Tag: bangladeshi

bangladeshi

  • CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমানদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কোনও মতে এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক হিন্দু। এমনই ১২ জন হিন্দু শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) -এর অধীনে তাঁদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিয়েছে সরকার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হাতে পেয়ে তাঁরা যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন। যার জেরে অবসান ঘটল বহু দশকের অনিশ্চয়তার। সেই সঙ্গে সূচনা হল এক নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকলেও, নিরন্তর অত্যাচারের কারণে ভারতকেই তাঁরা তাঁদের মাতৃভূমি হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন। শেষমেশ সেই দেশেই চিরকালের জন্য ঠাঁই জুটল সহায়-সম্বলহীন এই ১২জন হিন্দু শরণার্থীর।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রা (CAA)

    এই হিন্দু পরিবারগুলির বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রাটি ছিল যথেষ্ট বেদনাদায়ক। তাঁদের অনেকেই পূর্ব বাংলা ছেড়ে আসেন কেবল পরণের পোশাকটি সম্বল করে। ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের কারণে তাঁদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছিলেন শুধু এই বিশ্বাস নিয়েই যে ভারত তাঁদের রক্ষা করবে। ভারতে বসবাস করলেও বস্তত তাঁরা ছিলেন রাষ্ট্রহীন। নাগরিকত্ব না থাকায় তাঁরা নিয়মিত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতেন না, পাসপোর্ট পেতেন না, কিংবা অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। কোনও নথির প্রয়োজন হলেই তাঁদের বলা হত ১৯৭১ সালের আগের কাগজপত্র দেখাতে। কার্যত এটি ছিল তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ নিরন্তর হিংসার মধ্যে তাঁরা এ দেশে চলে এসেছিলেন কোনওক্রমে।

    লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে

    শরণার্থী এই হিন্দুদের লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তাঁদের নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছে। তৃণমূল তো বটেই, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বহু নেতাও তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যার ফলে এই দেশের হাজার হাজার হিন্দু শরণার্থী দিন কাটিয়েছেন ভয়ে ভয়ে। এই ভয় পাছে কখনও ফের বাংলাদেশে ফিরতে হয়, সেই ভেবে, কখনও বা কাজ হারানোর ভয়ে, এবং যে দেশকে তারা নিজেদের ঘর মনে করত, সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় (CAA)।

    সিএএ

    শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য স্বস্থির হাওয়া বয়ে নিয়ে এসেছে সিএএ। মোদি সরকার এই সিএএ-এর বিধি জারি করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর পরিবর্তন হতে থাকে তাঁদের পরিস্থিতির। এই সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে মতুয়া এবং অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়দের জন্য যাঁরা দেশভাগের সময় ও পরবর্তী কালে ভারতে এসেছেন। অথচ, এই সিএএ-রই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলবল (Indian Citizenship)।মতুয়া সম্প্রদায়ই রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী। তাঁরা মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বহু দশক ধরে ঠাকুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় বহু পরিবার কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করতেন। তাঁরা সব সময় আশঙ্কায় থাকতেন যে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন, নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁরা বলছেন, এখন তাঁরা নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন।

    বিজেপির অবদান

    এই অগ্রগতির একটি বড় অংশই সম্ভব হয়েছে মাস দুয়েক ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিজেপির খোলা সহায়তা কেন্দ্র এবং ক্যাম্পগুলির জন্য। নদিয়া, কোচবিহার এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্যাম্পগুলি হাজার হাজার শরণার্থীকে সিএএর ফর্ম পূরণ, তথ্য যাচাই এবং কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে সাহায্য করেছে। যাঁরা একসময় মনে করতেন তাঁরা কখনওই বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না ভারতে, তাঁরাই এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন (CAA)।

