Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    Sabooj Sathi: তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’ কি পৌঁছল বাংলাদেশেও? ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল দেদার বিক্রি পদ্মাপাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কি পৌঁছে গিয়েছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও? এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে যখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামের হাটগুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাটে পুরনো জিনিসপত্র বেচাকেনার রেওয়াজ রয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তৃণমূল সরকারের দেওয়া সবুজ সাথীর সাইকেল নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে লাগোয়া পুরনো সাইকেল বেচাকেনার দোকানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

    ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমের পাতায়

    বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের হাটে সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) সাইকেল বিক্রির ভিডিও সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। যদিও এই ভিডিওগুলি সত্য নাকি তা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’। ভাইরাল হওয়া সেই রকম একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এক যুবক সবুজ সাথীর (Sabooj Sathi) লোগো বসানো সাইকেলগুলি বিক্রি করছেন। সাইকেলগুলির মধ্যে পুরনো সাইকেল যেমন রয়েছে তেমনই দেখা যাচ্ছে নতুন সাইকেলও রয়েছে সেখানে। সাইকেলের সামনে বই রাখার জন্য বাস্কেটও দেখা যাচ্ছে।

    বেশ কদর রয়েছে সাইকেলগুলির

    জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা লাগোয়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানিহাটি বাজার, চাঁপাই, নবাবগঞ্জ, নদিয়া জেলার চরঘাট, রাজশাহি, খুলনা, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, জীবননগরের মতো গ্রামীণ হাটগুলিতে বিক্রি হচ্ছে দেদার সবুজ সাথী (Sabooj Sathi) প্রকল্পের সাইকেল। সবুজ সাথী প্রকল্পের এই ধরনের সাইকেলগুলি বাংলাদেশে দাম ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে। তবে সবুজ সাথী সাইকেল সেখানে মিলছে মাত্র সাত থেকে আট হাজার টাকায়। বাংলাদেশেরে এক সাইকেল বিক্রেতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সবুজ সাথী সাইকেল এর গুণমান নিয়ে যতই প্রশ্ন তুলুক সেখানকার বিরোধীরা। সীমান্ত পারে নীল রঙের সাইকেলের কদর কিন্তু বেশ বেশি।

    কী ভাবে যাচ্ছে সাইকেল

    কিন্তু সাইকেলগুলি ভারত থেকে সেখানে যাচ্ছে কীভাবে? জানা গিয়েছে যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের কাঁটাতারের ওপারে চাষের জমি রয়েছে, তারা সাইকেলে করে জমিতে যাচ্ছেন এবং ফিরে আসার সময় সেগুলিকে বিক্রি করে দিয়ে আসছেন। এর সবটাই তবে চলছে বিএসএফের নজর এড়িয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় পদ্ধতি হল, শুকিয়ে যাওয়া নদীর কালভার্টের নিচ দিয়ে সাইকেল (Sabooj Sathi) পৌঁছে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে। চুয়াডাঙা হাটের সাইকেল ব্যবসায়ী মেহেবুল কবিরাজের কথায়, ‘‘অনেকেই বলেন এগুলো নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে দেওয়া সাইকেল। আমরা অত কিছু জানি না। পাইকারদের কাছ থেকে নিয়ে আসি। ২০০-৩০০ টাকা মুনাফা রেখে বিক্রি করে দিই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Temple Attacked: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    Bangladesh Temple Attacked: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা। এবারে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরের একটি মন্দিরে (Bangladesh Temple) আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা হামলা চালায় মন্দিরের পাশে নির্মাণ কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের উপর। ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বাংলাদেশে হিন্দুমন্দিরে আগুন বা ভাংচুর নতুন ঘটনা নয়। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য থাকে হিন্দু মন্দিরগুলিতে। ঘটনায় গোটা হিন্দু সমাজের মধ্যে ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

    মধুখালী উপজেলায় মন্দিরে আগুন (Bangladesh Temple)?

