Tag: BCCI

BCCI

  • Champions Trophy: “ভারতীয় দলের পাকিস্তানে যাওয়া উচিত নয়”, বলছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারই!

    Champions Trophy: “ভারতীয় দলের পাকিস্তানে যাওয়া উচিত নয়”, বলছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে পাকিস্তানে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy)। ভারত এই ট্রফিতে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এমতাবস্থায় পাক ক্রিকেট বোর্ডকে হাইব্রিড মডেলে খেলার প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তানেরই এক প্রাক্তন ক্রিকেটার (ExPakistan Star)। ২০১৩ সাল থেকে বন্ধ হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলা। তবে ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট দল। তবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

    হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব (Champions Trophy)

    ভারত যদি ওই ট্রফিতে যোগ দেয়, তবে তাদের খেলতে হবে লাহোরে। জায়গাটি সীমান্তের কাছাকাছি। জানা গিয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিসিসিআই টিম ইন্ডিয়াকে পাকিস্তানে পাঠাতে রাজি নয়। তার বদলে গত বছর এশিয়া কাপে যে হাইব্রিড মডেল ব্যবহৃত হয়েছিল, তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই মডেল অনুযায়ী, কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজন করা হবে। ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইয়ের মতো নিরপেক্ষ কোনও ভেন্যুতে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন সে দেশের স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।

    পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর পরামর্শ মেনে নিলে পাকিস্তান সফরে না গিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে পারবে টিম ইন্ডিয়া। পাক ক্রিকেট বোর্ডকে তিনি এই অনুরোধও করেছেন, যে কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে সম্ভাব্য প্রভাব এবং আইসিসির সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কানেরিয়া (Champions Trophy) বলেন, “পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি বলতে পারি, ভারতীয় দলের পাকিস্তানে যাওয়া উচিত নয়। পাকিস্তানেরও উচিত বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা। তারপর আইসিসি সিদ্ধান্ত নেবে। সম্ভবত, এটি একটি হাইব্রিড মডেল হবে। খেলা (Champions Trophy) হবে দুবাইতে।” তিনি বলেন, “খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দ্বিতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সম্মান। এছাড়া আরও অনেক কিছু রয়েছে। আমি মনে করি, বিসিসিআই একটি দুর্দান্ত কাজ করছে। সব দেশ মিলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেই মনে হয়। আমার মনে হয়, এটা একটা হাইব্রিড মডেল হবে।”

    আরও পড়ুন: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে টিম ইন্ডিয়ায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কেউই পাকিস্তানে খেলেননি। তবে ওয়ানাডে দলে থাকা বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাদেজা পাকিস্তানের (ExPakistan Star) বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ২০১২-১৩ সালে (Champions Trophy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষস্থানে জয় শাহ, কীভাবে উপকৃত হবে ভারতের বাইশ গজ?

    Jay Shah: বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষস্থানে জয় শাহ, কীভাবে উপকৃত হবে ভারতের বাইশ গজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসির মসনদে পা রেখেছেন জয় শাহ (Jay Shah)। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান। বোর্ড সচিব হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় ভূমিকা রেখেছেন জয়। এ বার আইসিসির (ICC) দায়িত্বে এসে ক্রিকেটের আরও উন্নতি করার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। ক্রিকেট প্রশাসনের শীর্ষস্থানে এর আগেও চার ভারতীয় নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন। এবার পালা জয়ের। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের মসনদ লাভ করায় ভারত আরও সুবিধা পাবে বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। তবে এখন কিন্তু শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয় বিশ্ব ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভাবতে হবে তাঁকে এমনই দাবি আইসিসির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির।

    ক্রিকেটে জয়-যাত্রা

    ১৯৮৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গুজরাটে জয়ের জন্ম। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সোনাল শাহের পুত্র তিনি। জয়ের ছোটবেলা কেটেছে গুজরাটেই। সেখানেই পড়াশোনা করেছেন। আমেদাবাদের নিরমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটেক করেন জয়। ২০০৯ সালে জিসিএ-র এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০১৩ সালে সহ-সচিব। বিসিসিআই-এর অন্দরে প্রথম পা রাখেন ২০১৫ সালে। হন ফিনান্স কমিটির সদস্য। এরপর ২০১৯-এ পান সচিবের দায়িত্ব। বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় এই আসন সামলাচ্ছেন তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন জয়। এবার সেসব পিছনে ফেলে আইসিসি’র মসনদে বসছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ৩০ নভেম্বরের পর আসন আর ধরে রাখতে চান না তিনি। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ২৭ অগাস্ট অবধি। জয় শাহের (Jay Shah) বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী না দাঁড়ানোয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরবর্তী সচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

