Tag: Beijing

Beijing

  • Indian Naval Diplomacy: লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাবের মোকাবিলা, আফ্রিকার ১০টি দেশের সঙ্গে নৌ-মহড়া ভারতের

    Indian Naval Diplomacy: লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাবের মোকাবিলা, আফ্রিকার ১০টি দেশের সঙ্গে নৌ-মহড়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে চিনের দাদাগিরি একেবারে মুখ বুজে মেনে নেবে না ভারত (Indian Naval Diplomacy)। ভারত মহাসাগরে চিনের ক্ষমতাবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারতীয় নৌসেনা। এপ্রিলের গোড়ায় আফ্রিকা মহাদেশের ১০টি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত মহাসাগরে নৌযুদ্ধের মহড়ায় অংশ নেবে ভারতীয় নৌসেনা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই ১০টি দেশের অনেকগুলিই ‘চিনের সহযোগী’ বলে চিহ্নিত।

    ভারত-আফ্রিকা নৌ মহড়া

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এপ্রিলের মাঝামাঝি ভারতীয় নৌসেনা এবং তানজানিয়ার ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ যৌথ ভাবে ভারত মহাসাগরে ‘আইকেম’ নামের ওই নৌমহড়ার আয়োজন করবে। উদ্বোধন কর্মসূচি হবে তানজানিয়ার দার-এস-সালামে। নৌযুদ্ধের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পাবে বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষা এবং জলদস্যুর মোকাবিলা। কমোরোস, জিবুতি, এরিট্রিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মোজাম্বিক, সেশেলস্ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ওই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি জিবুতিতে নৌঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চিন।

    অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ়করণ

    ভারত-আফ্রিকা (Indian Naval Diplomacy) বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তার গুরুত্বকে তুলে ধরে। ভারতের বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং তার শক্তির আমদানি অধিকাংশই ভারত মহাসাগর দিয়ে চলে। অধিকাংশ আফ্রিকান দেশে প্রায়  ৮ বিলিয়ন ডলার লাইন অফ ক্রেডিট (LoCs) প্রদান করেছে ভারত, যার মাধ্যমে নৌ বন্দরের আধুনিকীকরণ, উপকূলীয় নজরদারি রাডার নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং বাণিজ্য সুবিধা প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভারতের নৌবাহিনীর উপ প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল তারুণ সোবটি, আইকেম-কে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং নৌ সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

    ভারত মহাসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব

    ভারত মহাসাগর (Indian Naval Diplomacy) বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। এই পথে বিশ্বের ৮০ শতাংশ তেল বাণিজ্য হয়। চিন ও ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে এই ভারত মহাসাগর। কৃটনৈতিক মহলের অনুমান, ভারত মহাসাগরের ভূরাজনীতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গঠনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো যখন প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন ভারতের উচিত সুস্পষ্ট কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। নৌ-শক্তি বৃদ্ধি, আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও বহুপাক্ষিক সামুদ্রিক উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারত তার স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে পারে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারে।

    চিনের সামুদ্রিক সম্প্রসারণ মোকাবিলা

    এ বার সরাসরি ‘বেজিংয়ের প্রভাব বলয়ে’ হানা দিয়েছে নয়াদিল্লি। গত কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকার দেশগুলিতে প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে চিন। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আফ্রিকার অনেকগুলি দেশের। ভারতের আফ্রিকার সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে চিনের আগ্রাসী এবং আধিপত্যবাদী নৌ ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে। চিনের মারাত্মক সামুদ্রিক অবকাঠামো বিনিয়োগ, বিশেষত জিবুতি এবং কেনিয়ায়, ঋণের স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। চিনের প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি, পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (PLAN)-এর ঘাঁটি, জিবুতি, বৈশ্বিক অপারেশনাল উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যা আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ভারত তো বটেই, আমেরিকাও ভারত মহাসাগরে প্রভাব বৃদ্ধির এই খেলায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল চিনের চেয়ে। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশের ১০টি দেশকে নিয়ে ভারতের নৌমহড়া চিনের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই অনেকে মনে করছেন।

