Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Nadia: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    Nadia: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মমতার বক্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধুসন্তরা। এই আবহের মধ্যে এবার চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভূমি নদিয়ায় (Nadia) হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করার ফতোয়া দিল বাংলাদেশ। যা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম-সংকীর্তন অনুষ্ঠান।

    হরিনাম বন্ধে ফতোয়া দিল বিজিবি! (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম বিজয়পুর। এই গ্রাম থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই কাছে। গত ৩৫ বছর ধরে সেখান গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অষ্টম প্রহর নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার রক্ষা বাহিনী (বিজিবি) এই সীমান্ত লাগোয়া বিজয়পুর গ্রামে নাম সংকীর্তন বন্ধ করার  ফতোয়া জারি করে বলে অভিযোগ। যার জেরে অনুষ্ঠান হওয়া একরকম অনিশ্চিত হয়ে প়ড়েছিল। যে নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান নয়, স্থানীয় মানুষদের জন্য আবেগ এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের আরেক নাম। বিজিবি-র ফতোয়ার কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিএসএফের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, বিএসএফের হস্তক্ষেপে ফের গ্রামবাসীরা নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কী বললেন?

    বাংলাদেশের এই ফতোয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামের (Nadia) বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, আমরা ভারতবর্ষে বসবাস করি। আমাদের নিজের দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীরা কীভাবে ফতোয়া দিতে পারে তা আমরা বুঝতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত বিএসএফের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের বিজিবির হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে আবারও শুরু হল বিজয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান। এ বিষয়ে আমরা বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ। বিএসএফের আধিকারিকরা যদি হস্তক্ষেপ না করত, তাহলে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। গ্রামের এক মহিলা বলেন, আমরা ভারতের নাগরিক, কাঁটাতারের জিরো পয়েন্টে বসবাস করি। বিএসএফদের কারণে আমরা সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করি। কোনও ভয় ভীতি নেই। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই আনন্দ উৎসবের মুখর হয়ে থাকে এই গ্রাম। তবে, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুধু বিজয়পুর গ্রামের মানুষ নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই অনুষ্ঠানে সামিল হন। আর সেটাকেই বন্ধ করার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশিদের। সেটা বিএসএফের কারণে তারা করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh MP Murder: কলকাতায় খুন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সাংসদ, নেপথ্যে কে?

    Bangladesh MP Murder: কলকাতায় খুন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সাংসদ, নেপথ্যে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় খুন বাংলাদেশের সাংসদ (Bangladesh MP Murder)। ১২ মে চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম। আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তাঁর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ।

    খুনের কথা কবুল (Bangladesh MP Murder)

    ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় ধৃতেরা সাংসদকে খুনের কথা কবুলও করেছে বলে সূত্রের খবর। এই পরেই আনোয়ার যে খুন হয়েছেন, তা নিশ্চিত করে পুলিশ। দিন কয়েক আগেই কলকাতার নিউটাউন থানার পুলিশ উদ্ধার করেছিল আনোয়ারের গাড়ি। তবে সাংসদের দেহ মেলেনি। বুধবার ধৃতদের নিয়ে গিয়ে নিউটাউনের একটি আবাসনে তল্লাশি চালায় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ।

    সিসিটিভির ফুটেজ

    আবাসনের (Bangladesh MP Murder) সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ধৃত তিনজন সাংসদের সঙ্গে ছিলেন। পরে তাঁরা বেরিয়ে গেলেও, সাংসদকে বের হতে দেখা যায়নি। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের মেঝেয় ও বেসিনে রক্তের দাগ দেখতে পায়। সেই সূত্র ধরেই পরে সাংসদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাংলাদেশের শাসক (Bangladesh MP Murder) দল আওয়ামি লিগের সাংসদ ছিলেন তিনি। আনোয়ার খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব আবদুর রউফ। তাঁর দাবি, নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ঝিনাইদহ ৪ এর সাংসদের মরদেহ।

    আর পড়ুন: “যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি ততই শুভেন্দুদাকে বড় নেতা বানাবে”, বললেন অমিত শাহ

