Tag: benjamin netanyahu

benjamin netanyahu

  • Israel-Hamas Conflict: ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা’! নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

    Israel-Hamas Conflict: ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা’! নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে আমেরিকা। এমনই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের (Israel-Hamas Conflict) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুয়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, গাজাকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলা হবে। গাজা ভূখণ্ড থেকে প্যালেস্তিনীয়দের স্থায়ীভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসন করার কথাও ভাবা হচ্ছে, বলে জানান তিনি। তবে গাজায় ঠিক কী করবেন, কীভাবে গাজা দখল করবেন, সেইসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবশ্য কিছু জানাননি ট্রাম্প। গাজাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য মার্কিন সেনা নামানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এখন আমেরিকা সফরে। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয়ই ছিল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas Conflict) পরিস্থিতি। সেই বৈঠকের পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই গাজা দখলের হুঁশিয়ারি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমেরিকা গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে। আমরা ওই ভূখণ্ডের মালিক হব। সেখানে থাকা সমস্ত বিপজ্জনক বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ধ্বংস করব। আমরা গাজাতে উন্নতি করব। সেখানে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এমন কিছু হবে, যার জন্য পশ্চিম এশিয়া গর্ববোধ করবে। বিশ্বের মানুষের বাসস্থল হবে গাজা।’’

    গাজায় আর্থিক উন্নয়ন

    পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম কূটনৈতিক ‘সঙ্গী’ ইজরায়েল। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধে (Israel-Hamas Conflict) প্রথম থেকেই নেতানিয়াহু সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। প্রসঙ্গত, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজরায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিহতদের দেহের সন্ধানও শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটন থেকে ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করেন, গাজায় যে সব আবাসন-বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তা পরিষ্কার করে সেখানে আর্থিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে আমেরিকা। যে আর্থিক উন্নয়নের কারণে গাজার মানুষের সামনে প্রচুর চাকরির দরজা খুলে যাবে। তবে হামাসকে কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    হামাসকে রেয়াত নয়

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) জানিয়েছেন যে জঙ্গি সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাস যদি থাকে, তাহলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আসবে না। যিনি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে থাকা ‘সবথেকে বড় বন্ধু’ হিসেবে চিহ্নিত করে দাবি করেন যে হামাসকে হারিয়ে যে জয়লাভ করবে ইজরায়েল, সেটা আমেরিকারও জয় হবে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প সাধারণ ধারণার খোলস ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন।’’

    হামাসের সঙ্গে নাৎজি বাহিনীর তুলনা

    হামাস নিধনে একমত আমেরিকা ও ইজরায়েল। এই জঙ্গি সংগঠনকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যদি এই বিষাক্ত ও হত্যাকারী সংগঠন থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কথা বলতে পারবেন না।’’ বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে তিনি দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাৎজি বাহিনী যদি থাকত, তাহলে শান্তি ফেরানো যেমন কঠিন হত, হামাসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম।

    হামাসের ‘টাকার পথ’ বন্ধ 

    হামাস-বিরোধী (Israel-Hamas Conflict) মনোভাবের রেশ ধরেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে প্যালেস্তাইনের উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ এজেন্সিকে অর্থপ্রদান করবেন না। কারণ সেই অর্থ হামাসের কাছে চলে যায়। যে জঙ্গি সংগঠন মানবতার প্রতি কলঙ্ক। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকেও আমেরিকা নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

    গাজায় মার্কিন সেনা!

    প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ড গাজা স্ট্রিপ। আগে হামাসের ঘাঁটি ছিল এই জায়গা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইজরায়েল (Israel-Hamas Conflict) এই ভূখণ্ড দখলের লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছে। যুদ্ধের সবথেকে বেশি অভিঘাতও সয়েছে এই গাজা স্ট্রিপই। আমেরিকা গাজায় সেনা পাঠাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “যা প্রয়োজনীয়, আমরা তাই করব।” ট্রাম্পের (Donald Trump) পাশে দাঁড়িয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও বলেন, “এমন কিছু হতে চলেছে যা ইতিহাস বদলে দেবে। ট্রাম্প গাজার জন্য অন্য এক ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেছেন। চিরাচরিত ধারণার বাইরে ভাবনা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।”

  • Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    Israel Hezbollah Ceasefire: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক স্বস্তি পশ্চিম এশিয়ায়। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণা করল ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ইজরায়েল ও লেবানন সমর্থিত হিজবুল্লা৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ যদিও হামাসও একই পথে হাঁটবে কি না, সেই প্রসঙ্গে কোনও কথা উল্লেখ নেই এই চুক্তিপত্রে৷

    যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

    প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার, ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। আপাতত হিজবুল্লার উপরে হামলা (Israel Hezbollah Ceasefire) চালাবে না ইজরায়েল। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সিকিউরিটি ক্যাবিনেট দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতদিন এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে, তা নির্ভর করছে লেবাননে কী হচ্ছে, তার উপরে। যদি যুদ্ধবিরতি কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়, তবে ইজরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে। লেবাননের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তির পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ মধ্যস্থতা করেছেন। যুদ্ধবিরতিতে একাধিক শর্ত রেখেছে ইজরায়েল। 

    কেন যুদ্ধবিরতি

    হঠাৎ যুদ্ধবিরতি (Israel Hezbollah Ceasefire) ঘোষণার পিছনে তিনটি কারণ ব্যাখা করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, ইরানের হুমকিতে মনোনিবেশ করা। দ্বিতীয়ত, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার জন্য সময় দেওয়া এবং তৃতীয়ত, বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা। নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন থেকেই হামাস হিজবুল্লার উপরে নির্ভর করেছে। হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে হামাসকে সম্পূর্ণ একা করে দেওয়াই লক্ষ্য ইজরায়েলের। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইজরায়েলের শীর্ষকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাও হাবিব জানিয়েছেন, ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ লেবাননে অন্তত পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে। ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়া পরিকাঠামোগুলি পুনর্গঠনে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবরের পর ফের নভেম্বর। আবারও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) হত্যার চেষ্টা। তাঁর বাড়িতে (War In Israel) বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পর পর দুটি বোমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাগানে। সেই সময় অবশ্য ওই বাড়িতে ছিলেন না নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

    আত্মঘাতী ড্রোন (War In Israel)

    অক্টোবরে আত্মঘাতী ড্রোন উড়ে গিয়েছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। বিস্ফোরণ হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। সেদিনও বাড়িতে ছিলেন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ফের হল আক্রমণ। রবিবার সকাল পর্যন্তও হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী। তবে কারা এই হামলা চালাল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইজরায়েল প্রশাসন।

    এবার ছোড়া হল বোমা

    প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পর বিবৃতি জারি করেছে ইজরায়েল পুলিশ। তারা জানায়, শনিবার দুটি বোমা ছোড়া হয় কেসারিয়া শহরে প্রধানমন্ত্রী বাড়ি লক্ষ্য করে। দুটি বোমাই পড়ে (War In Israel) তাঁর বাড়ির বাগানে। বাড়িটিতে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। তাই কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সমস্ত দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “ইরান ও তার সহযোগী দেশগুলি এক দিক থেকে যখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করছে, তখন ঘরের ভিতরেও তিনি একই হুমকির মুখোমুখি হবেন, এটা হতে পারে না। নিরাপত্তারক্ষী ও বিচারবিভাগীয় সংস্থাগুলিকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জগ। জনসাধারণের ক্ষেত্রে হিংসা বৃদ্ধি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি শিন বেটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত তদন্ত ও দমন করতে জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    প্যালেস্তাইনের হামাসের পর ইজরায়েলের যুদ্ধ চলছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার সঙ্গে। এরই মধ্যে (Benjamin Netanyahu) মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুবার টার্গেট করা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগে ইজরায়েলি সেনা (War In Israel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। মঙ্গলবারই ইজরায়েলে (Israel Iran War) হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইজরায়েলও। এহেন আবহে মধ্যপ্রাচ্যের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারত যে যারপরনাই উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত যে এই যুদ্ধে জড়াবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “ভারত আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই যুদ্ধে জড়াবে।” ইজরায়েলের দাবি, ইরান সব মিলিয়ে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তার আগেই ইরান-ইজরায়েল সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “জটিল পরিস্থিতিতে কমিউনিকেশনের গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “যদি কিছু বলার ও আদান-প্রদান করার থাকে, তবে আমি মনে করি সেগুলোই আমাদের কনট্রিবিউশন হতে পারে এবং আমরা তা করি…।” জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমরা সংঘাতের বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেবল লেবাননে যা ঘটেছে, তা নয়, বরং হুথিদের সঙ্গে রেড সি পর্যন্ত, এবং ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যা কিছু ঘটতে পারে, তা-ও।”