    ফরিদপুরের (Faridpur) মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে রয়েছে একটি কালী মন্দির (Kali Temple )। মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানেই শৌচাগার নির্মাণের কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁরা দেখেন মন্দিরে আগুন (Bangladesh Temple) লেগে গিয়েছে। জানা গেছে, এর পরই কয়েকশ উন্মত্ত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে থাকা ওই শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ নির্মাণ কাজে নিযুক্ত ওই দুষ্কৃতীরাই মন্দিরে আগুন লাগিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে ফরিদপুরের ডিসি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, “ওই ঘটনায় (Bangladesh Temple) দুজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। হামলার পরেই আহতদের নিয়ে আসা হয় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই দুজনের। এই ঘটনায় হতাহতরা সবাই মধুখালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।”

    ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের বলেন,”খবর (Bangladesh Temple) পেয়েই আমরা সেখানে আসি। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। পরে পুলিশ এবং প্রশাসনের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    কিন্তু ওই মন্দিরে (Bangladesh Temple) কীভাবে আগুন লাগলো? কেউ কী সেখানে আগুন লাগিয়েছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সেখানের পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম। তবে সেখানে যাতে আর নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বিজিবি (Border Guard Bangladesh-BGB)। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pinaki Bhattacharya: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    Pinaki Bhattacharya: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম পিনাকি ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)। ছিল বর্ণহিন্দু। বাংলাদেশি বামুনের ছেলে। ধর্ম বদলে সে-ই হয়ে যায় মুসলমান। শুধু তাই নয়, তালিবানি জামাতের আদর্শে উদ্ধুব্ধ হয়ে শুরু হয় ভারত-বিরোধী ও হিন্দু-বিরোধী প্রচার। পাশাপাশি, চলতে থাকে জাল ওষুধ থেকে শুরু করে চিনা যৌন-উদ্দীপক ট্যাবলেট এবং ইয়াবা সহ মাদক পাচার। এর পর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়েছে এই হিন্দু-বিরোধী মুসলমান। ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে সে চুটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বিরোধী প্রচার।

    পিনাকিকে অর্থ সাহায্য করছে কারা?

    জানা গিয়েছে, মুসলমান বনে যাওয়া পিনাকিকে অর্থ সাহায্য করছে জামাত-ই-ইসলামি। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে যে বিএনপির, তারাও অর্থ সাহায্য করছে পিনাকিকে (Pinaki Bhattacharya)। তার জেরেই সে শুরু করেছে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রোপাগান্ডা। তার চ্যানেলের দর্শকদের হিন্দু-বিরোধী ও ভারত-বিরোধী কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নেও হিন্দু ও ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে সে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন, যারা জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয়, তারাও সমর্থন করছে পিনাকিকে। আফগান তালিবানের ঘোরতর বিরোধী সে।

    পিনাকির বায়োডেটা

    বাংলাদেশের বোগরা জেলার জলেশ্বরী তলায় ১৯৬৭ সালে জন্ম পিনাকির। বাবা শ্যামল ভট্টাচার্য ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পড়াশোনায় ভালো পিনাকি ভর্তি হয়েছিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে। পাশ করে বের হয় ১৯৯২ সালে। অধঃপাতের সূত্রপাত সেখানেই। কলেজে পড়াকালীনই জামাতের সংস্পর্শে আসে পিনাকি। পরে হয় মুসলমান। এর পরেই পিনাকির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন শ্যামলবাবু। পিনাকির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার স্ত্রীও, যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর যোগাযোগ রয়েছে আইএসআই, জিহাদি এবং জঙ্গিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলে ধৃত ২ তৃণমূল নেতাই, বিবৃতি প্রকাশ এনআইএ-র

    ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়ে বসা পিনাকি হাওয়ালার ব্যবসা শুরু করেছে, সঙ্গে চালাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলও। তার চ্যানেলের সিংহভাগ দর্শকই অর্ধশিক্ষিত। মূলত বাংলাদেশি শ্রমিক যাঁরা কর্মসূত্রে ছড়িয়ে রয়েছেন মালয়েশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি একটি ভিডিওয় পিনাকির দাবি, বাংলাদেশের ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেন থামাতে ভারত প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে।

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পিনাকি উগ্রপন্থী। সেই হিন্দু এবং ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। হিন্দু ধর্মের অপমান করতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে সে। হিন্দুদের সে বেজন্মা বলে গালিও দিচ্ছে। বাংলাদেশের যেসব মানুষ এবং সংবাদ মাধ্যম ভারতপন্থী, তাদেরও খিস্তি-খেউড় করছে সে। হিন্দু ধর্মকে ছোট করতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করছে পিনাকি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে বাংলাদেশি তরুণদের উদ্বুদ্ধও করছে এই বিধর্মী (Pinaki Bhattacharya)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Onion Export: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    Onion Export: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে পেঁয়াজের (Onion Export) প্রথম চালান বাংলাদেশে (Bangladesh) পৌঁছল রবিবার। এদিন বিকেলে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ পাঠানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজের চালান দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে পৌঁছয়। রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু জানান, রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইদের আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি ঢাকা। 

