Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: লাগাতার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে! ২৪ ঘণ্টায় লুট ৬ মন্দির, নেত্রকোনায় ভিটেছাড়া হরিদাস সম্প্রদায়

    Bangladesh: লাগাতার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে! ২৪ ঘণ্টায় লুট ৬ মন্দির, নেত্রকোনায় ভিটেছাড়া হরিদাস সম্প্রদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শুক্রবার ১৩ জুন, এমনই একটি ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সে দেশের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা। অভিযোগ উঠেছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৌলবাদীরা ছয়টি হিন্দু মন্দিরে লুটপাট চালিয়েছে (Atrocities Against Hindu)। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় ২০২৪ সালের অগাস্টে। তারপর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, লুট এসব যেন প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে।

    কী বলছেন স্থানীয় মহিলা (Atrocities Against Hindu)?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমেও এই ঘটনার খবর সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোটালীপাড়ার এক হিন্দু মহিলা জানান, “গত বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ১২ জুন, দুয়ারীপাড়ার একটি মন্দিরে লুট চালায় মৌলবাদীরা। শুক্রবার, আমাদের এলাকায় চারটি মন্দির লুট করা হয়েছে। পুজোর জন্য সংরক্ষিত সমস্ত সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে তারা।” তিনি আরও বলেন, “যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে প্রতিবার চুরি হওয়া পুজোর সামগ্রী নতুন করে কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ, পিতল ও ব্রোঞ্জের পাত্র কেনার খরচ অনেক বেশি। আমাদের পক্ষে তা বারবার সম্ভব নয়।”

    হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে, আমরা এখন কীভাবে বাঁচব?

    ওই মহিলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যেসব মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি সরকারের কাছে আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। আমরা এখন কিভাবে বাঁচব? সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। অপরাধীদের ধরার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। আমরা অসহায়, আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।”

    ভোরবেলা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখি বিগ্রহের কানের দুল নেই, জানালেন বয়স্ক মহিলা

    অন্যদিকে এক বয়স্ক মহিলা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমি শুক্রবার ১৩ জুন, ভোরবেলা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখি বিগ্রহের কানের দুল নেই।” তিনি আরও বলেন, “মন্দিরে গোপাল, রাধাকৃষ্ণ ও মনসা দেবীর মূর্তিগুলিতে সোনার অলংকার ছিল, যা সব লুট করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “বেশিরভাগ মূর্তি পিতলের তৈরি হলেও রাধাকৃষ্ণের মূর্তিটি ছিল রুপোর। আমার ছোট ছেলে এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল। গত তিন-চার বছর ধরে এই মূর্তিগুলিই আমরা প্রতিদিন পুজো করি।”

    এলাকার হিন্দুরা চরম আতঙ্কে রয়েছে

    একটি অন্য সাক্ষাৎকারে, আরও এক মহিলা বলেন, “মন্দিরে রাখা সমস্ত অলংকার লুট করে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা ঘরের ভিতর ঢোকে, তারপর মন্দিরে যায়। এই মন্দির সর্বদাই খোলা থাকে। রাতে কী ঘটেছিল, আমরা বুঝতেই পারিনি। সকালে আমরা লুটপাটের খবর পাই।” এক স্থানীয় যুবক বলেন, “মন্দির থেকে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার ব্রোঞ্জের থালা, কলসি এবং পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে রয়েছে।”

    নেত্রকোনা জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) নেত্রকোনা জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হরিদাস সম্প্রদায়ের একাধিক হিন্দু পরিবারকে গৃহহীন করে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায়।

    কী বলছে বাংলাদেশের সংবাদপত্র সময় ন্যাশনাল?

    বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র সময় ন্যাশনাল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই এলাকায় হিন্দু পরিবারগুলি গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছিলেন। অভিযোগ, মৌলবাদীরা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ওই পরিবারগুলিকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছিল, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষিতে মৌলবাদীরা ওই এলাকা জনাব আলি মার্কাজুন নুর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সম্পত্তি বলে দাবি করে এবং সেখানে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়।

    কোনও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি এখনও

    পরবর্তীতে হিন্দু পরিবারগুলি নিরাপত্তার দাবিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে, মৌলবাদীদের আক্রমণ আরও বেড়ে যায়। অভিযোগ, অন্তত পাঁচটি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে লুটপাট করা হয়েছে নগদ অর্থ এবং মূল্যবান সামগ্রী। এই ঘটনায় এক হিন্দু মহিলা (Bangladesh) বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেই রবিবার ৮ জুন, মৌলবাদীরা আমাদের আরও তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” তাঁর আরও দাবি, “ওরা এখানে একটি মাদ্রাসা খুলতে চায়। প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”

  • Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এপার বাংলাতেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবারই এই ইস্যুতে রাস্তায় নামে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে (MEA) বলেন, ২০২৫ সালের ৮ জুন একদল দুষ্কৃতী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাংলাদেশে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এই হামলা আসলে চরমপন্থীদের দ্বারা সহনশীলতার প্রতীকগুলিকে মুছে ফেলার আরও একটি উদাহরণ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকার যেন এই হামলার সঙ্গে জড়িত দোষীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এমন কঠোর পদক্ষেপ করে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে। এখানেই অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। বর্তমানে এই বাড়ি জাদুঘর হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গত রবিবার সেখানে মোটরসাইকেলের পার্কিং ফি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও কিছু দর্শনার্থীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেখান থেকেই মারপিট হয়। এরপর মঙ্গলবার স্থানীয় একদল লোক জড়ো হয় কবিগুরুর ওই বাড়ির সামনে। যারা সংখ্যায় ছিল ৫০-৬০ জন। এরপরেই বিক্ষোভের নামে জাদুঘরে হামলা চালানো হয়। জানালা-দরজা এবং আসবাবপত্রে ভাঙচুর করা হয় (MEA)।

    চাপে পড়ে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি ইউনূস সরকারের

    অবশেষে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনূস সরকার। এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভাষা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করে। দেশের মানুষ তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানায়। রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘটে যাওয়া এই অনভিপ্রেত ঘটনার পরই প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেছে।”

    তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে বাংলাদেশ সরকার

    প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে এবং এই কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই পৈতৃক বাড়ি, যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই এই তিন সদস্যের কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

    কী বলছেন কছারি বাড়ির কর্মী হাবিবুর রহমান?

    অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ির দেখভাল করেন যিনি, সেই হাবিবুর রহমান এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনার পরে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ভারত সরকারের প্রবল চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েই ইউনূস সরকার এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে।

    তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ধামি

    অন্যদিকে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই যে এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, এমনটা নয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাসস্থানের উপর এই হামলাকে তিনি মর্মান্তিক এবং অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, এই ঘটনায় ইউনূস সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই সংঘটিত হয়েছে। ভাঙচুরের থেকেও বড় কিছু হয়েছে এই ঘটনা, এমনই মত প্রকাশ করছেন তিনি এবং এই ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের বিবৃতিতে। ভারতের সভ্যতা, চেতনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর এই আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    ১৮৪০ সালে এই বাড়ি কিনেছিলেন কবিগুরুর পিতামহ

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা কিনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেটি ছিল ১৮৪০ সাল—অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের আগেই কেনা হয়েছিল ওই বাড়ি। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই ওই স্থানে যেতেন। এ বাড়ি নিয়ে তিনি একদা তাঁর নিজের ভাগ্নি ইন্দিরা দেবীকে একখানি চিঠি লেখেন। সেখানে কবিগুরু লিখেছিলেন, “আমি অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এখানে বসে লিখতে অনেক বেশি প্রেরণা পাই।”

    ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ওই বাড়িটি

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। এখানেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত পাণ্ডুলিপি, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সমেত আরও অন্যান্য অনেক কিছু। বর্তমানে এটি একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আর এই উনিশ শতকের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রের ওপরেই ইউনূস জমানার বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীরা হামলা চালাল।

  • Rabindranath Tagore Ancestral Home: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! সিরাজগঞ্জে কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর

    Rabindranath Tagore Ancestral Home: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ছাড় পেলেন না রবীন্দ্রনাথও! সিরাজগঞ্জে কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ন্যূনতম সম্মান পেলেন না কবিগুরুও। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore Ancestral Home) পৈত্রিক ভিটেয় ভাঙচুর চালাল উন্মত্ত জনতা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রবীন্দ্র যাদুঘর। অশান্তি, ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ প্রশাসন আপাতত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাড়িতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে বসেই রচনা করেছিলেন ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’-র মতো কালজয়ী উপন্যাস। তাঁর অনেক কবিতা ও চিঠিপত্রেও শাহজাদপুরের জীবনের ছাপ স্পষ্ট। অথচ সেই ঐতিহাসিক বাড়িতে আজ নিরাপত্তা নেই, নেই সম্মান।

    কী হয়েছিল সেই দিন?

    গত ৮ জুন রবিবার, এক পর্যটক পরিবার নিয়ে শাহজাদপুরের কাছারিবাড়ি দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গেটের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর পার্কিং ফি সংক্রান্ত বচসা হয়। অভিযোগ, তাঁকে অফিসঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এর জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে নামে। মানববন্ধনের পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়ির অডিটোরিয়ামে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং এক পরিচালকের উপর শারীরিক হেনস্থা করে। এই হামলার পরেই বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাঁচদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশও বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কাছাড়িবাড়ির-গুরুত্ব

    বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়ি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়ি (Rabindranath Tagore Ancestral Home)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন। সেই সময়ই কাছারিবাড়ি ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময় এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। জমিদারি দেখভাল করতে এসে এখানেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘চোখের বালি’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘ঘরে বাইরে’ সহ বহু কালজয়ী সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, চিঠিপত্র, রোজনামচায় শাহজাদপুর ও কাছারিবাড়ির জীবন, প্রকৃতি, মানুষ উঠে এসেছে। তাই এই বাড়ি শুধু এক সাহিত্যিকের বাসস্থান নয়, এটি দুই বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের স্মারক। ১৯৬৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বাড়িটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে। পরে তা মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।

