথ্য নানা ভাবে ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সেনা কর্মীদের উদ্দেশে এমনই আর্জি জানালেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে অরাজকতাই নিত্যসঙ্গী। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাতের মতো কট্টরপন্থীরা। অপরদিকে বার বার নির্বাচনের দাবি জানোনো খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। এই আবহে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা। মনে করা হচ্ছে সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

    ভোটের দাবি সেনার

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে স্থায়ী সরকার গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেনা। রবিবার বাংলাদেশের পদাতিক, জলরক্ষা বাহিনী ও আকাশ রক্ষা বাহিনীর বৈঠকে এই বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে। সোমবারও সকাল থেকে সেনা সদরে বৈঠক চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের চর্চা ঢাকায়। সতর্কতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশও। উত্তেজনা বাড়ছে পড়শি দেশে। মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government) আগেই জানিয়েছিল, আগামী বছরের শুরুতে ভোট হতে পারে। এখনই নির্বাচন চায় না ইউনূস সরকার। তবে, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চাইছেন সেনা কর্তারা। সেই বিষয়ে সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানকে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন। সেনা ও ছাত্র নেতাদের সংঘাতে বারবার এই প্রশ্ন সামনে আসছে তাহলে কি সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?

    সেনা প্রধানের বৈঠক

    সোমবার ঢাকায় সেনানিবাসের প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধান। সেখানেই কর্মকর্তা ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন। ওই বৈঠকে দেশে গুজব ছড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উস্কানিমূলক বক্তব্য-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবারের বৈঠকে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সেনা যে গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়। সেনাপ্রধান সকলকে, উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বারণ করেছেন। মন্তব্য করেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উস্কানিদাতাদের লক্ষ্য পূরণ হয়। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ। সামনে ইদ, সে কথা মনে রেখে সেনাপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী

    মহম্মদ ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘু অত্যাচারের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে পদ্মাপাড়ের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ভঙ্গুর অর্থনীতির জেরে মূল্যবৃদ্ধি মাত্রা ছাড়িয়েছে। এইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উপর কট্টরপন্থীদের অত্যাচার। মাথা চারা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। সব মিলিয়ে গরিব থেকে মধ্যবিত্ত, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আমজনতা বিরক্ত। এই অবস্থায় পুলিশের উপর ভরসা না রাখতে পেরে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে ইউনূস সরকার। এরপরেও ধর্মীয় হানাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন, সেনাবাহিনীকে যদি দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, ইউনুস সরকার তবে ঠিক কী করছে?

    বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস

    উল্লেখ্য, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ওই সময় দেশটির সর্বময় কর্তা ছিলেন আওয়ামি লিগ নেতা তথা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি ছিলেন হাসিনার বাবা। পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন মুজিবুর । কিন্তু, নতুন দেশ তৈরির ৪ বছরের মধ্যেই সেনাশাসনের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ঢাকায় শেখ মুজিবুরের ধানমুণ্ডির বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। গুলি করে তাঁকে হত্যা করে ফৌজ।

    বাংলাদেশে একাধিক সেনা অভ্যুত্থান

    শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর খান্দেকর মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইসলামিক শাসন শুরু হয়। নেপথ্য অবশ্য ছিল সেনাবাহিনী। ওই বছরই ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে ফের সেনা অভ্যুত্থান হয় বাংলাদেশে। ফলে ক্ষমতায় থেকে যান খান্দেকর মোস্তাক আহমেদ। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর পদ্মা পাড়ের দেশে তৃতীয়বারের জন্য ঘটে সেনা অভ্যুত্থান। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। এই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। পরবর্তী দশকগুলিতেও একাধিকবার বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৯৬, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনওবারই সাফল্য হয়নি সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ বছর সেনা শাসনে কাটিয়েছে পদ্মা পাড়ের এই দেশ।

  • Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) হাল ধরেছেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। দেশ চালাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের ‘ছাত্র কর্মী’ ও ‘উপদেষ্টা’রা ক্রিপ্টোকারেন্সির আকারে অজ্ঞাত উৎসের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন।

    এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর প্রতিবেদনে হইচই (Bangladesh)

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ) কর্তৃক বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণের’ জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের ইউএসএআইডি প্রকল্প বাতিল করার কয়েক দিন পরে। ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’ তাদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনূস সরকারের কাছাকাছি থাকা লোকেরা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ করে ফেলেছেন। এই অজ্ঞাত উৎসের অর্থ অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, বিনান্সে জমা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত মাস আগে ক্ষমতায় এসেছে। এরই মধ্যে ‘ছাত্র কর্মী’ এবং ‘উপদেষ্টা’রা এত অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ‘আখের গুছিয়ে’ ফেলেছেন!

