Tag: BBC

BBC

  • Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই মোক্ষম সময়! এখন ভারত (India) একটি গ্লোবাল সরকারি প্রচার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে তার সফট পাওয়ার ঘাটতিকে বিশ্ব প্রভাবের এক মজবুত ভিত্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এটা করা হলে ভারতের কণ্ঠস্বর (Pahalgam) প্রতিধ্বনিত হত এশিয়া মহাদেশজুড়ে।

    ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pahalgam)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই কৌশলগত সামরিক অভিযান সফল হয়। শুধু তাই নয়, এটি চিহ্নিত হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। যাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে পশ্চিম আকাশে সন্ত্রাসবাদের কালো মেঘ জমা হয়, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদেরও।

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে। সমরাঙ্গনে ভারতীয় বাহিনী জয়ী হলেও, পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচারযুদ্ধ এবং পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সত্যকে বোতলবন্দি করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে একটি বিকৃত চিত্র। এই জন্যই ভারতের অবশ্যই প্রয়োজন একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এই মাধ্যমে ভারত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেবে বিশ্ববাসীর দরবারে। এটি চালু হলে শত্রুপক্ষকে টক্কর দেওয়া যাবে সমানতালে। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সৈন্য যে বিক্রম দেখিয়েছে, তা আদৌও প্রচার করেনি বিবিসির মতো প্রচারমাধ্যমগুলিও। বরং তারা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে তুলে ধরেছে অতিরঞ্জিতভাবে।

    মিথ্যা খবর প্রচার!   

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো ও জঙ্গিঘাঁটির ওপর পরিচালিত নির্দিষ্ট হামলার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ-সহ সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করলেও, অনেক সংবাদমাধ্যম কোনও কিছু বিচার-বিবেচনা না করেই এই সংঘাতকে “অচলাবস্থা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং একতরফাভাবে “উভয় পক্ষই দোষী”— এই সরলীকরণ করে ফেলেছে (Pahalgam)। আল জাজিরার কথাই ধরা যাক। এই সংবাদ মাধ্যমটি মিথ্যাভাবে এক ভারতীয় মহিলা পাইলটের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে (India)। পরে অবশ্য দুই দেশের কর্তারাই ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি মিডল ইস্ট আই এমন কিছু যাচাই না করা ভিডিও প্রচার করে যাতে দাবি করা হয় ভারত নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়েছে — যা একেবারেই ভিত্তিহীন। ঘটনা হল, পাকিস্তান নিজেই চুপ করে থেকেছে ভারতের ওই দাবির পর, যেখানে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল পাকিস্তানই ব্যাপক ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে।

    ভারতের কৌশলগত সাফল্য তুলে ধরা হয়নি

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি পাকিস্তানের “পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে” এমন দাবি যাচাই না করেই একতরফাভাবে প্রচার করেছে। সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা বলেছে, আর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট তো এসব সন্দেহজনক দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের “নিঃসন্দেহ বিজয়” ঘোষণা করেছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির। এইসব প্রতিবেদনে ভারতের কৌশলগত সাফল্য, যেমন নৌবাহিনীর করাচির ওপর চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা — এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে (Pahalgam)।

    প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব

    এই পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন অনেক সংবাদমাধ্যম ভারত ও পাকিস্তানকে সমান দায়ী হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তারা ভারতকে একই বন্ধনীভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও, যারা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়েছে একাধিকবার (India)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কথা কবুল কিংবা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা — যা একটি অনেক বেশি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে তাকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে — এসব বিষয় খুব কম প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।

    চিনের মিথ্যা প্রচার

    এদিকে, চিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, দাবি করেছে এটি ভারতের রাফালের চেয়ে উন্নত— এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার, যেটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির এই ভ্রান্ত প্রচার শুধুমাত্র জনমতকেই প্রভাবিত করেনি, শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চিনের জে-১০ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আর রাফালের শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশ (Pahalgam)। যদিও, পরবর্তীকালে, সত্য প্রকাশ পেতেই চিনা সংস্থার শেয়ার জোর ধাক্কা খায়। সেখানে রাফালের শেয়ার দর আবার দ্রুত উঠতে শুরু করে।

    ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য

    একতরফা সাংবাদিকতা না হলে পাকিস্তানের অবাস্তব দাবিগুলিকে — যেমন ভারতের প্রমাণিত আঘাতের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণবিহীন “জয়ে”র দাবি বিচার করে প্রকাশ করত। তামাম বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, কোনটা সত্য, মিথ্যাই বা কোনটা (India)।ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য, কর্তৃত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতিমূলকভাবে প্রাসঙ্গিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পহেলগাঁও হামলার মতো সঙ্কটকালে ভ্রান্ত তথ্যের মোকাবিলা করা, কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং ভারতের সভ্যতাগত ভাবধারাকে বিশ্বে তুলে ধরা। এটি প্রসার ভারতীর সম্প্রসারিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতে পারে (India)। তবে এটি একটি আইনত স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে কাজ করবে যাতে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকে (Pahalgam)।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলরা জবাবে ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাক ইউটিউব চ্যানেল, নোটিশ বিবিসি-কেও

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলরা জবাবে ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাক ইউটিউব চ্যানেল, নোটিশ বিবিসি-কেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাবে এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ ভারতের। এর আগে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে প্রায় সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার বেশকিছু পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল (Pakistan Youtube Channel) ব্যান করল ভারত (India)। উল্লেখ্য, এর আগে নিষিদ্ধের তালিকায় ছিল পাকিস্তান সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া, এবং পাক সংবাদমাধ্যমের সোশ্যাল সাইট। আর এবার নিষিদ্ধ করা হল পাকিস্তানি সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল। ভারতে বসে আর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও ব্যক্তির ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাবে না। এই চ্যানেলগুলির সম্মিলিত গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লক্ষপাশাপাশি বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে।

    কোন কোন চ্যানেল বন্ধ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিন্ধু জল চুক্তি, বন্ধ সীমান্ত, পাকিস্তানিদের আর দেওয়া হবে না ভিসা-ও। এবার আরও এক বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ডন নিউজ, ইরসাদ ভাটি, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রফতার, দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, জিও নিউজ, সামা স্পোর্টস, জিএনএন, উজায়ের ক্রিকেট, উমর চিমা এক্সক্লুসিভ, আসমা সিরাজি, মুনিব ফারুক, শুনো নিউজ, রাজি নামা নামের চ্যানেলগুলি ব্যান করা হয়েছে। ভারতীয় ইউজাররা এখন এসব ইউটিউব চ্যানেল দেখতে গেলে একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন। দেখাচ্ছে, “এই বিষয়বস্তু এই দেশে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কারণে সরকারের নির্দেশে সরানো হয়েছে। সরকারি অনুরোধ সম্পর্কে আরও জানতে গুগল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট দেখুন।” প্রসঙ্গত, আজ সরকারি তরফে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে অনেক চ্যানেলকেই চিরতরে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের ওই সমস্ত চ্যানেলে কোনওদিন ভারত থেকে ‘অ্যাকসেস’ করা যাবে না। যদিও অ্যাকাউন্ট ব্যানড হলেও সেখানে আপলোড করা অনেক পুরনো ভিডিও ইউটিউবের অ্যাপ ও ওয়েবসাইট—দু’জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে।

    বন্ধ আখতারের চ্যানেলও

    প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৩৫ লক্ষ। উল্লেখ্য, রশিদ লতিফ, বাসিত আলির মতো একাধিক ক্রিকেটারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হলেও ভারতে তাদের বাজার বেশ জনপ্রিয়। কেন্দ্রের কোপে আপাতত সমস্ত চ্যানেলই ‘ব্যানড’। এই তালিকায় রয়েছেন শোয়েব আখতারও। যদিও বাকিদের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। বিভিন্ন বিষয়ে অকপট মন্তব্যের জন্য দুই মুলুকের তামাম ক্রিকেটভক্তের মধ্যে সুখ্যাতি রয়েছে শোয়েবের।

