Tag: behala road accident

behala road accident

  • Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালা চৌরাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর (Behala accident) পর রাতারাতি বদলে গিয়েছে বেহালার রাস্তার চিত্র। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বসেছে পুলিশি পাহারা, বসানো হয়েছে ড্রপগেট। তার পাশাপাশি এবার রাস্তার দুপাশের হকারদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা চওড়া করার কাজও শুরু হল (Behala Hawker eviction)।  রবিবার রাত থেকেই বেহালা চৌরাস্তায় নেমেছে বুলডোজার। ইতিমধ্যেই দু’ফুট করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায় বসা হকারদের। বহু গুমটি তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক গুমটি মালিকের খোঁজ না মেলায় বুলডোজার দিয়ে সেগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। রাতভর চলেছে এই কাজ।

    বেহালার রাস্তায় বুলডোজার

    গত শুক্রবার বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকার। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এতদিন তাদের চোখ বন্ধ ছিল বলে দাবি, স্থানীয়দের।  ফুটপাথের দু’পাশ থেকে বেআইনি নির্মাণ এবং দোকান ইত্যাদি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জনসাধারণের চলাচলের পরিসর প্রশস্ত করার জন্য। সেই মর্মে প্রশাসনিক পদক্ষেপও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক পদক্ষেপের এই পর্যায়ে ভাঙা পড়তে পারে ‘বেআইনি ভাবে’ তৈরি ফুটপাথ লাগোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘এসি রুম’। 

    ভাঙা পড়তে চলেছে পার্থের কার্যালয়

    তার মৃত্যুতে বেহালার জনতার ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে চরমে। সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন।গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম তেমনই বলছে। কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা একযোগে বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডের ফুটপাথ লাগোয়া অংশে বেআইনি ভাবে তৈরি যাবতীয় নির্মাণ ভাঙতে উদ্যোগী হচ্ছে। সেই সূত্রেই বেহালা ম্যান্টনের কাছের ফুটপাথে বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের বসার যে বাতানুকূল ঘরটি রয়েছে, সেটি নজরে এসেছে প্রশাসনের। তার পরেই সেটি ভাঙার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এসে ওই বাতানুকূল ঘরটিতেই বসেছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর বিধায়ক কার্যালয় খোলা হলেও ওই ঘরটি আর খোলা হয়নি। তবে সেটি পরিচ্ছন্ন রাখা হত। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী রাখী চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘শাসকদলের এত বড় একজন নেতা হয়ে দিনের পর দিন বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালার আইন সচেতন মানুষ সকলেই জানতেন, তাঁর ওই বসার জায়গাটি বেআইনি ভাবে তৈরি। এ ছাড়াও বেহালা ম্যান্টনের ওই ফুটপাথ এবং ডায়মন্ড হারবার রোডের বড় একটা অংশ পার্থবাবু ও তাঁর অনুগামীদের জন্য গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে রাখতে পুলিশ। ক্ষমতায় আছেন বলে কেউ মুখ খুলত না। এ সব কাজ দিনের পর দিন হয়েছে বেহালার মানুষের চোখের সামনে। আমরা সবাই তখন চোখ বুজে ছিলাম। গরিব মা-বাবার সন্তানকে প্রাণ দিয়ে আমাদের চোখ খোলাতে হয়েছে। এটা আমাদের মতো বেহালাবাসীদের কাছে লজ্জার। এমন আরও অনেক কাজ পার্থবাবু বেহালায় করে গিয়েছেন, যা দিনে দিনে প্রকাশ পাবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার সকালে অগ্নিগর্ভ হয় বেহালা। এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েলের উচিত গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করা।’’

    জুতো-মোজা খুলে পুলিশ পিসি-ভাইপোকে নিরাপত্তা দেয়, মন্তব্য শুভেন্দুর 

    প্রসঙ্গত, বেহালায় শুক্রবারের পথ দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন যে পুলিশ শুধুমাত্র ঘুষ খেতে ব্যস্ত অথচ যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশদের কোনও ভূমিকা এখানে দেখা যায় না। তাঁরা ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতেই ব্যস্ত। এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পুলিশের লোকেরা ব্যস্ত থাকেন।  তিনি বাড়ি থেকে বের হলে ৭ হাজার পুলিশ লাগে, আর তাঁর ভাইপো বাড়ি থেকে বের হলে ৪ হাজার পুলিশ লাগে।’’ এদিন ট্রাফিক পুলিশ সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘তাদের কাজে হল তৃণমূলের হয়ে ভোট বা কর্মসূচির সফল করানো। আর ট্রাক থেকে তোলাবাজি করা। পুলিশের এই তোলাবাজির জন্য প্রত্যেকটা বাজারের সবজি ও মাছের দাম আজকে আকাশ ছুঁয়েছে।’’  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে চোখের জল ছাড়া আমরা কিছু দিতে পারি না, ওই ফুটফুটে একটা সাত বছরের বাচ্চাকে যেভাবে পিষে দিল লরি… তাতে পুলিশ মন্ত্রীর অপদার্থতা প্রকাশ পায়।’’  পুলিশকে তীব্র আক্রমণ জানিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘আমি তো সকাল ৯টার আগে আর রাত ৯টার পরে কোথাও পুলিশ দেখতে পাই না। কখনও ভাইপো ব্যাংকক পালাচ্ছে, কখনও দুবাই যাচ্ছে, কখনও পিসিমণি নবান্ন যাচ্ছে, তার ব্যবস্থা করতে পুলিশ জুতো-মোজা খুলে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়।’’