    কী বলছেন নাগরিকত্ব পাওয়া ভারতীয়রা

    সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষ করে হিন্দুরা ভারতে এসেছিলেন। আমার অভিজ্ঞতায়, যখন আমরা ভারতে এসেছিলাম, তখন রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি আমাদের আটক করে বারাসত ও শিয়ালদহে নিয়ে গিয়েছিল। তখন (Indian Citizenship) আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পাসপোর্ট অফিসে যেতে গিয়েও নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পরীক্ষায় বসা বা ভর্তি হতেও বহু নথিপত্র জমা দিতে হয়েছে। এখন সরকারের প্রণীত আইনের আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়ার ফলে উদ্বাস্তু মানুষরা অনেক উপকৃত হয়েছে। উদ্বাস্তুদের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই (CAA)।”

  • SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। আদতে বাংলাদেশের নাগরিক (SIR)। তাতে কী? সে দেশের সুযোগ-সুবিধা তো নিচ্ছেনই, একই সঙ্গে ভোগ করছেন ভারতীয় নগরিকত্বের যাবতীয় সুবিধাও (Bangladeshi)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সৌজন্যে এমনই আজবকাণ্ড ঘটে চলেছিল। রাজ্যে এসআইআর জুজু ধেয়ে আসতেই একে একে ঝুলি থেকে বের হচ্ছে বিড়াল।

    রেশন তুলেছেন অনুপ্রবেশকারীরা! (SIR)

    ফেরা যাক খবরের মূলে। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছে ভোটার-তালিকা ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ। সেজন্য চালু হয়েছে এসআইআর। তখনই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক খবর, যা শুনলে কপালে চোখ উঠতে বাধ্য। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় ঢোকা এই অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেরই রয়েছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও জোগাড় করে ফেলেছেন এঁদের অনেকেই। নিয়মিত রেশন তোলার পাশাপাশি অনেকে আবার এ রাজ্যে ভোটও দিয়েছেন দু’-তিনবার। আর এর বদলে মিলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানও। যা পাওয়ার হক নেই কোনও বিদেশিরই। এসআইআরের নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারেই। এবার সেটাই শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে। তার পরেই পোঁটলা-পুঁটলি গুছিয়ে পিলপিল করে রাজ্যের নানা সীমান্তে ভিড় করছেন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় যাঁরা প্রতীক্ষা করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করেই মিলেছে এসব তথ্য (SIR)।

    বোমা ফাটালেন আনোয়ারা বিবি!

    স্বরূপনগরের এই সীমান্তেই দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের (Bangladeshi) সাতক্ষীরার বাসিন্দা রোকেয়া বিবি। তিনি জানান, বাংলাদেশের নাগরিক। তবে ভোট দিতেন এ রাজ্যে। লকডাউনের সময় পদ্মার ওপর থেকে দালালদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছিলেন এপার বাংলায়। ঠাঁই জুটেছিল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। কাগজকুড়ুনির কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি জানান, ৩-৪ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছেন। তাতে টাকাও ঢুকেছে। দিয়েছেন ভোটও। এই সাতক্ষীরায়ই ফিরে যাচ্ছেন আনোয়ারা বিবিও। তাঁরও বাড়ি সেখানেই। তিনিও কবুল করলেন, এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে জেনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “আমরা এখানে থাকব বলে কাগজপত্র সব করে দিল। আর এখন থাকতে পারছি না। আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশেই ফিরে যাচ্ছি।” শুধু কী তাই? আদতে বাংলাদেশের নাগরিক, অথচ বাংলায় ঢুকে পড়ে কাগজপত্র সব জোগাড় করে বসে পড়েছেন সরকারি চাকরির পরীক্ষায়ও। এফআরআরও-চিঠিতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এ ব্যাপারে (SIR) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (Bangladeshi)।

    গুচ্ছের প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে রাশি রাশি প্রশ্ন। নজরদারি এড়িয়ে এরা কীভাবে পদ্মার এপাড়ে এলেন? এতদিন এখানে থাকলেনই বা কীভাবে? ভারতে বসবাসের কাগজপত্রই বা জোগাড় করলেন কীভাবে? রাজ্যের বিরোধী দলের অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বদান্যতায় এঁরা জোগাড় করেছেন জাল কাগজপত্র। দিয়েছেন ভোটও। যার জেরে বুথ ফেরত সমীক্ষার যাবতীয় প্রেডিকশনের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বারবার জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এঁদের অনেক প্রার্থীই আবার জয়ী হয়েছেন লাখ লাখ ভোটে। তা নিয়ে তাঁদের গর্ব করতেও দেখা গিয়েছে প্রকাশ্য সভায়।

    প্রতারকদের অভিশম্পাত!

