Tag: barrackpore

barrackpore

  • Arjun Singh: অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, চলল গুলি, জখম প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ

    Arjun Singh: অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, চলল গুলি, জখম প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে (Barrackpore) ফের রাজনৈতিক অশান্তি। বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা নিশানা করেছেন তৃণমূলকেই। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিজের বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। তখনই অতর্কিত হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পরপর বোমা ছোড়া হতে থাকে অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে, গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। বোমার স্প্লিন্টারে আহত অর্জুন। 

    কী বলছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)?

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, ‘‘আমি বাড়ির ভিতরে ছিলাম। আমার নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মীদের উপর ইট, বোমা ছোড়া হয়। গুলিও চলে। বিধায়ক বসেছিলেন। তাঁর উপরেও হামলা হয়। আমার পায়ে বোমার স্প্লিন্টার লেগেছে।’’  পুলিশের সামনেই ২৫টির বেশি বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের (Arjun Singh)। বোমাগুলি মারার পরে দুষ্কৃতীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে বেরিয়ে যায়, এমনটা অভিযোগ করছেন অর্জুন। প্রাক্তন সাংসদ আরও বলছেন, ‘‘আমাকে মেরে দেওয়ার চক্রান্ত ছিল। তা ব্যর্থ হয়েছে। তবে আমার পায়ে বোমার আঘাত লেগেছে। বেশ বড় একটা স্প্লিন্টার আমার হাঁটুর নীচে এসে লাগে। রক্তও বেরিয়েছে। তবে আঘাত খুব গুরুতর নয়।’’

    অমিত শাহকে জানাবেন ঘটনা

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) আরও বলেন, ‘‘সাত সকালে এইভাবে হামলা করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পথে যাচ্ছে তা এই ঘটনা থেকে আরও স্পষ্ট। ১০০ শতাংশ খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’’ বৃহস্পতিবার সকালের গোটা বিষয় তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন অর্জুন সিং। একই সঙ্গে, এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। বিজেপি নেতার আরও দাবি, ‘‘গুলি, বোমা তো ছোড়া হয়েছেই, ইট-পাথরও বাকি রাখেনি দুষ্কৃতীরা।’’ প্রসঙ্গত, এই ঘটনাতেও পুলিশকেও নিশানা করেছেন অর্জুন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাঁদেরও মদত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    Jute Mill: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পরই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ঠিক পুজোর মুখে রাজ্যে একের পর এক জুটমিলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। পুজোর মুখে মিল (Jute Mill) কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ মিল শ্রমিকরা। মিল খোলার বিষয়ে তৃণমূল সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই বলেই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

    বন্ধ হল দাসনগর জুটমিল (Jute Mill)

    রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) দাসনগরের ভারত জুটমিল (Jute Mill)। পুজোর মুখেই চাকরিহারা কয়েক হাজার শ্রমিক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার সময় দাসনগরের ভারত জুটমিলের কর্মীরা ডিউটিতে আসলে দেখেন, মিলের গেট বন্ধ। গেটে ঝুলছে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল। পুজোর বোনাস পাননি, বেতন-গ্রাচুয়িটির হিসেব-নিকেশ তো দূর-অস্ত! এভাবে হঠাৎ জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। পুজোর মুখে কী করবেন, কোথা থেকে রোজগার হবে, তা ভেবেই দিশেহারা। জুটমিলের বাইরে ঝোলা নোটিশে বলা হয়েছে, তাঁত বিভাগের অবৈধ ধর্মঘটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি, শাসক দল ঘনিষ্ঠ ইউনিয়ন তাদের এবং কর্তৃপক্ষের ওপরে চাপ সৃষ্টি করছে। দুটির বদলে চারটি মেশিন চালানোর জন্য জোর করছে। এর জেরেই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস

    বন্ধ কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুটমিল

    কয়েকদিন আগে, বন্ধ হয়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের কাঁকিনাড়ার একটি জুটমিলও (Jute Mill)। তার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েন কারখানার প্রায় তিন হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক। শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে কাঁকিনাড়ার নফরচাঁদ জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুজোর মুখে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দিশেহারা শ্রমিকরা। মিলের ভিতরে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তারপরে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, কাঁকিনাড়ার এই মিলে শ্রমিক অসন্তোষ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই জুট মিল। গত ডিসেম্বরেও একইভাবে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে তুমুল শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয়েছিল মিলে। তখন সেই কাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে, পুজোয় যেখানে সকলে নতুন পোশাক কিনে থাকেন সেই জায়গায় শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়াই স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে তাদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Railline: বারাকপুর থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়েই ট্রেনে উঠতেন!

