Tag: Bangladesh Crisis

  • Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানা পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজধানী ঢাকায় শনিবার হাজার হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শ্রমিকদের দাবি ছিল, বার্ষিক ছুটি, বকেয়া বেতন এবং বোনাস দ্রুত প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে অশান্ত বাংলাদেশে (Yunus Government) চলমান বিক্ষোভের ফলে একাধিক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিক্ষোভে অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।

    রমজানে বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশা

    বিক্ষোভের কারণ গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি “জায়ান্ট কনিট গার্মেন্ট” এর শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভ শুরু করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বার্ষিক ছুটি, বোনাস এবং বকেয়া পাওনা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধের নোটিশ জারি করে। এই আবহে, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে আলোচনা চললেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়নি। রমজান মাসেই বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশায় একজন বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি। ঈদ চলে আসছে, কিন্তু আমাদের ছুটি এবং বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফ্যাক্টরি খোলা হোক এবং আমাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক।’’ বেতন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ এই সপ্তাহে, একদল শ্রমিক গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, ৩০০-রও বেশি শ্রমিক বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন প্রদান না করার বৈধ কারণও জানায়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ নানা কারখানা

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নানা প্রান্তে এক সপ্তাহে ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১৫টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা একটি ফ্যাক্টরি বন্ধের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ নিম্ন-মজুরি কর্মীসহ দেশ।

    অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের (Yunus Government) অধীনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাড়তি বৈষম্যের কারণে কম আয়ের এবং অদক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য ভোগ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বাংলাদেশে বেতন না পাওয়া এবং শ্রমিকদের খারাপ কাজের পরিস্থিতির কারণে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কয়েক মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভের সময় বহু শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছে।

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই নানা সঙ্কট

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমেরিকার সাহায্য বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শিল্প-কারখানাও স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে এনেছে ঢাকা। ভারতবন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল ভারত-বিরোধিতা। সেই জন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও চলতে থাকে ক্রমাগত নির্যাতন। যার জেরে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি ব্যহত হতে থাকে। ক্রমে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে।

    বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা

    সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্বের হার। মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠছে। বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বদলের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাই বিদ্যমান।

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • MHA: অবৈধ বাংলাদেশি সংক্রান্ত সব মামলাকে এক ছাতার তলায় এনে বৃহৎ তদন্তের পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    MHA: অবৈধ বাংলাদেশি সংক্রান্ত সব মামলাকে এক ছাতার তলায় এনে বৃহৎ তদন্তের পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে বসবাসকারী সন্দেহে সারা দেশে গত কয়েক মাস ধরেই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো নথিপত্র। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে (Bangladeshi Immigrants) পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) তরফে দেশব্যাপী সব মামলাকে এক ছাতার তলায় এনে বৃহৎ তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি বৈঠকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে অমিত শাহের দফতর।

    কাদের বিরুদ্ধে তদন্ত

    স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অসম, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, বাংলা-সহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধভাবে বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদের (Bangladeshi Immigrants) চিহ্নিত করেছে ভারত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধু বাংলাদেশি নাগরিকদরে নয়, যারা তাদের এ দেশে আসতে সাহায্য করেছে তাদেরকেই আগে খুঁজে বের করতে হবে। সেইসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে যারা অবৈধ অভিবাসীদের আধার এবং ভারতের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত অন্যান্য নথি তৈরি করতে সহায়তা করেছেন।

    আধার সেন্টারকে নির্দেশ

    স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) এক আধিকারিক জানান, বাংলাদেশি অভিবাসীদের (Bangladeshi Immigrants) বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন, নথি তৈরির জন্য ব্যবহৃত ফাঁকফোকরগুলিও চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সন্দেহজনক আধার কার্ড পুনঃযাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে আধার তৈরির জন্য জমা দেওয়া নথিগুলির স্ক্রুটিনি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আধার কর্তৃপক্ষের সাথে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তাদের বলা হয়েছে যে, তারা যেন সমস্ত আধার সেন্টারকে নির্দেশ দেয়, যদি কোনও ব্যক্তি সন্দেহজনক নথির মাধ্যমে আধার তৈরি বা সংশোধন করার চেষ্টা করে, তারা যেন তা পুলিশকে জানায়।

