Tag: Bibhutibhushan Bandyopadhyay

Bibhutibhushan Bandyopadhyay

  • Ghatsila: অমর কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখানেই এসে বসে থাকতেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরে!

    Ghatsila: অমর কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখানেই এসে বসে থাকতেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপামর বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় এক পর্যটন কেন্দ্র হল ঘাটশিলা (Ghatsila)। কিন্তু ঘাটশিলা বলতেই আমরা বুঝি শুধুমাত্র বুরুডি লেক, গালুডি ড্যাম, ফুলডুঙরি প্রভৃতি। কিন্তু এর বাইরেও ঘাটশিলার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক এমন কিছু স্পট, সৌন্দর্যের নিরিখে যেগুলি কোনও অংশে কম যায় না। এমনই অত্যন্ত সুন্দর স্থান হল “রাতমোহনা”। এখান থেকে পরিষ্কার দেখা যায় দূরের পাহাড়ের সারি। পথের দুপাশে পলাশ, শাল আর মহুয়ার জঙ্গল, আদিবাসী গ্রামের আলপনা আঁকা মাটির কুটির, অরণ্যের বুক চিরে চলে গেছে রাঙা মাটির পথ। আর হ্যাঁ! রাতমোহনার বুক চিরে আদিবাসী কিশোরীর উচ্ছলতায় বয়ে চলেছে স্বচ্ছ সলিলা সুবর্ণরেখা নদী।

    বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি (Ghatsila)

    রাতমোহনাতেই রয়েছে একটি সুন্দর ঝর্ণা। স্বয়ং অমর কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাতমোহনাতেই এসে বসে থাকতেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরে। রাতমোহনা থেকেই একবারে ঘুরে নেওয়া যায় কাছেই সিদ্ধেশ্বর পাহাড়, পাটকিতা, রানী ফলস এবং আরও একটি অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যৈ ভরপুর স্থান “শঙ্করদা” (Ghatsila)। বসন্তে যখন এই সমগ্র অঞ্চল জুড়ে পলাশ ফুল ফোটে, তখন সেই সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা সাধ্যাতীত কাজ।

    যাবেন কীভাবে, থাকবেন কোথায়? (Ghatsila)

    যাতায়াত-রাতমোহনা যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে ঘাটশিলা। হাওড়া থেকে যাচ্ছে ইস্পাত এক্সপ্রেস, স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া ঘাটশিলা এক্সপ্রেস (মেমু) প্রভৃতি ট্রেন। সেখান থেকে অটোতে প্রায় ৫ কিমি দূরে রাতমোহনা। আর রাতমোহনা অথবা ঘাটশিলা (Ghatsila) স্টেশন থেকে গাড়িতে প্রায় ৩০-৪০ মিনিটের পথ শঙ্করদা।
    থাকা খাওয়া-রাতমোহনাতে আছে রিসর্ট রাতমোহনা ইন (০৮৪০৯২১১৫৫৫), শঙ্করদায় রয়েছে উইক এণ্ড রিসর্ট (০৯২৩৪৬৪৩৫৪০, ০৮৭৫৭৭৮০৯১০)। আর কেউ যদি ঘাটশিলা থেকে ঘুরে নিতে চান, তাহলে তাঁরা থাকতে পারেন হোটেল জে এন প্যালেস (০৮৭৫৭৪৪৩৫৪০, ০৮৯৬৯৬৫৪৭১৮, সুহাসিতা রিসর্ট (০৯৭৭১৮৩১৮৭৭), রামকৃষ্ণ মঠের গেস্ট হাউজ প্রভৃতিতে। সবকটিতেই খাওয়ার ব্যবস্থা এবং ট্রাভেল ডেস্ক আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rankini Mandir: দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পশৈলীতে তৈরি রঙ্কিণী দেবীর মন্দিরে এক সময় নরবলিও হত!

