Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ! উত্তপ্ত বাংলাদেশ

    Bangladesh: থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ! উত্তপ্ত বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ঢাকার সাভারে থুতু ফেলা নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ। ইতিমধ্যে আহত প্রায় দুশ ছাত্র। রাতভর রীতিমতো ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮/৯টি বাস। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মারামারিতে ছাত্রদের (Students clash) শরীরে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। সিটি ইউনিভার্সিটির কার্যালয়ে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। থমথমে গোটা এলাকা, চরম উদ্বেগে রয়েছেন অভিভাবকরা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনে বাংলাদেশে যে শান্তি নেই তা আরও একবার নজরে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল।

    টাকা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার লুট (Bangladesh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির (Bangladesh) দুই শিক্ষার্থী খাগান এলাকায় মোটরসাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন। এ সময় চলতি অবস্থায় থুতু ফেলে। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের গায়ে লাগে (Students clash)। এরপর বাইকে থাকা সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা ওই দুই ছাত্রকে আটকে দেয়। দুজনকে ব্যাপক মারধর করে সেই সঙ্গে ক্ষমাও চাওয়ানো হয়। এরপর মার খেয়ে ছাত্ররা নিজেদের ইউনিভার্সিটিতে জানায়, ২০-২৫ জনের একটি দল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালের ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের ভিতরে ঢুকলে নিমেষেই ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় আক্রমণের খবর। ফলে দের হাজার ছাত্র ছুটে আসে। সিটি ইউনিভার্সিটিতে আচমকা হামলা চলায়। চলে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। সিটি ইউনিভার্সিটির দাবি উত্তেজিত ছাত্ররা অফিস থেকে টাকা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার সহ একাধিক উপকরণ লুট করে নিয়ে চলে যায়। আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয় বেশ কিছু গাড়ি।

    সাময়িক ভাবে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

    পুলিশের দাবি, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে (Bangladesh) পৌঁছে যায় প্রশাসন। প্রথমে দুই পক্ষের সংঘর্ষকে থামানোর চেষ্টা করা হয়। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ডেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এতটাই মারাত্মক ছিল যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে অগ্নি সংযোগের কাছে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ।

    তবে সোমবার সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে খাগান এলাকায়। সিটি ইউনিভার্সিটির এডমিন অফিসার মো. রায়হান বলেন, “বেশ কয়েকটি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুর করেছে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা (Students clash)। হামলায় ৩টি হলের ছাত্রীসহ প্রায় আটশ শিক্ষার্থী অবরুদ্ধ হয়ে ছিল। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাময়িক ভাবে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখা হয়েছে।

  • Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    Bangladesh: বাংলাদেশের ম্যাপে ভারতের উত্তরপূর্বের অংশ! পাক সেনাকর্তার সামনে ফের আগুনে ঘি ইউনূসের! কোনও চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে ফের উত্তেজনা উস্কে দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতারিত করে বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধিতে তৎপর হয়েছেন এই শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস (Muhammad Yunus)। ভারতের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তানের জেনারেলকে তিনি দিয়েছেন একটি বিতর্কিত ম্যাপ। এই ম্যাপে উত্তরপূর্বের অসম এবং আরও অন্যান্য রাজ্যকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থির রাজনীতির কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টারা ভারতবিরোধী মন্তব্য করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তালানিতে ঠেকিয়েছিলেন। ওই দেশে চলছে নির্বিচারে সংখ্যালঘু হত্যা। দ্রব্যমূল্য এবং নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। এবার বিতর্কিত ম্যাপ পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছেন ইউনূস। এই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত  ভারতের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির।

    কেন বিতর্কিত ম্যাপ (Bangladesh)?