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “কলকাতার নিউটাউনে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে আনোয়ারকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ যে তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমরা তিনজনকে ধরেছি। তদন্ত চলছে। ঝিনাইদল সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। সীমান্ত এলাকা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন আনোয়ার। বাংলাদেশ পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। ধৃতদের জেরা করে খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে।”

    বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ এর সাংসদ ছিলেন আনোয়ার। তাঁর বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। দর্শনা সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে তিনি ওঠেন কলকাতার বরানগরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। ১৪ মে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আর ফেরেননি বাংলাদেশের ওই সাংসদ। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, খুন হওয়া সাংসদের সিমকার্ড সচল ছিল বিহারেও। নিউটাউনে তাঁর সঙ্গী ছিলেন এক বাংলাদেশি।

    বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন। শাসক দলের এক জনপ্রিয় সাংসদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং তাঁর মৃত্যুর খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন (Bangladesh MP Murder)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sarbananda Sonowal: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে”, দাবি সোনোয়ালের

    Sarbananda Sonowal: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে”, দাবি সোনোয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে।” বুধবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। এদিন অসমের শিলচরে বিজেপির একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগ দিয়েছিলেন সর্বানন্দ। শিলচর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লাবৈদ্যর সমর্থনে আয়োজন করা হয়েছিল এই জনসভার।

    কী বললেন সোনোয়াল? (Sarbananda Sonowal)

    এই সভায়ই সোনোয়াল বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর। উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত সরকার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করেছে। তাই এই অঞ্চলে স্থায়ী একটি ট্রান্স-শিপমেন্ট উন্নত ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। ভুটান থেকে আসা জিনিসপত্রও আসামের মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি করা যাচ্ছে।” ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক গটবন্ধনের জেরে যে অসমের বরাক উপত্যকা উপকৃত হচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি (Sarbananda Sonowal) বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে গিয়ে যাতে সময়, অর্থ এবং ভ্রমণের খরচ অপচয় না হয়, তাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কালাদান মাল্টামোডাল প্রজেক্টের কাজ করে চলেছে। এই প্রকল্পে কাজ শেষ হলে কলকাতার সঙ্গে দূরত্ব কমবে বরাক উপত্যকার। মায়ানমার এবং মিজোরামের মধ্যে দিয়েই গড়ে উঠবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার জেরে কলকাতা থেকে বরাক উপত্যকার দূরত্ব কমবে।”

    কংগ্রেসকে তোপ মন্ত্রীর

    সোনোয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাক নদীকে জাতীয় জলপথ ঘোষণা করেছেন। এ পথেও ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হবে অনায়াস।” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা লগ্নি করেছে। এটা করা হয়েছে বারাক উপত্যকায় যাতায়াতের যে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, তার উন্নয়ন করতে। এই কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে পরিবহন বেড়ে যাবে এক লপ্তে বহুগুণ।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস জমানায় এটা উপেক্ষিত ছিল। অথচ এটা একটা বাণিজ্যিক হাব হতে পারত। সুগম হতে পারত ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য।”

    আরও পড়ুুন: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    মোদি সরকারে প্রশংসার পাশাপাশি সোনোয়াল এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসকেও। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের ছ’দশকের অপশাসনে বারাক উপত্যকার মানুষ প্রচুর কষ্ট ভোগ করেছেন। কংগ্রেস সরকারের উদাসীনতার কারণে এই উপত্যকার মানুষকে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। কংগ্রেসের এই অপশাসন জন্ম দিয়েছে দুর্নীতির, স্বজন-পোষণ এবং বঞ্চনার (Sarbananda Sonowal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Shib Narayan Das: সংখ্যালঘু বলেই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস?

    Shib Narayan Das: সংখ্যালঘু বলেই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃশব্দে বুক ভরা অভিমান নিয়ে চলে গেলেন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das), বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার। গত ১৯ এপ্রিল প্রয়াত হন তিনি। নিতান্তই নিয়মরক্ষা করে বাংলাদেশের কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম খবরটা করেছে। ওই দিন বেলা পৌনে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ কুমিল্লাতে রাখা হয়। শ্রদ্ধা জানান মানুষজন। তবে বড় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি। পড়শি দেশের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায়না শিব নারায়ণ দাসের নাম, তা কি কেবল তিনি সংখ্যালঘু ছিলেন বলেই? এমন প্রশ্ন তুলছে কোনও কোনও মহল। জীবদ্দশায় অবহেলা, বঞ্চনা, যোগ্য সম্মান না পাওয়া এই মানুষটি কে ছিলেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কী অবদান ছিল মানুষটির। তা নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ওড়ানো হয় তাঁর তৈরি পতাকা

    ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিব নারায়ণ দাস। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শিব নারায়ণ (Shib Narayan Das) ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম যোদ্ধা। শিব নারায়ণ দাসের তৈরি করা পতাকা নিয়েই চলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। জানা যায় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রাঙ্গণে প্রথম ওড়ানো হয় তাঁর তৈরি পতাকা। ওই পতাকায় লাল এবং সবুজ রঙের ভিতরে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত ছিল। ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। ওই কুচকাওয়াজের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তৈরি করেন একটি জয় বাংলা বাহিনী। ওই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন শিব নারায়ণ দাস। জয়বাংলা বাহিনী একটি পতাকা তৈরি সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের ১১৮ নম্বর কক্ষে বসে তৈরি হয় পতাকার নকশা।

    সম্মান পেয়েছেন কামরুল হাসান, পেলেন না শিব নারায়ণ

    তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সরকার সে দেশের শিল্পী কামরুল হাসানকে ওই পতাকার বিষয়ে মতামত দিতে বলে। কামরুল হাসান শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) তৈরি পতাকা থেকে বাংলাদেশের মানচিত্রটিকে বাদ দিয়ে দেন। বর্তমানে সেটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। তবে কামরুল হাসান স্বীকৃতি পেয়েছেন। পেয়েছেন সম্মান। কিন্তু বঞ্চনা অবহেলা জুটেছে শিব নারায়ণ দাসের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই কি শিবনারায়ণ দাসের প্রতি এমন বঞ্চনা?

    বাংলাদেশের মুক্তমনা এক সাংবাদিক সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন

    বাংলাদেশের বেশকিছু মুক্তমনা সাংবাদিক শিবনারায়ণ দাসের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে অবশ্য সোচ্চার হয়েছেন। এ নিয়ে সামনে এসেছে সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিভিন্ন ধরনের লেখাও। জনৈক্য আহমেদ ইস্তিয়াক নামের এক সাংবাদিক গত বছরেই শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) বাড়িতে যান সাক্ষাৎকার নিতে। সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা হিসেবে ওই সাংবাদিক লিখছেন, ‘‘চারতলায় উঠে কলিংবেল টিপতেই ভিতর থেকে প্রশ্ন এল, ‘কে এসেছেন ? আপনি কে?’ বললাম, ‘একটা প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।’ জবাব পেয়ে দরজা খুলেই বললেন ‘কী প্রয়োজন? কোথা থেকে এসেছেন?’ বললাম, ‘অমুক পত্রিকা থেকে এসেছি একটা বিশেষ দরকারে। তিনি বললেন ‘কী দরকার?’ আমি বললাম, ‘যদি অনুমতি দেন তো একটু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে এবার আপনি আসতে পারেন।’ বললাম, ‘ভিতরে আসবো?’ পুরোটা বলার আগেই আমার মুখের উপর দিয়েই দড়াম করে তিনি দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে বললেন, ‘আপনি চলে যান। আমি এসব বিষয়ে কথা বলিনা।’ আমার তখন কী যে অনুভূতি হয়েছিলো তা আমি আসলে ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমার দেশটির উপর তীব্র ঘৃণা জন্মালো। মনে হলো আমি মাটি খুঁড়ে তখনই ঢুকে পড়ি। কিংবা মরে যাই। আর তীব্র এক লজ্জাবোধ আমাকে চরমভাবে গ্রাস করলো। তিনি শিব নারায়ণ দাস, যাকে আমরা সামান্য স্বীকৃতিটুকু দিতেও চরম কার্পণ্য করেছি।’’