    Sealdah Railline: বারাকপুর থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়েই ট্রেনে উঠতেন!

    হরিহর ঘোষাল

    হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইন দিয়ে ১৮৫৪ সালেই ট্রেন চলাচল শুরু করে দিয়েছে রেল কোম্পানি। পরে, সেই রেলপথ বর্ধমান হয়ে রানিগঞ্জ পর্যন্ত চলে যায়। আর গঙ্গার পূর্ব পাড়ের বাসিন্দাদের নৌকা করে গঙ্গা পার হয়ে হেঁটে বেশ কিছুটা পথ গিয়ে সুযোগ মিলত ‘কু ঝিক ঝিক’ ট্রেনে চড়ার। মানে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই রেলগাড়ির দেখা মিলত। ফলে, গঙ্গার পূর্ব পাড়ের বাসিন্দাদের আক্ষেপ ছিল। তাই, গঙ্গার পূর্ব পাড়ে ট্রেন চালানো নিয়ে সেকালের জমিদার থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই বিভিন্ন জায়গায় দরবার শুরু করলেন। পূর্ব পাড় দিয়ে আদৌ রেলগাড়ি চলবে কি না, তা নিয়ে এই সব এলাকার মানুষের মধ্যে রাস্তাঘাটে জোর চর্চা হত। তবে, সেই আক্ষেপ বেশি দিন বয়ে বেড়াতে হয়নি। ১৮৫৭ সালে বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহ। ঠিক তার পরের বছর, ১৮৫৮ সাল নাগাদ গঙ্গার পূর্ব পাড়ে শিয়ালদা (Sealdah Station) থেকে রেলগাড়ি চালানোর জন্য রেলপথ বসানোর উদ্যোগ শুরু হয়।

    শিয়ালদা রেলপথ তৈরির আদি কথা (Sealdah Station)

    শিয়ালদা (Sealdah Station) থেকে কুষ্টিয়া (এখন বাংলাদেশে) পর্যন্ত ১০৯ মাইল রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও এখন এই রেলপথের অনেকটা অংশ বাংলাদেশের দিকে রয়েছে। এই দেশের রেলপথের শেষ স্টেশন গেদে। আর ওপারে রয়েছে দর্শনা স্টেশন। মৈত্রী এক্সপ্রেস এখন সেই পুরানো রেলপথ ধরে চলাচল করে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন রেলপথ তৈরির জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির চুক্তি হয়। রেলপথ পাতার জন্য ২০০ ফুট চওড়া জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের ১৪ এপ্রিল ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজের সিঙ্গল লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ১৮৬২ সালে শিয়ালদা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেনটি (Train) ছিল দু’কামরার। প্রথম শ্রেণির যাত্রীবাহী একটি কামরা ছিল। অন্যটি ছিল মালবাহী কামরা। ১৮৬২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্পেশাল ট্রেন শিয়ালদা থেকে কুষ্টিয়া যায়।

    প্যাসেঞ্জার ট্রেন কবে থেকে চালু হল?

    গঙ্গার পূর্বপাড়ে রেলগাড়ি চালু হওয়ার সময় শিয়ালদা (Sealdah Station) স্টেশনের নাম ছিল কলিকাতা। সেই সময়কার রেলওয়ে টাইম টেবিলের তথ্য সেই কথা বলছে। কলিকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করত। কলিকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করা শুরু করেছিল ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। প্রথম এই ট্রেনটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। আর ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও গেদের পর থেকে এখন বাকি অংশটি বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছে।

    ১৬০ বছর আগে শিয়ালদা মেন লাইনে কোন কোন স্টেশন ছিল?

    ১৬০ বছর আগে রেলগাড়ি চালু হওয়ার সময় বহু স্টেশনের কোনও চিহ্নমাত্র ছিল না। হাতে গোনা কয়েকটি স্টেশনের ওপর দিয়ে রেলগাড়ি ছুটত। সেই সময়কার নথি থেকে পাওয়া যায়, শিয়ালদা (Sealdah Station) বা কলিকাতার পর ছিল দমদমা স্টেশন। আসলে তখন দমদম নাম ছিল না, বলা হত দমদমা। তারপর বেলঘরিয়া, সোদপুর, বারাকপুর, ইছাপুর, শ্যামনগর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, মদনপুর, চাকদা, রানাঘাট। অন্যদিকে, এই সব স্টেশন বাদ দিলে উল্টোডাঙা, আগরপাড়া, খড়দা, টিটাগড়, পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, হালিশহর, কল্যাণী, শিমুরালি, পালপাড়া, পায়রাডাঙা-এই সব স্টেশনের কোনও চিহ্নমাত্র ছিল না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নতুন এই সব স্টেশনের অনুমোদন মিলেছে। আর রানাঘাট থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। রানাঘাটের পরের স্টেশন ছিল আড়ংঘাটা, বগুলা, কৃষ্ণগঞ্জ, মতিয়ারি, রামনগর, জয়রামপুর, চুয়াডাঙা, মুন্সিগঞ্জ, আলমডাঙা, হিলসিয়া, পোড়াদহ, জাগটি, কুষ্টিয়া।