    প্রসঙ্গ অভিষেকের গ্রেফতারি 

    অন্যদিকে শুক্রবারই আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এ বিষয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের একজন জনপ্রিয় আইনজীবী। অন্যদিকে তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেস সাংসদ। যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তবে তদন্তকারী সংস্থার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালার সড়ক দুর্ঘটনায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘এখন পুলিশের কাজ তৃণমূলের হয়ে ভোট লুট করা এবং রাস্তা থেকে টাকা তোলা। পুলিশ ব্যবস্থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ করে দিয়েছেন, ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার পরিণতিতে ওইরকম একটা ফুটফুটে বাচ্চার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল। পুলিশের এই অবস্থার জন্য আইপিএস এবং ইন্সপেক্টররা দায়ী, নিচুতলার কনস্টেবল বা এসআই দায়ী নন।’’

    পুলিশই দায়ী, বলছেন শিক্ষকরাও

    শুধু শুভেন্দু নন, ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে পুলিশকেই দায়ী করেছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। অভিযোগ, স্কুল শুরুর সময়ে প্রতি দিন যানজট দেখা গেলেও তা সামলাতে ট্র্যাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। আরও অভিযোগ, পাশে অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু এই স্কুলের সামনে থাকে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘স্কুলে গরিব ঘর থেকে শিশুরা আসে, কেউ চার-চাকা করে আসে না। তাই স্কুলের সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা।’’ তিনিও এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    ছোট্ট সৌরনীলকে পিষে দিয়ে যায় লরি

    শুক্রবার সাতসকালে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি তার বাবা সরোজ কুমার সরকার। এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাড়ি-বাইক জ্বালিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডে। অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। পাল্টা লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। দফায় দফায় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    এদিকে, ধুন্ধুমার কাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার নগরপাল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। সিপি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখছি আমরা। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হয়। সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বেহালা, ঠাকুরপুকুর, পর্ণশ্রী ও হরিদেবপুর থানা। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অসুবিধার কথা জেনেছি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    রিপোর্ট তলব নবান্নর

    এদিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, বেহালা দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী অশান্তিতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। লালবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের নির্দেশে স্কুলে পৌঁছেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারাও পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। মৃত পড়ুয়ার বাড়িতেও যাচ্ছেন সরকারি অফিসাররা। শোনা যাচ্ছে, নিহতের বাড়িতে যেতে পারেন রাজ্যপালও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Behala Accident: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    Behala Accident: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক ২১ দিন পর, আগামী ২৫ অগাস্ট ছিল সৌরনীল সরকারের জন্মদিন। তেমনটাই নথিভুক্ত স্কুলের রেজিস্টারে। কিন্তু, বিধি বাম। তার আগেই অকালে ঝরে পড়ল একটি জীবন। খালি হয়ে গেল মায়ের কোল। 

    ‘‘সোনাই আর ফিরবে না…’’

    বেহালা চৌরাস্তায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল থাকতো নবপল্লী রবীন্দ্রনাথ টেগোর রোডে। শুক্রবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাবার হাত ধরেই রাস্তা পার করছিল ছোট্ট সৌরনীল। আচমকা, নিমেষের মধ্যে সৌরনীলকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি লরি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটায় আহত সৌরনীলের বাবা সরোজ কুমার সরকার। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। আর মা! তিনি কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। কখনও স্কুলে, তো কখনও মর্গে গিয়ে একরত্তি ছেলের নিথর দেহ ধরে কেঁদেই চলেছেন।

    একমাত্র সন্তান মৃত। স্বামী হাসপাতালে শয্যাশায়ী। এই পরিস্থিতিতে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই সৌরনীলের মা দীপিকা সরকার। আজ পরীক্ষা ছিল। নিজে হাতে খাইয়ে, পোশাক পরিয়ে বাবার সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন স্কুলে। মাকে টাটা করতে করতেই প্রতিদিনের মতো বাড়ির গেট দিয়ে বেরিয়েছিল ছোট্ট সৌরনীল। কিন্তু কে জানত, সেই দেখাই শেষ দেখা হবে! অস্ফুট কণ্ঠে তিনি বলে চলেছেন, ‘‘সকালেই আমার সঙ্গে কত কথা বলে বেরিয়ে ছিল। সোনাই আর ফিরবে না।’’ 

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    মর্গে বসেই প্রলাপ সন্তানহারা মায়ের

    স্কুলের তরফ থেকেই বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকেই ছুটে আসেন মা। তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিদ্যাসাগরের হাসপাতালে মর্গেই রয়েছে সাত বছরের খুদের নিথর দেহ। বাইরে ছেলের রক্তাক্ত বইয়ের ব্যাগ আঁকড়ে বসে প্রলাপ বকে চলেছেন মা। মানতেই পারছেন না, তাঁর ছোট্ট সোনাই আর নেই। তাকে কোনওদিনও আদর করতে পারবেন না।

    স্কুলে সৌরনীলের ক্লাস টিচার মমতা ঘোষ জানিয়েছেন, জন্মদিন উপলক্ষে বাবা, মায়ের সঙ্গে প্রিন্সেপ ঘাটে ঘুরতে যাবে বলে জানিয়েছিল সৌরনীল। অত্যন্ত মিশুকে ও পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল সে। কোনও বিষয়ে ডাউট হলে, ভালো করে বুঝে নিত। শরীর খারাপ না হলে স্কুল কামাই একদম-ই করত না। কথা বলতে বলতে তিনিও কেঁদে ফেলেন…

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share