    আফ্রিকার দৃষ্টিভঙ্গি

    আফ্রিকার দেশগুলো সাধারণভাবে ভারতের সামুদ্রিক উদ্যোগে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চিনের থেকে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ নীতিই তাদেরকে আপাতত বেশি আকৃষ্ট করেছে। যেখানে গঠনমূলক ও মজবুত অংশীদারিত্ব, স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং সক্ষমতা তৈরির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি চিনের সমালোচিত মডেল থেকে পৃথক। চিনা মডেলে রয়েছে উচ্চ ঋণের বোঝা, পরিবেশগত প্রভাব এবং স্থানীয় সুবিধার অভাব। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালাইসিস (MP-IDSA) এর মতো শীর্ষ চিন্তনক্ষত্রগুলো ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক কৌশলকে প্রশংসা করেছে, যা আফ্রিকার জন্য কৌশলগতভাবে লাভজনক এবং ভারতের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

    ভারত এবং চিনের (Indian Naval Diplomacy) ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের সহযোগিতামূলক সামুদ্রিক কূটনীতি আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে এক মহৎ বিকল্প হিসেবে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন, ভারতের সামুদ্রিক কূটনীতি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করবে এবং আফ্রিকান দেশগুলিকে চিনের বিস্তৃত প্রভাবের বিকল্প একটি কৌশলগত পথ সরবরাহ করবে। ভারতীয় কৌশল, যা প্রকৃত অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়, তা আফ্রিকায় দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সহায়ক হবে।

  • India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে দুই দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের (India-China Relationship) বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। আগামী ২৬ জানুয়ারি চিনে যাবেন বিক্রম। দু’দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারতের বিদেশসচিবের চিন সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সহ একাধিক দিক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টায় আলোচনা হতে পারে। 

    কেন এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ (India-China Relationship)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার প্রথম দিনেই ওয়াশিংটনে কোয়াডের বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক (India-China Relationship) থেকে নাম না করে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয় যে, কেউ যদি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটায়, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওই বৈঠকের পর জানিয়ে দেন যে, বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালর জন্য কাজ করবে কোয়াড। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার। যদিও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখা নয়। মিস্রির সফরে চিনকে সেই বার্তাই দিতে আগ্রহী দিল্লি। 

    ঐক্যমতে পৌঁছনোই লক্ষ্য

    মাসখানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। চিনের বিদেশমন্ত্রী (India-China Relationship) তথা বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আবহে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রমের চিন সফর নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে। সীমান্ত-সহ নানা বিষয় নিয়ে ভারত-চিনের বিরোধ বহু দিনের। ২০২০ সালের পর থেকে বিরোধ চরমে ওঠে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারে ঐক্যমত হলেও ডেপসাং ও ডেমচক নিয়ে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মাঝেই বিদেশ সচিবের বেজিং সফরকে  মোদি সরকার আসলে সমতা বিধানের রাস্তা হিসাবেই দেখতে চাইছে।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় বেজিং

    মিস্রি চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের সঙ্গে আলোচনা (India-China Relationship) করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যিনি এলএসি নিয়ে অচলাবস্থার শুরুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের দায়িত্বে রয়েছেন সান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক আলোচনায় চিনা পক্ষ ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, তবে ভারতীয় পক্ষ জাতীয় সুরক্ষার উদ্বেগকে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে প্রক্রিয়াটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিসা ও ফ্লাইটের উপর চিনের চাপ মূলত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতো শীর্ষ চিনা নেতারা ক্রমাগত সীমান্ত ইস্যুটিকে সামগ্রিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার ‘উপযুক্ত স্থানে’ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দুই দেশে সাংবাদিকদের পারস্পরিক পোস্টিংও চায় চিন। তবে, ভারত সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য একটি ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোর’ উপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষ কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদী এবং সীমান্ত বাণিজ্যের তথ্য বিনিময়ের মতো আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার উপরও জোর দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: আরও গলল ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার বেজিং যাচ্ছেন ডোভাল, বুধে বিশেষ বৈঠক

    Ajit Doval: আরও গলল ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার বেজিং যাচ্ছেন ডোভাল, বুধে বিশেষ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! এবার বেজিং যাচ্ছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ১৮ ডিসেম্বর, বুধবার বেজিংয়ে দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি (NSA)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী তথা নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াং ই।

    চিন সফরে ডোভাল (Ajit Doval)

    সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে পক্ষকাল আগে দিল্লিতে হয়ে গিয়েছে ভারত-চিন অফিসার পর্যায়ের বৈঠক। সেই আলোচনার চাকা আরও গড়িয়ে নিয়ে যেতে চিন সফরে যাচ্ছেন ডোভাল। ২১ অক্টোবর পূর্ব লাদাখের ডেমচক ও ডেপসাং থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ভারত ও চিন উভয় দেশই। সেই সিদ্ধান্তের পিছনে কাজ করছিল ডোভাল ও ওয়াং ই-র রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের বৈঠক। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল লাগাতার আলোচনা চলবে দুই দেশের মধ্যে।

    আলোচনার মঞ্চ

    চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন-ভারত সীমান্ত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিদের ২৩তম বৈঠক, যা উভয় দেশের সম্মতিতে নির্ধারিত হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।” সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য বিশেষ প্রতিনিধিদের আলোচনার মঞ্চটা তৈরি হয়েছিল ২০০৩ সালে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে ২২ দফা। শেষবার বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে শুরু হওয়া সামরিক সংঘাত মেটাতে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন বিশেষ প্রতিনিধিরা (Ajit Doval)।

    আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    ২৩ অক্টোবর কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের মধ্যেই সেই মঞ্চ নতুন করে সক্রিয় করে তুলতে একমত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সেই মঞ্চ সক্রিয় করে তুলতে একমত হন মোদি ও জিনপিং। সেই রেশ ধরেই চিনে যাচ্ছেন ডোভাল।

    লাদাখের একাংশে সাময়িক সেনা প্রত্যাহারের পর দুই দেশের আলোচনায় এখন গুরুত্ব পেতে চলেছে সীমান্ত সংঘাত কমিয়ে আনা। সেই উদ্দেশ্য সফল হলে চূড়ান্ত লক্ষ্য হল আগামী কয়েক বছরের মধ্যে (NSA) সেনা প্রত্যাহারের পরিবেশ তৈরি করা (Ajit Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সমীকরণ। চিনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে ক্রমেই নয়াদিল্লির কাছাকাছি আসতে চাইছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই শ্রীলঙ্কায়ই দেশের বৃহত্তম হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport) গড়ে উঠেছিল চিনের সহায়তায়। বেজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পেই গড়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরেরই রাশ এবার যৌথভাবে হাতে নিতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা।

    ড্রাগনের দেশকে বার্তা! (Sri Lanka)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) যে ক্রমেই নয়াদিল্লির দিকে ঝুঁকছে, ড্রাগনের দেশকে সেই বার্তা দিতেই বিমানবন্দরটির (Hambantota Airport) পরিচালনার রাশ তুলে দেওয়া হল ভারত ও রাশিয়ার দুই কোম্পানির হাতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে শৌর্য অ্যারোনটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (ভারত) এবং এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ রাশিয়া। এই দুই সংস্থাই বিমানবন্দরটি পরিচালনা করবে আগামী তিরিশ বছর।

    হাম্বানটোটা বিমানবন্দর

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের (Hambantota Airport)। এই বিমানবন্দর নির্মাণের সিংহভাগ খরচ দিয়েছে চিন। বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে (Sri Lanka) চড়া সুদে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল ড্রাগনের দেশের এক ব্যাঙ্ক। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন। ২০১৬ সাল থেকেই বিমানবন্দরটি দেখভালের জন্য বাণিজ্যিক সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও লাভের মুখ দেখেনি বিমানবন্দরটি। বরং যত দিন গিয়েছে, ততই সব চেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দরের তকমা পেয়েছে শ্রীলঙ্কার এই বিমানবন্দরটি। শেষমেশ ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা যৌথভাবে দায়িত্ব নিল বিমানবন্দরটি পরিচালনার।

    বিমানবন্দরের বেহাল দশা

    জানা গিয়েছে, এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থই পরিশোধ করা হবে চিনের ব্যাঙ্ককে। বিমানবন্দরটির পরিচালনার ভার নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল পাঁচটি কোম্পানি। তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে দুটিকে। শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র বন্দুলা গুণবর্ধন বলেন, “ভারতীয় সংস্থাটির নাম শৌর্য অ্যারোনেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাশিয়ান সংস্থাটির নাম এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট।” উদ্বোধনের প্রায় পর থেকেই ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport)। প্রথম দিকে অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করত। সংখ্যায় কম হলেও, সচল ছিল বিমানবন্দর। পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে বিমান ওঠানামা। এক সময় বন্ধই হয়ে যায়। ধু ধু প্রান্তরে পরিণত হয় সাজানো গোছানো আস্ত বিমানবন্দর।