    স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টের কাছে এখন ওপারে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন শয়ে শয়ে বাংলাদেশি। কেউ কাকভোরে, কেউ আবার রাতের আঁধারেই এখানে চলে এসেছেন (SIR)। আবার অনেকেই আসছেন দিনের বেলায়। সবাই ইতিউতি দাঁড়িয়ে বসে রয়েছেন কখন ফিরবেন নিজের দেশে, তার অপেক্ষায়। শিশুর কান্না, পরিবারের উদ্বেগ, দেশে ফিরে গিয়ে কী করবেন – এসবেরই ছাপ অপেক্ষারত অনুপ্রবেশকারীদের চোখেমুখে। এঁদের মধ্যে (Bangladeshi) যাঁরা টাকা-পয়সা দিয়ে কাগজপত্র বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই আবার অভিশম্পাত দিচ্ছেন প্রতারকদের। জানা গিয়েছে, বিএসএফ ইতিমধ্যেই আটক করেছেন ৩০০ জনকে। এঁদের অধিকাংশেরই নথি নেই। সীমান্ত পার হতে গিয়েও ধরা পড়েছে ৪৫ জন। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তে ভিড় করা এই মানুষগুলির সিংভাগেরই বাড়ি সাতক্ষীরা কিংবা খুলনার গ্রামে (SIR)।

    অনিশ্চিত ভবিষ্যত

    একটুকু সুখের আশায় জন্মভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবাংলায় এসেছিলেন এঁরা। নেতাদের ধরে জুটে গিয়েছিল মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজকর্মও। টাকা-পয়সার বিনিময়ে জোগাড়ও করেছিলেন কাগজপত্র। তবে সেসব কাগজ যে জাল, তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে থাকতে এই দেশটাকেই আপন করে নিয়েছিলেন এঁদের অনেকেই। শাসক দলের ‘ঋণ’ শোধ করতে হাত উপুড় করে তাদের ভোটও দিয়েছিলেন দাবি করলেন অনেকে। তখনও বোঝেননি, যে দেশটায় থাকতে থাকতে ক্রমেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন (Bangladeshi), সেই দেশটাই এখন পর হয়ে গিয়েছে। এবার ফিরতে হবে স্বদেশে, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে (SIR)।

  • SIR: গর্তে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড! স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে ভিড় অনুপ্রবেশকারীদের

    SIR: গর্তে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড! স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টে ভিড় অনুপ্রবেশকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ইলেকশন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে নেমেছে৷ দামি ব্লিচিং পাউডার ও ফিনাইল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আর গর্তে দেওয়া হচ্ছে কার্বলিক অ্যাসিড৷ ফলে যেমন সাপ বেরোয়, তেমন এরা রাস্তায় বের হচ্ছে৷” সপ্তাহখানেক আগে ঠিক এই ভাষায়ই এসআইআরের (SIR) প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করা মিছিলকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের (Bangladesh) বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

    কাগজ নেই, কবুল করলেন অনুপ্রবেশকারীরা (SIR)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা যে নেহাত অমূলক নয়, সেটা মালুম হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায়। এই যেমন হাকিমপুর চেকপোস্ট। এখানে লোটা-কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। কারণ মাথায় বোঁচকা, কেউ আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন বড় বড় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে। মাথায়-হাতে-কাঁধে থাকা ব্যাগে ভর্তি গেরস্থালির জিনিসপত্র। সেই সব বোঝা নিয়েই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, কখন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছবেন তাঁরা, সেই অপেক্ষায়। সীমান্তে অপেক্ষারত এই অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, এসআইআরের ভয়ে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এঁদের অনেকেই কবুল করলেন, কোনও কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। রুটি-রুজির জন্যই স্বদেশ ছেড়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পড়শি দেশে ঠাঁই নিয়েছিলেন। সেখানেও এসআইআর শুরু হওয়ায় ভয়ে ফের প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশে ফিরতে প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন তাঁরা।

    এসআইআর জুজু!

