Tag: Bangladesh Crisis

  • Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার নবজাগরণের প্রতীক। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ভারত। ঢাকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙে। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে দিল্লি।

    উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতে

    বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতেই। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে।

    ভারত-সরকার সংরক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত

    ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি, যা তাঁর পিতামহ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ এর পরেই বিবৃতিতে বাড়িটি রক্ষা করার আবেদন জানায় ভারত সরকার। সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার করে একে সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে রক্ষা করাই শ্রেয়। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

    একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি

    বাংলার স্বনামধন্য রায় পরিবারের এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকার হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত। হরিকিশোর রায় চৌধুরী নিজে উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার এবং সত্যজিতের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শশী লজের ঠিক পিছনে অবস্থিত বাড়িটি, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রায় একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি। বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অ্যাকাডেমির কাজও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

    বাংলাদেশ সরকারের যুক্তি

    শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ তাই এটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে জানান যে, বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই বাড়িটি মেরামত করা। সেটি না করে তারা এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলতে চাইছে। বাড়িটি ভেঙে ফেললেও যেন একই আদলে তৈরি করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

    ইউনূস-জমানায় আক্রান্ত সংস্কৃতি

    হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে দুই বাংলার মানুষের মনে। ভারত সরকার বিষয়টির নিন্দা করে বাড়ি রক্ষণে সবরকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ইউনূস-সরকার এই বাড়ির গুরুত্ব বুঝবে কি না তা সময় বলবে।

  • Bangladesh: মৌলবাদী ইউনূসের বাংলাদেশে অব্যাহত বুদ্ধিজীবী নির্যাতন, গ্রেফতার অর্থনীতিবিদ

    Bangladesh: মৌলবাদী ইউনূসের বাংলাদেশে অব্যাহত বুদ্ধিজীবী নির্যাতন, গ্রেফতার অর্থনীতিবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার ১০ই জুলাই, রাতে ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বরকতকে (Abul Barkat)। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ নাসিরুল ইসলাম।

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনূস সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা দায়ের করেছিল আবুল বরকতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ — তিনি জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় (২০০৯-২০১৪) ২৯৭.৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের সাথে যুক্ত ছিলেন।

    অভিযোগে বলা হয়, বরকত এবং তৎকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যাংকের গভর্নর মিলে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে AnonTex গ্রুপের ২২টি কোম্পানিকে অবৈধভাবে ঋণ অনুমোদন করেন। অদৃশ্য কারখানা ও ভবনের নামে ঋণ প্রদান, ভূয়া দলিল তৈরি ও অস্বাভাবিক দামে জমি কিনে ব্যাংকের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    ড. আবুল বরকত বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি জাপান সরকারের “অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং ২০২১ সাল থেকে TIGER (Transformation, Integration and Globalization Economic Research)-এর বৈজ্ঞানিক গবেষণা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

    “বাংলাদেশে ৩০ বছরের মধ্যে হিন্দু থাকবে না” — আবুল বরকতের সতর্কবার্তা (Abul Barkat)

    ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাগ্রন্থ “Political Economy of Reforming Agriculture-Land-Water Bodies in Bangladesh”-এ ড. বারকত আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যে হারে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দেশত্যাগ করছে, সেই ধারা বজায় থাকলে ২০৪৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু থাকবে না।

    ঢাকা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন:
    “গত ৪৯ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন — অর্থাৎ বছরে প্রায় ২,৩০,৬১২ জন। ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১.১৩ কোটি হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের কারণে।”

    তিনি জানান, বাংলাদেশে সেনাশাসনের সময় এই নিপীড়ন ছিল সর্বোচ্চ স্তরে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ এবং স্বাধীনতার পরে ‘ভেস্টেড প্রপার্টি আইন’-এর মাধ্যমে সরকারের হাতে ৬০% হিন্দুদের জমি চলে যায়।