    প্রথমে কত কামরার ট্রেন চালু হয়েছিল, কত ছিল ভাড়া?

    রেলগাড়ি চলাচল করার শুরুতে তিনটি কামরা থাকত-প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির। প্রথম শ্রেণির কামরায় শিয়ালদা থেকে দমদমের ভাড়া ছিল ৪ আনা। বেলঘরিয়া-৬আনা, সোদপুর-৯ আনা, বারাকপুর-১৪ আনা, ইছাপুর-১ টাকা ১ আনা। দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল দমদম-২ আনা, বারাকপুর-৬ আনা। তৃতীয় শ্রেণির কামরায় শিয়ালদা থেকে দমদম পর্যন্ত ১ আনা ভাড়া ছিল। আর বারাকপুর ছিল ৩ আনা ১০ পাই। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়ে ট্রেনে উঠতেন। সন্ধ্যা নামলেই গোরা সাহেবদের দাপাদাপির কারণে দেশিয় লোকজন ট্রেনে চড়তে ভয় পেতেন। এখন সবই ইতিহাস। এখন শিয়ালদার (Sealdah Station) এই লাইনে লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের ছড়াছড়ি। এখনও আদি রুট শিয়ালদা-গেদে লাইনে একাধিক লোকাল ট্রেন (Train) রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: উর্দি পরা অবস্থায় পুলিশ অফিসারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Barrackpore: উর্দি পরা অবস্থায় পুলিশ অফিসারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে রানি রাসমণি ঘাট এলাকায়। আক্রান্ত পুলিশ অফিসারের নামে ওমকার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগে কর্মরত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    জানা গিয়েছে, হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০শে এপ্রিল। পুরানো হলেও হামলার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) আর তাতেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশ অফিসারের বাড়ির (Barrackpore) কাছে দলীয় ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে। ঘটনাটি লোকসভা ভোটের সময়। তৃণমূল কাউন্সিলর রমেশ সাউ ও তাঁর দলবল এলাকায় দলীয় ব্যানার লাগাচ্ছিলেন। পুলিশ অফিসারের বাড়ির কাছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ব্যানার লাগানো নিয়ে তিনি আপত্তি জানান। এনিয়ে কাউন্সিলর রমেশ সাউ এবং তাঁর ছেলে বিমল সাউয়ের নেতৃত্বে গুন্ডা বাহিনী পুলিশ অফিসারের বাড়িতে রাত ১১ টা নাগাদ চড়াও হন। পুলিশ অফিসার ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় তাঁরা গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ অফিসার উর্দি পরে ছিলেন। তিনি এসবের আপত্তি জানান। সেই সময় পুলিশ অফিসারকে কাউন্সিলর এবং তাঁর ছেলে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর জড়িত থাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাই, গত চার মাস বিষয়টি সামনে আসেনি। পরে, হামলার ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম বেকায়দায় শাসক দল।

