Tag: Bhutan

Bhutan

  • Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ভারতীয় রেল (Bharat Bhutan Rail)। বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পর এবার ভুটানের সঙ্গে রেল সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অসমের কোকড়াঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ বসানোর যাবতীয় প্রকল্প রিপোর্ট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তুলে দিয়েছে ভারতীয় রেলবোর্ডের কাছে।

    প্রস্তাবিত প্রকল্প কাঠামো

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের কথা গুয়াহাটিতে ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গুয়াহাটিতে আয়োজিত বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো শীর্ষ সম্মেলন অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০-তে প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটির কথা ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী। প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটি অসমের কোকড়াঝাড় স্টেশনকে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে যুক্ত করবে। লাইন বসানোর জন্য আনুমানিক ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৩,৫০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে ৬টি নতুন স্টেশন নির্মাণ হবে। স্টেশনগুলি হল বালাজান, গারুভাসা, রুনিখাতা, শান্তিপুর, দাদাগিরি ও গেলেফু। সেইসঙ্গে পরিকাঠামো পরিকল্পনায় থাকছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু, ১টি রোড ওভার ব্রিজ ও ৩৯টি রোড আন্ডার ব্রিজ ও ১১ মিটার দৈর্ঘ্যের ০২টি ভায়াডাক্ট। ফাইনাল লোকেশন সমীক্ষা রিপোর্ট রেলবোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র দিকে এগোচ্ছে রেল

    প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু নতুন রেলওয়ে (Bharat Bhutan Rail) প্রকল্প গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’-র দিকে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই লাইনই অসম ও ভুটানকে যুক্ত করবে। দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য এই লাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ

    প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের ফাইনাল লোকেশন সার্ভে (এফএলএস) সফল ভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং পরবর্তী অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই রেললাইনটি উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারত-ভুটান সম্পর্ককে মজবুত করবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থাকেও উন্নত করবে, এবং এর মাধ্যমে ভুটানকে সর্বপ্রথম বার রেলওয়ে সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করা হবে, যা বাধাহীন পরিবহণে সহায়ক হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে, এই রেললাইন বড়োল্যান্ডের জন্য একটি বাণিজ্য ও ট্রানজিট হাব হিসাবে গড়ে উঠবে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসা ও জনসাধারণের সুবিধা হবে। সামগ্রিক ভাবে, এই অসম-ভুটান রেললাইন বড়োল্যান্ডের অর্থনীতিতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় রূপান্তর সাধন করবে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।

    প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’

    দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন ও বঞ্চিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নের গতি আনাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’। বাংলাদেশ ও মায়ানমার এই দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অ্য়াক্ট ইস্ট পলিসির কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ৷ কারণ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এই দুই দেশের মধ্যে দিয়ে যুক্ত করা যায়। যেহেতু এই দুই দেশে ঝামেলা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে ৷ তাই নয়াদিল্লির জন্য ভুটান, নেপাল, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন ৷ সেক্ষেত্রে এই প্রস্তাবিত রেলপথ ভারত-ভুটান সম্পর্ককেঅন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগ

    ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi Initiatives) ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে বৈঠকে এই রেললাইন নিয়ে আলোচনা হয়। এই রেললাইনের ৭০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভুটানের ভেতরে ৫৮ কিলোমিটার রেলপথ বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সারপাং-এর গেলেফু পর্যন্ত এই রেলপথ পাতা হবে। পরে, ২০২৪ সালে মার্চ মাসে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেসময় মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে এই রেলপথ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ তারপর দু’দেশের মধ্যে এই রেললাইন নিয়ে মৌ স্বাক্ষরও হয়েছিল।

    কোথা থেকে কোথায় রেলপথ

    ভুটানের (Bharat Bhutan Rail) সারপাং জেলার গেলেফুকে ভুটানের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হিসেবে ধরা হয় । এই রেলপথ তৈরি হলে ভুটানের আর্থ সামাজিক মান আরও উন্নত হবে ৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে । পর্যটন মানচিত্রে বিরাট জায়গা করে নেবে এই রেলপথ । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রেললাইন হিসেবে ভুটানের সামসি জেলা থেকে ভারতের সীমান্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে কোকরাঝাড় রেলপথ বানারহাট রেললাইনে মিশবে।

