Tag: bccl

bccl

  • ED raids: সাতসকালে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড জুড়ে ইডির হানা, কয়লা ব্যবসায়ীদের ৪০টি ঠিকানায় তল্লাশি

    ED raids: সাতসকালে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড জুড়ে ইডির হানা, কয়লা ব্যবসায়ীদের ৪০টি ঠিকানায় তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED raid)। শুক্রবার সকাল থেকেই কয়লা কেলেঙ্কারিতে (coal scam) দুই রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৪০টির বেশি ঠিকানায় হানা দিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (West Bengal and Jharkhand)। আসানসোল, পুরুলিয়া, কলকাতার কয়েকটি এলাকা থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ – সব জায়গাতেই অভিযানে নেমেছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সহায়তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। লক্ষ্য মূলত কয়লা ব্যবসায়ী লালবাবু সিং ও তাঁর ভাই কুম্ভনাথ সিং-এর একাধিক ঠিকানা।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় তল্লাশি

    শুক্রবার সকাল থেকে একসঙ্গে রাজ্যের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। কলকাতা-সহ পুরুলিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুরে তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার সংক্রান্ত (coal smuggling) মামলায় এই তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কয়লা মাফিয়ার (ED raid) বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। এদিন সকালে সল্টলেকের দুটি জায়গায় পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। সল্টলেকে সেক্টর-২তে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। সল্টলেকের একে ব্লকেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সল্টলেকের একে ব্লকে ২২৫ নম্বর বাড়িতে সকাল সকাল পৌঁছে যান ইডির আধিকারিরকরা, সিজে ব্লকের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। বাড়ির মালিকের নাম নরেন্দ্র খারকা। বাইপাস সংলগ্ন একটি আবাসনেও চলছে অভিযান। হাওড়ার সলপ মোড়েও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি। দেখা যায়, অফিসাররা পৌঁছে গেলেও অধিকাংশ অফিস ও বাড়ির মূল গেটে তালা।

    এক যোগে দুই রাজ্যে অভিযান

    কয়লা পাচার মামলায় (coal smuggling) তদন্ত চালাচ্ছে ইডি (ED raid)। সম্প্রতি সিবিআই আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কয়লা পাচার মামলায় খুব শীঘ্রই সামনে আসবে প্রভাবশালীদের নাম। তারপরই এদিন রাজ্যের ২৫ জায়গায় একসঙ্গে হানা দিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের ধনবাদ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১২ জায়গায়ও অভিযান শুরু করেছে ইডি। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে বিসিসিএল (BCCL)-এর ঠিকাদার ও বড় কয়লা ব্যবসায়ী এলবি সিংয়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিও রয়েছে। ​জানা গিয়েছে, ইডির এই অভিযান বিসিসিএলর বিভিন্ন টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। ​এছাড়াও, ইডি-র কলকাতা টিম পশ্চিমবঙ্গেও কয়লা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার, পরিবহনকারী এবং ইসিএল (ECL)-এর আধিকারিকদের ঝাড়খণ্ডের আস্তানাগুলিতে সমান্তরালভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে।

    লালবাবুদের ডেরায় হানা

    ইডি (ED raid) সূত্রের দাবি, কয়লা রফতানিতে (coal scam) দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অসঙ্গতির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান। লালবাবুদের সংস্থার অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত বিসিসিএল-এর খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ঠিকা রয়েছে। তা নিয়েই দুর্নীতির সূত্রপাত। উল্লেখ্য, প্রায় দশ বছর আগে বিসিসিএল-এর টেন্ডার সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই লালবাবুর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দিকে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেই লালবাবু সিং-এর ঠিকানাতেই হানা দিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা, ইডি। প্রসঙ্গত, ঠিকাদার এলবি সিংয়ের সংস্থায় এর আগে আয়কর বিভাগও অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় ১০০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

  • Suvendu on Coal Trucks: ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে শতাধিক বৈধ কয়লার লরি, ‘ভাইপো ভ্যাট’ না দেওয়াতেই কি হেনস্থা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu on Coal Trucks: ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে শতাধিক বৈধ কয়লার লরি, ‘ভাইপো ভ্যাট’ না দেওয়াতেই কি হেনস্থা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তার পরেও নথিপত্র পরীক্ষার নামে আসানসোলের (asansol) কাছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে হেনস্থা করা হচ্ছে কয়লা বোঝাই গাড়ির (coal laden truck) চালকদের। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ট্রাক চালকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (suvendu) অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ভাইপো ভ্যাট’ না দেওয়াতেই কি হেনস্থা করা হচ্ছে ট্রাক চালকদের।

    বেআইনি কয়লা পাচারে রাশ টানার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুডি চেকপোস্ট এলাকায় কয়লা বোঝাই ট্রাক তল্লাশিতে পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। তার জেরে আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানায় তিনদিন ধরে আটকে রয়েছে কয়লা বোঝাই লরি ও ডাম্পার। তার জেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা।

    সূত্রের খবর, তল্লাশিতে আটকে যাচ্ছে ইসিএল (ECL) ও বিসিসিএলের (BCCL) খনি থেকে আসা কয়লার লরিগুলিও। প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসিএল ও বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। তবে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর না এসে পৌঁছানোয় লরি নিয়ে ঠায় বসে থাকতে হচ্ছে চালকদের। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে রাহা খরচ। টান পড়েছে রসদে। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন লরি চালকরা। সূত্রের খবর, চালকদের বিক্ষোভে কাজ হয়েছে। তিন দিন ধরে আটকে থাকা লরিগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসে দাঁড়িয়েছে আরও শ’দেড়েক লরি।

    ক্ষুব্ধ লরিচালকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “ঝাড়খণ্ড ও আসামের মতো পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির লোডিং ইউনিটগুলি প্রভাবিত হচ্ছে। বৈধ অপারেশন করা হচ্ছে ভোগান্তি। এসব কি “ভাইপো ভ্যাট” আদায়ের জন্য? কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতায় পুরনো কূপগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় নতুন পথ তৈরি হচ্ছে?” 

    [tw]


    [/tw]

    কয়লা কেলেঙ্কারিতে (coal smuggling scam) নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। এদিন নাম না করে ট্যুইট-বাণে শুভেন্দু তাঁকেই নিশানা করেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    এদিকে, কয়লা বোঝাই ট্রাক আটকে থাকায় টান পড়েছে জ্বালানির ভাঁড়ারে। কয়লার অভাবে উৎপাদন থমকে গিয়েছে রানিগঞ্জের বেঙ্গল পেপার মিলে। সমস্যায় পড়েছেন ওই মিলের শ’তিনেক শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উৎপাদন। কয়লার অভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছে জামুড়িয়া শিল্পতালুকের বিভিন্ন ইস্পাত কারখানায়ও। মঙ্গলবার জামুড়িয়া শিল্পতালুকের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর (Asansol-Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটে।  

     

LinkedIn
Share