    পাঠ্যপুস্তকে নেই শিব নারায়ণের নাম

    ওই সাংবাদিকের আরও সংযোজন, ‘‘শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das) যেন আজ এক বিস্মৃত ইতিহাস। যাকে আমরা স্রেফ ভুলে গেছি। আমাদের এক অনন্য কারিগরকে আমরা স্রেফ উচ্ছেদ করেছি। পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় পতাকার যে ইতিহাস লেখা হয়েছে, সেখানে আমরা তাঁকে বাদ দিয়েছি। সর্বত্র জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে পটুয়া কামরুল হাসানের নাম। নেই কোথাও শিবনারায়ণ দাসের নাম।’’ প্রসেনজিৎ রূদ্র নামের এক নেটিজেন মন্তব্য করছেন, ‘‘যারা যুদ্ধের ধারে কাছেও ছিল না তারা এখন নামধারী কৌটাধারী রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা নামে সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল, তাদের অনেকেই যোগ্য সম্মানটুকু পাননি। একটা ভিডিওতে এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে তো রিক্সা চালাতেও দেখেছিলাম।’’

    শিব নারায়ণ দাসের বাবাও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন

    জানা যায়, শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) বাবা সতীশ চন্দ্র দাস ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন চিকিৎসকও ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। কিন্তু শিব নারায়ণ দাসের মতোই তাঁর পিতা সতীশ চন্দ্র দাসকেও কোনও রকমের সম্মান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস শেষ জীবনে থাকতেন তাঁর মেয়ের কাছে, একটি ভাড়া বাড়িতে। এতটাই অর্থ কষ্টে তিনি ভুগছিলেন শেষদিকে, যে প্রতিবেশীরাও পর্যন্ত আলোচনা করতেন, শিব নারায়ণ দাস নিজের চিকিৎসাটুকুও করাতে পারেন না।

    কেমন ছিল প্রথম পতাকা তৈরির ইতিহাস

    প্রতিবেদনের শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ইকবাল হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে তৈরি হয় পতাকা। জানা যায় ১০৮ নম্বর কক্ষে ওই দিন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das) ছাড়াও হাজির ছিলেন তৎকালীন ছাত্র লিগ নেতা আসম আব্দুর রব, কাজী আরিফ আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, মনিরুল ইসলাম, স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিগের নেতা নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। দর্জিদের কাছ থেকে রাতের অন্ধকারে কাপড় নিয়ে যাওয়া হয় পতাকা তৈরি করতে। পতাকা তৈরির কথা শুনে বিনা পারিশ্রমিকেই কাপড় দেন দর্জিরা। স্বাধীন বাংলা বলতে যেন বাংলাদেশকেই বোঝায়, সেই কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের মানচিত্র সেখানে রাখা হয়। কারণ বাংলা বলতে পশ্চিমবঙ্গও ছিল। স্বাধীন ভারতের অঙ্গরাজ্য। বাংলাদেশের শস্য-শ্যামলা সবুজ প্রকৃতি বোঝাতে রাখা হয় সবুজ রঙ এবং সূর্য বোঝাতে রাখা হয় লাল রঙ। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ছাড়াও, ১৯৭১ সালে ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে এই পতাকা উত্তোলিত হয়।

    শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরিও মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন

    জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস এবং তাঁর স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকারের জন্ম সে দেশের কুমিল্লাতে। ১৯৪৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শিব নারায়ণ দাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বড় নাম ছিল ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das)। সেটা ছিল ১৯৬২। আন্দোলন করতে গিয়ে জেলও খেটেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lady Truck Driver: প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    Lady Truck Driver: প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার পেট্রাপোল (Petrapole Border) পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver)। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বনগাঁ সীমান্তের পেট্রাপোল বন্দরে এদিন তৈরি হল এক ইতিহাস। নারীর প্রগতিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। 

    মহিলা ট্রাকচালকের পরিচয় (Lady Truck Driver)

    বন্দর সূত্রে খবর, ওই মহিলা ট্রাকচালকের (Lady Truck Driver) নাম অন্নপূর্ণা রানি রাজকুমার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর বাসিন্দা তিনি। রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ তামিলনাড়ুর ওই মহিলা ছয় চাকার একটি কন্টেনার ট্রাক নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) যান। সেই সময় বন্দরে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি। সাইনি বলেন, “পেট্রাপোল বন্দরের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। প্রথম মহিলা ট্রাকচালক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে গেলেন। তাঁর জন্য বন্দরের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল।”

    পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং সম্পাদকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং-এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “গত ১৯ শে মার্চ পেট্রাপোলে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের সদস্য রেখা রায়কর কুমার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও (Lady Truck Driver) সমানভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাতে যেতে পারে, সে দিকে নজর দিতে হবে। সেই মতোই রবিবার সকালে প্রথম কোনও মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver) ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে পাড়ি দিলেন।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মহিলা চালকদের ট্রাক চলাচলে বিশেষ নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। আগামী দিনে এই পেশাতেও মহিলাদের প্রাধান্য দেখা যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ “এতদিন বাঘিনী ছিলেন, এখন বিড়াল হয়ে গেছেন”, মমতাকে তোপ দিলীপ ঘোষের

    জানানো হল অভ্যর্থনা

    উল্লেখ্য প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর (Petrapole Border) দিয়ে যে পণ্যবাহী ট্রাক যায়, এত দিন সেই সমস্ত ট্রাকের চালক ছিল পুরুষ। তবে এবার সেই রেকর্ড ভাঙল। এই প্রথম বার কোনও মহিলা ট্রাকচালক পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গেলেন। প্রথম মহিলা ট্রাকচালক (Lady Truck Driver) হিসেবে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ায় বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সব মিলিয়ে এদিনের এই পদক্ষেপ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করল বলেই মনে করছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কি পৌঁছে গিয়েছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও? এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে যখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামের হাটগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাটে পুরনো জিনিসপত্র বেচাকেনার রেওয়াজ রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তৃণমূল সরকারের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেল নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে লাগোয়া পুরনো সাইকেল বেচাকেনার দোকানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

    ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমের পাতায়

    বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের হাটে সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) সাইকেল বিক্রির ভিডিও সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। যদিও এই ভিডিওগুলি সত্য নাকি তা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’। ভাইরাল হওয়া সেই রকম একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এক যুবক সবুজ সাথীর (Sabooj Sathi) লোগো বসানো সাইকেলগুলি বিক্রি করছেন। সাইকেলগুলির মধ্যে পুরনো সাইকেল যেমন রয়েছে তেমনই দেখা যাচ্ছে নতুন সাইকেলও রয়েছে সেখানে। সাইকেলের সামনে বই রাখার জন্য বাস্কেটও দেখা যাচ্ছে।

    বেশ কদর রয়েছে সাইকেলগুলির

    জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা লাগোয়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানিহাটি বাজার, চাঁপাই, নবাবগঞ্জ, নদিয়া জেলার চরঘাট, রাজশাহি, খুলনা, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, জীবননগরের মতো গ্রামীণ হাটগুলিতে বিক্রি হচ্ছে দেদার সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) প্রকল্পের সাইকেল। সবুজ সাথী প্রকল্পের এই ধরনের সাইকেলগুলি বাংলাদেশে দাম ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে। তবে সবুজ সাথী সাইকেল সেখানে মিলছে মাত্র সাত থেকে আট হাজার টাকায়। বাংলাদেশেরে এক সাইকেল বিক্রেতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সবুজ সাথী সাইকেল এর গুণমান নিয়ে যতই প্রশ্ন তুলুক সেখানকার বিরোধীরা। সীমান্ত পারে নীল রঙের সাইকেলের কদর কিন্তু বেশ বেশি।

    কী ভাবে যাচ্ছে সাইকেল

    কিন্তু সাইকেলগুলি ভারত থেকে সেখানে যাচ্ছে কীভাবে? জানা গিয়েছে যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের কাঁটাতারের ওপারে চাষের জমি রয়েছে, তারা সাইকেলে করে জমিতে যাচ্ছেন এবং ফিরে আসার সময় সেগুলিকে বিক্রি করে দিয়ে আসছেন। এর সবটাই তবে চলছে বিএসএফের নজর এড়িয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় পদ্ধতি হল, শুকিয়ে যাওয়া নদীর কালভার্টের নিচ দিয়ে সাইকেল (Sabooj Sathi) পৌঁছে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে। চুয়াডাঙা হাটের সাইকেল ব্যবসায়ী মেহেবুল কবিরাজের কথায়, ‘‘অনেকেই বলেন এগুলো নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে দেওয়া সাইকেল। আমরা অত কিছু জানি না। পাইকারদের কাছ থেকে নিয়ে আসি। ২০০-৩০০ টাকা মুনাফা রেখে বিক্রি করে দিই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Temple Attacked: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    Bangladesh Temple Attacked: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা। এবারে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরের একটি মন্দিরে (Bangladesh Temple) আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা হামলা চালায় মন্দিরের পাশে নির্মাণ কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের উপর। ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বাংলাদেশে হিন্দুমন্দিরে আগুন বা ভাংচুর নতুন ঘটনা নয়। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য থাকে হিন্দু মন্দিরগুলিতে। ঘটনায় গোটা হিন্দু সমাজের মধ্যে ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