    ভারতের রেল নেটওয়ার্ক

    ভারতের রেল (Bharat Bhutan Rail) নেটওয়ার্ক হার মানিয়ে দেয় অনেক দেশকেই। শুধু দেশের অন্দরে নয়, আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কও রয়েছে ভারতের। বর্তমানে ভারতের বাইরে ট্রেনে চেপে আরও দুটি দেশে যাওয়া যায়- বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তবে এবার ভারতের গা ঘেঁষে থাকা ভুটানেও পৌঁছে যাওয়া যাবে ট্রেনে চেপেই। ভারত-ভুটান সরাসরি রেলপথ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ, তাতে আমজনতা, পর্যটকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও সহজ ও সম্প্রসারিত হবে। ভুটানের সঙ্গে আরও পোক্ত হবে ভারতের সম্পর্ক।

    প্রাথমিক পরিকল্পনা

    ভারতের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি সম্ভাব্য রুটের কথা ভাবা হয়েছিল। এগুলির মধ্য়ে অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত তিনটি রুটে ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা উঠে আসে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে একটি করে সম্ভাব্য রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। অন্যদিকে, অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলরুটগুলির মধ্য়ে অন্যতম ছিল কোকড়াঝাড়-গেলেফু। শেষ পর্যন্ত সেই রুটটিকেই বেছে নেয় রেল মন্ত্রক। এরপর, ভারত ও ভুটান – দুই দেশের সম্মতিক্রমে ২০২২ সাল থেকে এই রুটে সমীক্ষার কাজ শুরু করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। প্রায় দুই বছর ধরে ধাপে ধাপে সেই সমীক্ষার কাজ চলে। অবশেষে, ফাইনাল লোকেশন সার্ভের কাজ শেষ হয় গত নভেম্বর মাসে। এবার তৈরি হল প্রকল্প রিপোর্ট।

    ভারত-ভুটান এক ঘণ্টায়

    তথ্যাভিজ্ঞ মহলের হিসাব বলছে, সরাসরি রেলরুট চালু হলে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পৌঁছতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। তাছাড়া, এই রুটে দুই দেশের মধ্য়ে পণ্য পরিবহণও শুরু করা যাবে। তাতে পরিবহণ খরচ কমবে এবং সময় বাঁচবে। যার জেরে লাভবান হবে দুই পক্ষই।

    পর্যটনে জোয়ার

    ভুটান (Bharat Bhutan Rail) ভারতের ঠিক পাশেই অবস্থিত। ভারতীয়দের ছুটি কাটানোর অন্যতম ঠিকানা এই দেশ। হিমালয়ের কোলে থাকা সেই ভুটানে এবার যাওয়া যাবে ট্রেনে। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। অসমের কোকরাঝাড় জেলাকে ভুটানের গেলফু শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে রেল লাইন। একবার এই রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়ে গেলে, ভারত থেকে ভুটানে যাতায়াত করা মানুষের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে। এই রেল যোগাযোগ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতীয়দের ভুটান ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তবে রেলপথ নির্মাণের পরে, ভারতীয়দের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হয়ে উঠবে।

  • Amit Shah: ‘নেপাল-ভুটান সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত ’, কেন বললেন শাহ?

    Amit Shah: ‘নেপাল-ভুটান সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত ’, কেন বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হুমকি, হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বই দিতে চাইছে না ভারত। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল)-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নেপাল এবং ভুটান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারত যে একেবারেই চিন্তিত নয়, তাও জানালেন তিনি। তবে সেটাও সম্ভব হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের জন্য। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। মাওবাদী কার্যকলাপ প্রতিহত করা থেকে মানব পাচারকারীদের পাকড়াও, এসএসবি বা সশস্ত্র সীমা বলের জন্যই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে এবং হচ্ছে। শাহের কথায়, “শুধু ২০২৪ সালেই চার হাজার পাচারকারীকে পাকড়াও করেছে এসএসবি। উদ্ধার হয়েছে ১৬ হাজার কেজি মাদক।”

