Tag: Bengal

Bengal

  • Suvendu Adhikari: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে রাজ্যে রয়েছে ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনামতো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পূর্ব ঘোষিত স্কুলগুলিতে পরিদর্শনেও যাচ্ছেন। এবার তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, অসত্যকে ঢেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সেই সমস্ত স্কুলেই নিয়ে যাচ্ছে যাদের আগে থেকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়ম লুকোতে মিড মিল স্টাফদেরও এতে সামিল করা হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    মঙ্গলবার এক ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু দাবি করেন, ‘মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Team) উচিত নিজেদের মতো যেমন খুশি তেমন স্কুল বেছে হানা দেওয়া। নইলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে না। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বাছাই করা স্কুলে মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে জানানো বলে রান্নার কর্মীদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস ও টুপি পরে দেখা যাচ্ছে। আর রান্নাঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যেতে হবে।”

    এই ট্যুইটের সঙ্গেই তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও স্ক্রিনশট দেন। যেখানে মিড-ডে-মিলের রাঁধুনীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সোমবার থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অনুসন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    এদিনই কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা মিলেছে, বলে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: কালই শহরে মোদি! জেনে নিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তিত সময়

    Narendra Modi: কালই শহরে মোদি! জেনে নিন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তিত সময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষের আগের দিন। উৎসবমুখর কলকাতা। এমনই সময় শুক্রবার শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সফর ঘিরে বাংলায় সাজো সাজো রব বাংলায়। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বর। পাশাপাশি নতুন করে সেজে উঠছে ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন সহ গঙ্গা তীরবর্তী চক্ররেলের স্টেশনগুলি। স্ট্র্যান্ড রোড থেকে সরানো হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় হোর্ডিং। তুলে দেওয়া হয়েছে রাস্তার আশেপাশের দোকান।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি

    রাজ্য়ের প্রথম এবং দেশের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) উদ্বোধন করতে মূলত শুক্রবার কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের (Semi High Speed Train) আনুষ্ঠানিক সূচনার পাশাপাশি একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Chief Minister Mamata Banerjee)।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি হীরাবেন, অসুস্থ মাকে দেখতে গুজরাট পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির একঝলক: ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার পরিবর্তে ১১:১৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফ্লাগ অফ করার পাশাপাশি কয়েকটি মেট্রো প্রজেক্টের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি কয়েকটি নতুন প্রজেক্টের উদ্বোধন করার কথাও রয়েছে তাঁর। হাওড়া স্টেশনে ৩০ মিনিট থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর দুপুর বারোটা নাগাদ আইএনএস নেতাজি সুভাষের সংলগ্ন এলাকায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখান থেকেই একটি প্রদর্শন ঘুরে দেখার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্রদর্শন ঘুরে দেখার পর আইএনএস নেতাজি সুভাষে দ্বিতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। দুপুর ১২টা ২৫ থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা গঙ্গা পরিষদের বৈঠক করবেন মোদি। এই গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর দুটো থেকে ২.৪৫ মিনিট পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য বিরতি রাখা থাকছে। দুপুর ৩:১৫ নাগাদ কলকাতা এয়ারপোর্ট  থেকে  বিশেষ বিমানে দিল্লির জন্য রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    G20: বাংলায় জি ২০-র প্রস্তুতি বৈঠক, জানুন কবে, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০-র (G20) সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব বর্তেছে ভারতের (India) ওপর। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এই জি ২০-র সম্মেলন হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। সেই উপলক্ষে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে নানান অনুষ্ঠান। তামাম বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দেবেন ওই সম্মেলনে। পাঁচটি সেক্টরে বৈঠক রাখা হয়েছে। জি ২০ বৈঠকে এই সেক্টরগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।  