    দেশজুড়ে চালু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। এসআইআরের মাধ্যমে ভোটার লিস্ট ঝাড়াই-বাছাই করার পর হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। বস্তুত, বিহারেই প্রথম শুরু হয় এসআইআর। এই এসআইআর চালু হতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বিড়াল। বাদ গিয়েছে বহু ভুয়ো এবং মৃত ভোটারের নাম। বিহারের পর এসআইআর চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে। তার পরেই দলে দলে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীরা। হাকিমপুর চেকপোস্টেই সীমান্ত পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন ৩০০-এরও বেশি অনুপ্রবেশকারী। তাঁদের আটকেছেন ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের কাছে কী কী বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। নিজের দেশেই যে এত অনুপ্রবেশকারী এসে তাঁদের রুটি-রুজিতে ভাগ বসিয়েছিলেন, তা দেখে অবাক স্বরূপনগরের বাসিন্দারাও (SIR)।

    কী বলছেন অনুপ্রবেশকারীরা

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন সাবিনা পারভিনও। পোঁটলা-পুঁটলি নিয়ে তিনিও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন সীমান্তে, বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায়। সাবিনা যে ভারতে বেআইনিভাবে বসবাস করছিলেন (Bangladesh), মুক্ত কণ্ঠে তা কবুলও করলেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বাড়ি। থাকতাম বিরাটিতে। আমার কাছে কাগজপত্র নেই, অবৈধভাবেই থাকতাম।” এই লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক মহিলা বলেন, “চিনারপার্কে থাকতাম। আমার কাছে আধার কার্ড নেই। পেটের দায়ে এসেছিলাম এদেশে। লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করে কিছু রোজগার হত।” অবশ্য এই প্রথম নয়, এসআইআর ঘোষণা হয়েছে গত মাসের একেবারে শেষের দিকে। তারপর থেকে কার্যত হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশে ফেরার। ২ নভেম্বর ধরা পড়েছিলেন ১১ জন অনুপ্রবেশকারী। তার পরের দিনই ৪৫ জনকে ধরে ফেলে বিএসএফ। ৪ নভেম্বর ধরা হয় আরও ৩৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। ১০ তারিখে গ্রেফতার করা হয় ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে (SIR)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এগুলি নমুনা মাত্র। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে পালানোর চেষ্টা করার সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করা হচ্ছে ভারতে বসবাস করা অবৈধ বাংলাদেশিদের। এসআইআর চালু হতেই তাঁরা সকলে তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশে পালানোর চেষ্টা করছে। কেউ কেউ সীমান্তে প্রহরারত জওয়ানদের (Bangladesh) চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা পার হয়ে গেলেও, অনেকেই ধরা পড়ছে বিএসএফের জালে (SIR)।

    আসলে গর্তে যে ঢালা হয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড!

     

  • SIR: এসআইআর জুজুর ভয়েই কি রাতারাতি খালি হয়ে গেল গুলশন কলোনি?

    SIR: এসআইআর জুজুর ভয়েই কি রাতারাতি খালি হয়ে গেল গুলশন কলোনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন পাঁচেক আগেও যেখানে লাখ দুয়েক লোকের বসবাস ছিল, এখন সেখানে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধুই বহুতল। কোনওটায় একজন, কোনওটায় বা দু’জনের হাতে বিএলও তুলে দিলেন এনুমারেশন ফর্ম (SIR)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসআইআর জুজুতে রাতারাতি ফাঁকা হয়েছে ‘মিনি বাংলাদেশ’ (Bangladeshi) নামে খ্যাত কসবার গুলশন কলোনি। কসবার এই এলাকা প্রায়ই থাকে খবরের শিরোনামে। তবে সেসব খবর কোনও ইতিবাচক কারণে হয়, বরং নেতিবাচক কারণে সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নেয় গুলশন কলোনি। এই কলোনির জনসংখ্যা কমবেশি ২ লাখ। শহর কলকাতার এই কলোনি অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা। কলোনি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের একটা অংশের দাবি, “গুলশন কলোনি যেন মিনি বাংলাদেশ! শুধুই বহিরাগতের ভিড়!”