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর রমেশ সাউ বলেন, সামান্য ব্যানার লাগানো নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। ওই পুলিশ অফিসারের স্ত্রী আমাদের গালাগালাজ করছিলেন। আমরা তার আপত্তি করি। এরপর ওই পুলিশ অফিসার এসে আমাকে মারধর করে। ছেলের ওপর হেলমেট নিয়ে চড়াও হয়। বঁটি দিয়ে কাটতে যায়। সেই সময় আমরা তাঁকে বাধা দিয়েছি। তাতে কিছুটা লেগে থাকতে পারে। পুরানো ঘটনা। আলোচনা করে বিষয়টি মিটে গিয়েছে। সেটা নিয়ে এখন চর্চা হওয়ার কথা নয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা কৌস্তব বাগচী বলেন, এই রাজ্যে সাধারণ মানুষ, বিরোধী দলের সমর্থক তো দূরে থাক,পুলিশের নিরাপত্তাও বলে কিছু নেই। একজন পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় ফেলে তৃণমূলের (Trinamool Congress) কাউন্সিলর পেটালেন, তার কোনও বিচার হবে না। আমরা চাই, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    Barrackpore: সাট্টার কারবার চালাতেন তৃণমূল কর্মীরা! প্রতিবাদ করতেই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে চলত জুয়া-সাট্টার কারবার। আর এলাকায় এসব কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদ করেছিলেন অনিল রায় নামে যুবক। আর সেই প্রতিবাদী  যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুরের (Barrackpore) মোহনপুরে। আক্রান্ত যুবকের বাড়ি চক কাঁঠালিয়া এলাকায়। তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর (Barrackpore) এলাকায় খাস জমিতে বেশ কয়েকটি দোকানঘর রয়েছে। সেখানে অনিল রায় নামে স্থানীয় এক যুবক দোকান ঘর করার পরিকল্পনা করেন। ওই জমির ওপর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ মুন্নার, মোশারেক আলিদের নজর ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই অনিল দোকান ঘর তৈরির কাজ করছিলেন। সোমবার শেখ মুন্না, মোশারেক আলি দলবল নিয়ে অনিলের ওপর হামলা চালান। বাঁশ দিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অনিলের এক আত্মীয় বলেন, এলাকায় তৃণমূলের নামে করে মুন্নারা যা খুশি করে বেড়ায়। এই এলাকায় সাট্টার কারবার চালায় তৃণমূল কর্মীরা। অনিল তার প্রতিবাদ করেছিল। সেই রাগ ছিল। এবার দোকান করার সময় পুরানো রাগ ওরা মিটিয়ে নিল। আমরা চাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কারণ, অনিল সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। তাই, তৃণমূলের (Trinamool Congress) ওই কর্মীরা তাকে সহ্য করতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ৮ জন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কী কারণে হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নোয়াপাড়ায় তৃণমূল ছাত্রনেতার হাতে সেভেন এমএম পিস্তল! সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ছবি

    Barrackpore: নোয়াপাড়ায় তৃণমূল ছাত্রনেতার হাতে সেভেন এমএম পিস্তল! সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) নেতা শুভাশিস চক্রবর্তীর পিস্তল হাতে ছবি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা মাধ্যম যাচাই করেনি। কিন্তু কীভাবে হাতে এলো এই দেশি অস্ত্র? কোন প্রভাবশালী নেতা এই যুবকের পিছনে রয়েছেন? পুলিশ কেন গ্রেফতার করেনি? একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ফলে বারাকপুরের (Barrackpore) রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

    অস্ত্র হাতে চোখেমুখে উল্লাস (Barrackpore)!

    সামজিক মাধ্যমে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে দেখা যাচ্ছে, নোয়াপাড়া (Barrackpore) বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) কনভেনার শুভাশিস চক্রবর্তী হাতে একটি দেশি সেভেন এমএম আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এই অস্ত্র হাতে নিয়ে চোখে মুখে ব্যাপক উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে তাঁর। একই ভাবে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতার সঙ্গে তাঁর ছবিও বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল দল।

    তৃণমূল করলেই অস্ত্র নেওয়ার ছাড়!

    এই বিষয় নিয়ে জেলা (Barrackpore) বিজেপি নেতৃত্বের দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। আবার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেছেন, “তৃণমূল করলেই অস্ত্র নেওয়ার ছাড় রয়েছে। তৃণমূলকে পুলিশ সব রকম বেআইনি কাজের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। এই রাজ্যে স্কুল কলেজে পড়াশুনা হয় না। এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই বললেই চলে। স্কুলে ১০০০ কোটি টাকার মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি হয়েছে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ জামাল অট্টালিকায় থাকলেও মায়ের স্থান কুঁড়ে ঘরেই! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও

    তৃণমূলের বক্তব্য সামজিক অবক্ষয়

    অপরদিকে ভাটপাড়া (Barrackpore) শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেছেন, “যদি কোনও দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে থাকে তার দায় তৃণমূল কংগ্রেস নেবেনা। আইন আইনের পথে চলবে। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলব। সবটাই সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র মাত্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ক্লাবে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘দাদাগিরি’! বারাকপুরে ধস্তাধস্তির মাঝে মৃত ১