    অসামরিক জনগণের ক্ষতি নয়

    তিনি বলেন, “যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হতে হবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অসামরিক জনগণের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “৭ অক্টোবরকে আমরা সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা বুঝতে পারি যে ইজরায়েলকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছিল। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কথা বিবেচনা করতে হবে। অসামরিক জনগণের ক্ষতি বা তাদের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলি সেনার দাবি, ইরান ইজরায়েলে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছুড়েছে। তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে (Israel Iran War) ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে বাজল রণদামামা! এবার ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Irans Attack)। তার পরেই তেহরানকে (ইরানের রাজধানী) যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বললেন, “ইরানকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে।” ইজরায়েল ও ইরানের দ্বন্দ্বে তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

    হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা! (Israel)

    ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হয়েছে লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আভিভের দাবি, ইরানের তরফে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে। আমরা তৈরিই রয়েছি।” তিনি বলেন, “যারাই আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব।”

    আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    ইরান যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। চাপে পড়ে যায় ইরান সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় তারা। জানিয়ে দেয়, এর (নাসরাল্লার মৃত্যু) ফল ভালো হবে না। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েল-ইরানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা যাতে না জড়ায়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার উদ্দেশে তাদের হুমকি, আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।

    ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে
    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকের পর ইজরায়েলকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয় মার্কিন সেনাকে। ইজরায়েলে ইরানের হামলার (Irans Attack) নিন্দাও করেছে বাইডেন সরকার। আমেরিকা যে ইজরায়েলের (Israel) পাশে রয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। বেইরুটে (লেবাননের রাজধানী) হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা (Benjamin Netanyahu)। পাশাপাশি, সোমবার থেকে লেবাননে ঢুকে গিয়েছে ইজরায়েলি পদাতিক বাহিনীও। হিজবুল্লার তৈরি করা সুড়ঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই আবহে, দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    শবিবার, বেইরুটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। তাতেই খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। অন্যদিকে, সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনি হুথিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। এহেন আবহে ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সেই সময়ই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই বলে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “পশ্চিম এশিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদে উদ্ধার করতে হবে।” তিনি লিখেছেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (PM Modi) এ-ও জানান, পশ্চিম এশিয়ায় দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত ভারত।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    গত বছর অক্টোবরে ইজরায়েলি নাগরিকদের অপহরণ করে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হামাসরা। পরে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুসলিম সংগঠন হামাস। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। হামাসকে নির্মূল করতে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায় তারা। হামাসকে নিয়মিত মদত জুগিয়ে যাচ্ছিল লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লা। হামাস ‘বধে’র পর বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হানা চালায় ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    বিমান হানা চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে গ্রাউন্ড অভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার দাবি, চলতি বছরে তাদের ন’জন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধানও। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত করতে পারবেন না।” আর মোদি বার্তা দিলেন, “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।”

    বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে (Benjamin Netanyahu) দুই রাষ্ট্রপ্রধানের গলায় একই সুর (PM Modi)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন! পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি রকেট বর্ষণ। হিজবুল্লার ১১০০টি ঠিকানা লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। তার আগে ইজরায়েলের তরফে লেবাননের বাসিন্দাদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) রেকর্ড করা ভয়েস-মেসেজ পাঠানো হয় প্রায় ৮০ হাজারের বেশি ফোনে। তারপরই শুরু হয় হামলা। সোমবারের এই ভয়াবহ আক্রমণে অন্তত প্রায় ৫০০ জন নিহত বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার দুয়েক।

    ছিন্নভিন্ন লেবানন

    সোমবার থেকে লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) উপর রকেট বর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকা ইতিমধ্যেই প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুই দেশেরই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা প্রাণ হাতে করে বাঁচছেন সন্তান-পরিবার নিয়ে, না জানি কখন বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে বোমা। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে বেইরুটের দিকে পালাচ্ছেন। ঘরছাড়া মানুষকে ঠাঁই দিতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু লেবনানের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন হিজবুল্লারা তাঁদের ব্যবহার করছে। তাঁরা এটা না বুঝলে আরও মৃত্যু হবে। এদিন প্রায় ৬০০ রকেট হামলা চালায় ইজরায়েল। শয়ে শয়ে রকেট দুরমুশ করে দিয়ে গিয়েছে লেবাননের একাধিক বাড়ি। শিশু থেকে বৃদ্ধ-মহিলা অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন।

