Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • ICC Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ, কে এগিয়ে?

    ICC Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে চড়ছে পারদ, কে এগিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার ২২ গজের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। বুধবার থেকে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তো বরাবর রাজনীতির রঙ লাগে। এবার নয়া সংস্করণ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। কারণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) বৃহস্পতিবার দুই দেশ মুখোমুখি হবে। রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের থেকেও এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা বেশি।

    পরিবর্তিত পরিস্থিতি

    বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট সম্পর্ক একটা সময় পর্যন্ত ছিল দাদা-ভাইয়ের মত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার উদ্যোগে ২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। তার পরও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে পাশে থেকেছে বিসিসিআই। গত কয়েক দশক ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট আবহে মৈত্রী, সৌজন্যের অভাব হয়নি। পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে কিছু দিন ধরে, গত অগাস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে। সাধারণ মানুষের বিদ্রোহের মুখে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আশ্রয় পেয়েছেন ভারতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আঁচ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছে। হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের একাংশ ক্ষুব্ধ। বাইশ গজে রোহিতদের হারিয়ে তার জবাব দিতে চাইছে তারা।

    এগিয়ে ভারত

    যশপ্রীত বুমরাহ-র অনুপস্থিতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ভোগাবে বলেই মনে করেন অনেকে। তবে সম্প্রতি হর্ষিত রানার পারফরম্যান্স দলকে ভরসা জুগিয়েছে। গত এমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের সৌম্যর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন হর্ষিত রানা। আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাঁরা দু’জনেই রয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) দলে। ভারত-বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাগ্‌যুদ্ধ নতুন নয়। ২০০৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল ভারত। তাই সতর্ক রোহিতরাও। তবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু, শেষ চারের লড়াইয়ে তারা ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ ওডিআই দ্বৈরথে ৪১টি ম্যাচের ৩২টিতেই জিতেছে ভারত। ৮টিতে বাংলাদেশ, একটি পরিত্যক্ত। দুই দলের দ্বৈরথে সর্বাধিক দলগত স্কোর ভারতের। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত তুলেছিল ৮ উইকেটে ৪০৯।

  • ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। দীর্ঘ ৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সেরা আটটি দেশকে নিয়ে আইসিসি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরবআমিরশাহি-তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ অবশ্য বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের বিপক্ষে। রাজনৈতিক কারণে ভারত এবার পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হওয়ায়, টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার সব কটি ম্যাচই হচ্ছে দুবাইয়ে। এমনকি, রোহিতরা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেও দুবাইয়ে খেলবেন। আর ভারত ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি সব কটি খেলাই হবে পাকিস্তানের তিনটি কেন্দ্রে-লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। ভারত না উঠলে ফাইনাল হবে লাহোরে, আর টিম ইন্ডিয়া খেললে সেটি হবে দুবাইয়ে।

    বিরল নজির গড়ার সামনে ভারত

    এই টুর্নামেন্টে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর দুটো ম্যাচ জিতলে ২০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়বে মেন ইন ব্লু। যা অন্য কোন দলের নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের তালিকায় শীর্ষে ভারত। তাদের পিছনে রয়েছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা, যারা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে। এই দুই দলই ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। অপরদিকে, ক্যারিবিয়ানরা, যারা একসময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তারা ১৩টি জয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, তবে তারা এই সংস্করণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া, যারা বর্তমানে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, অবাক করা হলেও, ১২টি জয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। পাকিস্তান, ২৩ ম্যাচে মাত্র ১১টি জয় নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে।

    সমস্যায় ভারতের বোলিং বিভাগ

    বাবা মারা যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে দুবাই ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাবা অ্যালবার্টের মৃত্যুর খবর পান মর্কেল। এরপরেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফের ভারতীয় দলে যোগ দিতে পারেন। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ দুবাইয়ে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। চোটের জন্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারছেন না ভারতীয় দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরা। ফলে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের শক্তি কমে গিয়েছে। এরই মধ্যে বোলিং কোচ দেশে ফিরে যাওয়ায় ভারতের বোলিং বিভাগে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ কারা

    ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ২ মার্চ গ্রুপের শেষ খেলায় নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। আপাতত প্রথম দুই ম্যাচই পাখির চোখ রোহিতদের। বাংলাদেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চান রোহিতরা। এই দুই ম্যাচ ভারতের কাছে মর্যাদার লড়াই।

  • Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বাংলাদেশের জঙ্গিরা ঢুকছে। তারা পাকুড়ে (Jharkhand) নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। পরে ফের সীমান্ত পার হয়ে ফিরে গিয়েছে (JMB)। এই মর্মে উচ্চস্তরের সতর্কতা জারি করেছে ঝাড়খণ্ড অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। সেগুলিই ভারতে ঢুকে অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

    গোয়েন্দা তথ্য (Jharkhand)

    এটিএসের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর জঙ্গি আবদুল মামুন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সে পাকুড়ে পৌঁছেছে। সেখানে থাকার সময় সে ডুবরাজপুরের ইসলামি দাওয়া সেন্টারে জেএইচএ ইন্ডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। ১৫ জন স্থানীয় নিয়োগপ্রাপ্তকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর মামুন ৭ জানুয়ারি ধুলিয়ান রুট দিয়েই আবার বাংলাদেশে ফিরে যায়।

    এটিএসের সতর্কবার্তা

    জানা গিয়েছে, এটিএস (JMB) সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলদের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে তারা কার্যকর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় কঠোর প্রতিরোধমূলক ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে (Jharkhand)। এটিএসের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে তাদের কার্যকলাপ প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেএমবি সহ চরমপন্থী সংগঠনগুলি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতীয় রাজ্যগুলিতে অনুপ্রবেশ করে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র করছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, পাকুড়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটিএসের নজরদারিতে পাকুড়ের নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কিছু ব্যক্তির যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। সাহেবগঞ্জ ও পাকুড়ে, সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেখানে আগে জেএমবি সক্রিয় ছিল, সেখানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত গোপন কর্মী ও সমর্থকদের সন্ধান করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও (JMB) করা হয়েছে এটিএসের তরফে (Jharkhand)।

  • Sheikh Hasina: ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না’’, দেশে ফিরে বিচার করার হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Sheikh Hasina: ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না’’, দেশে ফিরে বিচার করার হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন। আমি দেশে ফিরব। ফিরে ইউনূসদের (Muhammad Yunus) অনাচার, অত্যাচারের বিচার করব।’’ হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামি লিগ নেত্রী বলেন, ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না।’’ সোমবার রাতে দিল্লি থেকে আওয়ামি লিগের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’ নামের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশ কর্মীর স্ত্রীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন হাসিনা

    তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারশো থানায় পুলিশদের ভিতরে রেখে হামলা চালানো হয়েছে। থানা লুট করেছে হামলাকারীরা। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কনস্টেবলদেরও ছাড়েনি এই ঘাতকরা। যারা মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে তাদের হত্যা করেছে এই ইউনূস সরকার। আমি দেশে ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব।’’ চার পুলিশ কর্মীর স্ত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জানান, কী নৃশংসভাবে তাঁদের স্বামীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। চারজনই প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা অর্থ কষ্টের মধ্যে আছেন। তাঁদের একজন থাকেন শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি বলেন, ‘‘আমার থাকার জায়গা নেই।’’ এমন সময় হাসিনা তাঁর দলকে নির্দেশ দেন, নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।

    আমার ওপর অনেকবার হামলা হয়েছে

    শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আরও বলেন, ‘‘আমার ওপর অনেকবার হামলা হয়েছে। প্রতিবারই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। ৫ অগাস্ট ফের আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেদিনও আল্লাহ যখন বাঁচিয়েছেন তখন নিশ্চয়ই আমাকে দিয়ে বড় কোনও কাজ করাবেন।’’ আওয়ামি লিগ নেত্রীর মতে, ‘‘বঙ্গবন্ধুকে খুনের সময় আমি দেশে ছিলাম না। দেশে ফেরার অবস্থা ছিল না। পরে দেশে ফিরে আইন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি। জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় যারা খুন-সন্ত্রাস করেছে এবারও দেশে ফিরে তাদের বিচার করব। ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না। সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলব।’’

    দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে

    এদিন ভার্চুয়াল কলে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছেন, ‘‘উনি (ইউনূস) বলেছেন, উনি রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ। ওনার কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আমার কথা হচ্ছে, যিনি নিজেই বলছেন আমার দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। ওনার অযোগ্যতার ফলে বিচারালয়ে হামলা, গণভবনে হামলা হয়েছে। ৬ মাসের ওপর হয়ে গেলেও দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে। এখন শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। কে ডেভিল, কাকে খুঁজছে সে? ছেলেকে না পেলে মাকে হত্যা করছে। আজকে ওরা দেশটাকে জঙ্গির দেশে পরিণত করেছ। ইউনূসকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নিতে হবে। ওনারও বিচার হবে। আমি দেশ ফিরলে প্রত্যেককে যতটা সম্ভব সাহায্য করবে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ চলবে না।’’

  • Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ফের মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে গেলে অবাক হব না।’’ রবিবারের অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। এদিন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর মায়ের কথাও। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, একদা তাঁর মাকেও এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদনও জানান শুভেন্দু।

    ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনের অনুষ্ঠান (Suvendu Adhikari)

    রবিবার ভারতীয় জাদুঘরে এবিসি অডিটোরিয়ামে ‘খোলা হাওয়া’ নামক সংগঠনের অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হয় না। আমি নিজে ভিকটিম। আমার মা শ্রীমতী গায়েত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা বরিশালের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাদের শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন (BJP)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আওয়ামি লিগ করার অপরাধে বা হিন্দু হওয়ার অপরাধে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে পালিয়ে এসেছেন, তাদের দয়া করে জেলে পুরবেন না। আগেও হাসিনা, বঙ্গবন্ধু মুজিবরের পরিবারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, জাত-ধর্ম কিছু দেখতে হবে না, যারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের তাড়াবেন না। তারা শরণার্থী। আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা, যাদের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে, তাদের জেলে ভরবেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। মহারাষ্ট্র সহ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের বিষয়টি আমি বন্ধু মোদির ওপরই ছেড়ে দিলাম।” দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক মহলে।

    মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Bangladesh Crisis)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে ইসলামপন্থী শক্তির উত্থান নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি এবং এটি কীভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

    বাংলাদেশের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ভারত যেভাবে দেশটিকে পরিচালিত করতে চায়, সেটিকেই সমর্থন করবে। ট্রাম্পের এই অবস্থান ইউনূস সরকার এবং বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের কৌশল নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা ভারত-বিরোধী এবং পাকিস্তানের সাহায্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা অংশ, পাকিস্তান ও তুরস্কের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকদের, যেমন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সাহায্যের ওপর নির্ভর করছিলেন, যাতে তিনি ক্ষমতায় আরও বেশি দিন (Donald Trump) থাকতে পারেন।

    নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা

    বাংলাদেশের নতুন সরকার, বিশেষ করে (Bangladesh Crisis) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (ADSM) নেতারা, যারা এখন ক্ষমতায় রয়েছেন এবং নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছে, তারা আমেরিকার সমর্থন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (OSF) সাহায্যের আশায় ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক প্রভাব কমানোর কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলেন। এর পরেই ইউনূস, এডিএসএম নেতারা এবং বাংলাদেশি ইসলামপন্থীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এডিএসএমের নেতারা যখন শুনেছেন আমেরিকা বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত ভারতের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছে, তখনই ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এক দিকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং ওএসএফের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আর অন্যদিকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভারতের হাতে ছেড়ে দেওয়া – জোড়া ফলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা।

    ভারতের সাফ কথা

    ভারত অবশ্য প্রথমেই বাংলাদেশকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে দুই দেশের মধ্যে যে কোনও গঠনমূলক আলোচনা কেবল তখনই সম্ভব হবে, যখন ঢাকায় একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে (Bangladesh Crisis)। ভারতের এই অবস্থানে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা। কারণ নয়াদিল্লির এই অবস্থান তাদের বৈধতাই অস্বীকার করেছে। ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা মূলত ভারত-বিরোধী। কারণ তারা ইসলামপন্থী। ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা করতেই তারা বেশি আগ্রহী। ট্রাম্পের বক্তব্য তাদের এই ভারত-বিরোধী পরিকল্পনায়ও বাধা সৃষ্টি করেছে। তারা এখন বুঝতে পারছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও অপচেষ্টা করলে নয়াদিল্লি কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে (Donald Trump)।