    আইসিসির দায়িত্ব নেওয়ার পরই জয় শাহর প্রথম চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নির্বিঘ্নে আয়োজন করা। পাকিস্তান আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপের পর ভারতীয় ক্রিকেট টিম পাক সফরে যায়নি। জয় শাহ আইসিসি-র দায়িত্বে থাকায় ভারত কি পাকিস্তানে খেলতে যাবে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়া বিশ্বে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা কেন্দ্র সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। এখন জয় শাহ মধ্যস্থতা করে ভারতেকে পাকভূমে খেলাতে নিয়ে যেতে পারেন। আবার ভারত না চাইলে নিরপেক্ষ কোনও জায়গাতেও হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

    ভারতে মহিলা ক্রিকেটের উন্নতি

    জয় শাহের নেতৃত্বে বিসিসিআই মহিলাদের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) শুরু করেছিল, যা অত্যন্ত সফল। এই লিগ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চুক্তির পরিমাণ বাড়ায়, যা মেয়েদের ক্রিকেটে আসতে উৎসাহ দিয়েছে। শাহ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য অভিন্ন ম্যাচ ফি প্রয়োগ করে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। এবার বিশ্ব ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়ে তিনি যে মহিলা ক্রিকেটের আরও উন্নতির চেষ্টা করবেন তা বলাই বাহুল্য।

    ঘরোয়া ক্রিকেটে গুরুত্ব

    জয় শাহ খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করেন। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) কে নতুনভাবে সাজিয়েছেন জয়। বর্তমানে অ্যাকাডেমিটি শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। আমদাবাদে প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। জয় আইসিসি-র দায়িত্ব নিলেও তাঁর নজর যে সবসময় দেশের ক্রিকেটকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার দিকে থাকবে তা মনে করছে ক্রীড়ামহল।

    টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতি

    আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পরে দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন শাহ। টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “হতে পারে এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা। কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না যে ক্রিকেটের ভিত হল টেস্ট। তাই সকলে যাতে ক্রিকেটের বড় ফরম্যাট খেলতে চায় সে দিকে নজর দিতে হবে। টেস্টকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এখন টি-টোয়েন্টির মতো টেস্টেও দর্শকেরা মাঠ ভরাচ্ছেন। এটা ভাল ছবি। দিন-রাতের টেস্ট শুরু হয়েছে। সেটাও আকর্ষণীয়।” চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই জয়ের হাতে থাকবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দায়িত্ব। গত দুবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেনি ভারত। এবার জয়ের অপেক্ষায় রোহিতরা।

    কবে দায়িত্বগ্রহণ

    আইসিসির কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৫ বছরের জয় শাহ। এখন আইসিসির সদস্য সংখ্যা ১৬। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বে জয়কে সমর্থন করেছিলেন ১৫ জন সদস্য। শুধু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমর্থন পাননি বিসিসিআই সচিব। জয় শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডকে পাশে পেয়েছিলেন। পরে অন্য সদস্য দেশগুলির সমর্থন পেতেও সমস্যা হয়নি তাঁর। সব দেখেশুনে পিসিবি জয়ের বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি। আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন জয়। বোর্ড সচিব হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় ভূমিকা রেখেছেন জয়। ২০২২ সালে তাঁর আমলেই আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব রেকর্ড ৪৮,৩৯০ কোটি টাকায় বিক্রি হয়। এই চুক্তির পরেই আইপিএল বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান ক্রীড়া লিগে পরিণত হয়। এবার বিশ্ব ক্রিকেটে সফল প্রশাসক হিসেবে একজন ভারতীয়ের ‘জয়’যাত্রার অপেক্ষায় ক্রিকেট অনুরাগীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: আইসিসিতে ইতিহাস, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত জয় শাহ

    Jay Shah: আইসিসিতে ইতিহাস, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত জয় শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান (ICC Chairman) নির্বাচিত হলেন জয় শাহ (Jay Shah)। গ্রেগ বার্কলের ছেড়ে যাওয়ার পর, ১ ডিসেম্বর থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন জয়। সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান হতে চলেছেন তিনি। আমেদাবাদ ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু, তারপর গুজরাট, বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব সামলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উন্নতির দায়িত্ব ৩৫ বছরের জয়  শাহের কাঁধে। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়ন না জমা দেওয়ায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসি চেয়ারম্যান হলেন জয়।

    ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোই লক্ষ্য

    আইসিসির চেয়ারম্যান (ICC Chairman) নির্বাচিত হয়েই ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তোলার বিষয়ে কাজ করার কথা বলেন অমিত শাহ পুত্র (Jay Shah)। জয় বলেন, ‘‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল ক্রিকেটকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া, এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানো। আমরা যেমন অতীত থেকে শিক্ষা নেব, তেমনই বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন নতুন পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি আমাদের সেই লক্ষ্যের দিকে বড় পদক্ষেপ। আমি নিশ্চিত এর ফলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।’’

    টেস্ট ক্রিকেটের প্রচার

    জয় শাহ (Jay Shah) পরিষ্কার করে দিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বোর্ডের এক বিবৃতিতে জয় শাহ বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি স্বাভাবিকভাবে এক উত্তেজক ফর্ম্যাট। একইসঙ্গে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, টেস্ট ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সকলের কাছে এটার আলাদা প্রাধান্য রয়েছে।’’ জয় বলেন, ‘‘আমার মেয়াদ থাকাকালীন আমি আলাদা করে ট্যালেন্ট সার্চ (প্রতিভার অন্বেষণ) করতে চাই। আশা করি আমি এই প্রোগ্রামে সকলের সমর্থন পাব। আইসিসির চেয়ারম্যানের (ICC Chairman) দায়িত্ব আমাকে দেওয়ার জন্য আইসিসি বোর্ডের সদস্যদের আমি ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা যে ভরসা দেখিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি সকলের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব।’’

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে ৫৩ কোটি অ্যাকাউন্ট! জনধন যোজনার দশম বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন মোদির

    জয় শাহের যাত্রা

    ক্রিকেট পরিচালনায় জয় শাহের (Jay Shah) যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। কেন্দ্রীয় ক্রিকেট বোর্ড আমেদাবাদ (সিবিসিএ) এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (GCA) যোগ দেন এবং ২০১৩ সালে এর যুগ্ম সম্পাদক হন। তারপর বিসিসিআই-এর দায়িত্ব নেন জয়। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় তাঁর দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম সবাইকে মুগ্ধ করে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক এবং তাঁর পরিচালনার দক্ষতা তাঁকে এই অবস্থানে নিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shikhar Dhawan: আবেগঘন বার্তা দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর শিখর ধাওয়ানের

    Shikhar Dhawan: আবেগঘন বার্তা দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর শিখর ধাওয়ানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের নিলেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। শনিবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করে ক্রিকেটকে বিদায় জানান ধাওয়ান। এদিন ধাওয়ান লিখেছেন, ‘‘আমার ক্রিকেট-যাত্রা শেষ হল। সঙ্গে থেকে গেল অসংখ্য স্মৃতি এবং কৃতজ্ঞতা। যে ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।’’

    ভিডিও বার্তা শিখরের

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একদিনের ফর্ম্যাটে ভারতের হয়ে শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) তার শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। তারপর থেকে তিনি ক্রমাগত দলের বাইরে ছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেই এক দিনের সিরিজের পরেই ভারতীয় দলে শুভমন গিল তাঁর জায়গা নেন। ভিডিও বার্তায় ধাওয়ান বলেন, “আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, দেশের হয়ে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। অনেককে ধন্যবাদ। প্রথমত আমার পরিবার, আমার ছোটবেলার কোচ তারক সিং এবং মদন শর্মা। এঁদের প্রশিক্ষণেই আমি ক্রিকেট শিখেছি। তার পর ধন্যবাদ দেব আমার গোটা দলকে, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, আর একটা পরিবার পেয়েছি। সবার ভালবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। গল্পের বই পড়তে পড়তে যে রকম পাতা ওল্টাতে হয়, আমিও সেটাই করছি। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।”  