    কী বললেন শাহ?(Amit Shah)

    সশস্ত্র সীমা বলের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুক্রবার এসএসবি-র শিলিগুড়ি (Siliguri) হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত ছিলেন শাহ। মাওবাদী মোকাবিলায় সশস্ত্র সীমা বলের প্রশংসা করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “বন্ধ সীমান্তে কাজ করা অনেকটা সুবিধার। সেই সীমান্ত দিয়ে কেউ পারাপার করতে পারে না। কিন্তু, যেখানে মুক্ত সীমান্ত রয়েছে, সেখানে জওয়ানদের কাজ অনেকটা কঠিন এবং জটিলও। সে দিক থেকে এসএসবি যে ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই অনস্বীকার্য। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল এবং ভুটানের সীমান্ত নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নই।”বস্তুত, নেপাল এবং ভুটানের প্রায় ২,৪৫০ কিলোমিটার সীমান্তে ‘নো ম্যান্ডস ল্যান্ডে’ জ়িরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে এসএসবি। শাহ জানান, গত তিন বছরে ১১০০ অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সশস্ত্র সীমা বল। ১০০০ একরের বেশি জমি জবরদখল মুক্ত করেছে তারা। চার হাজারের বেশি পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮১ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছেন জওয়ানেরা। অভিযানে ৮০১ জনকে পাচারের আগেই উদ্ধার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ২৩১ জন নাবালক-নাবালিকা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ

    শিলিগুড়ি করিডর এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিলিগুড়িতে এসএসবির হেডকোয়ার্টার থাকায় তা আমাদের অনেকটাই নিশ্চিন্ত করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা নিয়েছে এসএসবি।” শাহ জানান, ৬০০-র বেশি মাওবাদীকে গ্রেফতার করা, ১৫ জন মাওবাদী নেতাকে ‘এনকাউন্টার’ করতে সমর্থ হয়েছেন সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানেরা। একই ভাবে ১৯ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের হাতে। এছাড়া বিহারকে মাওবাদী মুক্ত করার ক্ষেত্রেও এসএসবি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন শাহ।

    পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য তৈরি ভবনের উদ্বোধন

    শিলিগুড়ি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের জন্য একটি আধুনিক ভবনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন একর জমির ওপরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট চারটি ভবন তৈরি হয়েছে। ওই ভবন উদ্বোধনের সময়ে পেট্রাপোল সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, বনগাঁর কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    PM Modi: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ তারিখে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে। সরকারি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতারা। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে এনডিএ জিতেছে ২৯২টি আসনে। সূত্রটি জানিয়েছে, মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল এবং মরিশাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

    কী বলছে শ্রীলঙ্কা? (PM Modi)

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের অফিসের তরফে জানানো (PM Modi) হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিক্রমসিংহে আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। মোদির জয়ে তাঁকে ফোনে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। এই সময়ই বিক্রমসিংহকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন।

    আসছেন কারা?

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময়ই হাসিনাকেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান তিনি। জানা গিয়েছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগানাউথকেও। প্রচণ্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলাদা করেও কথা হয়েছে। ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের অফিসিয়ালি নিমন্ত্রণ জানানো হবে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। ২০১৪ সালে যখন প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি, সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সার্কের (SAARC) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর যখন দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন মোদি, তখন উপস্থিত ছিলেন বিমস্টেক (BIMSTEC) দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা।

    আর পড়ুন: সরকার গড়ার সংখ্যা নেই, ‘ইন্ডি’ জোট বসবে বিরোধী আসনেই

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি কেন্দ্রের রাশ। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্যই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে এনডিএ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Bhutan: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi in Bhutan: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভুটান সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bhutan)। শুক্রবার সকালেই ভুটানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পারো বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরেই দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার।  

    মোদিকে উষ্ণ আলিঙ্গন (PM Modi in Bhutan)

    লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই ফের সরকার গঠিত হবে বলে ধরে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শান্তির দূত হিসেবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। এহেন (PM Modi in Bhutan) আবহে এদিন পড়শি দেশ ভুটান রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবারই দেশে ফিরবেন তিনি। এদিন পারো বিমানবন্দরে পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপো’য় সম্মানিত করা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    মোদির সম্মানে বন্ধ ভুটানের স্কুল