    রফতানির অনুমতি

    বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ (Onion Export) রফতানির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ভোক্তাবিষয়ক অধিদফতরের সচিব রোহিত কুমার সিং আগেই বলেছিলেন, ভারত বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ, মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রফতানি করবে। ব্যবসায়ীদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরই অঙ্গ হিসেবে রবিবারই ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ইদের আগে আরও পেঁয়াজ পাঠানো হবে। রমজানের সময় বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে প্রায় দ্বিগুন।  

    আরও পড়ুন: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের

    রেলপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে

    বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ (Onion Export) রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখন দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত থাকায় রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এর প্রভাব দেশীয় বাজারে পড়বে না বলেই মনে করে কেন্দ্র। ভারতের গেদে সীমান্ত হয়ে রেলপথে পেঁয়াজের প্রথম চালান ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙার দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে। এমনটাই জানিয়েছেন দর্শনার স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হুদা।

    কী বলল ঢাকা প্রশাসন?

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে এই পেঁয়াজ আমদানি করে। ঢাকার তরফে জানানো হয়, রেলে মোট ৪২ ওয়াগনে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর পেঁয়াজ খালাস করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘‘৫০ হাজার টনের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ১,৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে তা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ডিলারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন কোনায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে সহজেই বাংলাদেশ! ৫৯ বছর পর নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ময়া নৌবন্দর থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর পরিষেবা ফের চালু হল। সোমবার লালগোলার ময়া গ্রামে নৌবন্দর পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। নৌপথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হওয়ার পর শুরু হয় সড়ক ও রেলপথ ব্যবহার। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহণ খরচ বেশি হত। এবার নৌবন্দর চালু হওয়ায় খুশি দু’দেশের মানুষ।

    ৫৯ বছর পর আবার চালু হল (Murshidabad)

    জানা গিয়েছে, এক সময় এই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ি-লালগোলা নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবার চালু হল নৌবন্দর পরিষেবা। নৌবন্দর চালু হওয়ায় ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দু’টোই কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতার সমস্যার কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী আনা হবে। এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশাবাদী এলাকার বাসিন্দারা।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী স্থাপনে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতেই এই দেশ থেকে পণ্য সহজেই পৌঁছে যাবে ওপারে। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাতেও সহজেই পণ্য পৌঁছবে। দূরত্ব কমবে অনেকটাই। ঠিক তেমনই ওপার থেকে পণ্য পৌঁছে যাবে ভারতে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে বাংলাদেশ নৌপথ পুনরায় চালুর ভাবনা শুরু হয়। সেই কারণেই চিঠি পাঠানো হয় দুই দেশকে। ২০১৮ সালে মার্চ মাসে জমি ও নদী পরিদর্শন করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মউ স্বাক্ষর করা হয়। মোট ২৫ বিঘা জমির ওপর ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বন্দর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, সাধারণ মানুষ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তা বেহালের কারণে রাজ্য সরকারকে তিনি দায়ী করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে আধার জালিয়াতি চক্র। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মোটা টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের গিরিয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম আব্দুর রহমান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পূর্ব পাড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতার পেরিয়ে জেলায় মাঝে মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা চলে আসে। বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন এই আব্দুর। বিনিময়ে তিনি মোটা টাকাও নিতেন। দীর্ঘদিন জঙ্গিপুর গিরিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কম্পিউটার দোকান খুলে এই বেআইনি কারবার তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বায়োমেট্রিক মেশিন-সহ একাধিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম তথা গ্যাজেট। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আধার কার্ডও। ধৃত ব্যক্তি মিঠিপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই বেআইনি কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার অন্যতম ঠিকানা ছিল এই আব্দুরের দোকান। বাংলাদেশীদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিতেন আব্দুর। বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজকর্মে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ধৃত আব্দুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই কম্পিউটার দোকানের আড়ালে বেআইনি কারবার চালাচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ধরনের কারবার কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ফলে, এর পিছনে কেউ বা কারা রয়েছে। তাদের খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Elections 2024: ঐতিহাসিক জয়ে হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির, আর কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Bangladesh Elections 2024: ঐতিহাসিক জয়ে হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির, আর কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাক্ষাৎ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে জানিয়েছিলেন শুভেচ্ছা। আর সোমবার হাসিনাকে (Bangladesh Elections 2024) ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির

    এ নিয়ে টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন নিহত বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের কন্যা হাসিনা। সে দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল জয়ী হয়েছে ২২৫টি আসনে। হাসিনা নিজেও জিতেছেন বিপুল ভোটে। তাঁর এবং তাঁর দল আওয়ামি লীগের ঐতিহাসিক জয়ের জন্য এদিন তাঁকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জয়ের জন্য হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেন (Bangladesh Elections 2024), “ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে স্থায়ী করতে ও দু’ দেশের জন-অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।” এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন ও সংসদ নির্বাচনে ঐতিহাসিক চতুর্থবারের মতো বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।”

    ঐতিহাসিক জয় হাসিনার 

    বাংলাদেশে দ্বাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় রবিবার। ভোট গ্রহণ-পর্ব শেষে ওই দিনই শুরু হয় ফল গণনা। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় একের পর এক আসনে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে হাসিনার দল আওয়ামি লীগ। গণনা পুরোপুরি শেষ হতেই জানা যায় হাসিনার দল জয়ী হয়েছে ২২৫টি আসনে। জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০। নির্বাচন হয়েছিল ২৯৮টিতে। একটি আসনে প্রার্থীর মৃত্যু ও অন্য একটিতে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন হয়নি। যে ২৯৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামি লীগ পেয়েছে ২২৫টি। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী দিয়েছিল ২৬টি আসনে। তারা পেয়েছে ১১টি আসন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    নির্দল ও অন্যরা জয়ী হয়েছেন ৬২টি কেন্দ্রে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম প্রার্থী দিয়েছিল সে দেশের তৃণমূল। সবকটি আসনেই গোহারা হেরেছে তারা। ভোট বয়কট করেছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। হাসিনার জয়ের ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলেই আশা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর ভার্মাও জানিয়েছিলেন, হাসিনার জয়ের জেরে আরও মজবুত হবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক (Bangladesh Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির অঘোষিত ‘নবাব’ শেখ শাহজাহান নিজেই অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশে তাঁর স্থায়ী আস্তানা রয়েছে। এমনই গুঞ্জন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকায়। তাই, সন্দেশখালিতে বড় কোনও অপরাধ করলেই সীমান্তে পেরিয়ে তাঁর গোপন ডেরায় আত্মগোপন করে থাকেন তিনি। ইডি-র (ED) উপর হামলার ঘটনার পর সেই চেনা ছকেই তিনি এলাকা ছাড়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশ পালিয়ে গিয়েছেন। তবে, বাম জমানা থেকে উঠে আসা তোলাবাজ এই তৃণমূল নেতার বাংলাদেশে গিয়ে আত্মগোপন করার নাটক নতুন নয়। এমনই বক্তব্য বিরোধীদের।

    বিজেপি-র তিন কর্মীকে খুন করে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি লোকসভা ভোটের পর পরই তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তৃণমূলের এই ‘বেতাজ বাদশা’। পুলিশের একটা অংশের সঙ্গে যোগাযোগ আর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মাথায় হাত থাকায় কেউ তাঁকে ‘টাচ’ সাহস দেখাত না। স্বাভাবিকভাবে তিন-তিনটে খুন করে এলাকায় বুক ফুলিয়ে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চাপে পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে বাধ্য হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাহজাহান সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জামিন নিয়ে নেন।

    মুকুল রায়ও এর আগে শাহজাহান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন

    তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতের তালুর মতো চিনতেন। শাহজাহানের গতিবিধির সম্পর্কে তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য ছিল। এখন তৃণমূলে নাম লেখালেও গত লোকসভা ভোটের সময় তিনি বিজেপিতে ছিলেন। সেই সময় সন্দেশখালিতে বিজেপির তিন কর্মী খুন হন। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেছিলেন, শাহজাহান সম্ভবত বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে, মুকুল রায়ের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তথ্য না জেনে এই ধরনের মন্তব্য করবেন না তা বলাবাহুল্য। ইডি কাণ্ডের পর ফের সেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যোগ সামনে এল।

     বাংলাদেশে ফের আশ্রয় নিয়েছে শাহজাহান, দাবি ইডি-র (ED)

