Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: বেকায়দায় ইউনূস! ভারতের চাপে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ৭০

    Bangladesh: বেকায়দায় ইউনূস! ভারতের চাপে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ৭০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এই ঘটনা নিয়ে সোমবারই তদারকি সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে, তদারকি সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আশ্বাস দেন, এ হেন ঘটনা বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার বরদাস্ত করবে না। তার ঠিক পরের দিনই, মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। কার্যত ভারতের চাপে নতিস্বীকার করল ইউনূস (Md Yunus) সরকার। আর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনায় হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছিল তা প্রমাণ করে দিল।

    হিন্দু নির্যাতনে কতজন গ্রেফতার? (Bangladesh)

    মঙ্গলবার বাংলাদেশের (Bangladesh) তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব মহম্মদ শফিকুল আলম বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় ৮৮টি মামলা হয়েছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ৭০ জন। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগেই এই মামলাগুলি দায়ের হয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।” পাশাপাশি, বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, “সুনামগঞ্জে একটি ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায় চট্টগ্রাম, ঢাকার তুরাগ ও নরসিংদীতে ঘটনা ঘটেছে। সেগুলির প্রতিটির তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। বাংলাদেশে যাঁরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। কোনও রাজনৈতিক দলের রং না দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ভারতের চাপেই ব্যবস্থা!

    অশান্ত বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Bangladesh) ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এই আবহেই সোমবার ঢাকায় যান ভারতের বিদেশ সচিব। প্রথমে তিনি বৈঠক করেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে। পরে বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিক্রম। তিনটি বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়- যার মূল নির্যাস উভয় পক্ষই সুসম্পর্ক চায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগের বিষয়টিও উঠেছিল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশ সচিব জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব পরে জানান, সে দেশে বসবাসরত সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্মচর্চা করছেন। এ ব্যাপারে কোনও ধরনের বিভ্রান্তির জায়গা নেই। বাংলাদেশ সরকার এমন ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেবে না, তা-ও বৈঠকে ভারতের বিদেশ সচিবকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন জসীম উদ্দিন। তার পরই মঙ্গলবার অশান্তির অভিযোগের পরিসংখ্যান দিল ইউনূস প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindus in Bangladesh: ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    Hindus in Bangladesh: ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার’’, বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতন রোধে বার্তা আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) উপর নির্যাতন রোধ করার জন্য ভারত সরকারের ‘‘আরও দৃঢ় পদক্ষেপ’’ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) নেতা সুনীল অম্বেকর। পদ্মাপাড়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এই নির্যাতন বন্ধ করতে ভারত সরকারের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলেও মত সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখের।

    আরও সক্রিয় পদক্ষেপের আশা

    মঙ্গলবার নাগপুরে ‘সকল হিন্দু সমাজ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় সুনীল বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। বাংলাদেশে যা ঘটছে তা প্রতিটি হিন্দুর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ (Hindus in Bangladesh) সরকারকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘটে চলা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। ভারত সরকারকে এই ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। যে কোনও মূল্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া, বিশেষ বিমানে দেশে ফেরানো হচ্ছে ৭৫ ভারতীয়কে

    বাংলাদেশের হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ

    অম্বেকর আশা প্রকাশ করেন যে, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির বাংলাদেশ সফর নিশ্চয় কোনও সমাধান সূত্র বার করবে। তবে, যদি এর মাধ্যমে কোনও ইতিবাচক ফল পাওয়া না যায়, তাহলে ভারতকে অন্য কোনও পথ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘বিশ্বের কিছু শক্তি বাংলাদেশে (Hindus in Bangladesh) অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমাদের এসব শক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে হিন্দুদের প্রতি এ ধরনের অত্যাচার বন্ধ হয়, শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্যান্য দেশেও।’’ বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং তাঁর আইনজীবীর ওপর হামলার প্রসঙ্গে অম্বেকর বলেন, ‘‘এই ঘটনা নির্যাতনের সীমা অতিক্রম করেছে।’’ এই আবহে বাংলাদেশি হিন্দুদের মনোভাবের প্রশংসা করেছেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দুরা একটি অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তা দিয়েছেন যে, তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছেন না, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একে একে বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তাঁর মূর্তিতে পড়েছে হাতুড়ি। কালি লেপে দেওয়া হয়েছে মুজিবুরের ছবিতে। এবার বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’। এই স্লোগানও খারিজ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    ইউনূস সরকারের আবেদনে শিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের! (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায় স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাংলা দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বেঞ্চ এই রায় দেন। ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আর বাংলাদেশের জাতীয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তাদের টাকা থেকেও বঙ্গবন্ধুর মুখ সরিয়ে ফেলতে চায়। সেই প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ প্রায়। একে একে বদলে যাবে বাংলাদেশের নোটগুলি। বঙ্গবন্ধুর ছবির বদলে সেখানে আসবে জুলাই বিদ্রোহ (২০২৪) এর বিভিন্ন গ্রাফিতি।