    সমর্থকদের ধন্যবাদ

    ভারতের হয়ে ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি ওডিআই এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শিখর (Shikhar Dhawan)। টেস্টে সাতটি শতরান আছে তাঁর। করেছেন ২৩১৫ রান। এক দিনের ক্রিকেটে ৬৭৯৩ রান করা ধাওয়ান করেছেন ১৭টি শতরান। রোহিত শর্মার সঙ্গে তাঁর জুটি ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি প্রতিযোগিতায় রোহিত এবং ধাওয়ানের সাফল্য ছিল নজরকাড়া। দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান। বেশ কিছু এক দিনের ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট মাঠের গব্বর নামে পরিচিত শিখর বলেন, “দেশের হয়ে খেলতে পেরে আমি ধন্য। বিসিসিআই, ডিডিসিএ আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে পেয়েছি সমর্থকদের ভালবাসা। নিজেকে বলতে চাই, দেশের হয়ে খেলতে পারবে না বলে দুঃখ পাওয়ার দরকার নেই, বরং এটা ভেবে আনন্দ পাওয়া উচিত যে আমি দেশের হয়ে খেলতে পেরেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বোর্ডের সচিবের পদ ছেড়ে এবার বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ (ICC) পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ (Jay Shah)। মঙ্গলবার রাতেই নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে জানিয়ে দিয়েছেন, আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে আর লড়বেন না। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে জয় শাহকে নিয়ে। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে জয় শাহ বসলে, তিনিই হবেন সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান।

    দৌড়ে নেই বার্কলে

    আগামী ৩০ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বার্কলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২৭ অগাস্টের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। যদি একের বেশি মনোনয়ন জমা পড়ে, তা হলে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে, ১৬টি ভোটের মধ্যে ৯টি ভোট পেলেই চলবে জয় শাহের (Jay Shah)। আইসিসি (ICC) চেয়ারম্যান পদে কোনও ব্যক্তি দু’বছর করে সর্বোচ্চ তিন বার ক্ষমতায় থাকতে পারেন। ২০২০ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন বার্কলে। ২০২২ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। হিসেব মতো আরও দু’বছর পদে থাকতে অসুবিধা ছিল না। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই বার্কলে আর দাঁড়াচ্ছেন না। 

    কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান

    আইসিসি-র (ICC)  ইতিহাসে কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ রয়েছে জয় শাহের (Jay Shah) কাছে। অতীতে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া  (১৯৯৭-২০০০), শরদ পাওয়ার (২০১০-২০১২), এন শ্রীনিবাসন (২০১৪-২০১৫) এবং শশাঙ্ক মনোহর (২০১৫-২০২০) আইসিসি-র চেয়ারম্যান হয়েছেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন জয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘বেফাঁস বলে এখন নাটক করছেন’’! সৌরভের আরজি কর প্রতিবাদকে ‘ট্রোল’ নেটপাড়ার

    জয় শাহ-র প্রভাব

    এখন আইসিসি-র (ICC) অর্থ এবং বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান জয় শাহ (Jay Shah)। তাঁর পক্ষে সমর্থন রয়েছে একাধিক দেশের। তাঁকে সমর্থন জানাবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে জয় শাহের আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বিপক্ষ হয়তো কেউ না-ও দাঁড়াতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আইসিসি-তে চলে যাবেন জয় শাহ। আইসিসি-তে গেলে বোর্ডের পদ ছাড়তে হবে তাঁকে।

    বিসিসিআই থেকে পদত্যাগ

    লোধা কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের পর বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে চলে যেতে হবে জয় শাহকে। তাই বোর্ডের পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি আইসিসি-র চেয়ারম্যান হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জয় যদি আইসিসির চেয়ারম্য়ান হয়ে যান, তা হলে আবার বোর্ডে ফিরতে অসুবিধা হবে না। একই সঙ্গে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে থাকা মানে ভারত নানা দিকে সুবিধাও পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anshuman Gaekwad:  “ভারতের তিন সাহসী ক্রিকেটারের একজন”, গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকাহত গাভাসকর

    Anshuman Gaekwad: “ভারতের তিন সাহসী ক্রিকেটারের একজন”, গায়কোয়াড়ের মৃত্যুতে শোকাহত গাভাসকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিলেন অংশুমান গায়কোয়াড় (Anshuman Gaekwad)। অবশেষে সেই লড়াই থেমে গেল। বুধবার প্রয়াত হন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লন্ডনে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ক্রিকেট মহলে। জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকজ্ঞাপন করেছেন।

    শোকাহত ক্রিকেটমহল

    তাঁর চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কাপিল দেব, সন্দীপ পাতিলরা। তাঁদের অনুরোধে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকী, প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য অংশুমান গায়কোয়াড়কে (Anshuman Gaekwad) আরও অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। লন্ডনে চিকিৎসার পর অনেকটাই ভালো ছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার। গত মাসেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ভদোদরায় নিজের শহরেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু বুধবার রাতে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল।  সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অনিল কুম্বলের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও শোকস্তব্ধ। শেক প্রকাশ করেছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