    কেন বন্ধ চ্যানেলগুলি

    সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ভারত, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। সেই কারণেই ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল। সরকারি সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্প্রতিই কেন্দ্রের নজরে এসেছে যে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য় সম্প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর এমন কিছু কন্টেট পোস্ট করা হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা হিংসার সৃষ্টি করতে পারে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিবিসি-র উপর ক্ষুব্ধ সরকার

    অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে তাদের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার খবরের শিরোনামে লেখা ছিল “কাশ্মীরের হামলার পর পাকিস্তান ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করল।” এছাড়া সন্ত্রাসবাদী হামলাকেও ‘মিলিট্যান্ট অ্যাটাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে বিবিসি ইন্ডিয়ার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে চিঠি লেখা হয় এবং জানানো হয় যে বিদেশ মন্ত্রক বিবিসির রিপোর্টিংয়ে নজর রাখবে।

    মোদি-রাজনাথ বৈঠক

    এর আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ২২ এপ্রিলের ওই নাশকতায় প্রাণ হারান ২৬ জন। তাঁদের অধিকাংশই ভারতীয় হিন্দু পর্যটক। এই হামলার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতি পেশ করে। যেখানে বলা হয়, ‘উস্কানিমূলক ও ‘সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল কন্টেন্ট তৈরি, বিভ্রান্তিমূলক ন্যারেটিভ বানানো এবং ভারত নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করা হল।’ এরপর কোন কোন চ্যানেল পুরোপুরি নিষিদ্ধ, তার তালিকা পেশ করেছে কেন্দ্র। সামা টিভি, ডন নিউজ, ইরশাদ ভাট্টি-র মতো একগুচ্ছ চ্যানেল এই তালিকায় রয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাকিস্তানের বিরদ্ধে কোন পথে সেনা এগোবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বই।

  • BBC: বিবিসি ছাঁটাই করল বিখ্যাত ফুটবলারকে! সমালোচনায় সরব ভারত

    BBC: বিবিসি ছাঁটাই করল বিখ্যাত ফুটবলারকে! সমালোচনায় সরব ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বিবিসি বিতর্ক। প্রাক্তন ফুটবলার গ্যারি লিনেকারের বরখাস্ত করায় বিবিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, লিনেকারের ছাঁটাই বিবিসির (BBC) দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এনে দিল।

    ঘটনাটা ঠিক কী

    সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের একটি নীতির সমালোচনা ট্যুইট করেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার। ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবিত নয়া শরণার্থী আইনের বিরোধিতা করেছিলেন লিনেকার। একটি ট্যুইটে যে ভাষায় নতুন এই আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে, তার বিরোধিতা করেন লিনেকার। শরণার্থীদের সম্পর্কে ব্রিটিশ আইন প্রণেতাদের ভাষার তুলনা তিনি টেনেছেন নাৎসি জার্মানির সঙ্গে। আর তাতেই খাপ্পা বিবিসি (BBC) কর্তৃপক্ষ। লিনেকারের মতামতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করছে চ্যানেলটি। তাই লিনেকারকে সাময়িক ভাবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত ‘শো ম্যাচ অফ দ্য ডে’ সঞ্চালনা করা থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলারকে

    লিনেকারকে এভাবে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিটেনেই বিতর্ক চরমে উঠেছে। বহু প্রাক্তন ফুটবলার বিবিসির (BBC) এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে। এমনকী বিক্ষোভের আঁচ মিলেছে বিবিসির (BBC) অন্দরেই। বিবিসির একাধিক সঞ্চালক লিনেকারের পাশে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান করতে আপত্তি জানিয়েছেন। তালিকায় রয়েছে ইয়ান রাইট, অ্যালান শিয়েরারদের নামও।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ট্যুইট করে বলে দিচ্ছেন, বিবিসি (BBC) নিজেদের স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম বলে বড়াই করে। অথচ, সামান্য একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য এ হেন বিখ্যাত ফুটবলারকে বরখাস্ত করে দিল। এটা দ্বিচারিত ছাড়া কিছুই নয়। অনুরাগ বলছেন, ভুয়ো প্রচার আর নীতিগত সাংবাদিকতা পরস্পর বিরোধী। যারা ভুয়ো তথ্য সাজিয়ে অপপ্রচার করে তাদের কাছে অবশ্য কোনও নীতিগত অবস্থান বা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন আশা করাই যায় না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BBC: দিল্লি, মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

