Tag: Banking

Banking

  • Digital Banking: স্বাধীনতার অমৃতকালে ৭৫ জেলায় ৭৫ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদির

    Digital Banking: স্বাধীনতার অমৃতকালে ৭৫ জেলায় ৭৫ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং (Digital Banking) ইউনিট পেল দেশ। রবিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আম জনতার জীবন যাতে সরল হয়, সেই কারণেই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন, বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা একটি বিশেষ ধরণের ব্যাঙ্কিং সুবিধা। সব চেয়ে কম ডিজিটাল পরিকাঠামো থাকলেও মিলবে সব চেয়ে বেশি পরিষেবা। তিনি জানান, সরকার দুটো কাজ সমান্তরালভাবে করে চলেছে। প্রথমত, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে (Banking System) শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হচ্ছে স্বচ্ছতাও। আর দ্বিতীয়, আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি করেছিলাম।

    প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, দেশের ৭৫টি জেলায় সম পরিমাণ ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট স্থাপন করা হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারের তরফে এই ইউনিট স্থাপন করা হবে। সরকারের সেই ঘোষণাই বাস্তবায়িত হল এদিন। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা ঠিক করেছিলাম ব্যাঙ্ক নিজেই উজিয়ে যাবে দরিদ্র মানুষের ঘরের দোরগোড়ায়। সেই কারণে আমরা প্রথমেই দরিদ্র মানুষের সঙ্গে ব্যাঙ্কের দূরত্ব ঘোঁচাতে চেয়েছি। আমরা দৈহিক দূরত্বের পাশাপাশি মানসিক দূরত্বও ঘোঁচাতে চেয়েছি। ব্যাঙ্ককে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার সব চেয়ে বেশি চেষ্টাও করা হয়েছে। মোদি বলেন, বিশ্বব্যাঙ্ক বলে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ভারত সামজিক সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নেতা হয়ে উঠেছে। এমনকি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যিনি সব চেয়ে সফল হয়েছেন, প্রযুক্তির জগতের বিশেষজ্ঞরাও ভারতের এই ব্যবস্থাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। এর সাফল্য দেখে তাঁরাও বিস্মিত।

    এদিন যে ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং (Digital Banking) ইউনিটের উদ্বোধন হয়েছে, তার মধ্যে দুটি জম্মু-কাশ্মীরে। এর মধ্যে একটি শ্রীনগরের লালচকে, অন্যটি জম্মুর ছান্নিরামা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের এই ইউনিটগুলিতে মিলবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যালেন্স চেক করা, প্রিন্ট পাশবই, তহবিল স্থানান্তর, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ, ঋণের আবেদন, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন, কর প্রদান সহ নানা পরিষেবা।

    আরও পড়ুন: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Bank Crisis: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ,  চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা!

    China Bank Crisis: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ,  চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং (Banking) ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে (Rural Bank) আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে চিনের হেনান প্রদেশে। মধ্য চিনের একটি এলাকা হেনান। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

    সমস্যা যে হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন হেনান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, এদিন ঘটনার পরে পরেই আমানতকারীদের কমবেশি ৫০ হাজার ইউয়ান শোধ করা হয়েছে। যাঁদের ডিপোজিট ফ্রিজ হয়েছে, তাঁদেরও জমানত দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস হেনান প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের।  

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্যাংকিংয়ের এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে না চিন। ভুক্তভোগী আমানতকারীদের মতে, হাজার হাজার আমানতকারীর ১০০০ কোটি ইউয়ান ফ্রিজ হয়ে গিয়েছে। এসবই হয়েছে এলাকায় জমি বিক্রি কমে যাওয়ার দরুণ। যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে চিনের ছোট ও স্থানীয় ঋণদানকারী সংস্থাগুলির ওপর।

    চিনে এই সমস্যা অবশ্য একদিনে হয়নি। সূত্রপাত হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিলে। হেনানের চার গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে জমা আমানত ফিরে পাননি আমানতকারীরা। স্থানীয় ব্যাংকগুলিতে গিয়ে তখন থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার আমানতকারীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসেও। ঘটনাটি নজর কেড়েছে বেজিংয়েরও। আমানতকারীরা যাতে আমানত ফেরত না পান, তাই কোভিড অ্যাপে কারসাজি করেন কয়েকজন আধিকারিক। তার জেরে তাঁরাও পড়েন বেজিংয়ের রোষে। অর্থনীতিবিদ গারে নগ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকগুলির নড়বড়ে শাসন ব্যবস্থার জেরেই অর্থনীতির এই হাল। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য বিক্ষোভের নেপথ্যে ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের হাত দেখছেন।

    আরও পড়ুন : চিন থেকে আর ঋণ নিতে পারবে না পাকিস্তান! নিষেধাজ্ঞা আইএমএফের

    চিনে ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রামীণ ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে তারা তৃতীয় স্থান দখল করে। বৃদ্ধির হার শ্লথ হওয়ায় চাপে পড়েছে এরাই। এই গ্রামীণ ব্যাংক গুলিতে টাকা রাখেন মূলত কৃষিজীবী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঘটনার জেরে তাঁরাই পড়েছেন সব চেয়ে বেশি বিপাকে। ওই অর্থনীতিবিদ বলেন, ব্যাংকগুলি রিয়েল এস্টেট ডেভলপারদের থেকে আলাদা। চিন অর্থনীতির এই দুর্বল দিকগুলি দেখতে পায় না।

     

LinkedIn
Share