Tag: Bengal Recruitment Case

Bengal Recruitment Case

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়ক তাপস ‘ঘনিষ্ঠ’ ইতিকে ফের তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়ক তাপস ‘ঘনিষ্ঠ’ ইতিকে ফের তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের সিবিআই-এর তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকার।  নদিয়া জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইতিকে তলব করেছে সিবিআই।  নদিয়া জেলার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ ইতি আগেও গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    কেন তলব ইতিকে

    বৃহস্পতিবার তাপস ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ইতিকে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। কেন তাঁকে তলব করা হল তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরির দেওয়ার মামলাতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে ইতিকে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা মূলত চাকরি সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও তাপস সাহার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি জানতে চান। ইতি দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন সরকারি স্কুলে স্কুলের পোশাক সরবরাহের ব্যবসায় যুক্ত। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও করে থাকেন। তাঁকে জেরা করে সিবিআই (CBI) কোনও নতুন তথ্যের সন্ধান করতে চাইছে বলেই অনুমান।

    আরও পড়ুন: নিজস্ব পেমেন্ট অ্যাপ চালু করল ফ্লিপকার্ট! জানেন কীভাবে ব্যবহার করবেন?

    তাপসকে জেরা

    গত শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তাপসকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। সেই দিন তাপসের কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করে সিবিআই। তার সাত দিনের মধ্যেই তাপস-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রীকে তলব করায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমবার তাপস সাহাকে সঙ্গে নিয়েই ইতি সরকারের বাপের বাড়ি বেতাইয়েরই কাছের বিআর আম্বেদকর কলেজে তল্লাশি চালিয়েছিল গোয়েন্দারা। তল্লাশি চলেছিল তাপসের বাড়িতেও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বেশ কয়েকজন ‘বড় নাম’-কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করতে পারে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Recruitment scam: জমিতে ফল-সবজি চাষ করে ২৬ কোটি টাকা আয়! প্রসন্নর জবাব মানছে না ইডি

    Bengal Recruitment scam: জমিতে ফল-সবজি চাষ করে ২৬ কোটি টাকা আয়! প্রসন্নর জবাব মানছে না ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকবছর ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি (Bengal Recruitment scam) মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে তাঁকে টানা জেরা করা হয়েছে। তাঁর সম্পত্তি খতিয়ে দেখে বিভিন্ন সংস্থা মিলিয়ে ২৬ কোটি ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার হদিশ পায় তদন্তকারীরা। এরপর এই টাকার উৎস কী তা জানতে চাওয়া হলে প্রসন্ন দাবি করেন, তিনি জমিতে চাষ করান। পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটো, কলা, বিনস, সর্ষে-সহ বিভিন্ন ফল ও সবজি চাষ হয় তাঁর জমিতে। আদালতে ইডির দেওয়া চার্জশিটে অন্তত তেমনই জানানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy) জানিয়েছেন এই সব ফসল চাষ করেই তিনি ২৬ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। 

    ইডির দাবি (Bengal Recruitment scam)

    চার্জশিটে ইডির দাবি, প্রসন্নর যা জমি রয়েছে তাতে আদৌ কোনওদিন কোনও চাষই হয়নি। যে টাকা লেনদেন হয়েছে তা নিয়োগ দুর্নীতিরই। আদালতকে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে নিজেকে চাষি সাজিয়েছেন প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)।  কিন্তু তাঁর সঙ্গে যুক্ত সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে চাষের কোনও তথ্য পাননি ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী, কোনও সংস্থার অধীনে সর্বোচ্চ সাত কাঠা জমি রাখা যায়। প্রসন্নর নামে থাকা ৯১টি সংস্থার অধীনে সাত কাঠা করেই জমি রয়েছে। আইনের চোখ এড়াতেই এত সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ভর্তৃহরি মহতাব-কে লোকসভার প্রোটেম স্পিকার পদে নিয়োগ রাষ্ট্রপতির, জানুন তাঁর পরিচয়

