Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    Bangladesh: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশের (Bangladesh) সুসম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছতে চলেছে চলতি মাসেই। ১৮ মার্চ যৌথভাবে প্রথম আন্তঃসীমান্ত তেল পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার পোশাকি নাম ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যৌথভাবে প্রকল্পটির সূচনা করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তাঁর কথায়, ১৮ মার্চ থেকে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসবে বাংলাদেশে। এই পাইপলাইন চালু হয়ে গেলে দ্রুত এবং কম খরচে ডিজেল পাবে বাংলাদেশ।

    আর কী বললেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশ দফতরে সাপ্তাহিক সংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ড. একে আব্দুল মোমেন আরও জানান, সীমান্তে সীমানা রেখার ১০০ গজের মধ্যে স্থাপন করা নিয়ে ভারত তার আপত্তি তুলে নিচ্ছে। ফলে রেল স্টেশন-সহ আটকে থাকা সকল অবকাঠামোর কাজ দ্রুতই শুরু হবে। ভারতের আমন্ত্রণে জি ২০-এর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় বাংলাদেশ সম্মনিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    এতে কী কী সুবিধা হবে?

    প্রসঙ্গত, ভারত থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) এখন জ্বালানি তেল যায় রেলপথে। কিন্তু পাইপলাইন চালু হয়ে গেলে তা আরও দ্রুত এবং কম খরচে ডিজেল পাবে বাংলাদেশ। এর ফলে উপকৃত হবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলি। বাংলাদেশে জ্বালানি তেল যাবে শিলিগুড়ি থেকে। সে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা বিপিসির পক্ষে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১৮ সালে পাইপলাইন নির্মাণের কাজের সূচনা যৌথভাবে করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সূত্রে বলা হয়েছে, ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। ভারত সরকার অনুদান বাবদ ৩০৩ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি ব্যয় বহন করেছে বিপিসি। এই প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশের উত্তরভাগে বাণিজ্যে গতি আসবে। ত্বরান্বিত হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এমনটাই ধারণা সে দেশের অর্থ ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে লেনদেনে আসতে চলেছে ‘ডি-ডলারাইজেশন’ পদ্ধতি, কী এটি?

    India Bangladesh: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে লেনদেনে আসতে চলেছে ‘ডি-ডলারাইজেশন’ পদ্ধতি, কী এটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ (India Bangladesh) লেনদেনের ক্ষেত্র্রে এক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে লেনদেনের জন্য বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ডলারকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে (De-dollarisation) আলোচনা করছে। গত ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ভারতের শহর বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জি-২০-তে অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক গভর্নরদের বৈঠকের ফাঁকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই দুই দেশের মধ্যে লেনদেন হয় মার্কিন ডলারে এবং তারপরে তা রুপি বা টাকায় হিসাব করা হয়। এর ফলে উভয়পক্ষেরই কিছু ক্ষতি হয়। ফলে এমন এক ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে এই দুই দেশের মধ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকা প্রথমে ডলারে রূপান্তর করতে হবে না।

    ডি-ডলারাইজেশন কী?

    ধরা যাক, একজন বাংলাদেশি (India Bangladesh) যার ক্রেডিট কার্ড রয়েছে তিনি ভারতে কেনাকাটা করলে রুপির পরিমাণ প্রথমে ডলারে এবং এরপর ডলার থেকে টাকায় রূপান্তরিত হয়। এটিকে ডলারাইজেশন বলা হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি সরিয়ে ফেলা বা ডি-ডলারাইজেশন (De-dollarisation) করার কথাই আলোচনা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র একটি লেনদেনের জন্য ২ বার ডলার রূপান্তরের কারণে ওই ব্যক্তিকে প্রকৃত রুপি-টাকার বিনিময় হারের চেয়ে বেশি অর্থ দিতে হয়। কিন্তু ডি-ডলারইজেশন হলে বেশি অর্থ দিতে হবে না।

    ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh) লেনদেন…

    বাংলাদেশ (India Bangladesh) ব্যাঙ্কের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এমনই একটি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারে পরিবর্তন করতে হবে না। ফলে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের কাছে একটি ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকবে, যেখানে তাঁরা ভ্রমণের আগে ভারতীয় রুপি যোগ করে নিতে পারবেন। একইভাবে কোনও ভারতীয় বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় একইভাবে তাদের কার্ডে টাকা যোগ করে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিনিময় হার হবে সরাসরি টাকা থেকে রুপি বা রুপি থেকে টাকায়।