    গত সপ্তাহের শেষে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারপার্সন জেনারেল শাহির শামসাদ মির্জা গিয়েছিলেন ঢাকায়। তিনি ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেই সময় ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যের একটি বিতর্কিত ম্যাপ তুলে দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে ভাগ করে আজকের বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্ম দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। উর্দুভাষী পশ্চিম পাকিস্তানের পাকহানাদারের অত্যাচার, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা। তারপর স্বাধীন জয় বাংলা হিসেবে আজকের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক ছিল না। হতো না যোগাযোগ, ছিল না বাণিজ্যিক সম্পর্কও। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে হাসিনাকে কোটা আন্দোলনের নামে বিতারিত করে সরকারে বসেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে শুরু হয় খোলামেলা আলোচনা। শুরু হয় বিনা ভিসায় যাতায়াত এবং বিমান পরিষেবা। করাচি থেকে সোজা জাহাজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে এই সবটার পিছনে রয়েছে ভারতকে অস্থির করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইউনূস (Muhammad Yunus) বাংলাদেশের চেয়ারে বসলেও আসলে তাঁর হালে পানি যোগাচ্ছেন শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আইএসআই। উত্তরপূর্ব ভারতকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছে না তো এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ!

    মহম্মদ ইউনূস পাকিস্তান জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে একটি ছবি বিনিময় করেন। ইউনূস নিজে ‘আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। বইয়ের কভারে বাংলাদেশের (Bangladesh) একটা ম্যাপ দেখা যাচ্ছে। ম্যাপে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য বাংলাদেশের অংশ দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের উগ্রমুসলিম সংগঠনগুলি গ্রেটার বাংলাদেশের (Muhammad Yunus) তত্ত্বে যা যা করে থাকে, ইউনূস পাকিস্তানের কাছে সেই তত্ত্বকেই তুলে ধরেছেন। যদিও এই বিতর্কিত ম্যাপ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

    চিন সফরেও উত্তরপূর্ব প্রসঙ্গ ছিল

    উল্লেখ্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা এই প্রথম উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কথা উল্লেখ করেননি। গত কয়েক মাসে শান্তিতে নোবেল জয়ী এই রাজনৈতিক নেতা একাধিকবার ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। গত এপ্রিল মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। সেখানে গিয়ে ভারতের অসম সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে দাবি করে বলেছিলেন, “এই রাজ্যগুলি একমাত্র আমাদের সঙ্গে যুক্ত। আলাদা কোনও সমুদ্রপথ নেই। আমরাই তাদের অভিভাবক। তাই আমাদের উপেক্ষা করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর অন্যকোন রাস্তা নেই। এই বিরাট ভূ-মণ্ডলে চিনা অর্থনীতির সম্প্রসারণ ব্যাপক ভাবে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    ভারত আক্রমণ করতে চায় ইউনূস?

    ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদুল ইসলাম সামাজিক মাধ্যমে এমন একটি বিতর্কিত মানচিত্র শেয়ার করেছিলেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজে চাপে পড়ে মুছতে বাধ্য হন। আবার গত মে মাসে ইউনূসের আরও এক ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশকে চীনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করা উচিত।” এই মন্তব্যগুলি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা ভারত বিরোধী এবং  পাকিস্তান প্রেমী তাও আরও একবার প্রমাণিত হয়।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা মুসলিম জনতার

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের ওপর নৃশংস হামলা মুসলিম জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস জমানায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা (Hindu Journalist Attacked)। এই তালিকায় নবতম সংযোজন লিটন কুমার চৌধুরী নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলা। ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পুরসভার রেলগেট এলাকায় কালীপুজোর মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন লিটন। আচমকাই এক দল উগ্র মুসলিম জনতা তাঁর ওপর নৃশংস হামলা চালায়। বছর পঁয়তাল্লিশের লিটন গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সীতাকুণ্ডের প্রতিনিধি। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হামলাকারীরা ‘আসাদ বাহিনী’ নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্য। তাদের অভিযোগ, লিটন আওয়ামি লিগের এজেন্ট। তিনি ভুয়ো খবর প্রচার করছিলেন।

    রক্তাক্ত সাংবাদিক (Bangladesh)

    নৃশংস অত্যাচারের পর লিটনকে রক্তাক্ত অবস্থায় তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তাঁকে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। লিটনের ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, “ওই রাতে আমার বাবা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় আচমকাই একদল যুবক সেখানে আসে এবং বাবাকে গালাগালি দিতে শুরু করে। এর পর তারা নৃশংসভাবে তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। দুষ্কৃতীরা বাবার মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয়।” তিনি জানান, তাঁর বাবার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন (Bangladesh)।”

    এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    গত ডিসেম্বরেও উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হিন্দু মহিলা সাংবাদিক। মুন্নি সাহা নামের ওই সাংবাদিককে কারওয়ান বাজারের কাছে ঘেরাও করে কিছু দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় মুন্নির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল (Hindu Journalist Attacked)। তার আগে মুন্নির ব্যাংক ডিটেলস চেয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা ধরা পড়ার আগেই ফের একবার আক্রান্ত সাংবাদিক, মুন্নির মতোই যিনি ধর্মে হিন্দু (Bangladesh)।

  • Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হল কালী পুজো। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিটি একজন হিন্দু জমিদার দান করেছিলেন। হিন্দু সমাজের মানুষের দেওয়া জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ এখানেই আজ সনাতন ধর্মের কালী পুজোকে (Kali Puja) নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। বাংলাদেশে ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু ধর্মের মানুষরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তার আরও একটি বাস্তব চিত্র এই ঘটনা।

    উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে বন্ধ পুজো (Bangladesh)

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে (Bangladesh) কালী পুজো বন্ধের নির্দেশের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, “কালী পুজো (Kali Puja) উত্তর ভারতের সংস্কৃতির অংশ।” কিন্তু এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী। এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঙ্গে কালীপুজো হয়ে আসছে। তারা, কালিকা, দুর্গা, উমা, ভগবতী বাঙালির শক্তিরূপা দেবী শক্তির প্রতীক। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মত খুব স্পষ্ট। হিন্দু সমাজকে নিপীড়ন করতে প্রশাসন পুজো বন্ধ করেছে। ঢাকার বুকেই যদি পুজো বন্ধ হয়, তাহলে দেশজুড়ে কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলাদেশজুড়ে।

    সামাজিক মাধ্যমেও আন্দোলন

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। হিন্দু দানশীল ব্যক্তিরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়ে গিয়েছেন, এখন বর্তমান প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা কালীপুজো বন্ধ করেছেন। এটা কোন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতা? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের আবেদন জানিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সম্মতি মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা হ্যাসট্যাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কালী পুজোর (Kali Puja) মতো অভিযান শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু সমাজের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সব জেনেশুনেও ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) চুপ!

  • Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    Hindus Under Attack: ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এই সপ্তাহের ছবি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১২ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ১৮ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    ভারতের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার ঘুনুয়া গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে চিত্রকূট পুলিশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরের কার্যকলাপের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার পর পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়। দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। একজন অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে খ্রিস্টান ধর্ম-সাহিত্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে উত্তেজনা ছড়ায় যখন সমাজের নেতৃবৃন্দ ও এক তরুণীর পরিবার পুলিশের এক সাব-ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে ‘লাভ জিহাদ’ মামলাটি সঠিকভাবে না সামলানোর অভিযোগ তোলেন। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের এক হিন্দু নারী ও এক মুসলিম পুরুষকে কেন্দ্র করে। বিষয়টি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতি উসকে দেয়। প্রয়াগরাজে এক নাবালিকা হিন্দু অনাথকে জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও গণধর্ষণের এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে।

    অব্যাহত নির্যাতন

    জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে উভাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলম কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েটি ও তার ১০ বছর বয়সী ভাইকে নিয়ে যায়। প্রথমে তাদের এক স্থানীয় খাবারের দোকানে কাজ করানো হয়। কিছুদিন পরে মেয়েটিকে অপহরণ করে অভিযুক্তের বাড়িতে আটকে রাখা হয়, যেখানে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। কোয়েম্বাটুরের জেলা কালেক্টরের কাছে এক হিন্দু মুন্নানির অভিযোগ, কীরনাথম গ্রামে একটি সিএসআই ক্রাইস্ট চার্চ সরকারি ‘আদিদ্রাবিড়’দের জন্য বরাদ্দ জমিতে জাল পাট্টা নথির মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণ করেছে। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে আহাদ খান নামের এক মুসলিম যুবক নিজের ধর্ম গোপন করে এক হিন্দু নারীকে প্রলুব্ধ করে হোটেলে নিয়ে যায় (Roundup Week)। সতর্ক হিন্দু সংগঠনগুলির দ্রুত হস্তক্ষেপে ঘটনাটি প্রকাশ পায় এবং ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় (Hindus Under Attack)।