    ডিটেনশন সেন্টারে রাখার নির্দেশ

    যদি কোনও ব্যক্তি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক হন, তাহলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর, তাকে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাদের নিরাপদ ফেরত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ফ্রিওর অফিস (FRRO)কে জানানো হবে। দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি একটি বিশেষ অভিযানে ২০টিরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে, যারা রাজধানীতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং তাদের খোঁজার জন্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ অভিবাসন কোনও নতুন ঘটনা নয়। দেশে ক্রমাগত অবৈধ অভিবাসী আসতে থাকছে। ভারতীয় সৈন্যরা সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু সৈন্যরা সীমান্তে নজরদারি করা সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসীরা কীভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে লুকিয়ে ঢুকছে,তারই খোঁজ চলছে।

    অবৈধ অনুপ্রবেশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতে, ২০২৪ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৬০১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করেছে । বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কড়া নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত একীকরণের মাধ্যমে সর্বক্ষণ চলছে প্রহরা। অসমের ধুবরিতে হাবল সীমান্ত ব্যবস্থাপনা (CIBMS) সিস্টেমের একটি পরীক্ষামূলক পাইলট প্রকল্পও চালু করা হয়েছে। অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়টি তদারকি করার জন্য, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BGB) এর সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF)। এছাড়াও, ২০১১ সালে বিএসএফ এবং বিজিবি-র মধ্যে একটি সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (CBMP) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় বিএসএফ-বিজিবি নোডাল অফিসারদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    সক্রিয় সরকার

    এখনও পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করে ভারত থেকে বার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা জাল নথিপত্র ব্যবহার করে এ দেশে থাকছিলেন বলে অভিযোগ। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য নথি জাল করে দেওয়ার একটি চক্রও সক্রিয় রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জনকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁদের খুঁজে বার করতে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে চিরুনি তল্লাশিও শুরু হয়েছে।

    কেন ভারতে আসছে বাংলাদেশিরা

    নানা পরিসংখ্যান বলছে সারা ভারতে বর্তমানে কয়েক কোটি বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে। যাঁরা পদ্মাপাড় থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসে বসবাস শুরু করেছে। বাংলাদেশে দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধি, জমির অপর্যাপ্ততা, বেকারত্ব, বন্যা এবং সাইক্লোনসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশিরা ভারতে আসছে বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের ভালো অর্থনৈতিক অবস্থা এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাও একটি কারণ বলে দাবি করা হয়েছে।

  • Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে অশান্তি অব্যাহত। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান ও জামাতের সঙ্গে মিলে এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। এই যোজসাজশ করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান।

    কীভাবে ভেস্তে গেল চক্রান্ত

    শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীরাই এখন বাংলাদেশের মসনদে। এই অবস্থায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যার পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র ছিল বলে খবর এসেছে। তুরুপের তাস ছিল  ফয়জুর রহমান, যিনি কিনা বাংলাদেশ সেনায় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে কর্মরত। ফয়জুর একজন পাকিস্তানি সমর্থক এবং জামাতপন্থী বলে পরিচিত। জামাত নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা রয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যাচ্ছিলেন ফয়জুর। তাঁর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল। মিশন সাকসেসফুল করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই গোল বেঁধে যায়। সেনা অধিকারিকরা এই বৈঠক সম্পর্কে সেনাপ্রধানের অফিসকে জানিয়ে দেন। তাতেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ফয়জুরের।

    নজরদারিতে ফয়জুর

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধানের সচিবালয়ে গোপন তথ্য আসে যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, যিনি জামাত-ই-ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিশীল, কিছু বৈঠক আহ্বান করেছেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধানের অজান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে ফয়জুর সেনাপ্রধানকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি তেমন সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে, সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী কমান্ডারদের (জিওসি) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেনাপ্রধানের সচিবালয় এই বৈঠক সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর, শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক থেকে সরে যান। চলতি বছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে, ফয়জুর জামাত নেতৃবৃন্দ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নজরে আসার পর, তিনি ফয়জুরকে নজরদারিতে রাখেন।

    গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার

    এছাড়াও, এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১০ জন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, যিনি চট্টগ্রামের অঞ্চল কমান্ডার, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, যিনি কুমিল্লার অঞ্চল কমান্ডার। তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন মেজর জেনারেলও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন, যেমন মেজর জেনারেল হাসেন মুহাম্মদ মাশিহুর রহমান, মেজর জেনারেল মহম্মদ কামরুল হাসান, মেজর জেনারেল মহম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, মেজর জেনারেল এসএম কামাল হোসেন এবং আরও অনেকে। আরও জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া এবং আবু বেলাল মহম্মদ শফিউল হক সহ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারী এবং এহতেশামুল হক এবং প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন, যাতে অ্যান্টি-ওয়াকার সেনাবাহিনীর সদস্য এবং জামাত-ই-ইসলামীর সমর্থন থাকবে।

    বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের আশা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সব নেতাকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেছিলেন, এই সময় নেতারা নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। নেতাদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করার ফলে দুষ্কৃতীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সঙ্কট থেকে দেশকে বের করতে হবে। পরে তিনি জানান, নেতাদের সাবধান করার পিছনে তাঁর কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই। জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধু দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত শুধু সেনাবাহিনী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা দেখবে।’

    পাকিস্তান-বাংলাদেশ সখ্যতা

    শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মহম্মদ ইউনূস। গত কয়েকমাসে ক্রমে পাকিস্তানের সঙ্গে সক্ষতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)। কোনও নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই যে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার। এর ফলে ভারতের মাটিতে আইএসআই এবং জামাতের কার্যকলাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধু দেশগুলিকে নিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ২ বছর অন্তর করাচিতে একটি মহড়ার আয়োজন করে। ‘আমন-২৫’ নামে মার্চের এই মহড়ায় এই প্রথম অংশ নিতে চলেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীও। এই আবহে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও সদা সতর্ক রয়েছে দিল্লি।

  • Bangladesh Crisis: ভয়াবহ বাংলাদেশ! এক মাসে নারী ও শিশু নির্রযাতনের ঘটনা বৃদ্ধি ১৯.৫ শতাংশ

    Bangladesh Crisis: ভয়াবহ বাংলাদেশ! এক মাসে নারী ও শিশু নির্রযাতনের ঘটনা বৃদ্ধি ১৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে জাতি-দাঙ্গা , সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার পদ্মাপাড়ে প্রতিদিনের ঘটনা। সম্প্রতি আর একটি ভয়াবহ তথ্য সকলকে চমকে দিয়েছে। বাংলাদেশে ছয় জেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার কমপক্ষে সাতজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে নাবালিকা ও শিশুদের উপর অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ

    অভিযোগ, রবিবার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে দুই কিশোর ধর্ষণ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে মেয়েটি বাড়িতে খেলছিল। তখন তাকে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখায় অভিযুক্ত দুই কিশোর। এরপর তাকে কাছের একটি ঝোপে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। হবিগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, নির্যাতিতার দিদা দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর রাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালত গতকাল অভিযুক্ত দুজনকে জেলে পাঠিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ওই শিশুর বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এই খবর শোনার পরই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তিনি মারা যান।

    নিশানায় ৩ থেকে ১৬ বছরের মেয়েরা

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গতকাল দুই ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ রাকিব (২৪) এবং মহম্মদ হেলাল উদ্দিন (২৭) একই উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাকিব ১ মার্চ গভীর রাতে কোনওভাবে ১৬ বছর বয়সি কিশোরীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। গ্রামবাসীরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে একটি সালিশি সভা করে। কিন্তু কিছু লোক সেখানে মেয়েটিকে বকাঝকা করে। বিকেলে সে আত্মহত্যা করে মারা যায়। পুলিশ পরে লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন। একদিন পর, নির্যাতিতার মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাকিবসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওসি আরও জানান, স্থানীয় আদালত রাকিব ও হেলালকে কারাগারে পাঠিয়েছে। হেলাল এবং আরও ১০ জন সন্দেহভাজনকে উস্কানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

    শেরপুরে, নকলা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলাতেও সোমবার এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাব্বির মিয়া (২০) ও নির্যাতিতা একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে সাব্বির মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, নির্যাতিতার মা মামলা দায়ের করার পর রবিবার রাতে সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালত তাকে মঙ্গলবার জেলে পাঠায়।