    ভারত (India Bangladesh) থেকে পণ্য ও পরিষেবা আমদানির ক্ষেত্রেও একই হিসাব প্রযোজ্য হয়। কিন্তু এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে খুব কম সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা তাদের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও বৈঠকে আবদুর রউফ তালুকদার জানান, এই পদ্ধতি চালু করা হলে ভারতকে যে পরিমাণ অর্থ দিতে হয়, তা আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দিতে হবে না এবং এর ফলে রিজার্ভের ওপর চাপও কমবে (De-dollarisation)।

    শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা

    গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়টি (De-dollarisation) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এটি প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। ব্যবসায়ীদের এই পদ্ধতিতে বিল পরিশোধের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এর জন্য এই পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোকেও যুক্ত করতে হবে। গভর্নর খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কগুলোর (India Bangladesh) সঙ্গে আলোচনা করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আবারও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে অন্তত ১৪টি মন্দির ভাংচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙি উপজেলায় কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ১৪টি মন্দিরে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে যাতে পরিস্থিতি অন্যদিকে গতি না নেয় তাই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    পুলিশ কী বলছে

    বালিয়াডাঙি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক খাইরুল আনাম বলেন, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে ধানতলা, চারোল, পরিয়া ইউনিয়ন এলাকার একাধিক মন্দিরে ভাঙচুরের খবর পেয়েছি আমরা। ঘটনার তদন্ত করছেন জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন। তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওইসব মন্দিরে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক মূর্তি ভাঙা হয়েছে, নাকি দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, তা দেখছি আমরা। পুলিশ এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

    পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বলছেন

    বালিয়াডাঙি উপজেলার পুজো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ বর্মন বলেন, ধানতলার ৯টি, চারোলে ১টি এবং পরিয়া এলাকার ৪টি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এই মন্দিরগুলিতে হরিবাসার, কৃষ্ণ, মনসা, লক্ষ্মী, কালীর মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলির হাত, পা ও মাথা টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিছু কিছু ভাঙা টুকরো পুকুরে ফেলে দিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। 

    খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলার পুজো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ। সিন্দুরপিণ্ডিতে হরিবাসার মন্দিরে তিনি বলেন, এই মন্দিরটি বিশাল বড় এবং ঐতিহ্যবাহী। অনেকেই নিয়মিত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর ঘটনা।

    ২০২২ সালে বাংলাদেশে হওয়া হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের খতিয়ান

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরে সেদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে ১২৮টি মন্দিরে। ভাঙচুর হয়েছে ৪৮১টি প্রতিমা। ৭২টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেদেশে গত বছর ৩১৯টি সংখ্যালঘু পরিবার বা সংখ্যালঘুদের মন্দির লুঠ হয়েছে। ৮১৯টি বসতবাড়িতে হামলা হয়েছে। অগ্নি সংযোগ হয়েছে ৫১৯টি বাড়িতে। সংখ্যালঘুদের ১৭৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর হয়েছে।

    দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে ৪৪৫টি সংখ্যালঘু পরিবারকে। ১৫ হাজার ১১৫টি পরিবারকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৯১টি পরিবার। ১ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের ওপর মোট ৯৫৩টি সংগঠিত হামলা হয়েছে।  ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরে সেদেশে খুন হয়েছেন ১৫৪ জন সংখ্যালঘু। দখল হয়েছে সংখ্যালঘুদের প্রায় ৯০ হাজার একর জমি।

    গত ১ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) ১৫৪ জন সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন। তার মধ্যে ২৭ জনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ১৪ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে ৮৪৯ জনকে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২৪ জনকে। হামলার জেরে আহত হয়েছেন মোট ৩৬০ জন সংখ্যালঘু। এখনো ৬২ জন সংখ্যালঘুর কোনও খোঁজ নেই।

    ১ বছরে পদ্মাপাড়ে সংখ্যালঘুদের ৯০ হাজার একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে। বসত থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৫৭২টি পরিবারকে। তার মধ্যে ৪৪৫টি পরিবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মোট প্রায় ২২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ কোটি ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে চাঁদা হিসাবে।

    এছাড়া সেদেশে অপহরণ করা হয়েছে ১২৭ জন সংখ্যালঘুকে। ১৫২ জনকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ৪০ জনকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Pathaan: পাঠানের জনপ্রিয়তায় মাত গোটা বিশ্ব, সিনেমা দেখতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা!

