Tag: bank

bank

  • World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    World Bank: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বে দ্রুততম থাকবে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার জায়গা ধরে রাখবে ভারত (India)। এর পেছনে রয়েছে শক্তিশালী ভোগব্যয়ের বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদনের উন্নতি এবং গ্রামীণ মজুরি বৃদ্ধি। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) এক প্রতিবেদনেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, শক্তিশালী গ্রামীণ পুনরুদ্ধার এবং কর সংস্কারের ইতিবাচক প্রভাব।

    বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি (World Bank)

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৬ অর্থবর্ষে ৪.৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভুটানের ক্ষেত্রে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে দেরির কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ২৬ অর্থবর্ষে নির্মাণের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। নেপালে সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ২৬ অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধি কমে ২.১ শতাংশে নেমে আসবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

    শ্রীলঙ্কায় পর্যটন ও সেবা খাতে রফতানির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি এই বছর ৬.৬ শতাংশে শক্তিশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৬ সালে তা কমে ৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান। এটি এপ্রিলের পূর্বাভাসের তুলনায় ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা, আঞ্চলিক সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং এআইয়ের মতো প্রযুক্তির কারণে শ্রমবাজারে অস্থিরতা।

    বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার সহ-সভাপতি জোহানেস জুট বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিপুল এবং এটি এখনও বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অঞ্চল। তবে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিগুলির মোকাবিলায় দেশগুলির সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “দেশগুলি এআইয়ের সুবিধা সর্বাধিক ব্যবহার এবং বিশেষ করে মধ্যবর্তী পণ্যের বাণিজ্য বাধা কমিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত এবং দ্রুত সম্প্রসারিত শ্রমশক্তির জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে (World Bank)।”

    বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়াতে এআইয়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেছে। এআইয়ের দ্রুত বিকাশ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে এবং শ্রমবাজারকে পুনর্গঠন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমশক্তি মূলত কম দক্ষ, কৃষিভিত্তিক ও হাতের কাজ নির্ভর হওয়ায় এআই গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ততা সীমিত। তবে মাঝারি (India) শিক্ষিত তরুণ শ্রমিকরা, বিশেষত ব্যবসা, পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরতরা তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। রিপোর্টে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির গতি ত্বরান্বিত করতে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংস্থাগুলির প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন নিয়মনীতিগুলির সরলীকরণ, উন্নত পরিবহণ এবং ডিজিটাল সংযোগ, আবাসন অনুসন্ধানে আরও স্বচ্ছ বিকল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরির মিল খুঁজে দেওয়া, এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া (World Bank)।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

  • India: জানুয়ারিতে দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    India: জানুয়ারিতে দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collections) পরিমাণ। গত জানুয়ারি মাসে গ্রস এবং নিট দুটি ক্ষেত্রেই বেড়েছে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ। গত ডিসেম্বরে এই বৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৭.৩ শতাংশ এবং ৩.৩ শতাংশ। এনসিএইআর-এর মাসিক পর্যালোচনা অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল (India) যথাক্রমে ১২.৩ এবং ১০.৯ শতাংশ। উৎপাদন ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

    পিএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে (India)

    জানুয়ারিতে এই ক্ষেত্রে পিএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৭.৭ শতাংশ। এটি আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। যদিও পরিষেবা ক্ষেত্রের পিএমআই রয়ে গেছে ৫৬.৫ শতাংশে। এনসিএইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল পুনম গুপ্তা বলেন, “মূল্যস্ফীতির মডারেশন আরও নীতিগত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষি ক্ষেত্রেও বহুল প্রতীক্ষিত স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য আশাব্যঞ্জক।” ২০২৪-২৫ রবি মরশুমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বপন স্বাভাবিক, বপন এলাকার ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে ধান ও ডাল জাতীয় শস্যের বপন যথাক্রমে ১০১.২ শতাংশ ও ১০০.৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