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    হাসিনাকে ফেরতের দাবি!

    ভারতের আশ্রয়ে থেকে লাগাতার ভার্চুয়াল সভা করে চলেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি-সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। রবিবারও পরোক্ষে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বাংলাদেশের মাটিতেই খুনি মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ ইউনূসের বিচার হবে।’’ ঘটনাচক্রে রবিবার রাতেই ইউনূসের প্রেস-সচিব দাবি করেছেন, হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরাতে নতুন করে কোমর বাঁধছে ঢাকা। স্রেফ কিছু আইনি প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের যে প্রত্যপর্ণ চুক্তি রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি আছে। তা শেষ হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে অ্যাপ্রোচ করা হবে।’’

    সূত্রের দাবি, সোমবার ঢাকা সফররত ভারতীয় বিদেশসচিবের কাছে হাসিনা-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ইউনূস সরকারের বিদেশসচিব মহম্মদ জসিম উদ্দিন। কিন্তু হাসিনাকে নিয়ে হঠাৎ এত তৎপর কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, হাসিনার একের পর এক ভার্চুয়াল ভাষণ হিট হচ্ছে দেখেই চাপে ইউনূস সরকার। খুব সম্ভবত নিজেদের বিপদ আঁচ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নেপথ্যে থেকে উস্কানি দিচ্ছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। জানা গিয়েছে, রবিবার ঢাকার মৌলবী বাজারে এক আওয়ামি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন দুই মহিলা। অভিযোগ উঠেছে, হাসিনার ভাষণ শেষে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Satyarthi: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    Kailash Satyarthi: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নোবেল জয়ীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ আর এক নোবেলজয়ীর! বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথা শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের আবেদন জানালেন ভারতের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিত্ব কৈলাস সত্যার্থী (Kailash Satyarthi)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে প্রায় ৪০ বছর কাজ করেছি। তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই।”

    কী বললেন কৈলাস সত্যার্থী?

    মানবাধিকার দিবসে ইউনূসকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সত্যার্থী বলেন, “যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে, তাতে মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশে যেন মানবাধিকারকে বন্দি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। অবিলম্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন।”

    ইউনূসকে নিশানা অভিজিতেরও

    বিশ্বশান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন ইউনূস। তাঁর পুরস্কার কেড়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যেভাবে অন্য ধর্মের ওপর বিশেষত হিন্দু ধর্মের ওপর যে আক্রমণ চলছে, তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির উচিত এই মুহূর্তে তাঁর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া।” তিনি বলেন, “আপনারা হয়তো আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, নোবেল কমিটির এই রুল আছে কিনা। আমি তা বলতে পারব না। তবে একটা সাধারণ রুল রয়েছে, যে কোনও কর্তৃপক্ষ যদি কোনও একটা কাজ করতে চান, করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে তার সেই কাজ নাকচ করার ক্ষমতাও থাকে।” অভিজিৎ বলেন, “সেই নীতির ওপর ভিত্তি করেই আমি দাবি করছি, নোবেল কমিটি এই মুহূর্তে ইউনূসের নোবেল পুরস্কার ফেরত নিয়ে নিক।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    অভিজিৎ (Kailash Satyarthi) বলেন, “একটা সময় ছিল যখন তাঁকে বলা হত গরিবের ব্যাঙ্কার। গোটা বিশ্বে তখন তাঁর প্রশংসা। ২০০৬ সালে তাঁর ঝুলিতে আসে নোবেল শান্তি পুরস্কার। কিন্তু সেই মহম্মদ ইউনূসের আমলেই আজ বাংলাদেশে হিন্দুদের শান্তি খানখান।” তিনি বলেন, “অত্যাচারের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। আর কার্যত চুপ করে দেখছেন মহম্মদ ইউনূস।” সত্যার্থী (Kailash Satyarthi) বলেন, “বারবার প্রশ্ন উঠছে, যে মোল্লাতন্ত্র পাকিস্তানকে চালাত, এখন কি সেই মোল্লাতন্ত্রের ইশারায়ই চলছেন (Bangladesh Crisis) শান্তিতে নোবেল জয়ী?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    Bangladesh: হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে গণবিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের বিজয় দিবসের কথা মনে করিয়ে দিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) হাই কমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে বিরাট বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ভারতীয়রা। গত ৫ অগাস্ট থেকে লাগাতার হওয়া বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতীয় হিন্দু সমাজ। হাজার হাজার সাধারণ জনতার সঙ্গে সাধুসন্তরা এদিন এই কর্মসূচীতে যোগদান করেছেন। দাবি একটাই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হোক।

    হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে (Bangladesh)

    নভেম্বরের শেষেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ধর্ম গুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন একাধিক জায়গায় কট্টর মৌলবাদী মুসলমানদের চলছে আগ্রাসন। হিন্দু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, দোকান লুট, মন্দিরে আগুন, মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ঘটনায় চরম বিপাকে সনাতনী সমাজ। ঢাকার রাজপথে বিলি হচ্ছে ‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র’ লিফলেট, চার দিনে কলকাতা দখল হবে বলে দেওয়া হচ্ছে হুঙ্কার। ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা করছেন তলোয়ার দিয়ে কোপানো হবে ইসকনকে। এই সব ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস একদম চুপ। চট্টগ্রামের বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হিন্দু মহিলাকে। ঢাকায় পড়ানো হচ্ছে জগন্নাথের মন্দির। তাই প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একত্রিত হয়েছেন বহু মানুষ। সকলের মুখে একটাই স্লোগান হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশকে। একই ভাবে ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা যাবে না। অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ সন্ন্যাসীকে মুক্তি দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

    হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

    এদিন দিল্লিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কেন নির্বাক? অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনও হিন্দুদের উপর ভয়াবহ অত্যাচারের বিরুদ্ধে চুপচাপ করে বসে আছে। বাংলাদেশ কি ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা ভুলে গিয়েছে? একই ভাবে আগে মুম্বইয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের (Bangladesh High Commission) সামনে একাধিক হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে রবিবার দেশের আরও একাধিক জায়গায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঢাকায় বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই হিন্দুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে গ্রামে গ্রামে ধর্ম রক্ষা কমিটি (Hindu Raksha Committee) গড়তে হবে।” এমনই ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ঘটে চলা ধারাবাহিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এর আগে পেট্রাপোল সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন শুভেন্দু।

    অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের ডাক (Suvendu Adhikari)

    মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান উত্তর ২৪ পরগনায় ঘোজাডাঙা সীমান্তে। সেখানেই হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে গ্রামে গ্রামে হিন্দু রক্ষা কমিটি তৈরির ডাক দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই হিন্দুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে গ্রামে গ্রামে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়তে হবে।” বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকেও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। 

    বলেন, “বাংলাদেশ তো ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ওরা এত বড় বড় কথা বলে কী করে? বলছে কলকাতার দখল নেবে! জেনে রাখুন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস করে কাশ্মীরে ভারতের ঝান্ডা উড়িয়েছেন, চিনের সঙ্গেও সামরিক শক্তিতে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। হাসিমারায় ৪০টি যুদ্ধ বিমান রয়েছে। দুটো পাঠালেই কাজ হয়ে যাবে। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় জানি।” ভারত ৯৭টি পণ্য না পাঠালে বাংলাদেশের ভাত-কাপড় জুটবে না বলেও ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    নিশানায় সিদ্দিকুল্লাও

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি ইউনূস সরকারকে সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। অথচ ইউনূসের সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছেন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। উনি যদি সত্যিই হিন্দুদের ভালো চান, তাহলে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সিদ্দিকুল্লাকে বহিষ্কার করুন।”

    হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হতেই মমতা সুর নরম করছেন বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর। বলেন, “উনি (মমত বন্দ্যোপাধ্যায়) বুঝতে পারছেন ৩০ শতাংশ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে পারবেন না। ৭০ শতাংশ এক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিধানসভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের পক্ষে কথা বলছেন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে (Hindu Raksha Committee) ওঠে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • BSF: অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা বাসিন্দাদের দেখাল বিএসএফ