    আরও পড়ুুন: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    চিনা ঋণের ফাঁদ

    জানা গিয়েছে, একের পর এক দেশকে ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলছে চিন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চিন ঋণ দিয়েছে সব মিলিয়ে ১৬৫টি দেশকে। মার্কিন ডলারের অঙ্কে এর পরিমাণ হল ১.৩৮ ট্রিলিয়ন। চিনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে রাশিয়া। দেনার পরিমাণ ১৭০ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই রয়েছে ভেনেজুয়েলা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান। ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিমের দেশগুলির অভিযোগ, চিনা ঋণের ফাঁদ আসলে মৃত্যু ফাঁদ।

    আরও পড়ুুন: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    চাইলেই আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে চড়া সুদে ঋণ দেয় বেজিং। দেনা মেটাতে না পেরে যখন ভেঙে পড়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলির অর্থনীতির কোমর, তখনই হাত গুটিয়ে নেয় চিন। উপায়ান্তর না দেখে ড্রাগনের দেশের কাছে সারেন্ডার করে ঋণগ্রস্ত দেশগুলি। এভাবেই একের পর এক দেশের চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রের জলবন্দর হাম্বানটোটার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চিন (Sri Lanka)। সেখান থেকে এই বিমানবন্দরের (Hambantota Airport) দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেদিক থেকে দেখলে, ড্রাগনের দেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল ভারত ও রাশিয়া।

    বিমানবন্দরটির হাল ফেরে কিনা, এখন তা-ই দেখার (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mumbai: বেজিং-কে টপকে শীর্ষে মুম্বই, এশিয়ায় কোটিপতিদের রাজধানী ভারতের বাণিজ্য নগরী

    Mumbai: বেজিং-কে টপকে শীর্ষে মুম্বই, এশিয়ায় কোটিপতিদের রাজধানী ভারতের বাণিজ্য নগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিং (Beijing)-কে টপকে এশিয়ায় বিলিওনিয়ারদের রাজধানীর (Asia’s billionaire capital) শিরোপা ছিনিয়ে নিল মুম্বই (Mumbai)। সেই সঙ্গে ঢুকে পড়ল আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের প্রথম তিনটি শহরের তালিকাতেও। সম্প্রতি হুরান গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ (Hurun Global Rich List 2024) প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে শতকোটি ডলার সম্পদের মালিকের সংখ্যায় বেজিংকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মুম্বই।

    এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    কেন্দ্রে মোদি (PM Modi) সরকারের হাত ধরে ভারতের অর্থনীতি যে এগোচ্ছে এই তালিকা তার প্রমাণ। হুরান গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ অনুযায়ী, রেকর্ড গতিতে উত্থান হয়েছে ভারতের কোটিপতিদের। গতবছরের তুলনায় এই বছর প্রায় ১০০ জন বিলিওনিয়ার বেরিয়েছে দেশ থেকে। আর বেজিং-কে টপকে এশিয়ায় বিলিওনিয়ারদের রাজধানীর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বই (Mumbai)। বর্তমানে চিনের রাজধানী বেজিংয়ে যখন ৯১ জন বিলিওনিয়ার রয়েছেন তখন ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ে বসবাস করছেন ৯২ জন।

    আর্থিকভাবে এগিয়ে মুম্বই

    বিশ্বে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা শহরগুলির মধ্যে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে মুম্বই (Mumbai)। বিশ্বে সবথেকে বেশি বিলিওনিয়ারের বাস নিউ ইয়র্কে। ১১৯ জন কোটিপতির ঠিকানা হল এই শহর। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে লন্ডন (৯৭)। এর পরের স্থানে আছে মুম্বই। এই সাফল্যের সৌজন্যে চিন ও আমেরিকার পর ভারত বিলিওনিয়ারদের তৃতীয়তম স্থানে থাকা দেশ। ভারতের ধনকুবেরদের মধ্যে শীর্ষে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। যাঁর মোট সম্পদের মূল্য ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ-সহ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। মাত্র এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষেই তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে চড়ছে পারদ