    BBC: দিল্লি, মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন বা বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বই-এর  অফিসে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। সূত্র মারফত জানা গেছে, বিবিসি অফিসের কর্মীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে এখনও অবধি কাউকে আটক করা হয়নি। বিবিসির কর্মচারীদের অফিস ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গেছে, বিবিসি অফিসে কর্মচারীদের ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা করার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর।

    কী বলছে আয়কর দফতর

    আয়কর দফতর অবশ্য বলছে, এটা হানা নয়। বিবিসি দফতরের আকাউন্ট বইগুলি পরীক্ষা করতেই আমাদের অফিসাররা সারপ্রাইজ ভিসিট করে ওই অফিসে। আয়কর বিভাগ বলছে, সবার ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সকালের শিফটের সকল কর্মীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর তাঁদের বাড়ি চলে যেতে নির্দেশ দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অন্যদিকে বিবিসির বিকালের শিফটের কর্মচারীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী আরও জানা গেছে, দিল্লিতে বিবিসি অফিসে আয়কর দফতরের যে দলটি হানা দেয় তাতে ছিলেন ১৫ জন সদস্য।

    গুজরাট হিংসার ওপর তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রকে অতিরঞ্জিত বললেন ব্রিটিশ সাংসদ

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে, দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এ। অভিযোগ এখানে অনেক মিথ্যা এবং মনগড়া গল্প দেওয়া হয়েছে। বিবিসির এই তথ্যচিত্রকে এবার অতিরঞ্জিত বললেন ব্রিটিশ সাংসদ,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ বব ব্ল্যাকম্যান। তিনি বলেন, মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র ‘সম্পূর্ণ ভাবে অতিরঞ্জিত’। বিবিসি-র মতামত নিজস্ব। তা কোনও ভাবেই ব্রিটিশ সরকারের মতামতকে উপস্থাপন করে না। তথ্যচিত্রটি অনৈতিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ভারত ব্রিটেনের বন্ধু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • BBC: বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা ঘোষণা রিচার্ড শার্পের

    BBC: বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা ঘোষণা রিচার্ড শার্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ৮০ হাজার পাউন্ডের একটি ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দিতে তিনি সাহায্য করেছিলেন। এজন্য তিনি অনিয়ম করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে শুক্রবার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন রিচার্ড শার্প।

    বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যানের দাবি…

    পদত্যাগপত্রে অবশ্য ‘স্বীকারোক্তি’ দেননি তিনি। তাতে তিনি দাবি করেছেন, এটি ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিসের সঙ্গে কোম্পানির চেয়ারম্যানের এই গোপন বোঝাপড়া প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিবিসির ব্রিটেন শাখার কর্মীদের একটা বড় অংশ। তার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রিচার্ড শার্প। তবে এখনই পদ থেকে সরে যাচ্ছেন না তিনি। নয়া চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন শার্প। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বিবিসির চেয়ারম্যান জানান, বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

    তাঁর (BBC) দাবি, সচেতনভাবে কোনও অনিয়ম তিনি করেননি। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। রিচার্ড শার্প মনে করেন, তাঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবিসির এই পদে থাকলে তা বিভ্রান্তিকর হতে পারে। প্রসঙ্গত, বিবিসি যখন কোনও চেয়ারম্যান নিয়োগ করে, তখন তাঁর মনোনয়ন আসে সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু একটি বোর্ডের কাছে ওই ব্যক্তিকে সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাটি স্পষ্ট করে জানাতে হয়। কিন্তু রিচার্ড শার্প যখন চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি ঋণের বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান পদে বসেন শার্প। মেয়াদ ছিল চার বছর। তার আগেই পদত্যাগ করতে হল তাঁকে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সরকারকে তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার জন্য সময় দিয়েছেন শার্প। কিছুদিন আগেই একবার ব্যাপক চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছিল বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল বিবিসি। সেখানে গুজরাট হিংসা নিয়ে মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছিল। যার জেরে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে অশান্তিও হয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BBC: জি-২০ দেশগুলির সম্মেলনে ব্রিটেন তুলল বিবিসি প্রসঙ্গ, কী জবাব দিল ভারত?

