Tag: bharat

bharat

  • Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উগ্রবাদ বাড়ছে। ওকিজম আজকের বিশ্বের অন্যতম বড় হুমকি। পরিবেশ ধ্বংসও মানুষের অশান্তি থেকে জন্ম নেওয়া একটি গুরুতর উদ্বেগ। এর সমাধান ধর্মে নিহিত, যা কোনও সংকীর্ণ অর্থে ধর্ম নয়। ধর্ম বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এর মধ্যে পরিবেশের প্রতিও শ্রদ্ধা অন্তর্ভুক্ত। ধর্ম ভারসাম্যের কথা বলে। আর ভারতই এই আধুনিক সমস্যার সমাধান করতে পারে, যা আজ বিশ্বের সামনে রয়েছে।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ যাত্রার ১০০ বছরের (RSS Centenary) দ্বিতীয় দিনেও বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক ভাগবত। সেখানেই তিনি আরএসএসের ভারতের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আরএসএস প্রধান বলেন, “আজ ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে। তবে একজন স্বয়ংসেবক ভাবেন, ইতিবাচকতা মানে থেমে যাওয়া নয়,  তাকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা, এমনকি যদি মতবিরোধ থাকে, তাহলেও। সংঘে কোনও ব্যক্তিগত প্রণোদনা নেই, কিন্তু স্বয়ংসেবকরা আনন্দ নিয়ে কাজ করেন। কারণ তাঁরা জানেন তাঁদের কাজ বিশ্বকল্যাণের জন্য নিবেদিত।”

    হিন্দু ধর্ম (Mohan Bhagwat)

    হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “আমাদের ধর্ম হল বিশ্বধর্ম। এটি পৃথিবীতে শান্তি আনতে সক্ষম। ধর্ম কখনও অন্যকে জোর করে নিজের দিকে টানতে চায় না। ভারতীয় জীবনধারা সারা বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ হতে পারে।” তিনি বলেন, “ভারত সবসময় সাহায্য করেছে নিজের স্বার্থের কথা না ভেবেই। এমনকি তাদেরও সাহায্য করেছে, যারা ভারতের বিরোধিতা করেছিল। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবেশগত সমস্যাগুলি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় সমাজকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।”

    সংঘের দায়িত্ব

    সংঘের দায়িত্বের প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হল চরিত্র গঠন করা এবং আরও দেশপ্রেমিক সমাজ গড়ে তোলা। আমরা যা সংঘে করি, তা গোটা সমাজে বিস্তার করতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশের সবচেয়ে দরিদ্র থেকে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, প্রত্যেক গ্রাম ও প্রতিটি পরিবারের মানুষ এর বাইরে নয়। তাদের সংঘ শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। যারা সমাজের জন্য কাজ করছে, তাদেরও শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্য রয়েছে। অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও মতবাদ বাইরের দেশ থেকে এখানে এসেছে। তারা আজও আমাদের দেশে আছে। মতবাদ বাইরে থেকে আসতে পারে, কিন্তু সমাজে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে হবে, এবং দেশের ঐক্য আরও দৃঢ় করার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যেখানেই বাস করি বা কাজ করি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে এবং তাঁদের (RSS Centenary) আপনজন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। জল, শ্মশান ও মন্দির সবার জন্য, এখানে কোনও ভেদাভেদ চলবে না।” তিনি বলেন, “মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা এটা যখন হবে, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।”

    স্বদেশীর অর্থ

    সরসংঘচালকের মুখেও এদিন শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথার প্রতিধ্বনি। প্রধানমন্ত্রীর মতোই ভাগবতও বলেন, “স্বদেশীর অর্থ হল, যেসব জিনিস আমাদের দেশে আছে বা সহজেই তৈরি করা সম্ভব, তা বাইরে থেকে আমদানি না করা। বাইরে থেকে জিনিস আমদানি করলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ চায় ভারতীয় সমাজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছক, যা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে।” হিন্দুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “হিন্দুত্বকে দুটি শব্দে বোঝানো যায় — সত্য ও প্রেম। মানবসম্পর্ক কেবল চুক্তি বা ব্যবসার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের মানুষের উচিত জীবনের পাঠ ভারত থেকে শেখা।” তিনি বলেন, “হিন্দুস্থানের উদ্দেশ্য হল বিশ্বকল্যাণ। সংঘে যোগ দিলে কিছুই লাভ হয় না, বরং যা আছে তাও হারাতে হতে পারে। একজন স্বয়ংসেবক এই মনোভাব নিয়েই কাজ করেন – আত্মমুক্তি ও বিশ্বকল্যাণের জন্য।”

    আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন

    ভাগবত বলেন, দাদরাও পরমার্থ একবার বলেছিলেন,  “আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন।” তিনি বলেন, “ভোগবাদ ও বস্তুবাদের কারণে সাতটি সামাজিক পাপ বাড়ছে – সম্পদহীন কাজ, বিবেকহীন ভোগ, চরিত্রহীন জ্ঞান, নীতিহীন বাণিজ্য, মানবতাহীন বিজ্ঞান, ত্যাগহীন ধর্ম এবং নীতিহীন রাজনীতি।” সরসংঘচালক বলেন, “ধর্মে কোনও ধর্মান্তর নেই। ধর্ম হল শাশ্বত সত্য, যার ভিত্তিতে সবকিছু চলে। একে (RSS Centenary) বলা হয় স্বভাব ও কর্তব্য। ধর্ম কখনও দুঃখ সৃষ্টি করে না। ধর্ম সর্বদা আনন্দদায়ক এবং সামঞ্জস্য রক্ষাকারী। বিবেকানন্দ বলতেন, ভারত একটি ধর্মকেন্দ্রিক জাতি, সময়ে সময়ে তাকে বিশ্বকে ধর্ম দিতে হয়। সর্বজনের কল্যাণ – এটাই আমাদের দর্শনের সারমর্ম।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “হিন্দু ধর্মই সেই শক্তি, যা বিশ্বশান্তি আনতে পারে। শত্রুতা জন্মায় অহংকার থেকে। হিন্দুস্থান অহংকারের ঊর্ধ্বে। আমাদের অগ্রাধিকার হল পারিবারিক সংস্কৃতি রক্ষা করা। ভারতের অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশ একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। মানুষ ও ভূগোল একই। আমাদের প্রথম কর্তব্য হল তাদের সঙ্গে ফের সম্প্রীতির বন্ধনে যুক্ত হওয়া।” তিনি বলেন, “আত্মনির্ভরতা হল সব কিছুর মূল। আমাদের জাতিকে আত্মনির্ভর হতে হবে। একজনকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই বাঁচতে হবে জাতির জন্য। আমরা থাকি বা না থাকি, ভারতকে থাকতে (RSS Centenary) হবে, এবং বিশ্বকেও থাকতে হবে।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপাল, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল, ডেনমার্ক, চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা (Mohan Bhagwat)।

  • RSS: শতবর্ষে পা আরএসএসের, জেনে নিন এই সংগঠনের ইতিহাস

    RSS: শতবর্ষে পা আরএসএসের, জেনে নিন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষ উদযাপন করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (সংক্ষেপে আরএসএস)। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন এই সংগঠনের (RSS) প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন ড. কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার। প্রধান লক্ষ্য ছিল, হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং হিন্দু সংস্কৃতি প্রচার করা (Mohan Bhagwat)। হেডগেওয়ার প্রাণিত হয়েছিলেন ভিডি সাভারকরের দ্বারা। সংগঠনের প্রথম কেন্দ্র খোলা হয়েছিল নাগপুরে। তখন থেকে মহারাষ্ট্রের এই শহর সংগঠনের প্রধান কেন্দ্র হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। দেশের প্রতিটি রাজ্যে রয়েছে আরএসএসের কার্যালয়, ঐতিহ্যগতভাবে এগুলি “শাখা” নামে পরিচিত।

    নবজাগ্রত হিন্দু জাতির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটানো (RSS)

    সংগঠনের বহু সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতাও ছিলেন, যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের আদর্শে হতাশ হয়েছিলেন। প্রথম দিকে আরএসএস ব্রিটিশ সরকারের বিরাগভাজন হতে চায়নি। তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। যদিও হেডগেওয়ারের উদ্দেশ্য ছিল শেষ পর্যন্ত একটি নবজাগ্রত হিন্দু জাতির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটানো। পরবর্তীকালে আরএসএস যুবকদের নিয়োগ করে, তাঁদের যুদ্ধবিদ্যা শেখানো হত। ব্রিটিশ পুলিশের মতোই উর্দিও পরতেন তাঁরা। পরে ধীরে ধীরে আরএসএস নিতে শুরু করে এক আধাসামরিক সংগঠনের রূপ। গত একশো বছরে আরএসএসের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে একাধিক ঝড়, সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে চারবার – ১৯৪৭, ১৯৪৮, ১৯৭৫ এবং ১৯৯২ সালে।

    জনসংঘ থেকে বর্তমানে বিজেপি

    ১৯৫১ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি তৎকালীন আরএসএস (RSS) সরসংঘচালক ‘শ্রী গুরুজি’র সহায়তায় জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জনসংঘ ৩.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনজন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখার্জি স্বয়ংও। এরপর জনসংঘ জাতীয় দলের মর্যাদা পায়। পরে বহু উত্থান পতনের পর ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল গঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। এর প্রধান নেতারা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও তাঁর ডেপুটি এলকে আডবাণী, প্রাক্তন মন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশী ছিলেন আরএসএসের সদস্য। আজও বিজেপির প্রধান নেতা, মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। এই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তিন দিনব্যাপী বক্তৃতা সিরিজের মাধ্যমে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা করেছেন। শতবর্ষ উপলক্ষে সংগঠনটি সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই বক্তৃতা সিরিজের মূল উদ্দেশ্য হল সমাজের সামনে সংগঠনের (RSS) একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করা (Mohan Bhagwat)।

  • Mohan Bhagwat: “নিজের বিশ্বাসের পথ অনুসরণ করার পাশাপাশি যিনি ভিন্ন বিশ্বাসের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল, তিনিই হিন্দু,” বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “নিজের বিশ্বাসের পথ অনুসরণ করার পাশাপাশি যিনি ভিন্ন বিশ্বাসের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল, তিনিই হিন্দু,” বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যিনি নিজের বিশ্বাসের পথ অনুসরণ করেন এবং ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষদেরও সম্মান করেন, তিনিই হিন্দু।” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ(সংক্ষেপে আরএসএস)-এর শতবর্ষ (RSS Centenary) উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত এক বক্তৃতা সিরিজে এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের প্রাকৃতিক ধর্ম সমন্বয়ের, সংঘাতের নয়।”

    ‘আরএসএস: শতবর্ষের পথচলা’ শীর্ষক এই বক্তৃতা (Mohan Bhagwat)

