Tag: Bengal corruption

Bengal corruption

  • Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ঋণদান সমবায় সমিতির ঋণপ্রদানে বহু জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ হাতে পেল সিবিআই। সমবায় থেকে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যে ওই সমবায় থেকে ঋণদানের বেশ কিছু রেজিস্টার সহ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে সেই হিসেব মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। ঋণগ্রহীতাদেরও যেন মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন সমবায়ের আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশ। পরিকল্পিতভাবে সমবায়ের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে, সমবায়ের টাকা নযছয় করার পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা, সেটাই তদন্তকারীরা খুঁজতে শুরু করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়কে সিবিআই বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে, তবে এ নিয়ে তদন্তকারীরা এখনই মুখ খুলতে নারাজ।

    ঋণগ্রহীতাদের জিজ্ঞাসাবাদ (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ার সমবায় ঋণদান সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সমবায়ের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই সমবায় থেকে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, আদৌ কি তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল? এনবিএসটিসির এক কর্মী পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, সিবিআইয়ের নোটিশ পেয়ে আলিপুরদুয়ারে ছুটে এসেছি। ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। তার অনেকটা পরিশোধ করেছি। বাকি ঋণ শোধ করতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি সমবায়ের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিস্তারিত সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জানিয়েছি। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার এক কর্মী সিবিআই নোটিস পেয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন। পৌরসভার ওই কর্মী বলেন, বাবা এক লক্ষ টাকা সমবয় থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, উনি মারা গিয়েছেন। এখন তদন্তকারীদের কাছে যে রেকর্ড দেখছি, তাতে ঋণের পরিমাণে এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা লেখা রয়েছে। এতেই আমার সন্দেহ হচ্ছে, বাকি টাকা ঋণ না দিয়ে মৃত বাবার নামে লিপিবদ্ধ করে সমবায়ের কেউ সেই টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। চিলাপাতার একটি রিসর্টের কর্মী তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে দু’ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা কিভাবে হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কোটমোড় এলাকার এক জেরক্স ব্যবসায়ী বলেন, সমবায়ের এক কর্মী এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা আমাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই ঋণের টাকা একবারে পাইনি, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে চার হাজার টাকা সেই সমবায় কর্মী বকশিস আদায় করেছিল। পুরো বিষয়টি সিপিআই তদন্তকারীদের জানিয়েছি।

    মূল মাথার হদিশ চলছে (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ারের সমবায় দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই সমবায়ের কর্মী, আধিকারিক থেকে পরিচালন কমিটির পদাধিকারী, এমনকি এজেন্টদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি তাঁরা ঋণ গ্রহীতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্থিক তছরুপের সুলুক সন্ধান করার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় আরেকটি সংস্থা ইডি সম্প্রতি ওই সমবায়ের আধিকারিক ও কয়েকজন পদাধিকারীকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সমবয় (Alipurduar) বিপুল পরিমাণ অর্থ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে নয়ছয় করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন। তবে ওই আর্থিক তছরুপের পিছনে বড়সড় মাথার হাত না থাকলে এসব সম্ভব হতে পারে না। তাই কিছু কর্মী-আধিকারিকদের দুর্নীতির সরাসরি যোগসূত্র থাকলেও এখনই তাদেরকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা গ্রেফতার না করে, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালী মূল মাথার হদিশ পেতে চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) হাত বদল হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এতদিন এই মামলায় তদন্ত করছিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হয়েছে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ও সায়গলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়গলকে হেফাজতে নিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছে ইডি। আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চান ইডির আধিকারিকরা। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তারই খোঁজ পেতে চাইছেন তাঁরা।

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যে নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে জোড়াফুল জমানায়। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহ বেশ কয়েকজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটির কাছাকাছি টাকা। নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনাও। রাজ্যে আগাছার মতো বেড়ে ওঠা এই সব কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে তদন্ত গতি আনছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ইডির ২০ জন আধিকারিক। চলতি সপ্তাহেই আরও কয়েকজন আধিকারিক এসে পৌঁছবেন বলে ইডি সূত্রে খবর। নানা ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও আর্থিক তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সব তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বড় টিম তৈরি করতে চাইছে ইডি। তাই দিল্লি থেকে আসছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, ইডির আধিকারিকদের এই টিম একসঙ্গে একাধিক জায়গায় হানা দেবে। পার্থ–অর্পিতা মামলার তদন্তের পাশাপাশি কয়লা পাচার ও গরুপাচারে আর্থিক বিষয়ে কেলেঙ্কারির দিকটি খতিয়ে দেখবে ১০টি টিম। ইডি সূত্রে খবর, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এখনও রয়েছেন যাঁদের এখনও ছোঁয়া হয়নি। তাঁদের ধরতে গেলে এক জায়গায় হানা দিলে হবে না। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিতে হবে। সেই কারণেই কলেবর বাড়ছে ইডির। 

    প্রসঙ্গত, কোনও মামলার দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখে সিবিআই। আর আর্থিক তছরুপের দিকটি নিয়ে তদন্ত করে ইডি। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সত্য উদ্ঘাটন করতে আসরে নেমেছে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল হককে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। একটি সূত্রের খবর, এবার ওই মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকেও হেফাজতে নিতে চাইতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
LinkedIn
Share