    উল্লেখ্য, এসএসসি মামলায় (Bengal Recruitment scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের প্রসঙ্গে প্রসন্নের নাম উঠে এসেছিল। অভিযোগ, তিনি শান্তিপ্রসাদের ‘ঘনিষ্ঠ মিডলম্যান’। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও প্রসন্নের যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল সিবিআই সূত্রে। নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের (Prasanna Roy) নাম পেয়েছিল সিবিআই। এরপর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্টে প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ৮-ঘণ্টা জেরা, নতুন কোন তথ্য পেল সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ৮-ঘণ্টা জেরা, নতুন কোন তথ্য পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সন্তুর নাম জানতে পেরেছে সিবিআই।

    কেন সন্তুকে তলব

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ে ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অয়নশীল ধৃত কুন্তল ঘোষের কথাতেই ২৬ লক্ষ টাকা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ফেলেছিলেন। কিন্তু এই ২৬ লক্ষ টাকা কেন অয়ন শীল এই ব্যবসায়ী তথা রাজনৈতিক নেতার অ্যাকাউন্টে ফেলেছিলেন, সেই তথ্যই জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। আধিকারিকদের সঙ্গে বারংবার কথা বলার পর সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম পরিচয় সামনে আসে তদন্তকারীদের ৷ সেই মতো বেহালায় সন্তু একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখযোগ্য কাগজপত্র পাওয়ার পরেই সেগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার সন্তুকে তলব করা হয় ৷

    আরও পড়ুন: আজ শুরু দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন, ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ

    এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার তদন্তে সন্তুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে।  বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে সকাল ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান সন্তু। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেরিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে কী জানিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির কাছে সন্তুর কথা প্রথম বলেছিলেন হুগলির ব্যবসায়ী অয়নই। টেট দুর্নীতির পাশাপাশি পুরনিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ইডির দাবি, অয়ন এই সকল নিয়োগ পরীক্ষার কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে বেআইনি ভাবে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বদলেছিলেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন জেরায় জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তুকে টাকা দিয়েছিলেন। আর তা দিয়েছিলেন কুন্তলের কথায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে শতাধিক অভিযুক্ত! ১৭০০০ পাতার নথি-সহ চার্জশিট ইডির

    Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে শতাধিক অভিযুক্ত! ১৭০০০ পাতার নথি-সহ চার্জশিট ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দিল ইডি। এসএসসির নবম-দশম, একাদেশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে বৃহস্পতিবার ইডির বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ৩০০ পাতার মূল চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। তালিকায় রয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রসন্ন রায় সহ ১৮ জন এবং ৯০ টি সংস্থার নাম। 

    চার্জশিটে কী বলা হয়েছে

    ইডি মনে করছে, এই মামলায় (Recruitment Scam) একাদশ-দ্বাদশ অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা ১১২০ জনের কাছাকাছি। নবম-দশমে সেই সংখ্যা ৯৪৬ জনের কাছে। এই মামলায় একাধিক মিডলম্যান জড়িত রয়েছে বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। মূল চার্জশিটের পাশাপাশি ১৭ হাজার পাতারও বেশি নথি আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শান্তিপ্রসাদ ও প্রসন্ন রায়-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দাখিল করেছে। এছাড়াও প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যুক্ত ৯৩টি সংস্থার বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে মূল পাতার সংখ‌্যা প্রায় ৩০০। যদিও নথি-সহ ১৭ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। সাক্ষীর সংখ‌্যা ২০ জনেরও বেশি। চার্জশিটে উল্লেখ করা আছে যে, ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। নগদ ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রসন্ন রায় তাঁর নিজের এজেন্টদের মাধ‌্যমে বিপুল টাকা তুলতেন। প্রত্যেকটি জেলা থেকেই বিপুল টাকা তোলা হয়। এর পর সেই কালো টাকা ৯৩টি ভুয়ো সংস্থার মাধ‌্যমে সাদা করা হয়। এই চক্রের কাণ্ডারী ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এমনই অভিযোগ ইডির।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা! প্রথম পর্বের প্রচার শেষ, শুক্রে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    ইডির দাবি

    নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Case) অভিযোগে ২০২২ সালের ১০ অগস্ট এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার আগে ওই বছরের ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছিল শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্রুত বিচার শুরু করার কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্রুত বিচার শুরু করার কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর বন্দোবস্ত করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের দ্রুত সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিচারব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে পড়বে, সোমবার এমনই মত প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ মামলার শুনানিতে সিবিআইকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল সোমবার। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এদিন তাঁদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়নি। ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট সিবিআইয়ের কাছ থেকে চেয়েছে আদালত। হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে সিবিআইকে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি বাগচী মন্তব্য করেছেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না। 

    আরও পড়ুুন: “রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান”, ভারতের কাছে কাতর আর্জি ৪ নেপালির

    সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    সিবিআই নিয়োগ মামলার (Recruitment Scam) চার্জশিট পেশ করেছে। তবে আরও কিছু তদন্ত বাকি আছে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন আপনারা দ্রুত ট্রায়াল শুরু করছেন না? সাজা ঘোষণা না হলে একটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। জাপান, সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত সাজা ঘোষণা করে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে কেন ট্রায়ালই শুরু করা যাচ্ছে না?’’ বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের আইনজীবী অমাজিৎ দে জানান, চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ বাকি রয়েছে। সেটি দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: ‘‘সবার সামনেই এই দুর্নীতি হয়েছে’’, প্রাথমিক মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

    Primary Recruitment Case: ‘‘সবার সামনেই এই দুর্নীতি হয়েছে’’, প্রাথমিক মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Case) সিবিআই রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতির দাবি, এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে পূর্ণ রাজনীতিক, আধা রাজনীতিক, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সবাই সব জানতেন। পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “সিবিআই রিপোর্টে এমন কিছু আছে যা এই মুহূর্তে সবার সামনে আনা সম্ভব নয়! সবটাই নাকের নীচে হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই রাজ্যে কোনও ‘ ফুল বা বোকা ‘ আছে! রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতেন না, এমনটা হতে পারে না! এটা যেন আরেকটা সারদা মামলা না হয়।” এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। এও বলেন যে, ইডির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নেবে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ

    বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি জানান, দ্বিতীয় চার্জশিট তৈরি করা হবে শীঘ্রই। তখনই বিচারপতি ইডির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। জানান, ইডির সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ রাখেনি সিবিআই। তাই চার্জশিটে প্রাথমিক মামলার (Primary Recruitment Case) সব অভিযুক্তের নাম নেই। অবিলম্বে ইডির সঙ্গে সিবিআইকে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিবিআই-এর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “অনেক অভিযুক্তর নাম চার্জশিটে নেই, ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আরো অনেক তথ্য পাবেন। বিশাল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্রুত চার্জ গঠন করে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুন।” আগামী ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, এদিনই অন্য একটি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দুর্নীতির শিকড়ে (Recruitment Scam) পৌঁছতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান। তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছছে সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে ওই দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে।  

    পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য

    পাটুলিতে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসাবেই পরিচিত তিনি। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা বাড়ির সদর দরজার সামনে কড়া নাড়েন। বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর নিজেই দরজা খুলে দেন বাপ্পাদিত্য। সিবিআই আধিকারিকেরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ দেবরাজ

    এদিন সকাল ৯টা ১০ নাগাদ বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। তখন দেবরাজ বাড়িতে ছিলেন না। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়ি পৌঁছে যান। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। দেবরাজ তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। এর আগেও তাঁকে একটি মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক মহলে তাঁকে অনেকেই চেনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে।

    আরও পড়ুন: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    সিবিআই তল্লাশি মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারেও

    সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। ডোমকলের পাশাপাশি বড়ঞাতেও চলছে তল্লাশি। সেখানে ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। আবার বড়ঞাতে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    Recruitment Scam: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ সেই জন্যই গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। এমনটাই দাবি এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যদিও এই রিপোর্ট মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাদের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তদন্ত বিলম্বিত করতে এই কাজ করা হচ্ছে।

    কেন কণ্ঠস্বরের নমুনা চায় ইডি

    আদালতের নির্দেশে ইডির আধিকারিকরা চলতি সপ্তাহেই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চান। গত ৩০ মে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। তার আগে সুজয় ঘনিষ্ঠ হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, এই যুবকের মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন সুজয়। ওই যুবকের ফোন থেকে একটি কল রেকর্ডিং পাওয়া যায়। যাতে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলো।’ সেই বক্তব্য কাকুরই কি না তা জানতে গত ৬ মাস ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইডি। 