    প্রবৃদ্ধির হার

    তবে ব্যাঙ্ক ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১১.২ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। তার আগের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২০.২ শতাংশ। ব্যাঙ্কগুলি থেকে এনবিএফসি-তে ঋণও কমে গিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৫ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬.৭ শতাংশে নেমে আসে। গুপ্ত বলেন, “এনবিএফসি-র মাধ্যমে ভোক্তা অর্থায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) খাতে অর্থায়নের (India) একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে, ঋণের এই ধীর প্রবৃদ্ধির হার দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।”

    এর প্রেক্ষিতে, নির্ধারিত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির এনবিএফসি-তে প্রদত্ত এক্সপোজারের ওপর ঝুঁকি পুনরুদ্ধারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানান। এনসিএইআরয়ের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “আর একটি বিষয় যা নজরে রাখা প্রয়োজন, তা হল বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের প্রবাহের ধারাবাহিক বহির্গমন।” তিনি বলেন, “প্রায়োগিক গবেষণা দেখায় যে এফআইআই প্রবাহ প্রধানত বাহ্যিক কারণ দ্বারা চালিত হয়, অভ্যন্তরীণ কারণের তুলনায়, এবং এই কারণে এটি যথেষ্ট অস্থির প্রকৃতির। অতীতের মতো, ভারতের এফআইআই প্রবাহের বর্তমান বিপরীত প্রবণতা একটি বৈশ্বিক ঘটনা এবং এটি অন্যান্য অনেক (GST Collections) উদীয়মান বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সঙ্গেও সম্পর্কিত (India)।”

  • ED Raid: ২৭টি ব্যাঙ্ককে ঠকিয়ে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন, ইডির হাতে গ্রেফতার সঞ্জয় সুরেকা

    ED Raid: ২৭টি ব্যাঙ্ককে ঠকিয়ে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন, ইডির হাতে গ্রেফতার সঞ্জয় সুরেকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে পালানোর ছক কষছিলেন তিনি। ২৭টি ব্যাঙ্ককে ঠকিয়ে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেকা। এবার আর্থিক দুর্নীতির দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা সহ রাজ্যের আট জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি (ED Raid)। তারপর তাঁকে আটক করা হয়।

    একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর ব্যবসায়ী (ED Raid)

    ইডি (ED Raid) সূত্রে জানা গিয়েছে, “ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক সহ ২৭টি ব্যাঙ্কে আর্থিক সংস্থাকে ঠকিয়েছেন এই ব্যবসায়ী। আনুমানিক প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ব্যবসায়ীর সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে সিবিআই-ও। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখাতেও মামলা রয়েছে সংস্থার বিরুদ্ধে।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তি বর্তমানে একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর এবং অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করছেন। তবে তদন্তকারি অফিসারদের অনুমান এই টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখন এই টাকা দিয়ে অভিযুক্ত কী করতেন, কোথায় বিনিয়োগ করেছেন ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখছে ইডির অফিসাররা।

    আরও পড়ুনঃ শিব-হনুমান মন্দিরের পর সম্ভলে উদ্ধার প্রাচীন রাধাকৃষ্ণ মন্দির, শুরু হয়েছে আরাধনা

    বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ী

    জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি হলেন কনকাস্ট স্টিলের মালিক। ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর থেকে শহরতলির দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বৈদ্যবাটি, বেলুড়, ঘুসুড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালালেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় তদন্তকারি অফিসাররা। ইডি (ED Raid) দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েক কোটির সোনা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। এই বিপুল পরিমাণ সোনার কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ী। তিনি একই ভাবে আরও বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে একাধিক নথি এবং জমির কাগজ তদন্তকারীরা উদ্ধার করেছে। এখন সব কিছুকে ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। আচমকা চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরি হারা শিক্ষকদের পরিবারে। সকলেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এই আবহের মধ্যে চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে? এটাই এখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চাকরিহারাদের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে (SSC Recruitment Scam)

    জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। এমনিতেই সরকারি চাকরি বলে  শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক প্রায় ৭ কোটি টাকা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। আর গোটা রাজ্য ধরলে কোটি কোটি টাকা চাকরি হারা শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও।

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে!