    দিল্লির রেকর্ড

     নয়াদিল্লিও ইতিহাসে প্রথমবারের মতন ঢুকে পড়েছে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের টপ ১০টি শহরের মধ্যে। সেখানে প্লাম বিচ, ইস্তানবুল, মেক্সিকো সিটি এবং মেলবোর্ন স্থান পেয়েছে প্রথম ৩০টি শহরের মধ্যে। গত বছরের তুলনায় মুম্বইয়ের সম্পদ যেখানে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে বেজিং-এর কমেছে ২৭ শতাংশ। এই বছর চিনে যেখানে ৫৫ জন নতুন বিলিওনিয়ার উঠে এসেছেন সেখানে ভারত সাক্ষী থেকেছে নতুন ৯৪ জন বিলিনিয়ারের উত্থানের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আবহেই বেজিংয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল। মাঝে কোভিড এর কারণে এই বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। এই বৈঠকে দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দেয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে ভারত। বেজিং থেকেই চিনকে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    সেনা সরানোর দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদিও পূর্বাঞ্চলে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যকরী কোনও আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুই দেশের আলোচনার পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “কোনও বিবাদ কিংবা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের সেনাবাহিনী আলোচনার ভিত্তিতে কিংবা কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজবে।”  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত নিয়ে বুধবার বেজিংয়ে ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব।

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    ২০২০ সালের মে’তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরুর পর ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন’ সক্রিয় করা হয়। একাধিকবার দু’দেশের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তাতে কিছুটা বরফ গললেও স্থায়ী সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তে সংঘাতের সমাধান না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকত্ব ফিরবে না। যদিও চিনের বরাবরের দাবি, সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। অবশেষে বহুবার আলোচনার পর লাদাখের প্যাংগঙ হ্রদ, গোগরা এবং হট স্প্রিং অ়ঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দু’পক্ষ। তবে দেপসাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়ে এখনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বিতর্কিত দুই অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Covid: বিক্ষোভ কমাতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাচ্ছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    China Covid: বিক্ষোভ কমাতে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠাচ্ছে চিনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে চিন (China Covid)। শি জিনপিং- এর ‘জিরো কোভিড পলিসি’, তাঁর বিরুদ্ধে দেশের জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। বন্দিদশায় আর থাকতে চান না চিনা নাগরিকরা। রাজপথে ‘হয় স্বাধীনতা দাও, না হলে মৃত্যু” শ্লোগান তুলেছেন দেশের তরুণরা। জিংজিয়াং, বেজিং সর্বত্রই একই ছবি। বিক্ষোভ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে চিন প্রশাসন। এই বিক্ষোভের প্রথম সারির মুখ তরুণ প্রজন্ম। আর সেই বিক্ষোভের আগুনে জল ঢালতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

    শেষ কয়েক দশকে এই প্রথম বারের মতো চিনের (China Covid) কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাস্তায় নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ। চিনের হাজার হাজার মানুষ চিনা কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে ‘গদি ছাড়া’র দাবি তুলেছে। তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। চিনের জনতাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে প্রশাসন। শি জিনপিং- এর পদত্যাগ দাবিতে সরব হয়েছে চিনের নাগরিক। 

    তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। নিয়মিত কোভিড পরীক্ষা, কড়া লকডাউন বিধির ভার, কঠোর সেন্সরশিপ এবং সব কিছুর উপর কমিউনিস্ট পার্টির হস্তক্ষেপ—এই সব থেকেই মুক্তির দাবি তুলেছেন সে দেশের মানুষ। এদের মধ্যে তরুণ-যুব পড়ুয়াদের সংখ্যাই বেশি। স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাওয়ার দাবিতে যেন অনেকটা সাহস বুকে ভর করে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের তরুণ প্রজন্ম।  তাই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে চায় জিনপিং (China Covid) প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    সাধারণ মানুষের (China Covid) অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনও করোনা-শূন্য নীতি থেকে সরে আসেনি। অর্থাৎ, দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়ার পর্যন্ত কড়াকড়ি বন্ধ থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের রোজগারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।

    সম্প্রতি জিনঝিয়াং প্রদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ওই প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতলে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান দশ জন চিনা নাগরিক (China Covid)। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্দি থাকার জন্যই অনেকে আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আগুন লেগে যাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। চিনা প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শি জিনপিং- এর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ইতিমধ্যেই সে দেশের সমস্ত বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share