    কেন হামলা

    লেবাননের উপর ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) এই হামলার কারণ গাজা। প্রায় এক বছর ধরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তাতে গোড়া থেকেই প্যালেস্তাইন এবং হামাসকে সমর্থন করছে লেবানন। এর ফলে লেবাননের উপর খেপেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা। প্রায় ৮০০ হিজবুল্লা জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে লেবাননে। তাঁরা লেবাননের বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করছে। এক কথায় লেবাননের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যববার করেছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা।

    পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

    হিজবুল্লার (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও পাল্টা রকেট ফেলা হয়েছে ইজরায়েলের পাঁচটি জায়গায়। জানা গেছে, লেবানন থেকে রকেট উড়ে আসতে দেখেই সাইরেন বেজে ওঠে উপকূলবর্তী হাইফাতে। একদিন আগেও সেখানে হামলা হয়। ইজরায়েলেকে জবাব দিতে প্রায় ৩০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লারা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল এবং লেবানন, দু’পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইজরায়েল লেবাননকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: গাজার দখল নিল ইহুদি সেনা, ১৬ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হামাস, দাবি নেতানিয়াহুর মন্ত্রীর

    Israel-Hamas War: গাজার দখল নিল ইহুদি সেনা, ১৬ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হামাস, দাবি নেতানিয়াহুর মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজার দখল নিল ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। অন্তত এমনটাই দাবি নেতানিয়াহু সরকারের। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোয়াভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, ১৬ বছর ধরে যে হামাস (Israel-Hamas War) জঙ্গিরা গাজা শহরকে দখল করে রেখেছিল, তাদেরকে ক্ষমতারচ্যুত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর দাপটে হামাস জঙ্গিরা গাজার দক্ষিণ দিক দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে বর্তমানে দখল নিচ্ছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, গাজা দখলের পরে আপাতত ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর লক্ষ্য হল, হামাস জঙ্গিদের হাতে পণবন্দী থাকা ইজরায়েলের নাগরিকদের দ্রুত মুক্ত করা। কীভাবে পণবন্দীদের মুক্ত করা যায় তারই পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।

    কী বলছেন হামাসের মুখপাত্র?

    অন্যদিকে, ইজরায়েল এবং হামাসের (Israel-Hamas War) মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কাতার। কাতারের প্রতিনিধির মাধ্যমেই এক পক্ষের বার্তা অন্য পক্ষে যাচ্ছে বলে খবর। ইজরায়েলের মারে বেসামাল হামাস এখন যুদ্ধ বিরতি চাইছে। হামাসের তরফে মুখপাত্র আবু ওবেদিয়া বলেন, ‘‘আমরা মধ্যস্থতাকারীকে (কাতার) জানিয়েছি যে, পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি পেলে আমরা কিছু পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি। ওই পাঁচ দিনে আমরা আহতদের চিকিৎসা করব এবং ত্রাণ বিতরণ করব। কিন্তু শত্রুপক্ষ গড়িমসি করছে।’’ জানা গিয়েছে, ৫ দিনের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা যদি ইজরায়েল করে সেক্ষেত্রে ৭০জন পণবন্দীকে ছাড়তে রাজি হয়েছে হামাস জঙ্গিরা (Israel-Hamas War)। অন্যদিকে, ইজরায়েল ১০০ জন পণবন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এখন দেখার যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।

    উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি

    গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয় হামাস-ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) যুদ্ধ। প্রথমেই ইজরায়েলের ওপরে পাঁচ হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস জঙ্গিরা। ইহুদি ভূখণ্ডে ঢুকে অনেক নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে যায় তারা। এরপরই পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ পরিস্থিতি এখন আর দুটো দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। হামাসের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে ইরানপন্থী লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লা। তারা রকেট হামলা চালায় ইজরায়েলে। পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও। কয়েকদিন আগে সিরিয়াতে ইরানপন্থী অন্য একটি জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্রঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে আমেরিকা। অভিযোগ ওই অস্ত্র সরবরাহ করা হতো হামাস জঙ্গিদের। বেশ উত্তপ্ত রয়েছে মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, যুদ্ধ শুরুর পরে ইজরায়েল সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলের সেনা (Israel Hamas War)। মঙ্গলবার ভোরে হামাস নিয়ন্ত্রিত এই ভবনের দখল নেয় তেল আভিভ। পরে ভবনের ভেতরে ইজরায়েলের পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ইজরায়েলি সেনা। সেনার গোলান ব্রিগেডের সদস্যদের সেই উল্লাসের ছবি প্রকাশও করেছে নেতানিয়াহুর দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেরা গোলানি ব্রিগেড হামাসের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে।