    হামলা নয়, এটি ঐতিহ্যের অবমাননা

    এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব দফতর যতই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলুক, বাস্তব হল—তাঁদের এই উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনা না থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। একটি আন্তর্জাতিক মানের হেরিটেজ সাইটে সঠিক নিরাপত্তা ও টুরিস্ট ম্যানেজমেন্ট না থাকাটাই বড় ব্যর্থতা। আরও আশ্চর্যের বিষয়, এত বড় ঘটনার পরেও দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক নিন্দা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। এমনকী, বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালি সাহিত্যিক-শিল্পী মহলও এই বিষয়ে গলার জোরে কিছু বলছেন না। একটা সামান্য গেটকিপার-পার্কিং বিতর্ক থেকে যেভাবে জনতা হিংসাত্মক হয়ে উঠল, তা একমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচয়। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী কবির বাড়িতে ন্যূনতম সুরক্ষার ব্যবস্থা কেন করা হল না? উন্মত্ত জনতা যখন ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছিল, তখন পুলিশ-প্রশাসন কী করছিল?

    সংস্কৃতি মহলের উদ্বেগ

    এই হামলার ঘটনায় দুই বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সরকার বা সংস্কৃতি জগতের শীর্ষমহল থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। স্থানীয়দের একাংশ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। কাছারিবাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনা দুঃখজনক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাছারিবাড়ি বন্ধ থাকবে। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।” তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়ানো হবে নজরদারি ও ট্যুরিস্ট ম্যানেজমেন্ট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকে সুরক্ষিত রাখা, কাছারিবাড়িকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি উঠেছে নতুন করে।

    অবাক বাংলাদেশ!

    রবীন্দ্রনাথ কোনও একটি দেশের কবি নন। তিনি বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, ভারতেরও জাতীয় গৌরব। তাঁর প্রতি এমন অবমাননা আসলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপরই আঘাত। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য, সঙ্গীত এবং সমাজভাবনা দুই বাংলার সংস্কৃতিতে মিশে আছে। ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানে এমন ঘটনায় ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তবে লজ্জা নেই বোধহয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশেরই। যারা জাতির পিতার স্মৃতি মুছতে পারে, তারা কবিগুরুর স্মৃতি ধ্বংস করবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!

  • Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন সে দেশেরই সেনা প্রধান! ইউনূস (Md Yunus) মনে করেছিলেন ভারতের সঙ্গে সীমান্তে ছোটখাট সংঘর্ষ লাগিয়ে রেখে দেশের ভেতরের গুরুতর সমস্যাগুলি থেকে বাংলাদেশবাসীর দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। এভাবে জনমতকে তাঁর পক্ষে আনতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী। ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে সীমিত পরিসরের একটি সীমান্তসংঘর্ষ কেবল তাঁর সমস্যাগুলো দূর করবে না, বরং তাঁকে আগাম নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ করে দেবে। তাঁর ধারণা ছিল, এই পরিকল্পিত সংঘর্ষের সময় সব পক্ষ— এমনকি সাধারণ মানুষও— জাতীয়তাবাদের চেতনায় নিজেদের বিভেদ ভুলে তাঁকে সমর্থন করবেন। সূত্রের খবর, ইউনূস এই পরিকল্পনা করেন জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ এবং সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কিছু নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে। এনসিপিকে বাংলাদেশে ‘রাজপন্থী দল’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। কারণ এটি ইউনূসের আশীর্বাদপুষ্ট। তাঁর সক্রিয় সমর্থনও পেয়েছে এই দল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় এই দল। ছাত্রবিক্ষোভের অগ্রণী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (এডিএসএম) কয়েকজন নেতা যাঁরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়েই গঠিত হয়েছে এই দল।

    ইউনূসের শলা (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ভারত যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নাকি ইউনূস (Md Yunus) পরিকল্পনাটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) খালিলুর রহমান এবং সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ ফইজুর রহমানের সঙ্গে শলা করে চূড়ান্ত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, কিউএমজি সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অল্প কিছু উগ্র ইসলামপন্থীর একজন, যিনি সেনাপ্রধানের বিরোধিতা করেন সব সময়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। চলতি বছরের (Bangladesh) মার্চে সেনাপ্রধানকে সরাতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন। যদিও ব্যর্থ হন। তার পর থেকেই তাঁকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও রাখতে পারেন না।