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে ভুটানের সমস্ত স্কুল। রাজধানী থিম্পুতে তাঁকে স্বাগত জানান স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেওয়াং দোরজি নামে ভুটানের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আজ ভুটানের সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছে ভুটানের পড়ুয়ারা।” চলতি বছরই সাধারণ নির্বাচন হয়েছে ভুটানে। সেই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেরিং। তার পরেই ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, শক্তি ও জ্বালানি, জলবিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছিল ভারত ও ভুটানের মধ্যে।

    সম্প্রতি ভুটান সীমানায় তৎপরতা বাড়িয়েছে চিনা সেনা। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এহেন আবহে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পড়শি দেশ ভুটানও যাতে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মতো চিনা ঋণের ফাঁদে না পড়ে, বেজিং যাতে ভুটানভূমকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে চোখ রাঙাতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতেই ভুটান সরকারের ডাকে লোকসভা নির্বাচনের মুখে সে দেশে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “থিম্পুতে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Bhutan) সফরে ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • China: ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ফের বাড়ি বানাচ্ছে চিন!

    China: ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ফের বাড়ি বানাচ্ছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ফের বাড়ি বানাচ্ছে চিন (China)। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বর্তমানে দু দেশের মধ্যে চলছে আলাপ আলোচনা। তার মধ্যেই সিঁধ কেটে চলেছে বেজিং। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই তিনটি গ্রাম গড়ে ফেলেছে লালফৌজ। রবিবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে চিনা দৈনিক মর্নিং পোস্টে।

    সিঁধ কাটার ছবি উপগ্রহ চিত্রেও

    ভুটান সীমান্তে চিন যে গ্রাম গড়ছে, কিছু দিন আগেই তা জানা গিয়েছিল উপগ্রহ চিত্রে। বেয়ুল খেনপাজং অঞ্চলে নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গ্রাম গড়ছে চিন। কেবল এই অঞ্চলে নয়, ভুটানের উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ পশ্চিম ভূখণ্ডে চিন ক্রমশ দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশী দেশ (এক্ষেত্রে ভুটান) দুর্বল জেনেই তাদের এই পদক্ষেপ। খুব (China) কৌশলে ভুটানের জমি দখল করছে চিন। জমি দখল করার পাশাপাশি ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনাও চালাচ্ছে বেজিং। যার অর্থ, পিছু হটার বদলে ওই অঞ্চলে নির্মাণকাজ বহাল রাখার প্রশ্নে অনড় মনোভাব নিচ্ছে ড্রাগনের দেশ।

    চলছে নির্মাণ কাজ

    একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, হিমালয়ের কোলে প্রত্যন্ত গ্রামে চিন-ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় নির্মাণ কাজ করছে চিন। নতুন করে ১৮ জন চিনা নাগরিক তাঁদের জন্য নতুন করে তৈরি বাড়িতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। বাড়িগুলিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবিও টাঙানো হয়েছে। চিনা ও তিব্বতি ভাষায় লেখা লাল উজ্জ্বল রংয়ের ব্যানারও। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় লোকজন ঢোকে সীমান্তে চিনের তৈরি ওই বাড়িগুলিতে। দ্বিতীয় দফায় ঢুকবেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুুন: তিন বছরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিনে আসবে ভারত, বলছে সমীক্ষা