    মঙ্গলবার দিল্লিতে ‘আরএসএস: শতবর্ষের পথচলা’ শীর্ষক এই বক্তৃতা সিরিজে সরসংঘচালক আরএসএসের ইতিহাস, দর্শন এবং ভারতীয় সমাজে এর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ভাবগত বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি কখনও বিভেদ কিংবা সংঘাতের পক্ষে ছিল না। আমাদের ধর্ম শিখিয়েছে যে, সকল পথই সত্যের দিকে নিয়ে যায়।” আরএসএসের দর্শন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংঘের লক্ষ্য হল সমাজে ঐক্য ও সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রত্যেকে তাদের বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে।”

    হিন্দুত্বের সংজ্ঞা

    এর পরেই আরএসএস প্রধান হিন্দুত্বের সংজ্ঞা দেন। তিনি বলেন, “হিন্দুত্ব কোনও সংকীর্ণ ধর্মীয় ধারণা নয়। এটি একটি জীবনদর্শন, যা বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।” তিনি বলেন, “হিন্দু হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি নিজের বিশ্বাসে অটল থাকেন এবং অন্যের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।” সরসংঘচালক বলেন, “১৯২৫ সালে ড. কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার প্রতিষ্ঠিত আরএসএস গত ১০০ বছরে ভারতীয় সমাজে ঐক্য, সেবা এবং শৃঙ্খলার মাধ্যমে অবদান রেখেছে। আরএসএসের শাখাগুলি আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গিয়েছে এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে সেবা ও সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারতের অগ্রগতির জন্য আমাদের সমাজের প্রতিটি অংশকে একত্রিত করতে হবে। ধর্ম, জাত বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিভেদ সৃষ্টি করা আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী।”

    আরএসএসকে ‘সমাজের মেরুদণ্ড’ আখ্যা দিয়ে ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ কোনও রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সংগঠন, যার লক্ষ্য জাতীয় চরিত্র গঠন এবং সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।” তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল (RSS Centenary) এমন একটি ভারত গড়ে তোলা, যেখানে প্রত্যেকে নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে (Mohan Bhagwat)।”

  • Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী রায় দিল ব্রিটেনের হাইকোর্ট অফ জাস্টিস। এই মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেনের আদালত বলল যে হিন্দু ধর্ম (Hinduism) এবং হিন্দুত্ব হল অভিন্ন—এই দুটোকে কখনো আলাদা করা যায় না। একইসঙ্গে এক ইসলামিক কর্মী মহম্মদ হিজাবের করা মানহানির মামলাও খারিজ করল ব্রিটেনের উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, মহম্মদ হিজাব মামলা করেছিল স্পেক্টেটর নামে একটি পত্রিকা এবং তার লেখক ডগলাস মুরির বিরুদ্ধে।

    হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল এই রায়

    স্বাভাবিকভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুদের (Hinduism) এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এই রায় মর্যাদা আনল এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল। কারণ, হিন্দু ধর্মের সমালোচকরা—প্রায় এদের মধ্যে অনেকে ভারতীয়—দাবি করেন যে হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের জিকির তোলা হচ্ছে, ইত্যাদি। হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা আলাদা ধরনের রাজনৈতিক ও মৌলবাদী মতাদর্শ হিসাবে, এবং হিন্দু-বিরোধীরা এই নেগেটিভ দিকটা তুলে ধরে বলতে চায় যে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম থেকে হিন্দুত্ব পৃথক। কিন্তু এই রায় স্পষ্ট করল যে হিন্দুত্ব হল সনাতন ধর্মেরই অংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে এই রায়ের প্রতিধ্বনি পৌঁছে গেছে ব্রিটেনের বাইরেও—এমনকি আমেরিকাতেও। সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে যেখানে বলা হয়, হিন্দু ধর্ম সত্যিই একটা গ্রহণযোগ্য ধর্ম এবং তার যে আধ্যাত্মিক অংশ রয়েছে, সেটাই। অন্যদিকে হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা মৌলবাদী মতাদর্শ (Hinduism) হিসেবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করল ব্রিটেনের কোর্টের এই রায়।

    জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ

    এর সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ, যারা জনমানুষে হিন্দুদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে জানাচ্ছেন—হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনো আলাদা নয় এবং একে অপরের থেকে পৃথক করা যায় না। এর সঙ্গেই যেভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা এই দুটোকে আলাদা করতে চান, তাদের মুখের উপর জবাব পড়ল। উত্তর আমেরিকায় থাকা হিন্দু সংগঠনগুলি এবং হিন্দু কর্মীদের মধ্যে প্রবল আত্মবিশ্বাসও সঞ্চার করল এই রায়—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব (Hindutva)