    ঢাকা ব্রিগেড

    এই কারণেই ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত এবং সেনা সদর দফতরের অধীন ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেডের (‘ঢাকা ব্রিগেড’ নামেও পরিচিত) সঙ্গে যুক্ত কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিককে সেনাপ্রধানের সামনে গোটা পরিকল্পনাটি তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কর্নেল অন্তর্বর্তী সরকারের দুই প্রাক্তন এডিএসএম নেতার ঘনিষ্ঠ বলে সন্দেহ করা হয়। তিনি সেনাবাহিনীর সদর দফতরের প্রবীণ আধিকারিকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যখন পাকিস্তানকে জব্দ করতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ভেবেছিলেন, ভারত ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে উসকানিমূলক কাজকর্মের প্রতি বিশেষ নজর দিতে পারবে না। ঢাকার এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পরিকল্পনা ছিল বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-কে সীমান্তে একটি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিতে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে ভারতের বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)-এর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এই পরিকল্পনার অংশ ছিল সীমান্তের কিছু পেছনের এলাকায় সেনা ইউনিট মোতায়েন করা, যাতে বিজিবি সদস্যদের ব্যাকআপ দেওয়া যায়।”

    ঢাকায় সরকার পরিবর্তন

    প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh) বছরের অগাস্টের শুরুতে ঢাকায় সরকার পরিবর্তনের পরপরই বিজিবি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর খুবই আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তারা ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতার বসানো ও অন্যান্য নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করতে শুরু করে। বিজিবি (Md Yunus) এমনটা শুরু করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে। তখন বিজিবির জওয়ানরা ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্ধারণকারী একটি নদী পেরিয়ে ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তারা অসমের শ্রীভূমি জেলার একটি মন্দিরের সংস্কার কাজও বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল।বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “গত বছরের অগাস্ট থেকে এ বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তের অনেক ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিজিবি বাংলাদেশি অপরাধীদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। তবে তারা এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় ইতি টেনেছে।”

    ইউনূসের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, এর কারণ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান নাকি বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকে বিজিবির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে সরে আসার নির্দেশ দেন। সেনাপ্রধান নাকি বিজিবি প্রধানকে এ নিয়ে ভর্ৎসনাও করেন। বিজিবি প্রধান নাকি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বলেছিলেন, তিনি ‘যমুনা’ (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন) থেকে মৌখিক নির্দেশ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলতাফ হুসেন, যিনি বর্তমান সেনা প্রধানের ঘনিষ্ঠ, তিনি বলেন, “ইউনূসের পরিকল্পনা ছিল, এমন ছোটখাটো সংঘর্ষকে বাংলাদেশের অতিরঞ্জিত জাতীয়তাবাদী মিডিয়ার একটি অংশ ব্যবহার করবে জনরোষ ও জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দিতে। ইউনূস ও তাঁর সহকর্মীরা সেই জাতীয়তাবাদী আবেগকে উসকে দেবে যুদ্ধংদেহি বক্তব্য ও আগ্রাসী অবস্থানের মাধ্যমে। এর ফলে গোটা দেশ ইউনূসের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে। চাপা পড়ে যাবে তাঁর আমলে সৃষ্টি হওয়া সব অভ্যন্তরীণ সমস্যা (Bangladesh)।”

    সেনাবাহিনীর ব্যাকআপ

    এই পরিকল্পনার সফলতার জন্য সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত, তাহলে সীমান্তের কাছাকাছি মোতায়েন থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিজিবিকে সাহায্য করতে পারত। হুসেন বলেন, “সেনাবাহিনীকে ব্যাকআপ হিসেবে না পেলে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার সাহস পেত না। বিএসএফ সংযম দেখায়, কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত। ইউনূস যেটা চেয়েছিলেন তা হল, বিজিবি যেন সেই রেড লাইন অতিক্রম করে, যেটা করলে বিএসএফের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হত। সেই জন্যই সেনাবাহিনীকে পেছনে মোতায়েন (Md Yunus) করা হয়েছিল, যাতে বিএসএফ বিজিবি-র বিরুদ্ধে কড়া কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে (Bangladesh)।”

    কী বললেন সেনাপ্রধান?

    ইউনূসের এই ষড়যন্ত্রের কথা দ্রুত পৌঁছে যায় সেনাপ্রধানের কানে। বাংলাদেশ সেনা সদর দফতরের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর সহকর্মীদের, বিশেষ করে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং অপর দুই বাহিনীর প্রধান — এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নজমুল হাসানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করেন। সকলেই ইউনূসের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন।” এর পরেই সেনাপ্রধান ইউনূস এবং এনএসএ-কে জানিয়ে দেন যে এই পরিকল্পনাটি রূপায়ণ করা হলে, তা হবে অবিবেচকের মতো কাজ। তাই এটি কার্যকর করা হবে না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং ভারতকে উসকানি দেওয়া চলবে না। ভারতকে নিয়ে এমন সীমানা উত্তেজনার খেলা বুমেরাং হতে পারে। কারণ সীমান্তে যে কোনও ভুল পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। তিনি এও জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামর্থ্য কিংবা মনোভাব কোনওটিই ভারতের সঙ্গে শত্রুতায় জড়ানোর নয় (Bangladesh)।