    Barrackpore: ক্লাবে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘দাদাগিরি’! বারাকপুরে ধস্তাধস্তির মাঝে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বৈঠক ঘিরে অশান্তি বারাকপুরে (Barrackpore)। একটি ক্লাবের সদস্যদের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এতেই জড়িয়ে প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। ঘটনায় কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বারাকপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC councilor) মৌসুমি মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ধস্তাধস্তি শুরু হতেই ক্লাব ঘরের বাইরে মৃত্যু হয় পার্থ চৌধুরী নামের ওই কমিটির সদস্যর। তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বারাকপুরের (Barrackpore) ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।

    অভিযোগ, সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বারাকপুরের (Barrackpore) কাউন্সিলর মৌসুমী মুখোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছিল, সে সময় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী মুখার্জী দল বল (TMC councilor) নিয়ে সেখানে আসেন এবং এই কমিটি মানি না বলে গন্ডগোল শুরু করেন। এরপরই সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী মুখোপাধ্যায়। এরপরই গন্ডগোলের সূত্রপাত। ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পার্থ চৌধুরীকে। ঘটনাস্থলেই পড়ে যান পার্থবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে বারাকপুর (Barrackpore) বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    ঘটনা অস্বীকার কাউন্সিলরের, তবে অন্য মত মৃতের পরিবারের

    যদিও মারপিট গন্ডগোলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তাঁর দাবি মিটিং ভেতরে চলছিল আর বাইরে পার্থ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে অন্যরা ঘিরে ধরে। মৃতের সঙ্গে পুজো কমিটির মিটিং-এর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন মৌসুমি। যদিও নিহত প্রৌঢ়ের পরিবারের দাবি, পার্থের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। কাউন্সিলরের (TMC councilor) অনুগামীরা তাঁকে মারধর করেন।

    কী বলছেন পুরপ্রধান?

    এই ঘটনার পর বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে আসেন পৌর প্রধান উত্তম দাস। তিনি বলেন, “ক্লাবে মিটিং ছিল। ভিতরে কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে খবর নিয়ে জেনেছি, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি ওই বৈঠকে ছিলেন না। কিছু ছেলে ওঁকে ধাক্কাধাকি করেছে। তখনই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।” একই সঙ্গে পুরপ্রধান জানান, কাউন্সিলর বা যিনিই এই ঘটনায় দোষী হোন না কেন, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

    Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহে রাস্তায় ফেলে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বারাকপুরে (Barrackpore) এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। জখম যুবক আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জুলাই রাতে বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার যুবক রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। বারাকপুর উড়ালপুরের কাছে বুড়িরবাজার এলাকায় তৃণমূল কর্মী সাদ্দামের নেতৃত্বের তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। সাদ্দামের সঙ্গে থাকা তার অনুগামীরাও ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান। জখম যুবকের পরিবারের লোকজন বলেন, রাতেই ছেলে বাড়ি ফিরে আসছে না দেখে খোঁজ খবর শুরু করি। কিন্তু, কোনওভাবেই আমরা তার হদিশ পাচ্ছিলাম না। পরে, এক পরিচিতের মাধ্যমে জানতে পারি, বুড়িবাজার এলাকায় সাদ্দামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। বুড়িবাজার এলাকায় এসে দেখি ও রাস্তাতেই পড়ে রয়েছে। ওর মাথা দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আমরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কেন এভাবে হামলা চালালো তা বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিশের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, এটা ঘটনাটি বারাকপুর পুরসভার মধ্যে হয়েছে। তবে, এই পুরসভা এলাকার কেউ নয়। কারণ, জখম যুবকের বাড়ি সদর বাজারে। আর সাদ্দাম তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী হলেও তার বাড়ি সদর বাজার এলাকায়। এলাকাটি উত্তর বারাকপুর পুরসভার মধ্যে পড়ে। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলাকারীদের (Trinamool Congress) অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তোলা না দিলেই অ্যাকশন! বাইক নিয়ে রেইকি, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর

    Barrackpore: তোলা না দিলেই অ্যাকশন! বাইক নিয়ে রেইকি, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের কোড ব্যবহার থেকে বারাকপুরের (Barrackpore) প্রতিষ্ঠিত বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর অনির্বাণ দাসের মোবাইলে ফোন আসে। কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংয়ের বাহিনী ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিরিয়ানির মালিককে ২০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছে সুবোধ বাহিনীর লোকজন। আর তার জেরেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ব্যবসায়ী অনির্বাণ দাসের। ঘটনার পর থেকে কার্যত নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন ওই ব্যবসায়ী।

    ব্যবসায়ীর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে দুই দুষ্কৃতী (Barrackpore)

    জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী অনির্বাণবাবুর বারাকপুরের (Barrackpore) পাশাপাশি মধ্যমগ্রামে বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। সোমবার রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। মুড়াগাছা মোড় থেকে দুটি বাইক তাঁর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে। বাইক দুটির কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। অনির্বাণের বাড়ি বারাকপুরের মোহনপুর এলাকায়। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই একজন বাইক আরোহী তাঁর মোহনপুর বাড়ির দিকে চলে যায়। আরেকজন অনির্বাণকে লক্ষ্য করতে থাকে। অনির্বাণ কোনওরকমে ভয়ে কর্তব্যরত এক পুলিশের সাহায্য নেন। বেগতিক বুঝে বাইক আরোহী এলাকা থেকে চলে যায়। এই ঘটনার কথা পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের জানান অনির্বাণ। পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খোঁজার চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন ধরেই অনির্বাণকে ফোনে হুমকি দিত। বারুইপুর আদালতে এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। অনির্বাণ সেখানে গিয়ে দেখা পাননি। পরে, বারাকপুর আদালতে একবার গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি নিরাশ হন। তবে, গাড়ির সামনে এই রেইকির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    তোলা না দিলেই অ্যাকশন, ঘুম উড়েছে ব্যবসায়ীর

    কয়েকদিন আগেই আগেই এক ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে বেলঘরিয়ার রথতলায় পরপর ৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বিহার থেকে এসেছিল হুমকি ফোন। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যবসায়ী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আতঙ্ক বারাকপুরে। ব্যবসায়ীর গাড়ি ঘিরে রেইকি করল দুষ্কৃতীরা! নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন, অনির্বাণ। তিনি বলেন, ২০ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয়েছে। না দিলে ‘অ্যাকশন’ নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। কখনও ফোন করে, কখনও মোবাইলে মেসেজ করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কখনও বিহার থেকে এসেছে ফোন। আতঙ্কে নিজেকে বাঁচাতে কখনও বাড়ি পাল্টাচ্ছি, আবার কখনও গাড়ি পাল্টাচ্ছি। চরম আতঙ্কে রয়েছি। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে বারাকপুরে তাঁদের বিরিয়ানি দোকান লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল। সেবারও সেই তোলাবাজির গল্প ছিল। সেবার বিরিয়ানি ব্যবসায়ীকে টার্গেট ছিল দুষ্কৃতীদের। এবার টার্গেট ব্যবসায়ীর ছেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে  অর্জুন সিং জয়ী হয়ে দিল্লি যাবেন। ভোটের ফলাফলের পর আওয়াজ বন্ধ হবে অভিষেকের দাবি সুকান্ত মজুমদারের। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন, তারপরেই বারাকপুর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচারে ঝড় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এমনিতেই এই লোকসভায় তৃণমূল বিজেপি, বাম সকলেই চুটিয়ে প্রচার করছে। বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর পর আবারও প্রার্থীর প্রচারে এলেন হেভিওয়েট নেতা।

    অর্জুনের সমর্থনে রোড শো (Sukanta Majumdar)

    বারাকপুরের দলীয় প্রার্থী অর্জুন সিংকে সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চেপে রোড শো করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি দলীয় প্রার্থীকে পাশে নিয়ে পলতা বাসস্ট্যান্ড থেকে রোড-শো শুরু করেন। এরপর ঘোষপাড়া রোড ধরে লালকুঠি,বারাকপুর স্টেশন হয়ে এস এন ব্যানার্জ্জী রোড ধরে চিড়িয়া মোড়ে গিয়ে রোড শো শেষ করেন। এদিন রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পলতা, বারাকপুর সর্বত্র রাস্তায় জনগনের ভিড়ের কারণে রাস্তায় যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন

    বর্নাঢ্য মিছিল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রোড শোয়ে ভিড় উপচে পড়েছে। এর থেকেই প্রমাণ গতবার অর্জুন সিং ১৪ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। এবার ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করে অর্জুন সিং দিল্লি যাবেন। রাজ্য সভাপতি দাবি, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এখন বড় বড় কথা বলছেন। ভোটের ফলাফল বের হলে তাঁর মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হবে না। কারণ, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফল, বের হলেই তা টের পাবে। তাছাড়া রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিশানায় অনেক ধেঁরে ইঁদুর আছে। তার মধ্যে একটা মোটাসোটা ইঁদুর এবার জেলে যাবে। তবে,সেটা কে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তাঁর কথায়,বাংলায় তৃণমূল সরকার আর থাকবে না। শীঘ্রই বিদায় নেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share