    এর সঙ্গে সঙ্গে এক আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব, যেটাকে কিনা বিভিন্ন সময়ে অবমাননা করেছে—বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের এক শ্রেণির একাংশ। শুধুমাত্র তাই নয়, বিভিন্ন বামপন্থী স্কলাররাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে অনেকেই মনে করছেন, যেভাবে হিন্দুত্বকে (Hindutva) আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হল, এর ফলে আগামী দিনে হিন্দু সংগঠনগুলি হিন্দুত্বের দাবিতে যে লড়াই লড়বে, তা অনেক সহজ হয়ে গেল। এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের এই কোর্টের রায়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এবার আসা যাক এই মামলাটি সম্পর্কে—যে মামলায় এই ঐতিহাসিক রায় দিল ব্রিটেনের আদালত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেক্টেটর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল Leicester and the Downside of Diversity. এই প্রতিবেদনটি লেখেন ডগলাস মুরি। এই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয় যে, লেস্টারের দাঙ্গায় মহম্মদ হিজাব জড়িত ছিল এবং বলা হয়, সে সময় সে লেস্টারে ভ্রমণ করেছিল, এবং অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিল। তার নিজের বক্তব্যে হিন্দুদেরকে উপহাস করেছিল মহম্মদ হিজাব। শুধু তাই নয়, সে বলেছিল—হিন্দুরা দুর্বল, কাপুরুষ এবং তারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। তার বিরুদ্ধে এই লেখা সামনে আসতেই মহম্মদ হিজাব একটি মামলা করে, যেখানে সে দাবি করে, এক্ষেত্রে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। এরপরেই, যখন ওই মামলার শুনানি শুরু হয়, তখনই আদালত মহম্মদ হিজাবকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, সে পরিকল্পনামাফিক হিন্দুদেরকে টার্গেট করেছে, তাঁদের উপহাস করেছে এবং হিন্দুদের বিশ্বাস ও ধর্মে (Hinduism) আঘাত দিয়েছে। তখন মহম্মদ হিজাব পাল্টা যুক্তি দেয় যে সে হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছে, হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তার এই কথা একেবারেই গ্রহণ করেনি ব্রিটেনের আদালত। এরপরেই আদালত ঐতিহাসিক রায় দেয় এবং বলে যে হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনও পৃথক নয়। দুটোই সমান—একটিকে অপরটি থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না।

  • Bharat: এআই কো-পাইলট সহ অ্যামকার নকশা চূড়ান্ত করল এডিএ, কবে প্রথম উড়ান?

    Bharat: এআই কো-পাইলট সহ অ্যামকার নকশা চূড়ান্ত করল এডিএ, কবে প্রথম উড়ান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক। এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (অ্যামকা)-এর নকশা চূড়ান্ত করেছে (5th Gen Stealth Jet)। এটি ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও), হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এবং শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ এই জেটের প্রথম উড়ান সম্পন্ন হবে।

    অ্যামকা প্রকল্পের অধিকর্তার বক্তব্য

    অ্যামকা প্রকল্পের অধিকর্তা কৃষ্ণ রাজেন্দ্র এই সময়সূচি নিশ্চিত করেছেন এবং একে ভারতের সামরিক বিমান চলাচলে প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতার যাত্রার একটি মোড় পরিবর্তনের মুহূর্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি প্রোটোটাইপ তৈরি হবে, তারপর গণউৎপাদন শুরু হবে। আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিমানবাহিনীর বহর আধুনিকীকরণের জরুরি প্রয়োজনে ভারত অ্যামকা প্রকল্পটি দ্রুততর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিগ-২১ এবং জাগুয়ারের মতো পুরনো বিমান অবসরের পথে থাকায়, অ্যামকা ভবিষ্যতে ভারতের বিমান শক্তির মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে, তেজস এবং রাফালের মতো জেটের পাশাপাশি। স্বল্পমেয়াদে, ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের ঐতিহাসিকভাবে কম স্কোয়াড্রন শক্তি পূরণ করতে ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান চেয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে, একবার অ্যামকা উৎপাদনে গেলে বিদেশি যুদ্ধবিমানের ওপর নির্ভরতা (5th Gen Stealth Jet) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে (Bharat)।

    ভারতের অ্যামকার প্রধান বৈশিষ্ট্য

    ভারতের অ্যামকার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল – ডিজাইন: দুই-ইঞ্জিন, এক আসনের নকশা, সর্বোচ্চ টেক-অফ ওজন ২৫ টন। স্টেলথ মোড: অভ্যন্তরীণ অস্ত্রভাণ্ডার, যেখানে ১.৫ টন পেলোড বহন করা যায়, এর ফলে রেডারে দৃশ্যমানতা কম হয়। নন-স্টেলথ মোড: বহিরাগত পাইলনে ৫ টন পর্যন্ত অস্ত্র বহন সম্ভব, তবে এতে স্টেলথ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সুপার-ক্রুজ ক্ষমতা: আফটারবার্নার ব্যবহার না করেই টানা সুপারসনিক গতিতে উড্ডয়ন। আইসা রেডার ও সেন্সর ফিউশন: যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবসময়ের পূর্ণাঙ্গ সচেতনতা প্রদান করে। এআই-ভিত্তিক ‘ইলেকট্রনিক কো-পাইলট’: ভার্চুয়াল সহ-পাইলটের মতো কাজ করে। নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধ ব্যবস্থা: আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে পূর্ণ সংযুক্তি নিশ্চিত করে।

    অ্যামকার নকশা

    এএমসিএ-এর নকশা আন্তর্জাতিক পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের সঙ্গে তুলনীয়—যেমন মার্কিন এফ ৩৫ লাইটনিং ২, চিনের জে-২০, এবং রাশিয়ার এসইউ- ৫৭। এর সার্পেন্টাইন এয়ার ইনটেকস, রাডার-তরঙ্গ শোষণ প্রযুক্তি এবং সর্বাঙ্গীণ স্টেলথ নকশা বিমানের দৃশ্যমানতা যে কোনও কোণ থেকে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনে। এগুলি ছাড়াও আরও কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। এগুলি হল, তাপ স্বাক্ষর হ্রাস ব্যবস্থা: ইনফ্রারেড সেন্সর এড়াতে সক্ষম। নিম্ন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্বাক্ষর: ইলেকট্রনিক নজরদারি এড়াতে সাহায্য করে। অভ্যন্তরীণ অস্ত্রভাণ্ডার: স্টেলথ মিশনের সময় গোপনীয়তা বাড়ায় (Bharat)।