    বাংলাদেশের ছবি

    এদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের গবেষণা অনুযায়ী, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির ভাঙচুর, জমি দখল, মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হামলা, ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য – এসবই হিন্দুদের আতঙ্কিত করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে (Hindus Under Attack)। দুর্গাপুজো নিয়ে ডেপুটি স্টেট মিনিস্টারের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে সাম্প্রদায়িক, বিভাজনমূলক ও বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।’ ফরিদগঞ্জের মানিকরাজ গ্রামে উদ্ধার হয়েছে বছর তিরিশের সুজন দেবনাথের দেহ (Roundup Week)। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ স্থানীয় একটি জলা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ভাসমান দেহ। গাইবান্ধা জেলার থেংগামারা এলাকায় ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় আবারও বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুর্দশা প্রকাশ্যে এসেছে। পালপাড়া গ্রামের এক মহিলার পঞ্চম শ্রেণি পাঠরতা কন্যাকে অপহরণের পর শোকে মুহ্যমান ওই মহিলা। নোয়াখালির সুবর্ণচরে জনৈক সুব্রত দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবাই এই নিষ্ঠুর দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখলেও, ভয়ে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি (Hindus Under Attack)।

    খবরে কানাডাও

    কানাডার একটি চিলডেন্স পার্কের কাছে বর্ণবাদী গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ওই গ্রাফিতিতে লেখা ছিল “ভারতীয় ইঁদুর”। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ যাতে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধের পেছনে থাকে হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ, যা নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে নিহিত। ইসলামি দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, তবে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম (Roundup Week) ধরনের হিন্দুবিরোধী মনোভাব কাজ করে। এই মনোভাব হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাচারণ ও অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Hindus Under Attack)।

  • DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাবের ডিআইজি হরিচরণ ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar)। তাঁর মতো পুলিশ অফিসার যে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছিলেন সেই সত্যকেই এবার প্রকাশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে, ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি এবং আরও নানা জিনিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-এর (CBI) এই অভিযানে একশ্রেণীর মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অফিসার এতো সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? স্তম্ভিত গোটা পুলিশ মহল এবং আমজনতা! উত্তর নেই ভুল্লারের কাছেও। অবশ্য ভুল্লার নিজেও দুর্নীতি দমনে খুব দক্ষ অফিসার ছিলেন, অথচ নিজেই সেই কাজে এখন অভিযুক্ত। এই প্রশ্নই এখন দেশজুড়ে সমাজমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে।

    ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত (DIG Harcharan Singh Bhullar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআইজি ভুল্লারের (DIG Harcharan Singh Bhullar) বাসভবনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি নগদ টাকা এবং ১.৫ কেজি সোনার অলঙ্কার। সেই সঙ্গে এই বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে আরও বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আবার ভুল্লারের চণ্ডীগড়ের বাসভবন থেকে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা নগদ অর্থ, ২.৫ কেজি ওজনের সোনার গয়না, রোলেক্স এবং রাডোর মতো ব্র্যান্ড সহ ২৬টি বিলাসবহুল ঘড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যের নামে সন্দেহজনক বেশকিছু বেনামী সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির নথি, লকারের চাবি এবং একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবার সমরালায়ে ওঁই অফিসারের মালিকানাধীন খামারবাড়ি থেকে ১০৮ বোতল মদ, ৫.৭ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ এবং ১৭টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মোহালিতে গ্রেফতার

    সিবিআই (CBI) আরও জানিয়েছে, ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar) আরও একজন সহযোগীর বাড়ি থেকে ২১ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথিও উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্জাব পুলিশের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিং ভুল্লার এবং তাঁর সহযোগীকে আজ চণ্ডীগড়ের সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত অভিযুক্ত অফিসার এবং তাঁর সহযোগীকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় মোহালিতে সিবিআইয়ের  হাতে ধরা পড়েন ভুল্লার। এরপরই তথ্যের সূত্রে ধরে চলে অভিযান এবং অবৈধ সম্পত্তি টাকা উদ্ধারের কাজ।

  • Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে গণপিটুনির দাবি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladesh) চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা এবং সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের ওপরে হামলা চালিয়ে হিংসাত্মক কাজ করে। ফলে ইউনূস সরকারের মিথ্যা অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে আরও একবার প্রত্যাখান করায় মুখ পুড়ল বাংলাদেশেরই।

    গ্রাম থেকে গরু চুরি করার অপচেষ্টা করে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Ministry of External Affairs) রণধীর জয়সওয়ালের সাফ কথা, ঘটনাটি গত ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরায় ঘটেছিল। ভারতীয় সীমান্ত খোয়াই জেলার ৩ কিমি ভিতরে এই এলাকা। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তিনজন দুষ্কৃতীর একটি দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। এরপর বিদ্যাবিল গ্রাম থেকে গরু চুরি চেষ্টা করে তারা। সেই সঙ্গে তারা লোহার দা ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে এবং একজন গ্রামবাসীকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর গ্রামবাসীরাই চোরদের আক্রমণের জবাব দেয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই চোরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অপর আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরের দিন মৃত্যু হয়।

    প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দিতে হবে

    নিহত তিন চোরাকারবারির মৃতদেহ শনাক্ত করার পর জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের (Bangladesh) হবিগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের পরিচয় জুয়াল মিয়া, সজল মিয়া এবং পণ্ডিত মিয়া। তিন জনের মৃতদেহ বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ পাঠানোর সময় ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজেবি সহ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা সরকার এই বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক কঠোর ভাবে নিন্দা জানায়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) ইতিমধ্যে দুই দেশের সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দেওয়ার বিষয়েও মত প্রকাশ করেছে। একই ভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে উভয় সীমান্তে সতর্কতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Bangladesh Cricket: আফগানদের কাছে চুনকাম, দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা

    Bangladesh Cricket: আফগানদের কাছে চুনকাম, দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে অরাজক পরিস্থিতির ছায়া বাইশ গজেও। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও (Bangladesh Cricket) কালো দিন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই পরাজিত হয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ২০০ রানের। লজ্জার সিরিজ শেষে দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ক্রিকেটারেরা বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময় বেশ কিছু সমর্থক তাঁদের বিদ্রুপ করেন। সরাসরি ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ক্রিকেটারদের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে।

    কেন এমন হাল বাংলাদেশের

    সময়টা ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket)। এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর এক দিনের সিরিজেও শোচনীয় অবস্থা। আফগানিস্তানের কাছে এক দিনের সিরিজে চুনকাম হয়েছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচই হারতে হয়েছে। এই সিরিজে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া। আফগানিস্তানের বোলাররা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ ১২টি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র একটি জিততে পেরেছে, যা দলের পারফরম্যান্স গ্রাফের নিন্মমুখী অবস্থানকে তুলে ধরে। এই ১১ হারের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই চারটি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে, বর্তমানে তারা দশম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এমনিতে খুব ভালো জায়গায় ছিল না কখনওই কিন্তু ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ৭-৮ নম্বর জায়গাতেই ঘুরে ফিরে ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পতন শুধু খেলোয়াড়দের ফর্মের কারণে নয়, বরং টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনার অভাবও বড় কারণ। নিয়মিত দল পরিবর্তন, স্থায়ী অধিনায়কত্বের অভাব, এবং ব্যাটিং অর্ডারে বিভ্রান্তি দলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

    সমর্থকদের সংযত থাকার অনুরোধ

    এই পরিস্থিতিতে সমর্থকদের সংযত থাকার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নইম শেখ। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন যে, মাঠে নেমে জেতার চেষ্টাই করেন তাঁরা। কিন্তু সব সময় জেতা সম্ভব নয়। খেলায় জয়-পরাজয় থাকে। তাঁরাও মানুষ। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, হেরে যাওয়ায় দেশের সমর্থকদের কষ্ট হয়েছে। সেই কষ্ট থেকেই এই বিক্ষোভ। কিন্তু তাঁদের যে ভাবে ঘৃণা করা হচ্ছে বা গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে, তা তাঁদেরও খুব কষ্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নইম। বাংলাদেশের এক দিনের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ চাপে রয়েছেন। অধিনায়ক হিসাবে ১০টি ম্যাচের মধ্যে ন’টিতেই হেরেছেন তিনি।

  • Bangladesh: ১৭ দিন পরেও বাংলাদেশে অপহৃত হিন্দু কিশোরী আদুরির খোঁজ মেলেনি, চরম উদ্বেগে মা!