    BBC: জি-২০ দেশগুলির সম্মেলনে ব্রিটেন তুলল বিবিসি প্রসঙ্গ, কী জবাব দিল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-২০ দেশগুলির সম্মেলনে ভারতে এসে বিবিসি প্রসঙ্গ তুললেন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব জেমস ক্লিভারলি। দিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ দেশে বিবিসি’র (BBC) দুটি অফিসে আয়কর হানার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।

    গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির (BBC) তৈরি তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছে। একজন ব্রিটিশ সাংসদ ইতিমধ্যে বিবিসির এই তথ্যচিত্রকে অতিরঞ্জিতও বলেছেন। এই আবহেই ব্রিটিশ সংবাদ প্রতিষ্ঠানের দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর আধিকারিকেরা অভিযান চালান। কর্মীদের ফোন সিজ করেন।

    কী জবাব দিল ভারত

    সরকারি সূত্রের খবর, সৌজন্য বজায় রেখেই অতিথি বিদেশ সচিবকে কড়া জবাব দিয়েছেন ভারতের বিদেশ  এস জয়শঙ্কর। ক্লিভারলিকে তিনি বলেন, ‘ভারতে কর্মরত সমস্ত সংস্থাকেই এদেশের আইন সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে, এদেশে আইনের শাসন রয়েছে। এই বিষয়ে কারোর কোনও ছাড় নেই। সংস্থার নাম বিবিসি (BBC) হলেও নয়।’

    আয়কর দফতর তখন কী বলেছিল

    প্রসঙ্গত, আয়কর দফতর আগেই জানিয়েছিল, বিবিসি-র (BBC) দফতরে আয়কর হানা রুটিন সমীক্ষার অংশ। সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেই আয়কর দফতর এমন সমীক্ষা চালায়। ব্রিটেনে বিবিসি অলাভজনক সংস্থা হলেও ভারতে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে নথিভুক্ত। ভারতের আয়কর আইন মেনেই তাদের প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • CBDT: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    CBDT: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি (BBC)! অন্তত এমনই দাবি আয়কর দফতরের (CBDT)। গত তিনদিন ধরে ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থার দিল্লি (Delhi) ও মুম্বইয়ের অফিসে সমীক্ষা চালায় আয়কর দফতর। তার পরেই রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে আয়কর দফতর জানিয়েছে, প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার নথি, ডিজিটাল ফাইল ও কর্মীদের বিবৃতি নেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সেগুলিতে দেখা গিয়েছে, সংস্থাটি কর ফাঁকি দিয়েছে এবং এই বিদেশি সংস্থাটি ভারতে তাদের আয় প্রকাশ করেনি। ভারতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের মাত্রা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

    বিবিসি…

    বিবিসির নাম না করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গ্রুপটি ইংরেজি, হিন্দি সহ নানা ভারতীয় ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজও করে। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় কনটেন্ট করলেও যে আয় বা লাভ দেখানো হয়, তা যে ধরনের কাজ করা হয়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমীক্ষার (CBDT) সময় দেখা গিয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে কর দেয়নি বিদেশি সংস্থা। ভারতে তাদের আয় যথাযথ প্রকাশ করেনি। একাধিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে। কর্মীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেটমেন্টও পাওয়া গিয়েছে। পরে তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। একাধিক চুক্তির ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে আয়কর দফতরের জারি করা বিবৃতিতে। আয়কর দফতর জানিয়েছে, এই সমীক্ষার মাধ্যমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে। সেই নথির ভিত্তিতেই এই বিদেশি সংবাদ সংস্থার আয়কর সংক্রান্ত কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    আয়কর দফতরের (CBDT) অভিযোগ, বিবিসির কর্মীরা তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা করার চেষ্টা করেছে। সংস্থার এই অবস্থান সত্ত্বেও তারা তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে এবং সংবাদ মাধ্যমটির নিয়মিত কার্যকলাপে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই তদন্ত চালানো হয়েছে বলেও দাবি আয়কর দফতরের।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে একযোগে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সমীক্ষা চলে টানা ৬০ ঘণ্টা।    