    অন্য ঘটনায়, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন ওই উপজেলার মহম্মদ নুরুজ্জামান। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে নুরুজ্জামান শিশুটিকে শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে। কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, স্থানীয় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। কিশোরগঞ্জেও, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত, তফাজ্জল দীন ইসলাম (২৭) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে শিশুটি টয়লেট ব্যবহার করার জন্য তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সেখানে অপেক্ষারত তফাজ্জল মেয়েটিকে জোর করে কাছের একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। তার বাবা মামলা দায়ের করার পর পুলিশ সকালে তফাজ্জলকে গ্রেফতার করে। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কিশোরগঞ্জের একটি আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

    অন্য একটি ঘটনায়, রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ব্যক্তির জেল হয়। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোকলেছুর রহমান জানান, অভিযুক্ত সজল হোসেন পলাশ (৪০) রবিবার মেয়েটিকে তার বাড়িতে ধর্ষণ করে। মেয়টি এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। অপর এক ঘটনায়, ফেনির ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গতকাল ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ওই উপজেলার বাসিন্দা।

    যৌন নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌন নির্যাতনের তীব্রতা বাংলাদেশে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জন নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। প্রতিদিনের প্রতিবেদনে ধর্ষণের ভয়াবহ ঘটনাগুলির বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, যার শিকার শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষ। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই ভয়াবহ বাস্তবতা সমাজের গভীর সংকটের চিত্র তুলে ধরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, সাম্প্রতিক পুলিশ রিপোর্ট এবং মানবাধিকারের তথ্যে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কাঠগড়ায় ইউনূস প্রশাসন

    দেশে ক্রমবর্ধমান এই সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য প্রশাসন ও অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। ছাত্র সংগঠনগুলিও রাস্তায় নেমেছে, ন্যায়বিচার এবং মহিলাদের জন্য আরও সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশের তরফে পুলিশ পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলি মোকাবিলায় একটি বিশেষ হটলাইন চালু করা হয়েছে। তা-ও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে ব্যর্থ সরকার। বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, এই সংকটের মূল কারণগুলি মোকাবিলা করার জন্য বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক, ধর্ষণকে ঘিরে সামাজিক কলঙ্ককে ন্যায়বিচারের একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আইনজীবী সিরাজুল করিম জানান, যে কোনও অপরাধের জন্য শাস্তির দীর্ঘ প্রক্রিয়া এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলার বর্তমান অস্থিরতা এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী।

    বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা এক নজরে—

    ঢাকায়, নৃশংস নির্যাতনের পর ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চলতি সপ্তাহে ভর্তি করা হয়েছে।

    নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার সৎ বাবাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

    হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় রবিবার ছয় বছর বয়সি এক কিশোরীকে দুই কিশোর ছেলে ধর্ষণ করেছে।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়, ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার দুই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    শেরপুরে, নকলা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার এক যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    কিশোরগঞ্জে, ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    রাজধানীর বারিধারা এলাকায় ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সোমবার ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    চট্টগ্রামে, ১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ৮ বছর বয়সি এক কিশোরীকে তার বোনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় তার চাচা-শ্বশুর ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তার শ্যালককে সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    একজন বাবার বিরুদ্ধে তার নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

  • India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) কোনও অবনতি ঘটেনি। পদ্মাপাড়ে ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধিতার মধ্যেই এমন দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আগামী ৩-৪ এপ্রিল তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউনূস। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ইউনূস। এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।”

    কলকাতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

    ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এলেন ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার মোট ১১ জন পদস্থ কর্মকর্তা এই সফরে অংশ নিতে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। এই আবহে সেখানে ভারত বিদ্বেষের হাওয়া যেন প্রবল হয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝতে পারে ভারতকে যে কোনও মূল্যে পাশে দরকার। পদ্মাপাড়ে উন্নয়নের জন্য ভারত নিয়ে এবার সুর নরম করতে বাধ্য হন ইউনূস।

    গঙ্গা-পদ্মা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে। আগামী বছর চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে কিছু পর্যালোচনা ও সংশোধন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ গঙ্গার প্রবাহ ও বণ্টন নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসে। তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ অভিযোগ তুলেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা পর্যাপ্ত জল পায় না। অন্য দিকে, ভারতের দাবি, জলপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কিছু সময় জলের পরিমাণ কমবেশি হয়। তাই নিয়েই ফের আলোচনার জন্য ভারতে এসেছে বাংলার প্রতিনিধি দল।

