Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh Boat Accident: মাঝ নদীতে ডুবল নৌকা, ৪০ হিন্দু সহ বাংলাদেশে মৃত ৫১

    Bangladesh Boat Accident: মাঝ নদীতে ডুবল নৌকা, ৪০ হিন্দু সহ বাংলাদেশে মৃত ৫১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) ভোরেই নৌকাডুবি। মন্দিরে যেতে গিয়ে ডুবল যাত্রী বোঝাই নৌকা। ঘটনায় মৃত অন্তত ৫১ জন। বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার ঘটনা। নিখোঁজ যাত্রীর সংখ্যা ৩০। তাঁদের খোঁজে জারি তল্লাশি। 

    পঞ্চগড় (Panchagarh) জেলার পুলিশ সুপার (Superintendent) এস এম সিরাজুল হুদা জানান, সোমবার রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪৬৮ কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদী থেকে ৫১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৪০ জনই হিন্দু (Hindu)। মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই পুলিশকর্তার মতে, প্রায় ১০০ জন যাত্রী বোঝাই নৌকাটি আচমকাই তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। তবে এখনও অনেকের খোঁজ না মেলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। 

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার 

    জেলাশাসক জহরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (Authority) তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালয়া উপলক্ষে শতাধিক মানুষ নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। মাঝি নৌকাটি ঘাটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তখনই নৌকাটি ডুবে যায়।

    আরও পড়ুন: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    নৌকার যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরে তীরে ওঠেন। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজে নামেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলকেও। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা এসে হাত লাগান উদ্ধারকাজে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, এখনও ৩০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে (Victim Family) ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    Modi-Hasina Meet: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হায়দ্রাবাদ হাউসে (Hyderabad House) বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina ) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে হাসিনা যান রাজঘাটে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। ভারতে আসতে পেরে তিনি যে খুশি, এদিন তা গোপন করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই আমি ভারতে আসি, তখনই মনে করি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা। আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছি।

    এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। চার দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই তিনি বৈঠক করেছেন জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনা করেছেন দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে। এদিন তিনি নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শনে যান। মঙ্গলবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যে সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, তার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা, আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মতো বিষয়ও রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পঞ্চাশে পা দিয়েছে ২০২১ সালে। তার পর ভারতে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এই প্রথম বৈঠক। গত বছর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। ওই বছরই জন্ম শতবর্ষ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ বার বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। গত বছরই বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদি। তার পর এই এলেন হাসিনা। বসলেন মোদির সঙ্গে বৈঠকে।  

    আরও পড়ুন :’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Sharing Treaty) স্বাক্ষরিত হয়নি। তবে মঙ্গলবার মোদি (PM Modi)-হাসিনা (PM Hasina) বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর (Kushiyara River) জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি। যে চুক্তির ফলে লাভবান হবে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দুই দেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি সমস্যাও যে দ্রুত মিটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এদিন ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) দুই দেশের মধ্যে সাতটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উন্মোচন করেছেন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ইউনিট-১এর আবরণ। তাঁরা ৫.১৩ কিমি দীর্ঘ রূপসা রেল ব্রিজেরও উদ্বোধন করেন। এদিনের আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার আবহে এদিন আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

     

     

    আরও পড়ুন :হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মোদিও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়েও। কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিয়েও। এবং অবশ্যই পোক্ত করতে হবে আমাদের অর্থনীতির ভিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি বন্যা নিয়ন্ত্রণে। রিয়েল টাইম ডেটা শেয়ার করেছি। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দুই দেশকেই অনেক প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সর্ব বৃহৎ ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক পার্টনারও। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina) চাইছেন তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Treaty) স্বাক্ষরিত হোক দ্রুত। হাসিনা চাইলেও, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পা ফেলতে হচ্ছে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাই এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না ভারত।

    ভারত ও তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৫৪টি নদী। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তাও। এই তিস্তা ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। তিস্তার উৎপত্তি সিকিমে। সেখানে থেকে এই নদী পশ্চিমবাংলার উত্তরাংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত তিস্তার ৫৫ শতাংশ জল দাবি করে। আর বাংলাদেশ যা জল পায়, দাবি করছে তার চেয়েও বেশি। এখানেই মূল সমস্যা।

    তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের দড়ি টানাটানি চলছে সেই ১৯৮৩ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য দুই দেশের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিস্তার জলের ৪২.৫ শতাংশে অধিকার ভারতের। আর ৩৭.৫ শতাংশের অধিকার বাংলাদেশের। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ, চুক্তির বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ উদ্যোগী হলেও, এই চুক্তির বিরোধিতা করেন মমতা। প্রত্যাশিতভাবেই দিনের আলো দেখেনি বহু আকাঙ্খিত তিস্তা চুক্তি।

    আরও পড়ুন : জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    শুখা মরশুমে তিস্তার জলের ৫০ শতাংশ দাবি করে বাংলাদেশ। কারণ এই সময় সে দেশে জলের জোগান খুবই কমে যায়। মার খায় সে দেশের বিস্তীর্ণ অংশের চাষবাস। তাই বাংলাদেশ চায় দ্রুত রূপায়িত হোক তিস্তা চুক্তি। তবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রূপায়িত করার ক্ষেত্রে ভারতের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পশ্চিমবাংলার অভিযোগ, তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছে না রাজ্য। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে বেশি জল দেওয়া হলে শুখা মরশুমে বিপাকে পড়বেন এ রাজ্যের কৃষকদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তি ফেরাতে রাজি নন। সেই কারণেই এখনই যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না, তা বলাই যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরুর দিকে ভারত যেভাবে তাঁর দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছে, তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে হাসিনার গলায়।

    ৫ অগাস্ট, সোমবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন হাসিনা। তার আগে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মোদির প্রশংসা করেন হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় বিশেষ বিমান পাঠিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারত ও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়েছিলেন মোদি। এদিন তার প্রশংসা করার পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় ভারতের অবদানের কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশে টিকা পাঠিয়েছিল ভারত।

    ভারত বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিতে হবে। এভাবে যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাসিনা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাঁদের দেশের পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদের দেশের পড়ুয়াদেরও দেশে ফিরিয়ে এনেছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। প্রকৃতই আপনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তোলেন হাসিনা। তাঁর দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারত যে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ভারতকে যেদিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ই ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ১৯৭১ সালে। তার পর আরও অনেকবার।

    আরও পড়ুন : ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    বাংলাদেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এদিন তাও জানান হাসিনা। বলেন, আমরা যতদিন ক্ষমতায় রয়েছি, ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর জোর দিয়েছি। সংখ্যালঘুদের বলেছি, আপনারাও দেশের নাগরিক। তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নিই। তবে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারতেও ঘটে। প্রসঙ্গত, চারদিনের ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে মোদি-হাসিনার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sheikh Hasina: ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতার পথ দেখায়! ভারত সফরে এসে বাংলার  প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ হাসিনার

    Sheikh Hasina: ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতার পথ দেখায়! ভারত সফরে এসে বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দশক আগে  বাংলা ভাষাই পাকিস্তান (Pakistan) থেকে বাংলাদেশকে (Bangladesh) আলাদা হতে সাহায্য করেছিল। ভারত (India) সফরে এসে এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা ভাষার প্রতি নিজের গভীর ভালবাসা ব্যক্ত করে হাসিনা ( sheikh hasina) জানান, “আমার মাতৃভাষা বাংলা। যখন পাকিস্তান তৈরি হয়, ঠিক সেই সময় থেকে আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল ভাষা আন্দোলন। বাংলা ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। ভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতার পথ দেখায়। তৈরি হয় বাংলাদেশ।”

    ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর। আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। পাশাপাশি দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জলসম্পদ, যোগাযোগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা আজকে। 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জানান, যে কোনও সম্প্রদায়ের কাছে তার ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, যা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার্থেই তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি ইংলিশ বলি, কিন্তু স্বচ্ছন্দ নই। এটা আমার কাছে কোনও বিষয় নয় কারণ ইংলিশ বিদেশি ভাষা, আমি আমার ভাষা বাংলাতেই স্বচ্ছন্দ। আমরা কোনও ভাষাকে ছোট করছি না। কোনও ভাষার সঙ্গে আমাদের বৈরিতা নেই। তবে আমাদের কাছে বাংলা ভাষা ভালবাসার এবং গর্বের।”