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • BBC: মোদির ওপর বিবিসি-র বানানো তথ্যচিত্র ‘প্রচার সর্বস্ব ভিডিও’, তোপ ব্রিটিশ সাংসদের

    BBC: মোদির ওপর বিবিসি-র বানানো তথ্যচিত্র ‘প্রচার সর্বস্ব ভিডিও’, তোপ ব্রিটিশ সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঁতুড় ঘর ব্রিটেনেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিবিসি (BBC)। জঙ্গি বনে যাওয়া এক মহিলা পরে ফিরেছেন সমাজের মূলস্রোতে। ব্রিটেনের ওই মহিলা ফের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর জীবনের নানা ওঠাপড়া নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়ে ব্রিটেনবাসীর সমালোচনার চাঁদমারি হয়েছিল এই সংবাদ সংস্থা। এবার ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ওপর বানানো তথ্যচিত্রকে প্রচার সর্বস্ব ভিডিও বলে দাগিয়ে দিলেন ব্রিটিশ সাংসদ জন বব ব্ল্যাকম্যান। নিম্নমানের সাংবাদিকতার অপমানজনক খণ্ডচিত্র বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।

    ব্রিটিশ সাংসদ বলেন…

    ব্রিটিশ সাংসদ বলেন, এই তথ্যচিত্র কখনওই প্রদর্শিত হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি উপেক্ষা করা হয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মোদির বিরুদ্ধে গুজরাট হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত। এইসব ঘটনাই উপেক্ষা করা হয়েছে। বিবিসির ভারতের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। এদিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    বর্তমানে ব্রিটেনের ক্ষমতায় রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। সেই দলেরই সাংসদ ব্ল্যাকম্যান। তিনি জয়ী হয়েছিলেন হ্যারো ইস্ট কেন্দ্র থেকে। ব্রিটিশ সাংসদ বলেন, ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা থামাতে যথা সাধ্য চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সাক্ষাৎকারে কার্যত বিবিসির মুণ্ডুপাত করেছেন ব্রিটিশ সাংসদ। মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নাম রটানোয় বিবিসিকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি। ব্ল্যাকম্যান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মনে হচ্ছে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে ফাটল ধরানোর উদ্দেশ্যে বিবিসি (BBC) এটা করেছিল।

    তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটা একটা বিরাট লজ্জাজনক ঘটনা। ব্রিটিশ সাংসদ বলেন, বর্তমানে ভারত ও ব্রিটেন ব্যাণিজ্যিক দিক নিয়ে আলোচনা করছে। সেই সময় দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর এই চেষ্টা দুঃখজনক। ওই সাক্ষাৎকারে মোদির ভূয়সী প্রশংসাও করেন ব্ল্যাকম্যান। তিনি বলেন, মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার দেশের অর্থনীতির ভোল বদলে দিয়েছে। বিশ্বের লিডিং অর্থনীতির দেশ হওয়ার দৌড়েও রয়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডকে সরিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের শিরোপা পেয়েছে মোদির ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • BBC: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    BBC: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা তিনদিন! প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)-এর দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিসে ‘সমীক্ষা’ শেষ করে বেরোলেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে সার্ভে শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অবশেষে বিবিসির অফিস থেকে বের হলেন আয়কর বিভাগের কর্তারা। এই অভিযানকে তল্লাশি বলতে নারাজ আয়কর বিভাগ, তাদের দাবি, এটা রুটিন আর্থিক সমীক্ষা। অফিসের যাবতীয় ডিজিটাল নথি, ফাইল পরীক্ষা করা হয়েছে এই বিগত তিনদিনে।  বিবিসির অফিসে ১০ জন শীর্ষকর্তাও এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার এই ‘সমীক্ষা’র ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাবে আয়কর বিভাগ।