    কবে, কোথায়…

    গোটা দেশের সঙ্গে এই বাংলায়ও হবে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন স্তরের চারটি বৈঠক হবে। জানুয়ারির ৯-১১ বৈঠক হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে ওই বৈঠক হবে। এর পরের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসের ৮-৯ তালিখে বৈঠকে বসবে এনগেজমেন্ট গ্রুপ। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতার জে ডব্লু ম্যারিয়টে। এর পরের মাসে বাংলায় কোনও বৈঠক নেই। বৈঠক রয়েছে তার পরের মাসে। এপ্রিলের ৩-৫ তারিখে বৈঠক হবে শিলিগুড়িতে। এই বৈঠকটিও হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের। এ রাজ্যে এর পরের বৈঠকটি হবে জুলাইয়ে। ওই মাসের ১৭-১৮ তারিখে ফের হবে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। এই বৈঠকটিও হবে কলকাতায়। জুলাই মাসের ১৯ তারিখে আরও একটি বৈঠক হবে কলকাতায়। এটি মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং। উল্লেখ্য, জি ২০ (G20) সম্মেলন উপলক্ষে আগামী বছর দেশজুড়ে দুশোটির মতো ইভেন্টের আয়োজন করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যেই রয়েছে এগুলি।

    আরও পড়ুন: জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পুতিন! কী বললেন তাঁর মুখপাত্র?

    জি২০ সফল করতে দিন কয়েক আগে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বদলীয় এই বৈঠকটি হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজু জনতা দল সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিভিন্ন দলের প্রধানরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনেই আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। জি ২০-র (G20) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CV Ananda Bose: বিশ্বকে পথ দেখাবে দেশ, আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা! বঙ্গের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বিশ্বকে পথ দেখাবে দেশ, আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা! বঙ্গের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করলেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, বাংলা দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    এদিন বাংলার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার অবদানের কথাও বলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্বকে পথ দেখাবে এই দেশ। আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। এই রাজ্যের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তরুন প্রজন্মের উপরেই।” করোনার সময় চিকিৎসক, নার্স থেকে প্রতিটি স্বাস্থ্য কর্মীর অবদানের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, “করোনাকালে প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি।” এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দেড়শত বর্ষপূর্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীও। সিদ্ধার্থ নিয়োগী এই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তনী। তাঁদের পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। তাঁকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

    এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল হাসপাতালের কথাও বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “এই হাসপাতাল শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজই নয়, বরং এই প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পত্তি। এই মেডিক্যাল কলেজেই প্রথম উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে নলজাতক দুর্গার জন্মের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।” 

    নয়া সম্পর্ক

    আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যপাল বোস অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যপালের শপথগ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উনি ভাল লোক’। এরই রেশ ধরে রাজ্যপালের এই বক্তব্য রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রক্ষার বার্তা বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Anubrata Mondal: জেলেই অনুব্রত! আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)। গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অর্থাৎ আরও ১৪ দিনের মেয়াদ বাড়ল অনুব্রতর হেফাজতের। গত অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকে বারবার জামিনের আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।

    আদালতে অনুব্রত

    শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আসানসোল আদালতে পেশ করে সিবিআই। হলুদ পাঞ্জাবী পরে এদিন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন অনুব্রত। কিছুটা ভগ্ন স্বাস্থ্যও এদিন চোখে পড়েছে। ওজন যে বেশ কিছুটা কমেছে, তা চেহারাই বলে দিচ্ছে। তবে এদিন তাঁর কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। তবে অনুব্রতর তরফে এদিন আদলতে ২টি আবেদন করা হয়। অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করে দিক সিবিআই। অ্যাকাউন্টটি অনুব্রতর নামে নয়। সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত অনুব্রতর ফোন ফেরত চান তিনি।  এদিন মোবাইল দুটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয় সেগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছেই রয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এদিন তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করে সিবিআই। সেই সিডি দেখে বিচারপতি বলেন, আমি বিস্মিত। ২০ বছরের চাকরিজীবনে এই ধরনের তথ্য কোনও দিন দেখিনি। তবে সিবিআই আদালতের হাতে কী তথ্য তুলে দিয়েছে তা ২ পক্ষই গোপন রেখেছে। এর পরই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে প্রতিবারের মতোই এদিনও ছিল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) অনুগামীদের ভিড়। তবে তেমন কিছু বলেননি কেষ্ট। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি থেকে হিংসা বাংলা এখন সব কিছুতেই শীর্ষে। আগে বাঙালি বলে গর্ববোধ হতো আর এখন বাঙালি শুনলে লোকে হাসে। শহরে এসেই বাংলার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন বাঙালির রোল মডেল মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শীতের শুরুতেই শাসক-বিরোধী দ্বন্দে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) সলতে পাকানো চলছে। এরই মধ্যে শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাংলায় দলের হয়ে প্রচারে এসেছেন মিঠুন। রাজ্যে পা দিয়েই এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাসক থেকে সংবাদ মাধ্যম সবাইকেই দুষলেন মহাগুরু।