    গুলি-বোমা-বন্দুকের কান ফাটানো আওয়াজ (SIR)

    এই কলোনিতে নিত্যদিনই লেগে থাকে ক্যাচাইন। সামান্য ঝুট-ঝামেলা হলেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় দুষ্কৃতিরাজ। গুলি-বোমা-বন্দুকের কান ফাটানো আওয়াজে এবং ভয়ে ঘরে সেঁধিয়ে যায় কলোনির লোকজন। এহেন একটি কলোনিতেই শনিবার শুরু হল এসআইআর। এই কলোনির প্রায় প্রতিটি বাড়িই ৫ থেকে ৬ তলা। প্রতি ফ্লোরে রয়েছে কমপক্ষে ৪টি করে ফ্ল্যাট। পাড়া রয়েছে অনেকগুলি। এক একটি পাড়া চিহ্নিত হয়েছে ইংরেজি অ্যালফাবেট দিয়ে। এর মধ্যে ৩০৪ নম্বর পার্টে রয়েছে এম, এন, এল এবং পি – এই চারটি পাড়া। একটি বুথে বাড়ি রয়েছে হাজার আড়াই। অথচ বুথের মোট ভোটার (SIR) মাত্র ১ হাজার ৭০০ (Bangladeshi)।

    এসআইআর শুরু গুলশন কলোনিতে

    এদিন এক একটি বহুতলে ঢুকলেন বিএলও। তখনই বের হল ঝুলি থেকে বেড়াল! অতি কষ্টে কোনও একটি ফ্লোরের কোনও একটি ফ্ল্যাটে রয়েছেন একজন ভোটার। নিজের কাছে থাকা তালিকার সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেখে নিয়ে তাঁর হাতে তুলে দিলেন এমুনারেশন ফর্ম। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি গেলেন পাশের বহুতলে। কিন্তু সেখানেও তো খাঁ খাঁ দশা! তাহলে কি এতদিন ধরে গুলশন কলোনিতে বসত করত বহিরাগতরাই? বিএলও ওয়াসিম আক্রম বলেন, “এক তলা থেকে চার তলায় উঠলাম। শুধু একজনের নাম পেয়েছি। আর কেউ নেই। আর পুরো যা আছে, কেউ বলছে বিহার, কেউ বলছে রিপন স্ট্রিটের বাসিন্দা। অন্য জায়গা থেকে এসে এখানে থাকছে, অথচ ভোটার কার্ড নেই (Bangladeshi)।”

    ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এই এলাকার ভোটার নয়

    লাখ দুয়েক জনসংখ্যার এই কলোনিতে ভোটার (SIR) রয়েছেন ২০ হাজারের মতো। যার অর্থ হল, কলোনির ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এই এলাকার ভোটার নয়। প্রশ্ন হল, তারা কারা? কেনই বা ডেরা বেঁধেছে গুলশন কলোনিতে? এদিন বিএলও ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে ছিলেন কেবল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিএলএ ২ মিনাজ শেখ। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার দাবি, “গুলশন কলোনির অনেকেই অন্য এলাকার ভোটার। কিন্তু তালিকায় ঠিকানা বদল করেননি।” তাঁর মতে, গুলশন কলোনি সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই এলাকাটিকে সবার চোখে খাটো করেছে। গুলশন কলোনি এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

    কলোনিতে বহিরাগতদের ভিড়!

