Tag: bhatpara

bhatpara

  • Pawan Singh: অর্জুন পুত্র বিধায়ক পবন সিংয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে প্রতারণা, চাঞ্চল্য

    Pawan Singh: অর্জুন পুত্র বিধায়ক পবন সিংয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে প্রতারণা, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একীকাণ্ড! এবার খোদ বিধায়কের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠল প্রতারণাচক্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়ায়। এর কিছুদিন আগেই সেই ভাটপাড়ারই ফুটপাতের এক ব্যবসায়ীর আধার কার্ড জালিয়াতি করে ভিনরাজ্যে কোটি টাকার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল অসমের এক প্রতারক। ভাটপাড়ার ওই ব্যবসায়ী কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়ে আধার কার্ড জালিয়াতির বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা অর্জুন পুত্র পবন সিংয়ের (Pawan Singh) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠল প্রতারণাচক্রের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বিধায়কের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি কারবারীর হদিশ পায়নি পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  চলতি মাসের ১২ তারিখ ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং (Pawan Singh) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে তাঁর নামে খোলা একটি ফেক ফেসবুক একাউন্টের ছবি পোস্ট করেন। যেখানে পরিষ্কারভাবে ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার ছবি দেখা যাচ্ছে। গোটা ঘটনাটি বিধায়ক পবন সিংয়ের নজরে আসার পরেই  ১৩ই সেপ্টেম্বর জগদ্দল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও তিনি বিশেষ কাজে রাজ্যের বাইরে থাকলেও তার অনুগামীরা গোটা ভাটপাড়া অঞ্চল জুড়ে সকলকে সাবধান থাকার প্রচার করেছেন। যদিও এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশের তরফ কোনও  ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, প্রতারণাচক্ররা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে অন্যদের এভাবেই প্রতারণা চালাবে বলেই বিধায়ক অনুগামীরা মনে করছেন।

    কী বললেন ভাটপাড়ার বিধায়ক? (Pawan Singh)

    বিধায়ক পবন সিং (Pawan Singh) বলেন, আসলে সাইবার প্রতারকরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে আমার ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা চেয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। থানার আইসিকে আমি নিজে ফোন করে বিষয়টি আবার বলেওছি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছি। তবে, কে বা কারা এই প্রতারণা করল তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই ঘটনা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: ফের বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরের চাল, রাজ্যবাসীর আতঙ্ক কি কাটবে না?

    Bomb Blast: ফের বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরের চাল, রাজ্যবাসীর আতঙ্ক কি কাটবে না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস আগে টিটাগড় পুরসভায় স্কুলের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছিল। তারপর শুরু হয়েছিল বারাকপুর মহকুমা জুড়ে পুলিশি তত্পরতা। ভাটপাড়়া, জগদ্দল সহ একাধিক জায়গায় বোমা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। এখনও রাজ্যু জুড়ে সেই অভিযান চলছে। এরই মধ্যে দুদিন আগে বনগাঁয় শৌচালয়ের মধ্যে মজুত রাখা বোমা ফেটে ১২ বছরের এক নাবালকের মৃত্যু হয়। সেই জের কাটতে না কাটতেই এবার বারাকপুর মহকুমার ভাটপাড়া এবং টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। 

    ভাটপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম এক

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেফটি ট্যাঙ্কের ওপর লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে জখম হলেন এক বৃদ্ধ। বুধবার বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের-১ নম্বর সুকান্তপল্লিতে। জানা গিয়েছে, অজন্তা চক্রবর্তীর বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কের ওপর আগাছার মধ্যে একটা বোমা লুকিয়ে রাখা ছিল। প্রতিবেশী ৭৫ বছরের নির্মল বিশ্বাস ওই আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়েই বোমাটি ফেটে (Bomb Blast) যায়। বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন নির্মলবাবু। তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলার সত্যেন রায় ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ। ঘিঞ্জি এলাকায় বোমা ফাটার ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

    টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast)  উড়ল বাড়ির চাল 

    টিটাগড় পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর পানি ট্যাঙ্কি এলাকায় বুধবার বেলায় বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) জেরে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে যায়। চাল উড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, মুন্না সাউ নামে এক ব্যক্তির জমিতে থাকা একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনার পর মুন্না সাউ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পরিত্যক্ত ঘরটিতে কেউ বা কারা বোমা মজুত রেখেছিল। সেই বোমাই ফেটে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে খড়দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যে ঘরটিতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে সেই ঘরটি ভেঙে পড়েছে এবং তার আশেপাশে বেশ কয়েকটি ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে টিটাগড় পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ জহর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি আসি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: উলট পুরাণ, তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতারাও খুন হওয়ার আশঙ্কায় কমিশনারেটের দ্বারস্থ!

    Barrackpore: উলট পুরাণ, তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতারাও খুন হওয়ার আশঙ্কায় কমিশনারেটের দ্বারস্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকার সাধারণ মানুষকে যাদের রক্ষা করার কথা, ভাটপাড়া এলাকার তৃণমূলের সেই ডাকাবুকো জনপ্রতিনিধিরা চরম আতঙ্কে ভুগছেন। প্রকাশ্যে পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। মূলত দলেরই অন্য গোষ্ঠীর (সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী) দিকে তাঁরা আঙুল তুলেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘কয়েকজন এসে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ শুনেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।

    নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের (Barrackpore)

    পাশাপাশি জগদ্দল, ভাটপাড়া অঞ্চলে নতুন করে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে মৌন প্রতিবাদ জানালেন জগদ্দল বিধানসভা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানে জগদ্দলের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে মাস্টারমাইন্ডকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ওই দলে ছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের মা নীলম দেবীও। গত কয়েক মাসে জগদ্দল, ভাটপাড়া অঞ্চলে খুন এবং আক্রান্তদের ছবি সহযোগে গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, এবার টার্গেট কি আমি? বিক্ষোভকারীদের তরফে ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়, সেখানে শাসক দলেরই লোকজন অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ কমিশনারের অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    বিক্ষোভকারী জনপ্রতিনিধি কী বললেন?