    BSF: অস্ত্র ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা বাসিন্দাদের দেখাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত হামলার ঘটনা ঘটছে। কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতরও সক্রিয়। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ সীমান্তে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়, তা সীমান্ত এলাকার আমজনতাকে দেখাল বিএসএফ।

    বিএসএফের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়? (BSF)

    সীমান্তে শত্রু পক্ষের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিএসএফের (BSF) ব্যবহৃত অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শনী-সহ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ রুখতে ডগ স্কোয়াডের প্রদর্শনীও হয়। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলার গ্রাম এবং শহরগুলিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি শহরে অস্ত্র প্রদর্শনী, কেরিয়ার কাউন্সিলিং-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়র রাজীব গৌতম সহ ৯৮/১৫১/০৬/৪০ নম্বর কোম্পানির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, “সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্তের জন্য ব্যাপক বড় পরিকল্পনা আনছি। নিরাপত্তা বলয়ে কমপ্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আনছি।” এই পরিস্থিতি বিএসএফের এই উদ্যোগ অভিনব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের

    বাংলাদেশ জুড়ে অশান্ত পরিবেশ। এই অবস্থায় বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তারা। কারণ, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তের (BSF) ৯০০ কিলোমিটারের বেশি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে আবার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি বর্ডারে কাঁটাতার নেই। এইসব কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে অবাধ অনুপ্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার বর্ডারকেই টার্গেট করে। কারণ, এই তিন জেলা থেকে ভারতে প্রবেশ করলে খুব সহজেই শহর কলকাতার ভিড়ে মিশে যাওয়া যায়। কিছুদিন আগেই কলকাতার একটি হোটেল থেকে সেলিম মাতব্বর নামে একজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বাংলাদেশের বিএনপি দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তিনি ২০২৩ সালে নদিয়া জেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সেই কারণে বর্ডার এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিএসএফ।

    দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিএসএফের (BSF) দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি নীলোৎপল কুমার পাণ্ডে বলেন, “বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান রুখতে কড়া নজরদারি চালায়। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। জওয়ানদের সব সময়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, জওয়ানদের সাইকেল, সার্চ লাইট, দূরবীন সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: চাপে বাংলাদেশ! ভারতের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, জানালেন ঢাকার উপদেষ্টা

    India Bangladesh Relation: চাপে বাংলাদেশ! ভারতের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, জানালেন ঢাকার উপদেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার প্রসঙ্গে চাপে ঢাকা। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সংযোগ আরও বাড়ানোর কথা বলেছে বাংলাদেশ। তবে, ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল মানুষ। দুই দেশের মানুষের স্বার্থকেই সামনে রেখে এগোনোর কথা বলেছে দিল্লি। সেক্ষেত্রে পদ্মা পাড়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের চাপ

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) গিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বর্তমান একাধিক ইস্যু নিয়ে ভারতের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্তমান পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা স্পষ্ট ভাবেই ঢাকায় বলে এসেছেন বিদেশ সচিব। তবে বিক্রম মিস্রি ফিরে আসার পর, বাংলাদেশের তরফে ভারতের বিদেশ সচিবের সফরের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে সরকারের উপদেষ্টা জানান, ভারতের তরফে একাধিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয় তাঁরা জবাব দিয়েছেন। উপদেষ্টার বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে বৈঠকে ভারতের তরফে চাপ কতটা ছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’, ওবিসি মামলায় রাজ্যকে সুপ্রিম-ধাক্কা

    মানুষের স্বার্থেই সু-সম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট কোটা আন্দোলনের জেরে মসনদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার ভারতে আসার পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিদেশ সচিব গেলেন ঢাকায়। সোমবার ঝটিকা সফরে ঢাকায় পৌঁছন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে তিনি বিদেশ সচিব স্তরের বৈঠকের পর বিকেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন ‘যমুনা’য় মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে পেশ করা নথিতে বলা হয়েছে, বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘আমি (বাংলাদেশে) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির উপর হামলার কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছি আমরা।’’ ভারতের তরফে সাফ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই সমস্ত বিষয়ে একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করি এবং আমরা সম্পর্কটিকে ইতিবাচক, দূরদর্শী এবং গঠনমূলক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করি।’’ অন্যদিকে, ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতির কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা দখলের হুমকির পর বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখলের ডাক। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন সেনা কর্মী থেকে বিএনপি নেতা, পদ্মাপাড়ে এক শ্রেণির মুখে হুমকির ফুলঝুরি। অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের নেতাদের এই হুমকি মানায় না। তাঁদের ক্ষমতা কতটুকু তা বোঝা উচিত। ভারতের ভূমি দখলের হুমকির পর বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বাংলাদেশকে নিশানা