    কোথায় কোথায় যাবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা

    প্রতিনিধি দলটি সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে তাঁরা গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখেন। ফরাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জল বণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ জল কী ভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞেরা। এর পর ৭ মার্চ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। গঙ্গার জলবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি-ট্রাম্প সুসম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আসেন ভারতে। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও তার উত্তর দেয়নি নয়াদিল্লি। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত একাধিক বার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূস সরকারের জামাত-ঘনিষ্ঠতা এবং ভারত-বিরোধিতা ক্রমে বুমেরাং হয়ে ফিরেছে ঢাকার কাছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেও ভারতকে পাশ পেতে চাইছেন ইউনূস। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি নন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়য়ে মোদি যা করার করবেন। তাই মোদিই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন এমন আশাও দেখছে ঢাকা, ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দাবি ইউনূসের

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক (India Bangladesh Relation) ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সেটার থেকে আমরা সরে আসতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু মেঘ দেখা দিয়েছে। তা অপপ্রচারের কারণে এসেছে। এই অপপ্রচার কোন শত্রুরা করছে, সেটা বিচার করতে হবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ভারতের। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার প্রথমেই কথা হয়ে গিয়েছে।” এখন মোদির হাত ধরেই কি পদ্মাপাড়ে সুদিন ফেরার আশা দেখছেন ইউনূস! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

  • Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) দেশে ফেরাতে (Bangladesh Crisis) ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল হোসেন।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Bangladesh Crisis)

    ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।” তিনি জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে এ বিষয়ে চুক্তি রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন তাজুল। বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “হাসিনা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলার তদন্ত রিপোর্ট আমরা মার্চ মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাব বলে আশা করছি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ওই রিপোর্ট পেয়ে যাই, তাহলে এক-দেড় মাসের মধ্যেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।”

    বিরতি ছাড়াই চলবে বিচার

    তিনি বলেন, “কতদিন ধরে তা চলবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। নথির পরিমাণ, সাক্ষীদের বয়ান বিচার করে আদালত সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দিক থেকে যত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার কাজ এগোনো যায়, সেই চেষ্টা করব। কোনও বিরতি ছাড়াই চলবে ট্রাইব্যুনালের বিচার।” তাজুল বলেন, “ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আওয়ামি লিগ সরকারই তা স্বাক্ষর করেছিল। আশা করছি, এই চুক্তির শর্ত মেনেই ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে।”

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনও সাধারণ খুনের ঘটনা নয়। এগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধ। যার বিস্তৃতি ৫৬ হাজার বর্গমাইল। দু’হাজারেরও বেশি মানুষ এতে শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। আমরা দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করছি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তাঁকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা (Sheikh Hasina)। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও, ভারত এখনও তার জবাব দেয়নি (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    Bangladesh Crisis: ‘‘সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান’’! বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন প্রসঙ্গে মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (VIF) “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus) ওপর অন্তহীন নিপীড়ন” শীর্ষক (Bangladesh Crisis) একটি প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনা আয়োজন করেছিল। এখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নিষ্ঠুর ও সুসংগঠিত আক্রমণ হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরা হয়। নয়াদিল্লির ভিআইএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলা ব্যাপক জাতি হিংসা, ভূমি দখল এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ঘটনাগুলি উন্মোচিত হয়।

    গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্য (Bangladesh Crisis)

    ফাউন্ডেশন এগেইনস্ট কন্টিনিউয়িং টেররিজম (FACT)-এর দ্বারা আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার ভয়াবহ দৃশ্যমান ও তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়। এদিনের প্রদর্শনীতে দেখা গিয়েছে হিন্দু গ্রামগুলির পোড়া অবশেষ এবং পবিত্র মন্দিরগুলি ছন্নছাড়া দশা, যেগুলি উগ্র ইসলামপন্থীদের টার্গেট হয়েছে। বেঁচে থাকা ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত সাক্ষ্যও রয়েছে প্রতিবেদনে। এখানে যৌন হিংসা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিবরণও রয়েছে। সংগঠিত জমি দখলের অভিযানের ছবিও রয়েছে। এটাই হিন্দুদের নির্বাসনে যেতে বাধ্য করছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

    কমছে হিন্দু জনসংখ্যা

    পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে (এখন যেটা বাংলাদেশ) হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭ শতাংশ। বর্তমানে সেটাই নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশেরও নীচে। প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন কোনও হিংসা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান। বিশ্ব একে উপেক্ষা করছে। কারণ এটি তাদের পছন্দসই বর্ণনার সঙ্গে মেলে না।”