    ক্রিকেটার ও কোচ হিসেবে সাফল্য

    ২২ বছরের ক্রিকেট জীবনে বহু সাফল্য যোগ হয়েছে অংশুমানের (Anshuman Gaekwad) মুকুটে। খেলেছেন ৪০টি টেস্ট ম্যাচ। দুটি শতরান-সহ তাঁর সংগ্রহ মোট ১৯৮৫ রান। ১৯৭৪ সালের কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। প্রতিপক্ষ বোলারদের বিরুদ্ধে তাঁর চোয়াল চাপা লড়াই সর্বজনবিদিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় তিনি ক্রিজে কাটিয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন অংশুমান গায়কেয়াড়। একদিনের ফরম্যাটেও দেশের হয়ে ১৫টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব সামলে ছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে ১৯৯৯ সালে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে নজির গড়েছিলেন প্রাক্তন স্পিনার অনিল কুম্বলে।

    আরও পড়ুন: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    ভারতীয় ক্রিকেটে সাহসী চরিত্র

    অংশুমান গায়কোয়াড়ের মৃত্যুর খবর শুনে মন খারাপ সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar)। সানির কথায়, “ভারতীয় ক্রিকেটের তিন সাহসী ক্রিকেটার একনাথ সোলকার, মহিন্দর অমরনাথ এবং অংশুমান গায়কোয়াড়ের (Anshuman Gaekwad) সঙ্গে খেলতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমরা নরি কনট্র্যাক্টরের সাহসের কথা শুনেছি। কী ভাবে তিনি ভাঙা পাঁজর নিয়ে লর্ডসে ৮১ রান করেছিলেন। উদীয়মান ক্রিকেটারদের সেই ঘটনা অনুপ্রেরণা দেয়। কীভাবে দেশের হয়ে সর্বস্ব দিয়ে লড়তে হয়, সেটাই এক্কি (একনাথ), জিমি (মহিন্দর) এবং চার্লি (অংশুমান) দেশের হয়ে খেলার সময় করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “মন খারাপ করে দেওয়ার মতো খবর। চার্লি দেখিয়ে দিল, বিনা লড়াইয়ে সে জীবনের উইকেটও ছুড়ে দেবে না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gautam Gambhir: আগামী বিশ্বকাপেও দলে রোহিত-কোহলি! বিরাটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট গম্ভীর

    Gautam Gambhir: আগামী বিশ্বকাপেও দলে রোহিত-কোহলি! বিরাটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের কোচের পদে আসার পর থেকেই কোহলির সঙ্গে তাঁর সমীকরণ নিয়ে জল্পনা শুনতে হয়েছে গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir)। ভারতের কোচ হিসেবে প্রথম প্রেস কনফারেন্সেও উড়ে এল একই প্রশ্ন। তবে সেই প্রশ্নকে সোজা বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন গুরু গম্ভীর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে মঙ্গলবার কলম্বো রওনা দিল ভারতীয় টিম। তার আগে মুম্বইয়ে প্রেস কনফারেন্স করেছেন গম্ভীর। সেখানে কোহলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে গৌতম বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে আলোচনা টিআরপির জন্য ভালো। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক কেমন, সেটা আমরা ভালো জানি। বিরাট কোহলি ও আমার সমীকরণ কেমন, সেটাও আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ 

    গম্ভীর-কোহলি রসায়ন

    অতীতে বহুবার আইপিএলের সময় বিরাট ও গম্ভীরের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দেখা গিয়েছে। তবে, এবারের আইপিএলে অবশ্য ছবিটা বদলে যায়। কেকেআরের মেন্টর গৌতম (Gautam Gambhir) হাসিমুখে কোহলির সঙ্গে কথা বলেন, আলিঙ্গন করেন। যা দেখে চমকে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। গম্ভীর-বিরাট সেই সময় জানিয়েছিলেন, অনেকের এটা পছন্দ হয়নি। কারণ, তাঁরা মশলা পেলেন না। গম্ভীর জানিয়েছেন, কোহলির সঙ্গে তাঁর কোনও ঝামেলা নেই। এখন তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই। দলকে সাফল্য দেওয়া।

    জিতে ড্রেসিংরুমে ফেরাই আসল

    গম্ভীর (Gautam Gambhir) এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাঠের মধ্যে যে কোনও টিমের যে কেউ নিজের সেরাটা দিয়ে লড়তে পারে। তবে জিতে ড্রেসিংরুমে ফেরাই আসল। আমরা এখন ভারতীয় টিমের হয়ে একসঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করব। ১৪০ কোটি ভারতীয়র হয়ে আমরা প্রতিনিধিত্ব করব। ভারতকে গর্বিত করাই আমাদের লক্ষ্য। মাঠের বাইরে আমাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। আর সেটাই আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ওর সঙ্গে আমার চ্যাট হয়। আমরা একে অপরকে মেসেজও করি। অনেক সময় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়, শিরোনাম পাওয়ার জন্য। আমার মনে হয়, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