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সুজয়ের উপর মানসিক চাপ রয়েছে। গলার স্বরের নমুনা দিতে গেলে সেই চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই নমুনা সংগ্রহে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া যাচ্ছে না। মানসিক চাপের সমস্যা মেটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও পরামর্শ করা হতে পারে। হাসপাতালের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইডি। তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ না করার জন্য যে যুক্তিগুলি দিচ্ছেন, তা ভিত্তিহীন। যে মেডিক্যাল বোর্ড ‘কালীঘাটের কাকু’কে দেখছে, তার নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আদালতে ইডি এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, স্বরের নমুনা নিতে বাধা দিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ আসলে ইডির কাজে এবং বিচারপ্রক্রিয়াতেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

    আরও পড়ুন: বোলিংয়ে বিশেষ নজর! আইপিএল নিলামে নাইটদের ভাবনায় কারা?

    ইডির দাবি

    এরপরই ইডির তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, জোকা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ইডি সূত্রে খবর, সেই নির্দেশ হাতে পেয়েই সোমবার ছুটির দিনেও কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশের কথা জানিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ, জোকা ইএসআই হাসপাতালকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি সপ্তাহেই নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত সিবিআই এবং ইডিকে দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সব মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকেও কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসে শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    প্রসঙ্গত, এসএসসি সংক্রান্ত অনেকগুলি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে এর আগে একবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছিল বিচারপতি বোস এবং বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয় বলেছিলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সাল-সহ বিভিন্ন বছরের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এতগুলি মামলার মধ্যে কোনটা আগে শুনব?’’ আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী পাওয়া গিয়েছে, তা এদিন আদালতকে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এদিন আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপরই এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চায় সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চারজন চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানোর অনুমতি চাইল সিবিআই। আলিপুর আদালতে এই মর্মে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে আদালতে আগেই সিবিআই-এর সামনে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এই ৪ জন। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চাইছে সিবিআই (CBI)। 

    কেন চাকরিপ্রার্থীদের গোপন জবানবন্দি

    সিবিআই সূত্রের খবর, টাকা দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে চেয়েছিলেন যাঁরা, এ বার তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করাতে চায় সিবিআই। যে চার চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা আদালতকে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি, তাদের সঙ্গে অবশ্য আগেও কথা বলেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এঁদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ঘুর পথে চাকরি পেতে কী পদ্ধতিতে টাকা দিতে হয়েছিল তাঁদের? কোথা থেকে কী ভাবেই বা জেনেছিলেন এ ব্যাপারে? কারা এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখতেন তাঁদের সঙ্গে? সূত্রের খবর, আদালত যদি সিবিআইয়ের গোপন জবানবন্দির আবেদন মঞ্জুর করে, তবে ওই চাকরিপ্রার্থীদের এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আবার জানাতে হতে পারে ম্যাজিস্ট্রের সামনে। তবে এর পাশাপাশি অন্য প্রশ্নেরও উত্তর দিতে হতে পারে। তবে যেহেতু এই প্রথম নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই এই চাকরিপ্রার্থীদের গোপন জবানবন্দির আবেদন করেছে, তাই তাঁদের বক্তব্য এবং তা থেকে কী তথ্য উঠে আসতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চায় সিবিআই

    প্রথম দিকে তা কেবল শাসকদলের হেভিওয়েটের দিকে ফোকাসড থাকলেও, এখন সেই পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরাও। কে বা কারা এই দুর্নীতির (Recruitment Scam) শিকার হয়েছেন, বা কারা এই দুর্নীতিতে সামিল হয়েছেন, সবেতেই কড়া নজর দিয়েছে সিবিআই। এর আগে গত ৭ অগস্ট টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া চার অযোগ্য শিক্ষককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করেছিল সিবিআই। এবার চার চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার পথে সিবিআই।

LinkedIn
Share