    মিঠুনের কথা

    কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে মিঠুন (Mithun Chakraborty) জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে রাজ্যে এসেছেন। যা করবেন সবাই জানতে পারবেন তিনি লুকিয়ে কিছু করবেন না। ইদানিং বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন,  “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।”

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা

    ক্ষোভের সুরে মিঠুন (Mithun Chakraborty) সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। বলেন, “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”

    বিপ্লবের ডাক

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি দূর করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তাঁর কথায়, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিপ্লবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Achinta Sheuli Exclusive: ‘জেরেমি না আমি, সময়ই বলবে! যে যোগ্য সেই যাবে প্যারিস,’ অকপট অচিন্ত্য

    Achinta Sheuli Exclusive: ‘জেরেমি না আমি, সময়ই বলবে! যে যোগ্য সেই যাবে প্যারিস,’ অকপট অচিন্ত্য

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ফিনিশিং লাইন এখনও অনেকটা দূরে। সাফল্যের শেষ স্টপেজ কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2022) সোনার পোডিয়াম নয়। সেটা অতীত। চাঁদের পাহাড় অলিম্পিক্স। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক গেমস (Paris Olympics) এরিনায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই এখন আশু লক্ষ্য বাংলার ভারোত্তলক অচিন্ত্য শিউলির (Achinta Sheuli)। মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন বাংলার সফল ভারোত্তলক।

    চরম দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা অচিন্ত্য জীবনে ধীরে-চলো নীতিতেই বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “Slow and Steady wins the race: সোনা তো দূর-অস্ত, আগে তো যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক গেমসে (2024 Paris Olympic Games) খেলতে গেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (World Championship) ভালো ফল করতে হবে। সেখানেই মিলবে অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র।”

    বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপে তাহলে প্রধান প্রতিপক্ষ কে? বন্ধু জেরেমি? মানতে নারাজ ২০ বছর বয়সি হাওড়ার ছেলে। তাঁর কথায়, “এটা কোনও সমস্যা নয়। বরং এই লড়াই দুজনকে আরও ভালো খেলতে উৎসাহ দেবে। বেশ মজাও হবে। আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করব। আবার একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দুজনেই জিততে চাই। যে ভালো পারফরম্যান্স করবে সেই অলিম্পিক্সে সুযোগ পাবে। যোগ্যতম জায়গা করে নেবে। আমাদের বন্ধুত্ব একরকমই থাকবে।”

    এক ফ্রেমে জেরেমি ও অচিন্ত্য

    কমনওয়েলথের আসর থেকে দুজনেই সোনা এনে দিয়েছেন। দুই বন্ধুরই পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক গেমস। কিন্তু নিয়মের ফাঁদে যে কোনও একজনই অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। জেরেমি (Jeremy Lalrinnunga) কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করেন পুরুষদের ৬৭ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে। আর অচিন্ত্য ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে।  প্রসঙ্গত যে ৬৭ কেজি বিভাগে লড়াই করেন জেরেমি সেই বিভাগটি তুলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ওয়েটলিফটিং ফেডারেশন। ফলে ১৯ বছর বয়সি জেরেমিকে এবার থেকে লড়তে হবে ৭৩ কেজি বিভাগে। ফলে অলিম্পিক গেমসের জন্য ‘সম্মুখ সমরে’ দুই বন্ধু।

    নিজের লক্ষ্যে অবিচল অচিন্ত্য বলেন, “প্রতিপক্ষ যে-ই হোক আমি নিজের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। কমনওয়েলথে মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলেছিলাম। এবার টার্গেট ৩৪০ কেজি ওজন তোলা। সে জন্যই আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছি। সেখানে আমার সঙ্গে দিদি মীরাবাঈ (Mirabai Chanu), জেরেমি সকলে থাকবে। নিজের ভুল-ত্রুটিগুলি শুধরে নেওয়া যাবে।”