    বিবিসি-র ট্যুইট

    আয়কর বিভাগের ‘সমীক্ষা’ শেষের বিবিসি-র তরফে একটি ট্যুইট করা হয়। ট্যুইটে বিবিসি জানিয়েছে, ‘‘আয়কর বিভাগের কর্তারা দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাব। আশা করছি দ্রুত এর নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’’

    ট্যুইট বার্তায় আরও লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের কর্মী, যাঁরা এত ক্ষণ অফিসে রয়েছেন বা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের খেয়াল রাখা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। আমরা ভারত এবং ভারতের বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের খবর পরিবেশন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ সেখানে আরও লেখা রয়েছে, ‘‘বিবিসি একটি বিশ্বস্ত, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি, যাঁরা ভয় এবং পক্ষপাত ছাড়াই খবর পরিবেশন করেন।’’

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    আয়কর দফতর সূত্রে খবর, মূলত করফাঁকি ও ট্রান্সফার প্রাইসিং সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আয়কর আধিকারিকেরা সংস্থার কম্পিউটার ও ল্যাপটপে ‘শেল কোম্পানি’, ‘ফান্ড ট্রান্সফার’, ‘ফরেন ট্রান্সফার’-এর মতো শব্দগুলি খুঁজেছেন। পাশাপাশি, বিবিসির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈদ্যুতিন এবং কাগুজে নথির প্রতিলিপি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিবিসির ব্যবসায় বিদেশি মুদ্রার অনিয়মিত ট্রান্সফার ও লাভের হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে এই সমীক্ষা করা হয়। তবে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: ‘দেশকে দুর্বল করতে সুপ্রিম কোর্টকে হাতিয়ার করছে ভারত-বিরোধী শক্তি’! বলছে সঙ্ঘ-পন্থী পত্রিকা

    Supreme Court: ‘দেশকে দুর্বল করতে সুপ্রিম কোর্টকে হাতিয়ার করছে ভারত-বিরোধী শক্তি’! বলছে সঙ্ঘ-পন্থী পত্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) ভারত বিরোধী শক্তি (Anti India Forces) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে আরএসএস (RSS)-পন্থী সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘পাঞ্চজন্য’য়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির করা দু-পর্বের একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তার জেরে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। তার পরেও বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন লিঙ্কের মাধ্যমে ওই ছবির স্ক্রিনিং করায়। সেই সব লিঙ্ক মুছে ফেলতে বারংবার আবেদন করা হয়। এ নিয়ে কেন্দ্রকেও নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়েই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে পাঞ্চজন্যয়।

    বিবিসির তথ্যচিত্র…

    বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে কেন্দ্রকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের উল্লেখ করে ওই পত্রিকায় লেখা হয়েছে, দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে বলেই সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত বিরোধী শক্তি। তাদের পথ পরিষ্কার করতেই এসব করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র অসত্য ও কাল্পনিক এবং তা ভারতকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাঞ্চজন্যর। হিন্দি ভাষার ওই পত্রিকাটিতে এও বলা হয়েছে, ভারতীয়দের করদাতাদের টাকায় চলে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে ভারতীয় আইন অনুযায়ী। কিন্তু ভারত বিরোধীদের পথ পরিষ্কার করার চেষ্টায় এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়

    মানবাধিকারের নামে সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা প্রদান ও পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে ভারতের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাঞ্চজন্য। পত্রিকাটিতে এও লেখা হয়েছে, ভারতের গণতন্ত্র, উদারতাবাদ ও সভ্যতার মানদণ্ড ব্যবহার করছে…। এমন হতে পারে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করার অধিকার আসবে। গত সপ্তাহেই দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বিবিসির ওই তথ্যচিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, এই আবেদনের কোনও মেরিট নেই।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share