    গৃহপ্রবেশের অপেক্ষা করছেন তাঁরাই। রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, বিতর্কিত এলাকায় চিন অন্তত তিনটি গ্রাম বানিয়েছে। তিব্বত অটোনোমাস রিজিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ক্রমেই দখল করে চলেছে এলাকা। চিন এই সিঁদ কাটা নীতি প্রয়োগ করেছিল ভারতের ক্ষেত্রেও। তবে সেটা ভারত-চিন সীমান্তে নয়। সীমান্ত ঘেঁষে চিনের যে ভূখণ্ড রয়েছে, লাল ফৌজ নির্মাণকাজ চালাচ্ছিল সেখানেই। মার্কিন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ভুটানের ওই বিতর্কিত এলাকায় ১৪৭টি বাড়ি বানিয়েছে চিন (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhutan Election: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    Bhutan Election: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুটানের ভোটে (Bhutan Election) জয়ী হল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। ভুটানে দ্বিতীয় দফার সংসদীয় নির্বাচনে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জিতেছে শেরিং তোবগের দল। ‘ভারত বন্ধু’ বলে পরিচিত শেরিং তোগবে। তিনিই পাহাড় ঘেরা ছোট্ট দেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খুশি ভারতীয় কূটনীতিবিদরা। ইতিমধ্যেই শেরিং তোবগেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

    বিপুল ভোটে জয়লাভ

    মঙ্গলবার ভুটানে দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার সংসদীয় নির্বাচন (Bhutan Election) হয়েছিল। মোট ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে শেরিংয়ের দল পিডিপি। গত বছর গঠিত হওয়া চিন পন্থী নতুন দল ‘ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি’ (বিটিপি) বাকি ১৭টিতে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে বিরোধী শক্তি হয়েছে। সঙ্গত, ভুটানের সাধারণ নির্বাচন দু’টি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’টি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে পিডিপি ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। বিটিপির ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ২০ শতাংশ।বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের দল ‘ড্রুক নয়ামরুপ সোগপা’ (ডিএনটি) ২০১৮-র ভোটে ৩০টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেও নভেম্বরের নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    ভারতের বন্ধু শেরিং

    প্রসঙ্গত, পিডিপি নেতা শেরিং ২০১৩-১৮ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তার সময় ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। ২০১৮ সালে ভারতেও এসেছিলেন শেরিং। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে। ভুটানের ভোটে (Bhutan Election) নাক গলানোর কম চেষ্টা করেনি চিন। ভারত বন্ধুদের হারানোর চেষ্টাও করলেও সফল হয়নি বেজিং।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন শেরিংকে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার বন্ধু শেরিং তোগবে এবং তাঁর দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিকে সংসদীয় নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। এর ফলে ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী এবং সহযোগিতা আরও নিবিড় হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bhutan Rail Link: জিগমি ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক মোদির, এবার রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত-ভুটান!

    India Bhutan Rail Link: জিগমি ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক মোদির, এবার রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত-ভুটান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রেলপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত ও ভুটান (India Bhutan Rail Link)। রেলপথে ভারতের সঙ্গে ভুটানকে যোগ করতে জায়গা নির্বাচন করতে অচিরেই শুরু হবে সমীক্ষা। এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা। সেখানেই নিশ্চিত হয়েছে ভারত-ভুটান রেলপথে সংযুক্তিকরণের বিষয়টি। আট দিনের ভারত সফরে এসেছেন ভুটানের রাজা। ৩ নভেম্বর তিনি আসেন অসমের গুয়াহাটিতে। সেখান থেকে পৌঁছান দিল্লিতে।

    মোদি-জিগমি বৈঠক

    এদিন প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাটের সঙ্গে ভুটানের সামসের মধ্যে রেল সংযুক্তিকরণের (India Bhutan Rail Link) ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। অসমের দারাঙ্গা ও ভুটানের সামদ্রুপে নতুন অভিবাসী চেকপয়েন্ট খোলা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-কাঠামো, ব্যবসা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়েও মোদি-জিগমি (India Bhutan Rail Link) আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট-বার্তা 

    বৈঠকের পর ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান, ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুককে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আমরা অত্যন্ত উষ্ণ ও ইতিবাচক আলোচনা করেছি। ভুটানের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য দৃষ্টি প্রসারিত করা হচ্ছে।

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে চিন ও ডোকলাম প্রসঙ্গও উঠেছে। এই সমস্যা সমাধান করতে প্রথমবার বেজিংয়ে অংশ নিতে চেয়েছে ভুটান। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই অবস্থানে অস্বস্তিতে ভারত। বিদেশ সচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রা জানান, মোদির সঙ্গে নামগিয়েলের বৈঠকে দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ ও দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠকে তিনি সরাসরি ডোকলাম ও চিনের প্রসঙ্গের কথা বলেননি।