    বিশ্বকাপে খেলবেন রোহিত-কোহলি

    রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি কি ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে পারেন? এই প্রশ্নের জবাবে গম্ভীরের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘খেলতেই পারেন। বড় মঞ্চে তাঁরা কীরকম খেলতে পারেন, তা তাঁরা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছেন। দু’জনের মধ্যেই অনেক ক্রিকেট বাকি আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা হোক। তাঁরা ফিটনেস ধরে রাখলে ২০২৭ বিশ্বকাপেও খেলতে পারেন। তাঁরা যেমন খেলেন তা দেখে আমার মনে হয়, তাঁরা এখনও বিশ্বমানের এবং যে কোনও দল তাঁদের দু’জনকেই রাখতে চাইবে।’ 

    ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট

    ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এবং সিনিয়রদের সব সিরিজে খেলা নিয়ে গম্ভীর বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, বুমরার মতো ক্রিকেটারের জন্য ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি যদি ব্যাটার হন এবং ভালো ফর্মে থাকেন, তাহলে সব খেলাই খেলতে পারেন। অবশ্য ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট শুধু বুমরার জন্য নয়, বেশিরভাগ ফাস্ট বোলারদের জন্যই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

    তিন ফর্ম্যাটে ভিন্ন দল

    ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফর্ম্যাটে ভিন্ন দল হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গম্ভীর (Gautam Gambhir) বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমনটা হলেও হতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তো তেমনটা বলা যায় না। তবে টি২০ দলে বড়সড় পরিবর্তন আসবে। রোহিত, কোহলি, জাদেজার মতো ক্রিকেটাররা অবসর নিয়েছেন। তবে যে ক্রিকেটাররা সব ফর্ম্যাটে খেলতে পারেন, তাঁদের দলে রাখাই ভালো।’

    গম্ভীরের সহযোগী নায়ার

    গম্ভীর এদিন নিজের সহকারীদের নামও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, শ্রীলঙ্কা সফরের পর প্রায় এক মাস সময় পাব সাপোর্ট স্টাফদের চূড়ান্ত করার জন্য়। আমি অভিষেক নায়ার,  রায়ান টেন ডসখাতের মতো লোকদের সঙ্গে আইপিএলে কাজ করেছি। ভীষণ পেশাদার ওরা। আশা করি রায়ান-অভিষেক শ্রীলঙ্কায় সফল হবে। আশা করি কোচ হিসেবে আমরা সাফল্য় পাব। বাকিদের সঙ্গেও কাজ করার জন্য় মুখিয়ে আছি। বাকিদের ব্য়াপারেও প্লেয়ারদের থেকে খুব ভালো ফিডব্য়াক পেয়েছি। আমি খুব সহজ-সরল ভাবে শিখি।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে নারাজ বিসিসিআই! পেল ২ সমর্থকও

    Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে নারাজ বিসিসিআই! পেল ২ সমর্থকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখন বিসিসিআই ও আইসিসি-র সঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে। কারণ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে নারাজ বিসিসিআই। আর ভারতীয় দল (India) পাক মুলুকে খেলতে না গেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরতে পারে পাকিস্তান থেকে। আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্ট। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা ১ মার্চ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ক্রীড়াসূচির খসড়া আইসিসি-কে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। 
    আইসিসি-র এই প্রতিযোগিতাটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দেশে গিয়ে খেলতে রাজি না-ও হতে পারে ভারত। গত বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যায়নি তারা। ফলে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে যেতে রাজি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলে তবেই পাকিস্তানে পাঠানো হবে রোহিত শর্মাদের। 

    কোথায় হতে পারে টুর্নামেন্ট? (Champions Trophy)

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় দল পাক মুলুকে খেলতে না গেলে পাকিস্তান থেকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কা বা দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা হতে পারে। ভেতরের খবর অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে সমর্থন করবে। তারাও পাকিস্তানে যেতে আপত্তি জানিয়েছে। 
    উল্লেখ্য, ৮ বছর পরে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে, এমনটা ধরে নিয়েই সূচি তৈরি করেছিল পিসিবি। নিরাপত্তার কারণে একটি মাত্র মাঠেই ভারতের ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে সব ম্যাচ খেলার কথা ছিল মেন ইন ব্লু’র। কিন্তু ভারত আপত্তি  জানানোয় এখন এই ম্যাচ (Champions Trophy) কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে ফিরল পুরনো স্মৃতি, যাত্রীরা পেলেন হাতে লেখা বোর্ডিং পাস