    প্যানেল আলোচনা

    এদিনের প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা তীব্র সংকটের (Bangladesh Crisis) আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই প্যানেলে অংশ নিয়েছিলেন কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ভিআইএফের সহ সভাপতি সতীশ চন্দ্র, বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার বীণা সিক্রি, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন সাংবাদিক ফ্রাঁসোয়া গোতিয়ে। প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ভিআইএফের পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত। আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী (Bangladesh Crisis) ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এটি দেশের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ক্রমশ শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করছে (Hindus)।

    অজিত ডোভাল

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে নয়াদিল্লি যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টির উল্লেখ করেন ডোভাল। তিনি জানান, বাংলাদেশে অবাধে কর্মরত চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মাথা তোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন এতই তীব্র আকার ধারণ করে যে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করছে। এর পাশাপাশি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। হাসিনার অনুপস্থিতিতে, বিদেশি প্রভাব দ্বারা সমর্থিত চরমপন্থী দলগুলি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে সন্ত্রাসের স্টিম রোলার চালিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণহত্যা, হিন্দু মহিলাদের অপহরণ এবং হিন্দু মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনাগুলি ১৯৭১ সালের আগের পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

    ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি করতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-বিরোধী উপাদান সম্পর্কে সতর্কবার্তার জবাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, “আমাদের একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে যে আমরা পারস্পরিক সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্ম-সম্পর্ক চাই। এ বিষয়ে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই (Hindus)।” তবে, ইসলামি উপাদানকে আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। ভারতের অন্যতম প্রধান কৌশলগত থিংক ট্যাঙ্ক ভিআইএফের সুপারিশগুলি হল, বাংলাদেশের সরকারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। যতক্ষণ না সংখ্যালঘুদের অধিকার পুনরুদ্ধার হয়, ততক্ষণ। রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ, যাতে জাতিগত নিধনযজ্ঞের তদন্ত করা হয় এবং বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে মানবাধিকার সংকট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া।

    গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি বিশ্ব ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামী দুদশকের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে।” বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কেবল একটি স্থানীয় বিষয় নয় – এটি একটি মানবিক সংকট, যা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি করে। এই ক্রমবর্ধমান গণহত্যার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া গঠনে আঞ্চলিক (Hindus) শক্তি হিসেবে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিন (China)। বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজারে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ খুলে দিয়েছে বেজিং। এহেন আবহে আওয়ামি লিগ বিরোধী বাংলাদেশের ৮টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের অশান্তি পৌঁছেছে চরমে। এমতাবস্থায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথা গলিয়ে কার্যোদ্ধার করতে চাইছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    সেই একই ‘গেম’ (Bangladesh Crisis)

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। অভিযোগ, তার পরেই বাংলাদেশে ক্রমশ বেড়েছে অশান্তির আগুন। সাম্প্রদায়িক হিংসায় জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু সংখ্যালঘুর বাড়ি-ঘরদোর-দোকানদানি। উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হয়েছেন মূলত হিন্দুরা। বাংলাদেশের এহেন অস্থির পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। এবার সেই একই ‘গেম’ খেলতে ময়দানে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ চিন।

    বেজিং যাচ্ছে ৮টি রাজনৈতিক দল

    জানা গিয়েছে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সোমবার বেজিং যাচ্ছে বিএনপি-সহ ৮টি রাজনৈতিক দল। এই দলে আওয়ামি লিগের কেউ নেই। যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির চার নেতা রয়েছেন। বুধবার এই দুই সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নয়া রাজনৈতিক দল গড়ার কথা ঘোষণা করবে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিনের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি।

    ২২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। প্রতিনিধি দলে খালেদা জিয়ার বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচজন নেতা রয়েছেন। রয়েছেন দুই সাংবাদিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সদস্যরা। এদিকে, জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পাশে দাঁড়াল প্রয়াত মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, “সংস্কারের বিষয়ে মতামত জানাতে সরকার আমাদের ডাকেনি। সংস্কার নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা হলে এটাই বলব যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রকাশ করুন। নির্বাচনের পরে যারা (China) সরকার গড়বে, তারাই সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে (Bangladesh Crisis)।”

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share