    তাঁর বইটি তিনি উৎসর্গ করেন তাঁর শৈশবের বন্ধুদের, যারা ‘বুনো’ উপজাতির সদস্য ছিলেন — এবং বর্তমানে যাদের আর কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ইউনূসের ইসলামপন্থী তোষণ নীতি (Yunus)

    মোহাম্মদ ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ইসলামপন্থার উত্থান নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যায়। তিনি প্রথমেই উগ্র ইসলামি সংগঠন জামায়াতে ইসলামী-র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।

    এরপর ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেন। এই একই সময়ে হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক হামলাগুলোকে ছোট করে দেখাতে শুরু করেন ইউনূস। কখনও তিনি এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আবার কখনও বলেছেন, “এগুলোর মাত্রা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে”।

    এই সময়কার শিক্ষাব্যবস্থায়ও ইতিহাস বিকৃতি ঘটে। নতুন পাঠ্যবইয়ে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা নাকি করেছিলেন জিয়াউর রহমান — যিনি ইসলামপন্থীদের কাছে প্রিয় মুখ।

    এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় Hizb ut-Tahrir নামক এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ আজাজকে।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কূটনীতিকের ক্ষোভ (Yunus Government)

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ প্রকাশ্যে ফেসবুকে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মহম্মদ ইউনূসের জমানায় ফের হিন্দু খুন (Bangladesh Crisis)! বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ শহরে (Hindu)। সূত্রের খবর, সদ্য মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছিল বছর ষোলোর কিশোর জনি দাস। এদিন গভীর রাতে আচমকাই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে অস্ত্র হাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।

    দুষ্কৃতীকে বাধা দেয় জনি (Bangladesh Crisis)

    জনি প্রথমে তাকে বাধা দেয়। সে চিৎকার করে দাদা সাগর দাস জয়কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। দুই ভাইয়ে আগন্তুককে বাধা দেয়। ধারালো অস্ত্র হাতে ওই ব্যক্তি দুই ভাইয়ের ওপরই হামলা চালায়। আচমকাই দুষ্কৃতিটি বারবার জনিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জখম হন সাগরও। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই দুই ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ভাই সাগর বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    হিন্দু খুনে ফের আতঙ্ক বাংলাদেশে

    জনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই একই সঙ্গে শোক এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা ও ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে দেশের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের একাংশও। হবিগঞ্জ থানার ওসি সজল সরকার বলেন, “আমার মনে হয় ওই ব্যক্তি চুরি করতে (Bangladesh Crisis) ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাধা পেয়ে নির্মমভাবে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বিস্তারিত জানা যাবে তদন্ত শেষ হলে।” শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও আততায়ীকে শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আততায়ীকে (Hindu) দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জনির পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। পরিবারের দাবি, লেখাপড়ায় জনি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সব সময় তার মুখে লেগে থাকত হাসি। সে ছিল পরিশ্রমী ছেলেও। তাই তার এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

    জনির মৃত্যুর পর ফের একবার প্রশ্ন উঠছে (Hindu), ইউনূস জমানায় আদৌ কি নিরাপদ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)?

  • Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) নাগাড়ে অশান্তি চলছেই। বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks on Hindu) উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটাচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। শনিবার (২৮ জুন) রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায়, দেব-দেবীর প্রতিমা নষ্ট করে এবং বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা

    স্থানীয় একজন হিন্দু (Attacks on Hindu) প্রবীণ নাগরিক বিজয় চন্দ্র রায় জানান, জমি নিয়ে পূর্বে থেকেই শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। শনিবারের হামলা ছিল সেই বিরোধেরই ধারাবাহিকতা, যা জমি দখলের উদ্দেশ্যেই চালানো হয়েছে। হামলার সময় শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে থাকা দুর্বৃত্তরা বিজয় চন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে একটি লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মন্দিরে থাকা মা মনসার প্রতিমা-সহ অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তিও ভাঙচুর করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা হাতে ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। এক হিন্দু মহিলা বলেন, “ওরা বলেছে— জমি দখল করে নেবে, আমাদের পুড়িয়ে মারবে। ওরা আবার আসবে বলেও হুমকি দিয়েছে।”