    Pathaan: পাঠানের জনপ্রিয়তায় মাত গোটা বিশ্ব, সিনেমা দেখতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর পর রুপোলী পর্দায় ফিরেও তিনি দেখিয়েছেন তিনি আজও বলিউডের ‘বাদশা’। আজও একই ভাবে তাঁর ভক্তরা তাঁর জন্যে পাগল। বলছি শাহরুখ খানের কথা। শাহরুখ খানের কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’ (Pathaan) বক্স অফিসে সুপারহিট। মাত্র সাত দিনে ৬৩৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছবিটি। দেশ  মিলেছে ৩৯৫ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে ছবিটি কামিয়েছে ২৩৯ কোটি টাকা। ছবিটি মুক্তির আগেই এর সফল হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। হাজার কোটি ছোঁয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। চার বছর পর সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় কামব্যাক করেছেন শাহরুখ। অ্যাকশন হিরোকে ফের বড় পর্দায় দেখতে সিনেমা হলে ছুটছেন অনুরাগীরা। শুধু এদেশেই নয়। শাহরুখের ছবির জনপ্রিয়তা পার করেছে কাটা তারও। বাংলাদেশ থেকে অগণিত ভক্ত এদেশে ছুটে আসছেন পাঠান দেখতে। কারণ, ওপার বাংলায় মুক্তি পায়নি পাঠান। তাতে কী? কিং খানের ভক্তদের কাটা তার আটকে রাখতে পারে? জানা গিয়েছে, এই ছবি দেখার জন্য ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা।

    আরও পড়ুন: কারচুপির অভিযোগে পড়েছে শেয়ারের দাম, ২০ হাজার কোটির শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনা বাতিল আদানি গোষ্ঠীর  

    পাঠানের (Pathaan) ওপার বাংলায় মুক্তি না পাওয়ার নেপথ্যে মূলত আইনি জটিলতা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিচালক অনন্য মামুন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আইনি জটিলতার জেরেই পাঠান মুক্তি পাচ্ছে না এখানে। দু’টি আইনে আটকেছে এই সিনেমা। প্রথমত, কোনও উপমহাদেশীয় ছবি আমাদের দেশে মুক্তি পায় না। দ্বিতীয়ত, ঢাকা এবং ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সিনেমা নয় এটি। যদি সেটা হতো, তাহলে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকত।” 

    কিন্তু সে বাঁধা মানতে নারাজ শাহরুখের বাংলাদেশি ভক্তরা। তাই তাঁরা ভারতের সিনেমাহলগুলিকেই বেছে নিচ্ছেন প্রিয় তারকাকে দেখতে। অজন্তা সিনেমা হলের মালিক শতদীপ সাহার ত্রিপুরাতেও একটি হল রয়েছে। যার নাম রূপসী সিনেমা। তিনি একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানিয়েছেন যে এক বাংলাদেশি পরিবারের সদস্যরা পাঠান (Pathaan) দেখার জন্য তাঁর আগরতলার সিনেমা হলে এসেছিলেন।

    পাকিস্তানে বেআইনি স্ক্রিনিং  

    প্রায় একই হাল আরও (Pathaan) এক প্রতিবেশি দেশের। পাকিস্তানেও মুক্তি পায়নি পাঠান। কারণ, চার বছর আগেই ভারতীয় ছবিকে নিষিদ্ধ করেছে তারা। কিন্তু তাতেও থামানো যায়নি শাহরুখ ভক্তদের। সেই দেশে বেআইনিভাবেই নাকি শাহরুখ খানের ছবির স্ক্রিনিং চলছে। ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাঠানের টিকিট! শাহরুখ এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবিটি দুর্দান্ত হয়েছে জানার পরেই নাকি ছবিটি দেখার জন্যে পাগল হয়ে যান পাকিস্তানি ভক্তরা। এরপর চোরা পথে ওই ছবি দেখার পদ্ধতি খুঁজে বের করা হয়। চড়া দামে টিকিটও বিক্রি হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠল সে দেশের মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের জমি এইভাবে দখল করার বিরুদ্ধে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা সমাজ ইতিমধ্যে আন্দোলন শুরু করেছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজ জমি উদ্ধারের দাবিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পূজো উৎসব পরিষদের সহ-সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন যে শুধুমাত্র ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) নয় সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বহু ধার্মিক পীঠস্থান এবং তীর্থস্থানের জমি কট্টরপন্থীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে, এগুলিকে যত দ্রত সম্ভব দখল মুক্ত করা সরকারের কর্তব্য।

    ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) ইতিহাস

    অতি প্রাচীন ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) ঢাকার প্রথম মন্দির বলেই জানা যায়। এই মন্দিরের নাম অনুসারেই শহরের নাম হয়েছে ঢাকা। অনেকেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির মানেন। কথিত আছে বাংলার সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন ১২ শতাব্দীতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক অবশ্য এই মতকে স্বীকার করেন না কারণ এই মন্দিরের নির্মাণশৈলী তৎকালীন সময়ের সঙ্গে মেলে না। হিন্দু ধর্মাবলীদের বিশ্বাস রয়েছে ভগবান বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ঢাকেশ্বরীর প্রতিমা ৮০০ বছরের পুরনো মূর্তি বলে জানা যায়। দেশভাগের সময় কলকাতার কুমোরটুলি এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটের শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতা মন্দিরে এই মূর্তিকে এনে রাখা হয়। সম্ভাব্য হামলা থেকে প্রতিমাকে রক্ষা করতে ১৯৪৮ সালে রাজেন্দ্র কিশোর তিওয়ারি এবং হরিহর চক্রবর্তী বিশেষ বিমানে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে কলকাতাতে এই মূর্তিটি এনেছিলেন বলে জানা যায়। 

    সেদেশের সংখালঘু সংগঠন কী বলছে

    বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন মণীন্দ্রকুমার নাথ। তিনি বলেন, “রাজা মানসিংহ এই মন্দিরের (Dhakeshwari temple) পাশে ১৯০৮ সালে ২০ বিঘা জমি দিয়েছিলেন। এখন মন্দিরের জমি ৭.৫ বিঘা থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। আন্দোলন করে, দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ১.৫ বিঘা জমি ফেরত পাওয়া গেছে কিন্তু এখনও ১২ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি আরও অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করতে চাইনা আমরা কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে জমি ফিরে পাওয়া আমাদের আইনি অধিকার”।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সফরে এসে এই মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় অস্মিতার  প্রতীক মানেন  অনেকেই। গত দুর্গাপূজোর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে থাকার জন্য অনলাইনে পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন।

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের দাবিতে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ঢাকায় জাতিসংঘ মিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ।

    স্মারকলিপিতে পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে বা গোপনে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে থাকা শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে বিরত থাকার দাবি জানানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে এও দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১তম গ্রেনেড হামলা এবং ৭১- এর নৃশংসতার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মঞ্চে অমিতাভ-জয়া, পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শাহরুখ ছাড়াই শুরু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান 

    কী বলল মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ? 

    স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, “যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান এবং দু লক্ষ মহিলা ধর্ষিতা হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে আত্মসমর্পণের প্রতিশোধ নিতে, পাকিস্তান বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। জিয়া-মোশতাকের সহায়তায় পাকিস্তান সেনা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

    ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু (Bangladesh) কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান বিরোধী দলকে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে মানব সুরক্ষা তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতার মৃত্যু হয়।  

    বাংলাদেশ (Bangladesh) মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আরও বলে, “এসব হত্যাকাণ্ডের দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না। পাকিস্তান যদি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে। আমরা জাতিসংঘের কাছে দাবি করছি যে, ১৯৭১ সালে গণহত্যা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচার হোক। সাজা দেওয়া হোক অপরাধীদের।” 

    সম্প্রতি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাঙালি (Bangladesh) এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের “গণহত্যা” অবশেষে স্বীকৃতি পেয়েছে। কারণ হোয়াইট হাউস ইসলামাবাদের এই কাণ্ডের নিন্দা করেছে কিছুদিন আগেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Bangladesh: বাংলাদেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কেন হল জানেন?