    মধুখালী উপজেলায় মন্দিরে আগুন (Bangladesh Temple)?

    ফরিদপুরের (Faridpur) মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে রয়েছে একটি কালী মন্দির (Kali Temple )। মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানেই শৌচাগার নির্মাণের কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁরা দেখেন মন্দিরে আগুন (Bangladesh Temple) লেগে গিয়েছে। জানা গেছে, এর পরই কয়েকশ উন্মত্ত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে থাকা ওই শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ওই দুষ্কৃতীরাই মন্দিরে আগুন লাগিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, “ওই ঘটনায় (Bangladesh Temple) দুজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। হামলার পরেই আহতদের নিয়ে আসা হয় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই দুজনের। এই ঘটনায় হতাহতরা সবাই মধুখালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।”

    ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের বলেন,”খবর (Bangladesh Temple) পেয়েই আমরা সেখানে আসি। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। পরে পুলিশ এবং প্রশাসনের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    কিন্তু ওই মন্দিরে (Bangladesh Temple) কীভাবে আগুন লাগলো? কেউ কী সেখানে আগুন লাগিয়েছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সেখানের পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম। তবে সেখানে যাতে আর নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বিজিবি (Border Guard Bangladesh-BGB)। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pinaki Bhattacharya: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    Pinaki Bhattacharya: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম পিনাকি ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)। ছিল বর্ণহিন্দু। বাংলাদেশি বামুনের ছেলে। ধর্ম বদলে সে-ই হয়ে যায় মুসলমান। শুধু তাই নয়, তালিবানি জামাতের আদর্শে উদ্ধুব্ধ হয়ে শুরু হয় ভারত-বিরোধী ও হিন্দু-বিরোধী প্রচার। পাশাপাশি, চলতে থাকে জাল ওষুধ থেকে শুরু করে চিনা যৌন-উদ্দীপক ট্যাবলেট এবং ইয়াবা সহ মাদক পাচার। এর পর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়েছে এই হিন্দু-বিরোধী মুসলমান। ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে সে চুটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বিরোধী প্রচার।

    পিনাকিকে অর্থ সাহায্য করছে কারা?

    জানা গিয়েছে, মুসলমান বনে যাওয়া পিনাকিকে অর্থ সাহায্য করছে জামাত-ই-ইসলামি। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে যে বিএনপির, তারাও অর্থ সাহায্য করছে পিনাকিকে (Pinaki Bhattacharya)। তার জেরেই সে শুরু করেছে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রোপাগান্ডা। তার চ্যানেলের দর্শকদের হিন্দু-বিরোধী ও ভারত-বিরোধী কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নেও হিন্দু ও ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে সে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন, যারা জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয়, তারাও সমর্থন করছে পিনাকিকে। আফগান তালিবানের ঘোরতর বিরোধী সে।

    পিনাকির বায়োডেটা

    বাংলাদেশের বোগরা জেলার জলেশ্বরী তলায় ১৯৬৭ সালে জন্ম পিনাকির। বাবা শ্যামল ভট্টাচার্য ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পড়াশোনায় ভালো পিনাকি ভর্তি হয়েছিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে। পাশ করে বের হয় ১৯৯২ সালে। অধঃপাতের সূত্রপাত সেখানেই। কলেজে পড়াকালীনই জামাতের সংস্পর্শে আসে পিনাকি। পরে হয় মুসলমান। এর পরেই পিনাকির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন শ্যামলবাবু। পিনাকির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার স্ত্রীও, যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর যোগাযোগ রয়েছে আইএসআই, জিহাদি এবং জঙ্গিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলে ধৃত ২ তৃণমূল নেতাই, বিবৃতি প্রকাশ এনআইএ-র

    ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়ে বসা পিনাকি হাওয়ালার ব্যবসা শুরু করেছে, সঙ্গে চালাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলও। তার চ্যানেলের সিংহভাগ দর্শকই অর্ধশিক্ষিত। মূলত বাংলাদেশি শ্রমিক যাঁরা কর্মসূত্রে ছড়িয়ে রয়েছেন মালয়েশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি একটি ভিডিওয় পিনাকির দাবি, বাংলাদেশের ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেন থামাতে ভারত প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে।

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পিনাকি উগ্রপন্থী। সেই হিন্দু এবং ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। হিন্দু ধর্মের অপমান করতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে সে। হিন্দুদের সে বেজন্মা বলে গালিও দিচ্ছে। বাংলাদেশের যেসব মানুষ এবং সংবাদ মাধ্যম ভারতপন্থী, তাদেরও খিস্তি-খেউড় করছে সে। হিন্দু ধর্মকে ছোট করতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করছে পিনাকি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে বাংলাদেশি তরুণদের উদ্বুদ্ধও করছে এই বিধর্মী (Pinaki Bhattacharya)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Onion Export: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    Onion Export: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে পেঁয়াজের (Onion Export) প্রথম চালান বাংলাদেশে (Bangladesh) পৌঁছল রবিবার। এদিন বিকেলে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ পাঠানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজের চালান দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে পৌঁছয়। রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু জানান, রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইদের আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি ঢাকা। 

    রফতানির অনুমতি

    বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ (Onion Export) রফতানির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ভোক্তাবিষয়ক অধিদফতরের সচিব রোহিত কুমার সিং আগেই বলেছিলেন, ভারত বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ, মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রফতানি করবে। ব্যবসায়ীদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরই অঙ্গ হিসেবে রবিবারই ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ইদের আগে আরও পেঁয়াজ পাঠানো হবে। রমজানের সময় বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে প্রায় দ্বিগুন।  

    আরও পড়ুন: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের

    রেলপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে

    বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ (Onion Export) রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখন দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত থাকায় রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এর প্রভাব দেশীয় বাজারে পড়বে না বলেই মনে করে কেন্দ্র। ভারতের গেদে সীমান্ত হয়ে রেলপথে পেঁয়াজের প্রথম চালান ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙার দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে। এমনটাই জানিয়েছেন দর্শনার স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হুদা।

    কী বলল ঢাকা প্রশাসন?

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে এই পেঁয়াজ আমদানি করে। ঢাকার তরফে জানানো হয়, রেলে মোট ৪২ ওয়াগনে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর পেঁয়াজ খালাস করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘‘৫০ হাজার টনের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ১,৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে তা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ডিলারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন কোনায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ময়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু হল। সোমবার লালগোলার ময়া গ্রামে নৌবন্দর পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। নৌপথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয় সড়ক ও রেলপথ ব্যবহার। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহণ খরচ বেশি হত। এবার নৌবন্দর চালু হওয়ায় খুশি দু’দেশের মানুষ।

    ৫৯ বছর পর আবার চালু হল (Murshidabad)

    জানা গিয়েছে, এক সময় এই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ি-লালগোলা নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবার চালু হল নৌবন্দর পরিষেবা। নৌবন্দর চালু হওয়ায় ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দু’টোই কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতার সমস্যার কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী আনা হবে। এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশাবাদী এলাকার বাসিন্দারা।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী স্থাপনে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতেই এই দেশ থেকে পণ্য সহজেই পৌঁছে যাবে ওপারে। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাতেও সহজেই পণ্য পৌঁছবে। দূরত্ব কমবে অনেকটাই। ঠিক তেমনই ওপার থেকে পণ্য পৌঁছে যাবে ভারতে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে বাংলাদেশ নৌপথ পুনরায় চালুর ভাবনা শুরু হয়। সেই কারণেই চিঠি পাঠানো হয় দুই দেশকে। ২০১৮ সালে মার্চ মাসে জমি ও নদী পরিদর্শন করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মউ স্বাক্ষর করা হয়। মোট ২৫ বিঘা জমির ওপর ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বন্দর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তা বেহালের কারণে রাজ্য সরকারকে তিনি দায়ী করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share