    নৈশভোজে এ দিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন শেখ হাসিনা। জানান, ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছ‌েন। পুজোর সময়ে এ দেশের মানুষকে এটা তাঁর উপহার। এ দেশের বাঙালিদের বিশেষ করে রাজ্যবাসীর সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথাও জানান হাসিনা। বাংলা ও বাঙালি তাঁর কাছে বড়ই প্রিয়। হাসিনা বলেন, “যে কোনও নতুন ভাষা শিখতে ভাল লাগে। সব ভাষার নিজস্ব মাধুর্য্য আছে কিন্তু আমার কাছে বাংলাই শ্রেষ্ঠ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলা বা নাশকতার সংখ্যার দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু নাশকতার সংখ্যা কমলেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কমছে না বাংলাদেশে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এলো সাউথ এশিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের একটি গবেষণায়।   

    আরও পড়ুন: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    ব্রাসেলে (Brussel) সাউথ এশিয়া ডেমোক্রাটিক ফোরামের (South Asia Democratic Forum) একটি আলোচনা সভায় সংস্থার গবেষণা সংক্রান্ত নির্দেশক  ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওলফ (Dr. Siegfried O Wolf) জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে কিছুতেই কমছে না ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সমস্যা। ‘হেফাজত-ই-ইসলাম এবং বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের সমস্যা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে,  হেফাজত-ই-ইসলাম (Hefazat-e-Islam) এই মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh)  সবথেকে বড় সক্রিয় ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী দল।   

    গবেষণায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী,  নাশকতার সংখ্যা না বাড়ালেও এই সন্ত্রাসবাদী দল বাংলাদেশে মুক্ত চিন্তা ভাবনার বিকাশকে ব্যাহত করছে। উগ্র ধর্মীয়বাদকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে  দিচ্ছে এই সংগঠন। 
    হেফাজত-ই-ইসলাম,  নিজেদের সামাজিক সংগঠন হিসেবে এই দল তুলে ধরলেও অবিলম্বে এই দলকে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ সরকারের।  

    সাউথ এশিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোরাম  দক্ষিণ এশিয়ার  বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে।  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কের ওঠানামা এই সংস্থার আলোচনার মূল বিষয়। ব্রাসেলকে কেন্দ্র করে এই গবেষণা দল কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    গবেষক ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওল্ফ বলেন, “গত এক দশকে বিভিন্ন অশান্তির পর বাংলাদেশ সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করেছে। অনেকেই মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই কড়া অবস্থান বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয়বাদী দলকে নেতৃত্বকে সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু এই ভাবে ভাবলে সমস্যাকে খুবই ছোট করে দেখা হবে। বাংলাদেশে হেফাজত-ই-ইসলামের মতো দল আর্থ-সামাজিক সংগঠনের মোড়কে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ জারি রেখেছে৷ যা নিয়ে সরকারের সচেতন হওয়া উচিৎ।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানির দাম (Fuel Price) লাগামছাড়া। তার জেরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। উঠেছে দাম কমানোর দাবিও। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে শেখ হাসিনার দেশ দ্বারস্থ হয়েছে আইএমএফের (IMF)। বাংলাদেশকে ঋণ দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ। করোনা (Covid 19) সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২ হাজার ৮৪৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এমতাবস্থায় চিনের মাধ্যমে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সতর্ক করলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল। কিছুদিন আগেই ঢাকা সফরে এসে হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তার পরেই কামালের এই ‘সতর্কতা’ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন :দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    কামাল বলেন, বিশ্বজুড়েই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। তাই এই সময় ঋণ নিলে উন্নয়নের গতি কমে গিয়ে চাপ পড়বে বাজারে। এর পরেই শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। চিনের কাছেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। বাধ্য হয়েছিল নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে। কামাল বলেন, অন্য গরিব দেশগুলিকে ঋণ দিয়ে আরও চাপে ফেলার আগেই আগামী দিনের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে চিনকে। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই হালের জন্য সবাই দায়ী করছে চিনকে। আর এই দায় অস্বীকারও করতে পারে না চিন। কামাল বলেন, শ্রীলঙ্কার এই সঙ্কট দেখার পরে আমাদেরও বেশি এবং ভালো করে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। কারণ কোনও দেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রকল্প ভালো করে খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিনকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    আরও পড়ুন : চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এই জন্যই জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা। তার পরেই জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে বিক্ষোভ।