    Bangladesh: ১৭ দিন পরেও বাংলাদেশে অপহৃত হিন্দু কিশোরী আদুরির খোঁজ মেলেনি, চরম উদ্বেগে মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় কার্যত ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে। এইবারের ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার ঠেঙামারা এলাকায়। গ্রামের এক হিন্দু সম্প্রদায়ের (Hindu minority) অন্তর্গত এক পরিবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আদুরির অপহরণের ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার। অপহরণের পর ১৭ দিনের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও খোঁজ মেলেনি আদুরির।  উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তায় পরিবারের মধ্যে তীব্র বেদনায় আচ্ছন্ন। মেয়ের মা চিন্তায় মৃত্যু পথযাত্রী। উল্লেখ্য গত ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকেই বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দুহত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। কট্টর মৌলবাদীরা দেশে চরম অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

    ১০ বছরের কিশোরী অপহরণ 

    স্কুল থেকে ফেরার সময় অপহরণ (Bangladesh) নিখোঁজ আদুরির (Bangladesh) পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ অক্টোবর মাত্র ১০ বছরের কিশোরী যখন স্কুল থেকে ফিরছিল সেই সময় রাস্তা থেকেই হাত ধরে জোর করে অপহরণ করে শিবলু মিঞাঁ নামক এক দুষ্কৃতী। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ভাবে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ন্যায় বিচার চেয়ে অপরাধীর শাস্তি এবং মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য জোরালো দাবি শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা সাময়িক বিচার-সালিশের ব্যবস্থা করে দ্রুত ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও আদুরিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আর তাতেই চরম আতঙ্কে পরিবার।

    মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন মা

    আদুরির পরিবার অগত্যা স্থানীয় (Bangladesh) থানায় মামলা দায়ের করে। তবে মামলা দায়ের করার পরও কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ। সূত্রের খবর মূল অভিযুক্ত এবং অনুগামীরা এখনও পলাতক। তবে স্থানীয়দের দাবি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা প্রশ্রয় দিয়ে ছত্রছায়ায় রেখেছেন। ফলে প্রশাসন এবং পুলিশও ধরপাকড় করতে পারছে না। প্রশাসন এবং পুলিশ দুই-ই রাজনৈতিক নেতাদের কারণে নিষ্ক্রিয়। অপরে নির্যাতিতার পরিবারও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। কথা বলা এবং খাওয়া দাওয়া এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছেন। যদিও বা মা কথা বলেন, তখন শুধু দিনরাত কেবল মেয়ের (Hindu minority) নাম ধরেই ডাকাডাকি করেন।

    জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা

    তবে গাইবান্ধার (Bangladesh) এই ঘটনা কোনও বিছিন্ন ঘটনা নয়। একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ, খুনের ঘটনা এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ঘটনা গত এক বছরে ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ জন করে নারী বাংলাদেশে অপহরণ, ধর্ষণ, এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হওয়ার মতো ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টারা অবশ্য এই ঘটনাগুলি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। কারণ হিন্দু নির্যাতন (Hindu minority) নিয়ে তাঁদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলেরই একাংশ।

  • Bangladesh: ইতালি সফর সেরে বাংলাদেশে ফিরলেন ইউনূস, ঘরে-বাইরে সমালোচনার ঝড়

    Bangladesh: ইতালি সফর সেরে বাংলাদেশে ফিরলেন ইউনূস, ঘরে-বাইরে সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ইতালি সফর সেরে বুধবার সকালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)। ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে’র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি গিয়েছিলেন ইতালির রাজধানী রোমে। ইউনূসের প্রেস উইং জানিয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। উল্লেখ্য, এবার ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে রোমে, রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দফতরে। সেপ্টেম্বরেই রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে দেশে ফেরেন ইউনূস। ফের একবার বিদেশ সফরে গেলেন অক্টোবরে।