    ভারতের ওয়ানডে দলে অনিশ্চিত হার্দিক পান্ড্য

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের (India) ওডিআই স্কোয়াডের জন্য নিশ্চিত নয় হার্দিক পান্ড্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, যার বারবার খেলার মাঠে আহত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাকে আগে ঘরোয়া সার্কিটে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। ম্যানেজমেন্ট তার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁকে আরও ভালো করে যাচাই করে নিতে চায়। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) অলরাউন্ডারদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাছাই-এ ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অক্ষর প্যাটেলকে অগ্রাধিকার দিতে পারে বলে এমনটাই খবর মিলেছে। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Dravid: দ্রাবিড়ে মুগ্ধ বিসিসিআই! পুরস্কারের অতিরিক্ত টাকা ৩ সহকারীর সঙ্গে ভাগ করলেন রাহুল

    Rahul Dravid: দ্রাবিড়ে মুগ্ধ বিসিসিআই! পুরস্কারের অতিরিক্ত টাকা ৩ সহকারীর সঙ্গে ভাগ করলেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই অন্যরকম মানুষ তিনি। অতীতেও দেখা গিয়েছে, কখনও অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পছন্দ করেন না রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। অতীতে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দল যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখনও কোচের হটসিটে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়ই। তবে বাকি সাপোর্ট স্টাফদের সমান পুরস্কার অর্থ বা ইনসেন্টিভ নিয়েছিলেন তিনি। বোর্ডের তরফে কোচের জন্য যে স্পেশাল প্যাকেজ বা পুরস্কার দেওয়া হয়, তা নিয়ে অস্বীকার করেছিলেন দ্রাবিড়। এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বজয়ী  ভারতীয় ক্রিকেটদলের হেড কোচ তিনি। তাঁর জন্য রোহিত-বিরাটদের সমান ৫ কোটি টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করলেন দ্রাবিড়। সকলের সঙ্গে সমানভাবে ভাগ করে নিলেন পুরস্কার মূল্য। তাই তো তিনি সকলের থেকে আলাদা। 

    দ্রাবিড়ের যুক্তি মানল বোর্ড (Rahul Dravid)

    বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) ১২৫ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে রোহিত শর্মাদের। ১৫ জন ক্রিকেটারের মতো কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পেয়েছেন ৫ কোটি টাকা। কিন্তু তিন সহকারী কোচের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আড়াই কোটি টাকা করে। এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি দ্রাবিড়ের। তাই পুরস্কারের অর্ধেক টাকা বিসিসিআইকে ফিরিয়ে দিয়েছেন দ্রাবিড়। পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেননি দ্রাবিড়। তাঁর বক্তব্য, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের অবদান কোনও অংশে কম নয়। তাঁদেরও সমান টাকা পাওয়া উচিত। তিনি সহকারীদের থেকে আড়াই কোটি টাকা বেশি নিতে পারবেন না। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘দ্রাবিড় আড়াই কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি চান এই টাকা চার জন কোচের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হোক। আমরা তাঁর আবেগ, ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
    দ্রাবিড় এবং তিন জন সহকারী কোচ পাচ্ছেন ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে। 

    এবারই প্রথম নয় (Rahul Dravid)

    ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। সে বার বিশ্বকাপ জেতার পর বিসিসিআই দ্রাবিড়কে আর্থিক পুরস্কার হিসাবে ৫০ লাখ টাকা এবং সহকারী কোচদের ২০ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে বারও সহকারীদের থেকে বেশি টাকা নিতে রাজি হননি দ্রাবিড়। বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন, মোট টাকা সকলকে সমান ভাবে ভাগ করে দিতে। বোর্ড কর্তারা দ্রাবিড়ের এই সিদ্ধান্তে মুগ্ধ। 

    আরও পড়ুন: রোহিতদের গুরু গম্ভীরই, ঘোষণা জয় শাহের! কোন অঙ্কে দায়িত্বে গৌতি?