     

  • Sheikh Hasina: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    Sheikh Hasina: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর বিশেষ দিনে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এদিন তিনি বলেন, “এদেশে আমার যতটা অধিকার আছে ততটা অধিকার আপনাদেরও আছে।“ এদিন কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনা এবং বলেন, এদেশে কারও নিজেকে সংখ্যালঘু মনে করার কোনও কারণ নেই। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষই সমান। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার।’

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং চট্টগ্রামের জেএন সেন হলের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিন তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়কে বলব, আপনারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু মনে করবেন না। আপনাদেরও সমানভাবে দেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার আছে এবং আমরাও সেইভাবে আপনাদেরকে দেখতে চাই।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি চলতে পারেন তাহলে আর খারাপ লোকেরা কোনও ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। আর খারাপ লোক সবধর্মেই রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর সময় যত মণ্ডপ তৈরি হয়, পশ্চিমবঙ্গেও তা হয় না। তিনি সে দেশের হিন্দুদের মনে করিয়ে দেন, দুর্গাপুজোয় ঢাকায় যে সব মণ্ডপ হয়, তার অনেকেরই উচ্চতা, জাঁকজমক পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও বেশি হয়।

    আবার তিনি জানিয়েছেন, অনেক সময় সেখানে হিন্দু সম্প্রদায় নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, কিন্তু এর জন্য আফসোস হয় তাঁর। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সরকার এবং আওয়ামি লিগ কোনও ধর্ম-সম্প্রদায়কেই ছোট মনে করে না, সবাইকেই সে দেশে অধিকারের সঙ্গে থাকার থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা 

     

  • India Bangladesh: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    India Bangladesh: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা (Teesta), গঙ্গা (Ganga) সহ অন্যান্য নদীর জলবণ্টন (Water Sharing) চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসল ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতের কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (Gajengra Singh Shekhawat) এ কথা জানান। বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়েছে।

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রচুর নদী। সেই কারণে গঠিত হয়েছে জয়েন্ট রিভার্স কমিশন। এই কমিশন আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল এদিন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বৈঠকে তাঁর নেতৃত্বে যোগ দেন ১৭ জন প্রতিনিধি। তাঁরাই বৈঠক করেন শেখাওয়াতের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, জয়েন্ট নদী কমিশনের এটি ৩৮তম বৈঠক। বৈঠক শেষে ট্যুইট করেন শেখাওয়াত। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, বিভিন্ন নদীর জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল গঙ্গা এবং তিস্তাও। জলশক্তি মন্ত্রী বলেন, জল বণ্টন সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে দু দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গঙ্গা এবং তিস্তা ছাড়াও আরও ছটি নদী নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিন।

    আরও পড়ুন : প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে জয়েন্ট রিভার্স কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। তার পর সব মিলিয়ে হয়েছে ৩৮ তম বৈঠক। সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখে ভারত সফরে আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের ভারত সফরে আসছেন তিনি। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সুস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা তাঁর। হাসিনার সফরের আগে আগেই জল সম্পদ নিয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। মঙ্গলবারই হয়েছে জয়েন্ট রিভার্স কমিশনের দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক। দুই দেশের আলোচনায় উঠে এসেছে তিস্তা জল বণ্টন ইস্যুও। এই তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও  আলোচনা হয়েছিল হাসিনার। তার পরেও তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে জট কাটেনি দু দেশের।

    প্রসঙ্গত, যখন তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা হচ্ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেই সময়ই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে স্বাক্ষরিত হয়নি ওই চুক্তি। অবশ্য তিস্তা চুক্তি না হলেও, ১৯৯৬ সালে হয় গঙ্গা জল বণ্টন চুক্তি। ২০১৬ সালে ওই চুক্তি রিনিউয়াল হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share