    জোট বাঁধছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ

    ট্রাম্পের বক্তব্যে খুশি বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ। বিএনপি চায় বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন হোক। আর ইউনূস নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও প্রশাসনের সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। বিএনপি বারবার বলেছে, নির্বাচনের আগে মৌলিক কিছু সংস্কার করা যেতে পারে, তবে ব্যাপক সংস্কারের জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারেরই ম্যান্ডেট থাকা উচিত (Bangladesh Crisis)। বিএনপির দৃঢ় সন্দেহ, ইউনূস শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং এডিএসএম নেতাদের তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের সময় দিতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাই তারা এডিএসএম নেতাদের সংগঠিত হওয়ার সময় দিতে চায় না। ফলে বিএনপি ও ইউনূস সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের পথ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে (Donald Trump)।

    ইউনূস সরকারের প্রস্তাব

    বিএনপিকে দুর্বল করতে ইউনূস সরকার দুটি নতুন প্রস্তাব এনেছে— প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং জাতীয় সংসদের জন্য একটি প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ তৈরি করে তাতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সদস্য মনোনীত করা। প্রত্যাশিতভাবেই বিএনপি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কারণ এগুলি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে এবং জাতীয় নির্বাচন আরও পিছিয়ে যাবে। ভারতও চায়, দ্রুত নির্বাচন হোক বাংলাদেশে। কারণ নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা শুধুমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেই গঠনমূলক আলোচনা করবে। ইউনূস সরকার যারা দেশের চরমপন্থী ইসলামপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তারা বাংলাদেশ জামাতে ইসলামিকে তাদের পাশে পেয়েছে। জামাত স্থানীয় নির্বাচন আগে করা এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। এর জেরেও বিলিম্বত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন।

    বিএনপি-জামাতের মধ্যে বিভেদ

    জামাতের এই অবস্থান বিএনপি এবং জামাতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। একসময় বন্ধুত্ব থাকলেও, এখন তাদের মধ্যে স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি ও জামাত অতীতেও জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বিএনপি ও জামাত নির্বাচনের পক্ষে এবং সংস্কার নিয়ে পরস্পরবিরোধী ও বিপরীত অবস্থান নিচ্ছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছে। বিএনপির আশঙ্কা, ইউনূস শাসনব্যবস্থা, বিশেষ করে এডিএসএম নেতারা, গোপনে তাদের দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে (Donald Trump)। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিএনপিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল। আওয়ামি লিগ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। আর জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মতো অন্যান্য দলগুলি জনসমর্থনহীন প্রান্তিক দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতা!

    বিপদে পড়ে বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতার পথে এগোতে পারে। তারা বলছে, এই জোট গঠন জরুরি, কারণ তারা (বিএনপি নেতারা) মনে করছে যে ইউনুস শাসনব্যবস্থা বিএনপির বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি, জামাত ও ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতেও এটি প্রয়োজন। কারণ পাকিস্তান ও অন্যান্য ইসলামি দেশগুলোর সহায়তায় তারা বাংলাদেশে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেত্রী (Bangladesh Crisis) বলেন, “আওয়ামি লিগ নেতৃত্বশূন্য এবং সংগঠনগতভাবে বিশৃঙ্খল হলেও, তাদের অনেক বাংলাদেশির সমর্থন রয়েছে, এটি অস্বীকার করা যাবে না। তাই আওয়ামি লিগকে একেবারে বাতিল করা যাবে না। আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট বাঁধলে আমাদের লাভ হবে।”

    এছাড়া, বিএনপি বাংলাদেশের ইতিহাস পুনর্লিখন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা মুছে ফেলার প্রস্তাবেরও তীব্র বিরোধিতা করেছে। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি এখন বাংলাদেশে দ্রুত সংসদীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দেবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “যত দেরি হবে, ইসলামপন্থীরা তত শক্তিশালী হবে। আমরা ওয়াশিংটনের নতুন প্রশাসনকে এটি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন বিলম্বিত হলে পাকিস্তান ও চিনের মতো শক্তিগুলো সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা (Donald Trump) এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায় (Bangladesh Crisis)।”

  • Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! বন্ধু মোদির (PM Modi) ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। তার প্রমাণ মিলল মোদি-ট্রাম্পের বৈঠকে। প্রত্যাশিতভাবেই ওই বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পড়শি দেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যে আমেরিকার কোনও গোপন ভূমিকা নেই, তাও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    আমেরিকা সফরে মোদি (Donald Trump)