    হেলদোল নেই ইউনূস প্রশাসনের

    রবিবার (২৯ জুন) ‘বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) অগ্নিবীর, রংপুর বিভাগ’ নামক একটি হিন্দু (Attacks on Hindu) সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে মন্দিরে ভাঙচুরের ছবি এবং আহত লোকজনের আর্তনাদ শোনা যায় (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এর আগেও, গত মাসে নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় একটি মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে হিন্দু সম্প্রদায়। ওই ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতির উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। স্থানীয় সংখ্যালঘুদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা ঘটলেও তা স্বীকার করতে রাজি নয় মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিদিন পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি।

  • Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় হিন্দু বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির গ্রেফতারির দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) পড়ুয়ারা। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার রাতে মশাল হাতে মিছিল করেন তাঁরা।

    দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি (Bangladesh Crisis)

    মিছিল থেকে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার আওয়াজ ওঠে। মিছিল শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে। শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষ হয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে। কেন্দ্রীয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সলমান সিদ্দিকি বলেন, “বিগত আওয়ামি লিগের আমলে তনু, খাদিজা-সহ অসংখ্যা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিচার হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ অগাস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরেও দেখলাম নারীরা ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নন।” ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা-সহ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।” সিদ্দিকি বলেন, “এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    ধর্ষণে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

    প্রসঙ্গত, কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর পচকিট্টা গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ সে এক হিন্দু তরুণী বধূকে বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। দুই সন্তানের মা ওই বধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে ফজরকে ধরে ফেলে। যদিও পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। পরে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে (Bangladesh Crisis)। এই ঘটনার পর কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজর-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে তিনজন ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Dhaka University) এই ঘটনার প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভের আগুন। ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারত সরকারও (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধর্ষিতা হিন্দু বধূ। ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জাতীয়তাবাদী দল (বিএমপি)-এর প্রভাবশালী নেতা ফজর আলি। কুমিল্লা জেলার (Hindu Woman Raped) মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর পাঁচকিট্টা গ্রামের ঘটনা। বছর একুশের ওই বধূর দুটি সন্তানও রয়েছে। তাঁর স্বামী দুবাইয়ে কাজ করেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই বধূ সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। তার পর থেকেই তাঁর ওপর নজর পড়েছিল ফজরের।

    কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা (Bangladesh Crisis)

    সে তাঁকে অনুসরণ ও হয়রানি করছিল বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি মেলায় গিয়েছিলেন ওই বধূর পরিবারের লোকজন। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই বিএনপি নেতা তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বধূর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা ফজরকে ধরেও ফেলেন। যদিও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। ওই বধূকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরের দিনই ওই তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয় মুরাদনগর থানায়।

    গ্রেফতার নেতা-সহ ৫

    ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা (Bangladesh Crisis) হয় মামলা। রবিবার পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বধূর অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় ফজরকেও। ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ফজর মুরাদনগরের বাহেছাড় পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে বিএনপির নেতা।

    গত বছর ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের। তার পর বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের হাতে। এই ইউনূস জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে। হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি নির্যাতন চালানো হয় হিন্দু মহিলাদের ওপর। পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার মেলে না বলে অভিযোগ (Hindu Woman Raped)। এখন দেখার, এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Crisis) বুলডোজার চালিয়ে দুর্গামন্দির ভেঙে দিল ইউনূস প্রশাসন। হুমকি দিয়েছিল মৌলবাদীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিল সেনাবাহিনী (Bangladesh Army), র‍্যাব (Rapid Action Battalion), বিজিবি (Border Guard Bangladesh), রেল (Bangladesh Railway)। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার (Dhaka) খিলক্ষেত (Khilkhet) অঞ্চলে দুর্গামন্দির (Shri Shri Durga Mandir) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। বাংলাদেশের হিন্দুরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব। শুক্রবার রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) ঠিক আগেই বাংলাদেশে এই মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় আতঙ্কিত হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা। দুর্গা মন্দির ধ্বংসের নিন্দায় ভারত বলেছে, এই ঘটনা সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘু ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষায় ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অক্ষমতারই প্রতিফলন।