    দ্বৈত ক্ষমতা

    এএসসিএ-র অন্যতম শক্তি হল এর দ্বৈত ক্ষমতা। স্টেলথ মোডে: অদৃশ্য থাকার জন্য পেলোড কমিয়ে অস্ত্র অভ্যন্তরে বহন করে। নন-স্টেলথ মোডে: বহিরাগত পাইলনে অস্ত্র বহন করে সর্বাধিক অগ্নিশক্তি অর্জন করে। এটি প্রচলিত মিশনের জন্য উপযুক্ত, যেখানে স্টেলথ ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় (5th Gen Stealth Jet)। এএমসএ-এর মাধ্যমে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশগুলির এক বিশেষ ক্লাবে যোগ দেবে, যাদের নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি রয়েছে। এই প্রকল্প কেবল ভারতের সামরিক সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে দেশের দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকেও আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে (Bharat)।

  • Lieutenant Asha Sahay: প্রয়াত হলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের আশা সহায়

    Lieutenant Asha Sahay: প্রয়াত হলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের আশা সহায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক দু’দিন আগে, ২০২৫ সালের ১৩ আগস্ট প্রয়াত হলেন নেতাজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সাহসী সৈনিক লেফটেন্যান্ট আশা সহায় (Lieutenant Asha Sahay)। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের রানী ঝাঁসি রেজিমেন্টের অন্যতম লেফটেন্যান্ট।

    আশা সহায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি (Lieutenant Asha Sahay)

    আশা সহায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, জাপানের কবে শহরে। তিনি কিশোরীবয়সেই আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর প্রয়াণে ইতিহাসের এক যুগের অবসান ঘটেছে—এমনটাই মনে করছেন ইতিহাসবিদরা ও দেশপ্রেমিক মহল। কারণ তিনি ছিলেন সেই শেষ কয়েকজন জীবিত সদস্যের অন্যতম, যাঁরা সরাসরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ ও নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবলমাত্র ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক পরিসরেও। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল জাপান, যেখানে রাসবিহারী বসু গঠন করেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। পরবর্তীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সেই বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন (Asha Sahay)।

    আশা সহায়ের পিতা আনন্দমোহন সহায় ছিলেন জাপানে ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

    আশা সহায়ের (Asha Sahay) পিতা আনন্দমোহন সহায় ছিলেন জাপানে ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সেক্রেটারি (Lieutenant Asha Sahay)। তিনি আজাদ হিন্দ সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন এবং নেতাজির অন্যতম ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা। মা সতীসেন সহায়-ও একটি দেশপ্রেমিক পরিবারের সদস্য ছিলেন। আশা সহায় নিজেও খুব অল্প বয়সেই রানী ঝাঁসি রেজিমেন্ট-এ যোগ দেন এবং শীঘ্রই একজন লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন। তিনি জাপানে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন—অস্ত্র পরিচালনা, যুদ্ধ কৌশল, সামরিক শৃঙ্খলা সবই তিনি দক্ষতার সঙ্গে রপ্ত করেন। সেই সময় একজন কিশোরী মেয়ে হিসেবে তাঁর এই সাহসিকতা এবং আত্মনিবেদন ছিল অভাবনীয়। জাপানের সোয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটি (টোকিও-স্থিত) থেকে তিনি স্নাতক হন। লেফটেন্যান্ট আশা সহায়, রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু—এই মহৎ মানুষদের মূল বিশ্বাস ছিল, “স্বাধীনতা কেউ দয়া করে দেয় না, তা ছিনিয়ে নিতে হয়”। উপনিবেশিক শাসনের অবসান কেবলমাত্র অনুরোধে নয়, সংগ্রামে সম্ভব (Lieutenant Asha Sahay)।

  • Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী অরবিন্দ ঘোষ (Sri Aurobindo) কেবল কবি, দার্শনিক এবং যোগীর গুণাবলীই ধারণ করেননি, বরং তিনি প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন ভারতের (Bharat) পূর্ণ স্বরাজ দাবি করা প্রথম দিকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী সংগ্রামের নেতৃত্বও দেন। যদিও তিনি ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছিলেন, তবুও সেই শিক্ষাকে মানবকল্যাণে এবং ভারতের জনগণকে বোঝাতে ব্যবহার করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল বিপ্লব। তবে তাঁর বিপ্লবের ধারণা ছিল ‘দিব্যত্ব’ ও মাতৃভূমির ঐক্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে।

    ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক (Sri Aurobindo)

    আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক এবং এই নীতির এক সমসাময়িক ব্যাখ্যাতা, যা মানব চেতনাকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরাকার আলোর সঙ্গে সাকার আলোর সংযুক্তি ঘটায়। অরবিন্দ যোগাভ্যাসকে অভ্যন্তরীণ জাগরণ ও সচেতন মনের বিকাশের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে গুরুত্ব দেন। মহান এই দেশপ্রেমিকের ভাবনা একই সঙ্গে অতীতের এক জীবন্ত দলিল ও সংরক্ষিত নথি, যা ভারতের বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দ্বিধাবিভক্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণাদায়ক দিকনির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, তাঁর ভারত-ভাবনা ছিল সভ্যতাকে একতার রূপে দেখা, যা সংস্কৃতির দ্বারা পুষ্ট এবং গভীরতর চেতনার দ্বারা প্রণোদিত। তিনি ভারতের উপলব্ধি ও দেশের মানুষের ঐক্যের পথে একাধিক ধারণা দিয়েছেন। কারাবাস পর্বে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁকে নির্মমভাবে শোষণ করেছিল, তখন তিনি যোগ, ভগবদ্গীতা পাঠ এবং মন ও আত্মার জাগরণকে দিব্যত্ব লাভের একমাত্র (Bharat) পথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন (Sri Aurobindo)।