    হামাসকে উৎখাতের শপথ

    সেনার এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “হামাসকে পুরোপুরি উৎখাত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।” ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, “আমরা গাজাকে দ্রুত হামাসমুক্ত করব। সোমবার আমাদের দখল করা আল-রানতিসি হাসপাতালে ভূগর্ভস্থ ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালাতে হামাস জঙ্গিরা ওই সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল।” প্রসঙ্গত, স্বশাসিত (Israel Hamas War) প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে বছর পনের আগেই গাজায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছিল হামাস। প্রত্যাশিতভাবেই পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করে নিয়েছিল তারা।

    তুমুল লড়াই

    ২৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপে ঢোকে ইজরায়েলি সেনা। তারপর থেকে হামাসের দখলে থাকা একাধিক এলাকার রাশ নেয় তারা। উত্তর গাজায় থাকা হামাসদের বিভিন্ন ঘাঁটিতেও এয়ার স্ট্রাইক চালায় তেল আভিভ। ইজরায়েলকে আঘাত করতে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল হামাস। সেই সব সুড়ঙ্গও দখল করে ইজরায়েলি সেনা। গাজার সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। আম-জনতার ভিড়ে মিশে দক্ষিণে চলে গিয়েছে হামাসের একটা বড় অংশ। তবে এদিন বিনা যুদ্ধে পার্লামেন্ট ভবনের রাশ ছাড়েনি হামাস। দু’ পক্ষে ভীষণ লড়াইয়ের পর জয় পায় ইজরায়েলি সেনা। যে হাসপাতালগুলিকে ওয়ার-রুম হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল হামাস, সেগুলির দখলও ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েলে হামলা (Israel Hamas War) চালায় হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় নিরীহ নাগরিকদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার পরেই পাল্টা আঘাত হানে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন হাজার বারো মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel-Hamas Conflict: হামাসের হামলায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি সেনার মৃত্যু, শোকপ্রকাশ নেতানিয়াহুর

    Israel-Hamas Conflict: হামাসের হামলায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি সেনার মৃত্যু, শোকপ্রকাশ নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় হামাসের হামলায় (Israel-Hamas Conflict) ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি সেনার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেনাকর্মী স্টাফ-সার্জেন্ট হালেল সলোমন, দক্ষিণ ইজরায়েলর ডিয়ামোনা শহরে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে গাজার সালা-আল-ডিন সড়কের কাছে হামাসের বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান তিনি। 

    নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া (Israel-Hamas Conflict)

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি সেনার উদ্দেশে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা বর্তমানে এক কঠিন সংগ্রামের মধ্যে রয়েছি। আমরা সকলে দেশের তরফ থেকে হৃদয় থেকে আলিঙ্গন করছি আপনাকে। এই কঠিন সময়ে সকলের পাশে রয়েছি। আমাদের সেনা নৈতিক লড়াই লড়ছেন। প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ আমরা। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।”

    ডিয়ামোনা শহরের মেয়রের বক্তব্য (Israel-Hamas Conflict)

    নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেনার বয়স ছিল ২০। ডিয়ামোনা শহরের মেয়র বেনি বিটন একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, “একটি দুঃখের সংবাদ যে গাজার যুদ্ধে (Israel-Hamas Conflict) ডিয়ামোনার পুত্র হালেল সলোমনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তাঁর বাবা মায়ের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা এবং ভক্তি ছিল। তিনি নিজের অবিরাম দান, বিনয় এবং নম্রতায় বিশ্বাস করতেন। এই শহর তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত।”

    ডিয়ামোনা হল ইজরায়েলর ছোট ভারত

    দক্ষিণ ইজরায়েলর ডিয়ামোনা শহরকে ছোট ভারত বলা হয়ে থাকে। এই শহরেই দেশের বড় পরমাণু চুল্লি রয়েছে। এই শহরেই ভারত থেকে আসা ইহুদিদের বসবাস রয়েছে। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিক বলেন, “নিহত যুবক খুব হাসিখুশি থাকতেন। তাঁর সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল। সব কিছু জেনে শুনে দেশের জন্য নিজের আত্মবলিদান দিয়েছেন। যুদ্ধ বেদনাদায়ক ক্ষতি, কিন্তু জয় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই (Israel-Hamas Conflict) চলবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share