    হিন্দু হলে রেহাই নেই

    বাংলাদেশে এই মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়। আওয়ামি লিগ (Awami League) সরকার ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশে এখন ফের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে বিএনপি। কিন্তু সেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যর মেয়ে সরাসরি যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, সেই মন্দির গুঁড়িয়ে দিল মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, যে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াতেই থাকুন না কেন, হিন্দু হলে রেহাই নেই। ঢাকার এই মন্দিরটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো। প্রতি বছর এখানে দুর্গা ও কালীপুজো হত। নিয়মিত দেবীর নিত্যসেবা হত। গত ২৪ জুন রাতে সেই মন্দিরে মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেদিনই তাদের তরফে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, সেই চাপে পড়েই মন্দির ভেঙে ফেলা হল।

    কেন দুর্গামন্দির ধ্বংস?

    বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা সদস্যদের খিলক্ষেতের ওই মন্দিরের কাছে মোতায়েন করা হয়। তখনই স্থানীয়রা আঁচ পায়, বড় কিছু হতে চলেছে। তারই মধ্যে ঢাকার পূর্বাচল সেনা ক্যাম্প থেকে খিলক্ষেত দুর্গামন্দির প্রাঙ্গনে বুলডোজার আনা হয়। আর বুঝতে বাকি থাকেনি হিন্দু পুরুষ ও মহিলাদের। তারা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু, পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে তুলে মন্দিরে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারের সাফাই, রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে এই দুর্গামন্দির তৈরি করা হয়েছিল। খিলক্ষেত থানার ওসি মহম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এই অস্থায়ী মন্দিরের চারপাশে টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেওয়াল তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এতে বাধা দেয়। তারা দাবি করে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে এই মন্দির ভেঙে দিতে হবে। সোমবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষপর্যন্ত এই মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হল।

    ভারতের তীব্র প্রতিবাদ

    মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি চরমপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। আগে থেকেই বাংলাদেশের মৌলবাদী-উগ্রপন্থীরা মন্দিরটি ভেঙে ফেলার কথা বলেছিল। সেই মন্দিরকে রক্ষা করার পরিবর্তে অন্তর্বতীকালীন সরকার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই দেবীমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ যে এমন ঘটনা বারবার হচ্ছ। জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেখানকার হিন্দু, তাঁদের সম্পত্তি এবং তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’’

    বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ

    হিন্দু ধর্মের উৎসব-আচার পালনে বারবার বাধাদানের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। তবে নিজের মতো করে যুক্তি সাজিয়ে সেই সবের থেকে দায় ঝেরে ফেলছেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সে দেশে কয়েক হাজারের খুনে দায়ী রাজাকার বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। যে কি না আবার ফাঁসির আসামী। তবে সেখানেই জোর করে ভুয়ো মামলার আছিলায় আটকে রাখা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু সন্ন্যাসীকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও সংখ্যালঘুরা। কখনও ঘরবাড়ি ভাঙা হয়েছে, কখনও মন্দির। কখনও আবার প্রকাশ্যেই খুন করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বারংবার ইউনূস সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারপরও বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ।

  • Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Bangladesh Crisis: দুর্গা মন্দির ভেঙে ফেলার হুমকি! খালি করে দিতে বলা হল জমি, বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফের হামলা মন্দিরে। ঢাকায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। দুর্গা মন্দির ভাঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হল। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৩ জুন) রাতে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় মুসলিমদের একটি দল হঠাৎ মন্দির প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হিন্দু ভক্তদের (Hindus Attack in Bangladesh) হুমকি দেয়—মন্দির না সরালে তা ভেঙে ফেলা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দিরের সেবায়েত সুমন সুদা জানান, উগ্রপন্থীরা রাতেই বলে,—পরের দিন মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে মন্দির তুলে নিতে হবে। নইলে মন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    এরপরই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করেন। খিলক্ষেত থানার ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “কিছু মানুষ সেখানে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।” পরে তিনি ঘটনাটিকে ‘তর্কাতর্কির’ ফল বলে উল্লেখ করে কিছুটা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানান, “পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যেন কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।”

    অন্যান্য সাম্প্রতিক মন্দির দখলের ঘটনা

    ২১ জুন: কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত ১৪০০ বছরের পুরাতন শিব চণ্ডী মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা চালান এক মুসলিম ব্যক্তি, আবদুল আলী। তিনি মন্দিরের জমিতে টিনের ঘর তৈরি করে দাবি করেন, এটি তার বংশগত সম্পত্তি। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি দীপক সাহা বলেন, “এই জমির মালিকানা মন্দিরের নামে রেকর্ডকৃত। সাম্প্রতিক সময়ে ভক্তদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার আবদুল আলী এসে ওই জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।” এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে চন্দনা রাহুত,নামে এক মহিলা ভক্তের ওপর হামলা চালানো হয়।

    ১৭ জুন: নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় সন্ন্যাস মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা এবং হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে এক স্থানীয় চরমপন্থী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দাবি করেন, মন্দির ও তার আশেপাশের জমি তাদের। প্রতিবাদ করতে গেলে হিন্দুদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগের দিন ১৬ জুন হিন্দু মন্দির কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকারের উপর হামলা চালানো হয়।

  • Rabindranath Tagore Ancestral Home: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! সিরাজগঞ্জে কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর

    Rabindranath Tagore Ancestral Home: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! সিরাজগঞ্জে কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ন্যূনতম সম্মান পেলেন না কবিগুরুও। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore Ancestral Home) পৈত্রিক ভিটেয় ভাঙচুর চালাল উন্মত্ত জনতা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রবীন্দ্র যাদুঘর। অশান্তি, ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ প্রশাসন আপাতত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাড়িতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে বসেই রচনা করেছিলেন ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’-র মতো কালজয়ী উপন্যাস। তাঁর অনেক কবিতা ও চিঠিপত্রেও শাহজাদপুরের জীবনের ছাপ স্পষ্ট। অথচ সেই ঐতিহাসিক বাড়িতে আজ নিরাপত্তা নেই, নেই সম্মান।

    কী হয়েছিল সেই দিন?

    গত ৮ জুন রবিবার, এক পর্যটক পরিবার নিয়ে শাহজাদপুরের কাছারিবাড়ি দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গেটের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর পার্কিং ফি সংক্রান্ত বচসা হয়। অভিযোগ, তাঁকে অফিসঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে নামে। মানববন্ধনের পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়ির অডিটোরিয়ামে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং এক পরিচালকের উপর শারীরিক হেনস্থা করে। এই হামলার পরেই বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাঁচদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশও বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কাছাড়িবাড়ির-গুরুত্ব

    বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়ি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়ি (Rabindranath Tagore Ancestral Home)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন। সেই সময়ই কাছারিবাড়ি ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময় এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। জমিদারি দেখভাল করতে এসে এখানেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’ সহ বহু কালজয়ী সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, চিঠিপত্র, রোজনামচায় শাহজাদপুর ও কাছারিবাড়ির জীবন, প্রকৃতি, মানুষ উঠে এসেছে। তাই এই বাড়ি শুধু এক সাহিত্যিকের বাসস্থান নয়, এটি দুই বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের স্মারক। ১৯৬৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বাড়িটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে। পরে তা মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।