    এই কলোনিতে যে বহিরাগতদের ভিড়, মাস দুয়েক আগেই তা ফাঁস করেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এলাকায় ব্যাপক অশান্তির (SIR) প্রসঙ্গে সজল বলেছিলেন, “ওখানে কলকাতা পুলিশ দিয়ে হবে না। বাংলাদেশ পুলিশকে ডাকতে হবে। গুলশন কলোনি মানে রোহিঙ্গাদের কলোনি। তিন হাজার ভোটার রয়েছে। অথচ এলাকার বাসিন্দা ২ লাখ। এ রকম গুলশন কলোনি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দু-চারটে করে তৈরি হয়েছে। পুরো বেআইনি জগৎ (Bangladeshi)।” সজল যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেছিলেন, তা হল গত ১১ সেপ্টেম্বর ভরসন্ধেয় গুলশন কলোনিতে ব্যাপক গোলা-গুলি চলে। হয় বোমাবাজিও। কলোনির অটোস্ট্যান্ডে এসে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সূর্য ডোবার পরে এলাকায় আঁধার ঘনাতেই ফের শুরু হয় বোমাবাজি। ওই দিনই মাঝরাতে দুষ্কৃতীরা গিয়ে বোমা ছোড়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে। সেই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। স্থানীয়দের একাংশের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুলশন কলোনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার নেপথ্যে ছিল শাসক দলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মিনি ফিরোজ ও তাঁর দলবল।

    বিপাকে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, গুলশন কলোনি এলাকাটি কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকার (SIR) বিধায়ক তৃণমূলের জাভেদ আহমেদ খান। তিনি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মন্ত্রীও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সাড়ে ১১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিলেন জাভেদ। পরের বিধানসভা নির্বাচনে সেই জাভেদই জয়ী হন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। এসআইআর হওয়ার পর (Bangladeshi) জাভেদের গদি টিকবে কি? আপাতত কোটি টাকার প্রশ্ন সেটাই (SIR)।

  • Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি (Bangladeshi) মুসলিমদের সিএএ-তে কোনও স্থান নেই, তাঁরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ – বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ফের একবার এমনটাই স্পষ্ট করে জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সিএএ-র আওতায় কারা পড়েন এবং কারা পড়েন না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষায়, “হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, জৈন, বুদ্ধিস্ট সকলেরই স্থান রয়েছে। তবে বাংলাদেশি মুসলিম নয়, পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে। আর সব হিন্দু, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , তাঁরা সবাই শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। হিন্দুরা আসবে, নিরাপদে থাকবে।”

    এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়

    এই আইনের আওতায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাঁদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা আবশ্যক ছিল। তবে এবার নাগরিকত্বের আবেদন জানানো যাবে আরও ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৫-এর মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও এই আইনের সুযোগ নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ), এবং কমিউনিজম (সমাজতন্ত্র) — এই মূল্যবোধগুলো বজায় থাকবে ততক্ষণই, যতক্ষণ ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতির সংগঠিত চক্রের পর্দা ফাঁস করল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ। তারা গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক আবদুল কালামকে। গত আট বছর ধরে সে নেহা (Neha) নামে রূপান্তরকামী নারী সেজে ভোপাল শহরে বসবাস করছিল। বছর দশেক বয়সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কালাম। দু’দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকারী পরিচয় নিয়ে স্থানীয় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। দালাদদের ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় পাসপোর্ট পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল সে।

    আবদুলই নেহা (Neha)

    তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আবদুল কেবল ভুয়ো পরিচয়পত্রই ব্যবহার করেনি, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে সে বিদেশও ঘুরে এসেছে। বুধওয়ারা এলাকায় সে একাধিকবার বাসা বদল করেছে। স্থানীয়রা তাকে নেহা নামেই চেনেন। সে রূপান্তরকামী কিনা, তা জানতে চলছে শারীরিক পরীক্ষা। পুলিশ এও জেনেছে, আবদুল মহারাষ্ট্রেও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, তার এই ছদ্মবেশ বড় কোনও চক্রের অংশ হতে পারে। রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা অথবা সব জেনেও কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জাল পরিচয়পত্র