    কী করবেন দ্রাবিড়

    ভারতীয় কোচ হিসেবে দ্রাবিড় (Rahul Dravid) আর কাজ করবেন না। টিম ইন্ডিয়ার নতুন কোচ হয়েছেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর। তাঁর সঙ্গে বোর্ড ২০২৭ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করেছে। শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি। গম্ভীর কোচ হওয়ার আগে বোর্ডকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কোচ হলে দলের সহকারী বাছাই করবেন তিনিই। সেই হিসেবে পরশ মামরে, বিক্রম রাঠোরদের যুগও শেষ হতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, গৌতম গম্ভীরের জায়গায় রাহুল দ্রাবিড়কে মেন্টর করতে পারে  কলকাতা নাইট রাইডার্স। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভারতীয় দল ফেরার পরেই দ্রাবিড়ের সঙ্গে নাকি কথা বলেছেন নাইটের শীর্ষ আধিকারিকরা। কেকেআর সূত্র খবর, নাইট অধিপতি শাহরুখ খানও নাকি ভারতের প্রাক্তন কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gautam Gambhir: রোহিতদের গুরু গম্ভীরই, ঘোষণা জয় শাহের! কোন অঙ্কে দায়িত্বে গৌতি?

    Gautam Gambhir: রোহিতদের গুরু গম্ভীরই, ঘোষণা জয় শাহের! কোন অঙ্কে দায়িত্বে গৌতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম গম্ভীরকেই (Gautam Gambhir) ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসাবে নিয়োগ করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। অবশেষে মঙ্গলবার সরকারি ভাবে গম্ভীরকে কোচ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। আইপিএলে মেন্টর হিসাবে সাফল্য, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং ভারতের ক্রিকেট পরিকাঠামো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকায় গম্ভীর এগিয়ে ছিলেন। এবার সিল মোহর পড়ল।

    আবেগ ভরা পোস্ট গম্ভীরের (Gautam Gambhir) 

    সব ঠিকঠাকই ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু ঘোষণার। মঙ্গলবার রাতে বিসিসিআই (BCCI) সচিব জয় শাহ টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের নাম ঘোষণা করে দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জয় শাহ ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে স্বাগত জানান গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) ।

    নতুন দায়িত্ব পেয়ে আবেগ ভরা পোস্ট করেন গৌতম গম্ভীর। নতুন দায়িত্বে ভারতীয় দলে ফিরতে পেরে খুশি বলে জানান গৌতি। দেশকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করবেন বলে জানান গম্ভীর।

    শাহরুখ ফ্যাক্টর

    সূত্রের খবর, আইপিএল ফাইনালের পর গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সঙ্গে একান্তে বৈঠক হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম কর্ণধার শাহরুখের। দীর্ঘ বৈঠকের পর দেশের স্বার্থে গম্ভীরকে ছাড়তে রাজি হন শাহরুখ। তাঁর সম্মতি পাওয়ার পর বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন গম্ভীর। তাঁকে পেতে আগ্রহী বিসিসিআই কর্তারাও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন। বিরাট কোহলিও নাকি গম্ভীরের নাম সুপারিশ করেছিলেন বোর্ড কর্তাদের কাছে। কেকেআর কর্ণধার রাজি হতেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলা হয়। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে গম্ভীর বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কমিটির সদস্যদের পাঁচটি শর্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। গম্ভীরের শর্তগুলি মেনে নেন বিসিসিআই কর্তারা। 

    কেন গম্ভীর (Gautam Gambhir) 

    গম্ভীরের (Gautam Gambhir) নির্বাচন নিয়ে নির্বাচক (BCCI) কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যতীন পরাঞ্জপে বলছেন, ‘ দলের মধ্যে কোচের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা আর সম্মান আসে তখনই যখন তাঁর অতীতের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো হয়। আর গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড অসাধারণ। যুব ক্রিকেটারদের সব সময়ই গৌতম গম্ভীর খুব সাহায্য করে। আর ক্রিকেটারদের মধ্যে ওর জন্য আলাদা একটা সম্মানের জায়গা রয়েছে কারণ গম্ভীর সব সময় বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। এখনকার ক্রিকেটারদের মনে আছে ওর ২০০৭ আর ২০১১ সালের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের কথা। ‘উল্লেখ্য, ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন গম্ভীর।

    যতীন পরাঞ্জপে আরও বলেন, ‘ উঠতি প্রতিভাদের জন্য ক্যালেন্ডার প্ল্যান করার চিন্তাভাবনা রয়েছে গৌতম গম্ভীরের। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও জোর দিতে বলা হয়েছে, আর দলের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গম্ভীর। আমরা আগেই ওর নাম ঘোষণা করলে ভুল বার্তা যেত, তাই বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম। বিশ্বকাপের সময় কোচের নাম ঘোষণা করলে দলের ফোকাস নষ্ট হতে পারত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাই এখন ভারতীয় দলের লক্ষ্য, বলে জানান গম্ভীর। রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। ’

LinkedIn
Share