    বিক্ষোভকারীদের দলে ছিলেন জগদ্দল বিধানসভার অধীন ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলার, চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৮ জন সদস্য, দুজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং সাত জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ ওই এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার বিপ্লব মালো বলেন, ২০১৯ সাল পরবর্তী সময়ে যেভাবে বিজেপির বাহিনী (সেই সময় অর্জুন সিং বিজেপিতে ছিলেন) ভাটপাড়া, জগদ্দল জুড়ে অশান্তি পাকিয়েছিল, একই ভাবে গত ছয়-আট মাস ধরে নতুন করে অশান্তি পাকিয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সম্ভাব্য কিছু জায়গার নাম আমরা পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছি, যেখান থেকে দুস্কৃতীরা বেরিয়ে অশান্তি পাকাচ্ছে। পুলিশ কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন যারা জড়িত তাদের সকলকেই ধরা হবে’।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘দলের কর্মীরা আতঙ্কিত। তাই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমি এতে অন্যায়ের কিছু দেখছি না। আশা করি মেঘনা জুটমিল লাইন সহ যে যে এলাকা থেকে অশান্তি পাকানো হচ্ছে, পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    Bhatpara: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় শতাধিক বোমা উদ্ধার হল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া (Bhatpara) থেকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বোমাগুলিকে ম্যাটাডোরে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা এই বোমা রেখে গেল তা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।

    কী জানা গেল?  

    জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গোপন সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দেয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। নয়াবাজারের এক মাঠের গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বোমাগুলি। খবর পেয়ে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। এরপরেই ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটি ফাঁকা করে ঘিরে ফেলা হয়। এর পর বোমাগুলি ব্যাগে রেখে তা তোলা হয় ম্যাটাডরে। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

    এই ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আশেপাশের এলাকাতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা বা কী উদ্দেশ্যে বোমাগুলি ওইখানে রাখা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর আগেও একাধিক বার বোমা উদ্ধার এবং বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেছে ভাটপাড়ায় (Bhatpara)।

    আরও পড়ুন: ফের মস্কো থেকে গোয়ামুখী বিমানে বোমাতঙ্ক, রুট বদলে উজবেকিস্তানে জরুরি ল্যান্ডিং

    গত বছরের অক্টোবর মাসেও ভাটপাড়া (Bhatpara) থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। রিলায়েন্স জুটমিল শ্রমিক লাইন থেকে সেই বোমাগুলি উদ্ধার হয়। তার কিছুদিন আগে বোমা ফেটে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে ভাটপাড়াতে। ভাটপাড়া ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের দু’টি বোমা রাখা ছিল। তিনজন কিশোর সেটিকে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। এরপরই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। একজনের মৃত্যু হয়। জখম হয় দুজন। মৃত বালকের নাম নিখিল পাসোয়ান। রেল গেটের পাশেই দুষ্কৃতীরা বোমা রেখে যায় বলে অভিযোগ। সেটিকেই এলাকার তিন বালক বল ভেবে ভুল করে। তা নিয়ে খেলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ছুড়ে মারতে সজোরে ফেটে যায় বোমা। এই ঘটনা রেস কাটেনি এখনও। তারই মাঝে আবার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আবারও এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু ছয় বছরের শিশুর, বল ভেবে খেলতে গিয়েই হল বিপত্তি

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় বোমা ফেটে মৃত্যু ছয় বছরের শিশুর, বল ভেবে খেলতে গিয়েই হল বিপত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ফের দুঃখের খবর। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল ছয় বছরের শিশুর। বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর জখম হয়েছে তার বাকি দুই খেলার সঙ্গীও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে, ভাটপাড়া থানার প্রেমচাঁদ নগরে রেললাইনের ধারে। মৃত শিশুর নাম চিকু পাসোয়ান। জানা গিয়েছে, ভাটপাড়ার ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের ধারে বোমাগুলি রাখা ছিল।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ভাটপাড়া পুরসভার প্রেমচাঁদ নগর এলাকায় বোমা ফাটে। গুরুতর জখম ১১ বছরের মহেশ সাউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানান, ঘুম থেকে উঠে ওই দুজন বাড়ির কাছেই রেল লাইনের ধারে খেলা করছিল। ২৮ ও ২৯ নম্বর রেলগেটের মাঝে কাঁকিনাড়া স্টেশন সন্নিহিত রেল ধারে ওরা একটি বোমা কুড়িয়ে পায়। বল ভেবে নাড়াচাড়া করতে গিয়েই বোমা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চিকুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহেশকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কল্যাণী ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর সেখান থেকে ওকে কলকাতার মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আর সেখান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটির জিআরপি–আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে বোমাটি কেউ ফেলে রেখেছিল। সেটাকেই বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হয় চিকুর। বোমাটি হাতে নিতেই বিকট শব্দে ফেটে যায়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার জন্য ফের এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    অন্যদিকে, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, ওখানে উকিল নামে এক দুষ্কৃতীর দাপটে তটস্থ এলাকার মানুষ জন। জুয়ার ঠেকে যাবার আগে ওরা বোমা আশেপাশে লুকিয়ে রাখে। জুয়ায় হেরে যাবার পর বোমা নিতে ভুলে যায়। সেই লুকিয়ে রাখা বোমা কুঁড়িয়ে পেয়ে খেলতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। কে বা কারা রেললাইনের ধারে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখছে নৈহাটি জিআরপি থানা ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ।

     

LinkedIn
Share