    বাংলাদেশ ইস্যুতে আগেই হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এবার দখলের প্রসঙ্গে কার্যত ব্যঙ্গ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি খবর পেয়েছি, ঢাকা থেকে তিন লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য। আরে ওদের আছেটা কী ভাই? রাফাল রাখা আছে হাসিমারায়। শুধু আওয়াজ দিতে হবে…। আমি আগেও বলেছি, আজও বলেছি প্যান্টে বাথরুম হবে।” এদিন এই একই ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বিধানসভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “যাঁরা বলছেন দখল করবেন, তাঁরা ভাববেন না, আমরা বসে ললিপপ খাব।” তিনি আরও বলেন, “আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আমরা যথেষ্ট সক্রিয়, কিন্তু ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিই।” 

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “উনি ভারত সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। বাংলাদেশের ঘটনায় পশ্চিম বাংলায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। মুখরক্ষার জন্য এটা বলছেন উনি। আবার ওনার সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরাসরি মহম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করছেন। নরেন্দ্র মোদিজির নিন্দা করছেন। বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিমকে রাণী রাসমণি রোড ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর হিন্দুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে, কলকাতার বুকে প্রতিবাদ করতে গেলে, হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়। অর্থাৎ একই অঙ্গে বহু রূপ। এই সব কথার কোনও মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ, সাফ জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা

    Darjeeling: বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ, সাফ জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জাতীয় পতাকাকে প্রকাশ্যে অপমান। এমনকী ভারতকে নিয়ে নানা কটূ মন্তব্য মেনে নিতে পারছেন না এপারের বাসিন্দারা। আগেই এপার বাংলার বহু চিকিৎসক বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) হোটেল ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে আর বাংলাদেশি (Bangladeshis) পর্যটকদের জায়গা হবে না। সোমবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানাল পাহাড়ের হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

    বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট (Darjeeling)

    পাহাড়ের হোটেলে (Darjeeling) বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করার জল্পনা চলছিল কয়েক দিন ধরে। বিভিন্ন সংগঠন এবং হোটেল ব্যবসায়ী সম্মিলিত ভাবে এই বয়কটের কথা ঘোষণা করলেন। ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে সোমবার বলা হয়, দার্জিলিং পুলিশ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন হোটেল এবং তার বাইরেও যে সমস্ত হোটেল রয়েছে তাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে। সেখানে অধিকাংশ ভোট গিয়ে পড়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের বিরুদ্ধে। তাই এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। শীতের মরসুমে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছরই এই সময় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক শৈলশহরে বেড়াতে আসেন। তাঁদের ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত কঠিন বলে মেনে নিয়েও ব্যবসায়ী সংগঠন বলছে, “দেশের থেকে বড় কিছুই নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    আগে দেশ, ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক!

    সাংবাদিক বৈঠকে ‘গ্রেটার শিলিগুড়ি (Darjeeling) হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী ভোটপ্রক্রিয়া হয়েছিল। তাতে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট বাংলাদেশিদের বিপক্ষে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “সেই কারণে বাংলাদেশের পর্যটকদের আপাতত হোটেলে জায়গা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত যেন সবাই মেনে চলেন। মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণও করা হবে। এমনকী, ‘স্টুডেন্ট’ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসা দেখিয়েও দার্জিলিংয়ের কোনও হোটেলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক জায়গা পাবেন না। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের প্রতি কটূক্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যত দিন না ওই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করে বিবৃতি দেবে, তত দিন ওই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।” পাশাপাশি ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর’-এর সদস্য দেবাশিস মৈত্র বলেন, “আমাদের কাছে আগে দেশ। ব্যবসার ক্ষতি হবে, হোক। হোটেল সংগঠন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share