    হামলা নয়, এটি ঐতিহ্যের অবমাননা

    এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব দফতর যতই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলুক, বাস্তব হল—তাঁদের এই উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনা না থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। একটি আন্তর্জাতিক মানের হেরিটেজ সাইটে সঠিক নিরাপত্তা ও টুরিস্ট ম্যানেজমেন্ট না থাকাটাই বড় ব্যর্থতা। আরও আশ্চর্যের বিষয়, এত বড় ঘটনার পরেও দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক নিন্দা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। এমনকী, বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালি সাহিত্যিক-শিল্পী মহলও এই বিষয়ে গলার জোরে কিছু বলছেন না। একটা সামান্য গেটকিপার-পার্কিং বিতর্ক থেকে যেভাবে জনতা হিংসাত্মক হয়ে উঠল, তা একমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচয়। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী কবির বাড়িতে ন্যূনতম সুরক্ষার ব্যবস্থা কেন করা হল না? উন্মত্ত জনতা যখন ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছিল, তখন পুলিশ-প্রশাসন কী করছিল?

    সংস্কৃতি মহলের উদ্বেগ

    এই হামলার ঘটনায় দুই বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সরকার বা সংস্কৃতি জগতের শীর্ষমহল থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। স্থানীয়দের একাংশ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। কাছারিবাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনা দুঃখজনক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাছারিবাড়ি বন্ধ থাকবে। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।” তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়ানো হবে নজরদারি ও ট্যুরিস্ট ম্যানেজমেন্ট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে সুরক্ষিত রাখা, কাছারিবাড়িকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি উঠেছে নতুন করে।

    অবাক বাংলাদেশ!

    রবীন্দ্রনাথ কোনও একটি দেশের কবি নন। তিনি বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, ভারতেরও জাতীয় গৌরব। তাঁর প্রতি এমন অবমাননা আসলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপরই আঘাত। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, সঙ্গীত এবং সমাজভাবনা দুই বাংলার সংস্কৃতিতে মিশে আছে। ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানে এমন ঘটনায় ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তবে লজ্জা নেই বোধহয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশেরই। যারা জাতির পিতার স্মৃতি মুছতে পারে, তারা কবিগুরুর স্মৃতি ধ্বংস করবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!

  • Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন করতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) ওপর। বুধবার ইউনূস সরকার জানিয়েছে যে, তারা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কথায় বিশ্বাস করছে না অধিকাংশ বাংলাদেশিই। ঘটনাপ্রবাহ দেখে তাঁরা বলছেন সাধারণ নির্বাচন হবে হয় চলতি মাসের ডিসেম্বরেই, নয়তো তা পিছিয়ে করা হতে পারে ২০২৬ সালের শেষে।

    বিএনপির সংশয় (Bangladesh Crisis)

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ইউনূসের জুনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে সংশয় প্রকাশ করছে। তাদের মতে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়া আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার ওপর আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির পক্ষে ফাঁকে মাঠে গোল দেওয়া সহজ হয়েছে। তাই তারা চাইছে নির্বাচন হোক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই। যদিও তাদের আশঙ্কা, নানা অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ইউনূস সরকার ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চাইছে।

    নানা অছিলায় সময় নষ্ট!

    বিএনপির দাবির আগেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আদতে বেলা গড়াতে চাইছেন ইউনূস। তাতে আর কিছু হোক বা না হোক তাঁর দলের পায়ের নীচের মাটিটা অন্তত শক্ত করার সময় পাওয়া যাবে। শহরাঞ্চলে ইউনূসের নবগঠিত দলের একটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলেও, গ্রামীণ বাংলাদেশে এখনও পানি পায়নি তাঁর দল। অথচ এই গ্রামীণ বাংলাদেশের ভোট না পেলে ক্ষমতায় ফেরা ইউনূসের পক্ষে মুশকিল। তাই নানা অছিলায় বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী, নির্বাচিত সরকারের পতন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়।