    আরও পড়ুুন: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন মহুয়ার! এথিক্স কমিটির বৈঠক পিছিয়ে হবে ৯ নভেম্বর

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতীয় সেনা অভিযোগ করেছিল, চিন ও ভারত সীমান্ত লাগোয়া ডোকলামে ভুটানের জমিতে ঢুকে ঘাঁটি গেড়ে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে লালফৌজ। উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছিল সেই ছবি। যদিও (India Bhutan Rail Link) তখন নয়াদিল্লির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর   

    S Jaishankar: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ন’ বছরে সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুই-ই মজবুত করেছে ভারত। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে একথাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই দেশের উত্তরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা আরও সুরক্ষিত করতেই এসব করছে মোদি সরকার। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই ভারত-কাঠমান্ডু রেলপথে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। জয়শঙ্কর বলেন, শেষ পর্যায়ে রয়েছে রক্সৌল-কাঠমান্ডু ক্রস বর্ডার রেলওয়ে প্রজেক্ট। প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ হলে ভারতের সঙ্গে কাঠমাণ্ডুর যোগাযোগ হবে সুগম। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত রেলপথে যোগাযোগ স্থাপন করার কথাও ভাবছে মোদি সরকার।”

    ভারত-নেপাল যোগ

    জানা গিয়েছে, বিহারের চম্পারণের রক্সৌল থেকে বীরগঞ্জ, নিজগড়, সিন্সেনারি এবং খোকনা হয়ে পৌঁছবে রেলপথ পৌঁছবে কাঠমান্ডুর কাছের জেলা ললিতপুরে। নেপালে চিনের প্রভাব ঠেকাতেই এই রেললাইন গড়ায় তড়িঘড়ি করছে নয়াদিল্লি। এই পথে কার্গো এবং টু-টায়ার দু ধরণের ট্রেনই চালানো হবে। এতে যেমন কাঠমান্ডু যাওয়া অনায়াস হবে, তেমনি অন্য দেশে জিনিসপত্র পাঠানোও সহজ হবে। মোট রাস্তার ৪২ কিমি হবে টানেলের মধ্যে। পথে পড়বে ৪০টি বাঁক। তৈরি করতে হবে ১২৪টি ব্রিজ।

    ভারত-ভুটান সেতুবন্ধন

    কেবল নেপাল নয়, ভুটানের সঙ্গেও রেলপথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। এজন্য অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের জিলেপেউ পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন পাতা হবে। খরচ ধরা হয়েছে হাজার কোটি টাকা। দুই দেশের এই সেতুবন্ধনে তৈরি করতে হবে ৫৭.৫ কিলোমিটার রেলপথ। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “ভারত-ভুটান রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভুটানে আরও বেশি করে পর্যটক যেতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করে চার-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    জানা গিয়েছে, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ভারতের পক্ষে যতটা সহজ, ততটাই কঠিন হয়েছে মায়ানমার সীমান্তে ত্রিস্তরীয় হাইওয়ে তৈরির কাজ শেষ করা। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “হাইওয়ের কাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকি থাকা কাজ শেষ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।” তিনি জানান, এই হাইওয়ের দৈর্ঘ দাঁড়াবে ১৪০০ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ডোকলাম (Doklam)! নেপথ্যে সেই ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। ডোকলামের কাছে ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ড্রাগনের দেশ। জানা গিয়েছে, শি জিনপিংয়ের দেশ ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপও তৈরি করছে। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত (India)-চিন (China) সীমান্তে।