    Bangladesh: বাংলাদেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কেন হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতেও দ্রুত গতিতে উন্নতি করছিল ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। করোনা (Covid-19) পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অব্যাহত ছিল বৃদ্ধির হার। পরে বাঁধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Eukraine war)। এদিন নয়া একটি বিবৃতি জারি করে সরকার। সেখানেই বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মার খাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) রফতানি। মার খেয়েছে দেশের ফোরেক্স রিজার্ভসও।

    বাংলাদেশের অর্থনীতি…

    সম্প্রতি হাঁড়ির হাল হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির। জানা গিয়েছে, গত মাসে আর্থিক সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ দ্বারস্থ হয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অর্থ সাহায্য পাবে। দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, সংক্ষেপে বিএনপি। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল তারা। লক্ষ্য ছিল, দেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ এবং ওই দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোণঠাসা করা। প্রসঙ্গত, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

    কী কারণে হাঁড়ির হাল হল বাংলাদেশের অর্থনীতির? আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের শক্তপোক্ত অর্থনীতি সম্প্রতি জোর ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে। এই যুদ্ধের জেরে নগদের জোগানে টান পড়েছে। দ্রুত কমতে শুরু করে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, কমেছে বৃদ্ধি।

    আরও জানা গিয়েছে, মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার দর গত কয়েক মাসে পড়েছে হু হু করে। এর ফলে বেড়েছে আমদানি খরচ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যেখানে বাংলাদেশি টাকায় এক মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল ৮৬টাকা, সেখানে বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকায়। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারেও পড়েছে টান। গত বছর ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটাই এখন কমে দাঁড়িয়েছে, ৩৩ হাজার ৭৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

     

     

  • BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী শহর ঢাকা। বাংলাদেশে বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি তথা বিএনপি-র (BNP) সমাবেশকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং অন্যান্য দাবিতে শনিবার বিএনপি একটি মহাসমাবেশের ডাক দেয়। তাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছে বিএনপি

    ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাতে বিএনপি-র (BNP) একটি বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে আটকাতে ব্যর্থ। শেখ হাসিনার অদক্ষতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ আজ সমস্যায় রয়েছেন। তাঁরা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছেন। সেই কারণেই শনিবার সকাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদিতে নাভিশ্বাস সেখানকার জনগণের। ফলে পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক বলে জানিয়েছে বিএনপি। 

    আরও পড়ুন: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    বিএনপি-এর তরফে কী কী অভিযোগ আনা হল?

    বিএনপি-এর তরফে অভিযোগ করা হয়, এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য তার আগের দিনই ৯ ডিসেম্বর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ভোরে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন, তাই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য গোয়েন্দা শাখা হেফাজতে নিয়েছে তাঁদের। আবার বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, সেদিন বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    সরকারের তরফে কী বলা হল?

    বিএনপি-এর সমাবেশের প্রসঙ্গ এনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও। রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। সেখানেই বিএনপির(BNP) সভার প্রসঙ্গে তাঁরা সরকারের অবস্থানের কথা জানান। আগামী বছর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ‘বাইরের কোনও চাপের কাছে’ মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সমাবেশ-বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ  ঘটানো সম্ভব নয়।

  • BCCI: বাংলাদেশের কাছে একদিনের সিরিজ হার ভারতের! কোচ-অধিনায়ককে তলব বোর্ডের

    BCCI: বাংলাদেশের কাছে একদিনের সিরিজ হার ভারতের! কোচ-অধিনায়ককে তলব বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। তার আগে বাংলাদেশের কাছে একদিনের সিরিজ হারল ভারত। দলের এই হারের পরে তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছে বিসিসিআই (BCCI)। ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মা, প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে তলব করেছে বোর্ড। বাংলাদেশ থেকে ফেরার পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে বিসিসিআই।