    Rankini Mandir: দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পশৈলীতে তৈরি রঙ্কিণী দেবীর মন্দিরে এক সময় নরবলিও হত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমর কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বিখ্যাত গল্প “রঙ্কিণী দেবীর খড়্গ” আজও বহু মানুষের স্মৃতিতে অম্লান। পশ্চিমবঙ্গের একদম প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের এক অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং জাগ্রত মন্দির এই রঙ্কিণী দেবীর মন্দির (Rankini Mandir)। কলকাতার একদম কাছেই, বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ঘাটশিলা। আর এই ঘাটশিলা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দির। ঝাড়খণ্ড তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার থেকেও বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে মা রঙ্কিণী দেবীকে পুজো দিয়ে নিজের মনস্কামনা পূর্ণ করার অভিপ্রায়ে।

    মা কালীর এক রূপ? (Rankini Mandir)

    ঘাটশিলা থেকে জাদুগোড়া যাওয়ার পথে জাদুগোড়ার কাছেই পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই মন্দিরের আরাধ্য রঙ্কিণী দেবীকে মনে করা হয় মা কালীর এক রূপ। আবার অনেকেই বলেন, মা রঙ্কিণী হলেন আদিবাসী মানুষের দেবী। কথিত আছে, দৈবাদেশে এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। এক সময় রঙ্কিণী দেবীর মন্দিরে নরবলি হত বলেও জানা যায়। ইংরেজ শাসকদের হস্তক্ষেপে সেই জঘন্য প্রথা বন্ধ হয় এবং ঘাটশিলায় অবস্থিত প্রাচীন মন্দির স্থানান্তরিত করে এই জাদুগোড়ায়, আরন্যক পরিবেশে, পাহাড়ের কোলে। বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পশৈলীতে। রয়েছে গোপুরম। এই গোপুরমে দেবী রঙ্কিণীর (Rankini Mandir) বিভিন্ন রূপ চিত্রিত করা আছে। মন্দিরের প্রবেশদ্বারের উপরেই রয়েছে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের পাথরে খোদাই করা মূর্তি। এখানে একটি পাথরকে দেবী রূপে পুজো করা হয়।

    আর কী কী মন্দির আছে?

    মূল মন্দিরের বাঁ দিকে রয়েছে গণেশ, আর ডান দিকে রয়েছে শিব মন্দির। এছাড়াও এখানে রয়েছে নানা দেব-দেবীর মূর্তি। মন্দিরের কাছেই গাছের ডালে লাল কাপড়ে আচ্ছাদিত করে নারকেল বেঁধে রেখে ভক্তরা মায়ের কাছে মানত করেন। মন্দিরের (Rankini Mandir) আশপাশের পাহাড়ি পরিবেশও অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক।

    যাওয়া ও থাকা-খাওয়া (Rankini Mandir)

    যাতায়াত-রঙ্কিণী মন্দিরে যাওয়ার জন্য আসতে হবে ঘাটশিলা। হাওড়া স্টেশন থেকে যাচ্ছে ইস্পাত এক্সপ্রেস, স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-ঘাটশিলা এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। দূরত্ব প্রায় ২১৫ কিমি। থাকা – খাওয়া-যাঁরা অমলিন প্রকৃতির মাঝে দুটো দিন থাকতে চান, তাঁরা থাকতে পারেন নিকটবর্তী রাত মোহনা নামের একটি অত্যন্ত সুন্দর স্থানে। এখানে রয়েছে “রিসর্ট রাত মোহনা ইন” (ফোন-০৮৪০৯২১১৫৫৫, ০৯৯৩৪৫৮০৮৬০)। অন্যথায় ঘাটশিলা থেকে ঘুরে নিতে পারেন। ঘাটশিলায় আছে জে এন প্যালেস (০৯২৩৪৬৪৩৫৪০), সুহাসিতা রিসর্ট (০৯৭৭১৮৩১৮৭৭) প্রভৃতি। সবকটিতেই রয়েছে খাওয়ার ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share