    ভারতীয় ঐক্যের কথা

    অরবিন্দ যখন ভারতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি কখনওই জোরজবরদস্তি বা অভিন্নতার মাধ্যমে ঐক্য বোঝাননি, বরং বৈচিত্র্যের অন্তরে নিহিত আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতি জাগরণের কথা বলেছেন। ভারতীয় প্রতিভা সবসময়ই অগণিত বৈচিত্র্যকে কঠোর অভিন্নতা বা যান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ ছাড়াই এক জীবন্ত সত্তায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দ্য আইডিয়াল অফ হিউম্যান ইউনিটি গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ভারত একটি জৈবিক ঐক্য, যা সহস্রাব্দ ধরে অভিন্ন আধ্যাত্মিক আদর্শ, দার্শনিক অনুসন্ধান এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতির দ্বারা লালিত হয়েছে—ইতিহাসের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া কৃত্রিম কোনও কাঠামো নয় (Sri Aurobindo)। একজন জাতীয় নেতার কাজ এবং একটি জাতির ভূমিকা হল জাতির সমষ্টিগত চেতনাকে তার প্রকৃত সত্তার প্রতি জাগ্রত করা, কেবল প্রশাসনিক সংহতি প্রতিষ্ঠা করা নয়।

    অরবিন্দের দর্শন

    অরবিন্দের দর্শন স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় যে, ঐক্য কেবলমাত্র ভৌতিক বন্ধনে রক্ষা করা যায় না, বরং তা হতে হবে একটি গভীর ভিত্তির ওপর, যা অভিন্ন সাংস্কৃতিক চেতনায় স্থাপিত। এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক আমাদের সময়ে, যখন মতাদর্শগত ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন জাতির ঐক্যের বুনোটকে হুমকির মুখে ফেলছে। অরবিন্দর মতে, একজন জাতীয় নেতার কাজ হল জনগণের অন্তর্লোককে জাগিয়ে তোলা। এই জাগরণ আসবে মানবতার মূল ভিত্তিকে পুনরায় গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে, যার মূল রয়েছে বিশ্বাসে এবং প্রতিকূল সময়েও ঐক্যবদ্ধভাবেই থাকবে (Bharat)। অরবিন্দর মতে, একটি জাতির সংস্কৃতি হল তার সাহিত্য, শিল্প, নীতি ও চিন্তায় গভীর আত্মপ্রকাশ। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর প্রভাবশালী প্রবন্ধসমূহে তিনি যুক্তি দেন যে ভারতের আসল শক্তি তার সেই ক্ষমতায়, যেখানে সে নতুন প্রভাবকে গ্রহণ করতে পারে নিজের মৌলিক পরিচয় হারানো ছাড়াই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েও ভারত টিকে থাকতে ও নিজেকে পুনর্জীবিত করতে পেরেছে এই গতিশীলতার কারণে, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কারণে নয় (Sri Aurobindo)।

    মনের কল্পনার ফসল

    তাঁর ভবানু মন্দির বইটি দিনের আলো দেখেছিল ১৯০৫ সালে। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “একটি জাতি কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, নয় কেবল একটি বাক্যের অলঙ্কার, নয় মনের কল্পনার ফসল। এটি এক মহাশক্তি, যা গঠিত হয় সেই কোটি কোটি মানুষের শক্তি দিয়ে, যারা মিলে জাতিকে নির্মাণ করে।” তিনি বলেন, এই শক্তি টিকে থাকে সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের দ্বারা। যখন সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শীর্ষে, তখন অরবিন্দের কৌশল একটি ভারসাম্য রক্ষা করে। তাঁর বক্তব্য, সভ্যতার ঐতিহ্যকে মর্যাদা দাও, কিন্তু তাকে এমনভাবে বিকশিত ও পরিবর্তিত হতে দাও যাতে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা পূরণ করে, ফলে এটি একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে থাকে, জাদুঘরের নিদর্শন না হয়ে যায় (Sri Aurobindo)।

    যখন আমরা বলি সংস্কৃতি একটি জীবন্ত সত্তা, তখন তার মানে হল আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ম, বিধি ও প্রথাগুলি পালন করি এবং এমন নতুন পথ খুঁজি যা সমগ্র সভ্যতার ঐক্যের পথে দিশা দেখাতে পারে। সভ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। যখন আমরা হিন্দু সভ্যতার কথা বলি, তখন আমরা সেই সভ্যতার কথা বলি যা বেদ (Bharat) ও উপনিষদের আদর্শ ও নীতির উপর নির্মিত, নীতি শাস্ত্র এবং আমাদের পুরাণকথার ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা এই সামষ্টিক চেতনার ভিত্তি (Sri Aurobindo)।

  • Independence Day 2025: এবারের থিম “নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Independence Day 2025: এবারের থিম “নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2025) ৭৯তম উদযাপনের এবারের থিম হবে “নয়া ভারত”। ১৩ অগাস্ট জারি করা সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই থিম ভারতের এক সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে, যা ২০৪৭ সালের মধ্যে “বিকশিত ভারত” গঠনের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Independence Day 2025)