    বাংলাদেশ সেনাপ্রধান আরও জানিয়ে দেন, সীমান্তে কোনও সেনা তিনি মোতায়েন করবেন না। বিজিবি-র প্রধানকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন কারও কাছ থেকে সরাসরি কোনও নির্দেশ না নেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূসের এই ‘ধান্ধা’র খবর জেনে যায় বিএনপি-ও। এর পরেই বিএনপি নেতৃত্বও দ্রুত ইউনূসকে জানিয়ে দেন (Md Yunus), এমন করা হলে তাঁরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করবেন এবং এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য ব্যাপক প্রচারও করবেন। সূত্রের খবর, তার পরেই ভয়ে ষড়যন্ত্র কার্যকর করা থেকে বিরত থাকেন ইউনূস (Bangladesh)।

  • JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    JMB Terror Module: পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় জঙ্গি মডিউল গঠনের চেষ্টা! বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি’র নয়া পরিকল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইয়ের মদতে বাংলাদেশে শক্তি বাড়াচ্ছে জেএমবি। সেই সঙ্গে ফের পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-উল-মুজাহিদিনের নেতারা। বাংলাদেশভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB Terror Module) পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় সন্ত্রাসী মডিউল গঠনের পরিকল্পনা করছে। প্রথমে তিনটি জেলায় নতুন জঙ্গি মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসআই ও জেএমবি। এর পর আরও অন্তত চারটি জেলায় তারা মডিউল তৈরির ব‌্যাপারে আলোচনা করেছে ও প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে।

    পরিকল্পনার বিস্তার

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেএমবি’র মডিউল (JMB Terror Module) গঠনের পরিকল্পনা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। এখনও এই জেলাগুলিতে জেএমবির পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যরা রয়েছে, যারা এখন সক্রিয় নয়। জেএমবি নেতাদের আইএসআই নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই তিনটি জেলায় নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়ছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও বীরভূম জেলা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ জেলা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুবিধাজনক। বীরভূম, যদিও সীমান্তবর্তী নয়, তবে মুর্শিদাবাদের মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লাল মাটির এই জেলা। সম্প্রতি একটি বৈঠকে এই ব‌্যাপারে রাজ‌্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর কলকাতা ও সারা রাজ‌্যজুড়ে নতুন করে নজরদারি শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এছাড়াও রাজ‌্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও শুরু করেছে নজরদারি।

    মডিউল গঠনের পদ্ধতি

    এবারও জেএমবি (JMB Terror Module) জঙ্গি সংগঠনের মূল টার্গেট এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলির কোনওটাই সরকারের অনুমোদিত নয়। জেএমবি’র সদস্যরা প্রথমে অস্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লক্ষ্য করে তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার চালায়। পরবর্তীতে, যুবক ও কিশোরদের মগজধোলাই করে তাদেরকে স্লিপার সেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগেও নিজেদের মতো করে বেআইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল জেএমবি। ক্রমাগত মগজধোলাইয়ের পর শুরু করতে হবে নিয়োগের প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে স্লিপার সেলের ‘ঘুমন্ত’ সদস‌্যদের সক্রিয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে টাকাও দিতে হবে তাদের। এভাবে বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তৈরি করতে হবে নতুন জঙ্গি মডিউল। বৃদ্ধি করতে হবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক।

    জঙ্গি প্রশিক্ষণ পদ্ধতি

    এর পর নিয়োগ করা সদস‌্যদের প্রশিক্ষণের ব‌্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আগের পদ্ধতিতে সদস‌্যদের পাকিস্তান অথবা পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও তৈরি করা হতে পারে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরে ওই নিয়োগ হওয়া সদস‌্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্র। তাদের শেখানো হবে বিস্ফোরক তৈরি ও প্রয়োগের উপায়। এর পর শুরু হবে নাশকতা। কারণ, জেএমবি নেতাদের ইতিমধ্যেই ফের বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির ‘স্বপ্ন’ দেখাতে শুরু করেছে আইএসআই। জেএমবি জঙ্গিদের কার্যকলাপ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পুরনো স্লিপার সেলের সদস‌্যদের উপর নজরদারি করতে শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    বীরভূমের ভূমিকা

    এই জঙ্গি মডিউল (JMB Terror Module) তৈরিতে বীরভূম জেলার ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বীরভূম একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত। এছাড়া, বীরভূমের শান্তিপল্লী এলাকায় একটি সম্ভাব্য জেএমবি কলোনি স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল, যা স্লিপার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারত। এখন আইএসআইয়ের নির্দেশে জেএমবি টার্গেট করেছে অসম ও এই রাজ্যের কয়েকটি জায়গা। অসমের বরপেটা, নলবাড়ি, ধুবড়িকে জেএমবি টার্গেট করেছে। আর এই রাজ্যের সাত জেলায় গোপনে চলছে জঙ্গি মডিউল তৈরির চেষ্টা।

    আন্তর্জাতিক যোগসূত্র

    এই বিস্তারিত জঙ্গি মডিউলের কথা পুলিশ জানতে পেরেছে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গিকে জেরা করে। ধৃত আবাসুদ্দিন মোল্লার মোবাইল ফোনে পাওয়া কোডেড ও এনক্রিপ্টেড বার্তা থেকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আনসার ঘাজওয়াতুল-হিন্দের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতারকৃত আজমল হোসেন ও সাহেব আলী খানের ফোনে বাংলাদেশভিত্তিক জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি) ও হিজবুত তাহরির (এইচইউটি)-এর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

