Tag: Bangladesh Military

  • Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে অশান্তি অব্যাহত। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান ও জামাতের সঙ্গে মিলে এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। এই যোজসাজশ করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান।

    কীভাবে ভেস্তে গেল চক্রান্ত

    শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীরাই এখন বাংলাদেশের মসনদে। এই অবস্থায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যার পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র ছিল বলে খবর এসেছে। তুরুপের তাস ছিল  ফয়জুর রহমান, যিনি কিনা বাংলাদেশ সেনায় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে কর্মরত। ফয়জুর একজন পাকিস্তানি সমর্থক এবং জামাতপন্থী বলে পরিচিত। জামাত নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা রয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যাচ্ছিলেন ফয়জুর। তাঁর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল। মিশন সাকসেসফুল করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই গোল বেঁধে যায়। সেনা অধিকারিকরা এই বৈঠক সম্পর্কে সেনাপ্রধানের অফিসকে জানিয়ে দেন। তাতেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ফয়জুরের।

    নজরদারিতে ফয়জুর

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধানের সচিবালয়ে গোপন তথ্য আসে যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, যিনি জামাত-ই-ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিশীল, কিছু বৈঠক আহ্বান করেছেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধানের অজান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে ফয়জুর সেনাপ্রধানকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি তেমন সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে, সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী কমান্ডারদের (জিওসি) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেনাপ্রধানের সচিবালয় এই বৈঠক সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর, শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক থেকে সরে যান। চলতি বছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে, ফয়জুর জামাত নেতৃবৃন্দ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নজরে আসার পর, তিনি ফয়জুরকে নজরদারিতে রাখেন।

    গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার

    এছাড়াও, এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১০ জন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, যিনি চট্টগ্রামের অঞ্চল কমান্ডার, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, যিনি কুমিল্লার অঞ্চল কমান্ডার। তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন মেজর জেনারেলও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন, যেমন মেজর জেনারেল হাসেন মুহাম্মদ মাশিহুর রহমান, মেজর জেনারেল মহম্মদ কামরুল হাসান, মেজর জেনারেল মহম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, মেজর জেনারেল এসএম কামাল হোসেন এবং আরও অনেকে। আরও জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া এবং আবু বেলাল মহম্মদ শফিউল হক সহ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারী এবং এহতেশামুল হক এবং প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন, যাতে অ্যান্টি-ওয়াকার সেনাবাহিনীর সদস্য এবং জামাত-ই-ইসলামীর সমর্থন থাকবে।

    বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের আশা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সব নেতাকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেছিলেন, এই সময় নেতারা নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। নেতাদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করার ফলে দুষ্কৃতীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সঙ্কট থেকে দেশকে বের করতে হবে। পরে তিনি জানান, নেতাদের সাবধান করার পিছনে তাঁর কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই। জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধু দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত শুধু সেনাবাহিনী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা দেখবে।’

    পাকিস্তান-বাংলাদেশ সখ্যতা

    শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মহম্মদ ইউনূস। গত কয়েকমাসে ক্রমে পাকিস্তানের সঙ্গে সক্ষতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)। কোনও নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই যে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার। এর ফলে ভারতের মাটিতে আইএসআই এবং জামাতের কার্যকলাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধু দেশগুলিকে নিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ২ বছর অন্তর করাচিতে একটি মহড়ার আয়োজন করে। ‘আমন-২৫’ নামে মার্চের এই মহড়ায় এই প্রথম অংশ নিতে চলেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীও। এই আবহে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও সদা সতর্ক রয়েছে দিল্লি।

LinkedIn
Share