    এ বছরের এই উদযাপন সফল ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করবে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐতিহাসিক লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। লালকেল্লায় পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে দিল্লি অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভবনীশ কুমারের, যিনি তাঁকে মঞ্চে নিয়ে যাবেন গার্ড অব অনার পরিদর্শনের জন্য।

    গার্ড অফ অনার

    ভারতে এই গার্ড অফ অনারের নেতৃত্ব দেবেন উইং কমান্ডার এএস সেখোঁ। এতে থাকবেন মোট ৯৬ জন সদস্য। একজন আধিকারিক ও ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌবাহিনী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও দিল্লি পুলিশের ২৪ জন করে সদস্য। গার্ড অব অনার পরিদর্শন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লার প্রাচীরের দিকে অগ্রসর হবেন, যেখানে তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষা প্রধান তাঁকে স্বাগত জানাবেন। ফ্লাইং অফিসার রাশিকা শর্মা প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে সহায়তা করবেন, যা দেশীয় ১০৫ মিমি লাইট ফিল্ড গান ব্যবহার করে ১৭২১ ফিল্ড ব্যাটারি কর্তৃক ২১ বার তোপধ্বনির সঙ্গে সম্পন্ন হবে (Independence Day 2025)।

    ‘রাষ্ট্রীয় স্যালুট’

    পতাকা উত্তোলনের পর তিরঙ্গা পাবে ‘রাষ্ট্রীয় স্যালুট’, এবং সেই সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যান্ড জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলের পাপড়ির বর্ষণ করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণ শেষে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ক্যাডেট এবং ‘মাই ভারত’ স্বেচ্ছাসেবীরা এক সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন। সব মিলিয়ে মোট ২,৫০০ ছেলে ও মেয়ে, যাঁরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর এনসিসি শাখা থেকে আসবেন, তাঁরা উৎসবে অংশ নেবেন ‘মাই ভারত’ স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে। তাঁরা লালকেল্লার প্রাচীরের উল্টোদিকে জ্ঞানপথে বসে ‘নয়া ভারত’ লোগো তৈরি করবেন।

    দেশপ্রেমমূলক ব্যান্ড

    এই প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় সারা দেশে দেশপ্রেমমূলক ব্যান্ড পরিবেশনের আয়োজন করা হবে, যা জাতীয়তাবাদের চেতনা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাফল্য উদ্‌যাপনের জন্য অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ভারতীয় কোস্ট গার্ড, এনসিসি, সিআরপিএফ, আইটিবিপি, সিআইএসএফ, এসএসবি, বিএসএফ, আইডিএস, আরপিএফ এবং অসম রাইফেলসের ব্যান্ড। এটি দেশের ১৪০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে (Independence Day 2025)। এ বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের উদ্‌যাপনে প্রায় ৫,০০০ বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যারা বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসবেন। এছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা ১,৫০০-রও বেশি ব্যক্তি, যারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করবেন, তাঁরা এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবেন।

    গ্যালান্ট্রি পুরস্কার ঘোষণা

    এদিকে, স্বাধীনতা দিবসে অসাধারণ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য স্বীকৃত প্রতিরক্ষা কর্মীদের গ্যালান্ট্রি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক প্রবীণ আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে বিশেষভাবে উদযাপন করা হবে। এর লোগো জ্ঞানপথে রাখা ভিউ কাটারে প্রদর্শিত হবে এবং থিমভিত্তিক ফুলের সাজসজ্জায়ও ব্যবহার করা হবে। যেসব প্রতিরক্ষা কর্মী সাহসিকতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হবেন, তাঁরা লালকেল্লার প্রাচীরে আসন পাবেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তাঁর ভাষণে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Independence Day 2025)।

    জানা গিয়েছে, এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হবে “সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও সাহসী ‘নয়া ভারতে’র অব্যাহত জয়যাত্রা”-কে স্মরণ করার জন্য, যা ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে। মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই উদযাপনের লক্ষ্য হল “অগ্রগতির পথে আরও দূর এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন করে শক্তি জোগানো।” বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে লালকেল্লার ওপর দিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর উড়ান প্রদর্শনী, যেখানে তিনটি হেলিকপ্টার সারিবদ্ধভাবে উড়বে, বহন করবে জাতীয় পতাকা এবং অপারেশন সিঁদুরের পতাকা। সমবেত দর্শকদের ওপর ছড়ানো হবে ফুলের পাপড়ি (Independence Day 2025)।

  • Hindus under Attack: ভারত-বাংলাদেশে গত ১ সপ্তাহে হিন্দু নির্যাতনের কতগুলি ঘটনা

    Hindus under Attack: ভারত-বাংলাদেশে গত ১ সপ্তাহে হিন্দু নির্যাতনের কতগুলি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ ও দেশের বাইরে হিন্দু ধর্মের (Hindus under Attack) উপর আঘাত ক্রমাগত বাড়ছে। হিন্দু হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসবে আক্রমণ, হিন্দু নারীদের উপর নির্যাতন—এই সব ঘটনা নানা প্রান্তে ঘটেই চলেছে। ২৭ জুলাই থেকে ২ অগাস্ট পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন নিচে তুলে ধরা হল।

    ভারতের ঘটনাগুলি (Hindus under Attack)

    বিহার

    সীতামারহির এক মন্দিরে কাশিম নামে এক ব্যক্তি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে পুরোহিত সেজে ছিলেন। তিনি নিজেকে “কৃষ্ণ” নামে পরিচয় দিতেন এবং হিন্দু পূজারী সেজে আসল পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।