    সংগঠন (JMB Terror Module) বিস্তারের পরই অস্ত্র কিনে নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা, এমনই মনে করছেন গোয়েন্দারা। জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলা শাখা! জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনই পুলিশ আগেই এই তথ্য পেয়েছিল। অসম পুলিশ এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন জেএমবি মডিউল গঠনের খবর পাওয়া গিয়েছে, যেখানে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ ভারতেও জেএমবি’র সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করছে।

    আইএসআই-এর সাহায্য

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে পাক চর সংস্থা আইএসআই। আইএসআইয়ের আধিকারিকরা নিজেরা ও এজেন্ট মারফৎ যোগাযোগ করে চলেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উপর নজর পড়ে গোয়েন্দাদের। ক্রমে এই রাজ‌্য-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হতে শুরু করে জেএমবি নেতা ও লিঙ্কম‌্যানরা। কলকাতা থেকেও গ্রেফতার হয় অনেকে। কলকাতা পুলিশ ও রাজ‌্য পুলিশের সঙ্গে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। এর ফলে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে ওই দেশ থেকেও গ্রেফতার হয় বহু জঙ্গি। এক কথায়, দু’দেশেই জেএমবি ও নব‌্য জেএমবির শিরদাঁড়া ভেঙে দেন গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পলাতক জেএমবির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন। গোয়েন্দাদের কাছে আসা খবর অনুযায়ী, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাক চর সংস্থা ইতিমধ্যেই নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে জেএমবির সঙ্গে। এর মধ্যেই জেএমবির কয়েকজন নেতার সঙ্গে রাজশাহি-সহ কয়েকটি জেলার ডেরায় বৈঠক হয়েছে আইএসআই এজেন্ট ও আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, আইএসআই আর্থিকভাবেও মদত জোগাতে শুরু করেছে ওই জঙ্গি নেতাদের।

    রাজ্যে জারি সতর্কতা

    পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জেএমবি’র (JMB Terror Module) সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যে জেএমবি’র মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করাই এখন আশু লক্ষ্য।

  • India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। তবু সৌজন্য রক্ষা করল দিল্লি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি লিখে মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছো জানান তিনি। প্রত্যুত্তরে চিঠি লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও। মোদিকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন। মোদি তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

    মোদির শুভেচ্ছা

    গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে ইউনূসকে চিঠি লেখেন। তাতে লেখা ছিল, “সকল ভারতীয় ও ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব। এ দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে শেখায়। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, শান্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন।” মহম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্যের কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ইউনূসের উত্তর

    মোদির (PM Modi) এই চিঠির জবাব ইউনূস দিয়েছেন ৬ জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত বার্তার আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সকল জনগণকে আমি ইদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’’ ইউনূস আরও লেখেন, ‘‘ইদ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কাছে আনে উৎসব, আত্মত্যাগ এবং সংহতির চেতনায়। এই উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোদির সুস্বাস্থ্য এবং ভারতের (India Bangladesh) জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে চিঠি শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতে (India Bangladesh) চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার বুকে চলতে থাকে ভারত-বিদ্বেষের চেষ্টা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

  • Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Election) অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে বাংলাদেশের বিএনপি সহ প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবি করেছিল। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের দাবিকে উপেক্ষা করলেন ইউনূস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে আসলে এভাবেই সময় কিনতে চাইছেন ইউনূস। একারণেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরিবর্তে, ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

    শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দলের সমর্থন ইউনূসের সিদ্ধান্তকে

    বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) ইউনূসের ২০২৬ এপ্রিলের নির্বাচনের ঘোষণাকে সমর্থন করেছে। তারা জানিয়েছে, জুলাই মাসের ঘোষণা ও অন্যান্য সংস্কারমূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে এপ্রিলেই নির্বাচন হলে অসুবিধা নেই।

    ইউনূসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ঢাকার শিক্ষাবিদ (Bangladesh Election)

    তবে ইউনূস (Md Yunus) যখন এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, তিনি কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি। এনিয়েই ঢাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রেজাউল রহমান লেনিন এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অচলাবস্থা এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী আইন রয়েছে। এ কারণে মনে হয় না ইউনূস সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন (Bangladesh Election) পরিচালনা করতে পারবে।”

    বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশেই ৮ মাস দেশ শাসন ইউনূসের

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। জামাতদের ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন (Bangladesh Election)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সরকারকে ঘিরে নানা বিতর্ক দেখা গেছে। দেশে বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্ব এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচারের কারণে মুখ পুড়েছে ইউনূস সরকারের। প্রায় ৮ মাস এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশের মধ্যেই ইউনূস সরকার দেশ শাসন করছে।

    সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ছাত্ররা

    ইউনূসের ঘোষণার আগে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের দল এনসিপি দাবি তুলেছে, নির্বাচন কমিশনকে যেন বিএনপির প্রভাব মুক্ত হয়। তারা সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। এরপরে নির্বাচন করাতে চায় ছাত্ররা। অন্যদিকে, বিএনপি সমেত প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায়।

    বিএনপির তাড়াহুড়োর কারণ (Bangladesh Election)

    বিএনপির এত তাড়া কিসের? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ এখন দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশে। একটা সময়ে আওয়ামি লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপি। এই সুযোগ নিয়ে বিএনপি মসনদ দখল করতে চাইছে বাংলাদেশে। বিএনপির আশঙ্কা, সময় যত পেরিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।

    সেনাপ্রধান কী বলেছিলেন?

    এদিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী গত ৫ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্ব করার অভিযোগ আনেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাইছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানও ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, একটি নির্বাচিত সরকারই নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।

    শীতকালে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। তবে পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশে শীতকালই নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষা চলে, ফলে শিক্ষকরাও ব্যস্ত থাকেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিতেও লাগাম টানা হয়। তা সত্ত্বেও ইউনূস সরকার সরাসরি ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন এপ্রিল মাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

  • BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    BSF: সুন্দরবন অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নজরদারিতে জোর! ডিআরডিও-র দ্বারস্থ বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সাহায্য চাইল বিএসএফ (BSF)। অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ (DRDO)। ভারতের সুন্দরবনের সঙ্গে যুক্ত ১১৩ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থাপনার সাহায্য চেয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে রয়েছে, ড্রোন, রেডার এবং স্যালেটাইটও। অপারেশন সিঁদুরের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নর্থ ব্লকে উচ্চ পর্যায়ের উপকূল নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।

    পহেলগাঁও হামলা (BSF)

    প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে পহেলগাঁও হামলার পর অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে তাতে আরও গতি এসেছে। সরকারিভাবে না হলেও, বেসরকারিভাবে এই অভিযানের নাম অপারেশন পুশ-ব্যাক। এই অভিযানের অংশ হিসেবে বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে এবং এখন সংবেদনশীল এলাকা, বিশেষ করে সুন্দরবন, যা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য পরিচিত রুট, সেখানে ফাঁক পূরণের জন্য উচ্চমানের নজরদারি প্রযুক্তির ওপর আরও বেশি করে নির্ভর করার চেষ্টা করছে (BSF)।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “বিএসএফ প্রায় ১১৩ কিলোমিটার এলাকা প্রযুক্তিগত নজরদারির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই ইসরো এবং ডিআরডিওর সঙ্গে পরামর্শ করে একটি সম্ভাব্য সমীক্ষা পরিচালনা করেছে এবং সব চেয়ে কার্যকর সমাধানগুলি শনাক্ত করার জন্য ডিআরডিওকে মাঠ পরিদর্শন করতে বলেছে। তবে গুজরাটের খাঁড়ি এলাকায় একই ধরনের প্রকল্পের বর্তমান কাজ শেষ করার পরেই ডিআরডিও (DRDO) সুন্দরবনের জায়গাটা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিএসএফ

    বর্তমানে বিএসএফ সুন্দরবন সেক্টরের প্রায় ১২৩ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালায়। এর সিংহভাগই খাল এবং ঘন ম্যানগ্রোভ বনে ভরা কঠিন ভূখণ্ড। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের পর প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতির চাহিদা বেড়েছে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভারতের নদী এবং সমুদ্র সীমানা, বিশেষ করে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ার পথ খুঁজছে। প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জজুড়ে বিস্তৃত এবং জোয়ারের জলপথ দ্বারা আড়াআড়ি এই অঞ্চলটি প্রচলিত টহলদারির জন্য অনন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

    বিএসএফের শক্তি

    বর্তমানে বিএসএফ আটটি ভাসমান সীমান্ত ফাঁড়ি এবং ৯৬চি অন্যান্য টহলদারি জাহাজের সাহায্যে নজরদারি চালায়। সাতটি নজর মিনার নির্মাণের জন্য জমি এবং আরও বন-পোস্টের সহ-অবস্থানের অনুমতি দেওয়ার জন্য এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। এটি এমন একটি মডেল যেখানে বিএসএফ কর্মীরা বনকর্তাদের সঙ্গে পরিকাঠামো ভাগ করে নেয় (BSF)। ইতিমধ্যেই এই ধরনের তিনটি পোস্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “অগ্রগতি কিছুই হচ্ছে না। বারবার সমীক্ষা করা সত্ত্বেও, বন ও রাজ্য রাজস্ব বিভাগের কর্তারা অংশগ্রহণ করেননি, যার ফলে প্রক্রিয়াটি স্থবির হয়ে পড়েছে।” মে মাসে বৈঠক হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তা (DRDO) দলজিৎ সিং চৌধুরীও। ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন যে তাঁরা সাতটি জায়গা সমীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে দুটি জায়গায় জমি দিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আরও তিনটি বিএসএফ পোস্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন বন বিভাগের ছাড়পত্রের। উভয় পক্ষকেই প্রয়োজনে বিকল্প জায়গা অনুসন্ধান ও প্রতিটি জায়গায় যৌথভাবে সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনে নজরদারির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ব সীমান্ত বন্ধ করা না হলে অবৈধ অভিবাসন এবং জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোধের চেষ্টা ব্যাহত হতে পারে (BSF)। বৃহত্তর সীমান্ত কৌশলের অংশ হিসেবে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে, নির্বাসন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং বিভিন্ন সংস্থায় গোয়েন্দা সমন্বয় বৃদ্ধি করেছে। বছরভর টুকটাক অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও, গত অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। এই ডামাডোলের বাজারে প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে শুরু করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। একই সঙ্গে চলছে অপারেশন পুশ-ব্যাকও। এমন আবহেই ডিআরডিওর (DRDO) কাছে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য চেয়ে বিএসএফ যে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও পোক্ত করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য (BSF)।

  • Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনূস সরকার। হাসিনা সরকারে পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু (Mujibur Rahman) বিরোধী একাধিক অবস্থান সামনে এসেছে ইউনূস জমানায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পৈত্রিক ভিটেমাটি। বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলাও হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুদ্রা থেকেও তাঁকে সরিয়ে ফেলল ইউনূস সরকার।

    উঠছে প্রশ্ন (Mujibur Rahman)

    রবিবার ১ জুন বাংলাদেশে (Bangladesh) নতুন ব্যাঙ্ক নোট প্রকাশিত করে ইউনূস সরকার। টাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Mujibur Rahman) ছবি একেবারেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, বিভিন্ন ল্যান্ডমার্ক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি। বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এই নতুন নোট প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের মুদ্রায় বদল আনার মতো বড় পদক্ষেপ করার ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচিত সরকারের আছে। সেই স্থানে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা কীভাবে মুদ্রার ছবি বদলে ফেলতে পারে?

    কী বলছেন ব্যাঙ্ক কর্তা?

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতেই এমনটা করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে এখন নতুন শাসন ব্যবস্থা। এতেই এল নতুন নিয়ম। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “নতুন সিরিজ ও ডিজাইনের অধীনে এবার থেকে আর কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে না, বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও ঐতিহ্যবাহী স্থানের ছবি থাকবে।” বাংলাদেশের নতুন ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি প্রয়াত চিত্রশিল্পী জাইনুল আবেদিনের আঁকা ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।

    খালেদা জিয়ার জমানাতেও বদলেছিল ছবি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) ছবি থাকা নোটগুলি বাতিল করা হচ্ছে না। তা কার্যকর থাকবে। তবে ব্যাঙ্ক আর নতুন করে বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ নোট ছাপাবে না। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, এর আগে খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছিল ব্যাঙ্ক নোটে।

  • Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসব গুলিতে আক্রমণ, মন্দির ভাঙচুর (Attacks on Hindus)। এমনটাই দাবি হিন্দু পোস্ট পত্রিকার। তাদের প্রতিবেদনে গত ২৫ মে থেকে ১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

    হিন্দু পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এবং বাংলাদেশে যে হিন্দুদের উপর আক্রমণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হল-

    ভারতে ঘটা ঘটনা (Attacks on Hindus)

    অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার হালিশহরে একটি হিন্দু মন্দিরের আক্রমণ চালায় এবং শিবলিঙ্গ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

    পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলাতে এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাপ্পা মিয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গুজরাটের জামনগর থেকে যৌন নির্যাতনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে আম-আদমি পার্টির সক্রিয় কর্মী মহম্মদ আক্রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করে ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে।

    শনিবার ২৪ মে অন্ধপ্রদেশের কাডাপা জেলায় রহমত উল্লাহ নামে এক ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিন বছর বয়সি এক দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।

    উত্তরপ্রদেশে জোর জবরদস্তি করে ইসলামিক ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে বাধ্য করা হয় এক ব্যক্তিকে। এর পাশাপাশি তার হিন্দু পরিচয় (Attacks on Hindus) সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুলদীপ কুমার। তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালেই তিনি আলফিয়া নামে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০২৫ সালেই তাঁর নাম রশিদ রাখতে বাধ্য করে তারা।

    মধ্যপ্রদেশের বালুদা নামের একটি গ্রামে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং হিন্দু মহিলাকে যৌন নির্যাতনের জন্য সে রাজ্যের পুলিশ মোবারক মন্ত্রী নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

    অন্যদিকে একই চিত্র ধরা পড়ছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও

    সম্প্রতি, মানিকগঞ্জ জেলায় একটি মন্দিরকে ভাঙচুর করে উগ্র মৌলবাদীরা। অভিযোগ দেবদেবীর মূর্তিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মানিকগঞ্জ জেলার গড়পাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত মন্দিরটি। বাংলাদেশের গবেষক আবুল বারাকত জানাচ্ছেন, যে ধরনের অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর তাতে ২০৫০ সালের মধ্যে, বাংলাদেশ আর কোনও হিন্দু থাকবে না (Hindu Dharma)।

LinkedIn
Share