    জুনে নির্বাচন কীভাবে

    আগামী বছরের জুনে যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তা মালুম হয় বাংলাদেশে উৎসবের ক্যালেন্ডার দেখলেই। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধজুড়ে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, রমজান, ইদ, কালবৈশাখী, ঝড়, মৌসুমি বৃষ্টি এবং কোরবানির ইদের মতো উৎসব। এই উৎসবের জেরে সৃষ্টি হতে পারে লজিস্টিক জটিলতা। তাই জুনের মধ্যে নির্বাচন করা আদতেই সম্ভব নয় বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দিন কয়েক (Bangladesh Crisis) আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট করাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, তাঁরা হতাশ এবং বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কেন একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এমন কঠিন আবহাওয়ার সময়ই নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর?

    বিএনপির বক্তব্য

    বিএনপির প্রবীণ নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন (Bangladesh Crisis), “আমরা আগেই বলেছি যে ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সঠিক সময়, এবং আমরা সেই অবস্থানেই অটল আছি। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হবে। তারপর বর্ষাকাল। এসএসসি ও এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলিও রয়েছে এই সময়। তাই আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের পর আর কোনও সময় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নয়।” তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতিতে। বাকি আর সব জাতীয় নির্বাচন সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    ঝড়-বৃষ্টি

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয় মার্চ ও এপ্রিল মাসে। মে বা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলে বর্ষাকাল। এই সময় প্রায়ই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। ঝড়ের দাপটে গৃহহীন হন বহু মানুষ। রমজান মাস উপবাস ও আত্মিক সাধনার মাস। এই সময় বাংলাদেশে কাজের সময়সীমা কমে যায়। তাই এই সময় নির্বাচন পরিচালনা করা কঠিন। পাবলিক পরীক্ষাগুলির সময় (সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল) অধিকাংশ স্কুল-কলেজের শিক্ষক পরীক্ষার তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং ফল প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই এই সময় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের পাওয়া যায় না। হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে প্রেস সেক্রেটারির দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের স্পষ্ট অভাব প্রতিফলিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

    জাতীয় পার্টির বক্তব্য

    আওয়ামি লিগের পূর্বতন মিত্র জাতীয় পার্টি, যেটি অগাস্ট ২০২৫-এ হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলার শিকার হয়, তারাও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী সময়সূচি দাবি করছে। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা মাসরুর মাওলা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ডাক দিয়ে বলেন, “যতক্ষণ না নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগ আসবে না।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলি, তারা শুধু নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন করে। তারা বাংলাদেশে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ শুনতে চায়। নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও বিনিয়োগ আসবে না। পুরোনো বিনিয়োগকারীরাও —মানে যারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন — তাঁরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।” ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মাওলা বলেন, “গত ছ’-সাত মাস ধরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু আমরা কোনও উন্নয়ন দেখিনি। বরং প্রতিদিন অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন না (Muhammad Yunus)।” এদিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই আছে (Bangladesh Crisis)।”

    ইউনূস জমানায় ব্যাপক অত্যাচার

    ২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্র-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগের প্রধান শেখ হাসিনা। এর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ইউনূসকে। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বাংলাদেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। মন্দির-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়েও হামলা চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘরে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামি লিগকে। এই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার করা হয় (Muhammad Yunus)। তার পরেও ঠুঁটো হয়ে বসে থাকেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস। তা নিয়ে দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমালোচিত হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

    জল্পনা ছড়িয়ে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    এহেন আবহে দিন কয়েক আগে হঠাৎই জল্পনা ছড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন ইউনূস। গত শনিবার দুপুরে আচমকাই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ডাকেন তিনি। তারপরেই জল্পনার জল ক্রমশ গড়াতে থাকে। বৈঠক শেষে পরিষদের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাফ জানিয়ে দেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। উনি বলেননি উনি পদত্যাগ করবেন (Bangladesh Crisis)।”

    ক্ষমতার লোভ বোধহয় এমনই হয়!

LinkedIn
Share