Tag: Belur

Belur

  • Kalpataru Utsav: কল্পতরু উৎসবে জমজমাট বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর, কামারপুকুরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    Kalpataru Utsav: কল্পতরু উৎসবে জমজমাট বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর, কাশীপুর, কামারপুকুরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের কল্পতরু উৎসবে (Kalpataru Utsav) ভক্তদের ব্যাপক ঢল দক্ষিণেশ্বর ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। বছরের প্রথম দিনে এই উৎসবকে ঘিরে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে। সকাল থেকেই মা কালীকে দর্শন করে পুজো দিতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা সমবেত হয়েছেন। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা রয়েছে ভবতারিণী মন্দিরে (Dakshineswar)। অপর দিকে কাশীপুরেও সকাল থেকেই ঠাকুর দর্শন করতে প্রচুর ভক্তের সমাবেশ হয়েছে। একইভাবে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে বেলুমঠে ঠাকুরের পুজো ও আরাধনা। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সকল ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনুমানিক লক্ষাধিক ভক্তের আগমন হয়েছে।”

    পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো (Kalpataru Utsav)

    আজকের দিনে কাশীপুরে খুব ধুমধাম করে কল্পতরু উৎসব (Kalpataru Utsav) পালন করা হয়। পুজোর সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একই ভাবে হাওড়ার বেলুড়ে এদিন ভক্তদের মারাত্মক ভিড় ছিল। নতুন বছরের শুভ কামনায় ঠাকুরের কাছে সকল ভক্তরা উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। একই ভাবে হুগলির কামারপুকুরের পাশপাশি পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো ছিল। এই বছর জনাই পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমের ৫০ তম বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে।

    হংসেশ্বরী দক্ষিণা কালী মন্দিরেও ব্যাপক ভিড়

    বেলা যত বেড়েছে ভিড় তত বেড়েছে। হুগলির বাঁশবেড়িয়া হংসেশ্বরী মন্দির প্রায় ২১১ বছরের পুরাতন মন্দির। রাজা নৃসিংহ দেবরায় নির্মাণ করেছিলেন এই মন্দির। দক্ষিণাকালী রূপে মায়ের পূজা করা হয় এখানে। প্রতিবছর কল্পতরুর (Kalpataru Utsav) দিনে জেলা এবং জেলার বাইরের অনেক মানুষ এখানে আরাধনা করতে আসেন। এখানেও লৌকিক বিশ্বাস, যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায় মায়ের কাছে। তাই প্রতি বছর পুজো দেওয়ার জন্য অনেক লোকসমাগম হয়।  

    বারুইপুরে কল্পতরু উৎসব কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম

    আজকের দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে কল্পতরু উৎসব (Kalpataru Utsav) উপলক্ষে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। মদনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুবন টগরবেড়িয়া বিশালাক্ষী মায়ের মন্দিরে কল্পতরু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মন্দিরে পুজোদিলে ভক্তদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। আজ থেকে প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেই সময় ঘন জঙ্গলে ডাকাত থাকত এলাকায়। ডাকাতির পর এই মন্দিরে বসে লুটের মাল ভাগ হত। একই ভাবে ডাকাতির পর অর্জিত ধনের কিছু অংশ মায়ের মন্দিরে অর্পণ করা হত। মন্দিরে ঘোরা ফেরা করত প্রচুর সাপ।

    কবে থেকে চালু কল্পতরু উৎসব?

    ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কল্পতরু উৎসবের (Kalpataru Utsav) সূচনা হয়েছিল। ঠাকুর রামকৃষ্ণ ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’। এরপর থেকে দিনকে স্মরণ করে পালিত হচ্ছে কল্পতরু উৎসব। এদিন ঠাকুর নিজের বিগ্রহে কল্পতরু রূপে বিরাজমান হন। মা কালী ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূরণ করে থাকেন। উল্লেখ্য, এই দিনের কিছু মাস পরেই ঠাকুর নিজের দেহ রক্ষা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Belur Math: বেলুড়-কামারপুকুরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৯ তম জন্মতিথি পালন

    Belur Math: বেলুড়-কামারপুকুরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৯ তম জন্মতিথি পালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাসমারোহে আজ বেলুড় মঠে (Belur Math) পালিত হচ্ছে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৯ তম জন্মতিথি উৎসব। আজ ভোরে মূল মন্দিরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর সন্ন্যাসী ও ভক্তরা খোল-করতাল বাজিয়ে মঠ চত্বরে ঊষা-কীর্তন করেন। আজ দিনভর বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ বন্দনা, কথামৃত পাঠ, ভক্তিগীতি, ধর্মসভা চলবে। দর্শনার্থীদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও থাকছে। একই ভাবে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম দিনে ঠাকুরের জন্মস্থান কামারপুকুরে ব্যাপক ভক্তের ঢল দেখা গেল। ঠাকুরের এই আবির্ভাব তিথিকে ঘিরে তিন দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    ভোর ৪ টে থেকে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু পূজাচার (Belur Math)

    আজ ২৮ ফাল্গুন, মঙ্গলবার ঠাকুর রামকৃষ্ণের পরমহংসের আবির্ভাব তিথি। আজ ভোর ৪ টে থেকেই মঙ্গলারতি, বেদপাঠের মধ্যে দিয়ে পুজোর সূচনা হয়। এরপর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ শুরু হয়। সেই সঙ্গে বিশেষ চণ্ডী পুজো করা হয়। সকাল সাড়ে ৭ টার সময় কামারপুকুর এলাকায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন হাজার হাজার ভক্তরা ঠাকুরের মন্দিরে উপস্থিত হন। নিজের নিজের মনোবাঞ্ছার কথা জানিয়ে ঠাকুরের স্মরণে আসেন প্রচুর ভক্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থ্যা করা হয়। একই ভাবে বেলুর মঠেও বিরাট আয়োজন করা হয়। রামকৃষ্ণ সম্পর্কিত বিভিন্ন পুজোপাঠ ভজন কীর্তন করা হয়। রামকৃষ্ণ মঠের পক্ষ থকে আগত ভক্তদের জন্য করা হয় প্রসাদের ব্যবস্থা।

    মঠ অধ্যক্ষের বক্তব্য  

    কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ লোকোত্তরানন্দ বলেন, “আমরা কামার পুকুরের মঠে শ্রী রামকৃষ্ণের (Sri Rama Krishna) ১৮৯ তম জন্মতিথি উৎযাপন করছি। গ্রামবাসী, পড়ুয়া, ভক্তবৃন্দ মিলে শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেছে। ধর্মীয় আলোচনা সভা থেকে যাত্রাভিনয়ের আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনের এই মহোৎসবে আশে পাশের স্কুলগুলিকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। স্থানীয় দুস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে।” আবার এক ভক্ত শিখা মিত্র বলেছেন, “কামারপুকুরে এলে ঠাকুরের কাছে মনের কথা বলতে পারি। এখানে আসলে মনের পরিবর্তন হয়। মানসিক শান্তি পাই। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share