    কী বলছে প্রতিবেদন

    দি এশিয়াপোস্ট নিউজ জানিয়েছে, “এই প্রকাশনাগুলি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে কী উঠে এল

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামবাদীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকি দিয়েছিলেন।

    কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার হদিশ

    এশিয়াপোস্টের নিউজ অনুসারে, নাহিদ ইসলাম (যিনি পূর্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েনও রাখতেন। এর মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার (Muhammad Yunus)। কাকতালীয়ভাবে, রিপোর্ট প্রকাশের সময় নাহিদ ইসলাম তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে যোগ দেন নবগঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’তে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিভ ভূঁইয়া ১১৩ বিটকয়েন জমা করেছিলেন, যা ১ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল (Bangladesh)। এশিয়াপোস্ট নিউজ অনুসারে, ‘ছাত্র কর্মী’ খান তালাত মাহমুদ রাফির বাইনান্স অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে যে তাঁর ১১.০৯ বিটকয়েন রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও, তিনি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারি, শফিকুল আলমও তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করেছেন।

    অভিযুক্ত ইউনূস

    এত বিপুল সম্পদের জন্য কোনও পরিচিত আয়ের উৎস না থাকায়, এটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে এই অর্থ অবৈধ উপায়ে রোজগার করা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনকালে জনসেবার নামে দ্রুতই তার কর্মকর্তা এবং ‘ছাত্র কর্মীদের’ কোষাগার পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, যাঁরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক অপসারণের নেপথ্যে ছিলেন। ইউনূসের ট্র্যাক রেকর্ডও উজ্জ্বল নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার একটি শ্রম আদালত তাঁকে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে ৬ মাসের সাধারণ কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয় (Bangladesh)। ইউনূস এবং ‘গ্রামীণ টেলিকমের’ আরও তিনজন পরিচালক কোম্পানির কর্মীদের জন্য কল্যাণ তহবিল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।

    কী বলছে শ্রম আদালত

    শ্রম আদালতের বিচারক, শেখ মেরিনা সুলতানা জানিয়েছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ৬৭ জন কর্মীকে কোম্পানিতে স্থায়ী করার কথা ছিল, যা হয়নি (Muhammad Yunus)। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা, যা বাস্তবায়িত হয়নি। মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের ১০০টি অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য। তিনি আগে বাংলাদেশ সরকারের অবসর নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁর ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

    ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

    ২০১৩ সালে সরকারি অনুমতি ছাড়াই টাকা নেওয়ার জন্য ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দরিদ্রদের অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তাঁকে ‘রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এক্সক্লুসিভ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর, ‘রুমার স্ক্যানার’ নামে একটি প্রচার পোর্টাল, যা ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ওয়েবসাইট হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সরকারি কর্মকর্তাদের এবং ইউনূস শাসনের ঘনিষ্ঠ ‘ছাত্র কর্মীদের’ বিরুদ্ধে উন্মোচিত তথ্য নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখে। তাতে অভিযোগ করা হয়, স্ক্রিনশটগুলি ‘ডিজিটাল এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বদল করা হয়েছে’ এবং ‘একটি অবিশ্বস্ত উৎসের ভিত্তিতে’ প্রচার করা হচ্ছে (Bangladesh)।

    কী বলছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক

    বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘রুমার স্ক্যানার’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারির অফিস থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই একই প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’-ও প্রকাশ করেছে। তার পরেই স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে কোমর কষে নামে। ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’ অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতি উন্মোচন করে একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মাস হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, এই বিষয়ে কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি। বরং, প্রতিবেদনটির সত্যতা চাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হতেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারেরই প্রধান হন ইউনূস। অভিযোগ, তার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দুর্নীতি। যার জেরে আদতে আখের গুচ্ছোচ্ছেন আন্দোলনের হোতাদের অনেকেই। দুর্নীতির এই পাঁকে আটকে গিয়ে (Muhammad Yunus) থমকে গিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন (Bangladesh)।

LinkedIn
Share