Tag: Bengal

Bengal

  • Calcutta High Court: জরুরি তলব! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

    Calcutta High Court: জরুরি তলব! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি (West Bengal Board Of Primary Education) গৌতম পালের বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের নির্দেশ পালন করা হয়নি তাই হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতির তলব পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে এসে হাজির হয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, ‘‘আমি আপনার বেতন বন্ধ করে দিচ্ছি। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দেবেন।’’ শুনে গৌতম দৃশ্যতই ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘দয়া করে এটা করবেন না। বাড়িতে ৮০ বছরের মা, আয়ের অন্য উৎস নেই।’’

    কেন এই তলব

    টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি গকীঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ পর্ষদ পালন করেনি বলে অভিযোগ এসেছিল বিচারপতির কাছে। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীনই পর্ষদ সভাপতিকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর ৩টের মধ্যে এসে দেখা করতে বলেন তাঁর এজলাসে। তলব পেয়ে দ্রুত আদালতে হাজির হন পর্ষদ সভাপতি গৌতমও। দিন কয়েক আগেই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে আদালতে (Calcutta High Court) চ্যালেঞ্জ করেছিলেন গৌতম। ওই মামলা প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখলে আবার এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ নিয়ে কিছু না বললেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন আমনা পারভীন। তাঁর অভিযোগ, তিনি ২০১৪ সালে টেটে অংশ গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি জানতে পারেন যে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। কিন্তু পরে দেখা যায় যে তিনি পাস করেছেন। ফলে তিনি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। চলতি বছরের ৭ ই জুন তার ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিন সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। ১৪ ই জুলাই শুনানির সময় মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান পর্ষদের আইনজীবী। এদিন আদালতে এসে এক সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের আশ্বাস দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন-পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মতো রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্যে। শুক্রবার বিশেষ বিমানে লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই বাহিনী নামে পানাগড়ে। সেখান থেকেই তাঁদের মোতায়েন করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

    লেহ্ থেকে এল বাহিনী

    যেহেতু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতে আর মাত্র ঘণ্টা কয়েক বাকি, তাই চাহিদা মতো বাহিনী মিলবে কিনা, তা নিয়ে ছিল সংশয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায়, লাদাখের লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি ও দুই প্লাটুন বাহিনী আসছে পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে।

    সব বাহিনী আসবে এদিনই

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। তার পর আদালতের গুঁতোয় সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে যেহেতু একেবারে শেষ পর্যায়ে কমিশনের তরফে বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তাই বাহিনী আসতে সময় লাগছে। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে চাহিদা মতো বাহিনী চলে আসবে শুক্রবারই।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    জানা গিয়েছে, যেখানে ১ থেকে ২টি বুথ রয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ১২ জন জওয়ান। ৭ এবং ৭-এর বেশি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় মোতায়েন করা হবে ১৬ জন জওয়ান। স্ট্রং-রুম পাহারায় থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে স্পর্শকাতর (Panchayat Election 2023) বুথ রয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪টি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অস্বাভাবিক খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের গঠিত স্বাস্থ্য কমিশনের(Health Commission) মোট ২৬টি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, এমন নির্দেশ জারির অধিকার ওই কমিশনের নেই। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে রাজ্য সরকার।

    আদালতের নির্দেশ

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court)কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতার একটি প্রথম সারির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা ২০২০-র ২৭ জুলাই থেকে পরের বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের জারি করা ২৬টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় ১৬ মে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে বলেন, রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশ এক্তিয়ার বহির্ভূত। নির্দেশগুলি অসাংবিধানিক ও অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য সেগুলি প্রত্যাহার করে নিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    আদালতের (Calcutta High Court) বক্তব্য, এই ধরনের পদক্ষেপের কোনও সংস্থান নেই ২০১৭-র ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে, যার বলে কমিশন গঠিত হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা অবশ্য সওয়াল করেছিলেন যে, জনস্বার্থে এবং রোগীস্বার্থেই এই ধরনের নির্দেশিকা কমিশন জারি করেছে। কিন্তু আইনি প্রশ্নে তাকে আদালত মান্যতা দেয়নি। এই প্রসঙ্গে অতীতের বিভিন্ন মামলার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে এমন পদক্ষেপ কমিশন যেন আর না করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিষেবার রেট বেঁধে দেওয়াও কমিশনের এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই রায় সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • DA Protest: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA Protest: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়ে বকেয়া ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে আজ, সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু’দিনের অবস্থানে বসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। একইসঙ্গে কলকাতাতেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন ১২০০ ডিএ আন্দোলনকারী। তবে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্তে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ করতে হয়েছে আন্দোলনকারীদের।

    রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে অফিসে ছুটি নিয়ে রবিবার সকালেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায় আড়াইশো জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। আরও শ’তিনেক কর্মী এদিন সকালে পৌঁছেছেন। বকেয়া (DA Protest) আদায়ে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। মঞ্চ নেতৃত্বের দাবি, সকলেই তাঁদের দেখা করার সময় দিয়েছেন। এ দিকে দিল্লিতে এই অবস্থান চলাকালীনই কাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সেদিকেও নজর থাকবে ডিএ ধর্নায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের। 

    কড়া পদক্ষেপ নবান্নের!