    ধূপগুড়ি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “চিন্তা তো খুবই আছে। টাকা কীভাবে তোলা হবে সেটাই এখন মূল মাথা ব্যথা। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।” ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না। নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “যে রায় দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আর সহজ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রাজ্যে ফের সক্রিয় এটিএম প্রতারণা চক্র! টাকা হাতানোর কৌশল জানলে চমকে উঠবেন

    Hooghly: রাজ্যে ফের সক্রিয় এটিএম প্রতারণা চক্র! টাকা হাতানোর কৌশল জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটিএম থেকে টাকা হাতানোর চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যে। এটিএমের মধ্যে নানা কৌশল প্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত দুষ্কৃতীরা। এবার এটিএম থেকে টাকা হাতানোর অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায়। বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাঙ্কের আধিকারিক থেকে পুলিশের কর্তাদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে।

     টাকা হাতানোর অভিনব কৌশল কী? (Hooghly)

    সোমবার বড়দিন উপলক্ষে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ার চকবাজারের হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ছুটি ছিল। মঙ্গলবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাঙ্ক খোলে। ব্যাঙ্কের পাশেই রয়েছে এটিএম কিয়স্ক। ব্যাঙ্কের কর্মী অলোক পাল সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান, এক যুবক এটিএমের ভিতরে রয়েছেন। এটিএম মেশিনের শাটার জ্যাম (টাকা বেরোনোর অংশে হাত বা কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া) করে প্রতারণার চেষ্টা করছিল সোনু কুমার নামে বছর উনিশের এক তরুণ। সিসিটিভিতে চোখ যেতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয় এক ব্যাঙ্ক কর্মীর। তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কের সামনেই থাকা ওই এটিএমের ভিতর থেকে যুবককে ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সোনু টাকা বেরোনোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই শাটার জ্যাম করে দিত। এরপর টাকা বেরিয়ে যেত। অথচ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কম্পিটারে বিস্ময়সূচক (সাসপেক্ট) লেনদেন দেখাত। এরপর নিজের ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই ডিটেলস দিয়ে টাকা নিয়ে নিত। এ দিন চুঁচুড়ার চকবাজারের ওই সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশের হাতে তুলে দেয় সোনুকে। 

    দুটি এটিএম থেকে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেন!

    এক ব্যাঙ্ককর্মী বলেন, আমাদের এটিএম যে এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, তারা জানিয়েছে গত দু’দিনে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে দুটি এটিএম থেকে। একটি চকবাজারের। আর একটি ফুলপুকুর শাখায়। সব মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা তোলা হয়েছে। লেনদেনের সময় শাটার বন্ধ করে ওই লেনদেন করেন অভিযুক্তরা। এটিএম লেনদেন হওয়ার পর একটা ‘কোড’ আসে। সেটা থেকে জানা যায় লেনদেন সম্পর্কে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটিএম-এ টাকা তোলা যায়নি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা দাবি করা হয়। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুরঞ্জন হালদার বলেন, ‘দু’দিনে লক্ষাধিক টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তাই আজ এক জন সন্দেহভাজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বলছেন, তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ দেখুক কী রহস্য আছে, এর পিছনে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সই জাল করে কুড়ি কোটি টাকার প্রতারণা

    Fraud: লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সই জাল করে কুড়ি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চাকরি নেই। কাজের জন্য অনেকেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে আবার চাকরি না পেয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা (fraud) করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা এলাকায়।

    কীভাবে প্রতারণা?(fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোন করে দেওয়ার নাম করে নামখানার একটি ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ইন্দ্রজিৎ নস্কর নামে ব্যাঙ্কের এক কর্মী প্রতারণা (fraud) চক্রের মূল পান্ডা। তিনি মূলত গ্রামের গ্রাহকদের মোটা টাকা লোন করে দেওয়ার টোপ দিতেন। বেশ কিছু কাগজপত্র নিতেন। সঙ্গে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করে নিতেন। এরপরই ব্যাঙ্কের শাখা অফিসের ম্যানেজারের সই নকল করে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিতেন। সেই মতো লোন অনুমোদনও হয়ে আসত। কাউকে, ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ বা তার বেশি লোন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন তিনি। অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা ঢুকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হত। ফলে, গ্রাহক বুঝে ওঠার আগেই টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে আসত। দুদিনে একই অ্যাকাউন্টে প্রায় এক কোটি টাকা ঢোকে। তাতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। তিনি রিজিওন্যাল ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। এরপরই তিনি কাকদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ বারুইপুর থেকে ইন্দ্রজিৎ নস্কর ও রুদ্র নস্কর ও কাকদ্বীপ থেকে বাপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ২০ কোটি টাকা প্রতারণা করার হদিশ পায়।

    কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী কী বললেন?

    কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ৪৬৭ ৪৬৮ ৪৭১, ১২০বি আইপিসি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের এদিন কাকদ্বীপ আদালতে পাঠালে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকে নোটিশ পাঠাল ব্যাঙ্ক! কেন?

    TMC: নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকে নোটিশ পাঠাল ব্যাঙ্ক! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানকে নোটিশ পাঠাল ব্যাঙ্ক। কাঁথি কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের  নন্দীগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ সুফিয়ান। এ নিয়ে সিপিএম ও বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করেছে।

    তৃণমূলের (TMC)  ওই নেতার বিরুদ্ধে কেন নোটিশ পাঠাল ব্যাঙ্ক?

    ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, সেখ সুফিয়ান নামে ওই তৃণমূল (TMC) নেতার ব্যাঙ্কে লোন বাকি রয়েছে ৪৯ লক্ষ টাকা।  ২০১৪ সালে নিজের জাহাজ বাড়ি তৈরির জন্য ২৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে ব্যবসার কাজে একটি ট্রলার কেনার জন্য তিনি ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লোন নিয়েছিলেন। বাড়ির কিছুটা টাকা শোধ করলেও এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ট্রলার কেনার পর সেই লোনও তিনি শোধ করেননি। ঋণ নেওয়ার পর তিন বছর কেটে গেলেও কিস্তির টাকা পরিশোধ করেননি। বিষয়টি কয়েকবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, লাভ হয়নি। এরপরই নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    কী বললেন কাঁথি কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা?

    কাঁথি কো- অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অন্যতম কর্ণধার শেখ অ্যাপোলো আলি বলেন  “ওই ব্যক্তির দু’টি লোন রয়েছে। একটি হাউস বিল্ডিং লোন আর একটা ব্যবসা সংক্রান্ত লোন। দু’টি লোনের কিস্তি সময় মতো জমা না পড়ায় রিকভারি সেকশনে তাঁর ফাইল পাঠানো হয়েছে। তবে, এখনই নিলাম নোটিশ পাঠানোর কথা নয়। প্রথমে ডিফল্ট নেটিশ পাঠানো হবে। পরে, লোন পরিশোধ না করলে চূড়ান্ত নেটিশ ও পরবর্তী পর্যায়ে নিলামের নোটিশ পাঠানো হবে “।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ সুফিয়ান?

     জাহাজ বাড়ির মালিক শেখ সুফিয়ান গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন ” আমি ২০১৪ সালে বাড়ি তৈরি করার জন্য এবং  ২০২০  ট্রলার কেনার জন্যই লোন নিয়ে ছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন আমার লোন অনুমোদন হয়েছিল। লোনের বেশ কিছু টাকা পরিশোধ করেছি। কিছুটা বাকি রয়েছে। টাকা শোধ করে দেব। তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ্ক আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছে, ট্রলারটি ঠিক সময় দেয়নি। আমি দ্রুত লোক আদালতে যাচ্ছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতা?

     সিপিএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন,” সুফিয়ানবাবুর জাহাজ বাড়ি দেখতে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কোলে বসা ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। আর দিদির স্নেহধন্য সুফিয়ান বাবুও সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন। এখন ওই টাকা শোধ করবেন কি না তা সময় বলবে। তবে, এসবের জন্যে আখেরে ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের  “।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল কটাক্ষের সুরে বলেন  “১০০দিনের কাজ,আবাস যোজনার বাড়ি সহ একাধিক চুরি থেকে বাঁচতে এই লোন দেখান হয়েছে। সবই লোক দেখানো ঘটনা। মানুষ বুঝবে যে হীরু ডাকাতের বংশধর সুফিয়ান লোন করে বাড়ি করেছে “।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য ফোনে না- জানানোর জন্য প্রচার করা হলও এক শ্রেণির মানুষ বার বার ভুল করে ফেলছেন। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছেন। আর অপরাধীদের মূলত টার্গেট  বয়স্কদের। সাইবার অপরাধীদের পাল্লায় পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন হুগলির শ্রীরামপুরের ৫৮ বছরের এক মহিলা। প্রতারিত মহিলার নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি বিমা সংস্থার কর্মী। প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে ২০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ে সুনন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবর্তীর নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কের শ্রীরামপুর শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে ফোন নম্বর রয়েছে মৌসুমীর। সুনন্দিতা বলেন, বুধবার বিকেলে মায়ের মোবাইলে পুরুষকণ্ঠে ফোন আসে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে। বলা হয়, অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে কিছু তথ্য দরকার। অভিযোগ, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ‘কাস্টমার আইডি’ জানার অনুরোধ পাঠায় প্রতারক। তা যাচাইয়ের জন্য ওটিপি আসে মৌসুমীর মোবাইলে। সাইবার প্রতারকের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি ওটিপি বলে দেন। আরও নানা তথ্য হাতিয়ে নেয় সে। মৌসুমীকে বিভ্রান্ত করে মোট ৪৪ বার তাঁর থেকে ওটিপি জেনে নেয় প্রতারক। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১৬ বারে অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৬৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ব্যাঙ্কে লেনদেন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন সুনন্দিতারা। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশেরও দ্বারস্থ হন। হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক জন প্রবীণ নাগরিক এ ভাবে প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ব্যাঙ্কের তথ্য কী ভাবে পেয়ে যাচ্ছে প্রতারকেরা? যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: ‘ব্যাঙ্কগুলির প্রথম দায়িত্ব সাধারণ মানুষের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা’! অভিমত রাষ্ট্রপতির

    Draupadi Murmu: ‘ব্যাঙ্কগুলির প্রথম দায়িত্ব সাধারণ মানুষের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা’! অভিমত রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় তহবিলের নিরাপত্তা এবং সম্পদের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক দেশে ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ায় আর্থিক ক্ষেত্রে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ইউকো ব্যাঙ্কের ৮০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি। 

    ব্যাঙ্কের দায়িত্ব স্মরণ করালেন রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) বলেন, “ব্যাঙ্কগুলির প্রথম দায়িত্ব সাধারণ মানুষের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় দায়িত্ব সঞ্চয়ের টাকাকে কাজে লাগিয়ে সম্পদ সৃষ্টি। আর এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা ব্যাঙ্কগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তা ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন দেশে ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’ ইউকো ব্যাঙ্কে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে চাকরি জীবন শুরুর কথা স্মরণ করে অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ভারতের অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা পালন করছে ব্যাঙ্কগুলি। তবে তাকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।

    বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি

    এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মঞ্চ থেকে রবীন্দ্রভাবনার গুরুত্বের কথাও মনে করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। বিশ্বভারতীর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান তিনি। বিশ্বভারতীর আশ্রম সঙ্গীত ‘আমাদের শান্তিনিকেতন আমাদের সব হতে আপন’-এর উল্লেখ করে এর অন্তর্নিহিত একতা ও মানবিকতার কথা মনে করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। রবীন্দ্রনাথের মুক্তচিন্তার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘গুরুদেব মনে করতেন, প্রকৃতিই হল শিক্ষার উপযুক্ত মাধ্যম।’’

    আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী ঘুরে অভিভূত দ্রৌপদী মুর্মু! সমাবর্তনে কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    ‘জন রাজভবন’

    সোম ও মঙ্গলবার দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব হিসেবে ঔপনিবেশিক মানসিকতার ইতি ঘটিয়ে এখন থেকে সাধারণ মানুষের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার কথাও জানান রাষ্ট্রপতি। সোমবার রাতে একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাতে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাজভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজভবন এখন থেকে ‘জন রাজভবন’ হবে। রাজভবনের ভিতর ও বাইরে ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন আমজনতা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হেরিটেজ ওয়াক’। এর আগে রাষ্ট্রপতি সেকেন্দ্রাবাদে ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়’ খুলে দিয়েছিলেন সাধারণের জন্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share