    ১৪ মাসের রাজত্বকালে ১৪ বার (Bangladesh)

    মাত্র ১৪ মাসের রাজত্বকালে ইউনূস সদলে বিদেশ সফর করেছেন অন্তত ১৪ বার। প্রধান উপদেষ্টার ঘন ঘন এই বিদেশ সফরে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে। তাঁর এই সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, ইতালি ও বাংলাদেশ – এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কোনও সফর নয় এটি। ইতালির সরকারের প্রধান বা রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গেও বাংলাদেশ সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কোনও তথ্যই নেই। তাই সরকারি অর্থ ব্যয় করে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের যোগ দেওয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

    ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম। এর আগের চারটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, এই ইভেন্টের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন কয়েকটি দেশের কৃষিমন্ত্রী বা কৃষি সংক্রান্ত দফতরের আধিকারিকরা। গত বছর হাতে গোণা কয়েকটি দেশের সর্বোচ্চ নেতা অবশ্য অংশ নিয়েছিলেন। এহেন একটি অনুষ্ঠানে সরকারি অর্থ ব্যয়ে ইউনূস কেন সদলে রোমে গেলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    টিআইবির বক্তব্য

    সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ইউনূস দেশে ফেরার পরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিদেশ সফরে এত বড় প্রতিনিধি দল পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। টিআইবির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইফতেথারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “ওঁরা (ইউনূস ও তাঁর দলবল) রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে পুরো রাষ্ট্রের স্বার্থ প্রোমোট করার জন্য যাচ্ছেন। তাঁদের কার কী ভূমিকা, কীভাবে (Md Yunus) ভূমিকা পালন করছেন, তা সুনির্দিষ্ট করে জানাতে হবে (Bangladesh)।” তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা আরও কমবে। কিন্তু সেটা আরও বেড়েছে।”

    কী বললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

    প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদের প্রশ্ন, “একটি দেশের শীর্ষ নেতার ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াটা কি খুব জরুরি?” তিনি বলেন, “উনি একটা মাল্টালেটারাল অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। এটা ইতালি ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কোনও সফর নয়।” তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠান সত্যিকার অর্থেই খুব কম হচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, “তাই এগুলিতে যোগ দেওয়া কি ওঁর কাছে খুবই জরুরি বলে মনে হল? প্রধান উপদেষ্টার তো এর চেয়েও ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে!” প্রাক্তন এই কূটনীতিক বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রধান উপদেষ্টা এখন জাতীয় নেতা। বক্তৃতা দেওয়ার চেয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়াটা ওঁর জন্য বেশি জরুরি। তাঁর সেই কাজটায় বারংবার (Bangladesh) ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ওঁর সিরিয়াসনেসের অভাবটার একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়ছে, ওঁর নিজের ওপরেও আর সরকারের সক্ষমতার ওপরেও।”

    প্রবাসী বাংলাদেশিদের চিঠি

    এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং উপপ্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানিকে চিঠি দিয়ে ইউনূস সরকারের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর পরিচালিত হামলার নিন্দা করেছেন। দু’টি আলাদা চিঠিতে ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ইউনূস প্রশাসনকে অনির্বাচিত এবং দেশ শাসনের জন্য কোনও গণতান্ত্রিক জনসমর্থনহীন বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। ওই সরকার (Md Yunus) আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “ইউনূসের শাসনকালে রাজনৈতিক নিপীড়ন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। আওয়ামি লিগের নির্দোষ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা শিকার হচ্ছেন বৈষম্য, হিংসাত্মক হামলা এবং ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে শয়ে শয়ে আওয়ামি লিগ কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ২০০-রও বেশি সমর্থককে।” অন্যদিকে, ইউনূস ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করবেন, এমন কথা তিনি কোথাও বলেননি বলে দাবি করেছেন ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Bangladesh)।

LinkedIn
Share