    জানা গিয়েছে, আবদুলকে (Neha) ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে স্থানীয় দুই যুবক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিস্তৃত চক্র। আবদুলের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শালিনী দীক্ষিত বলেন, “সে গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছে। তার আগে সে ছিল মহারাষ্ট্রে। আমরা একটি সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে তার পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে সে বাংলাদেশেও গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।”

    জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার আগে এই পুরো (Bangladeshi) চক্রের বিস্তার এবং আবদুলের পুরানো কার্যকলাপ, বাংলাদেশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে (Neha)।

  • Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নে অভিযান চালায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam CM)। সেই অভিযানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন অনুপ্রবেশকারীরা সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। এমনকি, এক পর্যায়ে কিছু অভিযুক্ত বাঁশ নিয়ে দৌড়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের উপর আক্রমণও করে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বলেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীদের। তাঁর মন্তব্যের কারণেই গোলপাড়ায় হিংসা ছড়ায় এবং পুলিশের গুলিতে একজন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়।

    খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন রাহুল

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM) আরও বলেন, রাহুল গান্ধী অসমে এসে খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন যাতে তারা জবরদখল করা জমি ছাড়তে না চায়। এই উস্কানিমূলক মন্তব্যই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়, যা সম্পূর্ণভাবে রাহুলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত।

    রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে

    প্রসঙ্গত, অসম সফরের (Assam CM) সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই দুই নেতা গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ছয়গাঁও শহরে (গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে) এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেই সভায়ই তিনি অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Assam CM)। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিবৃতিতে বারবার রাহুল গান্ধীকেই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেন (Rahul Gandhi)।প্রসঙ্গত, গোলপাড়ায় ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

  • Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে যে বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর সুবিধার্থে নাগরিকত্বের পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া যেন দ্রুত শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকাকে এই কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যে সমস্ত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হোক বা অন্য কোনও দেশের, আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের সরকারকে ইতিমধ্যে তাদের জাতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করতে বলেছি।’’ রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের কাছে ২৩৬০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা রয়েছে। যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। জানা গিয়েছে এই বিপুল সংখ্যার মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জেলেও রয়েছে।

    অবৈধ বাংলাদেশিরা গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, অবৈধ বাংলাদেশিরা (Illegal Bangladeshi) গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কোনও রকমের বৈধ নথি ছাড়া। যার ফলে এ দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার, ১২১ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরা সকলে ৮৩১ জনের একটি গোষ্ঠীর অংশ, যারা সাম্প্রতিককালে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  এর আগে,  মে মাসে শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের দক্ষিণ সালমারা জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে আবার বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়।

    দেশজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান

    এপ্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে তাঁত শিল্পের পতনের কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ভারতে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘বিগত কয়েক মাসে আমরা এক হাজার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছি। অসমে গ্রেফতার করার পরেই তাদেরকে আবার পুনরায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে দিল্লিতে ও পুলিশ প্রশাসন অভিযানে নামে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় জন বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) মহিলাকে আটক করা হয়। এছাড়া গুজরাটেও একই ধরনের অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে ১০০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কলকাতায় আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Bombers) পাঠাব। তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব।” এমনই হুমকি দিতে শোনা গেল বাংলাদেশি এক মৌলবীকে (Bangladeshi Islamist)। তার ওই হুমকি-বার্তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্যের মধ্যেই সে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারও করছিল। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ‘ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস’-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে।

    কলকাতা দখল করো (Bangladeshi Islamist)