    ফ্রান্স সফর সেরে দুদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হোয়াইট হাউসে আসেন মোদি (Donald Trump)। সেখানেই হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রত্যাশিতভাবেই সেই বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। ওই বৈঠকেই ট্রাম্প বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। বহু বছর ধরে এই চেষ্টা চলছে। আমি এ সংক্রান্ত খবরাখবর পড়ছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারটা আমি মোদির ওপরই ছাড়তে চাই।”

    কী বললেন ভারতের বিদেশ সচিব

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী, অবস্থান ট্রাম্পকে জানিয়েছেন মোদি। নিজের উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা ওদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল আলোচনা করতে পারব। কিন্তু আপাতত ওখানকার পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে কথা বলছেন।”

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লিকে। হাসিনা সংক্রান্ত নথিপত্রও ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে ভারতে। এর পরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ির বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে দেয় উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডিতে হাসিনার সুধা সদনেও। হাসিনার কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় জনতার একাংশ। ইউনূস ও তাঁর সরকারের উপদেষ্টারা অবশ্য বারবার দাবি করছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত। কয়েকটা জায়গায় অশান্তি হলেও, আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি সমাল দিচ্ছে। ভারতের উদ্বেগপ্রকাশকে অনভিপ্রেত বলছে ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার মোদির (PM Modi) ওপরই ছাড়লেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Bangladesh: শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, খুলনায় এবার বাদ পড়লেন সত্যেন বসু, জগদীশচন্দ্র এবং জীবনানন্দ

    Bangladesh: শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, খুলনায় এবার বাদ পড়লেন সত্যেন বসু, জগদীশচন্দ্র এবং জীবনানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তাঁর পরিবারের পাশাপাশি মানবতাবাদী লালন সাঁই, বিজ্ঞানী আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, কবি জীবনানন্দ দাশদের নামও এবার মুছে দিল ইউনূস সরকার। ঘটনা বাংলাদেশের (Bangladesh) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রাত্যের তালিকায় রয়েছেন রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রাণ দেওয়া কয়েক জন বিশিষ্ট অধ্যাপক ও বিদগ্ধ জনও।

    রবীন্দ্রনাথের নামে বিষোদগার

    গত বুধবারই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) রেজিস্ট্রার এস এম মাহবুবুর রহমান একটি নোটিস দেন। সেখানেই ১৬টি ভবনের নাম বদলের কথা ঘোষণা করা হয়। ওই নোটিসে জানানো হয়, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেজিস্ট্রার যা কার্যকর করছেন। এর বাইরে তিনটি ভবন (Khulna University) মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের নামাঙ্কিত। এগুলি অবশ্য থেকে গিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই ‘ভারতের নাগরিক’ রবীন্দ্রনাথের নামে বিষোদগার করতে শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। কেন এই ‘বিদেশি’ এই কবির লেখা গান বাংলাদেশের জাতীয়সঙ্গীত? তা নিয়েও ক্ষোভের শেষ নেই। ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান হল’ নাম বদলে করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল’। ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ হয়েছে ‘বিজয় ২৪ হল’, ‘জয় বাংলা ভবন’ হয়েছে ‘অ্যাকাডেমিক ভবন ০৪’।

    লালন সাঁইয়ের মতো উদারপন্থীকে নিয়ে প্রবল আপত্তি

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশে (Bangladesh) লালন সাঁইয়ের মতো উদারপন্থী মানবতাবাদীকে নিয়ে ইউনূস সরকারের সমর্থকদের ক্ষোভও চরমে উঠেছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘লালন স্মরণোৎসব’ বন্ধ করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলামি। ইউনূস প্রশাসনও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে কেউ লালন মেলায় বসতে না পারেন। হেফাজতের নেতা মাহমুদুল্লা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “লালনের ভ্রান্ত আদর্শের প্রচার আমরা করতে দেব না।” প্রসঙ্গত, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh) সিন্ডিকেট ‘লালন সাঁই মিলনায়তন’-এর নাম বদলে ‘টিএসসি ভবন’ হয়ে গিয়েছে। একইভাবে আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, জীবনানন্দের নামে ভবনগুলি থেকেও এঁদের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট

    সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখা জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশের অরাজকতা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে। ওই রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ থ‌েকে ১৫ অগাস্ট, হাসিনার পদত্যাগের পরের ৮ দিনে সব চেয়ে বেশি ৭৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতরা প্রত্যেকেই আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। এর আগে ১ জুলাই থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত ৬৫০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁরা দাঙ্গাকারী, পুলিশ ও আওয়ামি লিগের কর্মী ছিলেন।

  • Bangladesh: মেটানো হবে টাকা, চাই পুরো বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ আর্জি জানাল আদানিকে

    Bangladesh: মেটানো হবে টাকা, চাই পুরো বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ আর্জি জানাল আদানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম আদানির সংস্থা আদানি পাওয়ারকে পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট চরমে ওঠে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই। এরপরে বকেয়া শোধের কারণে আদানি পাওয়ার (Adani Power) অর্ধেক পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে (Adani Power) ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের আর্জি জানিয়েছে। এরপরেই বেড়ে গিয়েছে আদানি পাওয়ারের স্টকের দাম। এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ লাফ দিয়েছে এই স্টক। এখন ৫১১.৯০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে এই স্টকের দাম।

    শেখ হাসিনার জমানায় হয় চুক্তি (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারকে ২৫ বছরের জন্য একটি বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি করেছিল। এরপরেই আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, সেখানে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে। এখান থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। জানা গিয়েছে, এরপরেই বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং সেই সঙ্কটের কারণে আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এর জন্য পাওয়ার প্ল্যান্টের একটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের বিবৃতি

    বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ইতিমধ্যে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা বকেয়া শোধের জন্য আদানি পাওয়ারকে প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে আদানি পাওয়ারকে (Adani Power), আরও টাকা শোধের চেষ্টা করে চলেছে। আদানি পাওয়ার এবিষয়ে জানিয়েছে, বিপিডিবি সংস্থার কাছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা ছিল, কিন্তু তারা বলেছিল পাওনা বকেয়া রয়েছে মাত্র ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।

  • Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    Operation Devil Hunt: অপারেশেন ‘ডেভিল হান্টে’ ধরপাকড়, বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে মুছে ফেলতে চান ইউনূস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশনের নাম ‘ডেভিল হান্ট’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘শয়তানের খোঁজ’ (Operation Devil Hunt)। এই অপারেশনের ব্যানারেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ১২ ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করল মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। শনিবার রাতে শুরু হয় অপারেশন। চলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত। এই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৮ জনকে। এদিন দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে এই তথ্য।

    গ্রেফতার আওয়ামি লিগের সমর্থক (Operation Devil Hunt)

    জানা গিয়েছে, কেবল গাজিপুরেই ৪০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সবাই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। গাজিপুরের পুলিশ সুপারের কথায়, “আটক ব্যক্তিরা সকলেই ফ্যাস্টিস্ট সরকারের লোকজন”। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অভিযোগ, তার পরেই হাসিনার দলকে একেবারে শেষ করে দিতে কোমর কষে নেমেছে ইউনূস প্রশাসন। দিন দুয়েক আগে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটির একটা বড় অংশ ভেঙে ফেলে উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর করা হয় হাসিনার বাড়ি। তাঁর কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা

    বাংশাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে চালানো হয় হামলা, অগ্নিসংযোগ। শুক্রবার রাতে গাজিপুরে হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও চড়াও হয় একদল জনতা। প্রতিরোধ করেন স্থানীয়রা। দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই শনিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানেই জানানো হয় অপারেশন ‘ডেভিল হান্টে’র খবর। সেই সময় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছিলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তারাই গ্রেফতার হবে (Operation Devil Hunt)।”

    ওয়াকিবহালের মতে, হাসিনার দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের রাশ করায়ত্ত করতে চাইছেন ইউনূস। কারণ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। চিকিৎসার কারণে বিএনপি সুপ্রিম খালেদা জিয়াও আপাতত লন্ডনে। এহেন ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করতে চাইছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস। জানা গিয়েছে, নয়া রাজনৈতিক দল গড়তে চাইছেন ইউনূস। তার মোক্ষম সময় এটাই। কারণ ধরপাকড়ের জেরে যেমন গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-নেত্রীরা, তেমনি ভয়ে ফোঁস করতে পারছেন নাম বিএনপির নেতা-নেত্রীরা। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই (Bangladesh) কাজে লাগাতে চাইছেন ইউনূস (Operation Devil Hunt)।

LinkedIn
Share