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতার খোঁজ করতে গিয়ে এমনটাই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের খোঁজ করতে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও ইডির একটি সূত্রে খবর। এ-ও জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতাকে ধরতে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে (India) হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়েছিল। আর সেই ফাইনাল খেলায় ভারতকে হারতে দেখে বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। কেউ কেউ আবার পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করেছেন বলে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিশ্ববাসী তা দেখেছেন। ভারতের প্রতি প্রতিবেশী দেশের এত ঘৃণা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বাংলাদেশে ৬ বছরের এক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (India)

    হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা রেডিও তরঙ্গে এসএমএস  বাংলাদেশের এক হ্যাম রেডিওর সদস্য জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছয় বছর বয়সী একটি শিশু। চিকিৎসক  যে ওষুধ লিখেছেন সমগ্র বাংলাদেশ তন্ন তন্ন করেও তার হদিশ মেলেনি। ওষুধ খুঁজে বের করার আর্জি জানান তিনি। ভারতীয় (India) হ্যামরা সেই ওষুধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। কলকাতায়  ওই ওষুধের সমগোত্রীয় একটি ওষুধ পাওয়া গেলেও একই ওষুধ না হওয়ায় তা দিতে চিকিৎসকরা রাজি হননি। ফের, ওষুধ খোঁজা শুরু হয়। দিল্লিতে পাওয়া যায় ওই ওষুধ। সেই ওষুধ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

    বাংলাদেশ হাই কমিশন  এগিয়ে আসেনি, আক্ষেপ হ্যাম কর্তার

    ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, খগেন্দ্রনাথ জানা নামে এক হ্যামের সদস্য ওষুধ জোগাড় করেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করি আমরা। সেই সাহায্য করেনি। পরে, অহিরুজ্জামান খান নামে বাংলাদেশে এক নাগরিকের সন্ধান পাই আমরা। তাঁর মাধ্যমে ছোট্ট শিশুর আমরা প্রাণদায়ী সেই ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করি। ভারত (India) হারের জন্য বাংলাদেশিরা আনন্দে মেতে উঠেছিল তার যোগ্য জবাব দেওয়া হল। কারণ, ভারত ভালবাসতে জানে। এই ভারতের জন্য ওই দেশের ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রাণে বাঁচবে। সেখানকার নাগরিকরা আমাদের দেশের প্রতি ঘৃণা ছেড়ে ভালোবাসা শুরু করবে, তত তাঁদের মঙ্গল। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আমরা চাই, ছোট্ট শিশুটির হাসিতে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর হাত আরও  শক্ত হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে লোকসভা নির্বাচনে জেতার ছক কষছে তৃণমূল। এই ধরনের অভিযোগ সাধারণত বিরোধীরা করে থাকে। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শাসক দল যে গুরুত্ব দিচ্ছে তা উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) তৃণমূলের এক নেত্রীর মন্তব্যে তা প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্য যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল এভাবে জালিয়াতি করে ভোটে জিততে চাইছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? (North 24 Parganas)

    শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস, তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস বলেন, আর বাকি তিন মাস। তিন মাস বাদেই আমাদের লড়াই লড়তে হবে। এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ চলছে। জাকিরদার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি লোক বসবাস করেন। জাকিরদা, অভিজিৎদা (স্থানীয় তৃণমূল নেতা) লিঙ্কটা ভালো জানেন। যদি লিঙ্কের কোনও সমস্যা হয়, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে যদি সমস্যায় পড়েন, জাকিরদাকে কাছে গেলে তিনি সব ঠিক করে দেবেন। এই কাজটা অতি দ্রুত করবেন। আমরা চাই না, একটা ভোটও বাদ যাক। স্বাভাবিকভাবেই এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলীয় নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব

    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, তিনি সেভাবে কিছু বলতে চাননি, রত্নাদি যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা হল ভোটার তালিকা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে দেওয়ার কথা। সেটা আমরা বরাবর করি। ওঁর বলার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছে। আমরা শুধু ফর্মটা পূরণ করে দিই। বাংলাদেশি কথাটা উচ্চারণ না করলেই ভালো হত। গ্রাম্য কথ্যভাষায়, বাংলাদেশি বলতে যেটা উনি বোঝাতে চেয়েছেন, তা হল সাতচল্লিশ সালের আগে যাঁরা এখানে ছিলেন তাঁরা ভারতীয়, আর তাঁদের পরে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share