    এদিকে জানা গিয়েছে, মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দিল্লিতে দু’দিনের ধর্নায় অংশ নিতে যাওয়া সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নবান্ন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার চিন্তা ভাবনা চলছে উচ্চ পর্যায়ে। তবে তাতে দিল্লি ধর্না কর্মসূচি বাতিল হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘সরকারি কর্মীরা দিল্লির অবস্থানে গিয়েছেন ছুটি নিয়ে। কলকাতা ময়দানেও তাঁরা ছুটি নিয়েই অবস্থান চালাচ্ছেন।’ কিন্তু নবান্নর কর্তাদের প্রশ্ন, সকলে মিলে এ ভাবে ছুটি নিয়ে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া যায়? সরকারের মত, কর্মচারীদের ধর্নার ফলে সরকারি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে আমজনতার। তাই ধর্নায় যোগ দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অপরদিকে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ প্রতিনিধি এবং সরকারের তরফে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব সেই বৈঠকে থাকবেন। আগামী ১৭ এপ্রিল সেই বৈঠক হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে রাজ্যে রয়েছে ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনামতো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পূর্ব ঘোষিত স্কুলগুলিতে পরিদর্শনেও যাচ্ছেন। এবার তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, অসত্যকে ঢেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সেই সমস্ত স্কুলেই নিয়ে যাচ্ছে যাদের আগে থেকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়ম লুকোতে মিড মিল স্টাফদেরও এতে সামিল করা হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    মঙ্গলবার এক ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু দাবি করেন, ‘মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Team) উচিত নিজেদের মতো যেমন খুশি তেমন স্কুল বেছে হানা দেওয়া। নইলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে না। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বাছাই করা স্কুলে মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে জানানো বলে রান্নার কর্মীদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস ও টুপি পরে দেখা যাচ্ছে। আর রান্নাঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যেতে হবে।”

    এই ট্যুইটের সঙ্গেই তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও স্ক্রিনশট দেন। যেখানে মিড-ডে-মিলের রাঁধুনীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সোমবার থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অনুসন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    এদিনই কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা মিলেছে, বলে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: কালই শহরে মোদি! জেনে নিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তিত সময়

    Narendra Modi: কালই শহরে মোদি! জেনে নিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তিত সময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষের আগের দিন। উৎসবমুখর কলকাতা। এমনই সময় শুক্রবার শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সফর ঘিরে বাংলায় সাজো সাজো রব বাংলায়। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বর। পাশাপাশি নতুন করে সেজে উঠছে ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন সহ গঙ্গা তীরবর্তী চক্ররেলের স্টেশনগুলি। স্ট্র্যান্ড রোড থেকে সরানো হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় হোর্ডিং। তুলে দেওয়া হয়েছে রাস্তার আশেপাশের দোকান।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি

    রাজ্য়ের প্রথম এবং দেশের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) উদ্বোধন করতে মূলত শুক্রবার কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের (Semi High Speed Train) আনুষ্ঠানিক সূচনার পাশাপাশি একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Chief Minister Mamata Banerjee)।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি হীরাবেন, অসুস্থ মাকে দেখতে গুজরাট পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির একঝলক: ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার পরিবর্তে ১১:১৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফ্লাগ অফ করার পাশাপাশি কয়েকটি মেট্রো প্রজেক্টের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি কয়েকটি নতুন প্রজেক্টের উদ্বোধন করার কথাও রয়েছে তাঁর। হাওড়া স্টেশনে ৩০ মিনিট থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর দুপুর বারোটা নাগাদ আইএনএস নেতাজি সুভাষের সংলগ্ন এলাকায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখান থেকেই একটি প্রদর্শন ঘুরে দেখার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্রদর্শন ঘুরে দেখার পর আইএনএস নেতাজি সুভাষে দ্বিতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। দুপুর ১২টা ২৫ থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা গঙ্গা পরিষদের বৈঠক করবেন মোদি। এই গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর দুটো থেকে ২.৪৫ মিনিট পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য বিরতি রাখা থাকছে। দুপুর ৩:১৫ নাগাদ কলকাতা এয়ারপোর্ট  থেকে  বিশেষ বিমানে দিল্লির জন্য রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০-র (G20) সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব বর্তেছে ভারতের (India) ওপর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এই জি ২০-র সম্মেলন হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। সেই উপলক্ষে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে নানান অনুষ্ঠান। তামাম বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দেবেন ওই সম্মেলনে। পাঁচটি সেক্টরে বৈঠক রাখা হয়েছে। জি ২০ বৈঠকে এই সেক্টরগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।  