    ডোকলাম…

    যদিও ডোকলাম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অংশ নয়, তবুও ভুটানের (Bhutan) সঙ্গে এই এলাকার সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই এলাকায় ড্রাগনের দেশ পরিকাঠামো গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ ভারত। এক সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, চিন প্রথমে ওই এলাকায় গ্রাম গড়ল। ওই জায়গায় বসতি গড়ে তুলতে লোকজন আনল। অথচ এক সময় এই এলাকায় কোনও বসতি ছিল না। এখন ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা এটাও দেখেছি, ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তোলার কাজও চলছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ওই এলাকার দূরত্ব সামান্যই। যদিও তিনি বলেননি ঠিক কতদূরে ওই এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তুলছে চিন। ওই নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, এটা আমরা গোয়েন্দা সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার হতে পারে কিংবা তারও কিছু কম।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    ডোকলামে (Doklam) যে চিন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে, তা স্বীকারও করেছেন এক চিনা আধিকারিক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই যে ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটা অংশ গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের ‘ভূখণ্ডে’। তিনি এও জানান, শি জিনপিংয়ে বিকাশ নীতি রূপায়ণ করতেই এসব করা হচ্ছে। চাইনিজ স্টেট কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর লি জিয়াওজুনও সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, একই সময়ে আমি মেনে নিচ্ছি, এই সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে মিলিটারি পারপাসে।

    ডোকলামে (Doklam) চিনের এই উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি, তার প্রমাণ চিনের ক্রমাগত পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। লি বলেন, গত দশ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির অংশ। তবে আমি এও স্বীকার করি, এর উদ্দেশ্য দুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian Railways: এবার ট্রেনে চড়েই যাওয়া যাবে অরুণাচলের চিন সীমান্তে, কবে থেকে জানেন?

    Indian Railways: এবার ট্রেনে চড়েই যাওয়া যাবে অরুণাচলের চিন সীমান্তে, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেড়াতে ভালবাসেন? ট্রেনে চড়ে যেতে চান অরুণাচল প্রদেশে চিনের সীমান্ত পর্যন্ত? কিংবা প্রতিবেশী দেশ ভুটানে (Bhutan)? তাহলে অপেক্ষা করুন। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উদ্যোগে আর কিছুদিন পরেই পূরণ হয়ে যাবে এই সব স্বপ্ন। আজ্ঞে, হ্যাঁ। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক উত্তর পূর্ব ভারতে (India) রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, ট্রেন ছুটবে অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্ত পর্যন্ত। রেললাইন পাতা হবে ভুটান পর্যন্তও। রেল ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেনে করেই যাওয়া যাবে তাওয়াং। 

    ভারত চিন সীমান্তে রয়েছে…

    ভারত চিন সীমান্তে রয়েছে তাওয়াং। এলাকার সৌন্দর্য অপার। নীল দিগন্তে শুধুই সবুজের মেলা। তারই মাঝে রয়েছে বৌদ্ধ মনাস্ট্রি। ভারতীয় রেল (Indian railways) সূত্রে খবর, অরুণাচল প্রদেশের ভালুকপং থেকে তাওয়াং পর্যন্ত রেললাইন পাতা হবে। অন্য একটি লাইন চলে যাবে শিলাপাথা থেকে বেম হয়ে অ্যালং পর্যন্ত। এই দুই লাইনের কাজ শেষ হয়ে গেলেই অত্যন্ত কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে ভারত চিন সীমান্তে। রেলমন্ত্রকের মতে, এই যে লাইন পাতা হচ্ছে, এর একটা স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব রয়েছে।

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, অরুণাচল প্রদেশ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভালুকপং থেকে তাওয়াং পর্যন্ত রেললাইন পাতা ছাড়াও মুরকঙ্গসেলেক থেকে পাশিঘাট পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত করা হবে। লঙ্কা থেকে আসামের চন্দ্রনাথপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় রেললাইনটি পাতা হবে। ডিমা হাসাও এলাকার পাহাড়ি এলাকা এড়িয়ে এই লাইন পাতা হবে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ভুটানের সঙ্গেও রেলপথ যোগাযোগ থাকবে। সেই কাজও চলছে। আসামের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত যাবে নয়া এই রেললাইন। এই রেলপথের মোট দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার। তিনি জানান, বৈদ্যুতিকরণ সহ নানা কাজ চলছে। সব মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সব্যসাচী বলেন, রাজধানী সংযোগ প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। আমরা মিজোরাম ও মণিপুরকে রেলের সুতোয় বাঁধব। আগামী এক বছরের মধ্যেই আমরা নাগাল্যান্ড ও সিকিমকে এক সুতোয় বেঁধে ফেলত পারব।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share