    সেখানে ওই বাংলাদেশি মুসলিমকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশি সেনাবাহিনী আমাকে এখনই বলে, কলকাতা দখল করো, তাহলে আমি একটি পরিকল্পনা করব। ৭০টি যুদ্ধ বিমান ব্যবহারের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমি কলকাতা দখল করতে সাতটি বিমানও ব্যবহার করব না। আমার ৭০টি বিমানের কী দরকার? আমি জানি সেখানে কারা থাকে, যারা মূর্তি পুজো করে, তারা।” বাংলাদেশি ওই মুসলমানকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, তাদের (হিন্দুদের) প্রিয় খাবার হল মলমূত্র, গোবর এবং কচ্ছপের মতো নোংরা জিনিস। আমি জানি, তারা কতটা কম বোঝে। আমি এও জানি, তারা শারীরিকভাবে কতটা দুর্বল। আমি জানি, তাদের ধর্মের প্রতি তাদের কতটা বিশ্বাস। আমি এই সবই জানি। যদিও আপনি এই জিনিসগুলি না জানেন, তাহলে আপনি একজন মুসলিম সেনাপতি হতে পারবেন না, বুঝেছেন?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, এই হিন্দুরা রক্ত দেখলে কতটা ভয় পায়। মূর্তিপূজারিরা রক্ত দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”

    আত্মঘাতী বোমারুদের ব্যবহার করব

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক (Bangladeshi Islamist) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে বেশ (Suicide Bombers) কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি দুরমুশ করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পরেই সংঘাত শুরু হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহেই ভাইরাল হল এক বাংলাদেশি মুসলমানের কলকাতা ওড়ানোর ছকের হুমকি। ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাকে অনুমতি দেয়, তাহলে আমি যা করব, তা হল – আমি সব চেয়ে বেশি আত্মঘাতী জঙ্গিদের কলকাতায় পাঠাব। আমি কী ব্যবহার করব? আত্মঘাতী জঙ্গিদের ব্যবহার করব।” সে বলছে, “ইসলামিক আয়াত, তাদের নিয়ম হল আগে মর, তারপর মার। জেন জেড বলছে, এটা তো আগে কখনও শুনিনি, প্রথমবার শুনছি। কিন্তু স্যার, আমি মারা যাওয়ার পর কীভাবে হিন্দুদের হত্যা করতে পারি?”

    প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর

    ইসলামিক আয়াতের প্রসঙ্গ টেনে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি আক্রমণ করব। তারপর তারা আমাকে আঘাত করবে। আরবি দেশগুলিতে আমি আর একটি আয়াত শিখেছি, ইসলামি আয়াত, প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর। দুটি সুপারপাওয়ার – আমেরিকা ও রাশিয়াকে পরাজিত করতে তালিবানরা এই কৌশল প্রয়োগ করেছিল।” তাকে আরও বলতে শোনা যায়, “আল্লাহু আকবর বলো। তারা এমন বাইক ব্যবহার করেছিল যার শরীরে বোমা বাঁধা ছিল। তারা সেনা ক্যাম্পের দিকে রওনা হয়েছিল। তাদের (Bangladeshi Islamist) গুলি করা হয়েছিল। একটি গুলিতে আপনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবেন না। তারা তাদের বোমা ভর্তি বাইকটা ক্যাম্পের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দেয়।” সে বলে, “বাইকটি (Suicide Bombers) ক্যাম্পের দেয়ালে ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে ৩০০ জন আমেরিকান নাগরিক মারা গিয়েছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পটিও। প্রথমে কে মারা গিয়েছিল? মুসলিম বাইকার। পরে সে কাকে হত্যা করে? কাফেরদের।”

    বাংলাদেশের ভারত দখলের স্বপ্ন

    ভিডিওয় মৌলানা আবদুল কুদ্দুস নামের ওই মৌলবীকে বলতে শোনা যায়, “বাইক নিয়ে বোমা হামলা ঘটাব! বাইক আরোহীর গায়ে বাঁধা থাকবে বোমা। যত পারব, তত আত্মঘাতী বাহিনী পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজিবির প্রাক্তন ডিজি আলম ফজলুর রহমান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপার্সন (Bangladeshi Islamist)। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।” তিনি এও লেখেন, “পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটা একটা স্ট্র্যাটেজিক বিষয়। পারস্পরিক নির্ভরতার বিষয়। যদি ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তবে চিনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে (Suicide Bombers) দখলে নেওয়া এটা ভারতের পাকিস্তান আক্রমণের রিজিওনাল ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Islamist)।”

LinkedIn
Share