    আরও পড়ুন: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    বুধবারই ভারতের সিনিয়র ভারোত্তলকদের বিশেষ অনুশীলনের জন্য আমেরিকা পাঠানো হচ্ছে। প্রায় এক মাসের মতো স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের তত্ত্বাবধানে শিবির হবে তাঁদের। আমেরিকার সেইন্ট লুইসে তাঁদের বিশেষ ট্রেনিং দেবেন ড.অ্যারন হরশিগ। ২০২০ থেকে তাঁর অধীনে ট্রেনিং নিয়েছেন মীরাবাঈ চানু। সেখানেই এবার নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন অচিন্ত্য, জেরেমিরা। তাই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নামছেন না তাঁরা।

    হাওড়ার দেউলপুরে মাটির বাড়িতে বেড়ে ওঠা। মা জরির কাজ করে সংসার চালান কোনওক্রমে। সাপ্তাহিক রোজগার পাঁচশো টাকা। তা-ও নিয়মিত নয় সেই কাজ। দাদা এখন দমকল দফতরের অস্থায়ী কর্মী। ছোট থেকেই লড়াই করে বড় হয়েছেন অচিন্ত্য। তাঁর লড়াই সকলকে প্রেরণা যোগাবে বলে ট্যুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। অচিন্ত্য বললেন, “মোদিজি অসাধারণ। কমনওয়েলথ গেমসে নামার আগে তাঁর ফোন মনের জোর অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেনার চাকরি আমাকে সাহস জুগিয়েছে। পুষ্টিকর খাবার খেতে সাহায্য করেছে। সাফল্যের জন্য পরিশ্রম যেমন জরুরি, তেমন দরকার ধৈর্যও । শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, তার সঙ্গে ধৈর্য না থাকলে সাফল্য পাওয়া কঠিন।”

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বকেয়া অর্থ আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনার জন্যই চিঠি লেখা হয়েছে তাঁকে।

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, দিনের পর দিন এই দুর্নীতি চলছে। একশো দিনের কাজ দিয়ে গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনও কাজ না দিয়েই টাকা খরচ করা হয়েছে। আর তা প্রমাণ করতে ভুল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাঁচ পাতার ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, নথিতে রাজ্য সরকার দেখিয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ ও অন্য চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। আধিকারিকরা যখন পরিদর্শন করতে যান, তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় ইয়াস, আমপান এবং অন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলিকে দেখিয়ে দাবি করা হয় একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই সে সব গাছ রোপণ করা হয়েছে। কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র, জয়নগর-২ ব্লক সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুন : এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এই দুর্নীতির জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এই একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে টাঁকশালে পরিণত করেছেন।গরিব চাকরি প্রার্থীদের হয় টাকা দেওয়া হয়নি, নয় তো জব কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় নেতারা। ওই চিঠিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, অন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই দুর্নীতি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম। বদলে নিজেদের ইচ্ছামতো নাম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তদারকি করতে গেলে রাতারাতি সেসব নামের ফলক, সাইনবোর্ড বদলে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদলে করা হয়েছে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্য সরকার বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগও তুললেন শুভেন্দু।

     

  • Ranji Trophy: ভাঙল ১২৯ বছরের রেকর্ড! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনন্য কীর্তি বাংলার

    Ranji Trophy: ভাঙল ১২৯ বছরের রেকর্ড! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনন্য কীর্তি বাংলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ২০২১-২২ এর কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় দিনে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে অনন্য কীর্তি গড়ে তুলল বাংলার ছেলেরা। রঞ্জি ট্রফির প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ৯ ব্যাটারই পঞ্চাশ বা তাঁর বেশি রান করেছেন। ১৮৯৩ সালে অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ইংল্যান্ড সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের প্রথম ৮ ব্যাটার সকলেই ৫০-র বেশি রান করেছিলেন। এবার সেই রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল বাংলা। প্রথম ৯ ব্যাটারই পঞ্চাশের বেশি রান করলেন।

    আরও পড়ুন:আজ শুরু ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ সিরিজ, নজরে কারা?

    অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অভিষেক রমণ দুজনেই ধীরগতিতে খেলতে শুরু করলেও পরে সুদীপ ঘরামি (Sudip Kumar Gharami) ও অনুষ্টুপ মজুমদার দুজনেই শতরান করেন। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সুদীপ ঘরামী। ১৮৬ রান করেন তিনি। অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar) করেন ১১৭ রান। এর পাশাপাশি আরও ৭ ব্যাটার অর্ধশতরান করেন। অভিষেক রমণ (Abhishek Raman) ৬১, অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) ৬৫, মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) ৭৩, অভিষেক পোড়েল (Abhishek Porel) ৬৮, শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed) ৭৮, সায়নশেখর মণ্ডল (Sayansekhar Mondal)  ৫৩ রান এবং আকাশদীপ (Akash Deep) ৫৩ রান করেন। তিনি আটটি ছক্কা মারেন। আকাশ দীপের দুর্দান্ত পারফরমেন্স এদিন সবার নজর কেড়েছে। আকাশ দীপ ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে ৫৩ রান করেন। সায়ন ৫৩ রানের পর ৩টি উইকেট নিতে পেরেছেন ও বাকি দুটি উইকেট নেন শাহবাজ। এদিন বাংলা, কোয়ার্টার ফাইনালে সাত উইকেট হারিয়ে ৭৭৩ রান করে। 

    আরও পড়ুন: জোড়া গোল সুনীল ছেত্রীর, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জয় ভারতের

    আগামী ১৪-১৮ জুনের মধ্যে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করা হবে। আর ২২-২৬ জুন  রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটি বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে (Chinnaswamy Stadium) আয়োজন করা হবে। তবে এবারের রঞ্জি ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে বাংলার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আর সেদিকে তাকিয়েই দেশের মানুষ।

     

     

  • Monsoon: বর্ষা ঢুকল কেরালায়, আগামী সপ্তাহেই কি বাংলায়?

    Monsoon: বর্ষা ঢুকল কেরালায়, আগামী সপ্তাহেই কি বাংলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগে কেরালায় (Kerala) প্রবেশ করল বর্ষা (Monsoon)। রবিবার, ২৯ জুন কেরালায় পৌঁছে গেল দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (southwest monsoon)। সাধারণ ভাবে ভারতে বর্ষা ঢোকার দিন হিসেবে জুন মাসের ১ তারিখকেই ধরা হয়। তবে সব সময় দিনক্ষণ মেনে বর্ষা আসে না। সে চলে তার মর্জিতে। বঙ্গোপসাগরের উপরে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভর করে বর্ষা আসে। কখনও সে তিথি মেনে ঢোকে। কখনও অপেক্ষা করিয়ে রাখে। কখনও আবার সময়ের আগেই এসে হাজির হয়।

    মৌসম ভবনের রেকর্ড বলছে, গত ১০ বছরে ১ জুন দেশে বর্ষা ঢুকেছে দু’বার। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে প্রায় এক সপ্তাহ দেরি করে বর্ষা এসেছে। আবার মে মাসেই বর্ষা চলে এসেছে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে। শেষ ২০১৮ সালে ২৯ মে বর্ষা ঢুকেছিল দেশে। যেমনটি এ বার হয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

    চলতি বছর আগেই আন্দামানে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। তখনই ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়ে দেয দেশেও তাড়াতাড়ি বর্ষা চলে আসবে। সেই পূর্বাভাস মেনেই কেরলে বর্ষার প্রবেশ ঘটল। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (‌আইএমডি)‌–র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, রবিবারই উপসাগর থেকে ভারতের স্থলভাগে প্রবেশ করেছে বর্ষা। কেরালায় বর্ষা আগে ঢুকেছে তাই সারা দেশেই এর কম-বেশি প্রভাব পড়বে। তবে কি বাংলাতেও বর্ষা আগেই আসবে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনই মেলেনি। আবহাওয়া দফতর এখনও নিশ্চিত নয়, যে কেরালায় বর্ষা আগে এসেছে বলে দেশের বাকি অংশেও আগেই আসবে। 

    বাংলায় সাধারণত বর্ষা ঢোকে উত্তরবঙ্গ হয়ে। প্রথমে উত্তরবঙ্গ তার পর ধীরে ধীরে এগোয় দক্ষিণবঙ্গের দিকে। ৮ থেকে ১০ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা আসে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এ বছর একটু আগে আগেই পৌঁছে যাচ্ছে সর্বত্র। যদি তা-ই হয়, সেক্ষেত্রে বাংলায় এক সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা চলে আসবে।

LinkedIn
Share