    বাংলাদেশের কাছে কেন হার

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও একদিনের সিরিজে হারতে হল কেন? প্রায় পূর্ণশক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই হেরে গিয়েছে ভারত। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সফররত (India tour of Bangladesh, 2022) ভারত। তিনটি ওয়ানডে ও জোড়া টেস্ট হবে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে। গত রবিবার মীরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম  ম্যাচে, দুরন্ত লড়েও ১ উইকেটে হেরেছিল ভারত। বুধবার অর্থাৎ এই মাঠেই হল দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। এদিনও রোহিত অ্যান্ড কোং লড়াই করে ৫ রানে হেরে গেল। এর সঙ্গেই এক ম্যাচ হাতে রেখে লিটন দাসের (Litton Das) বাংলাদেশ সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল এবং জিতে নিল। সাত বছর পর ফের বাংলাদেশে গিয়ে মুখ পোড়াল ভারত। ২০১৫ সালে শেষবার এমএস ধোনির (MS Dhoni) ভারত ১-২ সিরিজ হেরেছিল। 

    বাংলাদেশের কাছে হারের সমালোচনা করেছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ-সহ প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।

    এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ধাক্কা খেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা ছিল ভারতীয় বোর্ডের (BCCI)। কিন্তু কয়েকজন বোর্ড কর্তা ব্যস্ত থাকায় সেই বৈঠক হয়নি। কিন্তু আগামী বছর ঘরের মাঠে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আগে বিশ্বের ক্রমপর্যায়ে সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের কাছে ভারত হেরে যাওয়ার পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েছে বোর্ড। সেই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিসিসিআই (BCCI)। এক বোর্ড কর্তা জানান, “দল বাংলাদেশ থেকে ফেরার পরেই আমরা বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক করব। এটা অস্বস্তিকর পারফরম্যান্স। এই দলটা যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারবে, সেটা আমরা ভাবতে পারিনি।”

    আরও পড়ুন: ঋতুরাজের দুরন্ত পারফরম্যান্স! এক ওভারে সাতটি ছয়ের অনন্য নজির

  • Indo Bangladesh Border: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    Indo Bangladesh Border: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত (Indo Bangladesh Border) রয়েছে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা। ভারতের (India) দিকে সীমান্তে শ্যেন দৃষ্টি হানে বিএসএফ (BSF)। আর উল্টো দিকে কড়া নজরদারি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB)। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে নিরন্তর চলে পাচারের কাজ। কখনও গরু, কখনও বা জালনোট, আবার কখনও বা মাদক পাচার হয়ে যায় ক্যারিয়ারদের হাতফের হয়ে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তে (Indo Bangladesh Border) নানা অপরাধ মূলক কাজকর্মও চলে বলে অভিযোগ। এসব বন্ধে উদ্যোগী হল বিএসএফ এবং বিজিবি। দুই দেশের রক্ষীদের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের প্রহরীরাই দিনের রাতে টহল দেবে সীমান্তে।

    বৈঠকে রয়েছেন…

    রবিরার সন্ধেয় শুরু হয়েছে ইনসপেক্টর জেনারেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-রিজিওনাল কমান্ডার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লেভেল বর্ডার কোঅর্ডিনেশন কনফারেন্স। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই বৈঠকেই দুই দেশের সীমান্তপারের অপরাধ কমাতে তথ্য আদানপ্রদানের সিদ্ধান্তও হয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। জানা গিয়েছে, ১১ সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, আইজি, বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, অজয় সিং, আইজি, বিএসএফ, নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, কমলজিৎ সিং বন্যাল, আইজি, বিএসএফ, গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ার এবং আটজন অন্য প্রতিনিধি। আর ১১ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, বিএসপি, পিএসসি, অতিরিক্ত মহা পরিচালক, এরিয়া কমান্ডার, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, রংপুর।

    আরও পড়ুন: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    বিএসএফের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু পক্ষই অ্যাজেন্ডা পয়েন্টস শেয়ার করেছে। কো-অর্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে দিনে রাতে বিএসএফ ও বিজিবি সমান্তরালভাবে টহল দেবে। তথ্য আদানপ্রদানও করবে দুই দেশের রক্ষীবাহিনী। রক্ষীস্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকও করবে দুই দেশ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা চলবে বলেও আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সীমান্তপারের অবৈধ কাজকর্ম রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ২ হাজার ২১৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সীমান্ত পেরিয়েই চলে অবৈধ নানা কাজকর্ম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share