Tag: Bay Of Bengal

Bay Of Bengal

  • Cyclone Mocha: মোকা আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ! শনিবার রাত থেকেই ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ

    Cyclone Mocha: মোকা আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ! শনিবার রাত থেকেই ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুতগতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় ১৯ কিমি বেগে এগিয়েছে মোকা। আপাতত পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। পোর্টব্লেয়ারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৫৯০ কিমি, বাংলাদেশের কক্সবাজারের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৮০ কিমি এবং মায়ানমারের সিটওয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪৯০ কিমি দূরে অবস্থান করছে মোকা। আবহবিদরা জানিয়েছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগরের থেকে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে উত্তরপূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে মোকা। 

    শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি

    মোকার আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mocha) প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট এবং বরিশালে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আর সে কারণে কক্সবাজার, বান্দারবন, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম— এই পাঁচ জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন এবং উপকূলীয় এলাকাগুলিতে মোকার প্রভাব পড়তে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মোকা যতই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, ততই আবহাওয়ার পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই তাই কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।

    প্রস্তুত বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার (Cyclone Mocha) মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ। যাবতীয় শেল্টার হোম তৈরি রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কাজ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে ৫ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ত্রাণশিবিরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এক সপ্তাহের মতো খাবারও মজুত করে রাখা হয়েছে। দেড় হাজারেরও বেশি ত্রাণশিবির তৈরি করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: শক্তি বাড়িয়ে আসছে মোকা! চূড়ান্ত সতর্কতা বাংলাদেশে, কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    ভিজবে কলকাতা

    মোকা (Cyclone Mocha) আবহে শনিবার থেকে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গও। আবহবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হবে। যার রেশ চলবে আগামী দু’তিন দিন পর্যন্ত। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শনিবার বিকাল থেকেই ঝড়বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু হবে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায়। বৃষ্টিতে ভিজবে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাও। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি থাকছে সোমবারেও। মঙ্গল এবং বুধ থেকে তাপমাত্রা আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! নিশানায় কি বাংলা? 

    Cyclone: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! নিশানায় কি বাংলা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি! হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এরই প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে। তবে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

    বিদায় নিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এবং নিম্নচাপের বৃষ্টি জোড়া ফলায় মাটি হয়েছে বাঙালির এবারের দুর্গোৎসব। পুজোর আগে তো বটেই, পুজোর দিনগুলিতেও কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই। দুর্গাপুজো বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়ার কালীপুজোর কথা ভেবে আশায় বুক বেঁধেছিলেন আম বাঙালি। তবে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। এবং সেই বঙ্গোপসাগরে।

    মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও লাগোয়া এলাকায় যে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে, মঙ্গলবার সেটি অবস্থান করছে উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটাই পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। দক্ষিণ-পূর্ব ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সম্ভাব্য ওই নিম্নচাপ ক্রমশ আরও পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবার সকালে মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটির। পরবর্তীকালে তা আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) জন্ম হতে পারে।

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তবে সেটি সুপার সাইক্লোন হবে না। সোমবার আলিপুরে আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় থেকে সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    সম্ভাব্য ওই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে কিংবা ওই ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ কী হবে, তা এখনও জানানো হয়নি আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে। এখানকার এক আধিকারিক বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় কোন পথে এগোবে এবং তার তীব্রতা কত হবে, সেটা নিয়ে এখনও মন্তব্য করার সময় আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Weather Forecast: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Forecast: উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই কম-বেশি বৃষ্টিতেই কেটেছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর (South Bengal)। শেষ দুদিন ফের সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছে বটে। কিন্তু বর্ষা বিদায় নিচ্ছে না এখনই। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। রবিবার থেকেই ফের বদলাবে আবহাওয়া। নেপথ্যে নিম্নচাপ (Depression)। শনিবার বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। এরফলেই রবিবার থেকে দুই বঙ্গে বাড়বে বৃষ্টিপাত। 

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    এবছর এখন অবধি সেভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের মুখ দেখেনি দক্ষিণবঙ্গ। ফলে বৃষ্টিপাতের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেই নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rain) হতে পারে বলে জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Department)। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে বৃষ্টিপাত থেকে বঞ্চিত হয় দক্ষিণবঙ্গ। তবে নতুন করে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এই নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শক্তি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের 
     
    প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, উপকূলের জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের কারণে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ বদল হবে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। 

    সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। এদিন শহরে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিন শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.৫ মিলিমিটার। শনিবার দিনভর শহরের আকাশ থাকবে মেঘলাই। রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত পেতে পারে কলকাতা। 

    সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশ আংশিক মেঘলা। এদিন শহরে অল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিন মহানগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.৫ মিলিমিটার। শনিবার দিনভর শহরের আকাশ মেঘলাই থাকবে। রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত পেতে পারে শহর। 

  • Cyclone Update:  আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    Cyclone Update: আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মে মাসের শুরুতেই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় (cyclone)। তেমনই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।  শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ যা রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার।
    বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে বাংলার এই পড়শি রাজ্য। এই প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেন, ”ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে (Cyclone Update)।”
    বাংলাতেও কী আছড়ে পড়বে সাইক্লোন? কোন পথে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? এখনও এই নিয়ে চূড়ান্ত পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবারের আগে এব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
    IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন,”ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” IMD-র বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি বলেছেন, ”৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কেননা আবহাওয়ায় অনেক বদল ঘটবে।” জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তার নাম হবে ‘অশনি’। ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে মৌসম ভবনের ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনন্দকুমার দাস বলেন, ‘আমাদের ধারণা, গভীর নিম্নচাপ থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে (এই ঘূর্ণাবর্তটি)। যা সম্ভবত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না যে সেটা কীভাবে এগিয়ে যাবে বা উপকূলে কতটা প্রভাব ফেলবে।’

    এখনও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলেও ইতিমধ্যেই মালকানগিরি থেকে ময়ূরভঞ্জ পর্যন্ত ১৮টি জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share