    উত্তরপ্রদেশ, আগ্রা

    অগাস্ট মাসের শুরুতেই (Hindus under Attack) আগ্রা পুলিশ একটি বড়সড় ধর্মান্তরণ চক্র ফাঁস করে, যার আন্তর্জাতিক যোগসূত্র থাকার প্রমাণ মিলেছে।

    পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা

    ২৬ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলা বাগুইআটি থেকে সল্টলেক যাওয়ার পথে এক ক্যাব চালকের দ্বারা লাঞ্ছিত হন (Hindus under Attack)। সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে তিনি চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

    উত্তরাখণ্ড

    রানিখেত অঞ্চলে হিন্দু মহিলাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার একটি বড় চক্র ফাঁস করেছে পুলিশ (Hindus under Attack)।

    হায়দরাবাদ

    ২৪ জুলাই, পবিত্র পেদ্দাম্মা থাল্লি মন্দির প্রশাসনের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ, মূর্তিগুলিকে গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

    মহারাষ্ট্র

    কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান “সনাতনী সন্ত্রাস” নামক নতুন একটি শব্দ ব্যবহার করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। গেরুয়া সন্ত্রাসের ব্যর্থ তত্ত্বের পর, এটি কংগ্রেসের নতুন রাজনৈতিক কৌশল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    মণিপুর

    ৩১ জুলাই এনআইএ-র একটি বড় সফলতা—জিরিবাম গণহত্যার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার। এই হামলায় এক মেইতেই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন (Bangladesh)

    রংপুর, গঙ্গাচড়া

    রঞ্জন রায় নামে এক হিন্দু যুবককে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
    পরবর্তীতে, ৫০০ থেকে ৬০০ জন মৌলবাদী একত্রিত হয়ে ওই উপজেলার তের বেতগাড়ি ইউনিয়নের ১৫টিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়।

    নেপালে বাড়ছে মৌলবাদী তৎপরতা

    ভারতের বাইরে একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নেপালে মৌলবাদী সংগঠনগুলি “তাবলীগ” নামের কর্মসূচি চালিয়ে ধর্মীয় জনসংখ্যা পরিবর্তনের অপচেষ্টা করছে। এতে জেহাদি কার্যকলাপ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • Mohan Bhagwat: “‘ভারতে’র অনুবাদ করলে নষ্ট হয়ে যাবে সম্মান,” বললেন ভাগবত 

    Mohan Bhagwat: “‘ভারতে’র অনুবাদ করলে নষ্ট হয়ে যাবে সম্মান,” বললেন ভাগবত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ভারতে’র (Bharat) অনুবাদ করা উচিত নয়, কারণ তাতে এর স্বাতন্ত্র্য এবং বিশ্বজুড়ে যে সম্মান তা নষ্ট হয়ে যাবে।” রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এখন আর ভারতের সোনার পাখি হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ সময় এসেছে সিংহ হয়ে ওঠার।” কেরালার কোচিতে আরএসএস ঘনিষ্ঠ শিক্ষা সংস্কৃতি উত্তান ন্যাস আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলন জ্ঞান সভায় যোগ দিয়েছিলেন ভাগবত।

    ‘ভারতে’র অনুবাদ করা উচিত নয় (Mohan Bhagwat)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত একটি বিশেষ্য পদ। এর অনুবাদ করা উচিত নয়। ভারত-কে ভারত-ই থাকতে হবে। কারণ, যদি আমরা আমাদের পরিচয় হারিয়ে ফেলি, তবে আপনার যত গুণই থাকুক না কেন, এই জগতে আপনি সম্মান বা নিরাপত্তা পাবেন না। পরিচয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পরিচয় নির্ভর করে আপনার ‘সংস্কৃতি’র ওপর। আমি ‘কালচার’ শব্দটি ব্যবহার করি না। আমরা যে শব্দটি ব্যবহার করি তা হল ‘ধর্ম-সংস্কৃতি’, এবং এর কোনও ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই। আমাদের সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যের সঙ্গে।”

    কী বললেন সরসংঘচালক?

    সরসংঘচালক বলেন, “ভারতের আর ‘সোনার পাখি’ হওয়ার দরকার নেই। বরং আজকের পরিস্থিতি দাবি করে যে ভারতকে এখন সিংহ হতে হবে। কারণ বিশ্ব আদর্শ নয়, শক্তিকে সম্মান করে। ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকেও শক্তিশালী হতে হবে। বিশ্বের সর্বোত্তম প্রযুক্তিগুলিও এখানে দৃশ্যমান হতে হবে। তা না হলে বিশ্ব আমাদের মূল্য দেবে না।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমরা বিশ্ব শাসন করতে চাই না। আমরা চাই বিশ্বটি একটি সুন্দর জায়গা হয়ে উঠুক।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরালার রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আর্লেকারও। ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করে তিনি বলেন, “পরবর্তী প্রজন্ম আর সোনার পাখি হতে চায় না। তারা চায় ভারত হোক সোনার সিংহ। পুরো বিশ্ব সেই সিংহের গর্জন দেখবে ও শুনবে। আমরা কাউকে ধ্বংস করতে আসিনি, বরং বিশ্বের উন্নয়নের জন্য নতুন কিছু দিতে এসেছি।”

    “শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব” বিষয়ক বক্তৃতায় ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “ভারতকে জান এবং ভারতের অংশ হও — এই চেতনার মাধ্যমেই শিক্ষায় ভারতীয়ত্ব গড়ে উঠবে।শিক্ষা ক্ষেত্রে (Bharat) আমাদের অনেক জায়গায় সংস্কারের প্রয়োজন। কেবল পাঠ্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না।”

LinkedIn
Share