    কবে, কোথায়…

    গোটা দেশের সঙ্গে এই বাংলায়ও হবে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন স্তরের চারটি বৈঠক হবে। জানুয়ারির ৯-১১ বৈঠক হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে ওই বৈঠক হবে। এর পরের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসের ৮-৯ তালিখে বৈঠকে বসবে এনগেজমেন্ট গ্রুপ। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে। এর পরের মাসে বাংলায় কোনও বৈঠক নেই। বৈঠক রয়েছে তার পরের মাসে। এপ্রিলের ৩-৫ তারিখে বৈঠক হবে শিলিগুড়িতে। এই বৈঠকটিও হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। এ রাজ্যে এর পরের বৈঠকটি হবে জুলাইয়ে। ওই মাসের ১৭-১৮ তারিখে ফের হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতায়। জুলাই মাসের ১৯ তারিখে আরও একটি বৈঠক হবে কলকাতায়। এটি মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং। উল্লেখ্য, জি ২০ (G20) সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যেই রয়েছে এগুলি।

    আরও পড়ুন: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    জি২০ সফল করতে দিন কয়েক আগে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বদলীয় এই বৈঠকটি হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজু জনতা দল সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিভিন্ন দলের প্রধানরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনেই আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। জি ২০-র (G20) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CV Ananda Bose: বিশ্বকে পথ দেখাবে দেশ, আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা! বঙ্গের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বিশ্বকে পথ দেখাবে দেশ, আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা! বঙ্গের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করলেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, বাংলা দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    এদিন বাংলার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার অবদানের কথাও বলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্বকে পথ দেখাবে এই দেশ। আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। এই রাজ্যের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তরুন প্রজন্মের উপরেই।” করোনার সময় চিকিৎসক, নার্স থেকে প্রতিটি স্বাস্থ্য কর্মীর অবদানের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, “করোনাকালে প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি।” এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দেড়শত বর্ষপূর্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীও। সিদ্ধার্থ নিয়োগী এই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তনী। তাঁদের পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। তাঁকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

    এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল হাসপাতালের কথাও বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “এই হাসপাতাল শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজই নয়, বরং এই প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পত্তি। এই মেডিক্যাল কলেজেই প্রথম উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে নলজাতক দুর্গার জন্মের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।” 

    নয়া সম্পর্ক

    আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যপাল বোস অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যপালের শপথগ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উনি ভাল লোক’। এরই রেশ ধরে রাজ্যপালের এই বক্তব্য রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রক্ষার বার্তা বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)। গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অর্থাৎ আরও ১৪ দিনের মেয়াদ বাড়ল অনুব্রতর হেফাজতের। গত অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে বারবার জামিনের আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।

    আদালতে অনুব্রত

    শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আসানসোল আদালতে পেশ করে সিবিআই। হলুদ পাঞ্জাবী পরে এদিন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন অনুব্রত। কিছুটা ভগ্ন স্বাস্থ্যও এদিন চোখে পড়েছে। ওজন যে বেশ কিছুটা কমেছে, তা চেহারাই বলে দিচ্ছে। তবে এদিন তাঁর কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। তবে অনুব্রতর তরফে এদিন আদলতে ২টি আবেদন করা হয়। অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করে দিক সিবিআই। অ্যাকাউন্টটি অনুব্রতর নামে নয়। সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত অনুব্রতর ফোন ফেরত চান তিনি।  এদিন মোবাইল দুটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয় সেগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছেই রয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এদিন তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করে সিবিআই। সেই সিডি দেখে বিচারপতি বলেন, আমি বিস্মিত। ২০ বছরের চাকরিজীবনে এই ধরনের তথ্য কোনও দিন দেখিনি। তবে সিবিআই আদালতের হাতে কী তথ্য তুলে দিয়েছে তা ২ পক্ষই গোপন রেখেছে। এর পরই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে প্রতিবারের মতোই এদিনও ছিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) অনুগামীদের ভিড়। তবে তেমন কিছু বলেননি কেষ্ট। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি থেকে হিংসা বাংলা এখন সব কিছুতেই শীর্ষে। আগে বাঙালি বলে গর্ববোধ হতো আর এখন বাঙালি শুনলে লোকে হাসে। শহরে এসেই বাংলার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন বাঙালির রোল মডেল মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শীতের শুরুতেই শাসক-বিরোধী দ্বন্দে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) সলতে পাকানো চলছে। এরই মধ্যে শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাংলায় দলের হয়ে প্রচারে এসেছেন মিঠুন। রাজ্যে পা দিয়েই এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাসক থেকে সংবাদ মাধ্যম সবাইকেই দুষলেন মহাগুরু।

    মিঠুনের কথা

    কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে মিঠুন (Mithun Chakraborty) জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে রাজ্যে এসেছেন। যা করবেন সবাই জানতে পারবেন তিনি লুকিয়ে কিছু করবেন না। ইদানিং বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন,  “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।”

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা

    ক্ষোভের সুরে মিঠুন (Mithun Chakraborty) সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। বলেন, “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”

    বিপ্লবের ডাক

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি দূর করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তাঁর কথায়, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিপ্লবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share